তাসাহুদ ও সালাম ফিরানোর আগে দোয়া Tashahhud Dua

তাসাহুদ ও সালাম ফিরানোর আগে দোয়া Tashahhud Dua

এ বিষয়ে সরাসরি মুল হাদিস শরীফ থেকে পড়ুন >> মুয়াত্তা মালিক >> সহীহ বুখারী >> সহীহ মুসলিম >> আবু দাউদ >> ইবনে মাজাহ >> তিরমিজি >> নাসাঈ >> মিশকাত >> রিয়াদুস সালেহীন >> বুলুগুল মারাম হাদীস শরীফ হতে

তাসাহুদ Tashahhud Dua

পরিচ্ছেদঃ তাশাহহুদ পাঠ করার দোয়া
পরিচ্ছেদঃ তাশাহ্হুদের পরে ও সালামের আগে দুআ সমুহ
পরিচ্ছেদঃ প্রথম বৈঠকে তাশাহুদে বসার নিয়ম । [বুখারী, আবুদ দাউদ, তিরমিজি, নাসাই]
পরিচ্ছেদঃ প্রথম তাশাহহুদের বসার সময় উভয় হাতের স্থান [নাসাই]
পরিচ্ছেদঃ প্রথম বৈঠক সংক্ষিপ্ত করা [নাসাই]
পরিচ্ছেদঃ প্রথম বৈঠক ভুলবশত পরিত্যাগ করা [নাসাই]
পরিচ্ছেদঃ শেষ বৈঠকে তাশাহুদে বসার নিয়ম । [বুখারী, আবুদ দাউদ, তিরমিজি]
পরিচ্ছেদঃ তাশাহহুদের বসার সময় পায়ের আঙ্গুল কিবলার দিকে রাখা [নাসাই]
পরিচ্ছেদঃ তাশাহহুদের সময় চোখের দৃষ্টির স্থান [নাসাই]
পরিচ্ছেদঃ যারা প্রথম বৈঠকে তাশাহহুদ ওয়াজিব নয় বলে মনে করেন । [বুখারী ]
পরিচ্ছেদঃ তাশাহ্হুদ পড়ার পর নাবী (সাঃআঃ)-এর উপর দরুদ পাঠ [আবুদ দাউদ, ইবনে মাজাহ]
পরিচ্ছেদঃ তাশাহহুদের পর যে দুআটি বেছে নেয়া হয়, অথচ তা আবশ্যক নয় । [বুখারী]
পরিচ্ছেদঃ সালাত সমাপ্ত হওয়া অবধি যিনি কপাল ও নাকের ধূলাবালি মোছেননি । [বুখারী]
পরিচ্ছেদঃ নীরবে তাশাহ্হুদ পাঠ [আবুদ দাউদ, তিরমিজি]
পরিচ্ছেদঃ প্রথম তাশাহহুদে আঙ্গুল দ্বারা ইঙ্গিত করা [নাসাই]
পরিচ্ছেদঃ তাশাহ্হুদের মধ্যে আঙ্গুলের ইশারা করা [আবুদ দাউদ, ইবনে মাজাহ, তিরমিজি]

তাশাহহুদ পাঠ করার দোয়া

আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাদি.) বলেন, আমরা যখন নাবী (সাঃআঃ)-এর পিছনে সালাত আদায় করতাম, তখন আমরা বলতাম,

السَّلاَمُ عَلَى جِبْرِيلَ وَمِيكَائِيلَ، السَّلاَمُ عَلَى فُلاَنٍ وَفُلاَنٍ

“আস্‌সালামু আলা জিবরীল ওয়া মিকাইল এবং আস্‌সালামু আলা ফুলান ওয়া ফুলান।” তখন আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) আমাদের দিকে তাকিয়ে বললেনঃ আল্লাহ নিজেই তো সালাম, তাই তখন তোমরা কেউ সালাত আদায় করিবে, তখন সে যেন বলে-

التَّحِيّاتُ للَّهِ وَالصَّلَواتُ وَالطَيِّباتُ السَّلامُ عَلَيكَ إِيُّهاَ النَّبِيُّ وَرَحمَةُ اللهِ وَبَرَكاتُهُ السَّلامُ علَيناَ وَعَلَى عِبادِ اللهِ الصالِحينَ

আত্তাহিয়্যাতু লিল্লা-হি ওয়াস সালাওয়া-তু ওয়াত তইয়িবা-তু, আসসালা-মু আলায়কা আইয়ুহান্ নাবিয়ু, ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকাতুহ। আসসালা-মু আলায়না- ওয়া আলা ইবাদিল্লা-হিস্ সলিহীন, “সকল মৌখিক, দৈহিক ও আর্থিক ইবাদত আল্লাহর জন্য। হে নাবী! আপনার উপর আল্লাহর সালাম, রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক। সালাম আমাদের ও আল্লাহর নেক বান্দাদের উপর বর্ষিত হোক।”

দৈহিক وَالصَّلَواتُ আল্লাহর জন্য للَّهِ সকল মৌখিক التَّحِيّاتُ
আপনার উপর عَلَيكَ সালাম السَّلامُ আর্থিক ইবাদত وَالطَيِّباتُ
রহমত وَرَحمَةُ নাবী النَّبِيُّ হে إِيُّهاَ
আল্লাহর সালাম السَّلامُ বরকত وَبَرَكاتُهُ আল্লাহর اللهِ
عِبادِ وَعَلَى আমাদের علَيناَ
নেক বান্দাদের الصالِحينَআল্লাহর اللهِ

কেননা, যখন তোমরা এ বলবে তখন আসমান ও যমীনের আল্লাহর সকল নেক বান্দার নিকট পৌছে যাবে। এর সঙ্গে

أَشهَدُ أَن لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ واَشهَدُ أَنَّ مُحَمَّداً عَبدُهُ وَرَسولُهُ

আশহাদু আল্লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রসূলুহ” (আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন মাবূদ নেই এবং আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয়ই মুহাম্মাদ (সাঃআঃ) তাহাঁর বান্দা ও রাসুল)-ও পড়বে।

নেই لاَ যে أَنআমি সাক্ষ্য দিচ্ছি أَشهَدُ
আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি واَشهَدُ আল্লাহ ব্যতীত اللهُ মাবূদ إِلَهَ
তাহাঁর বান্দা عَبدُهُ মুহাম্মাদ مُحَمَّداً যে নিশ্চয়ই أَنَّ
ও রাসুল وَرَسولُهُ

সহিহ বুখারি ৮৩১, ৮৩৫. আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
শাকীক ইবনু সালামা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
সহীহ মুসলিম ৭৮৩. আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ, ৭৮৪. মানসূর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ, ৭৮৫. আবদা ইবনি হুমায়দ- এর সানাদে মানসুর হইতে বর্ণীতঃ, ৭৮৬. আবদুল্লাহ ইবনি মাসউদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ ৭৮৭,

আবু দাউদ ৯৬৮. আবদুল্লা ইবনি মাসঊদ (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ

ইবনে মাজাহ ৮৯৯. আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিরমিজি ২৮৯. আবদুল্লাহ ইবনি মাসউদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাসাই ১১৬৩, ১১৬৪, ১১৬৭, ১১৭০, ১১৭১. আবদুল্লাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
নাসাই ১১৬৫. ইয়াহয়া ইবন আদম [রহঃ] হইতে বর্ণীত
নাসাই ১১৬৬, ১১৬৮, ১১৬৯ আবদুল্লাহ ইবন মাসঊদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
নাসাই ১১৭৫. জাবির [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
বুলুগুল মারাম ৩১৪ – আবদুল্লাহ [ইবনু মাস‘উদ] [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ

আবু দাউদ ৯৭১. ইবনি উমার (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি তাশাহুদ সম্পর্কে রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) হইতে হাদিস বর্ণনা করেনঃ

التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ الصَّلَوَاتُ الطَّيِّبَاتُ السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ

আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াস্-সলাওয়াতু ওয়াত ত্বায়্যিবাতু। আস্সালামূ আলাইকা আয়্যুহান্ নাবীয়্যু ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু”। বর্ণনাকারী বলেন,আবদুল্লা ইবনি উমার বলেন, “বারাকাতুহু” শব্দটি আমি নিজে সংযোজিত করেছি।

السَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ

“আস্সালামু আলাইনা ওয়া আলা ইবাদিল্লাহিস সালিহীন, আশ্হাদু আল্-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”। আবদুল্লা ইবনি উমার বলেন, এখানে ওয়াহ্দাহু লা শারীকালাহু” কথাটি আমি যোগ করেছি।

 وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ

ওয়া আশ্হাদু আন্না মুহাম্মাদানআবদুহু ওয়া রসূলুহু ”।

নামাজের তাসাহুদ -হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ[সাঃআঃ] আমাদেরকে যেভাবে কুরআনের সূরাহ্ শিক্ষা দিতেন, ঠিক সেভাবেই আমাদেরকে তাশাহহুদ শিক্ষা দিতেন। তিনি বলিতেনঃ

التَّحِيَّاتُ الْمُبَارَكَاتُ الصَّلَوَاتُ الطَّيِّبَاتُ لِلَّهِ السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ السَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ

আত্তাহিয়্যা-তুল-মুবা-রাকা-তুস সলাওয়া-তুত্ তাইয়্যিবা-তু লিল্লা-হিস্ সালা-মু আলাইকা আইয়্যুহান্ নাবিয়্যু ওয়ারহমাতুল্ল-হি ওয়াবারাকা-তুহ্ আসসালা-মু আলাইনা – ওয়াআলা-ইবা-দিল্লা হিস স-লিহীন , আশহাদু আল লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রসুলুল্ল-হ”। অর্থাৎ “যাবতীয় সম্মান ও মর্যাদা , প্রাচুর্য , প্রশংসা এবং পবিত্রতা আল্লাহর জন্য। হে নবী! আপনার উপর শান্তি, আল্লাহর রহমত ও বারাকাত অবতীর্ণ হোক। আমাদের ও আল্লাহর সকল নেক বান্দাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক।আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য ইলাহ নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি, মুহাম্মাদ আল্লাহর রসূল।”

ইবনি রুমহ এর বর্ণনায় আছেঃ তিনি যেভাবে আমাদের কুরআন শিক্ষা দিতেন।

সম্মান الْمُبَارَكَاتُ

সহীহ মুসলিম ৭৮৮, ৭৮৯, আবু দাউদ ৯৭৪, ইবনে মাজাহ ৯০০, তিরমিজি ২৯০ নাসাই ১১৭৪

হিত্তান ইবনি আবদুল্লা আর-রাক্বাশী (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা আবু মূসা আল-আশআরী (রাঃআঃ) আমাদের নামায পড়ালেন। নামাজের শেষ দিকে তিনি যখন বসলেন, তখন দলের একজন বললো, নেকী ও পবিত্রতা অর্জনের জন্যই নামায। নামায শেষে আবু মূসা (রাঃআঃ) লোকদের দিকে মুখ ফিরিয়ে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে উপস্থিত লোকজন নীরব রইলো। তিনি পুনরায় বলিলেন, তোমাদের মধ্যকার কে এরূপ কথা বলেছে। বর্ণনাকারী বলেন, তখনও লোকেরা চুপ রইলো। হিত্তান বলিলেন, তিনি আমাকে বলিলেন, হে হিত্তান! সম্ভবত তুমিই একথাগুলো বলেছো। হিত্তান বলিলেন, না, আমি বলি নাই। অবশ্য আমি ভয় পাচ্ছিলাম যে, এজন্য আমাকে শাস্তি দিবেন। হিত্তান বলিলেন, এক ব্যক্তি বললো, কথাগুলো আমিই বলেছি এবং শুধু ভাল উদ্দেশেই বলেছি। আবু মূসা (রাঃআঃ) বলিলেন, নামাজের মধ্যে কি বলিতে হয় তাকি তোমরা অবহিত নও? একদা রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) আমাদের সামনে খুত্ববাহ দিলেন। তাতে তিনি আমাদেরকে নামাজের পদ্ধতি ও নামায শিক্ষা দিলেন। তিনি বললেনঃ তোমরা নামায আদায়ের ইচ্ছা করলে প্রথমে কাতারসমূহ ঠিক করে নিবে। অতঃপর তোমাদের একজন ঈমামতি করিবে। ঈমাম তাকবীর বললে, তোমরাও তাকবীর বলবে, ঈমাম যখন

غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلاَ الضَّالِّينَ

গাইরিল্ মাগ্দুবিআলাইহিম ওয়ালাদ্দোয়ালীন” পড়বে তোমরা آمِينَ “আমীন” বলবে। তবেই আল্লাহ তা কবুল করবেন। ঈমাম তাকবীর বলে রুকূ করলে তোমরাও তাকবীর বলে রুকূ করিবে। কারণ ঈমাম তোমাদের পূর্বে রুকূতে যাবে এবং তোমাদের পূর্বেই রুকূ হইতে মাথা উঠাবে। এরপর রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বললেনঃ এটা তার বিকল্প। ঈমাম

سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ

সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ্” বললে তোমরা তখন বলবে

اللَّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ

আল্লাহুম্মা রব্বানা লাকাল্ হাম্দ”। আল্লাহ তোমাদের একথা শুনবেন। কেননা মহান আল্লাহ তাহাঁর নাবীর যবানীতে বলেছেনঃ “সামি আল্লাহু লিমান হামিদাহ্”। অতঃপর ঈমাম যখন তাকবীর বলে সাজদাহ্ইয় যাবে তখন তোমরাও তাকবীর বলে সাজদাহ্ করিবে। ঈমাম তোমাদের আগে তাকবীর বলবে এবং আগে সাজদাহ্ করিবে। একথা বলার পর রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বললেনঃ এটা সেটার বিকল্প। তাশাহহুদের বৈঠকে তোমাদের সর্বপ্রথম পড়তে হবেঃ

التَّحِيَّاتُ الطَّيِّبَاتُ الصَّلَوَاتُ لِلَّهِ السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ السَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ 

“আত্তাহিয়্যাতু তায়্যিবাতুস সাল্লাওয়াতু লিল্লাহি; আস্সালামু আলাইকা আয়্যুহান্ নাবীয়্যু ওয়া রহমাতুলাহি ও বারাকাতুহু। আস্সালামুআলাইনা ওয়াআলাইবাদিল্লাহিস সালিহীন। আশ্হাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ওয়া আশ্হাদু আন্না মুহাম্মাদানআবদুহু ওয়া রসূলুহু”।

ঈমাম আহমাদ (রাঃআঃ) স্বীয় বর্ণনাতে “বারাকাতুহু” ও “আশহাদু” শব্দদ্বয় উল্লেখ করেননি। তিনি “আন্না মুহাম্মাদান” কথাটি উল্লেখ করিয়াছেন।

আবু দাউদ ৯৭২. সহিহ হাদিস
নাসাই ১১৭২. হিত্তান ইবন আবদুল্লাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাসাই ১১৭৩. হিত্তান ইবন আবদুল্লাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তারা [কিছু সংখ্যক লোক] আবু মূসা [রা]-এর সাথে নামাজ আদায় করিয়াছেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]বলেছেন, যখন শেষ বৈঠকের নিকট হইবে তখন তোমাদের প্রথম কথাই হইবে

التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ الطَّيِّبَاتُ الصَّلَوَاتُ لِلَّهِ، السَّلَامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ، السَّلَامُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ

“আত্তাহিয়্যাতু লিল্লা-হি ওয়াস্ সালাওয়া-তু ওয়াত্ব ত্বইয়িবা-তু, আস্সালামু আলায়কা আইয়ুহান নাবিয়ু, ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকাতুহু। আসসালা-মু আলায়না- ওয়া ‘আলা- ‘ইবা-দিল্লা-হিস্ সলিহীন, আশহাদু আল্লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রসূলুহ।”

(মৌখিক, শারীরিক ও আর্থিক যাবতীয় ‘ইবাদত আল্লাহর জন্যে। হে সম্মানিত নবী! আপনার ওপর সালাম, আল্লাহর রহমত ও তার বরকত বর্ষণ হোক। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন সত্য উপাস্য নেই; তিনি একক, তাঁর কোন অংশী নেই। আর আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ (সা.) তার দাস ও প্রেরিত রসূল।)।

নামাজ শিক্ষা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৯০১. আবু মুসা আল-আশআরী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদের উদ্দ্যেশ্যে ভাষণ দেন, আমাদের জন্য আমাদের পালনীয় সুন্নাতসমুহ স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেন এবং আমাদেরকে আমাদের নামাজ শিক্ষা দেন। তিনি বলেন, তোমরা যখন নামাজ পড়বে, এবং বৈঠকে বসবে তখন তোমাদের প্রথম কথা হবেঃ

 الطَّيِّبَاتُ الصَّلَوَاتُ لِلَّهِ السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ السَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ

“আত্তাহিয়্যাতুস সাল্লাওয়াতু লিল্লাহি; আস্সালামুআলাইকা আয়্যুহান্ নাবীয়্যু ওয়া রহমাতুলাহি ও বারাকাতুহু। আস্সালামুআলাইনা ওয়াআলাইবাদিল্লাহিস সালিহীন। আশ্হাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ওয়া আশ্হাদু আন্না মুহাম্মাদানআবদুহু ওয়া রসূলুহু”। । [“সমস্ত প্রশংসা,পবিত্রতা ও, ইবাদত আল্লাহর জন্য। হে নবী! আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক,আল্লাহর রহমত ও বরকতও। আমাদের উপর এবং আল্লাহর নেক বান্দাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক। আমি সাক্ষ্য দেই যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, আমি আরও সাক্ষ্য দেই যে, মুহাম্মদ তাহাঁর বান্দা ও রসূল”]। এই সাতটি বাক্যই নামাজের আত্তাহিয়াতু। {৯০০}

ইবনে মাজাহ ৯০১. আবু মুসা আল-আশআরী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

জাবির বিন আব্দুল্লাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদের তাশাহুদ শিক্ষা দিতেন, যেমন তিনি আমাদেরকে কুরআনের সুরা শিক্ষা দিতেন।

بِاسْمِ اللَّهِ وَبِاللَّهِ التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ لِلَّهِ السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ السَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ أَسْأَلُ اللَّهَ الْجَنَّةَ وَأَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ النَّارِ

[বিসমিল্লাহি ওয়া বিল্লাহি আত্তাহিয়্যাতু লিল্লা-হি ওয়াস সালাওয়া-তু ওয়াত তইয়িবা-তু লিল্লা-হি, আসসালা-মু আলায়কা আইয়ুহান্ নাবিয়ু, ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকাতুহ। আসসালা-মু আলায়না- ওয়া আলা ইবাদিল্লা-হিস্ সলিহীনআশহাদু আল্লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রসূলুহ আস আলুল্লাহাল জান্নাতি ওয়া আউযুবিল্লাহি মিনান নার। [আল্লাহর নামে ও আল্লাহর তাওফিকে শুরু করছি। সমস্ত সম্মান, ইবাদত ও পবিত্রতা আল্লাহর জন্য। হে নবী! আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক, আল্লাহর রাহমত ও বারকাতও। আমাদের উপর এবং আল্লাহর নেক বান্দাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক। আমি সাক্ষ্য দেই যে আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই।আমি আরও সাক্ষ্য দেই যে মুহাম্মদ তাহাঁর বান্দাহ্‌ ও তাহাঁর রসূল। আমি আল্লাহর নিকট জান্নাতের প্রার্থনা করি ও জাহান্নাম থেকে আশ্রয় চাই]। {৯০১}

ইবনে মাজাহ ৯০২

আবু দাউদ ৯৬৯. আবদুল্লা (রাঃআঃ) সূত্র হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নামায তাশাহহুদের বৈঠকে আমরা কি পাঠ করবো প্রথমে তা জানতাম না। এ সম্পর্কে রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) জানতেন। এরপর তিনি পূর্বানুরূপে হাদিস বর্ণনা করেন।

সহিহ।

শারীক (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) জামি ইবনি শাদ্দাদের মাধ্যমে এবং আবু ওয়াইল ওআবদুল্লা ইবনি মাসউদ হইতেও অনুরূপ হাদিস বর্ণিত আছে। তিনি বলেছেন, নাবী (সাঃআঃ) আমাদেরকে কিছু কথা শিখিয়ে দিলেন, তবে তাশাহুদ শিক্ষার মত করে নয়। তা হলোঃ

اللَّهُمَّ أَلِّفْ بَيْنَ قُلُوبِنَا وَأَصْلِحْ ذَاتَ بَيْنِنَا وَاهْدِنَا سُبُلَ السَّلاَمِ وَنَجِّنَا مِنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّورِ وَجَنِّبْنَا الْفَوَاحِشَ مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَمَا بَطَنَ وَبَارِكْ لَنَا فِي أَسْمَاعِنَا وَأَبْصَارِنَا وَقُلُوبِنَا وَأَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا وَتُبْ عَلَيْنَا إِنَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ وَاجْعَلْنَا شَاكِرِينَ لِنِعْمَتِكَ مُثْنِينَ بِهَا قَابِلِيهَا وَأَتِمَّهَا عَلَيْنَا

“আল্লাহুম্মা বাইনা কুলূবিনা ওয়া আসলিহ্ যাতা বাইনিনা ওয়াহদিনা সুবুলাস্-সালামী ওয়া নাজ্জিনা মিনায্ যুলুমাতি ইলান্নূর। ওয়া জাননিব্নাল ফাওয়াহিশা মা যাহারা মিন্হা মা বাতানা ওয়া বারিক লানা ফী আসমাইনা ওয়া আবসারিনা ও ক্বালুবিনা ওয়া আযওয়াজিনা ওয়া যুররিয়্যাতিনা ওয়া তুবআলাইনা ইন্নাকা আন্তাত তাওওয়াবুর রহীম। ওয়াজ্আলনা শাকিরীনা লিনিমাতিকা মুসনীনা বিহা ক্বাবিলীহা ওয়া আতিম্মাহাআলাইনা”।

দূর্বল।

নামাজের তাসাহুদ -হাদিসের তাহকিকঃ অন্যান্য

সালামের আগে দুআ সমুহ

৮৩২. উরওয়াহ ইবনু যুবাইর (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ

নাবী (সাঃআঃ)-এর স্ত্রী আয়েশা (রাদি.) তাঁকে বলেছেন যে, আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) সালাতে এ বলে দুআ করিতেন:

اللَّهُمَّ  إِنّي أَعوُذُبِكَ مِن عَذابِ القَبرِ واعوُذُبِكَ مِن فِتنَةِ المَسيِحِ الدَجّاَلِ واعوُذُبِكَ مِن فِتنَةِ المَحياَ وَفِتنَةِ المَماتِ

আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযু বিকা মিন আজাবিল কবর, ওয়া আউযু বিকা মিন ফিতনাতিল মাসিহিজ দাজ্জাল, ওয়া আউযু বিকা মিন ফিতনাতিল মাহইয়া ওয়া ফিতনাতিল মামাত, ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি। কবরের আযাব হইতে, মাসীহে দাজ্জালের ফিতনা হইতে এবং জীবন ও মৃত্যুর ফিতনা হইতে। গুনাহ ও ঋণগ্রস্থতা হইতে আপনার নিকট আশ্রয় চাই।”

আমি إِنّيহে আল্লাহ! اللَّهُمَّ
হইতে مِنআপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি أَعوُذُبِكَ
কবরের القَبرِআযাব عَذابِ
হইতে مِنএবং আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি واعوُذُبِكَ
মাসীহে المَسيِحِফিতনা فِتنَةِ
এবং আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি واعوُذُبِكَদাজ্জালের الدَجّاَلِ
ফিতনা فِتنَةِহইতে مِن
এবং ফিতনা وَفِتنَةِগুনাহ المَحياَ
ঋণগ্রস্থতা المَماتِ

তখন এক ব্যক্তি তাঁকে বলিল, আপনি কতই না ঋণগ্রস্থতা হইতে আশ্রয় প্রার্থনা করেন। তিনি (আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ)) বললেনঃ যখন কোন ব্যক্তি ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়ে তখন বলার সময় মিথ্যা বলে এবং ওয়াদা করলে তা ভঙ্গ করে।

মুহাম্মদ ইবন ইউসুফ (র.) বলেন, খালফ ইবন আমির (র.)-কে বলিতে আমি শুনিয়াছি যে, مَسيح ও مَسيح এর মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। উভয় শব্দই সমার্থবোধক তবে একজন হলেন ঈসা (আ.) এবং অপর ব্যক্তি হলো দাজ্জাল।

সহিহ বুখারি ৮৩২, ৮৩৩ উরওয়াহ ইবনু যুবায়র (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিত, ,

মিশকাত ৯৩৯. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সলাতের মধ্যে [সালাম ফিরাবার আগে] দুআ করিতেন। বলিতেন,

اللّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَفِتْنَةِ الْمَمَاتِ اللّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْمَأْثَمِ وَالْمَغْرَمِ 

“আল্লাহুম্মা ইন্নী আউযুবিকা মিন আযাবিল ক্ববরি, ওয়া আউযু্বিকা মিন ফিতনাতিল মাসীহিদ দাজ্জালি। ওয়া আউযুবিকা মিন ফিতনাতিল মাহইয়া- ওয়া ফিতনাতিল মামাতি। আল্লাহুম্মা ইন্নী আউযুবিকা মিনাল মাসামি ওয়াল মাগরামি”। [অর্থাৎ- হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট পানাহ চাচ্ছি ক্ববরের আযাব থেকে। আমি তোমার নিকট পানাহ চাচ্ছি দাজ্জালের পরীক্ষা হইতে। আমি তোমার নিকট পানাহ চাচ্ছি জীবন ও মৃত্যুর পরীক্ষা হইতে। হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে পানাহ চাচ্ছি গুনাহ ও দেনার বোঝা হইতে]। এক ব্যক্তি বলিল, নবী! আপনি দেনার বোঝা হইতে বড় বেশী পানাহ চেয়ে থাকেন। নবী [সাঃআঃ] বললেনঃ কেউ যখন দেনাদার হয় তখন কথা বলে, মিথ্যা বলে এবং অঙ্গীকার করে তা ভঙ্গ করে। {১}

{১} সহীহ : বোখারী ৮৩৩, মুসলিম ৫৮৯, আবু দাউদ ৮৮০, নাসায়ী ১৩০৯, আহমাদ ২৪৫৭৮। তাশাহুদের দোয়া -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

৯৪১. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] তাদেরকে এই দুআ শিক্ষা দিতেন যেমন তাদেরকে কুরআনের সূরাহ শিক্ষা দিতেন। তিনি বলিতেন, তোমরা বলো,

 اللّهُمَّ اِنِّـىْ اَعُوْذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ جَهَنَّمَ وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَسِيْحِ الدَّجَّالِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ

“আল্লাহুম্মা ইন্নী আউযুবিকা মিন আযাবি জাহান্নাম, ওয়া আউযুবিকা মিন আযাবিল ক্ববরি, ওয়া আউযুবিকা মিন ফিতনাতিল মাসীহিদ দাজ্জাল ওয়া আউযুবিকা মিন ফিতনাতিল মাহইয়া- ওয়াল মামাতি”। [অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাই জাহান্নামের শাস্তি হইতে। তোমার কাছে আশ্রয় চাই ক্ববরের শাস্তি হইতে। তোমার নিকট আশ্রয় চাই দাজ্জালের পরীক্ষা হইতে। তোমার কাছে আশ্রয় চাই জীবন ও মৃত্যুর পরীক্ষা হইতে] ।{১}

{১} সহীহ : মুসলিম ৫৯০, আবু দাউদ ১৫৪২, নাসায়ী ২০৬৩, তিরমিজি ৩৪৯৪, আহমাদ ২১৬৮, সহীহ আত তারগীব ৩৬৫১। তাশাহুদের দোয়া -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

৮৩৪. আবু বকর সিদ্দীক (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

একদা তিনি আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ)-এর নিকট আরয করিলেন, আমাকে সালাতে পাঠ করার জন্য একটি দুআ শিখেয়ে দেন। তিনি বলিলেন, এ দুআটি বলবে

اللَّهُمَّ إِنّيِ ظَلَمتُ نَفسيِ ظُلماً كَثِراً وَّلاَ يَغفِرُ الذُّنوبَ إِلاَّ أَنتَ فاَغفِرليِ مَغفِرَةً مِن عِندِكَ وَارحَمنيِ إِنَّكَ أَنتَ الغَفورُ الرَحيمُ

আল্লাহুম্মা ইন্নি জালামতু নাফসি জুলমান কাসিরা । ওয়ালা ইয়াগ ফিরুজ জুনুবা ইল্লা আনতা। ফাগফির লি, মাগফিরাতাম মিন ইনদিকা; ওয়ার হামনি, ইন্নাকা আনতাল গাফুরুর রাহিম। “হে আল্লাহ! আমি নিজের উপর অধিক যুলম করেছি। এবং আপনি ছাড়া সে অপরাধ ক্ষমা করার আর কেউ নেই। আপনার পক্ষ হইতে আমাকে তা ক্ষমা করে দিন এবং আমার উপর রহমত বর্ষন করুন। নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল ও দয়াবান।”

আমি إِنّيِহে আল্লাহ! اللَّهُمَّ
নিজের উপর نَفسيِ ظَلَمتُ
অধিক كَثِراًযুলম করেছি ظُلماً
ক্ষমা করার يَغفِرُএবং নেই وَّلاَ
ছাড়া إِلاَّসে অপরাধ الذُّنوبَ
আমাকে তা ক্ষমা করে দিন فاَغفِرليِআপনি أَنتَ
হইতে مِنক্ষমা مَغفِرَةً
এবং আমার উপর রহমত বর্ষন করুন وَارحَمنيِআপনার পক্ষ عِندِكَ
আপনি أَنتَনিশ্চয়ই إِنَّكَ
দয়াবান الرَحيمُক্ষমাশীল الغَفورُ

সহীহ বুখারী ৮৩৪, মিশকাত ৯৪২

জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর সলাতের মধ্যে আত্তাহিয়্যাতু পাঠ করার পর বলিতেন,

 أَحْسَنُ الْكَلَامِ كَلَامُ اللهِ وَأَحْسَنُ الْهَدْيِ هَدْيُ مُحَمَّدٍ ﷺ

“আহসানুল কালা-মি কালামুল্ল-হি ওয়া আহসানুল হাদয়ি হাদয়ু মুহাম্মাদিন [সাঃআঃ] ”- [অর্থাৎ- আল্লাহর কালামই সর্বোত্তম কালাম। আর রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর হিদায়াতই সর্বোত্তম হিদায়াত।] {১}

{১} সানাদটি সহীহ : নাসায়ী ১৩১১। তাশাহুদের দোয়া -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

মিশকাত ৯৫৬


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply