সালাতুল খাওফ, বৃষ্টি প্রার্থনা ও সূর্য বা চন্দ্র গ্রহনের নামাজ
সালাতুল খাওফ, বৃষ্টি প্রার্থনা ও সূর্য বা চন্দ্র গ্রহনের নামাজ >> সুনান তিরমিজি শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন
এ বিষয়ে আরও পড়ুন >> মুয়াত্তা মালিক >> সহীহ বুখারী >> সহীহ মুসলিম >> আবু দাউদ >> ইবনে মাজাহ >> নাসাঈ >> মিশকাত >> বুলুগুল মারাম হাদীস হতে
অধ্যায়ঃ ৪, অনুচ্ছেদঃ (৪৩-৪৬)=৪টি
৪৩. অনুচ্ছেদঃ বৃষ্টি প্রার্থনার নামাজ [সালাতুল ইসতিসকা]
৪৪. অনুচ্ছেদঃ সূর্যগ্রহণের নামাজ [সালাতুল কুসূফ]
৪৫. অনুচ্ছেদঃ সূর্য বা চন্দ্র গ্রহণের নামাযের কিরাআতের ধরণ
৪৬. অনুচ্ছেদঃ শংকাকালীন নামাজ [সালাতুল খাওফ]
৪৩. অনুচ্ছেদঃ বৃষ্টি প্রার্থনার নামাজ [সালাতুল ইসতিসকা]
৫৫৬. আব্বাদ ইবনি তামীম [রাদি.] হইতে তাহাঁর চাচা হইতে বর্ণীতঃ
একদা রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] লোকদের নিয়ে বৃষ্টি প্রার্থনার জন্য বের হলেন। তাহাদেরকে নিয়ে তিনি দুই রাকআত নামাজ আদায় করিলেন। এতে তিনি সশব্দে কিরাআত পাঠ করিলেন। তিনি তাহাঁর চাদর উল্টিয়ে দিলেন, দুই হাত উপরে তুললেন এবং কিবলামুখী হয়ে দুআ করিলেন।
-সহিহ। ইবনি মাজাহ- [১২৬৭], বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ। এ অনুচ্ছেদে ইবনি আব্বাস, আবু হুরাইরা, আনাস ও আবুল লাহাম [রাদি.] হইতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবু ঈসা বলেনঃ আব্দুল্লাহ ইবনি যাইদের হাদীসটি হাসান সহিহ। আলিমগণ এ হাদীস অনুযায়ী আমল করেন। ঈমাম শাফি, আহমাদ এবং ইসহাকও একই রকম মত দিয়েছেন। আব্বাদ ইবনি তামীমের চাচার নাম আবদুল্লাহ ইবনি যাইদ ইবনি আসিম আল-মাযিনী [রাদি.]। এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৫৭. আবুল লাহ্ম [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]কে আহজারুয-যাইত নামক জায়গায় বৃষ্টি প্রার্থনা করিতে দেখলেন। তিনি দুই হাত তুলে দুআ করিলেন।
-সহিহ। সহীহ্ আবু দাঊদ- [১০৬৩]। আবু ঈসা বলেনঃ আমরা আবুল লাহ্মের সূত্রে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর এই একটি মাত্র হাদীসই জেনেছি। তবে তাহাঁর মুক্তদাস উমাইর [রাদি.] রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট হইতে কয়েকটি হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন এবং তিনি নাবী রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সান্নিধ্য লাভ করিয়াছেন। এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৫৮. হিশাম ইবনি ইসহাক [রঃ] হইতে তাহাঁর পিতা হইতে বর্ণীতঃ
তিনি [ইসহাক] বলেন, মাদীনার গভর্নর ওয়ালীদ ইবনি উক্ববা [রাদি.] আমাকে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর বৃষ্টি প্রার্থনা প্রসঙ্গে জানার জন্য ইবনি আব্বাস [রাদি.] -এর নিকটে পাঠালেন। আমি তাহাঁর নিকট এলে তিনি বলিলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] সাধারণ পোশাক পরে বিনয় ও নম্রতা সহকারে বৃষ্টি প্রার্থনার জন্য বের হয়ে ঈদের মাঠে আসেন। তিনি তোমাদের এ খুতবা দেওয়ার মত খুতবা দেননি। বরং তিনি অবিরত দুআ-আরাধনা ও তাকবীর বলিতে থাকেন। তিনি ঈদের নামাযের মত দুই রাকআত নামাজও আদায় করিলেন।
-সহিহ। ইবনি মাজাহ- [১২৬৬]।আবু ঈসা বলেনঃ হাদীসটি হাসান সহীহ্ । এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৫৯. বর্ণনাকারী হইতে বর্ণীতঃ
অপর একটি সূত্রে ও একই রকম হাদীস বর্ণিত হয়েছে। তাতে মুতাখাশশিআন [ভীত-সন্ত্রস্ত] শব্দটিও উল্লেখ আছে এবং এ শেষোক্ত সূত্রে বর্ণিত হাদীসটিও হাসান সহিহ।
এ হাদীসের ভিত্তিতে ঈমাম শাফি বলেন, বৃষ্টি প্রার্থনার নামাজ দুই ঈদের নামাযের নিয়মেই আদায় করিতে হইবে। প্রথম রাকআতে সাত তাকবীর এবং দ্বিতীয় রাকআতে পাঁচ তাকবীর বলিতে হইবে। আবু ঈসা বলেনঃ মালিক ইবনি আনাস [রঃ] প্রসঙ্গে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেছেন, ঈদের নামাযের মত বৃষ্টি প্রার্থনার নামাযে [অতিরিক্ত] তাকবীর বলবে না। আবু হানিফা নুমান বলেন, বৃষ্টি প্রার্থনার নামাজ নেই। আমি চাদর পরিবর্তনের আদেশও দেই না। বরং তার স্বাভাবিকভাবেই দুআ করিবে। আবু ঈসা বলেনঃ তিনি সুন্নাতের বিরুদ্ধাচরণ করিয়াছেন। এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
৪৪. অনুচ্ছেদঃ সূর্যগ্রহণের নামাজ [সালাতুল কুসূফ]
৫৬০. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাবী রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] সূর্যগ্রহণকালে নামাজ আদায় করিলেন। তিনি কিরাআত পাঠ করিলেন, তারপর রুকূ করিলেন, আবার কিরাআত পাঠ করিলেন, তারপর রুকূ করিলেন, আবার কিরাআত পাঠ করিলেন, তারপর রুকূ করিলেন, তারপর দুটি সাজদাহ্ করিলেন। দ্বিতীয় রাকআতও তিনি এভাবেই আদায় করিলেন।
-সহিহ। সহীহ্ আবু দাউদ- [১০৭২], বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ। এ অনুচ্ছেদে আলী, আয়িশাহ্, আবদুল্লাহ ইবনি আমর, নুমান ইবনি বাশীর, মুগীরা ইবনি শুবা, আবু মাসউদ, আবু বাকরা, সামুরা, ইবনি মাসউদ, আসমা বিনতু আবু বাক্র, ইবনি উমার, কাবীসা, জাবির ইবনি আবদুল্লাহ, আবু মূসা, আবদুর রহমান ইবনি সামূরা ও উবাই ইবনি কাব [রাদি.] হইতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবু ঈসা বলেনঃ ইবনি আব্বাসের হাদীসটি হাসান সহিহ। ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে এও বর্ণিত আছে, “নাবী রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] চার রুকূতে চার রাকআত সূর্যগ্রহণের নামাজ আদায় করিয়াছেন।” ঈমাম শাফি, আহমাদ এবং ইসহাকও একই রকম কথা বলেছেন। সূর্যগ্রহণের নামাযের কিরাআত প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মতের অমিল রয়েছে। একদল বলেছেন, দিনের বেলা অপরিস্ফুট স্বরে কিরাআত পাঠ করিবে। অপর দল বলেছেন, দুই ঈদ ও জুমুআর নামাযের মত এ নামাযেও স্পষ্ট স্বরে কিরাআত পাঠ করিবে। ঈমাম মালিক, আহমাদ এবং ইসহাক উচ্চস্বরে কিরাআত পাঠের সমর্থক। ঈমাম শাফি বলেন, কিরাআত স্বরবে পড়বে না। নাবী [সাঃআঃ] হইতে উভয় মতই বিশুদ্ধভাবে প্রমাণিত হয়েছে। যেমন, তিনি চার রুকুতে দুই রাকআত নামাজ আদায় করিয়াছেন।” অপর বর্ণনায় আছে- “তিনি ছয় রুকুতে দুই রাকআত নামাজ আদায় করিয়াছেন।” বিশেষজ্ঞদের মতে এর প্রতিটি পদ্ধতিই জায়িয। এটা সূর্যগ্রহণের সময়সীমার উপর নির্ভর করিবে। গ্রহণ দীর্ঘায়িত হলে চার ছয় রুকুতে দুই রাকআত আদায় করাও জায়িয। আবার চার রুকুতে ও দীর্ঘ কিরাআতে দুই রাকআত আদায় করাও জায়িয। আমাদের সঙ্গীরা সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণের নামাজ জামাআতে আদায় করার পক্ষে। এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৬১. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূল্লুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর যুযে সূর্যগ্রহণ হল। রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] লোকদের নিয়ে [জামাআতে] নামাজ আদায় করিলেন। তিনি অধিক সময় ধরে কিরাআত পাঠ করিলেন, তারপর রুকূ করিলেন এবং দীর্ঘসময় রুকূতে থাকলেন, তারপর মাথা তুললেন [রুকূ হইতে উঠলেন]। তিনি আবার দীর্ঘ কিরাআত পাঠ করিলেন কিন্তু প্রথমবারের চেয়ে কম লম্বা করিলেন, তারপর রুকূতে গেলেন এবং দীর্ঘ সময় রুকূতে থাকলেন, কিন্তু আগের চেয়ে সংক্ষেপে করিলেন। তারপর তিনি রুকূ থেকে মাথা তুলে সাজদাহ্তে গেলেন। তিনি দ্বিতীয় রাকআতও উল্লেখিত পদ্ধতিতে আদায় করিলেন।
-সহিহ। সহীহ্ আবু দাঊদ- [১০৭১], বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ। আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহিহ। এ হাদীসের পরিপ্রেক্ষিতে ঈমাম শাফি, আহমাদ ও ইসহাক বলেছেন, সূর্যগ্রহণের নামাজ চার রুকূ ও চার সিজদায় আদায় করিবে। শাফিঈ আরো বলেছেন, প্রথম রাকআতে সূরা ফাতিহার পর সূরা আল-বাকারার মতো যে কোন লম্বা সূরা পাঠ করিবে। দিনে হলে নীরবে কিরাআত পাঠ করিবে। তারপর রুকূতে গিয়ে কিরাআত পাঠের পরিমাণ সময় রুকূতে থাকিবে। তারপর আল্লাহু আকবার বলে মাথা তুলে দাঁড়াবে এবং সূরা ফাতিহার পর সূরা আলে-ইমরানের মতো লম্বা সূরা পাঠ করিবে। তারপর রুকূতে গিয়ে কিরাআত পাঠের পরিমাণ সময় রুকূতে থাকিবে। তারপর সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ বলে মাথা তুলবে। তারপর দুটি পূর্ণাঙ্গ সাজদাহ্ করিবে এবং প্রত্যেক সাজদাহ্তে রুকূর পরিমাণ সময় থাকিবে। অতঃপর দাঁড়িয়ে সূরা ফাতিহার পর সূরা আন-নিসার মতো লম্বা সূরা পাঠ করিবে, তারপর কিরাআতের মতো লম্বা রুকূ করিবে। তারপর আল্লাহু আকবার বলে মাথা তুলে দাঁড়াবে। তারপর সূরা মায়িদার মতো লম্বা সূরা পাঠ করিবে, রুকূও কিরাআতের মতো লম্বা করিবে। অতঃপর মাথা তুলবে এবং সামিআল্লাহু লিমান হামিদা বলবে। অতঃপর দুটি সাজদাহ্ করে, তাশাহ্হুদ পাঠ করে সালাম ফিরিয়ে নামাজ সমাপ্ত করিবে। এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৪৫. অনুচ্ছেদঃ সূর্য বা চন্দ্র গ্রহণের নামাযের কিরাআতের ধরণ
৫৬২. সামুরা ইবনি জুনদুব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদের সূর্যগ্রহণের নামাজ আদায় করালেন। কিন্তু আমরা তাহাঁর [কিরআত পাঠের] কোন আওয়াজ শুনতে পাইনি।
যঈফ,ইবনি মাজাহ হাদীস নং-[১২৬৪]। এ অনুচ্ছেদে আইশা [রাদি.] হইতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবু ঈসা বলেনঃ সামুরার হাদীসটি হাসান, সহীহ। একদল আলিম এ হাদীস অনুযায়ী আমল করার কথা বলেছেন। ঈমাম শাফির এটাই মত [নিঃশব্দে কিরাআত পাঠ করিবে]। এই হাদীসটির তাহকিকঃ দুর্বল হাদীস
৫৬৩. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাঃআঃ] সূর্য বা চন্দ্র গ্রহণের নামাজ আদায় করিলেন এবং তাতে সুস্পষ্ট আওয়াজে কিরাআত পাঠ করিলেন।
-সহিহ। সহীহ্ আবু দাঊদ- [১০৭৪], বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ। আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহিহ। আবু ইসহাক আল-ফাযারী হইতে সুফিয়ান ইবনি হুসাইনের সূত্রেও একইভাবে হাদীস বর্ণিত আছে। ঈমাম মালিক, আহমাদ ও ইসহাক সুস্পষ্ট স্বরে কিরাআত পাঠের সমর্থক। এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৪৬. অনুচ্ছেদঃ শংকাকালীন নামাজ [সালাতুল খাওফ]
৫৬৪. সালিম [রঃ] থেকে তাহাঁর পিতা হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাঃআঃ] দুই দলের মধ্য থেকে এক দলের সাথে এক রাকআত নামাজ আদায় করিলেন। এ সময় অপর দল শত্রুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে থাকলো। তারপর প্রথম দল এক রাকআত আদায় করে দ্বিতীয দলের জায়গায় অপেক্ষায় থাকল। দ্বিতীয় দল আসলে তিনি তাহাদের সাথে দ্বিতীয় রাকআত নামাজ আদায় করে সালাম ফিরান। তারা উঠে নিজেদের বাকী রাকআত পূর্ণ করলো। তারপর তারা আবার অপেক্ষায় থাকলো এবং প্রথম দল এসে তাহাদের বাকি রাকআত পূর্ণ করলো।
-সহিহ। সহীহ্ আবু দাঊদ- [১১৩২], ইরওয়া- [৩/৫০], বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ। আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি সহিহ। মূসা ইবনি উক্ববার সূত্রেও এ হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে। এ অনুচ্ছেদে জাবির, হুযাইফা, যাইদ ইবনি সাবিত, ইবনি আব্বাস, আবু হুরাইরা, ইবনি মাসউদ, সাহল ইবনি আবু হাসমা, আবু আইয়াশ আয-যুরাকী ও আবু বাকরাহ [রাদি.] হইতেও হাদীস বর্ণিত আছে। ঈমাম মালিক বিপদকালীন নামাযের ব্যাপারে সাহল ইবনি আবু হাসমা [রাদি.] -এর হাদীসের অবলম্বন করিয়াছেন। ঈমাম শাফিও তাহাঁর অনুসরণ করিয়াছেন। ঈমাম আহমাদ বলেছেন, নাবী [সাঃআঃ]-এর নিকট হইতে বিপদকালীন নামাযের বেশ কয়েকটি পদ্ধতি বর্ণিত আছে। আমি এগুলোর মধ্যে শুধু সাহল ইবনি আবু হাসমার হাদীসকেই সহীহ্ মনে করি। অনুরূপভাবে ইসহাক ইবনি ইবরাহীম বলেছেন, নাবী [সাঃআঃ]-এর নিকট হইতে বিপদকালীন নামাযের বেশ কয়েকটি পদ্ধতিই বর্ণিত আছে। এগুলোর যে কোন পদ্ধতিতেই নামাজ আদায় করা যায়। এটা বিপদকালীন অবস্থার উপর নির্ভর করিবে। তিনি আরো বলেছেন, আমি অন্যান্য বর্ণনার উপর সাহলের বর্ণনাকে প্রাধান্য দেই না। সালাতুল খাওফ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৬৫. সাহল ইবনি আবু হাসমা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বিপদকালীন নামাজ সম্পর্কে বলেন, ঈমাম কিবলামুখী হয়ে দাঁড়াবে। একদল তার সাথ দাঁড়াবে এবং অপর দল শত্রুকে বাধা দান করিবে। তাহাদের অবস্থান শত্রুর দিকে থাকিবে। ঈমাম প্রথম দলের সাথে এক রাকআত আদায় করিবে, তারপর মুক্তাদীরা এক রুকূ ও দুই সাজদাহ্ করিবে [আরো এক রাকআত আদায় করিবে]। অতঃপর তারা গিয়ে প্রতিরক্ষা বুহ্য রচনা করিবে এবং দ্বিতীয় দল আসলে ঈমাম তাহাদের সাথে আর এক রাকআত নামাজ আদায় করিবে। তাহাদের সাথে দুটি সাজদাহ্ করিবে, এতে তার দুই রাকআত পূর্ণ হইবে এবং তাহাদের হইবে এক রাকআত। অতঃপর তারা আরো এক রাকআত আদায় করিবে এবং দুটি সাজদাহ্ করিবে।
-সহিহ। ইবনি মাজাহ- [১২৫৯], বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ। সালাতুল খাওফ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৬৬. ইয়াহইয়া ইবনি সাঈদ হইতে বর্ণীতঃ
ইয়াহইয়া ইবনি সাঈদ অন্য সূত্রে এ হাদীসটি সাহল ইবনি হাসমার হাদীসের মত বর্ণনা করিয়াছেন। তিনি আমাকে আরো বলেন, এ হাদীসটি ঐ হাদীসটির পাশাপাশিই লিখে নাও। হাদীসটি আমার মনে না থাকলেও এটা ইয়াহ্ইয়া ইবনি সাঈদ আল-আনাসারীর হাদীসের মতই ছিল।
আবু ঈসা বলেনঃ এই হাদীসটি হাসান সহীহ্ । ইয়াহইয়া ইবনি সাঈদ আল-আনাসারী এ হাদীসটি কাসিম ইবনি মুহাম্মাদের সূত্রে মারফূ হিসেবে বর্ণনা করেননি। আনসারীর সাথীরা এ হাদীসটি মাওকূফ হিসেবে বর্ণনা করিয়াছেন। কিন্তু শুবা এটিকে আবদুর রহমান ইবনিল কাসিম ইবনি মুহাম্মাদের সূত্রে মারফূ হিসেবে বর্ণনা করিয়াছেন। সালাতুল খাওফ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
৫৬৭. ঈমাম মালিক হইতে বর্ণীতঃ
ঈমাম মালিক তাহাঁর সনদ পরম্পরায় এ হাদীসের মতো হাদীস এমন একজন সাহাবী হইতে বর্ণনা করিয়াছেন যিনি নাবী [সাঃআঃ]-এর সাথে সালাতুল খাওফ [শংকাকালীন নামাজ] আদায় করিয়াছেন।
আবু ঈসা বলেনঃ এ বর্ণনাটিও হাসান সহিহ। ঈমাম মালিক, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক এ হাদীস অনুযায়ী সালাতুল খাওফ আদায় করার কথা বলেছেন। আরো কয়েকটি সূত্রে বর্ণিত আছে, নাবী [সাঃআঃ] এক এক দলের সাথে এক এক রাকআত নামাজ আদায় করিয়াছেন। এভাবে তাহাঁর দুই রাকআত পূর্ণ হয়েছে এবং মুক্তাদীদের এক রাকআত হয়েছে। সালাতুল খাওফ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
Leave a Reply