নামাজে সিজদার দোয়া ও তাসবীহ Sajdah Dua and Tasbih
নামাজে সিজদার দোয়া ও তাসবীহ Sajdah Dua and Tasbih<< হিসনুল মুসলিম এর মুল সুচিপত্র দেখুন
এ বিষয়ে সরাসরি মুল হাদিস শরীফ থেকে পড়ুন >> সহীহ বুখারী >> সহীহ মুসলিম >> আবু দাউদ >> ইবনে মাজাহ >> তিরমিজি >> নাসাঈ >> মিশকাত >> বুলুগুল মারাম হাদীস শরীফ হতে
নামাজে সিজদার দোয়া ও তাসবীহ Sajdah Dua and Tasbih
পরিচ্ছেদ ১ঃ মুক্তাদি কখন সিজদা দিবে
পরিচ্ছেদ ২ঃ রুকু ও সিজদায় যাওয়ার পর তাসবিহ
পরিচ্ছেদ ৩ঃ সিজদার দোয়া
পরিচ্ছেদ ৪ঃ দুই সাজদার মধ্যবর্তী বৈঠকের দো‘আ
পরিচ্ছেদ ৫ঃ সাজদার আয়াত তিলাওয়াতের পর সাজদায় দো‘আ
পরিচ্ছেদ ৬ঃ রুকু এবং সিজদায় কুরআন পাঠ
পরিচ্ছেদ ৭ঃ দু পায়ের গোড়ালির উপর পাছা রেখে বসা
পরিচ্ছেদ ১ঃ মুক্তাদি কখন সিজদা দিবে
বারাআ ইবনু আযিব (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা নাবী (সাঃআঃ)-এর পশ্চাতে সালাত আদায় করতাম। তিনি
سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَه
উচ্চারণঃ সামি আল্লা-হু লিমান হামিদাহ, অর্থঃ যে আল্লাহর হামদ-প্রশংসা করে, আল্লাহ তার প্রশংসা শোনেন
বলার পর যতক্ষণ না কপাল মাটিতে স্থাপন করিতেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের কেউ সিজদার জন্য পিঠ ঝুঁকাত না।
[সহীহ বুখারী ৮১১] [সহীহ মুসলিম ৯৫২, ৯৫৩,৯৫১],
আবদুল্লাহ ইবনি ইয়াযীদ [রহ] হইতেও বর্ণীত [সহীহ মুসলিম ৯৫০]
পরিচ্ছেদ ২ঃ রুকু ও সিজদায় যাওয়ার পর তাসবিহ
পরিচ্ছেদ ৩ঃ রুকু এবং সিজদার দোয়া
আয়েশা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) রুকূ ও সিজদায় এ দুআ পড়তেন-
سُبحاَنَكَ اللَّهُمَّ رَبّاَناَ وَبِحَمدِكَ اللَهُمَّ إِغفِرليِ
উচ্চারণঃ সুবহানাকা আল্লাহুম্মা রাব্বানা ওয়া বিহামদিকা; আল্লাহুম্মাগফরলি, অর্থঃ “হে আল্লাহ! হে আমাদের রব! আপনার প্রশংসাসহ পবিত্রতা ঘোষণা করছি। আপনি আমাকে ক্ষমা করুন” পাঠ করিতেন।
رَبّاَناَ | اللَّهُمَّ | سُبحاَنَكَ |
হে আমাদের রব | আল্লাহ | আপনার পবিত্রতা বর্ণনা করছি |
إِغفِرليِ | اللَهُمَّ | وَبِحَمدِكَ |
আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন | হে আল্লাহ! | এবং আপনার প্রশংসা করছি |
[সহীহ বুখারী ৭৯৪], [আবু দাউদ ৮৭২, ৮৭৭, সহীহ] [সহীহ মুসলিম, ৯৭২] [ইবনে মাজা ৮৮৯], [৮৭১, সহীহ], [বুলুগুল মারাম ২৯৪], [নাসাঈ ১০৪৭, সহীহ, আলাদা শব্দে
سُبْحَانَكَ رَبَّنَا وَبِحَمْدِكَ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي ]
আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সেজদাহ গিয়ে বলিতেনঃ
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي ذَنْبِي كُلَّهُ دِقَّهُ وَجِلَّهُ وَأَوَّلَهُ وَآخِرَهُ وَعَلاَنِيَتَهُ وَسِرَّهُ
“আল্লা-হুম্মাগ্ ফিরলি যামবী কুল্লাহু দিক্কাহু ওয়াজিল্লাহু ওয়া আওওয়ালুহু ওয়া আ-খিরাহু ওয়া আলা-নিয়াতাহু ওয়া সিররাহু”
অর্থাৎ “হে আল্লাহ! আমার সকল প্রকার গুনাহ ক্ষমা করে দিন। কম এবং বেশি, প্রথম এবং শেষ, প্রকাশ্য এবং গোপনীয়।
[সহীহ মুসলিম ৯৭১]
আওফ ইবনি মালিক (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক রাতে আমি রসূলুল্লাহর (সাঃআঃ) সাথে নামায আদায়ে দাঁড়ালাম। তিনি সূরাহ বাক্বারাহ তিলাওয়াতের সময় কোন রহমাতের আয়াতে পৌঁছলে তথায় থেমে রহমাত চাইতেন এবং যখন কোন আযাবের আয়াতে পৌঁছতেন, তখন সেখানে থেমে আযাব হইতে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন। অতঃপর তিনি কিয়ামের সমপরিমাণ সময় রুকূতে অবস্থান করেন এবং তাতে
سُبْحَانَ ذِي الْجَبَرُوتِ وَالْمَلَكُوتِ وَالْكِبْرِيَاءِ وَالْعَظَمَةِ
“সুবহানা যিল জাবারূতি ওয়াল মালাকূতি ওয়াল কিবরিয়াই ওয়ালআযমাতি”, অর্থ : ‘পবিত্র ওই সত্তা, যিনি সর্বময় ক্ষমতা, সার্বভৌমত্ব, শ্রেষ্ঠত্ব ও মহত্ত্বের অধিকারী।’
الْجَبَرُوتِ | ذِي | سُبْحَانَ |
পবিত্র ওই সত্তা | ||
وَالْعَظَمَةِ | وَالْكِبْرِيَاءِ | وَالْمَلَكُوتِ |
পাঠ করেন। অতঃপর তিনি কিয়ামের সমপরিমাণ সময় সাজদাহতে অবস্থান করেন এবং তাতেও উক্ত দুআ পাঠ করেন। অতঃপর তিনি (দ্বিতীয় রাকআতে) দাঁড়িয়ে সূরাহ আলে-ইমরান তিলাওয়াত করেন। অতঃপর (প্রত্যেক রাকআতে) একটি করে সূরাহ তিলাওয়াত করেন।
[আবু দাউদ ৮৭৩,সহিহ হাদিস, ৮৮২] [নাসাঈ ১০৪৯, সহীহ]
হুযাইফা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি নাবী [সাঃআঃ]-এর সাথে নামাজ আদায় করছেন। তিনি [রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]] রুকূতে
سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيمِ
সুবহানা রব্বিয়াল আযীম এবং সিজদায়
سُبْحَانَ رَبِّيَ الأَعْلَى
সুবহানা রব্বিয়াল আলা বলিতেন। যখনই কোন রাহমাত সম্পর্কিত আয়াতে আসতেন, তখনই তিনি সামনে অগ্রসর হওয়া বন্ধ রেখে রাহমাত চাইতেন। যখনই তিনি কোন শাস্তি সম্পর্কিত আয়াতে আসতেন, তখন সামনে অগ্রসর হওয়া বন্ধ রেখে শাস্তি হইতে আশ্রয় চাইতেন।
[তিরমিজি ২৬২, সহীহ হাদীস]
পরিচ্ছেদ ৪ঃ সিজদার দোয়া
আবু হুরাইরাহ্ (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) সাজদাহ্তে এ দুআ পড়তেনঃ
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي ذَنْبِي كُلَّهُ دِقَّهُ وَجِلَّهُ وَأَوَّلَهُ وَآخِرَهُ
“আল্লাহুম্মাগফিরলী যামবী কুল্লাহু দিক্কাহু ওয়া জুল্লাহু ওয়া আওয়ালাহু ওয়া আখিরাহু।”, অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমার সব গুনাহ ক্ষমা করে দাও। সুক্ষ্ম ও স্থূল, শুরুর দিকের ও শেষের দিকে (গুনাহ ক্ষমা করে দাও);
لِي | اغْفِرْ | اللَّهُمَّ |
আমার | সব গুনাহ ক্ষমা করে দাও | হে আল্লাহ! |
دِقَّهُ | كُلَّهُ | ذَنْبِي |
সব | শেষের দিকে | |
وَآخِرَهُ | وَأَوَّلَهُ | وَجِلَّهُ |
শেষের দিকে |
ইবনিস সারহ এ বাক্যটি অতিরিক্ত বর্ণনা করেনঃ
عَلاَنِيَتَهُ وَسِرَّهُ
“আলানিয়্যাতাহু ওয়া সিররাহু।” প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য (গুনাহও ক্ষমা করে দাও)।’
وَسِرَّهُ | عَلاَنِيَتَهُ |
[আবু দাউদ ৮৭৮, সহিহ হাদিস]
আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি এক রাতে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -কে বিসানায় পেলাম না। আমি তাঁকে খোঁজ করিতে লাগলাম। হঠাৎ আমার হাত তাহাঁর উভয় পায়ের তালুতে গিয়ে ঠেকল। তিনি সেজদাহ ছিলেন এবং তাহাঁর পা দুটো দাঁড় করানো ছিল। এ অবস্তায় তিনি বলেছেনঃ
اللَّهُمَّ أَعُوذُ بِرِضَاكَ مِنْ سَخَطِكَ وَبِمُعَافَاتِكَ مِنْ عُقُوبَتِكَ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْكَ لاَ أُحْصِي ثَنَاءً عَلَيْكَ أَنْتَ كَمَا أَثْنَيْتَ عَلَى نَفْسِكَ
“আল্লাহুম্মা আউযু বিরিযা-কা মিন্ সাখাতিকা ওয়াবি মুআ-ফা-তিকা মিন্ উকুবাতিকা ওয়া আউযুবিকা মিনকা লা-উহ্সি সানা-আন্ আলাইকা আন্তা কামা- আস্নাইতা আল- নাফসিকা”।অর্থাৎ “হে আল্লাহ্! আমি তোমার অসন্তুষ্টি থেকে সন্তুষ্টির আশ্রয় চাই। তোমার শাস্তি থেকে তোমার শান্তি ও স্বস্তির আশ্রয় চাই। আমি তোমার নিকট তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করি। তোমার প্রশংসার হিসাব করা আমার সম্ভব না। তুমি নিজে তোমার যেরূপ প্রশংসা বর্ণনা করেছ, তুমি ঠিক তদ্রূপ”
مِنْ | بِرِضَاكَ | أَعُوذُ |
থেকে | আশ্রয় প্রার্থনা করি | |
بِمُعَافَاتِكَ | وَأَعُوذُ | سَخَطِكَ |
আশ্রয় প্রার্থনা করি | তোমার অখুশি | |
وَأَعُوذُ | عُقُوبَتِكَ | مِنْ |
আশ্রয় প্রার্থনা করি | তোমার শাস্তি | থেকে |
لاَ | مِنْكَ | بِكَ |
না | ||
عَلَيْكَ | ثَنَاءً | أُحْصِي |
أَثْنَيْتَ | كَمَا | أَنْتَ |
যেমন | ||
نَفْسِكَ | عَلَى | |
তুমি নিজের |
[সহীহ মুসলিম ৯৭৭] [আবু দাউদ ৮৭৯, সহিহ হাদিস, আলাদা শব্দে
أَعُوذُ بِرِضَاكَ مِنْ سَخَطِكَ وَأَعُوذُ بِمُعَافَاتِكَ مِنْ عُقُوبَتِكَ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْكَ لاَ أُحْصِي ثَنَاءً عَلَيْكَ أَنْتَ كَمَا أَثْنَيْتَ عَلَى نَفْسِكَ ]
পরিচ্ছেদ ৫ঃ দুই সাজদার মধ্যবর্তী বৈঠকের দো‘আ
হুযায়ফা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নবী [সাঃআঃ] দু সাজদাহ্র মাঝখানে বসে বলিতেন
رَبِّ اغْفِرْ لِي رَبِّ اغْفِرْ لِي
“রাব্বীগফির লী রাব্বীগফির লী” [“প্রভু! আমায় ক্ষমা করুন, প্রভু! আমায় ক্ষমা করুন”]
[ইবনে মাজা ৮৯৭, সহিহ হাদিস]
ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] রাতের সলাতে দুসাজদাহ্র মাঝখানে [বসে] বলিতেনঃ
رَبِّ اغْفِرْ لِي وَارْحَمْنِي وَاجْبُرْنِي وَارْزُقْنِي وَارْفَعْنِي
“রাব্বিগফির লী ওয়ারহামনী ওয়াজবুরনী ওয়ারযুকনী ওয়ারফানী [হে প্রভু! আমায় ক্ষমা করুন, আমায় দয়া করুন, আমার বিপদ দূর করুন, আমাকে রিযিক দান করুন এবং আমার মর্যাদা বৃদ্ধি করুন]।
[ইবনে মাজা ৮৯৮, সহিহ হাদিস] [ইবনে মাজা ৮৫০, হাসান হাদিস, ভিন্ন শব্দে
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَارْحَمْنِي وَعَافِنِي وَاهْدِنِي وَارْزُقْنِي ]
[তিরমিজি ২৮৪, সহিহ, ভিন্ন শব্দে
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَارْحَمْنِي وَاجْبُرْنِي وَاهْدِنِي وَارْزُقْنِي ]
[বুলুগুল মারাম ৩০২, হাসান , ভিন্ন শব্দে
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي، وَارْحَمْنِي، وَاهْدِنِي، وَعَافِنِي، وَارْزُقْنِ
হুযাইফাহ (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
একদা রাতে তিনি রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ)-কে নামায আদায় করতে দেখলেন। এ সময় তিনি (সাঃআঃ)
তিনবার আল্লাহু আকবার
বলার পর
যুল-মালাকূতি ওয়াল জাবারূতি ওয়াল কিবরিয়াই ওয়ালআযমাতি, অর্থ : ‘পবিত্র ওই সত্তা, যিনি সর্বময় ক্ষমতা, সার্বভৌমত্ব, শ্রেষ্ঠত্ব ও মহত্ত্বের অধিকারী।’
পাঠ করেন। অতঃপর তিনি সূরাহ বাকারাহ তিলাওয়াত শুরু করেন। এবং তাহাঁর রুকু ছিলো কিয়ামের সমপরিমাণ সময়। তিনি রুকুতে
سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيمِ سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيمِ
সুবহানা রব্বিয়াল আযীম, সুবহানা রব্বিয়াল আযীম, আমি আমার মহান রবের পবিত্রতা বর্ণনা করছি, আমি আমার মহান রবের পবিত্রতা বর্ণনা করছি
পাঠ করেন। অতঃপর রুকু হইতে মাথা উঠিয়ে প্রায় রুকুর সমপরিমাণ সময় দাঁড়িয়ে থাকেন এবং এ সময়
لِرَبِّيَ الْحَمْدُ
“লি-রব্বিয়াল হামদ”
পাঠ করেন। অতঃপর তিনি সাজদাহয় গিয়ে তাতে কিয়ামের অনুরূপ সময় অবস্থান করেন এবং হে সময়সুবহানা রব্বিয়াল আলা পাঠ করেন। অতঃপর সাজদাহ হইতে মাথা উঠিয়ে দু সাজদাহর মাঝে সাজদাহয় অবস্থানের সমপরিমাণ সময় বসে থাকেন এবং এখানে তিনি
رَبِّ اغْفِرْ لِي رَبِّ اغْفِرْ لِي
রব্বিগফিরলী রব্বিগফিরলী, প্রভু আমাকে ক্ষমা করুন, প্রভু আমাকে ক্ষমা করুন
পাঠ করেন। এরূপে তিনি চার রাকআত নামায আদায় করেন এবং এ নামায সূরাহ আল-বাকারাহ, সূরাহ আলে-ইমরান, সূরাহ নিসা এবং সূরাহ মায়িদাহ অথবা সূরাহ আনআম তিলাওয়াত করেন।
[আবু দাউদ ৮৭৪, সহিহ হাদিস]
হুযায়ফা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি একরাতে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সঙ্গে নামাজ আদায় করেন। তিনি যখন তাকবীর বলিলেন, তখন তাঁকে বলিতে শুনলেন [আরবী]। আর তিনি রুকূতে বলিতেন
سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيمِ
আর যখন রুকূ থেকে মাথা উঠাতেন তখন বলিতেন,
لِرَبِّيَ الْحَمْدُ، لِرَبِّيَ الْحَمْدُ
আর তিনি সিজদায় গিয়ে বলিতেন,
سُبْحَانَ رَبِّيَ الْأَعْلَى
আর দু সিজদার মধ্যে বলিতেন,
رَبِّي اغْفِرْ لِي، رَبِّي اغْفِرْ لِي
আর তাহাঁর কিয়াম আর রুকূ। রুকূ থেকে যখন মাথা উঠাতেন সে সময়, আর তাহাঁর সিজদা আর দু সিজদার মধ্যবর্তী সময় প্রায় সমান সমান হতো।
[নাসাঈ ১০৬৯, সহীহ হাদিস]
পরিচ্ছেদ ৬ঃ সাজদার আয়াত তিলাওয়াতের পর সাজদায় দো‘আ
سَجَدَ وَجْهِيَ لِلَّذِي خَلَقَهُ، وَشَقَّ سَمْعَهُ وَبَصَرَهُ بِحَوْلِهِ وَقُوَّتِهِ، ﴿فَتَبارَكَ اللَّهُ أَحْسَنُ الْخَالِقِينَ
(সাজাদা ওয়াজহিয়া লিল্লাযী খালাক্বাহু, ওয়া শাক্কা সাম্‘আহু ওয়া বাসারাহু, বিহাওলিহি ওয়া কুওয়াতিহি, ফাতবারাকাল্লা-হু আহ্সানুল খা-লিক্বীন)।
৫০-(১) “আমার মুখমণ্ডল সাজদাহ করেছে সে সত্তার জন্য, যিনি একে সৃষ্টি করেছেন, আর নিজ শক্তি ও ক্ষমতাবলে এর কান ও চোখ বিদীর্ণ করেছেন। সুতরাং সর্বোত্তম স্রষ্টা আল্লাহ অত্যন্ত বরকতময়।”
তিরমিযী, ২/৪৭৪, নং ৩৪২৫; আহমাদ ৬/৩০; নং ২৪০২২; হাকিম ও সহীহ বলেছেন এবং যাহাবী সেটা সমর্থন করেছেন, ১/২২০; আর বাড়তি অংশটুকু তাঁরই। আয়াতটুকু সূরা আল-মুমিনূন এর ১৪ নং আয়াত।
পরিচ্ছেদ ৭ঃ রুকু এবং সিজদায় কুরআন পাঠ
উক্ববাহ ইবনিআমির (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন,
ফাসাব্বিহ বিসমিরব্বিকাল আযীম কুরআনের এ আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পর রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেন, তোমরা এটা রুকুতে পাঠ করিবে। অতঃপর সাব্বিহিসমা রব্বিকাল আলা এ আয়াত অবতীর্ণ হলে তিনি বলেন, তোমরা এটা সাজদাহইতে পাঠ করিবে।
[আবু দাউদ ৮৬৯, দুর্বল হাদিস]
পরিচ্ছেদ ৮ঃ দু পায়ের গোড়ালির উপর পাছা রেখে বসা
ইবনি জুরাইজ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আবু জুবাইর ত্বাউস থেকে শুনে আমাকে বলেছেন যে, আমরা ইবনি আব্বাস (রাঃআঃ) কে দু সাজদাহর মাঝে দু পায়ের গোড়ালির উপর পাছা রেখে বসা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে জবাবে তিনি বলেন, এটি সুন্নাত। ত্বাউস বলেন, আমরা বললাম, আমরা এরূপ করাকে পায়ের জন্য কষ্টকর মনে করি। জবাবে ইবনি আব্বাস (রাঃআঃ) বলিলেন, এরূপ করা তোমার নাবীর (সাঃআঃ) সুন্নাত।
[ইবনে মাজা ৮৪৫ ,সহিহ হাদিস]
Leave a Reply