মৃতের জন্য দোয়া । জানাযা, দাফন ও কবর যিয়ারতের দুয়া
এ বিষয়ে আরও পড়ুন >> মুয়াত্তা মালিক >> সহীহ বুখারী >> সহীহ মুসলিম >> আবু দাউদ >> ইবনে মাজাহ >> তিরমিজি >> নাসাঈ >> মিশকাত >> রিয়াদুস সালেহীন >> বুলুগুল মারাম হাদীস শরীফ হতে
মৃতের জন্য দোয়া
পরিচ্ছেদ ১ঃ জানাযার সালাতে তাকবীর সংখ্যা [বুখারী] [মুসলিম] [আবু দাউদ]
পরিচ্ছেদ ২ঃ জানাযার সালাতে সুরা ফাতিহা ও ক্বিরাআত পাঠ করা অথবা না করা। [বুখারী]
পরিচ্ছেদ ৩ঃ জানাযার সলাতে সানা ও দরুদ পড়া
পরিচ্ছেদ ৪ঃ জানাযার সলাতে মৃতের জন্য দুআ করা [মুসলিম] [আবু দাউদ]
পরিচ্ছেদ ৫ঃ শিশুদের জন্য জানাযার সালাতে দো‘আ
পরিচ্ছেদ ৬ঃ জানাজার নামাজে সালাম ফিরানো
পরিচ্ছেদ ৭ঃ মৃত ব্যক্তির চোখ বন্ধ করানোর দো‘আ
পরিচ্ছেদ ৮ঃ মৃত ব্যক্তির প্রতি প্রশংসা করা এবং মন্দ না বলা [ইবনে মাজাহ] [নাসাঈ]
পরিচ্ছেদ ৯ঃ মৃতকে কবরে প্রবেশ করানোর পদ্ধতি দো‘আ [বুলুগুল মারাম]
পরিচ্ছেদ ১০ঃ মৃতকে দাফন করার পর দো‘আ [বুলুগুল মারাম]
পরিচ্ছেদ ১১ঃ মুসিবতে ধৈর্যধারণ, শোকার্তদের সান্ত্বনা দেওয়া ও দুয়া [তিরমিজি] [মুয়াত্তা মালিক]
পরিচ্ছেদ ১২ কবর যিয়ারতের দো‘আ [বুলুগুল মারাম]
পরিচ্ছেদ ১৩ঃ মুনাফিকদ/মুশরিক/ আহলে কিবলার জানাজার নামাজ পড়া। [আবু দাউদ] [ইবনে মাজাহ] [নাসাঈ]
মৃত ব্যক্তির জানাযার নামাজ আদায় করার নির্দেশ ও অনুমতি [নাসাঈ]
জানাযার নামাযের বিবিধ আহকাম [বুখারী] [বুলুগুল] [মুয়াত্তা মালিক] [রিয়াদুস সালেহীন]
জানাযার নামাযের ধরণ ও মৃত ব্যক্তির জন্য সুপারিশ [তিরমিজি]
জানাযার সালাত আদায়, অংশ গ্রহন ও ফযিলত [আবু দাউদ] [নাসাঈ] [মুয়াত্তা মালিক] [ইবনে মাজাহ]
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর ছেলের জানাজা এবং তার ইনতিকালের বিবরণ [ইবনে মাজাহ]
জানাযা সলাতে ঈমাম কোথায় দাঁড়াবেন [মুসলিম] [আবু দাউদ] [ইবনে মাজাহ] [তিরমিজি]
জানাযার কাতার এবং ইমামের পিছনে এক দল/ চল্লিশ/একশ জন/দু বা তিন কাতারে দাঁড়ানো। [বুখারী] [আবু দাউদ] [নাসাঈ] [মুসলিম] [ইবনে মাজাহ] [রিয়াদুস সালেহীন] [বুলুগুল মারাম]
জানাযার নামাজ দাঁড়িয়ে আদায় করা [নাসাঈ] [বুলুগুল মারাম]
জানাযার সালাতে বয়স্কদের সঙ্গে বালকদেরও অংশগ্রহণ করা। [বুখারী]
অনুস্থিত ব্যক্তির জানাযার বিধান ও তার পদ্ধতি [বুলুগুল]
ঈদগাহ বা নির্ধারিত স্থানে এবং মসজিদে জানাযার সালাত আদায় করা। [বুখারী] [ইবনে মাজাহ] [তিরমিজি] [নাসাঈ] [বুলুগুল]
কবরের উপরে জানাজা, পাকা করা, ঘর ও মসজিদ বানানো ঘৃণিত কাজ। [বুখারী] [মুসলিম] [আবু দাউদ] [মুয়াত্তা মালিক] [বুলুগুল]
কাফন দাফনের পর কবরকে সম্মুখে রেখে (জানাযার) সালাত আদায়। হত [ বুখারী] [বুলুগুল]
জানাযার নামাজ এর ওয়াক্ত [ইবনে মাজাহ] [তিরমিজি ] [মুয়াত্তা মালিক] [নাসাঈ]
দাফনের পর জানাজার নামাজ পড়া। [ইবনে মাজাহ]
পুরুস, মহিলা ও শিশুর জানযার নামাজ একত্রিত করা [নাসাঈ] [আবু দাউদ]
শিশু/ মৃত শিশুর জানাযা পড়া [আবু দাউদ] [ইবনে মাজাহ] [তিরমিজি] [নাসাঈ]
নিফাসের অবস্থায় মারা গেলে তার জানাযার সালাত। [বুখারী]
মহিলা ও পুরুষের (জানাযার সালাতে) ইমাম কোথায় দাঁড়াবেন? [বুখারী] [বুলুগুল]
জানাযায় নারীদের অংশগ্রহণ [আবু দাউদ] [রিয়াদুস সালেহীন] [বুলুগুল]
নাজ্জাশীর জানাজার নামাজ সম্পর্কে। [ইবনে মাজাহ] [তিরমিজি ]
শহীদগণের জানাজার নামাজ এবং তাহাদের দাফন-কাফন। [তিরমিজি] [নাসাঈ]
রজমকৃত [পাথর নিক্ষেপিত] ব্যক্তিরদের উপর জানাযার নামাজ আদায় করা/না করা
ঋণগ্রস্থ, খিয়ানতকারী, অন্যায়কারীর উপর জানাযার নামাজ আদায় করা [নাসাঈ] [বুলুগুল]
মুশরিকদের দেশে মৃত মুসলিমের জানাযা [আবু দাউদ]
ঈমাম আত্মহত্যাকারীর জানাযা পড়বে না [আবু দাউদ] [নাসাঈ] [বুলুগুল]
শারঈ হদ্দ কার্যকরে নিহত অপরাধীর জানাযা পড়া সম্পর্কে [আবু দাউদ] [বুলুগুল]
জানাযায় অংশগ্রহণ ও লাশের পিছু পিছু/অনুগমনের ফযীলাত [আবু দাউদ] [তিরমিজি] [নাসাঈ]
জানাযাহ্ যেতে দেখে দাঁড়িয়ে যাওয়া [মুসলিম] [নাসাঈ]
জানাযার জন্য দাঁড়ানো থেকে অব্যাহতি [মুসলিম]
আগুন সাথে নিয়ে লাশের সাথে যাওয়া [আবু দাউদ] [ইবনে মাজাহ] [মুয়াত্তা মালিক]
লাশের জন্য [সম্মানার্থে] দাঁড়ানো [আবু দাউদ] [ইবনে মাজাহ]
বাহনে চড়ে লাশের সাথে যাওয়া [আবু দাউদ] [নাসাঈ]
উদলা শরীরে লাশের সাথে সাথে যাওয়া নিষেধ [ইবনে মাজাহ]
লাশের আগে আগে যাওয়া [আবু দাউদ] [ইবনে মাজাহ] [মুয়াত্তা মালিক]
জানাযার নামাজ এবং [ক্ববরস্থানে নেয়ার সময়] তার পিছে পিছে যাওয়ার ফযিলত [বুখারী] [মুসলিম] [বুলুগুল]
যে ব্যক্তি ইয়াহূদীর জানাযা দেখে দাঁড়ায়। [বুখারী]
পুরুষরা জানাযা বহন করিবে, স্ত্রীলোকেরা নয়।
জানাযার কাজ শীঘ্র সম্পাদন করা। [মুসলিম] [বুখারী] [আবু দাউদ] [ইবনে মাজাহ] [নাসাঈ] [বুলুগুল]
মৃত ব্যক্তির জন্য বিলাপ ও কাঁদতে নিষেধ করা [মুয়াত্তা মালিক] [বুলুগুল]
মৃত্যুর সংবাদ প্রচার নিষেধ [বুলুগুল]
মৃত ব্যক্তির হাড় ভাঙ্গা হারাম [বুলুগুল]
মৃত ব্যক্তিকে চুম্বন করা বৈধ [বুলুগুল]
মৃতের গোসল [মুয়াত্তা মালিক] [বুলুগুল]
স্বামী স্ত্রীকে গোসল করানো বৈধ [বুলুগুল]
মৃত ব্যক্তিকে গোসল দেয়ার সময় তাকে উলঙ্গ করার বিধান [বুলুগুল]
মুর্দার কাফন এর কাপড় রঙ, বারাবারি করা ও কামিস ইত্যাদি [মুয়াত্তা মালিক] [বুলুগুল]
দু’জনকে এক কাপড়ে কাফন দেয়া ও এক কবরে দাফন দেয়া বৈধ [বুলুগুল]
কাফন চুরির সাজা [মুয়াত্তা মালিক]
সূর্য উদয় ও সূর্যাস্তের সময় লাশ দাফন করা সম্পর্কে [আবু দাউদ] [বুলুগুল]
দাফন সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে এবং দাফন হয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা। [বুখারী] [ইবনে মাজাহ] [মুয়াত্তা মালিক] [বুলুগুল]
কবরের বিবরণ [বুলুগুল]
মৃত ব্যক্তিকে কবরে রাখার পূর্বে বসা [বুখারী] [তিরমিজি] [নাসাঈ]
কবরে মাটি দেয়ার বিধান [বুলুগুল]
জানাযাহ্ থেকে প্রত্যাবর্তনের সময় জানাযাহ্ গমনকারীর সাওয়াব প্রসঙ্গে [মুসলিম]
পুরুষদের জন্য কবর যিয়ারত করা মুস্তাহাব [বুলুগুল]
নারীদের জন্য [অধিক মাত্রায়] কবর যিয়ারত করা হারাম [বুলুগুল]
মৃত ব্যক্তির পরিবারের জন্য খাবার পাঠানো মুস্তাহাব [বুলুগুল]
পরিচ্ছেদ ১ঃ জানাযার সালাতে তাকবীর সংখ্যা
আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) নাজাশীর মৃত্যুর দিন তাহাঁর মৃত্যুর খবর জানালেন এবং সাহাবীবর্গকে সঙ্গে নিয়ে জানাযার সালাতের স্থানে গেলেন এবং তাদেরকে সারিবদ্ধ করে চার তাক্বীরে
الله أكبر
আল্লাহু আকবর, আল্লাহ মহান
জানাযার সালাত আদায় করিলেন।
[বুখারি ১৩৩৩], [মুসলিম ২০৯৩, ২০৯৪, ২০৯৫] [আবু দাউদ ৩২০৪] [নাসাই ১৯৮০ সহীহ] [তিরমিজি ৫১৮, সহিহ] [মুয়াত্তা ৫১৮]
জাবির রাদি. হইতে বর্ণিত [বুখারি ১৩৩৪] [মুসলিম ২০৯৬]
আশ-শাবী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীত [আবু দাউদ ৩১৯৬ সহিহ] [মুসলিম ২১০০]
উসমান বিন আফফান [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিত [ইবনে মাজাহ ১৫০২ দুর্বল]
হাসান আল-হাজারী [ইবরাহীম বিন মুসলিম] হইতে বর্ণিত[ইবনে মাজাহ ১৫০৩]
ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিত [ইবনে মাজাহ ১৫০৪ সহিহ] [মুসলিম ২১০১, ২১০২]
আবু উমামা ইবনি সাহ্ল [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত [নাসাই ১৯৮১, সহীহ] [তিরমিজি ৫১৯] [মুয়াত্তা ৫১৯]
আবদুর রহমান ইবনি লায়লা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, যায়দ [রাদি.] আমাদের জানাযাহসমূহে চারটি তাকবীর উচ্চারণ করিতেন। আর তিনি কোন জানাযায় পাঁচ তাকবীরও দিয়েছেন। আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলিলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এরূপ [পাঁচবার] তাকবীর দিতেন।
[মুসলিম ২১০৫] [ইবনে মাজাহ ১৫০৫] [আবু দাউদ ৩১৯৭ সহিহ] [নাসাই ১৯৮২ সহিহ] [মিসকাত ১৬৫৩, সহীহ] [বুলুগুল মারাম ৫৬২, সহীহ]
আমর বিন আওফ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিত [ইবনে মাজাহ ১৫০৬ সহিহ]
আলী [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
আলী [রাঃআঃ] সাহল ইবনু হুনায়ফের [জানাযার নামাজে] ছয় তাকবীর উচ্চারণ করিলেন এবং বলিলেন, তিনি [সাহল ইব্নু হুনায়ফ] ছিলেন একজন বাদ্রী সাহাবী। সা‘ঈদ বিন মানসুর এটি বর্ণনা করিয়াছেন আর এর মূল বক্তব্য বুখারীতে রয়েছে। {৬০০}
[বুলুগুল মারাম ৫৬৩, সহিহ]
বর্ণনাকারী হইতে বর্ণিতঃ
মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] ইবনি শিহাব [রাহিমাহুল্লাহ]-এর নিকট প্রশ্ন করলেন সে ব্যক্তি সম্পর্কে, যে ব্যক্তি জানাযার [নামাযের] কিছু তাকবীর পেয়েছে এবং কিছু পায়নি। তিনি বলিলেন, যা পায়নি তা পূর্ণ করিতে হইবে। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]
[মুয়াত্তা মালিক ৫২০]
পরিচ্ছেদ ২ঃ জানাযার সালাতে সুরা ফাতিহা ও ক্বিরাআত পাঠ করা অথবা না করা।
ত্বলহাহ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু আওফ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ইবনু আব্বাস (রাদি.)-এর পিছনে জানাযার সালাত আদায় করলাম। তাতে তিনি
পাঠ করিলেন [২৪] এবং (সালাত শেষে) বলিলেন, (আমি সুরা ফাতিহা পাঠ করলাম) যাতে লোকেরা জানতে পারে যে, এটা সুন্নাত।
[বুখারি ১৩৩৫], [আবু দাউদ ৩১৯৮ সহিহ] [ইবনে মাজাহ ১৪৯৫ সহিহ] [নাসাই ১৯৮৭ সহীহ , ১৯৮৮ সহীহ হাদিস] [মিসকাত ১৬৫৫, ১৬৭৩] [বুলুগুল মারাম ৫৬৫, সহীহ]
উম্মু শারীক আল-আনসারিয়্যাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিত [ইবনে মাজাহ ১৪৯৬ দুর্বল সহিহ]
আবু উমামা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত [নাসাই সহীহ ১৯৮৯]
কুতায়বা [রহঃ] হইতে বর্ণীত [নাসাই ১৯৯০]
জাবির [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদের জানাজা চার তকবীর বলিতেন এবং প্রথম তাকবীরের [পর] ফাতিহাতিল কিতাব [সূরা ফাতিহা] পাঠ করিতেন। শাফি‘ঈ দুর্বল সানাদে এটি বর্ণনা করিয়াছেন।
[বুলুগুল মারাম ৫৬৪, জাল হাদিস]
নাফি [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ্ ইবনি উমার [রাদি.] জানাযার সালাতে কোন কিরাআত পড়তেন না। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]
[মুয়াত্তা মালিক ৫২৩]
পরিচ্ছেদ ৩ঃ জানাযার সলাতে সানা ও দরুদ পড়া
আবু সাঈদ মাকবুরী [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ
আবু সাঈদ মাকবুরী [রাহিমাহুল্লাহ] তাঁর পিতা হইতে বর্ণনা করেন যে, তাঁর পিতা জানাযার নামাজ কিভাবে আদায় করিবেন তা আবু হুরায়রা [রাদি.]-এর নিকট প্রশ্ন করলেন। আবু হুরায়রা [রাদি.] বলেছেন, আল্লাহর স্থায়িত্বের কসম, আমি তোমাকে [এটার নিয়ম] শিখিয়ে দেব। আমি মৃত ব্যক্তির পরিবার-পরিজন হইতে জানাযার সাথে চলি। জানাযা যখন রাখা হয়, আমি তখন তাকবীর বলি এবং আল্লাহর হামদ ও তাঁর নবীর উপর দরূদ পাঠ করি। তারপর বলিঃ
اَللّٰهُمَّ إِنَّهُ عَبْدُكَ وَابْنُ عَبْدِكَ وَابْنُ أَمَتِكَ كَانَ يَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُكَ وَرَسُولُكَ وَأَنْتَ أَعْلَمُ بِهِ اللهُمَّ إِنْ كَانَ مُحْسِنًا فَزِدْ فِي إِحْسَانِهِ وَإِنْ كَانَ مُسِيئًا فَتَجَاوَزْ عَنْ سَيِّئَاتِهِ اللهُمَّ لَا تَحْرِمْنَا أَجْرَهُ وَلَا تَفْتِنَّا بَعْدَهُ.
Uccharon: আল্লাহুম্মা ইন্নাহু আবদুকা ওয়া ইবনু আবদিকা ওয়া ইবনু আমাতিকা কানা ইয়াসহাদু আন লা ইলাহা ইল্লা আন্তা ওয়া আন্না মুহাম্মাদান আবদুকা ওয়া রাসুলুকা ওয়া আন্তা আ,লামু বিহি আল্লাহুম্মা ইন কানা মুহসিনান ফাজারফিহি ইহসানিহি ঈয়া ইন কানা মুসাইয়ান ফাতাজা ওয়াজ আন সায়্যিয়াতিহি আল্লাহুম্মা লা তাহরিমনা আজরাহু ওয়া তাফতিন্না বা,দাহু, হে আল্লাহ! এ ব্যক্তি আপনার বান্দা এবং আপনার বান্দা ও বান্দীর পুত্র, সে সাক্ষ্য দিত যে, আপনি ব্যতীত অন্য কোন মাবুদ নেই এবং মুহাম্মদ [সা] আপনার বান্দা ও আপনার রসূল, আপনি এই বান্দা সম্পর্কে অধিক জ্ঞাত। হে আল্লাহ! এই ব্যক্তি যদি প্রকৃত নেক বান্দা হন তবে তাঁর নেকী বৃদ্ধি করুন। আর যদি সে মন্দ লোক হয় তবে তাকে ক্ষমা করে দেন। হে আল্লাহ্! এর পুণ্যের সওয়াব হইতে আমাদেরকে বঞ্চিত করিবেন না এবং তার পর আমাদেরকে ফিতনায় লিপ্ত করিবেন না।
[মুয়াত্তা মালিক ৫২১]
পরিচ্ছেদ ৪ঃ জানাযার সলাতে মৃতের জন্য দুআ করা
আবু হুরায়রা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] জানাজার সালাতে বলিতেনঃ
اللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِحَيِّنَا وَمَيِّتِنَا وَشَاهِدِنَا وَغَائِبِنَا وَصَغِيرِنَا وَكَبِيرِنَا وَذَكَرِنَا وَأُنْثَانَا اللّٰهُمَّ مَنْ أَحْيَيْتَهُ مِنَّا فَأَحْيِهِ عَلَى الْإِسْلَامِ وَمَنْ تَوَفَّيْتَهُ مِنَّا فَتَوَفَّهُ عَلَى الْإِيمَانِ اللّٰهُمَّ لَا تَحْرِمْنَا أَجْرَهُ وَلَا تُضِلَّنَا بَعْدَهُ
আল্লা-হুম্মাগফিরলি হায়্যিনা ওয়া মায়্যিতিনা ওয়া শাহিদিনা ওয়া গায়িবিনা ওয়া সগীরিনা ওয়া কাবীরিনা ওয়া যাকারিনা ওয়া উনসা-না। আল্লাহুম্মা মান আহ্ইয়াইতাহু মিন্না ফা’আহয়িহি ‘আলাল-ইসলাম। ওয়ামান তাওয়াফ্ফাইতাহু মিন্না ফাতাওয়াফফাহু ‘আলাল ঈমান। আল্লা-হুম্মা লা তাহরিমনা আজরাহু ওয়ালা তুদ্বিল্লান্না বা‘দাহু, হে আল্লাহ! আমাদের জীবিত-মৃত, উপস্থিত, অনুপস্থিত, ছোট-বড়, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলকে ক্ষমা কর। হে আল্লাহ! তুমি আমাদের মধ্যে যাকে জীবিত রাখ তাকে ইসলামের উপর জীবিত রাখো এবং আমাদের মধ্যে যাকে মৃত্যু দান করো, তাকে ঈমানের সাথে মৃত্যুদান করো। হে আল্লাহ! আমাদেরকে এর প্রতিদান থেকে বঞ্ছিত করো না এবং এর পরে আমাদের পথভ্রষ্ট করো না”। {১৪৯৭}
[আবু দাউদ ৩২০১ সহিহ] [ইবনে মাজাহ সহিহ ১৪৯৮ সহিহ হাদিস] [মিশকাত ১৬৭৫] [রিয়াদুস সালিহিন ৯৪২, সহীহ] [বুলুগুল মারাম ৫৬৭, সহীহ পড়ুন]
আবু ইবরাহীম আল-আশহালী [রঃ] হইতে তার পিতা হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] জানাযার নামাজ পড়তেন তখন এই দুআ পাঠ করিতেনঃ
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِحَيِّنَا وَمَيِّتِنَا وَشَاهِدِنَا وَغَائِبِنَا وَصَغِيرِنَا وَكَبِيرِنَا وَذَكَرِنَا وَأُنْثَانَا
আল্লা-হুম্মাগফির লিহায়্যিনা ওয়া মায়্যিতিনা ওয়া শা-হিদিনা ওয়া গা-য়িবিনা ওয়া সগীরিনা ওয়া কাবীরিনা ওয়া যাকারিনা ওয়া উনসা-না। “হে আল্লাহ! আপনি আমাদের মধ্যকার জীবিত, মৃত, উপস্থিত, অনুপস্থিত, ছোট, বড় এবং পুরুষ ও মহিলা সবাইকেই মাফ করুন”। ইয়াহইয়া বলেন, আবু হুরাইরা [রাদি.]-এর সূত্রে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] হইতে আমাকে আবু সালামা ইবনি আবদুর রাহমান একই রকম হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। তবে এই বর্ণনাতে আরো আছেঃ
اللَّهُمَّ مَنْ أَحْيَيْتَهُ مِنَّا فَأَحْيِهِ عَلَى الإِسْلاَمِ وَمَنْ تَوَفَّيْتَهُ مِنَّا فَتَوَفَّهُ عَلَى الإِيمَانِ
আল্লা-হুম্মা মান আহ্ইয়াইতাহু মিন্না ফা’আহয়িহি ‘আলাল-ইসলাম। ওয়ামান তাওয়াফ্ফাইতাহু মিন্না ফাতাওয়াফফাহু ‘আলাল ঈমান। “হে আল্লাহ! আমাদের মাঝে যে ব্যক্তিকে আপনি বাঁচিয়ে রাখেন তাকে ইসলামের উপর বাঁচিয়ে রাখুন এবং যে ব্যক্তিকে মৃত্যু দেন তাকে ঈমানের সহিত মৃত্যু দান করুন”।
[তিরমিজি ১০২৪ সহীহ]
আবু ইবরাহীম আনসারী [রাঃআঃ]-এর পিতা হইতে বর্ণীত
নাবী [সাঃআঃ]-কে মৃতের জানাযায় বলিতে শুনেছেনঃ
اللَّهُمَّ اغفِر لِحَيِّناَ ومَيِّتِنَا وَشاَ هِدِناَ وَغَآ إِبِناَ وَذَ كَرِ ناَ وَاُنثاَناَ وَصَغِيرِناَ وَكَبِيِرِناَ
আল্লা-হুম্মাগফির লিহায়্যিনা ওয়া মায়্যিতিনা ওয়া শা-হিদিনা ওয়া গা-য়িবিনা ওয়া যাকারিনা ওয়া উনসা-না ওয়া সাগিরিনা ওয়া কাবীরিনা
[নাসাই ১৯৮৬ সহীহ হাদিস] [রিয়াদুস সালেহিন ৯৪১, ৯৪৩ সহীহ, একটু ভিন্ন শব্দে পড়ুন]
জুবায়র ইবনি নুফায়র [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
[তিনি বলেন] আমি আওফ ইবনি মালিক [রাদি.]-কে বলিতে শুনেছি : রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এক জানাযায় যে দুআ পড়লেন, আমি তাহাঁর সে দুআ মনে রেখেছি। দুআয় তিনি এ কথাগুলো বলেছিলেন,
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ وَارْحَمْهُ وَعَافِهِ وَاعْفُ عَنْهُ وَأَكْرِمْ نُزُلَهُ وَوَسِّعْ مُدْخَلَهُ وَاغْسِلْهُ بِالْمَاءِ وَالثَّلْجِ وَالْبَرَدِ وَنَقِّهِ مِنَ الْخَطَايَا كَمَا نَقَّيْتَ الثَّوْبَ الأَبْيَضَ مِنَ الدَّنَسِ وَأَبْدِلْهُ دَارًا خَيْرًا مِنْ دَارِهِ وَأَهْلاً خَيْرًا مِنْ أَهْلِهِ وَزَوْجًا خَيْرًا مِنْ زَوْجِهِ وَأَدْخِلْهُ الْجَنَّةَ وَأَعِذْهُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ أَوْ مِنْ عَذَابِ النَّارِ
“আল্ল-হুম্মাগ্ফির্ লাহূ ওয়ার্হাম্হু ওয়া আ-ফিহী ওয়াফু আন্হু ওয়া আক্রিম নুযুলাহূ ওয়া ওয়াস্সি মুদ্খালাহূ ওয়াগ্সিল্হু বিলমা-য়ি ওয়াস্সাল্জি ওয়াল বারাদি ওয়ানাক্কিহী মিনাল খ্বাতা-ইয়া- কামা- নাক্কায়সাস্ সাওবাল আব্ইয়াযা মিনাদ্দানাসি ওয়া আব্দিল্হু দা-রান্ খায়রাম্ মিন দা-রিহী ওয়া আহলান্ খায়রাম্ মিন আহ্লিহী ওয়া য়াওজান্ খায়রাম্ মিন যাওজিহী ওয়া আদখিল্হুল জান্নাতা ওয়া আইয্হু মিন আযা-বিল ক্বব্রি আও মিন আযা-বিন্না-র-[অর্থাৎ- হে আল্লাহ! তাকে ক্ষমা করে দাও ও তার প্রতি দয়া কর। তাকে নিরাপদে রাখ ও তার ত্রুটি মার্জনা কর। তাকে উত্তম সামগ্রী দান কর ও তার প্রবেশ পথকে প্রশস্ত করে দাও। তাকে পানি, বরফ ও বৃষ্টি দ্বারা মুছে দাও এবং পাপ থেকে এরূপভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে দাও যেরূপ সাদা কাপড় ময়লা থেকে পরিষ্কার হয়ে যায়। তাকে তার ঘরকে উত্তম ঘরে পরিণত কর, তার পরিবার থেকে উত্তম পরিবার দান কর, তার স্ত্রীর তুলনায় উত্তম স্ত্রী দান কর। তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাও এবং ক্ববরের আযাব ও জাহান্নামের আযাব থেকে বাঁচাও।]।
বর্ণনাকারী আওফ ইবনি মালিক বলেন, তাহাঁর মূল্যবান দুআ শুনে আমার মনে আকাঙ্ক্ষা জাগল, আমি যদি সে মৃত ব্যক্তি হতাম।
[সহীহ মুসলিম ২০২২] ২১২৩ [মিসকাত ১৬৫৫ পড়ুন] [রিয়াদুস সালিহিন ৯৪০, সহীহ পড়ুন]
আওফ ইবনি মালিক আল আশজাঈ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী [সাঃআঃ]-কে জানাযার সলাতে এভাবে দুআ করিতে শুনেছি :
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ وَارْحَمْهُ وَاعْفُ عَنْهُ وَعَافِهِ وَأَكْرِمْ نُزُلَهُ وَوَسِّعْ مُدْخَلَهُ وَاغْسِلْهُ بِمَاءٍ وَثَلْجٍ وَبَرَدٍ وَنَقِّهِ مِنَ الْخَطَايَا كَمَا يُنَقَّى الثَّوْبُ الأَبْيَضُ مِنَ الدَّنَسِ وَأَبْدِلْهُ دَارًا خَيْرًا مِنْ دَارِهِ وَأَهْلاً خَيْرًا مِنْ أَهْلِهِ وَزَوْجًا خَيْرًا مِنْ زَوْجِهِ وَقِهِ فِتْنَةَ الْقَبْرِ وَعَذَابَ النَّارِ
“আল্ল-হুম্মাগ্ফির্লাহূ ওয়ার্হাম্হু ওয়াফু আন্হু ওয়াআ-ফিহী ওয়া আক্রিম নুযুলাহূ ওয়াস্সি মুদ্খালাহূ ওয়াগ্সিল্হু বিমা-য়িন্ ওয়াসালজিন্ ওয়াবারাদিন্ ওয়ানাক্কিহী মিনাল খ্বাতা-ইয়া- কামা- ইউনাক্কাস্ সাওবুল আব্ইয়াযু মিনাদ্দানাসি ওয়া আব্দিল্হু দা-রান্ খায়রাম্ মিন দা-রিহী ওয়া আহ্লান্ খায়রাম্ মিন্ আহ্লিহী ওয়া যাওজান্ খায়রাম্ মিন যাওজিহী ওয়াক্বিহী ফিত্নাতিল ক্বব্রি ওয়াআযা-বিন্ না-র”– [অর্থাৎ- “হে আল্লাহ! তাকে ক্ষমা করে দাও ও তার প্রতি দয়া কর। তার ত্রুটি মার্জনা কর ও তাকে বিপদ মুক্ত কর। তার উত্তম আপ্যায়নের ব্যবস্থা কর ও তার আশ্রয়স্থলকে প্রশস্ত করে দাও। তাকে পানি, বরফ ও বৃষ্টি দিয়ে ধুয়ে মুছে দাও। তাকে পাপরাশি থেকে এভাবে পরিষ্কার করে দাও যেভাবে সাদা কাপড়কে ময়লা থেকে পরিষ্কার করা হয়। তাকে তার বর্তমান ঘরের পরিবর্তে আরও উত্তম ঘর দান কর, তার পরিবার থেকে উত্তম পরিবার দান কর, বর্তমান স্ত্রী অপেক্ষা উত্তম স্ত্রী দান কর এবং তাকে ক্ববর আযাব ও জাহান্নামের আযাব থেকে বাঁচাও।]।
আওফ ইবনি মালিক [রাদি.] বলেন, ঐ মৃত ব্যক্তির প্রতি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর এরূপ দুআ দেখে মনে আকাঙ্ক্ষা জাগল যে, আমি যদি এ মৃত ব্যক্তি হতাম।
[সহীহ মুসলিম ২০২৪] [বুলুগুল মারাম ৫৬৬, সহীহ পড়ুন]
[ইবনে মাজাহ ১৫০০, বর্ণিত নিম্নের দোয়া اللّٰهُمَّ صَلِّ عَلَيْهِ وَاغْفِرْ لَهُ وَارْحَمْهُ وَعَافِهِ وَاعْفُ عَنْهُ وَاغْسِلْهُ بِمَاءٍ وَثَلْجٍ وَبَرَدٍ وَنَقِّهِ مِنْ الذُّنُوبِ وَالْخَطَايَا كَمَا يُنَقَّى الثَّوْبُ الْأَبْيَضُ مِنْ الدَّنَسِ وَأَبْدِلْهُ بِدَارِهِ دَارًا خَيْرًا مِنْ دَارِهِ وَأَهْلًا خَيْرًا مِنْ أَهْلِهِ وَقِهِ فِتْنَةَ الْقَبْرِ وَعَذَابَ النَّارِ ]
[নাসাই ১৯৮৩ সহীহ বর্ণীত নিম্নের দোয়া اَلَّهُمَّ ا غفِرلَهُ وَارحَمهُ وَاعفُ عَنهُ وَعَافِهِ وَاَكرِم نُزُ لَهُ وَوَسِّعَ مُدخَلَهُ وَاغسِلهُ بِمآَ ءِ وتَّلجٍ وَّبَرَ دٍ وَّ نَقِّهِ مِنَ ا لخَطاَ ياَ كَمَآ يُنّقِّي التَّو بُ ا لاَبيَضُ مِنَ الدَّنَسِ واَبدِلهُ دَا راً خَيراً مِّنّ اهَلِهِ و زَو جاً خَيراً مِّنّ زَوجِهِ و قِهِ عَذَا بَ القَبرِ و عَذابَ النَّاار]
নাসাই ১৯৮৪ বর্ণীত, اللَّهُمَّ ا غفِرلَهُ وَارحَمهُ وَاعفُ عَنهُ وَعَافِهِ وَاَكرِم نُزُ لَهُ وَوَسِّعَ مُدخَلَهُ وَاغسِلهُ بِمآَ ءِ وتَّلجٍ وَّبَرَ دٍ وَّ نَقِّهِ مِنَ ا لخَطاَ ياَ كَمَآ يُنّقِّي التَّو بُ ا لاَبيَضُ مِنَ الدَّنَسِ واَبدِلهُ دَا راً خَيراً مِّنّ اهَلِهِ و زَو جاً خَيراً مِّنّ زَوجِهِ و قِهِ عَذَا بَ القَبرِ و عَذابَ النَّاار রাবী বলেন, অথবা তিনি বলেছিলেন اَعِذهُ مِن ا عَذَ ا ب القَبرِ
আলী ইবনি শাম্মাখ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, একদা আমি মারওয়ানের নিকট উপস্থিত ছিলাম। তখন তিনি আবু হুরায়রা [রাদি.]-কে জিজ্ঞেস করিলেন, মৃতের জানাযায় আপনি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে কোন দুআ পড়তে শুনেছেন? তিনি বলিলেন, আপনি কি এ কথাই আমাকে জিজ্ঞেস করছেন? মারওয়ান বলিলেন, হাঁ। ইবনি শাম্মাখ বলেন, ইতিপূর্বে তাহাদের উভয়ের মধ্যে এ বিষয়ে কথোপকথন হয়। আবু হুরায়রা বলিলেন, তিনি এ দুআ পাঠ করিতেন ঃ
اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبُّهَا وَأَنْتَ خَلَقْتَهَا وَأَنْتَ هَدَيْتَهَا لِلإِسْلاَمِ وَأَنْتَ قَبَضْتَ رُوحَهَا وَأَنْتَ أَعْلَمُ بِسِرِّهَا وَعَلاَنِيَتِهَا جِئْنَاكَ شُفَعَاءَ فَاغْفِرْ لَهُ
আল্লাহুম্মা আন্তা রব্বুহা ওয়া আন্তা খলাকতাহা ওয়া আন্তা হাদাইতাহা লি ইসলামি ওয়া আংতা কবাদতা রুওহাহা ওয়া আন্তা আ,লামু বি সাররিহা ওয়া আলা নিয়াতাহা জি,নাকা সুফাআআ ফাগফেরলি। “হে আল্লাহ! তুমিই তার প্রভু, তুমি তাহাকে সৃষ্টি করেছ, তুমি তাহাকে ইসলামের পথে হিদায়াত দিয়েছ, তুমি তার রূহ ক্ববয করেছ, তুমি তার গোপন-প্রকাশ্য সবকিছুই অবহিত। আমরা তোমার কাছে তার সুপারিশকারী হিসেবে এসেছি, তুমি তাহাকে ক্ষমা করে দাও।”
[আবু দাউদ ৩২০০ দুর্বল], [মিশকাত ১৬৮৮] [রিয়াদুস সালিহিন ৯৪৫, দুর্বল]
ওয়াসিলাহ ইবনিল আসকা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদেরকে সাথে নিয়ে মুসলিমদের এক লোকের জানাযার সালাত আদায় করিলেন। তখন আমি তাঁকে এ দুআ করিতে শুনিয়াছিঃ
اللَّهُمَّ إِنَّ فُلاَنَ بْنَ فُلاَنٍ فِي ذِمَّتِكَ فَقِهِ فِتْنَةَ الْقَبْرِ
আল্লা-হুম্মা ইন্না ফুলানাবনা ফুলা-নিন ফী যিম্মাতিকা, ফাকিহি মিন ফিতনাতিল ক্বাবরি , “ হে আল্লাহ! অমুকের পুত্র অমুক আপনার দায়িত্বে থাকলো, আপনি তাহাকে কবর এর ফিতনাহ ও রক্ষা করুন।”
আবদুর রহমানের বর্ণনায় রয়েছেঃ “এ ব্যক্তি আপনার যিম্মায় ও প্রতিবেশি থাকলো। সুতরাং আপনি তাহাকে কবর এর বিপদ ও দোযখের আযাব থেকে রক্ষা করুন। আপনি তো প্রতিশ্রুতি রক্ষাকারী ও সত্যের অধিকারী। হে আল্লাহ! আপনি তাহাকে ক্ষমা করে দিন এবং তার প্রতি অনুগ্রহ করুন। কেননা আপনিই একমাত্র ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু। ”
[আবু দাউদ ৩২০২ সহিহ]
ওয়াসিলাহ ইবনিল আসকা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিত নিম্নের দোয়া اللّٰهُمَّ إِنَّ فُلَانَ بْنَ فُلَانٍ فِي ذِمَّتِكَ وَحَبْلِ جِوَارِكَ فَقِهِ مِنْ فِتْنَةِ الْقَبْرِ وَعَذَابِ النَّارِ وَأَنْتَ أَهْلُ الْوَفَاءِ وَالْحَقِّ فَاغْفِرْ لَهُ وَارْحَمْهُ إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ আল্লা-হুম্মা ইন্না ফুলানাবনা ফুলা-নিন ফী যিম্মাতিকা, ওয়া হাবলি জিওয়ারিকা, ফাক্বিহি মিন ফিতনাতিল ক্বাবরি ওয়া আযা-বিন না-রি, ওয়া আনতা আহলুল ওয়াফাই ওয়াল হাক্ক, ফাগফির লাহু ওয়ারহামহু, ইন্নাকা আনতাল গাফুরুর রাহীম] [ইবনে মাজাহ, সহিহ ১৪৯৯] [মিসকাত ১৬৭৭ পড়ুন] [রিয়াদুস সালিহিন ৬৪৬, সহীহ]
উবায়দ ইবনি খালিদ সুলামী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] দুই ব্যক্তির মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন স্থাপন করে দিয়েছিলেন। তাহাদের একজন নিহত হল। অন্যজন পরে স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করলে আমরা তার জানাযার নামাজ আদায় করলাম। নাবী [সাঃআঃ] বলিলেন, তোমরা কি পড়েছিলে? সাহাবীগণ বলিলেন, আমরা তার জন্য দোয়া করেছিলাম
اللَّهُمَّ اغفِر لَهُ اللَّهُمَّ ا رحَمهُ اللَّهُمَّ اَلحِقهُ بِصَا حِبِهِ
আল্লাহুম্মাগ ফির লাহু আল্লাহুম্মার হামহু আল্লাহুম্মা আহিকহু বিসা হিবিহি, তখন নাবী [সাঃআঃ] বলিলেন, নিহত ব্যক্তির নামাজের উপর মৃত ব্যক্তির মর্যাদা কোথায়? এবং নিহত ব্যক্তির কৃতকর্মের উপর মৃত ব্যক্তির কৃতকর্মের মর্যাদা কোথায়? এতদুভয়ের ব্যবধান তো আসমান এবং যমীনের মধ্যকার ব্যবধানের ন্যায়।
[নাসাই ১৯৮৫ সহিহ]
পরিচ্ছেদ ৫ঃ শিশুদের জন্য জানাযার সালাতে দো‘আ
ইমাম বুখারী ২৩/৬৫. অধ্যায় এ উল্লেখ করেন, হাসান (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেছেন, শিশুর জানাযার সালাতে সুরা ফাতিহা তিলাওয়াত করিবে এবং দুআ পড়বে
اَللهُمَّ الجْعَلْهُ لَنَا فَرَطًا وَسَلَفًا وَأَجْرًا
আল্লাহুম্মাজ আলহু লানা ফারাতান ওয়া সালাকান ওয়া আজরান, “হে আল্লাহ! তাকে আমাদের জন্য অগ্রে প্রেরিত, অগ্রগামী এবং আমাদের পুরস্কার স্বরূপ গ্রহন কর।”
ইয়াহ্ইয়া ইবনি সাঈদ [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ
আমি সাঈদ ইবনি মুসায়্যাব [রাহিমাহুল্লাহ]-কে বলিতে শুনিয়াছি, আমি আবু হুরায়রা [রাদি.]-এর পেছনে এমন একটি শিশুর জানাযা আদায় করেছি, যে শিশু কখনও কোন পাপ করেনি। আমি তাহাকে বলিতে শুনিয়াছি,
اَللّٰهُمَّ أَعِذْهُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ
আল্লাহুম্মা আয়িজহু মিন আজাবিল কবর, “হে আল্লাহ্! একে কবর আযাব হইতে বাঁচান”।
[মুয়াত্তা মালিক ৫২২] [মিসকাত ১৬৮৯, সহীহ]
পরিচ্ছেদ ৬ঃ জানাজার নামাজে সালাম ফিরানো
নাফি [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ্ ইবনি উমার [রাদি.] যখন জানাযার নামাজ আদায় করিতেন, তখন [নামাযান্তে] পার্শ্ববর্তী লোকে শুনে এভাবে উচ্চৈঃস্বরে
সালাম
ফিরাতেন। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]
[মুয়াত্তা মালিক ৫২৯]
পরিচ্ছেদ ৭ঃ মৃত ব্যক্তির চোখ বন্ধ করানোর দো‘আ
উম্মু সালামাহ [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আবূ সালামাহর নিকটে এসে দেখলেন যে, তাহাঁর [মৃত্যুর পর] চক্ষুদ্বয় উন্মুক্ত রয়েছে, তিনি তা বন্ধ করে দিলেন। তারপর বলিলেন-যখন রূহ`কবয’ করে নেয়া হয় তখন চোখ রূহ এর অনুগামী হয়। তার পরিবারের কতক লোক তখন চীৎকার করে কেঁদে উঠল; নাবী [সাঃআঃ] বলিলেন, তোমরা নিজের জন্য যা কল্যাণকর, শুধু সেটাই চাও। কেননা তোমরা যা বল তার জন্য ফেরেশতাকুল [এ সময়] আমীন আমীন বলিতে থাকেন। তারপর নাবী [সাঃআঃ] এই দু‘আ করিলেন-
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِأَبِي سَلَمَةَ، وَارْفَعْ دَرَجَتَهُ فِي الْمَهْدِيِّينَ، وَافْسَحْ لَهُ فِي قَبْرِهِ، وَنَوِّرْ لَهُ فِيهِ، وَاخْلُفْهُ فِي عَقِبِهِ
আল্লা-হুম্মাগফির লি আবী সালামাহ অরফা’ দারাজাতাহু ফিল মাহদিইয়্যীন, ওয়াফসাহ লাহু ফী ক্বাবরিহী অ নাউওয়িরলাহু ফীহ ওয়াখলুফহু ফী আক্বিবিহী, হে আল্লাহ্! আবূ সালামাকে ক্ষমা কর, হিদায়াত প্রাপ্তদের মধ্যে তাহাঁর মর্যাদা বাড়িয়ে দাও, তাহাঁর কবরকে সম্প্রসারিত কর, তাহাঁর কবরকে আলোকোজ্জ্বল কর এবং তার পরবর্তীতে তুমি তার পরিবারে দায়িত্বশীল দান কর। {৫৭৬}
[বুলুগুল মারাম ৫৩৯, সহিহ ] মুসলিম ৯২০, আবূ দাউদ ২১১৮, ইবনু মাজাহ ১৪৫৪, আহমাদ ২৬০০৩
পরিচ্ছেদ ৮ঃ যে শান্তি লাভ করে এবং যার প্রস্থানে শান্তি লাভ করা হয়।
আবু ক্বাতাদাহ্ ইবনি রিব্ঈ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
একবার রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর কাছ দিয়ে একটা জানাযাহ বয়ে নিয়ে যাওয়া হলে তিনি বলেন,
مُسْتَرِيحٌ وَمُسْتَرَاحٌ مِنْهُ
“মুস্তারীহুন” ও “ওয়া মুসতারাহুন মিনহু” [অর্থাৎ- সে শান্তিলাভকারী এবং তার প্রস্থানে শান্তি লাভ হয়]।
সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করিলেন, হে আল্লাহর রসূল! “মুসতারীহুন” ও “ওয়া মুস্তারাহুন মিনহু”- এর মানে কি? রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]বলিলেন, ঈমানদার বান্দা হয়ে এ ব্যক্তি দুনিয়ার কষ্ট মুসীবাত থেকে নিষ্কৃতি লাভ করিবে। আর পাপীষ্ট বান্দা হলে এ ব্যক্তি থেকে আল্লাহর বান্দারা, অত্র অঞ্চল, বৃক্ষরাজি ও পশু-পাখি সবাই পরিত্রাণ লাভ করিবে।
[সহীহ মুসলিম ২০৯১] [মুয়াত্তা মালিক ৫৮৮]
পরিচ্ছেদ ৯ঃ মৃতকে কবরে প্রবেশ করানোর পদ্ধতি দো‘আ
ইবনু`উমার [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি নাবী [সাঃআঃ] হতে বর্ণনা করিয়াছেন। নাবী [সাঃআঃ] বলেছেন, তোমাদের মুর্দাকে যখন তোমরা কবরে রাখবে তখন বলবে-
بِسْمِ اللَّهِ، وَعَلَى مِلَّةِ رَسُولِ اللَّهِ
`বিস্মিল্লাহি অ-‘আলা মিল্লাতে রাসূলিল্লাহি।’ অর্থ ঃ আল্লাহ্ তা‘আলার নামে ও মুহাম্মাদ [সাঃআঃ]-এর বিধান অনুযায়ী [দাফন করা হলো]
[বুলুগুল মারাম, ৫৭৫ সহিহ হাদিস]
পরিচ্ছেদ ১০ঃ মৃতকে দাফন করার পর দো‘আ
যম্রাহ বিন হাবীব থেকে বর্ণিতঃ
যিনি ছিলেন তাবি‘ঈদের একজন, তিনি বলেন, মৃতের কবর ঠিকঠাক হবার পর যখন লোকজন অবসর পায় তখন কবরের নিকট এরুপ বলাকে লোক পছন্দ মনে করতো ঃ হে অমুক, তুমি বল ঃ
لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُثَلَاثَ مَرَّاتٍ
লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ [আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন ইলাহ নেই] তিনবার।
رَبِّيَ اللَّهُ
রাব্বিইয়াল্লাহ্, [আল্লাহ্ আমার প্রতিপালক]।
دِينِيَ الْإِسْلَامُ
দীনিইয়াল্ ইসলাম, [ইসলাম আমার দ্বীন]।
নাবীয়্যি মুহাম্মাদ [মুহাম্মাদ [সাঃআঃ] আমার নবী]। সা‘ঈদ বিন মনসুর মাওকুফভাবে বর্ণনা করিয়াছেন। {৬২০}
[বুলুগুল মারাম, ৫৮৩, ৫৮৪ দুর্বল]
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ، اللَّهُمَّ ثَبِّتْهُ
(আল্লা-হুম্মাগফির লাহু, আল্লা-হুম্মা সাববিতহু)। “হে আল্লাহ! আপনি তাকে ক্ষমা করুন, হে আল্লাহ আপনি তাকে (প্রশ্নোত্তরের সময়) স্থির রাখুন।”
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মৃত ব্যক্তিকে দাফন করার পর কবরের পাশে দাঁড়াতেন এবং বলতেন, ‘তোমাদের ভাইয়ের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর, আর তার জন্য দৃঢ়তা চাও। কেননা এখনই তাকে জিজ্ঞাসা করা হবে’। আবু্দাউদ ৩/৩১৫, নং ৩২২৩; হাকেম এবং তিনি একে সহীহ বলেছেন, আর যাহাবী সমর্থন করেছেন, ১/৩৭০।
পরিচ্ছেদ ১১ঃ মুসিবতে ধৈর্যধারণ, শোকার্তদের সান্ত্বনা ও দুয়া
নাবী সাঃআঃ-এর পত্নী উম্মে সালমা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেন, যার [উপর] কোন মুসিবত পৌঁছে, অতঃপর আল্লাহ্ তাকে যেরূপ নির্দেশ দিয়েছেন সেরূপ বলে
ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাযিউন
اللهُمَّ أْجُرْنِي فِي مُصِيبَتِي وَأَعْقِبْنِي خَيْرًا مِنْهَا
আল্লা-হুম্মা আজুরনী ফী মুসীবাতী ওয়া কিবনি খাইরাম মিনহা, হে আল্লাহ্! আমার মুসিবতে [উহার বিনিময়ে] আমাকে সওয়াব দান করুন এবং উহার পশ্চাতে আমাকে উহা অপেক্ষা উত্তম বস্তু দান করুন।
তবে আল্লাহ্ তার সাথে সেরূপ করিবেন। উম্মে সালমা [রাদি.] বলেন, আবু সালমা [রাদি.]-এর ওফাতের পর আমি উক্ত দুআ পাঠ করলাম, আর বললাম, আবু সালমা [রাদি.] হইতে ভাল কে হইবেন? ফলে তার পরিবর্তে আল্লাহ্ আমাকে তাঁর রসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম]-কে প্রদান করলেন, অতঃপর তিনি আমাকে বিবাহ করেন।
[মুয়াত্তা মালিক ৫৪৬], [সহীহ, মুসলিম ৯১৮] এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
আবু সিনান [রঃ] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমার ছেলে সিনানকে আমি দাফন করলাম। কবরের কিনারায় আবু তালহা আল-খাওলানী [রঃ] বসা অবস্থায় ছিলেন। কবর হইতে আমি যখন উঠে আসতে চাইলাম তখন আমার হাত ধরে তিনি বলিলেন, হে আবু সিনান! তোমাকে কি আমি সুসংবাদ দিব না? আমি বললাম, অবশ্যই দিন। তিনি বলিলেন, আবু মূসা আল-আশআরী [রাদি.] হইতে যাহ্হাক ইবনি আবদুর রাহমান ইবনি আর্যাব [রঃ] আমাকে বর্ণনা করিয়াছেন যে, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ কোন বান্দার কোন সন্তান মারা গেলে তখন আল্লাহ্ তাআলা তাহাঁর ফেরেশতাহাদের প্রশ্ন করেন, তোমরা আমার বান্দার সন্তানকে কি ছিনিয়ে আনলে? তারা বলে, হ্যাঁ। পুনরায় আল্লাহ তাআলা প্রশ্ন করেন, তোমরা তার হৃদয়ের টুকরাকে ছিনিয়ে আনলে? তারা বলে, হ্যাঁ। পুনরায় তিনি প্রশ্ন করেন, তখন আমার বান্দা কি বলেছে? তারা বলে, সে আপনার প্রতি প্রশংসা করেছে এবং
إِنَّا ِلِلَّٰهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ
ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন, আমরা তো আল্লাহরই এবং আর নিশ্চয়ই আমরা তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তনকারী
পাঠ করেছে। আল্লাহ্ তাআলা বলেন, জান্নাতের মধ্যে আমার এই বান্দার জন্য একটি ঘর তৈরী কর এবং তার নাম রাখ “বাইতুল হাম্দ” বা প্রশংসালয়।
[আবু দাউদ ১০২১ হাসান]
إِنَّ للَّهِ مَا أَخَذَ، وَلَهُ مَا أَعْطَى، وَكُلُّ شَيْءٍ عِنْدَهُ بِأَجَلٍ مُسَمَّى… فَلْتَصْبِرْ وَلْتَحْتَسِبْ
(ইন্না লিল্লা-হি মা আখাযা, ওয়ালাহু মা আ‘তা, ওয়া কুল্লু শাই’ইন ‘ইনদাহু বিআজালিম মুসাম্মা, ফালতাসবির ওয়াল তাহতাসিব)
বুখারী, ২/৮০, নং ১২৮৪; মুসলিম, ২/৬৩৬, নং ৯২৩।
পরিচ্ছেদ ১২ঃ কবর যিয়ারতের দো‘আ
সুলাইমানের পিতা বুরাইদাহ [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সহাবীদের কবরস্থানে যাবার সময় এ দু’আটি শিক্ষা দিতেন। উচ্চারণ ঃ
السَّلَامُ عَلَى أَهْلِ الدِّيَارِ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُسْلِمِينَ، وَإِنَّا إِنْ شَاءَ اللَّهُ بِكُمْ لَلَاحِقُونَ، أَسْأَلُ اللَّهَ لَنَا وَلَكُمُ الْعَافِيَةَ
আসসালামু আলাইকুম আহলিদ-দিয়ারী, মিনাল মু’মিনীনা ওয়াল মুসলিমীনা, ওয়া ইন্না ইন্শা আল্লাহু বিকুম লাহিকূনা, আস্আলুল্লাহা লানা ওয়া লাকুমুল আফিয়াহ। অর্থ ঃ ইমানদার ও মুসলিম কবরবাসীর উপর শান্তি বর্ষিত হোক এবং আমি আল্লাহর ইচ্ছায় তোমাদের সঙ্গে মিলিত হব। আল্লাহর কাছে আমাদের এবং তোমাদের জন্য প্রশান্তি চাচ্ছি। {৬৩১}
[বুলুগুল মারাম ৫৯৫, সহিহ]
ইবনু`আব্বাস [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মাদীনাহ্র কবরস্থান হয়ে যাচ্ছিলেন, এমন সময় তাদের দিকে মুখ করে এই দুয়া বলিলেন-
السَّلَامُ عَلَيْكُمْ يَا أَهْلَ الْقُبُورِ، يَغْفِرُ اللَّهُ لَنَا وَلَكُمْ، أَنْتُمْ سَلَفُنَا وَنَحْنُ بِالْأَثَرِ
‘আসসালামু`আলাইকুম ইয়া আহ্লাল কবূরি, ইয়াগফিরুল্লাহু লানা অলাকুম আনতুম্ সালাফুনা অ-নাহনু বিল্ আসারি।’ অর্থ ঃ হে কবরবাসী, তোমাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক। আল্লাহ্ আমাদের ও তোমাদের গুনাহ ক্ষমাহ করে দিন, [পরকালের যাত্রায়] তোমরা আমাদের অগ্রগামী আর আমরা তোমাদের পশ্চাতে গমনকারী। -তিরমিজি একে হাসানরূপে রিওয়ায়াত করিয়াছেন। {৬৩২}
[বুলুগুল মারাম ৫৯৬, হাসান]
পরিচ্ছেদ ১৩ঃ মুনাফিকদ/মুশরিক/ আহলে কিবলার জানাজার নামাজ পড়া।
সূরা বারাআত
وّلاَ تُصَلِّ عَلى اَحَدٍ مِّنهُم مَّا تَ ابَداً وَّ لاَ تَقُم علَيَّ قَبرِهِ اِنَّهُم كَفَرُوا باِالَّهِ ورَسُو لِهِ و ماَ تُوا أُهُوَ فَسِقُونّ
তাহাদের কেহ মারা গেলে আপনি কখনো তার উপর জানাযার নামাজ আদায় করবেন না এবং তার কবরের পাশেও দাঁড়াবেন না।
নাসাই ১৯৬৬. উমর ইবনি খাত্তাব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
সূরা তওবাঃ ৮৪
وَلَا تُصَلِّ عَلَى أَحَدٍ مِنْهُمْ مَاتَ أَبَدًا وَلَا تَقُمْ عَلَى قَبْرِهِ
“তাহাদের কারো মৃত্যু হলে তুমি কখনো তার জন্য জানাজার নামাজ পড়বে না এবং তার কবরের পাশেও দাঁড়াবেন না”
[আবু দাউদ ১৫২৩, ১৫২৪]
Leave a Reply