মৃতের জন্য দোয়া । জানাযা, দাফন ও কবর যিয়ারতের দুয়া
এ বিষয়ে আরও পড়ুন >> মুয়াত্তা মালিক >> সহীহ বুখারী >> সহীহ মুসলিম >> আবু দাউদ >> ইবনে মাজাহ >> তিরমিজি >> নাসাঈ >> মিশকাত >> রিয়াদুস সালেহীন >> বুলুগুল মারাম হাদীস শরীফ হতে
মৃতের জন্য দোয়া
মৃত ব্যক্তির চোখ বন্ধ করানোর দো‘আ
জানাযার সলাতে মৃতের জন্য দুআ করা [মুসলিম] [আবু দাউদ]
২৩/৬৫. অধ্যায়ঃ জানাযার সালাতে সুরা ফাতিহা পাঠ করা। [বুখারী]
নাবালক শিশুদের জন্য জানাযার সালাতে দো‘আ
শোকার্তদের সান্ত্বনা দেওয়ার দো‘আ
মৃতকে কবরে প্রবেশ করানোর দো‘আ
মৃতকে দাফন করার পর দো‘আ
কবর যিয়ারতের দো‘আ
জানাযায় অংশগ্রহণ ও লাশের অনুগমনের ফযীলাত [আবু দাউদ]
অনুচ্ছেদ-৫১ঃ ঈমাম আত্মহত্যাকারীর জানাযা পড়বে না [আবু দাউদ]
অনুচ্ছেদ-৫২ঃ শারঈ হদ্দ কার্যকরে নিহত অপরাধীর জানাযা পড়া সম্পর্কে [আবু দাউদ]
অনুচ্ছেদ-৫৩ঃ মৃত শিশুর জানাযা পড়া [আবু দাউদ]
২৩/৪৬. অধ্যায়ঃ জানাযার জন্য দণ্ডায়মান হওয়া। [সহীহ বুখারী]
২৩/৪৭. অধ্যায়ঃ জানাযার জন্য দাঁড়ালে কখন বসবে ? [সহীহ বুখারী]
জানাযায় নারীদের অংশগ্রহণ [আবু দাউদ]
২৪. অধ্যায়ঃ জানাযাহ্ যেতে দেখে দাঁড়িয়ে যাওয়া [মুসলিম]
২৫. অধ্যায়ঃ জানাযার জন্য দাঁড়ানো থেকে অব্যাহতি [মুসলিম]
অনুচ্ছেদ-৪৬ঃ আগুন সাথে নিয়ে লাশের সাথে যাওয়া [আবু দাউদ]
অনুচ্ছেদ-৪৭ঃ লাশের জন্য [সম্মানার্থে] দাঁড়ানো [আবু দাউদ]
অনুচ্ছেদ-৪৮ঃ বাহনে চড়ে লাশের সাথে যাওয়া [আবু দাউদ]
অনুচ্ছেদ-৪৯ঃ লাশের আগে আগে যাওয়া [আবু দাউদ]
১৭. অধ্যায়ঃ মাইয়্যিতের জানাযার নামাজ আদায় করা এবং [ক্ববরস্থানে নেয়ার সময়] তার পিছে পিছে যাওয়া [বুখারী] [মুসলিম]
২৩/৫৭. অধ্যায়ঃ জানাযার পিছনে পিছনে যাবার ফযীলত। [বুখারী]
২৩/৪৯. অধ্যায়ঃ যে ব্যক্তি ইয়াহূদীর জানাযা দেখে দাঁড়ায়। [সহীহ বুখারী]
২৩/৫০. অধ্যায়ঃ পুরুষরা জানাযা বহন করিবে, স্ত্রীলোকেরা নয়।
২৩/৫২. অধ্যায়ঃ খাটিয়ায় থাকাকালে মৃত ব্যক্তির উক্তিঃ আমাকে নিয়ে এগিয়ে চল [বুখারী] [আবু দাউদ]
২৩/৫১. অধ্যায়ঃ জানাযার কাজ শীঘ্র সম্পাদন করা। [মুসলিম] [আবু দাউদ]
২১. অধ্যায়ঃ যে শান্তি লাভ করে এবং যার প্রস্থানে শান্তি লাভ করা হয়। [মুসলিম]
২০. অধ্যায়ঃ যে মাইয়্যিতের ভাল-মন্দ বর্ণনা করা হয় [মুসলিম]
২৩/৫৩. অধ্যায়ঃ জানাযার সালাতে ইমামের পিছনে দু বা তিন কাতারে দাঁড়ানো। [বুখারী]
১৮. অধ্যায়ঃ যার ওপর একশ জনের [মুসলিমের] জানাযাহ্ পড়বে তার জন্য এ সুপারিশ করা হইবে [মুসলিম]
১৯. অধ্যায়ঃ যার ওপর চল্লিশ জন [মুসলিম] জানাযাহ্ পড়বে তার জন্য এ সুপারিশ গ্রহণ করা হইবে। [মুসলিম]
২৩/৫৪. অধ্যায়ঃ জানাযার সালাতের কাতার। [বুখারী] [আবু দাউদ]
২৩/৫৫. অধ্যায়ঃ জানাযার সালাতে পুরুষদের সঙ্গে বালকদের কাতার। [বুখারী]
২৭. অধ্যায়ঃ জানাযার সলাতে ঈমাম মাইয়্যিতের কোন্ বরাবর দাঁড়াবে [মুসলিম]
২৩/৫৬. অধ্যায়ঃ জানাযার সালাতের নিয়ম। [বুখারী]
২৩/৫৮. অধ্যায়ঃ দাফন হয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা। [বুখারী]
২৩/৫৯. অধ্যায়ঃ জানাযার সালাতে বয়স্কদের সঙ্গে বালকদেরও অংশগ্রহণ করা। [বুখারী]
২৩/৬০. অধ্যায়ঃ মুসল্লা (ঈদগাহ বা নির্ধারিত স্থানে) এবং মসজিদে জানাযার সালাত আদায় করা। [বুখারী]
২৩/৬১. অধ্যায়ঃ কবরের উপরে জানাজা ও মসজিদ বানানো ঘৃণিত কাজ। [বুখারী] [মুসলিম] [আবু দাউদ]
২৩/৬২. অধ্যায়ঃ নিফাসের অবস্থায় [২৩] মারা গেলে তার জানাযার সালাত। [বুখারী]
২৩/৬৩. অধ্যায়ঃ মহিলা ও পুরুষের (জানাযার সালাতে) ইমাম কোথায় দাঁড়াবেন? [বুখারী]
২৩/৬৪. অধ্যায়ঃ জানাযার সালাতে তাকবীর। [বুখারী] [মুসলিম] [আবু দাউদ]
২৩/৬৬. অধ্যায়ঃ দাফনের পর কবরকে সম্মুখে রেখে (জানাযার) সালাত আদায়। হত [ বুখারী]
২৮. অধ্যায়ঃ জানাযাহ্ থেকে প্রত্যাবর্তনের সময় জানাযাহ্ গমনকারীর সাওয়াব প্রসঙ্গে [মুসলিম]
অনুচ্ছেদ-৫৪ঃ মাসজিদে জানাযার সালাত আদায় [আবু দাউদ]
অনুচ্ছেদ-৫৫ঃ সূর্য উদয় ও সূর্যাস্তের সময় লাশ দাফন করা সম্পর্কে [আবু দাউদ]
অনুচ্ছেদ-৫৬ঃ পুরুষ ও নারীর লাশ একত্রে উপস্থিত হলে কার লাশ আগে থাকিবে [আবু দাউদ]
অনুচ্ছেদ-৫৭ঃ জানাযা সলাতে ঈমাম কোথায় দাঁড়াবেন [আবু দাউদ]
অনুচ্ছেদ-৬২ঃ মুশরিকদের দেশে মৃত মুসলিমের জানাযা [আবু দাউদ]
৫৪. মৃত ব্যক্তির চোখ বন্ধ করানোর দো‘আ
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِفُلاَنٍ (بِاسْمِهِ) وَارْفَعْ دَرَجَتَهُ فِي الْمَهْدِيِّينَ، وَاخْلُفْهُ فِي عَقِبِهِ فِي الْغَابِرِينَ، وَاغْفِرْ لَنَا وَلَهُ
يَا رَبَّ الْعَالَمِينَ، وَافْسَحْ لَهُ فِي قَبْرِهِ، وَنَوِّرْ لَهُ فِيهِ
(আল্লা-হুম্মাগফির লি ফুলা-নিন (মৃতের নাম বলবে) ওয়ারফা‘ দারাজাতাহু ফিল মাহদিয়্যীন, ওয়াখলুফহু ফী ‘আক্বিবিহী ফিল গা-বিরীন, ওয়াগফির লানা ওয়ালাহু ইয়া রব্বাল আ-লামীন। ওয়াফসাহ্ লাহু ফী ক্বাবরিহী ওয়া নাউইর লাহু ফী-হি)।
১৫৫- “হে আল্লাহ! আপনি অমুককে (মৃত ব্যক্তির নাম ধরে) ক্ষমা করুন; যারা হেদায়াত লাভ করেছে, তাদের মাঝে তার মর্যাদা উঁচু করে দিন; যারা রয়ে গেছে তাদের মাঝে তার বংশধরদের ক্ষেত্রে আপনি তার প্রতিনিধি হোন। হে সৃষ্টিকুলের রব! আমাদের ও তার গুনাহ মাফ করে দিন। তার জন্য তার কবরকে প্রশস্ত করে দিন এবং তার জন্য তা আলোকময় করে দিন।”
মুসলিম ২/৬৩৪, নং ৯২০।
২১. অধ্যায়ঃ যে শান্তি লাভ করে এবং যার প্রস্থানে শান্তি লাভ করা হয়।
আবু ক্বাতাদাহ্ ইবনি রিব্ঈ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
একবার রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর কাছ দিয়ে একটা জানাযাহ বয়ে নিয়ে যাওয়া হলে তিনি বলেন,
مُسْتَرِيحٌ وَمُسْتَرَاحٌ مِنْهُ
“মুস্তারীহুন” ও “ওয়া মুসতারাহুন মিনহু” [অর্থাৎ- সে শান্তিলাভকারী এবং তার প্রস্থানে শান্তি লাভ হয়]।
সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করিলেন, হে আল্লাহর রসূল! “মুসতারীহুন” ও “ওয়া মুস্তারাহুন মিনহু”- এর মানে কি? রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]বলিলেন, ঈমানদার বান্দা হয়ে এ ব্যক্তি দুনিয়ার কষ্ট মুসীবাত থেকে নিষ্কৃতি লাভ করিবে। আর পাপীষ্ট বান্দা হলে এ ব্যক্তি থেকে আল্লাহর বান্দারা, অত্র অঞ্চল, বৃক্ষরাজি ও পশু-পাখি সবাই পরিত্রাণ লাভ করিবে।
[সহীহ মুসলিম ২০৯১]
৫৫. মৃত ব্যক্তির জন্য জানাযার সালাতে দো‘আ
জুবায়র ইবনি নুফায়র [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
[তিনি বলেন] আমি আওফ ইবনি মালিক [রাদি.]-কে বলিতে শুনেছি : রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এক জানাযায় যে দুআ পড়লেন, আমি তাহাঁর সে দুআ মনে রেখেছি। দুআয় তিনি এ কথাগুলো বলেছিলেন,
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ وَارْحَمْهُ وَعَافِهِ وَاعْفُ عَنْهُ وَأَكْرِمْ نُزُلَهُ وَوَسِّعْ مُدْخَلَهُ وَاغْسِلْهُ بِالْمَاءِ وَالثَّلْجِ وَالْبَرَدِ وَنَقِّهِ مِنَ الْخَطَايَا كَمَا نَقَّيْتَ الثَّوْبَ الأَبْيَضَ مِنَ الدَّنَسِ وَأَبْدِلْهُ دَارًا خَيْرًا مِنْ دَارِهِ وَأَهْلاً خَيْرًا مِنْ أَهْلِهِ وَزَوْجًا خَيْرًا مِنْ زَوْجِهِ وَأَدْخِلْهُ الْجَنَّةَ وَأَعِذْهُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ أَوْ مِنْ عَذَابِ النَّارِ
“আল্ল-হুম্মাগ্ফির্ লাহূ ওয়ার্হাম্হু ওয়া আ-ফিহী ওয়াফু আন্হু ওয়া আক্রিম নুযুলাহূ ওয়া ওয়াস্সি মুদ্খালাহূ ওয়াগ্সিল্হু বিলমা-য়ি ওয়াস্সাল্জি ওয়াল বারাদি ওয়ানাক্কিহী মিনাল খ্বাতা-ইয়া- কামা- নাক্কায়সাস্ সাওবাল আব্ইয়াযা মিনাদ্দানাসি ওয়া আব্দিল্হু দা-রান্ খায়রাম্ মিন দা-রিহী ওয়া আহলান্ খায়রাম্ মিন আহ্লিহী ওয়া য়াওজান্ খায়রাম্ মিন যাওজিহী ওয়া আদখিল্হুল জান্নাতা ওয়া আইয্হু মিন আযা-বিল ক্বব্রি আও মিন আযা-বিন্না-র-[অর্থাৎ- হে আল্লাহ! তাকে ক্ষমা করে দাও ও তার প্রতি দয়া কর। তাকে নিরাপদে রাখ ও তার ত্রুটি মার্জনা কর। তাকে উত্তম সামগ্রী দান কর ও তার প্রবেশ পথকে প্রশস্ত করে দাও। তাকে পানি, বরফ ও বৃষ্টি দ্বারা মুছে দাও এবং পাপ থেকে এরূপভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে দাও যেরূপ সাদা কাপড় ময়লা থেকে পরিষ্কার হয়ে যায়। তাকে তার ঘরকে উত্তম ঘরে পরিণত কর, তার পরিবার থেকে উত্তম পরিবার দান কর, তার স্ত্রীর তুলনায় উত্তম স্ত্রী দান কর। তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাও এবং ক্ববরের আযাব ও জাহান্নামের আযাব থেকে বাঁচাও।]।
বর্ণনাকারী আওফ ইবনি মালিক বলেন, তাহাঁর মূল্যবান দুআ শুনে আমার মনে আকাঙ্ক্ষা জাগল, আমি যদি সে মৃত ব্যক্তি হতাম।
[সহীহ মুসলিম ২০২২] ২১২৩
আওফ ইবনি মালিক আল আশজাঈ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী [সাঃআঃ]-কে জানাযার সলাতে এভাবে দুআ করিতে শুনেছি :
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ وَارْحَمْهُ وَاعْفُ عَنْهُ وَعَافِهِ وَأَكْرِمْ نُزُلَهُ وَوَسِّعْ مُدْخَلَهُ وَاغْسِلْهُ بِمَاءٍ وَثَلْجٍ وَبَرَدٍ وَنَقِّهِ مِنَ الْخَطَايَا كَمَا يُنَقَّى الثَّوْبُ الأَبْيَضُ مِنَ الدَّنَسِ وَأَبْدِلْهُ دَارًا خَيْرًا مِنْ دَارِهِ وَأَهْلاً خَيْرًا مِنْ أَهْلِهِ وَزَوْجًا خَيْرًا مِنْ زَوْجِهِ وَقِهِ فِتْنَةَ الْقَبْرِ وَعَذَابَ النَّارِ
“আল্ল-হুম্মাগ্ফির্লাহূ ওয়ার্হাম্হু ওয়াফু আন্হু ওয়াআ-ফিহী ওয়া আক্রিম নুযুলাহূ ওয়াস্সি মুদ্খালাহূ ওয়াগ্সিল্হু বিমা-য়িন্ ওয়াসালজিন্ ওয়াবারাদিন্ ওয়ানাক্কিহী মিনাল খ্বাতা-ইয়া- কামা- ইউনাক্কাস্ সাওবুল আব্ইয়াযু মিনাদ্দানাসি ওয়া আব্দিল্হু দা-রান্ খায়রাম্ মিন দা-রিহী ওয়া আহ্লান্ খায়রাম্ মিন্ আহ্লিহী ওয়া যাওজান্ খায়রাম্ মিন যাওজিহী ওয়াক্বিহী ফিত্নাতিল ক্বব্রি ওয়াআযা-বিন্ না-র”– [অর্থাৎ- “হে আল্লাহ! তাকে ক্ষমা করে দাও ও তার প্রতি দয়া কর। তার ত্রুটি মার্জনা কর ও তাকে বিপদ মুক্ত কর। তার উত্তম আপ্যায়নের ব্যবস্থা কর ও তার আশ্রয়স্থলকে প্রশস্ত করে দাও। তাকে পানি, বরফ ও বৃষ্টি দিয়ে ধুয়ে মুছে দাও। তাকে পাপরাশি থেকে এভাবে পরিষ্কার করে দাও যেভাবে সাদা কাপড়কে ময়লা থেকে পরিষ্কার করা হয়। তাকে তার বর্তমান ঘরের পরিবর্তে আরও উত্তম ঘর দান কর, তার পরিবার থেকে উত্তম পরিবার দান কর, বর্তমান স্ত্রী অপেক্ষা উত্তম স্ত্রী দান কর এবং তাকে ক্ববর আযাব ও জাহান্নামের আযাব থেকে বাঁচাও।]।
আওফ ইবনি মালিক [রাদি.] বলেন, ঐ মৃত ব্যক্তির প্রতি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর এরূপ দুআ দেখে মনে আকাঙ্ক্ষা জাগল যে, আমি যদি এ মৃত ব্যক্তি হতাম।
[সহীহ মুসলিম ২০২৪]
৩২০০. আলী ইবনি শাম্মাখ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, একদা আমি মারওয়ানের নিকট উপস্থিত ছিলাম। তখন তিনি আবু হুরায়রা [রাদি.]-কে জিজ্ঞেস করিলেন, মৃতের জানাযায় আপনি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে কোন দুআ পড়তে শুনেছেন? তিনি বলিলেন, আপনি কি এ কথাই আমাকে জিজ্ঞেস করছেন? মারওয়ান বলিলেন, হাঁ। ইবনি শাম্মাখ বলেন, ইতিপূর্বে তাহাদের উভয়ের মধ্যে এ বিষয়ে কথোপকথন হয়। আবু হুরায়রা বলিলেন, তিনি এ দুআ পাঠ করিতেন ঃ
اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبُّهَا وَأَنْتَ خَلَقْتَهَا وَأَنْتَ هَدَيْتَهَا لِلإِسْلاَمِ وَأَنْتَ قَبَضْتَ رُوحَهَا وَأَنْتَ أَعْلَمُ بِسِرِّهَا وَعَلاَنِيَتِهَا جِئْنَاكَ شُفَعَاءَ فَاغْفِرْ لَهُ
আল্লাহুম্মা আন্তা রব্বুহা ওয়া আন্তা খলাকতাহা ওয়া আন্তা হাদাইতাহা লি ইসলামি ওয়া আংতা কবাদতা রুওহাহা ওয়া আন্তা আ,লামু বি সাররিহা ওয়া আলা নিয়াতাহা জি,নাকা সুফাআআ ফাগফেরলি। “হে আল্লাহ! তুমিই তার প্রভু, তুমি তাহাকে সৃষ্টি করেছ, তুমি তাহাকে ইসলামের পথে হিদায়াত দিয়েছ, তুমি তার রূহ ক্ববয করেছ, তুমি তার গোপন-প্রকাশ্য সবকিছুই অবহিত। আমরা তোমার কাছে তার সুপারিশকারী হিসেবে এসেছি, তুমি তাহাকে ক্ষমা করে দাও।”
সনদ দুর্বল ঃ মিশকাত [১৬৮৮]। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِحَيِّنَا وَمَيِّتِنَا، وَشَاهِدِنَا وَغَائِبِنَا، وَصَغِيرِنَا وَكَبيرِنَا، وَذَكَرِنَا وَأُنْثَانَا. اللَّهُمَّ مَنْ أَحْيَيْتَهُ مِنَّا فَأَحْيِهِ عَلَى الْإِسْلاَمِ، وَمَنْ تَوَفَّيْتَهُ مِنَّا فَتَوَفَّهُ عَلَى الإِيمَانِ، اللَّهُمَّ لاَ تَحْرِمْنَا أَجْرَهُ، وَلاَ تُضِلَّنَا بَعْدَهُ
(আল্লা-হুম্মাগফির লিহায়্যিনা ওয়া মায়্যিতিনা ওয়া শা-হিদিনা ওয়া গা-য়িবিনা ওয়া সগীরিনা ওয়া কাবীরিনা ওয়া যাকারিনা ওয়া উনসা-না। আল্লা-হুম্মা মান আহ্ইয়াইতাহু মিন্না ফা’আহয়িহি ‘আলাল-ইসলাম। ওয়ামান তাওয়াফ্ফাইতাহু মিন্না ফাতাওয়াফফাহু ‘আলাল ঈমান। আল্লা-হুম্মা লা তাহরিমনা আজরাহু ওয়ালা তুদ্বিল্লান্না বা‘দাহু)।
১৫৭-(২) “হে আল্লাহ! আমাদের জীবিত ও মৃত, উপস্থিত ও অনুপস্থিত, ছোট ও বড় এবং নর ও নারীদেরকে ক্ষমা করুন। হে আল্লাহ! আপনি আমাদের মধ্যে যাদের আপনি জীবিত রাখবেন তাদেরকে ইসলামের ওপর জীবিত রাখুন এবং যাদেরকে মৃত্যু দান করবেন তাদেরকে ঈমানের সাথে মৃত্যু দান করুন। হে আল্লাহ! আমাদেরকে তার (মৃত্যুতে ধৈয্যধারণের) সাওয়াব থেকে বঞ্চিত করবেন না এবং তার (মৃত্যুর) পর আমাদেরকে পথভ্রষ্ট করবেন না।”
আবূ দাঊদ, নং ৩২০১; তিরমিযী, নং ১০২৪; নাসাঈ, নং ১৯৮৫; ইবন মাজাহ, ১/৪৮০, নং ১৪৯৮; আহমাদ ২/৩৬৮, নং ৮৮০৯। আরও দেখুন, সহীহ ইবন মাজাহ ১/২৫১।
اللَّهُمَّ إِنَّ فُلاَنَ بْنَ فُلاَنٍ فِي ذِمَّتِكَ، وَحَبْلِ جِوَارِكَ، فَقِهِ مِنْ فِتْنَةِ الْقَبْرِ، وَعَذَابِ النَّارِ، وَأَنْتَ أَهْلُ الْوَفَاءِ وَالْحَقِّ، فَاغْفِرْ لَهُ وَارْحَمْهُ إِنَّكَ أَنْتَ الغَفُورُ الرَّحيمُ
(আল্লা-হুম্মা ইন্না ফুলানাবনা ফুলা-নিন ফী যিম্মাতিকা, ওয়া হাবলি জিওয়ারিকা, ফাক্বিহি মিন ফিতনাতিল ক্বাবরি ওয়া আযা-বিন না-রি, ওয়া আনতা আহলুল ওয়াফাই ওয়াল হাক্ক, ফাগফির লাহু ওয়ারহামহু, ইন্নাকা আনতাল গাফুরুর রাহীম)।
১৫৮-(৩) “হে আল্লাহ, অমুকের পুত্র অমুক আপনার যিম্মাদারীতে, আপনার প্রতিবেশিত্বের নিরাপত্তায়; সুতরাং আপনি তাকে কবরের পরীক্ষা থেকে এবং জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করুন। আর আপনি প্রতিশ্রুতি পূর্ণকারী এবং প্রকৃত সত্যের অধিকারী। অতএব, আপনি তাকে ক্ষমা করুন এবং তার ওপর দয়া করুন। নিশ্চয় আপনি ক্ষমাশীল, দয়ালু।”
ইবন মাজাহ, নং ১৪৯৯। দেখুন, সহীহ ইবন মাজাহ ১/২৫১। তাছাড়া হাদীসটি আবূ দাউদও বর্ণনা করেছেন, ৩/২১১, নং ৩২০২।
اللَّهُمَّ عَبْدُكَ وَابْنُ أَمَتِكَ احْتَاجَ إِلَى رَحْمَتِكَ، وَأَنْتَ غَنِيٌّ عَنْ عَذَابِهِ، إِنْ كَانَ مُحْسِناً فَزِدْ فِي حَسَنَاتِهِ، وَإِنْ كَانَ مُسِيئاً فَتَجَاوَزْ عَنْهُ
(আল্লা-হুম্মা ‘আবদুকা, ওয়াবনু আমাতিকা, এহতাজা ইলা রাহমাতিকা, ওয়া আনতা গানিয়্যুন ‘আন ‘আযা-বিহি, ইন কা-না মুহসিনান ফাযিদ ফী হাসানা-তিহি, ওয়া ইনকা-না মুসীআন ফা তাজা-ওয়ায ‘আনহু)
১৫৯-(৪) “হে আল্লাহ, আপনার এক দাস, আর এক দাসীর পুত্র, আপনার অনুগ্রহের মুখাপেক্ষী, আপনি তাকে শাস্তি দেওয়া থেকে অমুখাপেক্ষী। যদি সে নেককার বান্দা হয়, তবে তার সাওয়াব আরও বাড়িয়ে দিন, আর যদি বদকার বান্দা হয়, তবে তার অপরাধকর্ম এড়িয়ে যান।”
হাদীসটি সংকলণ করেন, হাকেম তাঁর মুস্তাদরাকে এবং সহীহ বলেছেন, ১/৩৫৯; আর যাহাবী সেটা সমর্থন করেছেন। আরও দেখুন, আলবানী, আহকামুল জানায়েয, পৃ. ১২৫।
৫৬. নাবালক শিশুদের জন্য জানাযার সালাতে দো‘আ
اللَّهُمَّ أَعِذْهُ مِنْ عَذَابِ القَبْرِ
(আল্লা-হুম্মা আ‘য়িযহু মিন আযা-বিল ক্বাবরি)
১৬০-(১) “হে আল্লাহ! এ শিশুকে কবরের আযাব থেকে রক্ষা করুন।”
সা‘ঈদ ইবনুল মুসাইয়্যেব বলেন, আমি আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহুর পিছনে একটি শিশুর জানাযার সালাত আদায় করেছি, যে শিশু কখনও কোনো গুনাহ করে নি, তখন আমি তাকে (উপরোক্ত দো‘আটি) বলতে শুনলাম….। হাদীসটি ইমাম মালেক তার মুওয়াত্তা গ্রন্থে সংকলন করেন, ১/২৮৮; ইবন আবী শাইবাহ তার মুসান্নাফ গ্রন্থে, ৩/২১৭; বাইহাকী, ৪/৯। আর শাইখ শু‘আইব আল-আরনাউত শারহুস সুন্নাহ লিল বাগভীর তাহকীকে ৫/৩৫৭, এটার সনদকে সহীহ বলেছেন।
আর যদি নিম্নোক্ত দো‘আটি পড়া হয় তবে তাও উত্তম:
اللَّهُمَّ اجْعَلْهُ فَرَطاً وَذُخْراً لِوَالِدَيْهِ، وَشَفِيعاً مُجَاباً، اللَّهُمَّ ثَقِّلْ بِهِ مَوَازِينَهُمَا، وَأَعْظِمْ بِهِ أُجورَهُمَا، وَأَلْحِقْهُ بِصَالِحِ الْمُؤْمِنِينَ، وَاجْعَلْهُ فِي كَفَالَةِ إِبْرَاهِيمَ، وَقِهِ بِرَحْمَتِكَ عَذَابَ الْجَحِيمِ، وَأَبْدِلْهُ دَاراً خَيْراً مِنْ دَارِهِ، وَأَهْلاً خَيْراً مِنْ أَهْلِهِ، اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِأَسْلاَفِنَا، وَأَفْرَاطِنَا، وَمَنْ سَبَقَنَا بِالْإِيمَانِ
(আল্লা-হুম্মাজ‘আলহু ফারাত্বান ওয়া যুখরান লিওয়লিদায়হি, ওয়াশাফী‘আন মুজাবান। আল্লা-হুম্মা সাক্কিল বিহী মাওয়াযীনাহুমা, ওয়াআ‘যিম বিহী উজূরাহুমা, ওয়া আলহিক্বহু বিসা-লিহিল মু’মিনীন, ওয়াজ‘আলহু ফী কাফা-লাতি ইবরাহীমা, ওয়াক্বিহি বিরাহমাতিকা ‘আযা-বাল জাহীম, ওয়া আবদিলহু দা-রান খাইরান মিন দা-রিহি, ওয়া আহলান খায়রান মিন আহলিহি, আল্লা-হুম্মাগফির লি’আসলাফিনা ওয়া আফরাত্বিনা ওয়া মান সাবাক্বানা বিল ঈমান।)
“হে আল্লাহ, তাকে তার পিতা-মাতার জন্য অগ্রগামী প্রতিনিধি বা সাওয়াব ও সযত্নে গচ্ছিত সাওয়াব হিসেবে কবুল করুন। আর তাকে এমন শাফা‘আতকারী বানান, যার শাফা‘আত কবুল হয়। হে আল্লাহ, এ শিশুর দ্বারা তার পিতা মাতার ওজনসমূহ আরও ভারী করে দিন। আর এর দ্বারা তাদের দু’জনের সাওয়াব আরও বাড়িয়ে দিন। আর তাকে নেককারদের সঙ্গী-সাথী বানান এবং তাকে ইবরাহীম আলাইহিসসালামের যিম্মায় রাখুন। আর আপনার রহমতের উসীলায় তাকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করুন। তাকে তার এ বাসস্থানের পরিবর্তে উত্তম বাসস্থান প্রদান করুন, এখানকার পরিবার-পরিজনের পরিবর্তে উত্তম পরিবার-পরিজন প্রদান করুন। হে আল্লাহ, আমাদের পূর্ববর্তী নর-নারী ও নাবালক অগ্রগামী সন্তান-সন্ততিদের মাফ করুন এবং যারা ঈমান সহকারে আমাদের পূর্বে মারা গেছে তাদেরকেও।”
দেখুন, আল-মুগনী, লি ইবন কুদামা, ৩/৪১৬; আরও দেখুন, আদ-দুরুসুল মুহিম্মাহ লি ‘আম্মাতিল উম্মাহ, লিশ শাইখ আবদিল আযীয ইবন আব্দিল্লাহ ইবন বায, রাহেমাহুল্লাহ, পৃ. ১৫।
হাসান (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেছেন, শিশুর জানাযার সালাতে সুরা ফাতিহা তিলাওয়াত করিবে এবং দুআ পড়বে
اَللهُمَّ الجْعَلْهُ لَنَا فَرَطًا وَسَلَفًا وَأَجْرًا
আল্লাহুম্মাজ আলহু লানা ফারাতান ওয়া সালাকান ওয়া আজরান, “হে আল্লাহ! তাকে আমাদের জন্য অগ্রে প্রেরিত, অগ্রগামী এবং আমাদের পুরস্কার স্বরূপ গ্রহন কর।”
২৩/৬৫. অধ্যায়ঃ জানাযার সালাতে সুরা ফাতিহা পাঠ করা।
৫৭. শোকার্তদের সান্ত্বনা দেওয়ার দো‘আ
إِنَّ للَّهِ مَا أَخَذَ، وَلَهُ مَا أَعْطَى، وَكُلُّ شَيْءٍ عِنْدَهُ بِأَجَلٍ مُسَمَّى… فَلْتَصْبِرْ وَلْتَحْتَسِبْ
(ইন্না লিল্লা-হি মা আখাযা, ওয়ালাহু মা আ‘তা, ওয়া কুল্লু শাই’ইন ‘ইনদাহু বিআজালিম মুসাম্মা, ফালতাসবির ওয়াল তাহতাসিব)
১৬২- “নিশ্চয় যা নিয়ে গেছেন আল্লাহ তা তাঁরই, আর যা কিছু প্রদান করেছেন তাও তাঁর। তাঁর কাছে সব কিছুর একটি নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। কাজেই সবর করা এবং সাওয়াবের আশা করা উচিৎ।”
বুখারী, ২/৮০, নং ১২৮৪; মুসলিম, ২/৬৩৬, নং ৯২৩।
আর নিম্নোক্ত দো‘আটি পড়াও ভালো:
أَعْظَمَ اللَّهُ أَجْرَكَ، وَأَحْسَنَ عَزَاءَكَ، وَغَفَرَ لِمَيِّتِكَ
(আ‘যামাল্লাহু আজরাকা, ওয়া আহসানা ‘আযা-’আকা, ওয়াগাফারা লিমাইয়্যিতিকা)
“আল্লাহ আপনার সাওয়াব বর্ধিত করুন, আপনার (শোকার্ত মনে) সুন্দর ধৈর্য ধরার তাওফীক দিন, আর আপনার মৃতকে ক্ষমা করে দিন।”
আল-আযকার লিন নাওয়াওয়ী, পৃ. ১২৬।
৫৮. মৃতকে কবরে প্রবেশ করানোর দো‘আ
بِسْمِ اللَّهِ وَعَلَى سُنَّةِ رَسُولِ اللَّهِ
(বিসমিল্লা-হি ওয়া আলা সুন্নাতি রাসুলিল্লা-হি)।
১৬৩- “আল্লাহর নামে এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিয়মে।”
আবূ দাউদ ৩/৩১৪, নং ৩২১৫ সহীহ সনদে; অনুরূপভাবে আহমাদ, নং ৫২৩৪; আর ৪৮১২ এর শব্দ হচ্ছে, ‘বিসমিল্লাহ ওয়া আলা মিল্লাতি রাসূলিল্লাহ’ অর্থাৎ ‘আল্লাহর নামে এবং রাসূলুল্লাহর মিল্লাতের ওপর।’ তার সনদও বিশুদ্ধ।
৫৯. মৃতকে দাফন করার পর দো‘আ
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ، اللَّهُمَّ ثَبِّتْهُ
(আল্লা-হুম্মাগফির লাহু, আল্লা-হুম্মা সাববিতহু)।
১৬৪- “হে আল্লাহ! আপনি তাকে ক্ষমা করুন, হে আল্লাহ আপনি তাকে (প্রশ্নোত্তরের সময়) স্থির রাখুন।”
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মৃত ব্যক্তিকে দাফন করার পর কবরের পাশে দাঁড়াতেন এবং বলতেন, ‘তোমাদের ভাইয়ের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর, আর তার জন্য দৃঢ়তা চাও। কেননা এখনই তাকে জিজ্ঞাসা করা হবে’। আবু্দাউদ ৩/৩১৫, নং ৩২২৩; হাকেম এবং তিনি একে সহীহ বলেছেন, আর যাহাবী সমর্থন করেছেন, ১/৩৭০।
৬০. কবর যিয়ারতের দো‘আ
السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ أَهْلَ الدِّيَارِ، مِنَ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُسْلِمِينَ، وَإِنَّا إِنْ شَاءَ اللَّهُ بِكُمْ لاَحِقُونَ، [وَيَرْحَمُ اللَّهُ الْمُسْتَقدِمِينَ مِنَّا وَالْمُسْتأْخِرِينَ] أَسْاَلُ اللَّهَ لَنَا وَلَكُمُ الْعَافِيَةَ
(আস্সালা-মু আলাইকুম আহলাদ্দিয়ারি মিনাল মু’মিনীনা ওয়াল মুসলিমীনা, ওয়াইন্না ইনশা-আল্লা-হু বিকুম লা-হিকুনা, ওয়া ইয়ারহামুল্লাহুল মুসতাক্বদিমীনা মিন্না ওয়াল মুসতা’খিরীনা, নাসআলুল্লাহা লানা ওয়ালাকুমুল ‘আ-ফিয়াহ)।
১৬৫- “হে গৃহসমূহের অধিবাসী মুমিন ও মুসলিমগণ! তোমাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক। আর নিশ্চয় আমরা ইনশাআল্লাহ আপনাদের সাথে মিলিত হবো। [আল্লাহ আমাদের পুর্ববর্তীদের এবং পরবর্তীদের প্রতি দয়া করুন।] আমি আল্লাহর নিকট আমাদের জন্য এবং তোমাদের জন্য নিরাপত্তা প্রার্থনা করি।”
মুসলিম ২/৬৭১, নং ৯৭৫; ইবন মাজাহ, ১/৪৯৪, আর শব্দ তাঁরই, নং ১৫৪৭; বুরাইদা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে। আর দু ব্রাকেটের মাঝখানের অংশ আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার হাদীস থেকে, যা সংকলন করেছেন, মুসলিম, ২/৬৭১, নং ৯৭৫।
Leave a Reply