জুজউল কিরাত Zuz Ul Qirat Bangla

জুজউল কিরাত

হাদীসঃ জুজউল কিরাত
হাদীস পরিচিতিঃ জুজউল কিরাত
লেখকঃ ইমাম বুখারী
সম্পূর্ণ নামঃ মুহাম্মদ বিন ইসমাইল বিন ইবরাহীম বিন মুগীরাহ বিন বারদিযবাহ
জন্মস্থানঃ বুখারা, উজবেকিস্তান
জন্মঃ ১৯৪ হিজরি
মৃত্যুঃ ২৫৬ হিজরি
মোট হাদীসঃ
হাদীস প্রকারঃ সহীহ, জয়ীফ

জুজউল কিরাত -সমস্ত প্রশংসা সেই আল্লাহর নিমিত্ত যিনি আমাদেরকে তীর প্রেরিত পুরুষ জ্হই-এর মাধ্যমে হিদায়াতের বাণী আল-কুরআন দান করেছেন এবং এমন একটি সূরা দান করেছেন, যা হচ্ছে কুরআনের মা। যেটা পড়া ব্যতীত সলাতই হয় না। সে সূরাটি হলো সূরা ফাতিহা। যে সূরা সম্পর্কে ইমাম বুখারী একটি স্বতন্ত্র হাদীস গ্রন্থ রচনা করেছেন। সেটা অনুবাদের ক্ষমতা যে মহান সত্তা আমাকে দান করেছেন তার জন্য সীমাহীন প্রশংসা । এবং অগণিত দরূদ ও সালাম তীর রসূলের প্রতি যার মাধ্যমে তিনি দীন পরিপূর্ণ করেছেন। যার শিক্ষক স্বয়ং আল্লাহ। এছারা আপনারা পড়তে পারেন হাদিস বুখারী শরীফআদাবুল মুফরাদ হাদীস হাদিসের বই

জুযউল কিরাত Zuzul Kirat সূচীপত্র

অনু
চ্ছে
বিষয়হাদীস
ভুমিকা
ইমাম বুখারী রে)
ইমাম ও মুক্তাদির জন্য কিরাআত ওয়াজিব এবং কিরাআত পাঠের সর্বনিশ্ন পরিমাণ
ইমামের পিছনে ফাতিহাতুল কিতাব বা সূরা ফাতিহার অধিক পড়া যাবে কিনা
ইমামের পিছনে উচ্চৈঃস্বরে কিরাআত না হওয়া প্রসঙ্গে
যে ইমামের উচ্চৈঃস্বরে কিরাআত নিয়ে টানা হেঁচড়া করে তাকে
যে ব্যক্তি ইমামের সাকতার সময় পাঠ করবে ।’আর তা হল তাকবীরের সময় এবং যখন সে রুকৃ* করার ইচ্ছা করবে
যুহরের চার রাক’আতের সব রাক’আতেই কিরাআত পাঠ

জুজউল কিরাত ভুমিকা

অতঃপর যে সূরাটি সম্পর্কে কিতাবটি অনুবাদ করলাম তার সম্পর্কে নিজ ভাষায় কিছু না বলে বরং আল্লাহ ও তাঁর রসূলের ভাষাতেই বলি। মহান আল্লাহ বলেন , “হে নাবী আমি আপনাকে দান করেছি বার বার পঠিত সাতটি আয়াত এবং মহান কুরআন দান করেছি। “(সুরা আল-হিজর ৮৭)

আবূ সাঈদ বিন মুয়াল্লা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন- রসূলুল্লাহ ই বলেছেন £ আল-হাম্দুলিল্লাহি রব্বিল আলামীন । সূরা ফাতিহাই হলো সাবয়ু-মাসানী- বার বার পঠিত সাত আয়াত। অন্য বর্ণনায় আবু হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন ঃ রসূলুল্লাহ এরই বলেছেন উম্মুল কুরআন-
(কুরআনের মা) সূরা ফাতিহাই হলো সাবযু-মাসানী বার-বার পঠিত সাত আয়াত। (বুখারী ২য় খণ্ড ৬৮৩ পৃষ্ঠা, তাফসীর ইবনু কাসীর ২য় খণ্ড ৭৩৫ পৃষ্ঠা)

রসূল এ বলেছেন কুরআনের মা ব্যতীত সালাত হবে না। সেখানে কুরআনের সাধারণ কিরাআতের সাথে কুরআনের মাকে অন্তর্ভূক্ত করা যায় না। এবং যখন কুরআন পাঠ করা হয় তখন” তোমরা শুন এবং চুপ থার্কো | অত্র আয়াতটির হুকুম হলো কুরআন সম্পর্কে কুরআনের মা সম্পর্কে নয় । অর্থাৎ কুরআন পাঠ করার সময় শুনতে হবে ও চুপ থাকতে হবে কুরআন পাঠ করা যাবে না।

এক ভাষার লিখিত জুজউল কিরাত কিতাবকে অন্যভাষায় অনুবাদ করা একটি কষ্টসাধ্য ব্যাপার । এরপরও আমি এক ইলমের ইয়াতিম, ভাষাত্তরে ভুল-্রান্তি হওয়া অস্বাভাবিক নয়। কারও দৃষ্টিতে ভুল প্রমাণিত হলে আমাকে জানালে পরবর্তী সংস্করণে সংশোধনের প্রয়াস পাব ইনশাআল্লাহ । আল্লাহর কাছে এই অনিচ্ছাকৃত ভূলের জন্য ক্ষমা চাচ্ছি এবং ভবিষ্যতে আরও সুন্দর করার ক্ষমতা
কামনা করছি- আমীন ॥

বিনীত
খলিলুর রহমান মাদারিপুরি

ইমাম বুখারী রে)

হাদীস সংগ্রহ ও সংকলনের ব্যাপারে ইমাম বুখারী রে)-এর নিষ্ঠা, আন্তরিকতা এবং সতর্কতা সুবিদিত | সহীহ্‌ হাদীস সংগ্রহ ও সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে তিনি বহু দুর্গম পথ পাড়ি দিয়েছেন। অমানুষিক কষ্ট স্বীকার করে তিনি সনদসহ প্রায় ছয় লক্ষ হাদীস সংগ্রহ করেন এবং দীর্ঘ ষোল বছর রাসূলুল্লাহ্‌ (সা)-এর রওযা আক্দাসের পাশে বসে প্রতিটি হাদীস গ্রহণের আগে মোরাকাবার মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ্‌ (সা)-এর সম্মতি লাভ করতেন। |

ইমাম বুখারী (র) সংকলিত সহীহ আল-বুখারীর পর তার যে কিতাবটি মুসলিম সমাজে সমধিক পরিচিত ও সমাদৃত তা হচ্ছে ‘আল-আদাবুল মুফরাদ” । এটি মূলত শিষ্টাচার সংক্রান্ত হাদীসের সংকলন। ইসলামী সমাজে ‘মু’আমিলা’তথা পারম্পরিক সম্পর্কের উপর অত্যন্ত গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। ইসলামের প্রাথমিক যুগে ইসলামের ব্যাপক প্রচার ও প্রসারের মূলে মুসলমানদের এই গন্থটিই কার্যকর ভূমিকা পালন
করেছে। আল-কুরআনে ইরশাদ হয়েছে ৪ “হে মু’মিনগণ! তোমরা যা কর না তা তোমরা কেন বল? তোমরা যা কর না তোমাদের তা বলা আল্লাহ্‌র দৃষ্টিতে অতিশয় অসন্তোষজনক ।” (সূরা সাফৃফ ২-৩)

কুরআনুল করীমের এ আয়াতের নির্দেশ ইসলামের নবী হযরত মুহাম্মদ (সা) নিজে যেমন বাস্তবে অনুসরণ করেছেন, সাহাবীগণকেও তা আমল করার নির্দেশ দিয়েছেন । আর তাদের এই আমলের বাস্তব প্রতিফলনের ফলম্বরূপ ইসলামের রূপ ও মাধুর্য খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে দুনিয়াব্যাপী মানুষকে ইসলামের দিকে আকৃষ্ট করেছে। দলে দলে মানুষ ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নিয়েছে।

আজও যারা ইসলাম প্রচারে নিয়োজিত তাদের শিষ্টাচারের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। তাদের
ব্যবহার, আচার-আচরণ, নৈতিকতা ইত্যাদি দেখেই মানুষ ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হকে_যে নসীহত প্রদান করা হয় এবং সে অনুযায়ী প্রথমেই তা অর্জনের শিক্ষা দেওয়া হয়। তা হ্ছাড়া, মানব সম্প্রদায়কে অন্যান্য প্রাণী জগত থেকে স্বতন্ত্র করার পেছনে যে কয়টি কার্যকারণ রয়েছে তার মধ্যে শিষ্টাচার অন্যতম । তাই মানব সভ্যতার বিকাশেও শিষ্টাচারের ভূমিকা অনন্য.

জুজউল কিরাত ডাউনলোড

আমাদের এই কিতাবে বিভিন্ন নামে খুজে পাবেন যেমন জুজ উল কিরাত, জুল উল কেরাত, জুজুল কিরাত, যুজউল কিরাত, jujul kirat, zuzul kirat ইত্যাদি।

বইটির PDF/ মুল কপি পেতে হলে নিচে Comment/ কমেন্ট এর মাধ্যমে আমাদেরকে জানান, তাহলে আমরা আপনাদেরকে পাঠিয়ে দিতে পারব। ইনশাআল্লাহ।


Posted

in

by

Comments

7 responses to “জুজউল কিরাত Zuz Ul Qirat Bangla”

  1. N H M Khashrul Matin Avatar
    N H M Khashrul Matin

    আসসালামু ‘আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ্‌।
    দয়া করে পিডিএফ কপি পাঠাবেন।।

  2. Mohammad yeasin Avatar
    Mohammad yeasin

    আমার প্রোয়োজন জুজউল কিরআত

  3. anisul Islam Avatar
    anisul Islam

    জুজুর ক্বিরাত প্লিজ দ্রুত পারলে দিন

  4. Jarman Avatar
    Jarman

    আমি জুজুলকেরাত একটা ডাউনলোড করতে চায়

  5. আসাদুজজামান Avatar
    আসাদুজজামান

    আমাকে পাঠন

  6. Md. Moinul Islam Avatar
    Md. Moinul Islam

    Assalamualaikum,
    I would like to download, kindly help to down load

  7. Md farhad Avatar
    Md farhad

    Assalamualaikum Brother,,Plz send me

Leave a Reply to Md farhadCancel reply