কিৎসা, ব্যাধি, ঝাড়ফুঁক ও অশুভ লক্ষণ
চিকিৎসা, ব্যাধি ও ঝাড়ফুঁক >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন
এ বিষয়ে আরও পড়ুন >> মুয়াত্তা মালিক >> সহীহ বুখারী >> আদাবুল মুফরাদ >> আবু দাউদ >> ইবনে মাজাহ >> তিরমিজি >> নাসাঈ >> মিশকাত >> রিয়াদুস সালেহীন >> বুলুগুল মারাম হাদীস শরীফ হতে
১৬. অধ্যায়ঃ চিকিৎসা, ব্যাধি ও ঝাড়ফুঁক
১৭. অধ্যায়ঃ যাদুকরণ
১৮. অধ্যায়ঃ বিষ
১৯. অধ্যায়ঃ রোগীকে ঝাড়ফুঁক , মন্ত্র করা মুস্তাহাব
২০. অধ্যায়ঃ মুআববিযাত{২৭} সূরাহ পড়ে ঝাড়ফুঁক করা এবং দম করা
২১. অধ্যায়ঃ চোখলাগা, পার্শ্বঘা, বিষাক্ত প্রাণীর বিষক্রিয়া ও দুরাবস্থা হইতে [মুক্তির জন্য] ঝাড়ফুঁক করা মুস্তাহাব
২২. অধ্যায়ঃ শিরক মুক্ত ঝাড়ফুঁকে কোন দোষ নেই
২৩. অধ্যায়ঃ কুরআন মাজীদ এবং অন্যান্য দুআ-যিকর দিয়ে ঝাড়ফুঁক করে বিনিময় গ্রহণ বৈধ
২৪. অধ্যায়ঃ ঝাড়ফুঁকের সময় আক্রান্ত জায়গায় হাত রাখা মুস্তাহাব
২৫. অধ্যায়ঃ সালাতে কুমন্ত্রণাদাতা শাইতান হইতে আশ্রয় প্রার্থনা করা
২৬. অধ্যায়ঃ প্রতিটি রোগের প্রতিকার রয়েছে এবং চিকিৎসা করা মুস্তাহাব
২৭. অধ্যায়ঃ মুখের কিনারা দিয়ে ঔষধ খাওয়া প্রসঙ্গে
২৮. অধ্যায়ঃ ভারতীয় চন্দন দ্বারা চিকিৎসা করা- সেটাই কুস্ত
২৯. অধ্যায়ঃ কালো জিরা দিয়ে চিকিৎসাকরণ
৩০. অধ্যায়ঃ তালবীনাহ্- [সাগু-বার্লি তরল হালুয়া] রোগীর অন্তরের জন্য প্রশান্তিদায়ক
৩১. অধ্যায়ঃ মধু পানে চিকিৎসা প্রসঙ্গ
৩২. অধ্যায়ঃ প্লেগ, লক্ষণ ও জ্যোতিষীর গণনা ইত্যাদির বিবরণ
৩৩. অধ্যায়ঃ সংক্রমণ, কুলক্ষণ, হামাহ্, অনাহারে পেট কামড়ানো কীট, নক্ষত্রের প্রভাবে বর্ষণ ও পথ বিভ্রমের ভূত-প্রেতের অস্তিত্ব নেই; তবে অসুস্থ উটের মালিক তার উট সুস্থ উটের কাছে নিয়ে আসবে না
৩৪. অধ্যায়ঃ অশুভ লক্ষণ, সুলক্ষণ ও সম্ভব্য অপয়া বিষয়বস্তুর বিবরণ
৩৫. অধ্যায়ঃ জ্যোতির্বিদ্যা ও জ্যোতিষীর কাছে গমনাগমন নিষিদ্ধ
৩৬. অধ্যায়ঃ কুষ্ঠ প্রভৃতি রোগাক্রান্ত ব্যক্তি হইতে বেঁচে থাকা
১৬. অধ্যায়ঃ চিকিৎসা, ব্যাধি ও ঝাড়ফুঁক
৫৫৯২ঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর স্ত্রী আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেছেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] অসুস্থ হয়ে পড়লে জিব্রীল [আঃ] এ দুআ পড়ে তাঁকে ফুঁকে দিতেন, তিনি বলিতেন,
بِاسْمِ اللَّهِ يُبْرِيكَ وَمِنْ كُلِّ دَاءٍ يَشْفِيكَ وَمِنْ شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ وَشَرِّ كُلِّ ذِي عَيْنٍ
বিসমিল্লাহি ইয়ুবরিকা ওয়া মিন কুল্লি দায়িন ইয়াসফিকা ওয়া মিন সাররি হাসিদিন ইজা হাসাদা ওয়া সাররি কুল্লি জিয়াইন
আল্লাহ্র নামে-তিনি আপনাকে [ব্যাধি] সুস্থতা দান করুন, সব ব্যাধি থেকে আপনাকে মুক্ত করুন, আর হিংসুকের অনিষ্ট থেকে এবং যখন সে হিংসা করে এবং সকল প্রকার কুদৃষ্টি ব্যক্তির ক্ষতি হইতে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫১১, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫৩৬]
৫৫৯৩ঃ বিসর ইবনু হিলাল সাওওয়াফ — আব্দুল ওয়ারিস — আব্দুল আজিজ ইবনু সুহাইব — আবি নাসরাহ –>>সাঈদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
জিবরীল [আঃ] নবী [সাঃআঃ] -এর নিকট আগমন করে বলিলেন, হে মুহাম্মাদ! আপনি কি অসুস্থতা বোধ করছেন? তিনি বলিলেন, হ্যাঁ। তিনি [জিবরীল] বললেনঃ
بِاسْمِ اللَّهِ أَرْقِيكَ مِنْ كُلِّ شَىْءٍ يُؤْذِيكَ مِنْ شَرِّ كُلِّ نَفْسٍ أَوْ عَيْنِ حَاسِدٍ اللَّهُ يَشْفِيكَ بِاسْمِ اللَّهِ أَرْقِيكَ
বিসমিল্লা-হি আরক্বীকা, মিন কুল্লি শাইয়িন ইউ’যীকা, অমিন শার্রি কুল্লি নাফসিন আউ ‘আইনি হা-সিদিন, আল্লা-হু য়্যাশফীকা, বিসমিল্লা-হি আরক্বীকা
আল্লাহর নামে আপনাকে ঝাড়-ফুঁক করছি- সে সব জিনিস হইতে, যা আপনাকে কষ্ট দেয়, সব আত্মার খারাবী অথবা কুদৃষ্টি হইতে আল্লাহ আপনাকে মুক্তি দিন; আল্লাহর নামে আপনাকে ঝাড়-ফুঁক করছি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫১২, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫৩৭]
৫৫৯৪. হাম্মাম ইবনি মুনাব্বিহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, এ হলো ঐ সমস্ত [হাদীস] , যা আবু হুরায়রা্ [রাদি.] রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] হইতে আমাদের নিকট বর্ণনা করিয়াছেন। এরপর তিনি কয়েকটি হাদীস আলোচনা করেন। সেগুলোর অন্যতম একটি হলো- রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ কুদৃষ্টির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বাস্তব।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫১৩, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫৩৮]
৫৫৯৫. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
ইবনি আব্বাস [রাদি.] -এর সানাদে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] হইতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ কুদৃষ্টির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বাস্তব। কোন বিষয় যদি ভাগ্যলিপিকে অতিক্রম করত, তাহলে কুদৃষ্টি ভাগ্যলিপিকে অতিক্রম করত এবং তোমাদের [কুদৃষ্টি সম্পন্ন লোকদের] -কে গোসল করিতে বলা হলে তোমরা গোসল করাবে। {২৬}
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫১৪, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫৩৯] {২৬} বদনযর-এর চিকিৎসারূপে বিশেষ পদ্ধতিতে বদ নযরওয়ালা ব্যক্তির বিভিন্ন অঙ্গ ধোয়া পানি দিয়ে রোগীকে বিশেষ কায়দায় গোসল করানো হয়। এটা পরীক্ষিত ও সুন্নাহ্ স্বীকৃত চিকিৎসা পদ্ধতি। এ হাদীসে সে গোসলের কথাই বলা হয়েছে।
১৭. অধ্যায়ঃ যাদুকরণ
৫৫৯৬. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, লাবীদ ইবনি আসাম নামে বানূ যুরায়ক সম্প্রদায়ের এক ইয়াহূদী রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -কে যাদু করিল। তিনি বলেন, এ যাদুর কারণে এমনও হত যে, রসূলু্ল্লাহ [সাঃআঃ] -এর স্মরণ হত যে কোন [পার্থিব] কাজ তিনি করছেন, অথচ [প্রকৃতভাবে] তিনি তা করছেন না। পরিশেষে একদিনে কিংবা এক রাত্রে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] দুআ করিলেন; আবার দুআ করিলেন, আবার দুআ করিলেন। অতঃপর বললেনঃ হে আয়েশাহ! তুমি কি অনুধাবন করিতে পেরেছো যে, আল্লাহ আমাকে সে ব্যাপারে সমাধান দিয়েছেন, যে ব্যাপারে আমি তাহাঁর নিকট সমাধান চেয়েছিলাম? [তা এভাবে যে] [দুজন ফেরেশ্তা] দুলোক [মানুষের বেশ ধরে] আমার নিকট আসলো। তাদের একজন আমার মস্তকের নিকট এবং অপরজন আমার পায়ের নিকট বসল। অতঃপর আমার মাথার নিকটের লোক পায়ের নিকটের লোককে অথবা আমার পায়ের নিকটের লোকটি আমার মাথার নিকটের লোকটিকে বলিল, লোকটির ব্যাধি কি? [অপরজন] বলিল, যাদুগ্রস্ত। [প্রথম জন] বলিল, কে তাকে যাদু করেছে? [দ্বিতীয় জন] বলিল- লাবীদ ইবনি আসাম। [প্রথমজন] বলিল, কোন জিনিসে? [দ্বিতীয় জন] বলিল- চিরুনি, [আঁচড়ানোর সময় চিরুনীর সঙ্গে] উঠা চুল, [আরও] বলিল, পুরুষ খেজুরের ফুলের বেষ্টনীতে। [প্রথমজন] বলিল, তা কোথায়? [দ্বিতীয় জন] বলিল- যী আরওয়ান কুয়ায়।
তিনি {আয়িশা [রাদি.] } বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর কতিপয় সহাবীকে সাথে নিয়ে সেথায় আসলেন। তারপর [ফিরে এসে] বলিলেন, হে আয়েশাহ! আল্লাহ্র কসম, সে [কূপের] পানি যেন মেন্দীপাতা ভিজানো [পানি] এবং সেখানকার খেজুর গাছ যেন শাইতানের মস্তিষ্ক।
তিনি বলেন, তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! তাহলে আপনি তা [জনসমক্ষে] পুড়ে ফেললেন না কেন? তিনি বলিলেন, না, [আমি তা উচিত মনে করেনি]। কেননা, আল্লাহ আমাকে তো রোগমুক্ত করিয়াছেন-আর লোকদেরকে কোন অকল্যাণে উত্তেজিত করা অপছন্দ করছি। আমি সে ব্যাপারে নির্দেশ দিলাম। ফলে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫১৫, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫৪০]
৫৫৯৭. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -কে জাদু করা হলো …… আবু কুবায়ব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] এ হাদীসটি বিস্তারিত বর্ণনাসহ [উপরোক্ত] ইবনি নুমায়র [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের অর্থানুযায়ী বর্ণনা করিয়াছেন এবং তিনি তাতে এ কথাটিও বলেছেন-পরে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কূপের নিকট গমন করিলেন এবং সেটির [চার] দিকে লক্ষ্য করিলেন। তাতে একটি খেঁজুর গাছ রয়েছে। তিনি {আয়িশা [রাদি.] } আরও বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! তাহলে আপনি তা [লোকালয়ে] বের করে ফেলেন। এ বর্ণনায় জ্বালিয়ে দেয়ার অংশটি বর্ণনা করেননি এবং আমি সে সম্পর্কে নির্দেশ দিলে তা মাটিতে পুঁতে ফেলা হলো, [কথাটিও] বর্ণনা করেননি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫১৬, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫৪১]
১৮. অধ্যায়ঃ বিস
৫৫৯৮. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
এক ইয়াহূদী নারী রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর নিকট বিষ মেশানো ছাগলের গোশ্ত নিয়ে আসলো। তিনি সেখান হইতে [কিয়দংশ] খেলেন। অতঃপর তাকে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর নিকট নিয়ে আসা হলো। তিনি তার কাছে [সে কেন এমন করলো] এ বিষয়ে জানতে চাইলে সে বলিল, আমি আপনাকে হত্যা করার ইচ্ছা করছিলাম। তিনি বললেনঃ আল্লাহ এ বিষয়ে তোমাকে ক্ষমতা দিবেন না অথবা তিনি বললেনঃ আমার উপরে ক্ষমতা দিবেন এমন নয়। বর্ণনাকারী বলেন, তারা [সাহাবীগণ] বলিলেন, আমরা কি তাকে হত্যা করবো না? তিনি বলিলেন, না। বর্ণনাকারী বলেন, তারপর থেকে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর আল্জিভ ও তালুতে তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আমি সর্বদা লক্ষ্য করতাম।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫১৭, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫৪২]
৫৫৯৯. হিশাম ইবনি যায়দ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
আমি আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] -কে হাদীস বর্ণনা করিতে শুনেছি যে, একজন ইয়াহূদী নারী গোশতে বিষ মিশিয়ে তা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর নিকট নিয়ে আসলো। …… [উপরোক্ত রিওয়ায়াতের] বর্ণনাকারী খালিদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] -এর বর্ণিত হাদীসের অর্থানুযায়ী হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫১৮, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫৪৩]
১৯. অধ্যায়ঃ রোগীকে ঝাড়ফুঁক , মন্ত্র করা মুস্তাহাব
৫৬০০. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমাদের কোন মানুষ পীড়িত হলে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর ডান হাত দ্বারা তাকে মুছে দিতেন, তারপর বলিতেনঃ
أَذْهِبِ الْبَاسَ رَبَّ النَّاسِ وَاشْفِ أَنْتَ الشَّافِي لاَ شِفَاءَ إِلاَّ شِفَاؤُكَ شِفَاءً لاَ يُغَادِرُ سَقَمًا
আযহিবিল বাসা রব্বান নাসি ওয়াসফি আন্তাস সাফি লা সিফায়া ইল্লা সিফায়ুকা সিফায়ান লা ইউ গাদিরু সাক্কামা
সমস্যা বিদূরিত করে দিন, হে জনগণের পালনকর্তা! আর সুস্থতা দান করুন, আপনিই সুস্থতা দানকারী। আপনার সুস্থতা ও মুক্তি ছাড়া আর কোন [প্রকৃতপক্ষে নির্ভরযোগ্য] শিফা নেই। এমন নিরাময় করুন যার পর কোন রোগ-ব্যাধি বাকী না থাকে।
পরবর্তীতে যখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] পীড়িত হলেন তখন অসুখে অতি দূর্বল হয়ে পড়লেন, সে সময় আমি তাহাঁর হাত তুলে ধরলাম- যাতে আমিও তেমন করে [মুছে] দিতে পারি তিঁনি [সাঃআঃ] যেমন করে [মুছে] দিতেন। কিন্তু তিঁনি আমার হাত থেকে তাহাঁর হাত টেনে [ছাড়িয়ে] নিলেন। অতঃপর বললেনঃ
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَاجْعَلْنِي مَعَ الرَّفِيقِ الأَعْلَى
আল্লাহুম্মাগ ফিরলি ওয়াজ আলনি মায়ার রাফিকিল আলা
হে আল্লাহ! আমাকে মাফ করুন এবং আমাকে মহান সঙ্গীর সাথে সাক্ষাৎ করিয়ে দিন! তিনি {আয়িশা [রাদি.] } বলেন, হঠাৎ আমি দেখলাম যে, তাকে উঠিয়ে নিয়েছেন [ইন্তেকাল করিয়াছেন]।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫১৯, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫৪৪]
৫৬০১. আমাশ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে জারীর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
কিন্তু হুশায়ম ও শুবাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বর্ণিত হাদীসে রয়েছে- তিনি তাহাঁর হস্ত দ্বারা তাকে [রোগীকে] মুছে দিলেন। আর [সুফ্ইয়ান] সাওরী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বর্ণিত হাদীসে রয়েছে-তিনি তাহাঁর ডান হস্ত দ্বারা তাকে মুছে দিলেন। আর সুফ্ইয়ান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] -এর সূত্রে আমাশ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে ইয়াহ্ইয়া [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বর্ণিত হাদীসের অবশিষ্টাংশে বর্ণনাকারী বলেছেন- পরে আমি এ হাদীস মানসূর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] -কে শুনালে তিনি ইব্রাহীম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] মাসরূক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ও আয়িশা [রাদি.] হইতে হুবহু হাদীস বর্ণনা করে আমাকে শুনালেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫২০, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫৪৫]
৫৬০২ আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কোন রোগগ্রস্থ ব্যক্তিকে দেখিতে গেলে বলিতেনঃ
أَذْهِبِ الْبَاسَ رَبَّ النَّاسِ اشْفِهِ أَنْتَ الشَّافِي لاَ شِفَاءَ إِلاَّ شِفَاؤُكَ شِفَاءً لاَ يُغَادِرُ سَقَمًا
আযহিবিল বাসা রব্বা নাসি আসফি আন্তাস সাফি লা সিফায়া ইল্লা সিফায়ুকা সিফায়া লা ইউ গাদিরু সাক্কামা
“সমস্যা বিদূরিত করে দিন হে লোকেদের প্রতিপালনকারী! তাঁকে সুস্থ করে দিন, আপনিই সুস্থতা দানকারী। আপনার শিফা ব্যাতিত কোন শিফা নেই- এমন শিফা, যার পরে কোন রোগ-ব্যাধি বাকী থাকে না। ”
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫২১, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫৪৬]
৫৬০৩ আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কোন রোগগ্রস্থ ব্যক্তির নিকট গেলে তার জন্য দুআ করিতেন। তিনি বলিতেনঃ
أَذْهِبِ الْبَاسَ رَبَّ النَّاسِ وَاشْفِ أَنْتَ الشَّافِي لاَ شِفَاءَ إِلاَّ شِفَاؤُكَ شِفَاءً لاَ يُغَادِرُ سَقَمًا
আযহিবিল বাসা রব্বা নাসি ওয়াসফি আন্তাস সাফি লা সিফায়া ইল্লা সিফায়ুকা সিফায়া লা ইউ গাদিরু সাক্কামা
“বিপদাপদ সমস্যা বিদূরিত করে দিন হে মানুষের প্রতিপালক! আর আরোগ্য দান করুন। আপনিই আরোগ্য দানকারী, আপনার শিফা ছাড়া কোন শিফা নেই; এমন সুস্থতা দিন, যার পরে কোন রোগ-ব্যাধি বাকী না থাকে। ” কিন্তু আবু বাক্র [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] সূত্রে বর্ণিত আছে- তার জন্যে দুআ করিতেন এবং বলিতেন [আরবী]। এছাড়া তিনি বলেছেন, আর আপনিই সুস্থতা দানকারী।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫২২, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫৪৭]
৫৬০৪. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর বর্ণনা [উপরোল্লিখিত] আবু আওয়ানাহ্ এবং জারীর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] -এর হাদীসের অবিকল।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫২৩, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫৪৮]
৫৬০৫ঃআয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এ দুআ দিয়ে ঝাড়ফুঁক করিতেন-
أَذْهِبِ الْبَاسَ رَبَّ النَّاسِ بِيَدِكَ الشِّفَاءُ لاَ كَاشِفَ لَهُ إِلاَّ أَنْتَ
আযহিবিল বাসা রব্বা নাসি বিইয়াদিকাস সিফায়ু লা কা সিফা ইল্লা আনতা
“হে জনগণের প্রতিপালক! বিপদাপদ সমস্যা বিদূরিত করুন; আপনার কাছেই রয়েছে উপশম। আপনি ছাড়া আর কেউ-ই [বিপদ] দূরকারী নেই। ”
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫২৪, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫৪৯]
৫৬০৬. আবু কুবায়ব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
আবু কুবায়ব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ও ইসহাক্ ইবনি ইব্রাহীম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হিশাম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] -এর সানাদে উপরোল্লিখিত সূত্রে হুবহু হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫২৫, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫৫০]
২০. অধ্যায়ঃ মুআববিযাত {২৭} সূরাহ পড়ে ঝাড়ফুঁক করা এবং দম করা
৫৬০৭ আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর পরিবারবর্গের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি মুআব্বিযাত সূরাগুলো পড়ে তাকে ফুঁক দিতেন। পরবর্তীতে তিনি যখন মৃত্যুরোগে আক্রান্ত হলেন তখন আমি তাকে ফুঁক দিতে লাগলাম এবং তাহাঁর-ই হাত দিয়ে তাহাঁর দেহটি মুছে দিতে লাগলাম। কেননা আমার হাতের তুলনায় তাহাঁর হাতটি ছিল অনেক বারাকাতপূর্ণ। আর ইয়াহ্ইয়া ইবনি আইয়ূব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] মুআব্বিযাত দ্বারা ঝাড়ফুঁক করিতেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫২৬, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫৫১] {২৭} সূরা আল-ফালাক ও সূরা আন-নাস কে মুআববি্যাত বলা হয়
৫৬০৮ আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি মুআব্বিযাত পাঠ করে স্বশরীরে দম করিতেন। তাহাঁর ব্যাধি কঠিন রূপ ধারণ করলে আমি তা পড়ে তাহাঁর হাত দ্বারা তাহাঁর দেহটি মুছে দিতাম ঐ হাতের বারাকাতের আশায়।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫২৭, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫৫২]
৫৬০৯ ইবনি শিহাব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
ইবনি শিহাব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে মালিকের সূত্রে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। কিন্তু মালিকের হাদীস ছাড়া তাদের কারো হাদীসে তাহাঁর হাতের বারাকাতের আশায় কথাটি নেই। ইউনুস [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ও যিয়াদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বর্ণিত হাদীসে আছে-নবী [সাঃআঃ] অসুস্থ হয়ে গেলে নিজেকে মুআব্বিযাত দ্বারা দম করিতেন এবং নিজ হস্তে স্বশরীরে মুছতেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫২৮, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫৫৩]
২১. অধ্যায়ঃ চোখলাগা , পার্শ্বঘা, বিষাক্ত প্রাণীর বিষক্রিয়া ও দুরাবস্থা হইতে [মুক্তির জন্য] ঝাড়ফুঁক করা মুস্তাহাব
৫৬১০। আস্ওয়াদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি আয়িশা [রাদি.] -কে ঝাড়ফুঁক সম্বন্ধে প্রশ্ন করলাম। তিনি বলিলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আনসারীদের একটি পরিবারকে যে কোন বিষধর প্রানীর বিষক্রিয়া হইতে মুক্তির জন্যে ঝাড়ফুঁক করার অনুমতি দিয়েছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫২৯, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫৫৪]
৫৬১১। আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আনসারীদের একটি গৃহের লোকদের বিষাক্ত জন্তুর বিষক্রিয়া থেকে [রোগমুক্তি লাভের আশায়] ঝাড়ফুঁক করার অনুমতি দিয়েছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৩০, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫৫৫]
৫৬১২ঃ আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] নিয়ম করে ছিলেন যে, মানুষ তার [শরীরের] কোথাও অসুস্থতা অনুভব করলে অথবা তাতে কোন ফোঁড়া বা আঘাতপ্রাপ্ত [হয়ে] থাকলে- রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর আঙ্গুল দ্বারা এ রকম করিতেন- [এ কথা বলে এভাবে করার ধরণ বুঝানোর জন্য]। বর্ণনাকারী সুফ্ইয়ান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] তার বুড়ো আঙ্গুলটি জমিনে রাখলেন- অতঃপর তা তুলে নিলেন এবং সে সময় এ দুআ পড়তেন
بِاسْمِ اللَّهِ تُرْبَةُ أَرْضِنَا بِرِيقَةِ بَعْضِنَا لِيُشْفَى بِهِ سَقِيمُنَا بِإِذْنِ رَبِّنَا
বিসমিল্লাহ তুরবাতু আরদিনা বিরীকাতি বা’দিনা লিয়ুশফা বিহি সাকীমুনা বিইযনি রব্বিনা
অর্থাৎ- আল্লাহর নামে- আমাদের জমিনের ধূলামাটি আমাদের কারো [মুখের] লালার সঙ্গে [মিলিয়ে] -আমাদের পালনকর্তার আদেশে তা দিয়ে আমাদের অসুস্থ ব্যক্তির আরোগ্য লাভের উদ্দেশে [মালিশ করছি]। তবে ইবনি আবু শাইবাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] [তার বর্ণনাতে] বলেছেন-يُشْفَى ‘শিফা দান করা হয়’। এবং যুহায়র (রহঃ) বলেছেন,لِيُشْفَى আমাদের রোগীর সুস্থতা লাভের উদ্দেশে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৩১, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫৫৬]
৫৬১৩. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাকে চোখলাগা হইতে [মুক্ত হওয়ার জন্য] ঝাড়ফুঁক করার আদেশ করিতেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৩২, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫৫৭]
৫৬১৪. মিসআর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
মুহাম্মাদ ইবনি আবদুল্লাহ ইবনি নুমায়র [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ….. মিসআর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে উপরোল্লিখিত সূত্রে হুবহু হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৩৩, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫৫৮]
৫৬১৫. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে কুদৃষ্টি হইতে [বাঁচার জন্য] ঝাড়ফুঁক করার আদেশ করিতেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৩৪, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫৫৯]
৫৬১৬. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, বিষাক্ত জন্তুর বিষক্রিয়া, পার্শ্বঘা ও চোখলাগা থেকে [বাঁচার জন্য] ঝাড়ফুঁক করার অনুমতি দেয়া হয়েছে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৩৫, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫৬০]
৫৬১৭. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কুদৃষ্টি লাগা, বিষাক্ত জন্তুর বিষক্রিয়া ও বিষাক্ত পার্শ্বঘা থেকে বেঁচে থাকতে ঝাড়ফুঁকের অনুমতি দিয়েছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৩৬, ই.সে ৫৫৬১] সুফইয়ান ইউসুফ ইবনি আবদুল্লাহর ইবনি হারিস-এর সূত্রে হাদীস বর্ণিত রয়েছে।
৫৬১৮. নবী [সাঃআঃ] এর স্ত্রী উম্মু সালামাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তার স্ত্রী উম্মু সালামাহ্ [রাদি.]-এর গৃহে একটি বালিকার মুখমন্ডলে [কালো বা হলুদ] দাগ লক্ষ্য করে বলিলেন, তার কুদৃষ্টি লেগেছে, তার জন্য ঝাড়ফুঁক করো। অর্থাৎ তার চেহারায় হলুদ দাগ পড়ার কারণে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৩৭, ই.সে ৫৫৬২]
৫৬১৯. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] হাযম পরিবারকে সাপের ছোবলে আঘাতপ্রাপ্ত রোগীকে ঝাড়ফুঁক করার অনুমতি দেন এবং আসমা বিনতু উমায়স [রাদি.] -কে বলিলেন, আমার ভাই {জাফার [রাদি.]} এর ছেলে-মেয়েদের কি হলো যে, তাদের শরীর আমি দুর্বল দেখিতে পাচ্ছি? তাদের কি অভাব দেখা দিয়েছে? তিনি [আসমা] বলিলেন, না কিন্তু তাদের উপর তাড়াতাড়ি কুনযর লেগে যায়। তিনি বলিলেন, তুমি তাদের ঝাড়-ফুঁক কর। তিনি বলিলেন, তখন আমি তাহাঁর নিকট [দুআটি] উপস্থাপন করলাম। তিনি বলিলেন, [ঠিক আছে] তুমি তাদের ঝাড়ফুঁক করে দাও।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৩৮, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫৬৩]
৫৬২০. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বানু আমরকে সাপের ছোবলে আক্রান্ত রোগীর ঝাড়ফুঁকের অনুমতি দেন। আবু যুবায়র [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] আরও বলেছেন-আমি জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.]-কে আরও বলিতে শুনেছি যে, একটি বিছা আমাদের এক লোককে ছোবল দিল। আমরা সেথায় রসুলূল্লাহ [সাঃআঃ] এর সাথে বসাছিলাম। তখন এক লোক বলিল, হে আল্লাহর রসূল! আমি [তাকে] ঝেড়ে দেই? তিনি বলিলেন, তোমাদের মধ্যে কোন লোক যদি তার ভাইয়ের [কোনও] উপকার করিতে পারে, সে যেন [তা] করে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৩৯, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫৬৪]
৫৬২১. ইবনি জুরায়জ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
ইবনি জুরায়জ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] [থেকে] উপরোক্ত সূত্রে অবিকল হাদীস বর্ণনা করেন। তবে তিনি বলেছেন-তখন ব্যক্তিদের মাঝে এক লোক বলিল, হে আল্লাহর রসূল! আমি তাকে ঝাড়ফুঁক করিতে পারি? তিনি [শুধু] ঝাড়ফুঁক করি বলেননি [বরং তাকে শব্দটিও বলেছেন]।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫ ৪০, ই.সে ৫৫৬৫]
৫৬২২. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমার একজন মামা ছিলেন, যিনি বিচ্ছুর ছোবলে ঝাড়ফুঁক করিতেন। এ সময় [একদিন] রসুলূল্লাহ [সাঃআঃ] সব ঝাড়ফুঁক নিষিদ্ধ ঘোষনা করিলেন। সে সময় তিনি [আমার মামা] তাহাঁর খিদমাতে এসে বলিলেন, হে আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ]! আপনি ঝাড়ফুঁক হারাম করে দিয়েছেন। হে আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] আমি তো বিছার ছোবল থেকে আত্মরক্ষার্থে ঝাড়ফুঁক করে থাকি? তিনি বলিলেন, তোমাদের মধ্যে যে কোন ব্যক্তি তার ভাইয়ের কোন উপকার করিতে সমর্থ হলে সে যেন তা করে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৪১, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫৬৬]
৫৬২৩. আমাশ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
উসমান ইবনি আবু শাইবাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]….. আমাশ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে উপরোল্লিখিত সূত্রে অবিকল হাদীস রিওয়ায়াত করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৪২, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫৬৭]
৫৬২৪. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসুলূল্লাহ [সাঃআঃ] [এক সময়] ঝাড়ফুঁক নিষিদ্ধ করে দিলেন। অতঃপর আমর ইবনি হাযম সম্প্রদায়ের ব্যক্তিরা এসে বলিল, হে আল্লাহর রসূল! আমাদের নিকট একটি ঝাড়ফুঁক ছিল, যা দিয়ে আমরা বিচ্ছুর ছোবলে ঝাড়ফুঁক করতাম, এখন আপনি তো ঝাড়ফুঁক নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন। বর্ণনাকারী {জাবির [রাদি.]} বলেন, তারা তা তাহাঁর নিকট উপস্থাপন করিল। তখন তিনি বলিলেন, কোন সমস্যা দেখিতে পাচ্ছি না তোমাদের মধ্যে যে কেউ তার ভাইয়ের কোনও উপকার করিতে সমর্থ হলে সে যেন তার উপকার করে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৪৩, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫৬৮]
২২. অধ্যায়ঃ শিরক মুক্ত ঝাড়ফুঁক কোন দোষ নেই
৫৬২৫. আওফ ইবনি মালিক আশজাঈ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমরা জাহিলী [মূর্খতার] যুগে [বিভিন্ন] মন্ত্র দিয়ে ঝাড়ফুঁক করতাম। এজন্যে আমরা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর আবেদন করলাম-হে আল্লাহর রসূল! এক্ষেত্রে আপনার মতামত কি? তিনি বলিলেন, তোমাদের মন্ত্রগুলো আমার নিকট উপস্থাপন করো, ঝাড়ফুঁকে কোন দোষ নেই-যদি তাতে কোন শিরক [জাতীয় কথা] না থাকে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৪৪, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫৬৯]
২৩. অধ্যায়ঃ কুরআন মাজীদ এবং অন্যান্য দুআ-যিকর দিয়ে ঝাড়ফুঁক করে বিনিময় গ্রহণ বৈধ
৫৬২৬। আবু সাঈদ খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর কিছু সংখ্যক সহাবী কোন এক সফরে ছিলেন, তাঁরা কোন একটি আরব সম্প্রদায়ের বসতির নিকট দিয়ে রাস্তা অতিক্রমকালে তাদের নিকট মেহমানদারীর ব্যাপারে বলিলেন। কিন্তু তারা তাদের আতিথেয়তা করিল না। পরে তাদেরকে তারা বলিল, তোমাদের দলে কি কোন ঝাড়ফুঁককারী আছে? কারণ, বসতির সর্দারকে সাপে দংশন করিয়াছেন অথবা [বর্ণনাকারীর সংশয়ে তারা বলিল-] বিপদগ্রস্থ হয়েছে। সে সময় এক লোক বলিল, হ্যাঁ। তারপরে সে তার নিকট গমন করে সূরা আল আল-ফাতিহাহ্ দ্বারা ঝাড়ফুঁক করিল। যার দরুন ব্যক্তিটি ভাল হয়ে গেল এবং ঝাড়ফুঁককারীকে বকরীর একটি ক্ষুদ্র পাল দেয়া হলো। সে তা নিতে আপত্তি জানালো এবং সে বলিল, যতক্ষন তা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নিকট বর্ণনা না করি-[ততক্ষন গ্রহণ করিতে পারি না]। অতঃপর সে নবী [সাঃআঃ] এর নিকট এসে বিষয়টি তাহাঁর নিকট বর্ণনা করে সে বলিল, হে আল্লাহর রসূল! আল্লাহর শপথ! আমি ফাতিহাতুল কিতাব ছাড়া ভিন্ন কোন কিছু দিয়ে ঝাড়ফুঁক করিনি। সে সময় তিনি মৃদু হাসঁলেন এবং বলিলেন, তুমি কি করে বুঝলে যে, তা দিয়ে ঝাড়ফুঁক করা যায়? অতঃপর বলিলেন, তাদের নিকট থেকে তা নিয়ে নাও এবং তোমাদের সঙ্গে আমার জন্যও একাংশ রেখো।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৪৫, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫৭০]
৫৬২৭। আবু বিশর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, যে [ওঝা] উম্মুল কুরআন-সূরা আল-ফাতিহাহ্ পাঠ করিতে লাগল এবং তার থু-থু একত্রে করে থুক দিতে লাগল। ফলে ব্যক্তিটি সুস্থ হয়ে গেল।
[ই.ফা ৫৫৪৬, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫৭১]
৫৬২৮। আবু সাঈদ খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমরা একটি স্থানে নামলাম। অতঃপর আমাদের নিকট একটি মহিলা এসে বলিল, এলাকার সর্দারকে সাপে কেটেছে, তোমাদের মাঝে কি কোন ঝাড়ফুঁককারী আছে? সে সময় আমাদের এক লোক উঠে তার সাথে গেল- সে যে সুন্দর ঝাড়ফুঁক করিতে পারে তা আমাদের জানা ছিল না। সে সূরা আল-ফাতিহা দ্বারা তাকে ঝাড়ফুঁক করিল। এতে সে সুস্থ হয়ে গেল। তখন তারা তাকে একপাল বকরী দিল এবং আমাদের দুধ পান করাল। আমরা বললাম, তুমি কি ভাল ঝাড়ফুঁক করিতে জানতে? সে বলিল, আমি তো সূরা আল-ফাতিহাহ্ ব্যতীত আর কিছু দিয়ে তাকে ঝাড়ফুঁক করিনি। বর্ণনাকারী বলেন, তখন আমি বললাম, তোমরা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নিকট গমন না করা পর্যন্ত ঐ বকরীগুলোকে এখান হইতে নিয়ে যেওনা। তারপরে আমরা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নিকট এসে তাহাঁর নিকট তা পেশ করলাম। তিনি বলিলেন, সে-কি করে বুঝল যে, এ সূরাটি দ্বারা ঝাড়ফুঁক করা যায়? তোমরা বকরীগুলো বন্টন করে নাও এবং আমার জন্যে তোমাদের সাথে একটি অংশ রেখ।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৪৭, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫৭২]
৫৬২৯. হিশাম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
মুহাম্মদ ইবনিল মুসান্না [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ………. হিশাম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] এ সূত্রে অবিকল হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। তবে তিনি বলেছেন-সে সময় তার সঙ্গে আমাদের এক লোক উঠে দাঁড়াল-যাকে আমরা ঝাড়ফুঁক বিষয়ে [পারদর্শী] মনে করতাম না।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৪৮, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫৭৩]
২৪. অধ্যায়ঃ ঝাড়ফুঁকের সময় আক্রান্ত জায়গায় হাত রাখা মুস্তাহাব
৫৬৩০. উসমান ইবনি আবুল আস-সাকাফী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
উসমান ইবনি আবুল আস-সাকাফী [রাদি.] হইতে বর্ণনা করেন যে, তিনি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নিকট একটি ব্যথার অভিযোগ করিলেন, যা তিনি ইসলাম গ্রহণের পর থেকে তার দেহে অনুভব করছেন। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাকে বলিলেন, তোমার শরীরের যে অংশ ব্যথাযুক্ত হয়, তার উপরে তোমার হাত রেখে তিনবার বিসমিল্লা-হ বলবে এবং সাতবার বলবে-
أَعُوذُ بِاللَّهِ وَقُدْرَتِهِ مِنْ شَرِّ مَا أَجِدُ وَأُحَاذِرُ
আউজু বিল্লাহে ওয়া কুদরতি মিন সাররি মা আজিদু ওয়া ইউহাজির “আল্লাহ এবং তাহাঁর ক্ষমতার আশ্রয় প্রার্থনা করছি-যা আমি অনুভব করি এবং যা ধারণা করি তার অনিষ্ট হইতে।”
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৫১, ইসলামিক সেন্টার-৫৫৭৪]
২৫. অধ্যায়ঃ সালাতে কুমন্ত্রণাদাতা শাইতান হইতে আশ্রয় প্রার্থনা করা
৫৬৩১. আবদুল আলা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
আবদুল আলা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণনা করেন যে, উসমান ইবনি আবুল আস [রাদি.] নবী [সাঃআঃ] এর নিকট এসে বলিলেন-হে আল্লাহর রসূল! শাইতান আমার, আমার সালাত ও কিরাআতের মধ্যে বাধা হয়ে দাঁড়ায় এবং সব কিছুতে গোলমাল বাধিয়ে দেয়। তখন রসুলূল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন: এটা এক [প্রকারের] শাইতান-যার নাম খিনযিব। যে সময় তুমি তার উপস্থিতি বুঝতে পারবে তখন [আঊযুবিল্লাহ পড়ে] তার অনিষ্ট হইতে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চেয়ে তিনবার তোমার বাম পাশে থু থু ফেলবে। তিনি বলেন, তারপরে আমি তা করলাম আর আল্লাহ আমার হইতে তা দূর করে দিলেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৫০, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫৭৫]
৫৬৩২. তিনি উসমান ইবনি আবুল আস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
মুহাম্মদ ইবনিল মুসান্না ও আবু বাকর ইবনি আবু শাইবাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ………..তিনি উসমান ইবনি আবুল আস [রাদি.] হইতে বর্ণনা করেন যে, নবী [সাঃআঃ] এর নিকট এলেন। তারপর অবিকল [হাদীস] বর্ণনা করিয়াছেন, কিন্তু সালিম ইবনি নূহ্ তিনবার এর কথাটি তার হাদীসে বর্ণনা করেননি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৫১, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫৭৬]
৫৬৩৩. উসমান ইবনি আবুল আস্-সাকাফী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল!……. অতঃপর তাদের বর্ণিত হাদীসের অবিকল হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৫২, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫৭৭]
২৬. অধ্যায়ঃ প্রতিটি রোগের প্রতিকার রয়েছে এবং চিকিৎসা করা মুস্তাহাব
৫৬৩৪. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
হারূন ইবনি মারূফ এবং আবু তাহির ও আহমাদ ইবনি ঈসা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ……জাবির [রাদি.] এর সানাদে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] হইতে বর্ননা করেন যে, তিনি বলেছেন-প্রতিটি ব্যাধির প্রতিকার রয়েছে। অতএব রোগে যথাযথ ঔষধ প্রয়োগ করা হলে আল্লাহর ইচ্ছায় আরোগ্য লাভ হয়।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৫৩, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫৭৮]
৫৬৩৫. আসিম ইবনি উমর ইবনি কাতাদাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] আল-মুকাননা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] কে অসুস্থতার দরুন দেখিতে গেলেন। কিছুক্ষন পরে তিনি বলিলেন-যে পর্যন্ত না তুমি শিঙ্গা লাগাবে সে পর্যন্ত আমি স্থান ত্যাগ করব না। কারণ, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে বলিতে শুনেছি যে, তাতে শিফা রয়েছে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৫৪, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫৭৯]
৫৬৩৬. আসিম ইবনি উমর ইবনি কাতাদাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, একদা জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] আমাদের পরিবারে এলেন, তখন জনৈক লোক খুজলী-পাঁচড়ায় অথবা [বর্ণনা সংশয়] -তিনি বলিলেন, আঘাতে অসুস্থ হয়েছিল। তিনি বলিলেন, তুমি কি অসুস্থতাবোধ করছো? সে বলিল-আমার খুজলি-পাঁচড়া আমাকে ভয়স্কর অবস্থায় ফেলে দিয়েছে। তিনি তখন [খাদিমকে] বলিলেন, হে যুবক! আমার নিকট একজন শিঙ্গা প্রয়োগকারী [বৈদ্য] নিয়ে আসো। তখন তিনি তাকে বলিলেন, বৈদ্যকে দিয়ে আপনি কি করবেন, হে আবু আবদুল্লাহ? তিনি বলিলেন, আমি তাতে একটা শিঙ্গার নল ঝুলাতে চাই। সে বলিল, আল্লাহর শপথ! মাছি আমার শরীরে বসলে কিংবা কাপড়ের ছোঁয়া আমার শরীরে লাগলে তা-ই আমাকে বেদনা দেয় এবং আমার জন্য কঠিন হয়ে পড়ে- [তাহলে শিঙ্গার বেদনা কি করে সহ্য করবো]? তারপরে তিনি যখন ঐ ব্যাপারে তার ধৈর্যহারা লক্ষ্য করিলেন তখন বলিলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে বলিতে শুনেছি যে, তোমাদের ব্যবস্থাপত্রের কোন কিছুতে যদি কল্যাণ থেকে থাকে তাহলে তা শিঙ্গার নল অথবা মধুর শরবত পান অথবা আগুনের সেঁকে রয়েছে। রসুলূল্লাহ্ [সাঃআঃ] [আরও] বলেছেন-[নিতান্ত প্রয়োজন না পড়লে আমি গরম লোহার সেঁক লাগিয়ে চিকিৎসা করা অপছন্দ করি। বর্ণনাকারী বলেন, সে একজন শিঙ্গাবিদ [বৈদ্য] নিয়ে এলো, সে তার শিঙ্গা লাগাল। ফলে ব্যথানুভুতি বিদুরিত হয়ে গেল।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৫৫, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫৮০]
৫৬৩৭. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
কুতাইবাহ্ ইবনি সাঈদ এবং মুহাম্মাদ ইবনি রুম্হ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] …… জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণনা করেন যে, উম্মু সালামাহ্ [রাদি.] রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নিকট শিঙ্গা লাগানোর বিষয়ে অনুমতি চাইলেন। তখন রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাকে শিঙ্গা লাগিয়ে দেয়ার জন্য আবু তাইবাহ্ [রাদি.] কে নির্দেশ করিলেন।
বর্ণনাকারী বলেন, আমার মনে হয় যে, তিনি [ঊর্ধ্বতন বর্ণনাকারী] বলেছেন যে, সে ছিল তাহাঁর দুধ ভাই অথবা নাবালক কিশোর।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৫৬, ইসলামিক সেন্টার-৫৫৮১]
৫৬৩৮. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] উবাই ইবনি কাব [রাদি.] এর নিকট জনৈক ডাক্তার প্রেরণ করিলেন। সে তার একটি ধমনী কর্তন করে দিল, পরে লোহা গরম করে [রক্ত বন্ধ করার জন্য] তাতে সেঁক দিয়ে দিল।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৫৭, ইসলামিক সেন্টার-৫৫৮২]
৫৬৩৯. আমাশ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
উসমান ইবনি আবু শাইবাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি], ইসহাক ইবনি মানসুর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] …… আমাশ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে উপরোল্লিখিত সূত্রে হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। কিন্তু তিনি সে তাহাঁর একটি ধমনী কর্তন করে দিল- কথাটি বর্ণনা করেননি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৫৮, ইসলামিক সেন্টার-৫৫৮৩]
৫৬৪০. আবু সুফ্ইয়ান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
বিশ্র ইবনি খালিদ…… আবু সুফ্ইয়ান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, আমি জাবির [রাদি.] কে বলিতে শুনেছি যে, খন্দক যুদ্ধে উবাই [রাদি.] এর হাত [কিংবা পা] এর মূল ধমনীতে তীর লাগানো হলো, তাই রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাকে লোহা গরম করে দাগ দিলেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৫৯, ই. সে.৫৫৮৪]
৫৬৪১. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, সাদ ইবনি মুআয [রাদি.] এর মূল রগে তীর লাগানো হলো। বর্ণনাকারী বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর স্বহস্তে একটি তীর ফলক দ্বারা তার রগ কর্তন করে দাগ দিয়ে দিলেন। তারপর তা ফুলে উঠলে দ্বিতীয়বার দাগ দিয়ে দিলেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৬০, ইসলামিক সেন্টার-৫৫৮৫]
৫৬৪২. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আহ্মাদ ইবনি সাঈদ ইবনি সাখ্র দারিমী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] …… ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে রিওয়ায়াত করেন যে, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] [একবার] শিঙ্গা নিলেন ও শিঙ্গাবিদকে তার বিনিময় দিলেন এবং একবার তিনি নাকে ঔষধের ফোটা নিলেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৬১, ইসলামিক সেন্টার-৫৫৮৬]
৫৬৪৩. আম্র ইবনি আমির আনসারী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি আনাস ইবনি মালিক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] কে বলিতে শুনেছি যে, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] শিঙ্গা নিয়েছিলেন – আর তিনি [যথার্থ পারিশ্রমিকও দিয়েছিলেন- কেননা, তিনি] মজুরির বিষয়ে কারো প্রতি যুল্ম করিতেন না।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৬২, ইসলামিক সেন্টার-৫৫৮৭]
৫৬৪৪. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
যুহায়র ইবনি হার্ব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ও মুহাম্মাদ ইবনিল মুসান্না [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] …… ইবনি উমর [রাদি.] এর সানাদে রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] হইতে রিওয়ায়াত করেন যে, তিনি বলেছেনঃ জ্বর হলো জাহান্নামের উত্তাপ তাই পানি দিয়ে তাকে শীতল করো।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৬৩, ইসলামিক সেন্টার-৫৫৮৮]
৫৬৪৫. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
ইবনি নুমায়র ও আবু বকর ইবনি আবু শাইবাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] …… ইবনি উমর [রাদি.] এর সানাদে রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] হইতে বর্ণিত। তিনি বলেন, জ্বরের প্রচন্ডতা আসে জাহান্নামের তাপ হইতে। তাই পানি দিয়ে তোমরা তাকে শীতল করিবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৬৪, ইসলামিক সেন্টার-৫৫৮৯]
৫৬৪৬. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ জ্বর জাহান্নামের সঞ্চিত উত্তাপ; তাই তাকে পানি দিয়ে নিভিয়ে দাও।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৬৫, ইসলামিক সেন্টার-৫৫৯০]
৫৬৪৭. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আহ্মাদ ইবনি আবদুল্লাহ ইবনি হাকাম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] এবং হারূন ইবনি আবদুল্লাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] …… ইবনি উমর [রাদি.] থেকে রিওয়ায়াত করেন যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ জ্বর জাহান্নামের সঞ্চিত উত্তাপ; তাই তাকে পানি দিয়ে শীতল করে দাও।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৬৬, ইসলামিক সেন্টার-৫৫৯১]
৫৬৪৮. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আবু বাক্র ইবনি আবু শাইবাহ্ ও আবু কুরায়ব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] …… আয়িশা [রাদি.] হইতে রিওয়ায়াত করেন যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ জ্বর জাহান্নামের সঞ্চিত উত্তাপ; তাই তাকে পানি দ্বারা শীতল করো।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৬৭, ইসলামিক সেন্টার-৫৫৯২]
৫৬৪৯. হিশাম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
ইসহাক্ ইবনি ইব্রাহীম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] …… হিশাম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে উপরোল্লিখিত সূত্রে অবিকল রিওয়ায়াত করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৬৮, ইসলামিক সেন্টার-৫৫৯৩]
৫৬৫০. আসমা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তার নিকট জ্বরাক্রান্ত কোন স্ত্রীলোককে নিয়ে আসা হলে তিনি পানি নিয়ে আসতে বলিতেন। এরপর তা তার বক্ষের উপর ঢেলে দিতেন এবং বলিতেন- রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তাকে পানি দিয়ে শীতল করো। তিনি আরও বলেছেন, তা জাহান্নামের সঞ্চিত উত্তাপ।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৬৯, ইসলামিক সেন্টার-৫৫৯৪]
৫৬৫১. হিশাম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
আবু কুরায়ব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] …… হিশাম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে উপরোল্লিখিত সূত্রে হাদীস রিওয়ায়াত করিয়াছেন। তবে {আবু কুরায়ব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] -এর ঊর্ধ্বতন বর্ণনাকারী} ইবনি নুমায়র [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] – এর বর্ণিত হাদীসে আছে- তার [রোগিনী] ও তার জামার ফাঁকা জায়গার মধ্যে পানি প্রবাহিত করে দিতেন।
আর [অন্য ঊর্ধ্বতন বর্ণনাকারী] উসামাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] -এর হাদীসে তা জাহান্নামের সঞ্চিত তাপ কথাটি তিনি বর্ণনা করেননি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৭০, ইসলামিক সেন্টার-৫৫৯৫]
৫৬৫২. আবায়াহ্ ইবনি রিফাআহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
হান্নাদ ইবনি সারী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] …… আবায়াহ্ ইবনি রিফাআহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] -এর সানাদে তাহাঁর দাদা রাফি ইবনি খাদিজ [রাদি.] হইতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -কে আমি বলিতে শুনেছি যে, জ্বর জাহান্নামের তীব্র উত্তাপের অংশ বিশেষ, তাই তোমরা তাকে পানি দ্বারা শীতল করো।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৭১, ইসলামিক সেন্টার-৫৫৯৬]
৫৬৫৩. মুহাম্মাদ ইবনিল মুসান্না [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
আবু বাক্র ইবনি শাইবাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] …… মুহাম্মাদ ইবনিল মুসান্না [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] , মুহাম্মাদ ইবনি হাতিম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ও আবু বাক্র ইবনি নাফি [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] …… রাফি ইবনি খাদীজ [রাদি.] রিওয়ায়াত করেন, তিনি বলেন, আমি রসূলিল্লাহ [সাঃআঃ] -কে বলিতে শুনেছি যে, জ্বর জাহান্নামের উত্তাপ হইতে [উদ্ভূত] । তাই তোমাদের পক্ষ হইতে তাকে পানি দিয়ে শীতল করো। তবে বর্ণনাকারী আবু বাক্র [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] তোমাদের পক্ষ হইতে অংশটুকু বর্ণনা করেননি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৭২, ইসলামিক সেন্টার-৫৫৯৭]
২৭. অধ্যায়ঃ মুখের কিনারা দিয়ে ঔষধ খাওয়া প্রসঙ্গে
৫৬৫৪. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর অসুস্থতার সময় তাহাঁর মুখের কিনারায় ঔষধ ঢেলে দিলাম; তখন তিনি ইঙ্গিত করেলন যে, আমার মুখে ওষুধ দিও না। আমরা বললাম, এটা ওষুধের প্রতি রোগীর অনীহার কারণ। অতঃপর যখন তিনি জ্ঞান ফিরে পেলেন, তখন বলিলেন, তোমাদের সবার মুখের কিনারায় ওষুধ ঢেলে দেয়া হইবে- তবে আব্বাস ছাড়া; কেননা তিনি তোমাদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন না।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৭৩, ইসলামিক সেন্টার-৫৫৯৮]
২৮. অধ্যায়ঃ ভারতীয় চন্দন দ্বারা চিকিৎসা করা- সেটাই কুস্ত
৫৬৫৫. উক্কাশাহ্ ইবনি মিহ্সান-এর ভগ্নি উম্মু কায়স বিনতু মিহ্সান [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি আমার এক ছেলেকে নিয়ে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট গেলাম, সে তখনও [সাধারণ] খাবার গ্রহণের বয়সে পৌঁছেনি- বাচ্চাটি তাহাঁর শরীরে প্রস্রাব করে দিল। তিনি পানি আনালেন এবং তা ছিটিয়ে দিলেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৭৪, ইসলামিক সেন্টার-৫৫৯৯]
৫৬৫৬. বর্ণনাকারী হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আর একবার আমি আমার [এক] ছেলেকে নিয়ে তাহাঁর নিকট প্রবেশ করলাম- যার গলদেশে ব্যথার কারণে আমি তার [নাসারন্ধ্রে পাকানো নেকড়া দ্বারা] যন্ত্রনা সারানোর ব্যবস্থা করেছিলাম। তিনি বলিলেন, নেকড়ার এ প্রক্রিয়ায় তোমাদের ছেলে-মেয়ের গলার ব্যথার চিকিৎসা করো কেন? তোমরা [বরং] হিন্দুস্তানী চন্দন ব্যবহার করিবে। কারণ এতে সাতটি [রোগের] নিরাময় আছে। তন্মধ্যে একটি ذَاتُ الْجَنْبِ গলা ব্যথায় নাকে হিন্দী চন্দনের নির্যাস দেয়া হবে, আর ذَاتِ الْجَنْبِ চোয়ালের এক পার্শ্ব দিয়ে ঢেলে দেয়া হইবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৭৪, ইসলামিক সেন্টার-৫৫৯৯]
৫৬৫৭. উবাইদুল্লাহ ইবনি আবদুল্লাহ ইবনি উতবাহ্ ইবনি মাসউদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
উম্মু কায়স বিনতু মিহ্সান [রাদি.] তিনি ছিলেন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] –এর হাতে বাইআত গ্রহণকারিণী প্রথম পর্যায়ের মুহাজির নারীগণের অন্যতমা। আর তিনি হলেন বানূ আসাদ ইবনি খুযাইমার একজন সদস্য উক্কাশাহ্ ইবনি মিহ্সান [রাদি.] -এর ভগ্নি। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি [উম্মু কায়স] আমাকে সংবাদ জানিয়েছন যে, তিনি তার একটি ছেলেকে নিয়ে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর নিকট আসলেন, যে তখনও [সাধারণ] খাদ্য খাওয়ার উপযোগী হয়নি। আর তখন তিনি পাকানো নেকড়া নাসারন্দ্রে ঢুকিয়ে ঐ ছেলেটির গলা ব্যাথা সাড়ানোর ব্যবস্থা করে ছিলেন। বর্ণনাকারী ইউনুস [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, [আরবি] অর্থ [আরবি] অর্থাৎ- ঘাড়ের আশেপাশে ব্যথা বা রক্ত জমার আশঙ্কায় নাসিকারন্ধ্রে নেকড়া ঢুকিয়ে নিরাময়ের বন্দোবস্ত করেছিলেন। তিনি বলেন, তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ তোমরা পাকানো নেকড়া ঢুকিয়ে তোমাদের বাচ্চাদের নিরাময়ের বন্দোবস্ত করো কেন? তোমরা [বরং] এ ভারতীয় চন্দন ব্যবহার করিবে, কেননা তাতে নিশ্চয়ই সাতটি [রোগের] ওষুধ আছে। তার একটি ذَاتُ الْجَنْبِ।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৭৫, ইসলামিক সেন্টার-৫৬০০]
৫৬৫৮. উবাইদুল্লাহ হইতে বর্ণীতঃ
তিনি আমাকে আরও জানিয়েছেন যে, তার ঐ ছেলেটি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর কোলে প্রস্রাব করে দিল। সে সময় রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সামান্য পানি নিয়ে আসতে বলিলেন এবং তার প্রস্রাবের উপর ঢেলে দিলেন, কিন্তু একেবারে পুরোপুরি ধুলেন না।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৭৫, ইসলামিক সেন্টার-৫৬০০]
২৯. অধ্যায়ঃ কালো জিরা দিয়ে চিকিৎসাকরণ
৫৬৫৯. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছেন, কালো জিরা সকল প্রকার রোগের উপশম আছে-তবে আস্সাম ব্যতীত। আর আস্সা-ম হলো মৃত্যু। এর আল হাব্বাতুস্ সাওদা হলো [স্থানীয় ভাষায়] শূনীয [অর্থাৎ- কালো জিরা]।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৭৬, ইসলামিক সেন্টার-৫৬০১]
৫৬৬০. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আবু তাহির [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] …… আবু হুরাইরাহ [রাদি.] -এর সানাদে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] হইতে [পূর্বোক্ত] উকায়ল [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর হাদীসের অবিকল হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। তবে [দ্বিতীয় সানাদে] সুফ্ইয়ান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ও [প্রথম সূত্রে] ইউনুস [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর হাদীসে আল হাব্বাতুস্ সাওদা রয়েছে। [তার বিশ্লেষণে] তিনি শূণীয শব্দটি বলেননি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৭৬, ইসলামিক সেন্টার-৫৬০২]
৫৬৬১. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
ইয়াহ্ইয়া ইবনি আইয়ুব, কুতাইবাহ্ ইবনি সাইদ ও ইবনি হুজর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] …আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ মৃত্যু ছাড়া এমন কোন রোগ নেই কালো জিরায় যার আরোগ্যতা নেই।
[ই. ফা ৫৫১৫, ই. সে ৫৬০৩]
৩০. অধ্যায়ঃ তালবীনা – [সাগু-বার্লি তরল হালুয়া] রোগীর অন্তরের জন্য প্রশান্তিদায়ক
৫৬৬২. উরওয়াহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
আবদুল মালিক ইবনি শুআয়ব ইবনি লায়স ইবনি সাদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] উরওয়াহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] সূত্রে নবী [সাঃআঃ] -এর স্ত্রী আয়িশা [রাদি.] হইতে বর্ণনা করেন যে, তাহাঁর নীতি ছিল যে, যখন তার পরিবারের কোন ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করতো এবং সে প্রেক্ষিতে মহিলাগণ একত্রিত হত, তারপরে পরিবারের লোক ও বিশিষ্ট [আত্নীয়] ছাড়া অবশিষ্টরা চলে যেত, তখন তিনি এক ডেকচি তালবীনা রান্না করার আদেশ দিতেন। তা রান্না করা হত; অতঃপর সারীদ প্রস্তুত করে তালবীনা তার উপর ঢেলে দেয়া হত। অতঃপর তিনি বলিতেন, এটা হইতে তোমরা খাও। কারণ আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -কে বলিতে শুনেছি তালবীনা রোগীর মনে প্রশান্তি দেয় এবং দুঃখ কিছুটা লাঘব করে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৭৮, ইসলামিক সেন্টার-৫৬০৪]
৩১. অধ্যায়ঃ মধু পানে চিকিৎসা প্রসঙ্গ
৫৬৬৩. আবু সাঈদ খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, জনৈক লোক রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর নিকট এসে বলিল, আমার ভাইয়ের উদারাময় হচ্ছে। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ তাকে মধু পান করাও। সে তাকে মধুপান করালো। তারপর এসে বলিল, আমি তাকে মধু পান করিয়েছি কিন্তু তার পীড়া আরও বেড়ে গেছে। তিনি এভাবে তিনবার বলিলেন। অতঃপর লোকটি চতুর্থবার এসে বললে, নবী [সাঃআঃ] বলিলেন, তাকে মধু পান করাও। লোকটি বলিল, মধুপান করিয়েছি কিন্তু উদারাময় ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতঃপর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন, আল্লাহই সত্য বলেছেন, তোমার ভাইয়ের পেটের যন্ত্রণাটি মিথ্যা। অতঃপর পুনরায় তাকে পান করালে সুস্থ হয়ে গেল।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৭৯, ইসলামিক সেন্টার-৫৬০৫]
৫৬৬৪. আবু সাঈদ খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
জনৈক লোক নবী [সাঃআঃ] -এর নিকট এসে বলিল, আমার ভাইয়ের উদারাময় হয়েছে। তিনি বলিলেন, তাকে মধু পান করাও। … হাদীসের বাকী অংশটুকু শুবাহ্ বর্ণিত হাদীসের অর্থেই বর্ণিত হয়েছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৭৯, ইসলামিক সেন্টার-৫৬০৬]
৩৩. অধ্যায়ঃ সংক্রমণ , কুলক্ষণ, হামাহ্, অনাহারে পেট কামড়ানো কীট, নক্ষত্রের প্রভাবে বর্ষণ ও পথ বিভ্রমের ভূত-প্রেতের অস্তিত্ব নেই; তবে অসুস্থ উটের মালিক তার উট সুস্থ উটের কাছে নিয়ে আসবে না
৫৬৮১. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
[এ হাদীস সে সময়ের] যখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন: সংক্রমণ ব্যাধি, ক্ষুধায় পেট কামড়ানো পোকা [বা সফর মাসের অগ্রপশ্চাৎকরণ] ও মৃত মানুষের আত্না হইতে পেঁচার জন্ম বলিতে কিছু নেই। সে সময় জনৈক বেদুঈন বলিল, হে আল্লাহ্র রাসূল! তাহলে সে উট পালের কি অবস্থা, যা কোন বালুকাময় ভূমিতে থাকে যা ব্যাধিমুক্ত বলবান। অতঃপর সেখানে খোচ-পাঁচড়া আক্রান্ত [কোন] উট এসে তাদের মধ্য প্রবেশ করে তাদের সবগুলোকে পাঁচড়ায় আক্রান্ত করে দেয়? তিনি বলিলেন, তাহলে প্রথম [উট] টিকে কে সংক্রমিত করেছিল?
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৯৪, ইসলামিক সেন্টার-৫৬২৩]
৫৬৮২. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ সংক্রামক ব্যাধি, কুলক্ষণ, অনাহারে পেট কামড়ানো পোকা ও হামাহ্-এসবের কোন অস্তিত্ব নেই। সে সময় জনৈক বেদুঈন আরব বলিল, হে আল্লাহ্র রসূল! বর্ণনাকারী ইউনুস [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] কর্তৃক রিওয়ায়াতকৃত হাদীসের অবিকল।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৯৫, ইসলামিক সেন্টার-৫৬২৪]
৫৬৮৩. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ সংক্রমণ বলিতে কিছু নেই…..। সে সময় জনৈক বেদুঈন আরব দন্ডায়মান হলো, ….এর পরের অংশ ইউনুস ও সালিহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] এর হাদিসের মত বর্ণনা করিয়াছেন। [পূর্বোক্ত সুত্রে] সায়িব ইবনি ইয়াযীদ ইবনি উখ্তু নামির [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেছেন, নবী [সাঃআঃ] বলেন: সংক্রামক ব্যাধি, অনাহারে পেট কামড়ানো পোকা এবং হামাহ্ বলিতে কোন কিছুর অস্তিত্ব নেই।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৯৬, ইসলামিক সেন্টার-৫৬২৫]
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ সংক্রমণ [এর অস্তিত্ব] নেই। তিনি আরও বলেন যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ ব্যাধিযুক্ত উটপালের মালিক [অসুস্থ উটগুলোকে] সুস্থ উটপালের মালিকের [উটের] ধারে কাছে আনবে না।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৯৭, ইসলামিক সেন্টার-৫৬২৬]
আবু সালামাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, আবু হুরায়রা্ [রাদি.] এ দুটি হাদীসই রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] হইতে রিওয়ায়াত করিতেন। অতঃপর আবু হুরায়রা্ [রাদি.] তাহাঁর [প্রথম হাদীসের] সংক্রমণ নেই বলা হইতে চুপ থাকেন এবং অসুস্থ উটপালের মালিক সুস্থ উটপালের মালিকের নিকট আনবে না-এ বর্ণনায় অটল থাকেন। বর্ণনাকারী বলেন, [একদিন] আল্ হারিস ইবনি আবু যুবাব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] -তিনি আবু হুরায়রা্ [রাদি.] -এর চাচাত ভাই বলিলেন, হে আবু হুরায়রা! আমি তো আপনাকে বলিতে শুনতাম, আপনি এ হাদীসের সঙ্গে আরও একটি হাদীস আমাদের নিকট বর্ণনা করিতেন, যা বর্ণনায় আপনি এখন নিশ্চুপ রয়েছেন। আপনি বলিতেন যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ সংক্রমণ নেই। তখন আবু হুরায়রা্ [রাদি.] অস্বীকার করিলেন এবং বলিলেন, অসুস্থ পালের মালিক সুস্থ পালের মালিকের নিকট নিয়ে যাবে না। তখন হারিস[রহমাতুল্লাহি আলাইহি] এ নিয়ে তাহাঁর সাথে তর্ক লিপ্ত হলেন। ফলে আবু হুরায়রা [রাদি.] গোস্বা হয়ে হাবশী ভাষায় কিছু বলিলেন। তিনি হারিস [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] -কে বলিলেন, তুমি কি বুঝতে পেরেছো আমি কি বলেছি? তিনি বলিলেন, না। আবু হুরায়রা্ [রাদি.] বলিলেন, আমি বলেছি, আমি অস্বীকার করছি।
আবু সালামাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, আমার জীবনের কসম! আবু হুরায়রা্ [রাদি.] নিশ্চই আমাদের নিকট হাদীস রিওয়ায়াত করিতেন যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন সংক্রমণ নেই। এখন আমি জানি না যে, আবু হুরায়রা্[রাদি.] ভুলে গেলেন, নাকি একটি দ্বারা অপরটিকে রহিত করে দিয়েছেন {২৮}
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৯৭, ইসলামিক সেন্টার-৫৬২৬]
{২৮} মুলতঃ কথা হল যে, সংক্রমন বলিতে কিছু নেই। এটাই বাস্তব সত্য ও ইসলামী আকীদাহ। তবে অসুস্থ উটপালকে সুস্থ উটপালের নিকট নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ সংক্রমনের প্রতি বিশ্বাস করে নয়; বরং সতর্কতা ও পরিছন্নতার প্রতি লক্ষ্য করে এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
৫৬৮৫. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ সংক্রমণ [-এর বাস্তবতা] নেই- ঐ সঙ্গে এও বর্ণনা করিতেন, পালের মালিক [তার] অসুস্থ উট অন্য মালিকের সুস্থ উটপালের নিকট নিয়ে আসবে না। অবশিষ্টাংশ বর্ণনাকারী ইউনুস [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] -এর হাদীসের হুবহু।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৯৮, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬২৭]
৫৬৮৬. যুহ্রী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
আবুল্লাহ ইবনি আবদুর রহ্মান দারিমী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] …..যুহ্রী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে উপরোল্লিখিত সূত্রে হুবাহু রিওয়ায়াত করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৯৯, ইসলামিক সেন্টার-৫৬২৮]
৫৬৮৭. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ সংক্রামক ব্যাধি, কুলক্ষণে পেঁচা, নক্ষত্র [প্রভাবে বর্ষণ] ও [ক্ষুধায় পেট কামড়ানো] পোকা- এসবের অস্তিত্ব নেই।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬০০, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬২৯]
৫৬৮৮. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ সংক্রামক ব্যাধি, কুলক্ষণ ও [মাঠে ময়দানে পথ ভুলানো নানা রঙ্গে রূপধারী] ভূত-প্রেত [এর অস্তিত্ব] নেই।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬০১, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬৩০]
৫৬৮৯. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ সংক্রামক ব্যাধি, পথ ভুলানো ভূত এবং ক্ষুধায় পেট কামড়ানো পোকা [এর অস্তিত্ব] নেই।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬০২, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬৩১]
৫৬৯০. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী [সাঃআঃ] কে বলিতে শুনেছি যে, সংক্রামক ব্যাধি, অনাহারে পেট কামড়ানো পোকা ও পথ ভুলানো ভূত [এর অস্তিত্ব] নেই।
[বর্ণনাকারী বলেন] আমি আবু যুবায়র [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] -কে তাহাঁর শিষ্যদের নিকট নবী [সাঃআঃ] এর বাণী [আরবি] এর ব্যাখ্যা দিতে শুনেছি। আবু যুবায়র [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেছেন, [আরবি] হলো [আরবি] পেটের পোকা। জাবির [রাদি.] কে প্রশ্ন করা হল- কি রকম? তিনি বলিলেন, কথিত পেটের পোকাসমূহ।
বর্ণনাকারী বলেন, তিনি [আরবি] এর বিশ্লেষণ করেন নি। আবু যুবায়র [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেছেন, তা সেসব যারা বিভিন্ন রূপ ধরে মানুষ কে রাস্তা ভুলায়।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬০৩, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬৩২]
৩৪. অধ্যায়ঃ অশুভ লক্ষণ , সুলক্ষণ ও সম্ভব্য অপয়া বিষয়বস্তুর বিবরণ
৫৬৯১. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] কে বলিতে শুনেছি, তিনি বলেন, কোন কুলক্ষণ নেই। তবে তার মাঝে উত্তম হল ফাল তথা শুভ-লক্ষণ। বলা হলো, হে আল্লাহর রসূল! ফাল কি? তিনি বলিলেন, [যেমন] এমন কিছু কথা উত্তম, যা তোমাদের কেউ শুনতে পায়।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬০৪, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬৩৩]
৫৬৯২. যুহ্রী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
আবদুল মালিক ইবনি শুআয়ব ইবনি লায়স, আবদুল্লাহ ইবনি আবদুর রহ্মান দারিমী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] যুহ্রী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে উপরোল্লিখিত সূত্রে হুবহু হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।
তবে বর্ণনাকারী উকায়ল[রহমাতুল্লাহি আলাইহি] -এর হাদীস আছে যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] হইতে বর্ণিত। তিনি আমি শুনেছি বলেন নি। আর রাবী শুআয়ব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] তাহাঁর হাদীসে বলেছেন, নবী [সাঃআঃ] কে বলিতে শুনেছি , যেমন মামার [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬০৫, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬৩৪]
৫৬৯৩. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ সংক্রমণ ও কুলক্ষণ বলিতে কিছু নেই; তবে ফাল ও শুভলক্ষণ [অর্থাৎ – ভাল শব্দ তথা উত্তম কথা] আমাকে বিমোহিত করে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬০৬, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬৩৫]
৫৬৯৪. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] -এর সানাদে মালিক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] -এর সূত্রে নবী [সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম] হইতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সংক্রমণ ও কুলক্ষণ[এর বৈধতা] নেই। তবে আমাকে আনন্দ দেয় ফাল ও সুলক্ষণ। বর্ণনাকারী বলেন, তখন বলা হলো, ফাল কী? তিনি বলিলেন, উত্তম কথা।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬০৭, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬৩৬]
৫৬৯৫. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, সংক্রমণ ও অশুভ লক্ষণ নেই। আর আমি পছন্দ করি উত্তম ফাল তথা ভাল কথা।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬০৮, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬৩৭]
৫৬৯৬. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, সংক্রমণ, পেঁচা ও কু-ধারণা [বিশ্বাসের বৈধতা] নেই; আর আমি ভাল ফাল পছন্দ করি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬০৯, ই.সে ৫৬৩৮]
৫৬৯৭. আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ অশুভ লক্ষণ আছে ঘর, নারী ও ঘোড়ায়।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬১০, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬৩৯]
৫৬৯৮. আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ সংক্রমণ ও অশুভ বলিতে কিছু নেই; তবে অশুভ লক্ষণ আছে তিনটি বস্তুতে স্ত্রী, ঘোড়া ও বাড়িতে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬১১, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬৪০]
৫৬৯৯. আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
ইবনি আবু উমর [রাদি.] …… আবদুল্লাহ [রাদি.] -এর দুপুত্র সালিম ও হামযাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] তাঁদের পিতার সানাদে নবী [সাঃআঃ] থেকে, ইয়াহ্ইয়া ইবনি ইয়াহ্ইয়া, আম্র আন্ নাকিদ ও যুহায়র ইবনি হার্ব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] সালিম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] তাহাঁর পিতার সনদে নবী [সাঃআঃ] থেকে, আমর আন্ নাকিদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] -এর সনদে নবী [সাঃআঃ] থেকে, আবদুল মালিক ইবনি শুআয়ব ইবনি লায়স [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] , ইয়াহ্ইয়া ইবনি ইয়াহ্ইয়া [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] আবদুল্লাহ ইবনি আবদুর রহমান দারিমী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] সালিম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] তাহাঁর পিতার সানাদে নবী [সাঃআঃ] থেকে অশুভ লক্ষণের ব্যাপারে বর্ণনাকারী মালিক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বর্ণিত হাদীসের হুবহু বর্ণনা করিয়াছেন। বর্ণনাকারী ইউনুস ইবনি ইয়াযীদ ছাড়া এঁদের কেউ ইবনি উমর [রাদি.] কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে সংক্রমণ ও অশুভ উল্লেখ করেননি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬১২, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬৪১]
৫৭০০. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আহ্মাদ ইবনি আবদুল্লাহ ইবনি হাকাম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ….ইবনি উমর [রাদি.] -এর সূত্রে নবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণিত যে, তিনি বলেছেনঃ যদি কোন কিছুতে অশুভ বলিতে কিছু থাকে, তা হইবে ঘোড়া, গৃহ ও মেয়ে লোক এটা সত্য।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬১৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৪২]
৫৭০১. শুবাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
হারূন ইবনি আবদুল্লাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] শুবাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] উপরোল্লিখিত সূত্রে একই হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। কিন্তু তিনি {আরবীতে হাক্ক} [এটা সত্য] শব্দটি বলেননি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬১৪, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬৪৩]
৫৭০২. হামযাহ্ ইবনি আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আবু বাক্র ইবনি ইসহাক্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] …. হামযাহ্ ইবনি আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.]-এর সানাদে তাহাঁর পিতা হইতে বর্ণনা করেন যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যদি অশুভ লক্ষণ কোন কিছুতে থেকে থাকে তাহলে তা রয়েছে ঘোড়া, ঘর-বাড়ি ও নারীর মাঝে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬১৫, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬৪৪]
৫৭০৩. সাহ্ল ইবনি সাদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যদি তা থাকে তাহলে নারী, ঘোড়া ও ঘর-বাড়ি অর্থাৎ- অশুভ লক্ষণ।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬১৬, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬৪৫]
৫৭০৪. সাহ্ল ইবনি সাদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আবু বাক্র ইবনূ আবু শাইবাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ….. সাহ্ল ইবনি সাদ [রাদি.] -এর সানাদে নবী [সাঃআঃ] হইতে হুবহু রিওয়ায়াত করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬১৭, ই.সে ৫৬৪৬]
৫৭০৫. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
ইসহাক্ ইবনি ইব্রাহীম হান্যালী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] আবু যুবায়র [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ……… জাবির [রাদি.] থেকে শুনেছেন যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ কোন কিছুতে যদি [অশুভ লক্ষণ] থেকে থাকে, তাহলে ঘর [আবাসস্থল], খাদিম ও ঘোড়া [এ তিনটি জিনিসে] রয়েছে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬১৮, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬৪৭]
৩৫. অধ্যায়ঃ জ্যোতির্বিদ্যা ও জ্যোতিষীর কাছে গমনাগমন নিষিদ্ধ
৫৭০৬. মুআবিয়াহ্ ইবনি হাকাম সুলামী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! কিছু কর্মকান্ড আমরা অজ্ঞতার যুগে করতাম, [তার মধ্যে একটি হল] আমরা জ্যোতিষীর নিকট যেতাম। তিনি বলিলেন, আর জ্যোতিষীর নিকটে যেয়ো না। আমি বললাম, আমরা [নানা পদ্ধতিতে] ভাগ্য গণনা করতাম। তিনি বলিলেন, সেটি এমন একটি জিনিস, যা তোমাদের কেউ তার মনে উপলব্ধি করে, তবে সেটি যেন তোমাদের [কাজ-কর্ম হইতে] বিরত না রাখে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬১৯, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬৪৮]
৫৭০৭. যুহরী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
মুহাম্মাদ ইবনি রাফি, ইসহাক ইবনি ইব্রাহীম, আবদ ইবনি হুমায়দ ও আবু বাকর ইবনি আবু শাইবাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] যুহরী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে উপরোক্ত সূত্রে ইউনুস [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বর্ণিত হাদীসের হুবহু বর্ণনা করিয়াছেন। কিন্তবর্ণনাকারী মালিক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] তাহাঁর বর্ণিত হাদীসে শুভাশুভ এর কথা উল্লেখ করিয়াছেন। তাতে জ্যোতিষী এরব্যাপারটি উল্লেখ নেই।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬২০, ইসলামিক সেন্টার-৫৬৪৯]
৫৭০৮. মুআবিয়াহ ইবনি হাকাম সুলামী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
মুহাম্মাদ ইবনি সাব্বাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ও আবু বাকর ইবনি আবু শাইবাহ ইসহাক ইবনি ইব্রাহীম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] … মুআবিয়াহ ইবনি হাকাম সুলামী [রাদি.] এর সানাদে নবী [সাঃআঃ] থেকে, মুআবিয়াহ [রাদি.] হইতে আবু সালামাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] এর সানাদে যুহরী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] এর অবিকল বর্ণনা করিয়াছেন। কিন্ত ইয়াহইয়া ইবনি কাসীর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বর্ধিত করে বলেছেন, আমি [মুআবিয়াহ] বললাম, আমাদের মধ্যে কিছু লোক এমন রয়েছে, যারা রেখা এঁকে[ভাগ্য নির্ধারণ] করে থাকে। তিনি বলিলেন, নবীদের মধ্যে একজন নবী রেখা অঙ্কন [ভাগ্য নির্ণয়] করিতেন। সুতরাং যার রেখা তাহাঁর [রেখার] অবিকল হইবে তা সেরূপই [সত্যই।]
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬২১, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬৫০]
৫৭০৯. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] জ্যোতিষীরা কোন ব্যাপারে আমাদের কোন কথা বলত, অতঃপর তা আমরাবাস্তবে প্রত্যক্ষ করতাম। তিনি বলিলেন, সেটি একটি বাস্তব সত্য কথা, যা কোন জ্বিন চুরি করে এনে সেটি তার দোসর ঠাকুরের কর্ণে প্রবেশ করাতো, আর সে তার সঙ্গে একশটি অবাস্তব মিথ্যা জুড়ে দিত।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬২২, ই. সে.৫৬৫১]
৫৭১০. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
একদল লোক রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নিকট জ্যোতিষীদের ব্যাপারে জানতে চাইলো। সে সময় রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] তাদের বলিলেন, ওরা [বাস্তব] কোন কিছুর উপরে [প্রতিষ্ঠিত] নয়। তারা বলিল, হে আল্লাহর রসূল! তারা তো প্রায় সময় এমন কিছু বিষয়ে [আগাম] কথা বলে, যা বাস্তব হয়ে যায়। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ ঐ [একটি] কথা বাস্তব সত্যের অন্তর্ভুক্ত, যা জ্বিনেরা চুরি করে নিয়ে আসে এবং মুরগীর মতো কুট কুট করে তা তার দোসরের শ্রবণশক্তিতে ঢুকিয়ে দেয়। পরবর্তিতে তারা তার সঙ্গে শতাধিক মিথ্যা জুড়ে দেয়।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬২৩, ই. সে.৫৬৫২]
৫৭১১. ইবনি শিহাব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
আবু তাহির [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] …. ইবনি শিহাব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে উপরোল্লিখিত সূত্রে যুহরী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে মাকিল [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] এর হুবহু বর্ণনা করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬২৪, ই. সে.৫৬৫৩]
৫৭১২. আব্দুল্লাহ ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] এর সাহাবীগণের মধ্যে আনসারদের জনৈক ব্যক্তি আমাকে সংবাদ দিয়েছে যে, তাঁরা এক রাত্রে নবী [সাঃআঃ] এর সাথে বসা ছিলেন। সে সময় একটি নক্ষত্র পতিত হলো, যার দরুন আলোকিত হয়ে উঠল। তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাদের বলিলেন, এ ধরনের [তারকা] পতিত হলে অজ্ঞতার যুগে তোমরা কি বলিতে? তারা বলিল, আল্লাহ এবং তাহাঁর রসূলই অধিক ভাল জানেন। আমরা বলতাম, আজ রাতে মনে হয় কোন মহান লোকের ভুমিষ্ঠ হয়েছে অথবা কোন মহান লোক মৃত্যুবরণ করিয়াছেন। তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ জেনে রাখো যে, তা কারো মৃত্যু কিংবা কারো জন্মের কারণে পতিত হয় না; কল্যাণময় ও মহান নামের অধিকারী আমাদের প্রতিপালক যখন কোন বিষয়ের সমাধান দেন, তখন আরশ বহনকারী ফেরেশতারা তাসবীহ পাঠ করে। অতঃপর তাসবীহ পাঠ করে সে আকাশের ফেরেশতারা, যারা তাদের পার্শ্ববর্তী; পরিশষে তাসবীহ পাঠ এ নিকটবর্তী [পৃথিবীর] আসমানের অধিবাসীদের পর্যন্ত পৌছে। অতঃপর আরশ বহনকারীদের [ফেরেশতা] পার্শ্ববতী যারা তাঁরা আরশ বহনকারীদের বলে তোমাদের প্রতিপালক কি বলিলেন? সে সময় তিনি তাদের যা কিছু বলেছেন, তারা সে সংবাদ বর্ণনা করে। বর্ণনাকারী বলেন, পরে আসমান সমূহের অধিবাসীরা একে অপরকে সংবাদ আদান-প্রদান করে। পরিশেষে এ নিকটবর্তীআকাশে সংবাদ পৌছে। সে সময় জ্বিনেরা অতর্কিতে গোপন খবরটি শুনে নেয় এবং তাদের দোসর জ্যোতিষীদের নিকট পৌছিয়ে দেয়, আর সাথে অতিরিক্ত কিছু জুড়ে দেয়। ফলে যা তারা ঠিকঠাকভাবে নিয়ে আসতে পারে, তাই ঠিক হয়; তবে তারা তাতে [কথামালা] সুবিন্যস্ত ও সংযোজন করে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬২৫, ই. সে.৫৬৫৪]
৫৭১৩. যুহরী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
যুহায়র ইবনি হারব আবু তাহির হারমালাহ ও সালামাহ ইবনি শাবীব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] … যুহরী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে উপরোক্ত সূত্রে বর্ণনা করিয়াছেন। কিন্ত ইউনুস [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেছেন, আব্দুল্লাহ ইবনি আব্বাস [রাদি.] থেকে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর আনসার সাহাবীগণের কতিপয় লোক আমাকে বলেছেন। আর আওযাঈ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] এর বর্ণিত হাদীসে রয়েছে, তবে তারা সেটার মধ্যে [কথামালা] সুবিন্যস্ত ও সংযোজিত করে দেয়। আর ইউনুস [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] এর হাদীসে আছে, এত তারা অতিরিক্ত ও অতিরঞ্জিত করে। ইউনুস [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বর্ণিত হাদীসে বাড়িয়ে বলেছেন, আল্লাহ তাআলা বলেছেন, “পরিশেষে যখন তাদের অন্তর হইতে সংশয় দূর করে দেয়া হয়, সে সময় তারা বলে, তোমাদে স্রষ্টা কি বলিলেন? তারা বলে ঠিকই বলেছেন”- [সূরাহ সাবা ৩৪: ২৩] । আর মালিক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বর্ণিত হাদীসে আওযাঈ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] যেমন বলেছেন, তবে তাতে তারা সুবিন্যস্ত ও সংযোজিত করে এরই উল্লেখআছে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬২৬, ই. সে.৫৬৫৫]
৫৭১৪. মুহাম্মাদ ইবনি মুসান্না আনাযী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] এর কতক স্ত্রীর সানাদে নবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে লোক আররাফ {২৯} [অর্থাৎ হারানো জিনিসের সংবাদদাতা] এর [গণকের] নিকট গেল এবং তাকে কোন ব্যাপারে প্রশ্ন করিল চল্লিশ রাত্রি তার কোন নামাজ গ্রহনযোগ্য হইবে না।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬২৭, ই. সে.৫৬৫৬]
{২৯} হারানো জিনিসের সংবাদদাতা।
৩৬. অধ্যায়ঃ কুষ্ঠ প্রভৃতি রোগাক্রান্ত ব্যক্তি হইতে বেঁচে থাকা
৫৭১৫. আমর ইবনি শারীদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
ইয়াহইয়া ইবনি ইয়াহইয়া ও আবু বাকর ইবনি আবু শাইবাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] … আমর ইবনি শারীদ [রাদি.] এর সানাদে তাহাঁর পিতা হইতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাকীফ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি দলের মধ্য জনৈক কুষ্ঠ রোগী ছিলেন। নবী [সাঃআঃ] তার নিকট [খবর] পাঠালেন যে, আমরা তোমকে বাইআত করে নিয়েছি, তুমি ফিরে যাও। {৩০}
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬২৮, ই. সে.৫৬৫৭]
{৩০} হাদিসে কুষ্ঠ রোগীর সাথে একত্রে পানাহার ও উঠা বসার বিবরন পাওয়া যায়। অতএব সুন্নাহ মতে, তাদের ঘৃণা ও একঘরে করে সম্ভাব্য ও সাধারন সতর্কতা অবলম্বন বিধেয় ।
Leave a Reply