রমজান মাসের ফযিলত, সাহরী ও ইফত্বার এর নিয়ম
রমজান মাসের ফযিলত >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন
১. অধ্যায়ঃ রমাযান মাসের ফযিলত
২. অধ্যায়ঃ চাঁদ দেখে সিয়াম পালন করা, চাঁদ দেখে ইফতার করা এবং মাসের প্রথম বা শেষ দিন মেঘাছন্ন থাকলে ত্রিশ দিনে মাস পুরা করা।
৩. অধ্যায়ঃ রমাযানের এক বা দুদিন পূর্বে সিয়াম পালন না করা
৪. অধ্যায়ঃ মাস ঊনত্রিশ দিনেও হয়
৫. অধ্যায়ঃ নিজ নিজ শহরে চন্দ্রোদয়ের হিসাব অনুযায়ী কাজ করিতে হইবে, এক শহরের চন্দ্রোদয়ের হুকুম উল্লেখযোগ্য দূরত্বে অবস্থিত অন্য শহরের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
৬. অধ্যায়ঃ চাঁদের আকারে [ত্রিশতম রাতে] ছোট বা বড় দেখা গেলে তাতে হুকুমের কোন পার্থক্য হইবে না, আল্লাহ তাআলা চাঁদকে দৃষ্টিগোচর হওয়ার উপযোগী করে দেন, আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে মাসের ত্রিশদিন পূর্ণ করিতে হইবে
৭. অধ্যায়ঃ মহানবী [সাঃআঃ]-এর বাণী : “ঈদের দুমাস অসম্পূর্ণ হয় না”
৮. অধ্যায়ঃ সুবহে সাদিকের পূর্বে পানাহার করা বৈধ, তবে সুবহে সাদিকের সাথে সাথেই সওম আরম্ভ হয়ে যায়, কুরআনে বর্ণিত ফাজ্র শব্দের অর্থ হচ্ছে সুব্হি সাদিক, এ সময় হইতেই সওম আরম্ভ হয় এবং ফাজ্বরের নামাজের সময় শুরু হয়, সওমের বিধি-বিধানের সাথে সুব্হি কাযিবের কোন সম্পর্ক নেই
৯. অধ্যায়ঃ সাহরীর ফযিলত, সাহরী খাওয়া মুস্তাহাব, এর প্রতি গুরুত্বারোপ এবং সাহরী বিলম্বে খাওয়া ও ইফত্বার তাড়াতাড়ি করা মুস্তাহাব
১০. অধ্যায়ঃ সওমের সময় পূর্ণ হওয়া এবং দিবস সমাপ্ত হওয়া
১. অধ্যায়ঃ রমজান মাসের ফযিলত
২৩৮৫. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ রমজান মাস আসলে জান্নাতের দরজাসমূহ উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয় এবং শাইত্বনগুলোকে শিকলে বন্দী করা হয়।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৩৬২, ইসলামিক সেন্টার-২৩৬৩]
২৩৮৬. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ রমজান মাস উপস্থিত হলে রহমাতের দরজাসমূহ উন্মুক্ত করে দেয়া হয়, জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয় এবং শাইত্বনগুলোকে শিকলে আবদ্ধ করা হয়।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৩৬৩, ইসলামিক সেন্টার-২৩৬৪]
২৩৮৭. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যখন রমজান মাস আসে … এরপর তিনি অনুরূপ বর্ণনা করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৩৬৪, ইসলামিক সেন্টার- ২৩৬৫]
২. অধ্যায়ঃ চাঁদ দেখে সিয়াম পালন করা, চাঁদ দেখে ইফতার করা এবং মাসের প্রথম বা শেষ দিন মেঘাছন্ন থাকলে ত্রিশ দিনে মাস পুরা করা।
২৩৮৮. আব্দুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] রমজান মাস প্রসঙ্গে আলোচনা করিলেন। তিনি বলিলেন, তোমরা [রমাযানের] চাঁদ না দেখে রোযা শুরু করিবে না এবং চাঁদ [শাও্ওয়াল মাসের চাঁদ] না দেখা পর্যন্ত ইফতারও করো না। আর আকাশ মেঘাছন্ন থাকলে ত্রিশদিন পূর্ণ কর।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৩৬৫, ইসলামিক সেন্টার- ২৩৬৬]
২৩৮৯. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] রমজান সম্পর্কে আলোচনা করিলেন। তিনি এক হাতের উপর অন্য হাত মেরে [ইঙ্গিত করে] বলিলেন, মাস এ রকম, এ রকম এবং তৃতীয়বারে বুড়ো আঙ্গুলটি বন্ধ করে হাত মারলেন [অর্থাৎ মাস ঊনত্রিশ দিনে]। তিনি পুনরায় বলিলেন, তোমরা চাঁদ দেখে সিয়াম পালন কর এবং চাঁদ দেখে ইফতার কর [অর্থাৎ ঈদ কর]। আর যদি আকাশ মেঘে ঢাকা থাকে তাহলে মাসের ত্রিশ দিন পূর্ণ কর। {১}
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৩৬৬, ইসলামিক সেন্টার- ২৩৬৭]
{১} অর্থাৎ ২৯শে শাবান ঝড় বৃষ্টির কারণে চাঁদ না দেখা যায় তবে শাবান মাস ত্রিশ পূর্ণ করে পরের দিন থেকে সওম পালন শুরু করিবে। অনুরূপভাবে ২৯শে রমাযানে আকাশ মেঘলা থাকার ফলে যদি চন্দ্র দৃষ্টিগোচর না হয় তবে রমজান ৩০ পূর্ণ করে পরের দিন ঈদুল ফিতর উদযাপন করিবে। অধিকাংশ মুহাদ্দিস এ হাদীসের এই অর্থ করিয়াছেন এবং অন্যান্য হাদীস ও বর্ণনা এ অর্থের পৃষ্টপোষকতা করে।
২৩৯০. উবায়দুল্লাহ [রাদি.] থেকে এ সূত্র হইতে বর্ণীতঃ
আবু উসামাহ্ বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। এতে আছেঃ মাস এরূপ, এরূপ এবং এরূপ। তিনি আরো বলেন, যদি আকাশ মেঘাচছন্ন থাকে তাহলে ত্রিশদিন পূর্ণ কর। হাদীসটি আবু উসামাহ্ কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৩৬৭, ইসলামিক সেন্টার- ২৩৬৮]
২৩৯১. উবায়দুল্লাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] রমজান মাসের কথা আলোচনা করে বলিলেন, মাস ঊনত্রিশ দিনেও হয়। এ সময় তিনি তাহাঁর হস্তদ্বয়ের আঙ্গুল দ্বারা ইঙ্গিত করে বলিলেন, মাস এতো দিনে হয়, মাস এতো দিনে হয়। তারপর বলিলেন, তোমরা পূর্ণ কর। কিন্ত ত্রিশ দিনের কথা উল্লেখ করেননি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৩৬৮, ইসলামিক সেন্টার- ২৩৬৯]
২৩৯২. উবায়দুল্লাহ [রাদি.] থেকে এ সূত্র হইতে বর্ণীতঃ
উপরের হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] রমজান মাস সম্পর্কে আলোচনা প্রসঙ্গে বলেনঃ মাস [কোন কোন সময়] ঊনত্রিশ দিনেও হয়ে থাকে। মাস এরূপ, এরূপ এবং এরূপ। তিনি পুনরায় বলেন, মাস গণনা কর। কিন্তু তিনি ত্রিশ দিনের কথা বলেননি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৩৬৯, ইসলামিক সেন্টার- ২৩৭০]
২৩৯৩. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ সাধারণত মাস ঊনত্রিশ দিনে হয়ে থাকে। তাই [রমাযানের] চাঁদ না দেখে সিয়াম পালন করো না এবং ইফতারও করো না। আর আকাশ মেঘে ঢাকা থাকলে মাসের ত্রিশদিন পূর্ণ কর।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৩৭০, ইসলামিক সেন্টার- ২৩৭১]
২৩৯৪. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ মাস ঊনত্রিশ দিনে হয়ে থাকে। তাই তোমরা নতুন চাঁদ দেখে সিয়াম রাখা শুরু করো এবং নতুন চাঁদ [শাও্ওয়ালের চাঁদ] দেখে ইফতার কর [ঈদ কর]। আর আকশ মেঘে ঢাকা থাকলে মাসের ত্রিশ দিন পূর্ণ কর”।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৩৭১, ইসলামিক সেন্টার- ২৩৭২]
২৩৯৫. আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে বলিতে শুনেছি, তোমরা চাঁদ দেখে সিয়াম পালন কর [রাখা শুরু কর] এবং চাঁদ দেখে ইফতার কর। আর যদি আকাশ মেঘাছন্ন থাকে তাহলে ত্রিশ দিনে মাস পূর্ণ কর।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৩৭২, ইসলামিক সেন্টার- ২৩৭৩]
২৩৯৬. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী [সাঃআঃ] কে বলিতে শুনেছিঃ এত দিনে, এত দিনে এবং এত দিনে মাস হয়। তৃতীয়বার তিনি তাহাঁর বৃব্ধাঙ্গুলটি বন্ধ করে রাখলেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৩৭৩, ইসলামিক সেন্টার- ২৩৭৪]
২৩৯৭. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে বলিতে শুনেছি, ঊনত্রিশ দিনেও মাস [পূর্ণ] হয়।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৩৭৪, ইসলামিক সেন্টার- ২৩৭৫]
২৩৯৮. আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] এর সূত্রে নবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, মাস এতো দিনে, এতো দিনে ও এতো দিনে হয়ে থাকে। এ সময় তিনি প্রথমে দশ আঙ্গুলে, দ্বিতীয়বার দশ আঙ্গুলে এবং তৃতীয়বার নয় আঙ্গুল দ্বারা ইশারা করিলেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৩৭৫, ইসলামিক সেন্টার- ২৩৭৬]
২৩৯৯. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ এত এত এবং এত দিনেও মাস হয়। তিনি দুবার হাত মেরে তাহাঁর সব আঙ্গুলগুলো খুলে ধরলেন এবং তৃতীয়বার তিনি বাম অথবা ডান হাতের বৃব্ধাঙ্গুলটি বন্ধ করে রাখলেন [অর্থাৎ ইঙ্গিত করে দেখালেন, কোন কোন মাস ঊনত্রিশ দিনে হয়]।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৩৭৬, ইসলামিক সেন্টার- ২৩৭৭]
২৪০০. উক্কবাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি ইবনি উমর [রাদি.] – কে বলিতে শুনেছি, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ ঊনত্রিশ দিনেও মাস হয়। শুবাহ এ হাদীস বর্ণনা করার সময় তাহাঁর দুহাত তিনবার বন্ধ করে দেখালেন এবং তৃতীয়বার তাহাঁর বুড়ো আঙ্গুলটি বাঁকা [নীচু] করে রাখলেন।
উক্কবাহ্ [রাদি.] বলেন, আমার মনে হয় তিনি বলেছিলেন, মাস ত্রিশ দিনেও হয় এবং দুহাত তিনবার বন্ধ করেছিলেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৩৭৭, ইসলামিক সেন্টার- ২৩৭৮]
২৪০১. সাঈদ ইবনি আমর ইবনি সাঈদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি ইবনি উমরকে বলিতে শুনেছেন, নবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আমরা উম্মী [নিরক্ষর] জাতি। আমরা লেখিনা এবং হিসাবও করি না। মাসে দিনের সংখ্যা এত, এত এবং এত। তৃতীয়বার তিনি নিজ হাতের বুড়ো আঙ্গুলটি বন্ধ করে দুহাত দিয়ে ইঙ্গিত করিলেন [অর্থাৎ তিনবার ইঙ্গিতে ঊনত্রিশ দিন প্রমাণ করিলেন]। আর কোন কোন মাস এত, এত এবং এত দিনেও হয় [অর্থাৎ পূর্ণ ত্রিশ দিন হয়ে থাকে]।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৩৭৮,ইসলামিক সেন্টার- ২৩৭৯]
২৪০২. আসওয়াদ ইবনি কায়স থেকে এ সূত্র হইতে বর্ণীতঃ
হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। কিন্ত এ সূত্রে “দ্বিতীয় মাসের ত্রিশদিন” এ কথা উল্লেখ নেই।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৩৭৯, ইসলামিক সেন্টার- ২৩৮০]
২৪০৩. সাদ ইবনি উবায়দাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, ইবনি উমর [রাদি.] এক ব্যক্তিকে বলিতে শুনলেন, “আজ রাতে মাসের অর্ধেক হয়ে গেছে”। অতঃপর ইবনি উমর [রাদি.] তাকে জিজ্ঞেস করিলেন, তুমি কবে জানলে আজ রাতে মাসের অর্ধেক হয়ে গেছে? অথচ আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে দশটি আঙ্গুলের মাধ্যমে ইঙ্গিত করে দুবার বলিতে শুনেছিঃ “মাস এত দিনে ও এত দিনে হয়। তিনি দুবার আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করিলেন। তৃতীয়বারও তিনি তাই করিলেন এবং সবগুলো আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করিলেন এবং বুড়ো আঙ্গুলটি বন্ধ রাখলেন অথবা নিচু করে রাখলেন। [অর্থাৎ মাস কখনো ঊনত্রিশ দিনে আবার কখনো ত্রিশ দিনে হয়। কাজেই মাস শেষ না হলে নির্দিষ্ট করে বলা যায় না যে মাসের মধ্যরাত কোন্টি]।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৩৮০, ইসলামিক সেন্টার- ২৩৮১]
২৪০৪. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলিলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন; যখন তোমরা চাঁদ দেখবে তখন সওম আরম্ভ করিবে এবং যখন চাঁদ দেখবে তখন ইফতার করিবে। যদি আকাশ মেঘাছন্ন থাকে তবে ত্রিশদিন সিয়াম পালন করিবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৩৮১, ইসলামিক সেন্টার- ২৩৮২]
২৪০৫. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা [রমাযানের] চাঁদ দেখে সিয়াম পালন শুরু কর এবং [শাও্ওয়ালের] চাঁদ দেখে ইফতার [অর্থাৎ ঈদ] কর। আর যদি [নতুন চাঁদ উদয়ের দিন] আকাশ মেঘাছন্ন থাকে তাহলে ত্রিশ দিন পূর্ণ কর।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৩৮২, ২৩৮৩]
২৪০৬. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা চাঁদ দেখে সিয়াম পালন কর এবং চাঁদ দেখে ইফতার কর। আর আকাশ মেঘাছন্ন থাকলে দিনের সংখ্যা [ত্রিশ দিন] পূর্ণ কর।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৩৮৩, ইসলামিক সেন্টার- ২৩৮৪]
২৪০৭. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ চাঁদ দেখে সিয়াম পালন কর এবং চাঁদ দেখে ইফত্বার কর [অর্থাৎ সিয়াম সমাপ্ত কর]। আর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকার কারণে তোমরা যদি মাসের আরম্ভ বা শেষ সম্পর্কে সন্দিহান হও তাহলে ঐ মাসের ত্রিশ দিন পূর্ণ কর।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৩৮৪, ইসলামিক সেন্টার- ২৩৮৫]
৩. অধ্যায়ঃ রমাযানের এক বা দুদিন পূর্বে সিয়াম পালন না করা
২৪০৮. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ রমাযানের একদিন কিংবা দুদিন পূর্বে তোমরা [নাফ্ল] সওম পালন করো না, তবে যে পূর্ব থেকেই এ সময়ের রোযায় অভ্যস্ত সে সওম পালন করিতে পারে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৩৮৫, ইসলামিক সেন্টার- ২৩৮৬]
২৪০৯. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা রমজান মাস শুরু হওয়ার একদিন বা দুদিন পূর্ব থেকে সিয়াম পালন করো না। কিন্তু যে ব্যক্তি নির্দিষ্ট একদিনে সর্বদাই সিয়াম পালন করে থাকে, আর ঐ নির্দিষ্ট দিনটি যদি চাঁদ উঠার দিন [বা তার আগের দিন] হয় তাহলে সে ঐ দিন সিয়াম পালন করিতে পারে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৩৮৬, ইসলামিক সেন্টার- ২৩৮৭]
৪. অধ্যায়ঃ মাস ঊনত্রিশ দিনেও হয়
২৪১০. যুহরী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] [একবার] এক মাসের জন্য তার স্ত্রীদের কাছ থেকে দূরে থাকার শপথ করিলেন। যুহরী বলেন, উরওয়াহ্ আমাকে এটা আয়েশাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর সূত্রে অবহিত করিয়াছেন। তিনি বলেন, শপথের পর আমি দিন গণনা করছিলাম, ঊনত্রিশ রাত অতিবাহিত হওয়ার পর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সর্বপ্রথম আমার কাছে আসলেন। আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আপনি তো একমাস আমাদের সান্নিধ্য থেকে দূরে থাকার শপথ করিয়াছেন, অথচ আপনি ঊনত্রিশ দিন অতিবাহিত করে এসেছেন। আমি তো দিনগুলোর পূর্ণ হিসাব রেখেছি। [অর্থাৎ একমাসের একদিন বাকী আছে] তিনি বললেনঃমাস তো ঊনত্রিশ দিনেও হয়ে থাকে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৩৮৭, ইসলামিক সেন্টার- ২৩৮৮]
২৪১১. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এক মাসের জন্য তাহাঁর স্ত্রীদের সান্নিধ্য ত্যাগ করেছিলেন। তিনি ঊনত্রিশতম দিনে আমাদের কাছে আসলেন। আমরা বললাম, আজ তো ঊনত্রিশ দিন? তখন তিনি বললেনঃঊনত্রিশ দিনেও মাস হয়। তিনি তার উভয় হাত তিনবার একত্রে মিলিয়ে ইঙ্গিত করে বুঝিয়ে দিলেন। তৃতীয়বার তিনি একটি আঙ্গুল বন্ধ রাখলেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৩৮৮, ইসলামিক সেন্টার- ২৩৮৯]
২৪১২. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] তাহাঁর স্ত্রীদের থেকে একমাস বিচ্ছিন্ন থাকলেন। অতঃপর তিনি ঊনত্রিশতম দিনের সকালে আমাদের কাছে আসলেন। উপস্থিত লোকদের কেউ কেউ বলিলেন, হে আল্লাহর রসূল! আজ তো আমরা ঊনত্রিশতম দিনের সকালে উপনীত হয়েছি। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ মাস তো ঊনত্রিশ দিনেও হয়। এরপর তিনি তিনবার উভয় হাত মিলালেন। প্রথম দুবার উভয় হাতের সব আঙ্গুলগুলো একত্রে মিলালেন এবং তৃতীয়বার নয়টি আঙ্গুল একত্রে মিলালেন ও ইঙ্গিতে ঊনত্রিশ দিনে মাস বলিলেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৩৮৯, ইসলামিক সেন্টার- ২৩৯০]
২৪১৩. উম্মু সালামাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] একবার তাহাঁর স্ত্রীদের সান্নিধ্য থেকে একমাস দূরে থাকার শপথ করিলেন। অতঃপর ঊনত্রিশ দিন অতিবাহিত হলে তিনি সকালে অথবা বিকালে তাঁদের কাছে আসলেন। তাঁকে বলা হলো, হে আল্লাহর নবী! আপনি এক মাস আমাদের কাছে না আসার শপথ করিয়াছেন! তিনি [সাঃআঃ] বলিলেন, ঊনত্রিশ দিনেও মাস হয়।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৩৯০, ইসলামিক সেন্টার- ২৩৯১]
২৪১৪. ইবনি জুরায়জ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
এ সূত্রেও উপরের হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৩৯১, ইসলামিক সেন্টার- ২৩৯২]
২৪১৫. সাদ ইবনি ওয়াক্কাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর এক হাত দিয়ে অপর হাতের উপর আঘাত করিলেন। অতঃপর তিনি [সাঃআঃ] বলিলেন, মাস এভাবে এবং এভাবে। তিনি [সাঃআঃ] তৃতীয়বারে একটি আঙ্গুল নীচু করে রাখলেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৩৯২, ইসলামিক সেন্টার- ২৩৯৩]
২৪১৬. মুহাম্মাদ ইবুন সাদ থেকে তার পিতার সূত্র হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] বলেনঃ মাস এরূপ, এরূপ এবং এরূপ অর্থাৎ দশ দিন, দশ দিন এবং নয় দিন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৩৯৩, ইসলামিক সেন্টার- ২৩৯৪]
২৪১৭. ইসমাঈল ইবনি আবু খালিদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
এ সানাদে উপরোক্ত দুটি হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৩৯৪, ইসলামিক সেন্টার- ২৩৯৫]
৫. অধ্যায়ঃ নিজ নিজ শহরে চন্দ্রোদয়ের হিসাব অনুযায়ী কাজ করিতে হইবে, এক শহরের চন্দ্রোদয়ের হুকুম উল্লেখযোগ্য দূরত্বে অবস্থিত অন্য শহরের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
২৪১৮. কুরায়ব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
হারিসের কন্যা উম্মুল ফায্ল তাকে সিরিয়ায় মুআবিয়াহ্ [রাদি.]-এর নিকট পাঠালেন। কুরায়ব বলেন, অতঃপর আমি সিরিয়া পৌঁছে তার প্রয়োজনীয় কাজ সমাপন করলাম। আমি সিরিয়ায় থাকতেই রমজান এসে গেল। আমি জুমুআর রাতে রমাযানের চাঁদ দেখিতে পেলাম। অতঃপর মাসের শেষদিকে আমি মাদীনায় ফিরে এলাম। আবদুল্লাহ ইবুন আব্বাস [রাদি.] সিয়াম সম্পর্কে আলোচনা প্রসঙ্গে আমাদের জিজ্ঞেস করিলেন, তুমি কখন চাঁদ দেখেছ? আমি বললাম, আমি তো জুমুআর রাতেই চাঁদ দেখেছি। তিনি পুনরায় জিজ্ঞেস করিলেন, তুমি নিজেই কি তা দেখেছ? আমি বললাম, হ্যাঁ, অন্যান্য লোকেরাও দেখেছে এবং তারা সিয়াম পালন করেছে। এমনকি মুআবিয়াহ্ [রাদি.]-ও সিয়াম পালন করেছে। তিনি বলেন, আমরা তো শনিবার রাতে চাঁদ দেখেছি, আমরা পূর্ণ ত্রিশটি রোযা রাখব অথবা এর আগে যদি চাঁদ দেখিতে পাই তাহলে তখন ইফত্বার করব। আমি বললাম, আপনি কি মুআবিয়াহ্ [রাদি.]-এর চাঁদ দেখা ও সিয়াম পালন করাকে [রমজান মাস শুরু হওয়ার জন্য] যথেষ্ট মনে করেন না?
তিনি বলরেন : না, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদের এভাবেই [চাঁদ দেখে সিয়াম পালন করা ও ইফত্বার করার জন্য] নির্দেশ দিয়েছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৩৯৫, ইসলামিক সেন্টার- ২৩৯৬]
৬. অধ্যায়ঃ চাঁদের আকারে [ত্রিশতম রাতে] ছোট বা বড় দেখা গেলে তাতে হুকুমের কোন পার্থক্য হইবে না, আল্লাহ তাআলা চাঁদকে দৃষ্টিগোচর হওয়ার উপযোগী করে দেন, আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে মাসের ত্রিশদিন পূর্ণ করিতে হইবে
২৪১৯. আবুল বাখতারী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, একবার আমরা উমরাহ্ করার জন্য বের হলাম। যখন আমরা [মাক্কাহ ও তায়িফের মাঝামাঝি অবস্থিত] “বাত্বনে নাখলাহ্” নামক স্থানে অবতরণ করলাম সকলে মিলে চাঁদ দেখিতে লাগলাম। লোকেদের মধ্যে কেউ কেউ বলিল, এ তো তিনদিনের চাঁদ, আবার কেউ বলিল দুদিনের। বর্ণনাকারী বলেন, পরে আমরা ইবুন আব্বাস [রাদি.]-এর সাথে সাক্ষাৎ করে বললাম, আমরা চাঁদ দেখেছি। কিন্তু লোকেদের মধ্যে কেউ কেউ বলেছে, এ তো দুদিনের চাঁদ আবার কেউ কেউ বলেছে এতো তিন দিনের চাঁদ। তিনি জিজ্ঞেস করিলেন, তোমরা কোন্ রাতে চাঁদ দেখেছো? আমর বললাম, অমুক দিন, অমুক রাতে। তিনি বলিলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যেদিন রাতে চাঁদ দেখিতেন ঐ দিনেরই তারিখ ধরতেন। সুতরাং চাঁদ সে রাতেই উঠেছে যে রাতে তোমরা দেখেছো।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৩৯৬, ইসলামিক সেন্টার- ২৩৯৭]
২৪২০. আবুল বাখতারী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, “আমরা যখন যাতু ইর্ক্ব নামক স্থানে অবস্থান করছিলাম তখন রমাযানের চাঁদ দেখেতে পেলাম। অতঃপর আমরা এক ব্যক্তিকে ইবনি আব্বাস [রাদি.]-এর কাছে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করার জন্য পাঠালাম। ইবনি আব্বাস [রাদি.] বলিলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনেঃ আল্লাহ তাআলা চাঁদ দেখার সাথে মাস নির্ধারণ করিয়াছেন, যদি তোমাদের নিকট অপ্রকাশিত থাকে [মেঘের কারণে] তাহলে তোমরা [ত্রিশ দিনে] মাস পূর্ণ কর।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৩৯৭, ইসলামিক সেন্টার- ২৩৯৮]
৭. অধ্যায়ঃ মহানবী [সাঃআঃ]-এর বাণী : “ ঈদের দুমাস অসম্পূর্ণ হয় না”
২৪২১. আব্দুর রহমান ইবুন আবু বাক্রাহ্ তার পিতা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
বর্ণিত। নবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ ঈদের দুমাস অসম্পূর্ণ হয় না। সে মাস দুটি হলো রমজান ও যিলহাজ্জ। {৪}
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৩৯৮, ইসলামিক সেন্টার- ২৩৯৮{ক}]
{৪} সহীহ ও গ্রহণযোগ্য কথা হলো, এ উভয় মাসের সাওয়াব কোন অবস্থায় ঘাটতি পড়বে না ত্রিশ দিনে হোক বা ঊনত্রিশ দিনে। ফলকথা এই যে, একদিন কম হওয়ার কারণে যে, সাওয়াবও কম হইবে তা নয়; আবার কেউ বলেছেন, একই বছরে উভয় মাস ঊনত্রিশ দিনে হয় না। যদি এক মাস ঊনত্রিশ দিনে হয় তবে অন্য মাস ত্রিশ দিনে। আবার কেউ বলেছেন, সাওয়াবের দিক দিয়ে উভয় মাস সমান অর্থাৎ রমাযানে সওম পালন আছে অন্য দিকে যিলহাজ্জ মাসে আছে হাজ্জ পালন। কিন্তু এ সকল অভিমত সঠিক নয় দুর্বল বরং সঠিক কথা তাই যা প্রথমে বলা হয়েছে।
২৪২২. আবু বাক্রাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] বলেনঃ ঈদের দুমাস অসম্পূর্ণ হয় না। খালিদের বর্ণিত হাদীসে আছেঃ ঈদের দুমাস হচ্ছে রমজান এবং যিলহাজ্জ।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৩৯৯, ইসলামিক সেন্টার- ২৩৯৯]
৮. অধ্যায়ঃ সুবহে সাদিক এর পূর্বে পানাহার করা বৈধ, তবে সুবহে সাদিকের সাথে সাথেই সওম আরম্ভ হয়ে যায়, কুরআনে বর্ণিত ফাজ্র শব্দের অর্থ হচ্ছে সুব্হি সাদিক, এ সময় হইতেই সওম আরম্ভ হয় এবং ফাজ্বরের নামাজের সময় শুরু হয়, সওমের বিধি-বিধানের সাথে সুব্হি কাযিবের কোন সম্পর্ক নেই
২৪২৩. আদী ইবনি হাতিম [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেছেন, যখন এ আয়াত [আরবী]
حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الأَسْوَدِ مِنَ الْفَجْرِ
“তোমরা পানাহার কর যতক্ষণ তোমাদের সামনে কালো রেখা থেকে সাদা রেখা সুস্পষ্ট হয়ে না উঠে”- [সুরা আল বাক্বারাহ্ ২ : ১৮৭] নাযিল হলো, তখন আদী [রাদি.] বলিলেন, হে আল্লাহর রসূল! আমি আমার বালিশের নীচে একটি কালো ও একটি সাদা রংয়ের রশি রেখে দিয়েছি। এগুলোর দ্বারা আমি রাত ও দিনের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করে থাকি। অতঃপর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] [হাসি-ঠাট্টাচ্ছলে] বলিলেন, তোমার বালিশ তো খুবই চওড়া। জেনে রাখো, এ-তো রাতের অন্ধকার ও দিনের শুভ্রতা।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৪০০, ইসলামিক সেন্টার- ২৪০০]
২৪২৪. সাহ্ল ইবনি সাদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন,
حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الأَسْوَدِ مِنَ الْفَجْرِ
“তোমরা পানাহার কর যতক্ষণ তোমাদের সামনে কালো রেখা থেকে সাদা রেখা সুস্পষ্ট হয়ে না উঠে”- [সূরাহ আল বাক্বারাহ্ ২ : ১৮৭] নাযিল হল, তখন লোকেরা একটি কালো এবং একটি সাদা রশি রাখত। তারা উভয় রশি সুস্পষ্টভাবে প্রতিভাত না হওয়া পর্যন্ত খেতে থাকত। এরপর মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ তাআলা
مِنَ الْفَجْرِ
[ফাজরের] কথাটি নাযিল করে বিষয়টির অস্পষ্টতা ও জটিলতা দূরীভূত হলো।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৪০১, ইসলামিক সেন্টার- ২৪০১]
২৪২৫. সাহ্ল ইবনি সাদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, যখন এ আয়াত-
وَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الأَسْوَدِ
“তোমরা সাদা রেখা স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত পানাহার কর” অবতীর্ণ হলো- কোন ব্যক্তি সিয়াম পালন করার ইচ্ছা করত এবং নিজের উভয় পায়ে সাদা ও কালো দুটি সূতা বেঁধে নিত। অতঃপর সাদা ও কালো বর্ণ স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত পানাহার করিতে থাকত। অতঃপর আল্লাহ তাআলা
مِنَ الْفَجْرِ
“ফাজ্রের” কথাটি অবতীর্ণ করিলেন। তখন তারা সকলেই জানতে পারল যে, সাদা ও কালো রেখার অর্থ হলো রাত [রাতের অন্ধকার] ও দিন [দিনের আলো]।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৪০২, ইসলামিক সেন্টার- ২৪০২]
২৪২৬. আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
বর্ণিত। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন: “বিলাল রাত থাকতে আযান দেয়। তাই তোমরা ইবনি মাকতূমের আযান শুনতে না পাওয়া পর্যন্ত পানাহার করিতে থাক”।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৪০৩, ইসলামিক সেন্টার- ২৪০৩]
২৪২৭. আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছি: “বিলাল রাত থাকতে আযান দেয়। তাই তোমরা ইবনি মাকতূমের আযান না শুনা পর্যন্ত পানাহার করিতে থাক”।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৪০৪, ইসলামিক সেন্টার- ২৪০৪]
২৪২৮. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর দুজন মুয়ায্যিন ছিলেন, তারা হলেন, বিলাল [রাদি.] ও উম্মু মাকতূমের অন্ধ ছেলে। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ বিলাল [রাদি.] রাতেই আযান দেয়। অতএব ইবনি উম্মু মাকতূম আযান না দেয়া পর্যন্ত তোমরা পানাহার কর। বর্ণনাকারী বলেনঃ দুজনের আযানের ব্যবধান ছিল যে, একজন আযান দিয়ে নামত অপরজন আযান দিতে আরোহন করত।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৪০৫, ইসলামিক সেন্টার- ২৪০৫]
২৪২৯. আয়িশাহ্ [রাদি.] নবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণীতঃ
অনুরূপ বর্ণনা করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৪০৬, ইসলামিক সেন্টার- ২৪০৬]
২৪৩০. আবু বাকর ইবনি আবু শায়বাহ্, ইসহাক্ব, ইবনিল মুসান্না এরা উবায়দুল্লাহ [রাদি.]-এর বরাত হইতে বর্ণীতঃ
ইবনি নুমায়রের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৪০৭, ইসলামিক সেন্টার- ২৪০৭]
২৪৩১. ইবনি মাসঊদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমাদের কাউকেই যেন বিলালের আযান অবশ্যই তার সাহরী খাওয়া হইতে বিরত না রাখে। কেননা সে রাতেই আযান দেয়, যাতে তোমাদের ক্বিয়ামকারীগণ সাহরী খেতে শুরু করে এবং ঘুমন্ত ব্যক্তি সাহ্রী খাওয়ার জন্য জাগে। তিনি তাহাঁর হাতে আঙ্গুল ফাঁকা করে দুজনের আযানের সময়ের ব্যবধান বুঝালেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৪০৮, ইসলামিক সেন্টার- ২৪০৮]
২৪৩২. সুলায়মান আত্ তায়মী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
এ সানাদে হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন, তবে তিনি বলেছেনঃ এটাকে ফজর বলে না- এ বলে তিনি তার আঙ্গুলগুলো একত্র করিলেন অতঃপর তা মাটির [পৃথিবীর] দিকে উল্টালেন। বরং ফজর এটাকে বলে- এ বলে তাসবীহ পাঠের আঙ্গুলের উপর আরেক তাসবীহ পাঠের আঙ্গুল স্থাপন করে তার দুহাত সম্প্রসারণ করিলেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৪০৯, ইসলামিক সেন্টার- ২৪০৯]
২৪৩৩. আবু বাকর ইবনি শায়বাহ্, ইসহাক্ব ইবনি ইবরাহীম, জারীর ও মুতামির উভয়েই সুলায়মান আত্ তায়মী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর বরাতে অত্র সানাদ হইতে বর্ণীতঃ
অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। মুতামির-এর হাদীস এ পর্যন্ত শেষ হয়েছে “তোমাদের ঘুমন্ত ব্যক্তিকে জাগিয়ে দেন বরং ক্বিয়ামকারীদেরকে ফিরিয়ে দেন। জারীরের হাদীসে এ কথাও আছে যে, লম্বা রেখাকে ফজর বলে না বরং ফজর বলে প্রশস্ত আলোকে”।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৪১০, ইসলামিক সেন্টার- ২৪১০]
২৪৩৪. সামুরাহ্ ইবনি জুনদুব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি মুহাম্মাদ [সাঃআঃ] এর নিকট শুনেছি, তিনি বলেছেন, বিলালের আহ্বান যেন তোমাদেরকে সাহরী খাওয়া থেকে ধোঁকায় না ফেলে এবং এ শুভ্র রেখাও; যতক্ষণ পর্যন্ত তা বিস্তৃত হয়ে প্রতিভাত হয়।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৪১১, ইসলামিক সেন্টার- ২৪১১]
২৪৩৫. সামুরাহ্ ইবুন জুনদুব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ বিলালের আযান যেন তোমাদেরকে ধোঁকায় না ফেলে এবং এ শুভ্র রেখা ও যা স্তম্ভের ন্যায় দেখা যায়, যতক্ষণ না তা বিস্তৃত উদ্ভাসিত হইবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৪১২, ইসলামিক সেন্টার- ২৪১২]
২৪৩৬. সামুরাহ্ ইবনি জুনদুব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ বিলালের আযান এবং আকাশ প্রান্তে এ লম্বা রেখা যেন তোমাদেরকে সাহরী খাওয়ার ব্যাপারে ধোঁকায় না ফেলে যতক্ষণ পর্যন্ত না এ শুভ্র রেখা পূর্বাকাশে এভাবে বিস্তৃত হয়। হাম্মাদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, এ সময় রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর উভয় হাত দ্বারা আড়াআড়ি হওয়ার প্রতি ইঙ্গিত করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৪১৩, ইসলামিক সেন্টার- ২৪১৩]
২৪৩৭. সামুরাহ্ ইবনি জুনদুব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] বলেনঃ বিলালের আযান এবং এ শুভ্র রেখা যেন তোমাদেরকে ধোঁকায় না ফেলে যতক্ষণ পর্যন্ত না সুবহে সাদিক সুস্পষ্টরূপে প্রতিভাত হয়।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৪১৪, ইসলামিক সেন্টার- ২৪১৪]
২৪৩৮. সামুরাহ্ ইবুন জুনদুব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] অনুরূপ আলোচনা করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৪১৫, ইসলামিক সেন্টার- ২৪১৪{ক}]
৯. অধ্যায়ঃ সাহরীর ফযিলত , সাহরী খাওয়া মুস্তাহাব, এর প্রতি গুরুত্বারোপ এবং সাহরী বিলম্বে খাওয়া ও ইফত্বার তাড়াতাড়ি করা মুস্তাহাব
২৪৩৯. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা সাহ্রী খাও, সাহ্রীতে বারাকাত রয়েছে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৪১৬, ইসলামিক সেন্টার- ২৪১৫]
২৪৪০. আম্র ইবনি আস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ আমাদের ও কিতাবীদের সিয়ামের মধ্যে পার্থক্য হল সাহরি খাওয়া।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৪১৭, ইসলামিক সেন্টার- ২৪১৬]
২৪৪১. মূসা ইবনি উলাইয়্যা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর সূত্র হইতে বর্ণীতঃ
এ সানাদে হাদীস বর্ণিত আছে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৪১৮, ইসলামিক সেন্টার- ২৪১৭]
২৪৪২. যায়দ ইবনি সাবিত [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাথে সাহ্রী খেয়ে সালাতে দাঁড়ালাম। {রাবী আনাস [রাদি.] বলেন} আমি যায়দ ইবনি সাবিত [রাদি.]-কে জিজ্ঞেস করলাম, সাহ্রী ও আযানের মধ্যে কত সময়ের ব্যবধান ছিল? তিনি বলরেন, পঞ্চাশ আয়াত পড়ার মতো সময়ের।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৪১৯, ইসলামিক সেন্টার- ২৪১৮]
২৪৪৩. ক্বাতাদাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
এ সানাদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৪২০, ইসলামিক সেন্টার- ২৪১৯]
২৪৪৪. সাহ্ল ইবনি সাদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ যতদিন মানুষ বিলম্ব না করে ইফত্বার করিবে, ততদিন তারা কল্যাণের উপর থাকিবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৪২১, ইসলামিক সেন্টার- ২৪২০]
২৪৪৫. সাহল ইবনি সাদ [রাদি.]-এর সূত্রে নবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণীতঃ
অনুরূপ বর্ণনা করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৪২২, ইসলামিক সেন্টার- ২৪২১]
২৪৪৬. আবু আতিয়্যাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি ও মাসরূক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] আয়িশা [রাদি.]-এর নিকট গেলাম এবং তাঁকে বললাম, হে উম্মুল মুমিনীন! মুহাম্মাদ [সাঃআঃ]-এর সহাবীবৃন্দের দু ব্যক্তির মধ্যে এক ব্যক্তি ইফত্বার ও নামাজ ত্বরান্বিত করে এবং অন্য এক ব্যক্তি ইফত্বার ও নামাজ বিলম্ব করে। তিনি জিজ্ঞেস করিলেন, সে কোন ব্যক্তি যে ইফত্বার ও সালাত ত্বরান্বিত করে? আমরা বললাম, আবদুল্লাহ ইবনি মাসঊদ [রাদি.]। তিনি বলিলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এরূপই করিতেন। আবু কুরায়ব বলেন, অপরজনে হলেন, আবু মূসা [রাদি.]
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৪২৩, ইসলামিক সেন্টার- ২৪২২]
২৪৪৭. আবু আতিয়্যাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিন বলেন, আমি ও মাসরূক আয়িশা [রাদি.]-এর নিকট গেলাম। এরপর মাসরূক তাঁকে বলিলেন, মুহাম্মাদ [সাঃআঃ]-এর সাহাবীগণের মধ্যে দু ব্যক্তি যারা কল্যাণজনক কাজে কোন প্রকার অবহেলা প্রদর্শন করেন না, তাঁদের একজন মাগরিব এবং ইফত্বারের মধ্যে ত্বরা করেন। আর অপরজন মাগরিব ও ইফত্বারে বিলম্ব করেন। তিনি বলিলেন যে, কোন ব্যক্তি সে মাগরিব ও ইফত্বারে ত্বরা করেন? তিনি বলিলেন, তিনি আবদুল্লাহ। তখন আয়িশা [রাদি.] বলিলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এরূপই করিতেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৪২৪, ইসলামিক সেন্টার- ২৪২৩]
১০. অধ্যায়ঃ রোজার সময় পূর্ণ হওয়া এবং দিবস সমাপ্ত হওয়া
২৪৪৮. উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন: যখন রাত আসে, দিন চলে যায় এবং সূর্য অদৃশ্য হয়ে যায়, তখন সিয়াম পালনকারী ইফত্বার করিবে। {৫}
ইবনি নুমায়র [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] [আরবী] শব্দটি উল্লেখ করেননি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৪২৫, ইসলামিক সেন্টার- ২৪২৪]
{৫} অর্থাৎ সূর্যাস্তের পর আর দেরী করিবে না, যেমন কত কত সন্দেহ পোষণকারী বলে যে, আর কিছু দেরী করলে কী হইবে এত বেখবর কেন। অথচ তারা এটা জানে না যে, প্রথম সূর্যাস্তের সময়েই ইফত্বার করা সুন্নাত। আর সূর্যাস্ত যাওয়া, রাতের আগমন ও দিনের প্রস্থান এ তিনটি একই সময়ে সংঘটিত হয়। বরং রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বিষয়টাকে পরিস্কার করার জন্য তিনটিকে এভাবে উল্লেখ করিয়াছেন। হ্যাঁ, যে স্থানে সূর্যাস্ত বুঝা যায় না, তখায় একটু আঁধার করে ইফত্বার করা যায়।
২৪৪৯. আবদুল্লাহ ইবনি আওফা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রমজান মাসে কোন এক সফরে আমরা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সঙ্গী ছিলাম। সূর্য ডুবে গেলে তিনি বলিলেন, হে অমুক! অবতরণ কর এবং আমাদের জন্য ছাতু গুলে আনো। সে বলিল, ইয়া রসূলাল্লাহ! এখনো দিন রয়ে গেছে। পুনরায় তিনি বলিলেন, অবতরণ কর এবং আমাদের জন্য ছাতু গুলে আনো। তখন সে অবতরণ করিল এবং ছাতু গুলে তার নিকট পেশ করিল। নবী [সাঃআঃ] পান করিলেন এবং হাত দ্বারা ইঙ্গিত করে বলিলেন, সূর্য এদিক থেকে অদৃশ্য হয়ে যায় এবং রাত্র যখন এদিক থেকে ঘনিয়ে আসবে, তখন সিয়াম পালনকারী ইফত্বার করিবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৪২৬, ইসলামিক সেন্টার- ২৪২৫]
২৪৫০. ইবনি আবু আওফা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, এক সফরে আমরা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাথে ছিলাম। যখন সূর্য অদৃশ্য হয়ে গেল তখন তিনি এক ব্যক্তিকে বলিলেন, অবতরণ কর এবং আমাদের জন্য ছাতু গুলে আনো। সে বলিল, ইয়া রসূলাল্লাহ! সন্ধ্যা হইতে দিন। পুনরায় তিনি বলিলেন, অবতরণ কর এবং আমাদের জন্য ছাতু গুলে আনো। সে বলিল, দিন আমাদের আরো বাকী রয়েছে। এরপর সে অবতরণ করে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর জন্য ছাতু গুলে আনলো। তিনি পান করিলেন এবং হাত দ্বারা পূর্বদিকে ইঙ্গিত করে বলিলেন, যখন তোমরা দেখবে যে, এদিক থেকে রাত্র ঘনিয়ে আসছে, তখন সিয়াম পালনকারীর ইফত্বারের সময় হইবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৪২৭, ইসলামিক সেন্টার- ২৪২৬]
২৪৫১. আবদুল্লাহ ইবনি আবু আওফা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাথে ভ্রমণ করলাম। এ সময় তিনি সওমরত ছিলেন। যখন সূর্য অদৃশ্য হয়ে গেল তখন তিনি বলিলেন, হে অমুক! তুমি অবতরণ কর এবং আমাদের জন্য ছাতু গুলে আনো। এরপর তিনি ইবনি মুসহির এবং আব্বাস ইবনি আও্ওয়াম-এর অনুরূপ হাদীসটি বর্ণনা করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৪২৮, ইসলামিক সেন্টার- ২৪২৭]
২৪৫২. ইবনি আবু আওফা [রাদি.]-এর সূত্রে নবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণীতঃ
ইবনি মুসহির, আব্বাস ও আবদুল ওয়াহিদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। তবে তাঁদের কারো হাদীসের মধ্য রমজান মাসের উল্লেখ নেই। অনুরূপভাবে হুশায়ম ব্যতীত তাদের বর্ণনায় “এবং যখন রাত্র এদিক থেকে ঘনিয়ে আসে” এ কথাটিও উল্লেখ নেই।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৪২৯, ইসলামিক সেন্টার- ২৪২৮]
Leave a Reply