Ramadan রমজান ইফতার সেহরি চাঁদ দোয়া ও ঈদ

রমজান ইফতার সেহরি ও ঈদ

রমজান ইফতার সেহরি ও ঈদ বিষয়ে আরও পড়ুন >> মুয়াত্তা মালিক >> সহীহ বুখারী >> সহীহ মুসলিম >> আবু দাউদ >> ইবনে মাজাহ >> তিরমিজি >> নাসাঈ >> মিশকাত >> রিয়াদুস সালেহীন >> বুলুগুল মারামহিদায়া ফিকহ হতে

পরিচ্ছেদ ১ঃ রমযান ও রোজা সম্পর্কে কোরানের আয়াত
পরিচ্ছেদ ২ঃ নতুন চাঁদ দেখে পড়ার দো‘আ [রিয়াদুস] [বুলুগুল]
পরিচ্ছেদ ৪ঃ দিন ও রাত থাক্তেই রোজার নিয়ত [বুখারী] [বুলুগুল] [মাজাহ] [নাসাঈ] [তিরমিজি] [বুলুগুল] [মুয়াত্তা]
পরিচ্ছেদ ৫ঃ সেহরির খাওয়া শুরু করা
পরিচ্ছেদ ৬ঃ সেহরির সময়
পরিচ্ছেদ ৭ঃ বিলম্ব করে সেহরি খাওয়া
পরিচ্ছেদ ৮ঃ ইফতারের সময় দুআ পাঠ
পরিচ্ছেদ ৯ঃ শীঘ্র ইফতার করা
পরিচ্ছেদ ১০ঃ ইফতার এর সময়
পরিচ্ছেদ ১১ঃ সূর্যাস্তের পূর্বে ইফতার করলে
পরিচ্ছেদ ১২ঃ কোনো পরিবারের কাছে ইফতার করলে তাদের জন্য দো‘আ
পরিচ্ছেদ ১৩ঃ সাওম পালনকারীকে কেউ গালি দিলে যা বলবে
পরিচ্ছেদ ৩ঃ রোযার চাঁদ দেখা ও রমযানের রোযা খোলার বর্ণনা [বুখারী] [মুসলিম] [মাজাহ] [তিরমিজি] [মুয়াত্তা]

পরিচ্ছেদঃ সেহরির আহবান বা ১ম ও ২য় আজানের বর্ণনা [বুখারী] [নাসাঈ]
পরিচ্ছেদঃ সাহরীর ফযিলত ও সাহরী খাওয়া মুস্তাহাব [মুসলিম] [মাজাহ] [তিরমিজি] [রিয়াদুস] [বুলুগুল]
পরিচ্ছেদঃ শেষভাগে সাহরী খাওয়া [বুখারী] [মুসলিম] [মাজাহ] [তিরমিজি] [নাসাঈ] [রিয়াদুস] [মুয়াত্তা]
পরিচ্ছেদঃ সাহরী ও ফাজরের সলাতের মধ্যে সময়ের পরিমাণ কত [বুখারী] [নাসাঈ]
পরিচ্ছেদঃ ফজরের [সুবহি সাদিকের] বর্ণনা [মুসলিম] [তিরমিজি]
পরিচ্ছেদঃ সাহরীতে বারকাত রয়েছে তবে তা ওয়াজিব নয় [বুখারী]
পরিচ্ছেদঃ ফজর কখন হইবে [নাসাঈ]
পরিচ্ছেদঃ সেহরিকে সকালের খাদ্য বলে নামকরণ [নাসাঈ]

পরিচ্ছেদঃ পানি, খেজুর, ছাতু বা অন্য সহজলভ্য কিছু দিয়ে ইফতাহার করা মুস্তাহাব [বুখারী] [মাজাহ] [তিরমিজি] [নাসাঈ][রিয়াদুস] [বুলুগুল]
পরিচ্ছেদঃ রোযাদারকে ইফতাহার করালে তাহার সওয়াব [মাজাহ] [তিরমিজি]
পরিচ্ছেদঃ রোযাদারকে আহার গ্রহণের জন্য আহ্বান করা হলে [মাজাহ] [তিরমিজি]
পরিচ্ছেদঃ রোযাদারের সামনে কেউ পানাহার করিলে [মাজাহ]
পরিচ্ছেদঃ রোজাদারের জন্য কখন ইফতার করা বৈধ [বুখারী]
পরিচ্ছেদঃ শীঘ্র ইফতার করা [বুখারী] [মুসলিম] [মাজাহ] [তিরমিজি] [রিয়াদুস]
পরিচ্ছেদঃ রোযাদারের জন্য উপহার [তিরমিজি]
পরিচ্ছেদঃ রমযানে ইফতারের পরে যদি সূর্য (আবার) দেখা যায় [বুখারী]
পরিচ্ছেদঃ প্রয়োজনবোধে ইতিকাফকারী বের হইতে পারে কি না? [তিরমিজি]
পরিচ্ছেদঃ সওমের সময় পূর্ণ হওয়া এবং দিবস সমাপ্ত হওয়া [মুসলিম]
লাগাতার ইফতার না করে সওম রাখার বিধান [বুলুগুল]

পরিচ্ছেদঃ ঈদুল ফিতরের দিন ঈদগাহে যাওয়ার আগে আহার করা [মাজাহ]
পরিচ্ছেদঃ কোন সময়ে ঈদুল ফিত্‌র ও ঈদুল আয্‌হা হয় [তিরমিজি]
পরিচ্ছেদঃ ঈদুল ফিত্‌র ও ঈদুল আয্‌হা সম্মিলিতভাবে পালন করা [তিরমিজি]
পরিচ্ছেদঃ নতুন চাঁদ দেখার সাক্ষ্য প্রদান [মাজাহ] [নাসাঈ] [বুলুগুল]
পরিচ্ছেদঃ রমযান মাস নির্ধারণের উদ্দেশ্যে শাবানের চাঁদের গণনা [তিরমিজি]
পরিচ্ছেদঃ মাস ঊনত্রিশ দিনেও হয় [মুসলিম] [মাজাহ] [তিরমিজি]
পরিচ্ছেদঃ ত্রিশতম রাতে চাঁদের আকারে ছোট বা বড় দেখা গেলে তাতে কোন পার্থক্য হইবে না [মুসলিম]
পরিচ্ছেদঃ বিভিন্ন দেশে চাঁদ দেখার বিভিন্নতা [মুসলিম] [তিরমিজি] [নাসাঈ]
পরিচ্ছেদঃ মাসের প্রথম বা শেষ দিন মেঘাছন্ন থাকলে ত্রিশ দিনে মাস পুরা করা [মুসলিম] [নাসাঈ]
পরিচ্ছেদঃ ঈদের দুই মাস কম হয় না । [বুখারী] [মুসলিম] [মাজাহ] [তিরমিজি]
পরিচ্ছেদঃ আমরা লিপিবদ্ধ করি না এবং হিসাবও করি না । [বুখারী]
পরিচ্ছেদঃ সাক্ষ্যের ভিত্তিতে রোযা রাখা [তিরমিজি]
পরিচ্ছেদঃ রমযানের একদিন বা দুদিন পূর্বে রোজা আরম্ভ করিবে না । [বুখারী] [মুসলিম] [মাজাহ] [তিরমিজি] [নাসাঈ] [রিয়াদুস] [বুলুগুল]
পরিচ্ছেদঃ সন্দেহযুক্ত দিনে রোযা পালন করা মাকরূহ্‌ [তিরমিজি] [নাসাঈ] [মাজাহ] [বুলুগুল] [মুয়াত্তা]
পরিচ্ছেদঃ দুই ঈদের দিন রোযা পালন করা মাকরূহ্ [তিরমিজি]

পরিচ্ছেদঃ রোজা ফরয হওয়া [নাসাঈ] [রিয়াদুস]
পরিচ্ছেদঃ রমযান এর ফযীলত [মুসলিম] [আবু দাউদ] [মাজাহ] [তিরমিজি] [রিয়াদুস]
পরিচ্ছেদঃ রোজা ও রোজাদারের ফযীলত [বুখারী] [মুসলিম] [আবু দাউদ] [মাজাহ] [নাসাঈ] [মুয়াত্তা]
পরিচ্ছেদঃ রোযা হলো দেহের যাকাত [মাজাহ]
পরিচ্ছেদঃ শীতকালের রোযা [তিরমিজি]
পরিচ্ছেদঃ রমযান বলা হইবে, না রমযান মাস বলা হইবে [বুখারী] [নাসাঈ]
পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে সওয়াবের উদ্দেশ্যে সংকল্প সহকারে সিয়াম পালন করিবে [বুখারী]
পরিচ্ছেদঃ নাবী (সাঃআঃ) রমযানে সবচেয়ে বেশী দান করিতেন [বুখারী] [রিয়াদুস]
পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি রোজা পালনের সময় মিথ্যা বলা ও আমল পরিত্যাগ করে না [বুখারী]
পরিচ্ছেদঃ রোযাদার ব্যক্তির গালি গীবত ও অশ্লীল কাজে লিপ্ত হওয়া [বুখারী] [মাজাহ] [তিরমিজি] [রিয়াদুস]
পরিচ্ছেদঃ অবিবাহিত ব্যক্তি যে নিজের ব্যাপারে ভয় করে, তার জন্য সওম [বুখারী]

পরিচ্ছেদঃ রমযানে স্ত্রী মিলনের বিধান /সহবাস করা [বুখারী] [তিরমিজি] [বুলুগুল]
পরিচ্ছেদঃ নাপাক অবস্থায় রোজা পালনকারীর সকাল হওয়া [বুখারী] [মাজাহ] [তিরমিজি]
পরিচ্ছেদঃ রোজাদার কর্তৃক স্ত্রীকে স্পর্শ করা [বুখারী] [মাজাহ] [বুলুগুল]
পরিচ্ছেদঃ রোজাদারের চুম্বন দেয়া [বুখারী] [মাজাহ] [তিরমিজি] [বুলুগুল] [মুয়াত্তা]
পরিচ্ছেদঃ রোজাদারের গোসল করা [বুখারী]
পরিচ্ছেদঃ নিজের ইচ্ছায় রোযা ভেঙে ফেললে [তিরমিজি] [বুলুগুল]
পরিচ্ছেদঃ রোযাদারের সামনে খাবার খেলে তার ফাযীলাত [তিরমিজি]
পরিচ্ছেদঃ ভুলবশতঃ কিছু খেলে বা পান করে ফেললে [বুখারী] [মাজাহ] [তিরমিজি] [বুলুগুল]
পরিচ্ছেদঃ রোজাদারের জন্য কাঁচা বা শুকনো দাঁতন ব্যবহার করা [বুখারী]
পরিচ্ছেদঃ যখন উযূ করিবে তখন নাকের ছিদ্র দিয়ে পানি টেনে নিবে [বুখারী] [তিরমিজি]
পরিচ্ছেদঃ রোযাদারের মিসওয়াক করা ও সুরমা লাগানো [মাজাহ] [তিরমিজি] [বুলুগুল]
পরিচ্ছেদঃ গর্ভবতী নারী ও দুগ্ধপোষ্য শিশুর মায়ের রোযা না রাখার সুযোগ [মাজাহ] [তিরমিজি] [নাসাঈ]
পরিচ্ছেদঃ ঋতুবতী সালাত ও সওম উভয়ই ছেড়ে দিবে [বুখারী] [তিরমিজি] [নাসাঈ]
পরিচ্ছেদঃ দূর্বল-অক্ষম ব্যক্তিদের রোযা রাখার বিধান [বুলুগুল] [মুয়াত্তা]
পরিচ্ছেদঃ রোজাদারের শিঙ্গা লাগানো বা বমি করা [বুখারী] [মাজাহ] [তিরমিজি] [বুলুগুল] [মুয়াত্তা]
পরিচ্ছেদঃ সওমের কাযা রেখে যিনি মারা যান [বুখারী] [মাজাহ]
পরিচ্ছেদঃ মৃত ব্যক্তির পক্ষ হইতে রোযা আদায় করা [তিরমিজি] [বুলুগুল]
পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি মানতের রোযা যিম্মায় রেখে মারা গেলো [মাজাহ] [মুয়াত্তা]
পরিচ্ছেদঃ রমজানে রোজার কাফ্‌ফারা বা ক্ষতিপূরণ [বুখারী] [মাজাহ] [তিরমিজি] [মুয়াত্তা]
পরিচ্ছেদঃ রোজার কাযা কখন আদায় করিতে হইবে [বুখারী] [মাজাহ] [তিরমিজি] [মুয়াত্তা]
পরিচ্ছেদঃ গোসল ফরজ হলে/ অপবিত্র অবস্থায় সকাল কারীর সাওমের বিধান [বুলুগুল] [মুয়াত্তা]

পরিচ্ছেদঃ সফরে রোজা পালন করা বা না করা [বুখারী] [মাজাহ] [তিরমিজি] [নাসাঈ] [বুলুগুল]
পরিচ্ছেদঃ রমযানের কয়েক দিন সওম করে যদি কেউ সফর শুরু করে [বুখারী] [মুয়াত্তা]
পরিচ্ছেদঃ খাবারের পর কোন লোক সফরের উদ্দেশ্যে বের হলে [তিরমিজি]
পরিচ্ছেদঃ সফরে সওম পালন করায় সাওয়াব নেই [বুখারী]
পরিচ্ছেদঃ সওম করা ও না করার ব্যাপারে নাবী (সাঃআঃ)-এর সাহাবীগণ পরস্পরের প্রতি দোষারোপ করিতেন না [বুখারী]
প্রবাসে রোযা রাখা [মুয়াত্তা]
পরিচ্ছেদঃ লোকদেরকে দেখানোর জন্য সফর অবস্থায় সওম ভঙ্গ করা [বুখারী]
পরিচ্ছেদঃ যুদ্ধক্ষেত্রে সৈনিকদের রোযা ভেঙে ফেলার অনুমতি আছে [তিরমিজি]

পরিচ্ছেদঃ নাবী (সাঃআঃ)-এর সওম পালন করা ও না করার বিবরণ [বুখারী] [নাসাঈ]
পরিচ্ছেদঃ দাউদ (আঃ)-এর সওম [বুখারী] [নাসাঈ]
পরিচ্ছেদঃ আমাদের সাওম এবং আহলে কিতাবের সাওমের মধ্যে পার্থক্য [নাসাঈ]
পরিচ্ছেদঃ সওমের ব্যাপারে মেহমানের হক [বুখারী]
পরিচ্ছেদঃ সওম পালনের ব্যাপারে পরিবার-পরিজনের অধিকার [বুখারী]
পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি রমজান মাসে ইসলাম গ্রহণ করিল [মাজাহ]
পরিচ্ছেদঃ বাচ্চাদের সওম পালন করা [বুখারী]
পরিচ্ছেদঃ নফল রোযা রাখা ও ভেঙে ফেললে এবং রোযার কাযা [বুখারী] [তিরমিজি] [মুয়াত্তা]
পরিচ্ছেদঃ নফল সওমে শরীরের হক [বুখারী]
পরিচ্ছেদঃ কোন ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের মেহমান হলে তাহাদের অনুমতি ব্যতীত [নফল] রোযা রাখবে না [তিরমিজি]
পরিচ্ছেদঃ স্বামীর অনুমতি ছাড়া স্ত্রীর [নফল] রোযা আদায় করা মাকরূহ্‌ [তিরমিজি]

পরিচ্ছেদঃ পুরা বছর সওমে বিসাল বা বিরামহীন সওম [বুখারী] [তিরমিজি] [নাসাঈ] [মুয়াত্তা]
পরিচ্ছেদঃ অধিক পরিমাণে সওমে বিসালকারীর শাস্তি [বুখারী]
পরিচ্ছেদঃ সারা বছরের দুই-তৃতীয়াংশকাল সাওম [রোজা] পালন করা [নাসাঈ]
পরিচ্ছেদঃ সাহরীর সময় পর্যন্ত সওমে বিসাল করা [বুখারী]
পরিচ্ছেদঃ মাসে তিন দিন বা ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ এর সওম [বুখারী] [তিরমিজি] [নাসাঈ]
পরিচ্ছেদঃ একদিন সাওম পালন করা এবং একদিন সাওম ভঙ্গ করা [নাসাঈ]
পরিচ্ছেদঃ সাওমে হ্রাস-বৃদ্ধি করা [নাসাঈ]
পরিচ্ছেদঃ মাসে দশ দিন সাওম [রোজা] পালন করা [নাসাঈ]
পরিচ্ছেদঃ মাসের পাচ দিন সাওম [রোজা] পালন করা [নাসাঈ]
পরিচ্ছেদঃ মাসে চার দিন সাওম [রোজা] পালন করা [নাসাঈ]
পরিচ্ছেদঃ প্রতি মাসে দুই দিন সাওম [রোজা] পালন করা
পরিচ্ছেদঃ শনিবারের রোযা পালন প্রসঙ্গে [তিরমিজি]
পরিচ্ছেদঃ সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোযা রাখা [মাজাহ] [তিরমিজি]
পরিচ্ছেদঃ বুধবার ও বৃহস্পতিবারের রোযা রাখা প্রসঙ্গে [তিরমিজি]
পরিচ্ছেদঃ হারাম মাসসমূহের রোযা [মাজাহ]
পরিচ্ছেদঃ মাসের শেষভাগে রোজা [বুখারী]
পরিচ্ছেদঃ শাবান মাস এর সওম [বুখারী] [মাজাহ] [তিরমিজি]
পরিচ্ছেদঃ জুমুআর দিনে রোজা করা [বুখারী] [তিরমিজি]
পরিচ্ছেদঃ রোজার উদ্দেশে কোন দিন কি নির্দিষ্ট করা যায় [বুখারী]
পরিচ্ছেদঃ আরাফাতের দিবসে সওম করা [বুখারী] [তিরমিজি]
পরিচ্ছেদঃ আরাফাতে অবস্থানকালে সে দিনের রোযা পালন করা মাকরূহ্‌ [তিরমিজি]
পরিচ্ছেদঃ মুহার্‌রামের রোযা [তিরমিজি]
পরিচ্ছেদঃ ঈদুল ফিতরের দিবসে সওম করা [বুখারী]
পরিচ্ছেদঃ শাওয়াল মাসের ছয় দিন রোযা পালন করা [তিরমিজি]
পরিচ্ছেদঃ যুলহিজ্জা মাসের [প্রথম] দশ দিন রোযা ও সৎকাজের পালন প্রসঙ্গে [তিরমিজি]
পরিচ্ছেদঃ ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা দিবসে রোজা [বুখারী] [মুয়াত্তা]
পরিচ্ছেদঃ আইয়্যামে তাশরীকে সওম করা [বুখারী] [তিরমিজি] [বুলুগুল]
পরিচ্ছেদঃ আশুরার দিনে সওম করা [বুখারী] [মাজাহ] [তিরমিজি] [মুয়াত্তা]
পরিচ্ছেদঃ কোন্‌টি আশূরার দিন [তিরমিজি]

পরিচ্ছেদ ১ঃ রমযানের সাওম ওয়াজিব হওয়া সম্পর্কে

মহান আল্লাহর বাণীঃ

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ كُتِبَ عَلَيۡكُمُ ٱلصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى ٱلَّذِينَ مِن قَبۡلِكُمۡ لَعَلَّكُمۡ تَتَّقُونَ

“হে মুমিনগন! তোমাদের জন্য সিয়াম ফরয করা হল, যেমন ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর, যেন তোমরা মুত্তাকী হইতে পার।”

[আল-বাকারাহঃ ১৮২] [বুখারিতে, আব এই আয়াত উল্লেখ করা হয়েছে]

মহান আল্লাহর বাণীঃ

أُحِلَّ لَكُمۡ لَيۡلَةَ ٱلصِّيَامِ ٱلرَّفَثُ إِلَىٰ نِسَآئِكُمۡۚ هُنَّ لِبَاسٞ لَّكُمۡ وَأَنتُمۡ لِبَاسٞ لَّهُنَّۗ عَلِمَ ٱللَّهُ أَنَّكُمۡ كُنتُمۡتَخۡتَانُونَ أَنفُسَكُمۡ فَتَابَ عَلَيۡكُمۡ وَعَفَا عَنكُمۡۖ فَٱلۡـَٰٔنَ بَٰشِرُوهُنَّ وَٱبۡتَغُواْ مَا كَتَبَ ٱللَّهُ لَكُمۡۚ وَكُلُواْ وَٱشۡرَبُواْ حَتَّىٰ يَتَبَيَّنَ لَكُمُ ٱلۡخَيۡطُ ٱلۡأَبۡيَضُ مِنَ ٱلۡخَيۡطِ ٱلۡأَسۡوَدِ مِنَٱلۡفَجۡرِۖ ثُمَّ أَتِمُّواْ ٱلصِّيَامَ إِلَى ٱلَّيۡلِۚ وَلَا تُبَٰشِرُوهُنَّ وَأَنتُمۡ عَٰكِفُونَ فِي ٱلۡمَسَٰجِدِۗ تِلۡكَ حُدُودُ ٱللَّهِ فَلَا تَقۡرَبُوهَاۗ كَذَٰلِكَ يُبَيِّنُ ٱللَّهُ ءَايَٰتِهِۦ لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمۡ يَتَّقُونَ

সিয়ামের রাতে তোমাদের জন্য তোমাদের স্ত্রীদের নিকট গমন হালাল করা হয়েছে। তারা তোমাদের জন্য পরিচ্ছদ এবং তোমরা তাদের জন্য পরিচ্ছদ। আল্লাহ জেনেছেন যে, তোমরা নিজদের সাথে খিয়ানত করছিলে। অতঃপর তিনি তোমাদের তাওবা কবূল করেছেন এবং তোমাদেরকে ক্ষমা করেছেন। অতএব, এখন তোমরা তাদের সাথে মিলিত হও এবং আল্লাহ তোমাদের জন্য যা লিখে দিয়েছেন, তা অনুসন্ধান কর। আর আহার কর ও পান কর যতক্ষণ না ফজরের সাদা রেখা কাল রেখা থেকে স্পষ্ট হয়। অতঃপর রাত পর্যন্ত সিয়াম পূর্ণ কর। আর তোমরা মাসজিদে ইতিকাফরত অবস্থায় স্ত্রীদের সাথে মিলিত হয়ো না। এটা আল্লাহর সীমারেখা, সুতরাং তোমরা তার নিকটবর্তী হয়ো না। এভাবেই আল্লাহ তাঁর আয়াতসমূহ মানুষের জন্য স্পষ্ট করেন যাতে তারা তাকওয়া অবলম্বন করে।

[আল-বাকারাহঃ ১৮৬] [বুখারিতে, মুসলিম এই আয়াত উল্লেখ করা হয়েছে]

পরিচ্ছেদ ২ঃ নতুন চাঁদ দেখে পড়ার দো‘আ

ত্বালহা ইবনে উবাইদুল্লাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

নবী (সাঃআঃ) যখন নতুন চাঁদ দেখতেন তখন এই দু‘আ পড়তেন,

اَللهم أَهِلَّهُ عَلَيْنَا بِالأَمْنِ وَالإيمانِ، وَالسَّلاَمَةِ وَالإسْلاَمِ، رَبِّي وَرَبُّكَ اللهُ، هِلالُ رُشْدٍ وخَيْرٍ

“আল্লা-হুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিল আমনি অলঈমা-নি অসসালা-মাতি অলইসলা-ম, রাববী অরাববুকাল্লা-হ, (হিলালু রুশ্‌দিন অখায়র), অর্থ- হে আল্লাহ! তুমি ঐ চাঁদকে আমাদের উপর উদিত কর নিরাপত্তা, ঈমান, শান্তি ও ইসলামের সাথে। (হে চাঁদ) আমার ও তোমার প্রতিপালক আল্লাহ। (হেদায়াত ও কল্যাণময় চাঁদ!)

[তিরমিজি ৩৪৫১] [রিয়াদুস সালিহিন ১২৩৬, হাসান]

মাওয়ান ইবনি সালিম আল-মুকাফফা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

আমি ইবনি উমার [রাদি.] -কে তার দাড়ি মুষ্টিবদ্ধ করে ধরে মুষ্টির বাড়তি অংশ কেটে ফেলতে দেখেছি। আর তিনি বলিয়াছেন, নাবী [সাঃআঃ] ইফতারের সময় বলিতেনঃ

ذَهَبَ الظَّمَأُ وَابْتَلَّتِ الْعُرُوقُ وَثَبَتَ الأَجْرُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ

যাহাবায যামা-উ অবতাল্লাতিল উরুকু অষাবাতাল আজরু ইন শা-আল্লাহ।” পিপাসা দূরীভূত হয়েছে, শিরা-উপশিরাগুলো সিক্ত হয়েছে এবং ইনশাআল্লাহ প্রতিদানও নির্ধারিত হয়েছে।

[আবু দাউদ ২৩৫৭, হাসান] [রিয়াদুস সালেহিন ১২৪৭, হাসান]

মুয়ায ইবনি যুহরা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তাহাঁর নিকট হাদিস পৌঁছেছে যে, নাবী [সাঃআঃ] ইফতারের সময় বলিতেনঃ

 اللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَعَلَى رِزْقِكَ أَفْطَرْتُ 

“আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু ওয়া আলা রিযক্বিক্বা আফতারতু”। অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার উদ্দেশ্যেই সওম পালন করেছি এবং আপনার দেয়া রিযিক দ্বারাই ইফতার করেছি। {২৩৫৮}

[আবু দাউদ ২৩৫৮ দুর্বল]

ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

এক বেদুইন নবী [সাঃআঃ]-এর নিকট এসে বলল, আমি আজ রাতে [সন্ধ্যায়] নতুন চাঁদ দেখেছি। তিনি বলেন, তুমি কি সাক্ষ্য দাও যে,

 أَتَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللهِ

আশহাদু আন লা ইলাহা ইল্লাললাহু ওয়া আন্না মুহাম্মাদান রসুলুহ “আল্লাহ্‌ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ আল্লাহ্‌র রসূল”?

সে বলল, হাঁ। তিনি বলেন, হে বিলাল! ওঠো এবং লোকদের মধ্যে ঘোষণা দাও যে, তাহারা যেন আগামীকাল থেকে রোযা রাখে। {১৬৫২}

[ইবনে মাজাহ দুর্বল ১৬৫২]

আবদুল্লাহ বিন আম্‌র ইবনিল আস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ ইফতারের সময় রোযাদারের অবশ্যই একটি দুআ আছে, যা রদ হয় না [কবুল হয়]। বিন আবু মুলাইকা [রাদি.] বলেন, আমি আবদুল্লাহ বিন আমর [রাদি.]-কে ইফতারের সময় বলিতে শুনেছিঃ

اللّٰهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِرَحْمَتِكَ الَّتِي وَسِعَتْ كُلَّ شَيْءٍ أَنْ تَغْفِرَ لِي

আল্লাহুম্মা ইন্নি আসয়ালুকা বি রাহমাতিকাল্লাতি ওয়া সিয়াত কুল্লা সাইইন আন তাগফিরলি, “হে আল্লাহ্‌! আমি আপনার দয়া ও অনুগ্রহ প্রার্থনা করছি যা সব কিছুর উপর পরিব্যাপ্ত, যেন আপনি আমাকে ক্ষমা করেন”। {১৭৫৩}

[ইবনে মাজাহ দুর্বল ১৭৫৩]

اللَّهُ أَكْبَرُ، اللَّهُمَّ أَهِلَّهُ عَلَيْنَا بِالْأَمْنِ وَالْإِيمَانِ، وَالسَّلاَمَةِ وَالْإِسْلاَمِ، وَالتَّوْفِيقِ لِمَا تُحِبُّ رَبَّنَا وَتَرْضَى، رَبُّنَا وَرَبُّكَ اللَّهُ

(আল্লা-হু আকবার, আল্লা-হুম্মা আহিল্লাহু ‘আলাইনা বিলআমনি ওয়ালঈমানি ওয়াস্‌সালা-মাতি ওয়াল-ইসলা-মি, ওয়াত্তাওফীকি লিমা তুহিব্বু রব্বানা ওয়া তারদ্বা, রব্বুনা ওয়া রব্বুকাল্লাহ) “আল্লাহ সবচেয়ে বড়। হে আল্লাহ! এই নতুন চাঁদকে আমাদের উপর উদিত করুন নিরাপত্তা, ঈমান, শান্তি ও ইসলামের সাথে; আর হে আমাদের রব্ব! যা আপনি পছন্দ করেন এবং যাতে আপনি সন্তুষ্ট হন তার প্রতি তাওফীক লাভের সাথে। আল্লাহ আমাদের রব্ব এবং তোমার (চাঁদের) রব্ব।”

তিরমিযী ৫/৫০৪, নং ৩৪৫১; আদ-দারিমী, শব্দ তাঁরই, ১/৩৩৬। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ৩/১৫৭।

পরিচ্ছেদ ৪ঃ রোজার নিয়ত

নাফি [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ্ ইবনি উমার [রাদি.] বলিতেন, যে ফজরের পূর্বে নিয়ত করেনি, সে রোযা রাখবে না।

ইবনি শিহাব [রাহিমাহুল্লাহ] কর্তৃক নাবী সাঃআঃ-এর সহধর্মিনী আয়েশা [রাদি.] ও হাফসা [রাদি.] হইতে অনুরূপ [মত] বর্ণনা করা হয়েছে। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]

মুয়াত্তা মালিক ৬২১ তাহকিকঃ নির্ণীত নয়

সালমা ইবনু আকওয়া (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ

আশূরার দিন নাবী (সাঃআঃ) এক ব্যক্তিকে এ বলে লোকদের মধ্যে ঘোষণা দেয়ার জন্য পাঠালেন যে, যে ব্যক্তি খেয়ে ফেলেছে সে যেন পূর্ণ করে নেয় অথবা বলেছেন, সে যেন সাওম আদায় করে নেয় আর যে এখনো খায়নি সে যেন আর না খায়।

[সহীহ বুখারী ১৯২৪]

হাফসাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রাত থাকতে ফরদ রোযাহার নিয়াত করিল না তাহার রোযা হয়নি। {১৭০০}

ইবনে মাজাহ ১৭০০, সহীহ হাদিস

পরিচ্ছেদ ৫ঃ সেহরির খাওয়া শুরু করা

সামুরা্হ ইবনি জুনদুব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

একদা সামুরা্হ ইবনি জুনদুব [রাদি.] খুত্ববাহ প্রদানের সময় বলিলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ বিলালের আযান যেন তোমাদেরকে পানাহার থেকে বিরত না রাখে, আর না [পূর্ব] আকাশের শুভ্র আলো যতক্ষন না পূর্ব দিগন্তে বিস্তৃত হয়।

আবু দাউদ ২৩৪৬, সহিহ,
তিরমিজি ৭০৬ -সহীহ্‌, সহীহ্‌ আবু দাঊদ [২০৩১], মুসলিম আবু ঈসা এ হাদীসটিকে হাসান সহীহ্‌ বলেছেন। রোজার হাদীস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

আবদুল্লাহ ইবনি মাসউদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, বিলালের আযান যেন তোমাদের কাউকে তাহার সাহরী খাওয়া থেকে বিরত না রাখে। কেননা সে তোমাদের ঘুমন্ত ব্যক্তিকে জাগাবার বা সতর্ক করার জন্য এবং তোমাদের সলাতীকে সলাতে রত বা অবসর হওয়ার জন্য আযান দিয়ে থাকে। আর এ সময়কে ফজর বলা হয় না, বরং উর্ধাকাশে আড়াআড়িভাবে সাদা আভা প্রকাশ পাওয়াই ফজর।

আবু দাউদ ২৩৪৭ সহিহ, ইবনে মাজাহ ১৬৯৬ সহিহ, {১৬৯৬} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ৬২১, ৫২৯৯, ৭২৪৭, মুসলিম ১০৯৩, নাসাঈ ৬৪১, ২১৭০,আবু দাউদ ২৩৪৭ আহমাদ ৩৬৪৬, ৩৭০৯, ৪১৩৬,

পরিচ্ছেদ ৬ঃ সেহরির সময়

আদী ইবনি হাতিম [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, যখন এ আয়াত অবতীর্ণ হলোঃ

حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الأَسْوَدِ

হাত্তা ইয়াতাবাইনা লাকুমুল খাইতুল আবইয়াদু মিনাল খাইতিল আসওয়াদ, তোমরা পানাহার করো যতক্ষণ না রাতের কালো সুতা থেকে ভোরের সাদা সুতা [রেখা] স্পষ্টরুপে তোমাদের নিকট প্রতিভাত হয় [সুরাহ আল- বাক্বারাহঃ ১৮৭]।

لَكُمُ يَتَبَيَّنَ حَتَّى যতক্ষণ
مِنَ الأَبْيَضُ الْخَيْطُ
الأَسْوَدِالْخَيْطِ

তখন আমি একটি কালো ও একটি সাদা রংয়ের সুতা নিয়ে আমার বালিশের নীচে রাখি। এরপর আমি তা দেখিতে থাকি কিন্তু স্পষ্টভাবে দেখিতে পেলাম না। আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর কাছে গিয়ে বিষয়টি উল্লেখ করলে তিনি হেসে উঠলেন এবং বলিলেন, বালিশ তো দৈর্ঘ্য প্রস্থকারী। বরং এটা হচ্ছে রাত ও দিন। উসমানের বর্ণনায় রয়েছেঃ তা তো রাতের অন্ধকার ও দিনের শুভ্রতা।

[বুখারি ১৯১৬] আবু দাউদ ২৩৪৯, সহিহ হাদিস
বারা (রাদি.) হইতে বর্ণিত, [বুখারি ১৯১৫]

যাইদ ইবনি সাবিত [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমরা আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) এর সঙ্গে সাহরী খাই এরপর তিনি সলাতের জন্য দাঁড়ান। বর্ণনাকারী বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, আযান ও সাহরীর মাঝে কতটুকু ব্যবধান ছিল? তিনি বলিলেন, পঞ্চাশ আয়াত (পাঠ করা) পরিমাণ।

সহীহ বুখারী ১৯২১, তিরমিজি ৭০৩, সহীহ হাদীস, ইবনে মাজাহ ১৬৯৪

তাল্‌ক ইবনি আলী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ খাও এবং পান করো। উর্ধাকাশে ভোরের যে লম্বা রেখা ফুটে উঠে, তা যেন তোমাদেরকে [সাহরী খাওয়া থেকে] বিরত না রাখে। সুতরাং আকাশের দিগন্তে লাল রঙ্গের ফর্সা উঠা পর্যন্ত তোমরা খাও এবং পান করো।

আবু দাউদ ২৩৪৮, হাসান সহিহ,
তিরমিজি ৭০৫ হাসান সহিহ,

পরিচ্ছেদ ৭ঃ বিলম্ব করে সেহরি খাওয়া

আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ যখন তোমাদের কেউ ফাজরের আযান শুনতে পায় অথচ খাবারের পাত্র তার হাতে থাকে, সে যেন তা রেখে না দেয় যতক্ষন না তার প্রয়োজন পূরণ হয়।

আবু দাউদ ২৩৫০, হাসান সহিহ

হুযায়ফাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

একদা আমি রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সঙ্গে বলিতে গেলে দিনেই সাহরী খেয়েছি, পার্থক্য এতটুকু যে, তখনও সূর্য উদিত হয়নি। {১৬৯৫}

ইবনে মাজাহ ১৬৯৫ {১৬৯৫} নাসাঈ ২১৫২, হাসান হাদিস

তিরমিজি ৭০৪. হিশাম [রঃ] হইতে বর্ণীতঃ

উপরোক্ত হাদীসের ন্যায় বর্ণনা করিয়াছেন হান্নাদ ওয়াকী হইতে, তিনি হিশাম হইতে। তাতে আছে “পঞ্চাশ আয়াত পাঠের সমপরিমাণ”। হুযাইফা [রাদি.] হইতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবু ঈসা যাইদ ইবনি সাবিত [রাদি.] হইতে বর্ণিত হাদীসটিকে হাসান সহীহ্‌ বলেছেন। এরকম মতই ঈমাম শাফি, আহ্‌মাদ ও ইসহাকের। বিলম্ব করে সাহ্‌রী খাওয়াকে তাঁরা মুস্তাহাব বলেছেন।

রোজার হাদীস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়

পরিচ্ছেদ ৮ঃ ইফতারের সময় দুআ পাঠ

মাওয়ান ইবনি সালিম আল-মুকাফফা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

আমি ইবনি উমার [রাদি.] -কে তার দাড়ি মুষ্টিবদ্ধ করে ধরে মুষ্টির বাড়তি অংশ কেটে ফেলতে দেখেছি। আর তিনি বলিয়াছেন, নাবী [সাঃআঃ] ইফতারের সময় বলিতেনঃ

 ذَهَبَ الظَّمَأُ وَابْتَلَّتِ الْعُرُوقُ وَثَبَتَ الأَجْرُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ

যাহাবায যামা-উ অবতাল্লাতিল উরুকু অষাবাতাল আজরু ইন শা-আল্লাহ।” পিপাসা দূরীভূত হয়েছে, শিরা-উপশিরাগুলো সিক্ত হয়েছে এবং ইনশাআল্লাহ প্রতিদানও নির্ধারিত হয়েছে।

আবু দাউদ ২৩৫৭, হাসান হাদিস

মুয়ায ইবনি যুহরা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তাহাঁর নিকট হাদিস পৌঁছেছে যে, নাবী [সাঃআঃ] ইফতারের সময় বলিতেনঃ

 اللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَعَلَى رِزْقِكَ أَفْطَرْتُ 

“আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু ওয়া আলা রিযক্বিক্বা আফতারতু”। অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার উদ্দেশ্যেই সওম পালন করেছি এবং আপনার দেয়া রিযিক দ্বারাই ইফতার করেছি। {২৩৫৮}

صُمْتُ لَكَاللَّهُمَّ
সওম আপনার উদ্দেশ্যেইহে আল্লাহ
أَفْطَرْتُ رِزْقِكَ وَعَلَى
ইফতার করেছিআপনার দেয়া রিযিকএবং তারপরে

আবু দাউদ ২৩৫৮ দুর্বল

পরিচ্ছেদ ৯ঃ শীঘ্র ইফতার করা

সাহল ইবনু সাদ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) বলেছেন: লোকেরা যতদিন শীঘ্র ইফতার করিবে, ততদিন তারা কল্যাণের উপর থাকবে।

[সহীহ বুখারী ১৯৫৭, আবু দাউদ ২২৫৩, ইবনু মাজাহ ১৬৯৮] ইবনে মাজাহ ১৬৯৭, সহীহ, তিরমিজি ৬৯৯, মুয়াত্তা মালিক ৬২২ সহীহ 

সাঈদ ইবনি মুসায়্যাব [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেন, মানুষ সর্বদা মঙ্গলের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকিবে যতদিন ইফতার সত্বর করিবে। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]

মুয়াত্তা মালিক ৬২৩

আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ দ্বীন বিজয়ী থাকিবে যতদিন লোকেরা অবিলম্বে ইফতার করিবে। কেননা ইহুদী ও খৃস্টানরা বিলম্বে ইফতার করে।

আবু দাউদ ২৩৫৩, হাসান হাদিস
ইবনে মাজাহ ১৬৯৮ {১৬৯৮} আবু দাউদ ২৩৫৩, আহমাদ ২৭২১৮, মিশকাত ১৯৯৫, সহীহ আবু দাউদ ২০৩৮। হাসান সহীহ

আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা বলেনঃ আমার বান্দাদের মাঝে যারা তাড়াতাড়ি ইফ্তার করে তারাই আমার বেশী প্রিয়।

তিরমিজি ৭০০, যঈফ, মিশকাত [১৯৮৯], তালীকুর রাগীব [২/৯৫], তালীকুল জিয়াদ। দুর্বল হাদীস
তিরমিজি ৭০১. আব্দুল্লাহ ইব্‌নু আবদুর রহমান হইতে বর্ণীতঃ যঈফঃ দেখুন পূর্বের হাদীস। আবু ঈসা বলেন, এই হাদীসটি হাসান গারীব। রোজার হাদীস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ দুর্বল হাদীস

ইবনু আবু আওফা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক সফরে আমি নাবী (সাঃআঃ)-এর সঙ্গে ছিলাম। তিনি সন্ধ্যা পর্যন্ত সাওম পালন করেন। এরপর এক ব্যক্তিকে বললেনঃ সওয়ারী হইতে নেমে ছাতু গুলে আন। লোকটি বলিল, আপনি যদি (পূর্ণ সন্ধ্যা হওয়া পর্যন্ত) অপেক্ষা করিতেন। তিনি আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) পুনরায় বললেনঃ নেমে আমার জন্য ছাতু গুলে আন। [তারপর আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) বলিলেন] যখন তুমি এদিক (পূর্বদিক) হইতে রাত্রির আগমন দেখিতে পাবে তখন সাওম পালনকারী ইফতার করিবে।

সহীহ বুখারী ১৯৫৮

আবু আত্বিয়্যাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, একদা আমি ও মাসরূক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] আয়িশাহ [রাদি.] -এর নিকট গিয়ে বলি, হে উম্মুল মুমিনীন! মুহাম্মাদ [সাঃআঃ] এর দুইজন সাহাবীর একজন সূর্যাস্তের সাথে সাথে ইফতার করেন এবং খুব তাড়াতাড়ি [মাগরিবের] সলাত আদায় করে নেন। আর দ্বিতীয়জন বিলম্বে ইফতার করেন এবং সলাতও বিলম্বে আদায় করেন। তিনি বলিলেন, তাহাদের মধ্যে কে ইফতার অনতিবিলম্বে করেন এবং সলাত তারাতারি আদায় করেন? আমরা বলিলাম, তিনি হচ্ছেন আবদুল্লাহ ইবনি মাসউদ [রাদি.]। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এরূপই করিতেন।

আবু দাউদ ২৩৫৪, সহিহ হাদিস
তিরমিজি ৭০২ -সহীহ্‌, সহীহ আবু দাঊদ [২০৩৯], মুসলিম। সহীহ হাদীস

পরিচ্ছেদ ১০ঃ ইফতার এর সময়

উমার ইবনু খাত্তাব (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) বলেছেনঃ যখন রাত্র সে দিক [পূর্বদিকে] হইতে ঘনিয়ে আসে ও দিন এ দিক [পশ্চিম দিক] হইতে চলে যায় এবং সূর্য ডুবে যায়, তখন রোজাদার ইফতার করিবে।

সহীহ বুখারী ১৯৫৪, আবু দাউদ ২৩৫১

আবদুল্লাহ ইবনু আবু আওফা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, কোন এক সফরে আমরা আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ)-এর সাথে ছিলাম। আর তিনি ছিলেন সওমের অবস্থায়। যখন সূর্য ডুবে গেল তখন তিনি দলের কাউকে বললেনঃ হে অমুক! উঠ। আমাদের জন্য ছাতু গুলে আন। সে বলিল, সন্ধ্যা হলে ভাল হতো। তিনি বললেনঃ নেমে যাও এবং আমাদের জন্য ছাতু গুলে আন। সে বলিল, হে আল্লাহর রাসুল! সন্ধ্যা হলে ভাল হতো। তিনি বললেনঃ নেমে যাও এবং আমাদের জন্য ছাতু গুলে আন। সে বলিল, দিন তো এখনো রয়ে গেছে। তিনি বললেনঃ তুমি নামো এবং আমাদের জন্য ছাতু গুলে আন। অতঃপর সে নামল এবং তাঁদের জন্য ছাতু গুলে আনল। আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) তা পান করিলেন, অতঃপর বললেনঃ যখন তোমরা দেখবে, রাত একদিক হইতে ঘনিয়ে আসছে, তখন সাওম পালনকারী ইফতার করিবে।

সহীহ বুখারী ১৯৫৫, আবু দাউদ ২৩৫২ (সহীহ)

পরিচ্ছেদ ১১ঃ সূর্যাস্তের পূর্বে ইফতার করলে

আসমা বিনতু আবু বাকর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর সময় রমযানে এক মেঘাচ্ছন্ন দিনে ইফতার করার পর সূর্য প্রকাশ হয়ে পড়লো। আবু উসামাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, আমি হিশামকে বলিলাম, তাহাদেরকে কি তা কাযা করার নির্দেশ করা হয়েছিলো? তিনি বলিলেন, তা অবশ্যই করণীয়।

আবু দাউদ ২৩৫৯, সহিহ হাদিস

পরিচ্ছেদ ১২ঃ কোনো পরিবারের কাছে ইফতার করলে তাদের জন্য দো‘আ

أَفْطَرَ عِنْدَكُمُ الصَّائِمُونَ، وَأَكَلَ طَعَامَكُمُ الْأَبْرَارُ، وَصَلَّتْ عَلَيْكُمُ الْمَلاَئِكَةُ

 (আফত্বারা ইন্দাকুমুস সা-ইমূন, ওয়া আকালা ত্বা‘আ-মাকুমুল আবরা-রু, ওয়াসাল্লাত আলাইকুমুল মালা-ইকাহ) “আপনাদের কাছে সাওম পালনকারীরা ইফতার করুন, আপনাদের খাবার যেন সৎলোকেরা খায়, আর আপনাদের জন্য ফিরিশতারা ক্ষমা প্রার্থনা করুন।”

সুনান আবি দাউদ ৩/৩৬৭, নং ৩৮৫৬; ইবন মাজাহ ১/৫৫৬, নং ১৭৪৭; নাসাঈ, আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লাইলাহ, নং ২৯৬-২৯৮। আর সেখানে স্পষ্টভাবে বর্ণিত আছে যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন তার পরিবারের কাছে ইফতার করতেন তখন তা বলতেন। আর শাইখ আলবানী তাঁর সহীহ আবি দাউদে একে সহীহ বলেছেন, ২/৭৩০।

পরিচ্ছেদ ১৩ঃ সাওম পালনকারীকে কেউ গালি দিলে যা বলবে

إِنِّي صَائِمٌ، إِنِّي صَائِمٌ

(ইন্নি সা‘ইমুন, ইন্নি সা’ইমুন)

১৮৬- “নিশ্চয় আমি সাওম পালনকারী, নিশ্চয় আমি সাওম পালনকারী।”

বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ৪/১০৩, নং ১৮৯৪; মুসলিম, ২/৮০৬, নং ১১৫১।

পরিচ্ছেদ ৩ঃ রোযার চাঁদ দেখা ও রমযানের রোযা খোলার বর্ণনা

১৯০৬. আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) রমযানের কথা আলোচনা করে বললেনঃ চাঁদ না দেখে তোমরা সাওম পালন করিবে না এবং চাঁদ না দেখে ইফ্‌তার করিবে না। যদি মেঘাচ্ছন্ন থাকে তাহলে তার সময় (ত্রিশ দিন) পরিমাণ পূর্ণ করিবে।

১৯০৭. আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) বলেছেনঃ মাস ঊনত্রিশ রাত বিশিষ্ট হয়। তাই তোমরা চাঁদ না দেখে সাওম শুরু করিবে না। যদি আকাশ মেঘাবৃত থাকে তাহলে তোমরা ত্রিশ দিন পূর্ণ করিবে।

১৯০৮. ইবনু উমার (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) (দুহাতের আঙ্গুলি তুলে ইঙ্গিত করে) বলেনঃ মাস এত এত দিনে হয় এবং তৃতীয় বার বৃদ্ধাঙ্গুলিটি বন্ধ করে নিলেন।

১৯০৯. আবু হুরায়রা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) অথবা বলেন, আবুল কাসিম (সাঃআঃ) বলেছেনঃ তোমরা চাঁদ দেখে সিয়াম আরম্ভ করিবে এবং চাঁদ দেখে ইফ্‌তার করিবে। আকাশ যদি মেঘে ঢাকা থাকে তাহলে শাবানের গণনা ত্রিশ দিন পুরা করিবে।

১৯১০.উম্মু সালামাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) এক মাসের মত তাহাঁর স্ত্রীদের সাথে ঈলা করিলেন। ঊনত্রিশ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর সকালে বা সন্ধ্যায় তিনি তাঁদের নিকট গমন করিলেন। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হল, আপনি তো এক মাস পর্যন্ত না আসার শপথ করেছিলেন? তিনি বলিলেন, মাস ঊনত্রিশ দিনেও হয়ে থাকে।

১৯১১. আনাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) তাহাঁর স্ত্রীদের সাথে ঈলা করিলেন। এ সময় তাহাঁর পা মচকে গিয়েছিল। তখন তিনি উপরের কামরায় ঊনত্রিশ রাত অবস্থান করেন। এরপর তিনি নেমে আসলে সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করিলেন, হে আল্লাহর রাসুল! আপনি তো এক মাসের জন্য ঈলা করেছিলেন। তিনি বললেনঃ মাস ঊনত্রিশ দিনেও হয়ে থাকে।


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply