বৃষ্টির জন্য সালাত

বৃষ্টির জন্য সালাত

বৃষ্টির জন্য সালাত >> মিশকাতুল মাসাবীহ এর মুল সুচিপত্র দেখুন

এ বিষয়ে আরও পড়ুন >> মুয়াত্তা মালিক >> সহীহ বুখারী >> সহীহ মুসলিম >> আবু দাউদ >> ইবনে মাজাহ >> তিরমিজি >> নাসাঈ >> বুলুগুল মারাম হাদীস হতে

পর্বঃ ৪, অধ্যায়ঃ ৫২

  • অধ্যায়ঃ ৫২. প্রথম অনুচ্ছেদ
  • অধ্যায়ঃ ৫২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
  • অধ্যায়ঃ ৫২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ

অধ্যায়ঃ ৫২. প্রথম অনুচ্ছেদ

১৪৯৭. আবদুল্লাহ ইবনি যায়দ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] একবার বৃষ্টির জন্য লোকজন নিয়ে ঈদগাহইতে গেলেন। তাদের নিয়ে তিনি দু রাকআত সলাত আদায় করিলেন। উচ্চৈঃস্বরে করে তিনি উভয় রাকআতে ক্বিরাআত পড়লেন। এরপর তিনি ক্বিবলামুখী হয়ে দুহাত উঠিয়ে দুআ করিলেন। ক্বিবলামুখী হবার সময় তিনি তাহাঁর চাদর ঘুরিয়ে দিলেন।

[বোখারী, মুসলিম] {১},{১} সহীহ : বোখারী ১০২৫, মুসলিম ৮৯৪, আবু দাউদ ১১৬১, আত তিরমিজি ৫৫৬, নাসায়ী ১৫১৯। বৃষ্টির জন্য সালাত -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১৪৯৮. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন। নবী [সাঃআঃ] ইস্তিসক্বা [বৃষ্টির জন্য সলাত] ছাড়া আর অন্য কোন দুআয় হাত উঠাতেন না। এ দুআয় তিনি এত উপরে হাত উঠাতেন যে তাহাঁর বগলের শুভ্র উজ্জলতা দেখা যেত।

[বোখারী, মুসলিম] {১}, {১} সহীহ : বোখারী ১০৩১, মুসলিম ৮৯৫, নাসায়ী ৭৪৮, ইবনি মাজাহ ১১৮০, মুসনাদ আল বাযযার ৬৮৪৫, ইবনি খুযায়মাহ্ ১৭৯১, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৬৪৪৫, শারহুস্ সুন্নাহ্ ১১৬৩। বৃষ্টির জন্য সালাত -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১৪৯৯. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] একদিন আল্লাহর নিকট পানি চাইলেন এবং দুহাতের পিঠ আসমানের দিকে করে রাখলেন।

[মুসলিম] {১}, {১} সহীহ : মুসলিম ৮৯৫, আহমাদ ১২৫৫৪, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৬৪৪৮। বৃষ্টির জন্য সালাত -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১৫০০. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যখন আকাশে বৃষ্টি দেখিতেন আর বলিতেন,

اللّهُمَّ صَيِّبًا نَافِعًا

আল্লাহুম্মা সায়্যিবান নাফিয়ান, হে আল্লাহ! তুমি পর্যাপ্ত ও কল্যাণকর বৃষ্টি বর্ষণ করাও।

[বোখারী] {১}, {১} সহীহ : বোখারী ১০৩২, আহমাদ ২৪১৪৪, সহীহ আল জামি ৪৭২৫। বৃষ্টির জন্য সালাত -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১৫০১. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, একবার আমরা রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সঙ্গে ছিলাম। তখন আমাদের উপর বৃষ্টি বর্ষিত হইতে লাগল। আনাস বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তখন তাহাঁর গায়ে বৃষ্টি পড়ার জন্য নিজের গায়ের কাপড় খুলে ফেললেন। আমরা জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ]! আপনি এরূপ করিলেন কেন? রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেন, এ সদ্য বর্ষিত পানি তাহাঁর রবের নিকট হইতে আসলো তাই।

[মুসলিম] {১}, {১} সহীহ : মুসলিম ৮৯৮, আবু দাউদ ৫১০০, আহমাদ ১২৩৬৫, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৬৪৫৬, ইরওয়া ৬৭৮। বৃষ্টির জন্য সালাত -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

অধ্যায়ঃ ৫২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

১৫০২. আবদুল্লাহ ইবনি যায়দ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] একবার ইস্তিসক্বার সালাত [বৃষ্টির জন্য সলাত] আদায়ের জন্য ঈদগাহের দিকে গমন করিলেন। তিনি ক্বিবলামুখী হবার সময় তাহাঁর গায়ের চাদর ঘুড়িয়ে দিলেন। চাদরের ডানদিক তিনি বাম কাঁধের উপর এবং বামদিক ডান কাঁধের উপর রাখলেন। এরপর আল্লাহর নিকট দুআ করিলেন।

[আবু দাউদ] {১}, {১} সহীহ : আবু দাউদ ১১৬৩, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৬৪১৫। বৃষ্টির জন্য সালাত -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১৫০৩. আবদুল্লাহ ইবনি যায়দ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, একবার রসুলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] ইস্তিস্ক্বার সলাত আদায় করিলেন। তখন তাহাঁর গায়ে ছিল একটি চারকোণ বিশিষ্ট কালো চাদর। তিনি এ চাদরটির নীচের দিক উপরের দিকে উঠিয়ে আনতে চাইলেন। কিন্তু কাজটি কষ্টসাধ্য হবার কারণে চাদরটি দুকাঁধের উপর ঘুরিয়ে দিলেন।

[আহ্মাদ, আবু দাউদ] {১}, {১} সহীহ : আবু দাউদ ১১৬৪, আহমাদ ১৬৪৬২, শারহু মাআনীর আসার ১৯০১, ইবনি হিব্বান ২৮৬৭, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৬৪১৭, শারহুস্ সুন্নাহ্ ১১৬২, ইরওয়া ৬৭৬। বৃষ্টির জন্য সালাত -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১৫০৪. উমায়র মাওলা আবু লাহম [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি একবার নবী [সাঃআঃ]-কে আহজা-রুয্ যায়ত নামক জায়গার কাছে যাওয়ার নিকটবর্তী স্থানে বৃষ্টির জন্য দুআ করিতে দেখেছেন। রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] তখন দাঁড়িয়ে দুহাত চেহারা পর্যন্ত উত্তোলন করে বৃষ্টির জন্য দুআ করছিলেন; কিন্তু তাহাঁর হাত [উপরের দিকে] মাথা পার হয়ে যায়নি।

[আবু দাউদ, তিরমিজি ও নাসায়ী একইভাবে বর্ণনা করিয়াছেন] {১}. {১} সহীহ : আবু দাউদ ১১৬৮, আত তিরমিজি ৫৫৭, নাসায়ী ১৫১৪, আহমাদ ২১৯৪৪, ইবনি হিব্বান ৮৭৮। বৃষ্টির জন্য সালাত -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১৫০৫. আবদুল্লাহ ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] একদিন অতি সাধারণ পোশাক পরিধান করে, বিনয়-বিনম্র অবস্থায় আল্লাহ্‌র কাছে নিবেদন করিতে করিতে ইস্তিস্ক্বার সলাতের জন্য বের হয়ে গেলেন।

[তিরমিজি, আবু দাউদ, নাসায়ী, ইবনি মাজাহ] {১}, {১} হাসান : আবু দাউদ ১১৬৫, আত তিরমিজি ৫৫৮, নাসায়ী ১৫২১, ইবনি মাজাহ ১২৬৬, মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক্ব ৪৮৯৩, ইবনি আবী শায়বাহ্ ৮৩৩৬, আহমাদ ২০৩৯, ইবনি খুযায়মাহ্ ১৪০৫, দারাকুত্বনী ১৮০৭, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৬৩৮৭, ইরওয়া ৬৬৯। এই হাদিসটির তাহকীকঃ হাসান হাদিস

১৫০৬. আমর ইবনি শুআয়ব হইতে বর্ণীতঃ

তিনি তাহাঁর পিতার মাধ্যমে তাহাঁর দাদা হইতে বর্ণনা করিয়াছেন। তাহাঁর দাদা বলেছেন, নবী [সাঃআঃ] বৃষ্টির জন্য দুআ করার সময় বলিতেন,

اللّهُمَّ اسْقِ عِبَادَكَ وَبَهِيمَتَكَ وَانْشُرْ رَحْمَتَكَ وَأَحْيِ بَلَدَكَ الْمَيِّتَ

“আল্ল-হুম্মাস্ক্বি ইবা-দাকা ওয়াবাহী মাতাকা ওয়ান্শুর রহ্মাতাকা ওয়াআহ্য়ি বালাদাকাল মাইয়্যিত” [অর্থাৎ হে আল্লাহ! তুমি তোমার বান্দাদেরকে, তোমার পশুদেরকে পানি দান করো। তাদের প্রতি তোমার করুণা বর্ষণ করো। তোমার মৃত জমিনকে জীবিত করো]।

[মালিক, আবু দাউদ] {১}, {১} হাসান : আবু দাউদ ১১৭৬, মুয়াত্ত্বা মালিক ৬৪৯, আদ দাওয়াতুল কাবীর ৫৫০, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৬৪৪১। এই হাদিসটির তাহকীকঃ হাসান হাদিস

১৫০৭. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে ইস্তিস্ক্বার সলাতে হাত বাড়িয়ে এ কথা বলিতে দেখেছি

اللّهُمَّ اسْقِنَا غَيْثًا مُغِيْثًا مَرِيْئًا مُرِيعًا نَافِعًا غَيْرَ ضَارٍّ عَاجِلًا غَيْرَ اجِلٍ

আল্লাহুম্মাস কিনা গইসান মুগিসান মারিয়ান মুরিয়ান নাফিয়ান গইরা দারিন আজিলান গয়রা দারিন আজিলান গয়রা জিলিন, “হে আল্লাহ! আমাদেরকে পানি দাও। যে পানি সুপেয়, ফসল উৎপাদনকারী, উপকারী, অনিষ্টকারী নয়। দ্রুত আগমনকারী, বিলম্বকারী নয়।” [বর্ণনাকারী বলেন, এ কথা বলিতে না বলিতেই] তাদের ওপর আকাশ বর্ষণ শুরু করে দিলো

। [আবু দাউদ] {১}, {১} সহীহ : আবু দাউদ ১১৬৯, সহীহ আল কালিমুত্ব ত্বইয়্যিব ১৫২। বৃষ্টির জন্য সালাত -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

অধ্যায়ঃ ৫২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ

১৫০৮. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, লোকজন রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর কাছে অনাবৃষ্টির কষ্টের কথা নিবেদন করিল। রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ঈদগাহে মিম্বার আনার জন্য নির্দেশ দিলেন। বস্তুতঃ মিম্বার আনা হলো। তিনি লোকজনদেরকে একদিন ঈদগাহে আসার জন্য সময় ঠিক করে দিলেন। আয়িশাহ [রাদি.] বলেন, নির্দিষ্ট দিনে রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সূর্যকিরণ দেখা দেবার সাথে সাথে ঈদগাহে চলে গেলেন। মিম্বারে আরোহণ করে তাকবীর দিলেন। আল্লাহ্‌র গুণকীর্তন বর্ণনা করে বললেন, তোমরা তোমাদের শহরের আকাল, সময় মতো বৃষ্টি না হবার অভিযোগ করেছ। আল্লাহ তাআলা এখন তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন। তোমরা তার কাছে দুআ করো। তিনি তোমাদের দুআ কবুল করিবেন বলে ওয়াদা করিয়াছেন। তারপর তিনি বললেন,

الْحَمْدُ لِلّهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ الرَّحْمنِ الرَّحِيْمِ ملِكِ يَوْمِ الدِّيْنِ لَا إِلهَ إِلَّا اللّهُ يَفْعَلُ مَا يُرِيدُ اللّهُمَّ أَنْتَ اللّهُ لَا إِلهَ إِلَّا أَنْتَ الْغَنِيُّ وَنَحْنُ الْفُقَرَاءُ. أَنْزِلْ عَلَيْنَا الْغَيْثَ وَاجْعَلْ مَا أَنْزَلْتَ لَنَا قُوَّةً وَبَلَاغًا إِلى حِينٍ

“আলহামদু লিল্লা-হি রব্বিল আ-লামীন, আর রহমা-নির রহীম, মা-লিকি ইয়াওমিদ্দীন, লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ইয়াফআলু মা-ইউরীদুল্ল-হুম্মা আনতাল্ল-হু লা-ইলা-হা ইল্লা-আনতাল গনিয়্যু ওয়া নাহ্নুল ফুকারা-উ, আনযিল আলায়নাল গয়সা ওয়াজআল মা-আনযালতা লানা-ক্যুওয়াতান ওয়াবালা-গান ইলাহীন” [অর্থাৎ সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌র। তিনি সারা বিশ্বের পালনকর্তা, মেহেরবান ও ক্ষমাকারী। প্রতিদান দিবসের মালিক। আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন মাবুদ নেই। তিনি যা চান তা-ই করেন। হে আল্লাহ! তুমি ছাড়া আর কোন মাবূদ নেই। তুমি অমুখাপেক্ষী। আর আমরা কাঙ্গাল, তোমার মুখাপেক্ষী। আমাদের ওপর তুমি বৃষ্টি বর্ষণ করো। আর যে জিনিস [বৃষ্টি] তুমি অবতীর্ণ করিবে তা আমাদের শক্তির উপায় ও দীর্ঘকালের পাথেয় করো]।

এরপর তিনি তার দুহাত উঠালেন। এত উঠালেন যে, তার বগলের উজ্জ্বলতা দেখা গেল। তারপর তিনি জনগণের দিকে পিঠ ফিরিয়ে নিজের চাদর ঘুরিয়ে নিলেন। তখনো তার দু হাত ছিল উঠানো। আবার লোকজনের দিকে মুখ ফিরালেন এবং মিম্বার হইতে নেমে গেলেন। দু রাকাআত সলাত আদায় করিলেন। আল্লাহ তাআলা তখন মেঘের ব্যবস্থা করিলেন। মেঘের গর্জন শুরু হলো। বিদ্যুৎ চমকাতে লাগল। অতঃপর আল্লাহর নির্দেশে বর্ষণ শুরু হলো। তিনি তাহাঁর মসজিদ পর্যন্ত পৌছার পূর্বেই বৃষ্টির ঢল নেমে গেল। এ সময় তিনি মানুষদেরকে বৃষ্টি থেকে পরিত্রাণ পাবার জন্য দৌড়াতে দেখে হেসে ফেললেন। এতে তাহাঁর সামনের দাঁতগুলো দৃষ্টিগোচর হইতে থাকল। তিনি [সাঃআঃ] তখন বললেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক বিষয়ের উপর ক্ষমতাবান। আর আমি এ সাক্ষীও দিচ্ছি যে, আমি তার বান্দা ও রসূল।

[আবু দাউদ] {১},{১} হাসান : আবু দাউদ ১১৭৩, আদ্ দাওয়াতুল কাবীর ৫৪৯, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৬৪০৯, সহীহ আল কালিমুত্ব ত্বইয়্যিব ১৫২, শারহু মাআনীর আসার ১৯০৬, ইবনি হিব্বান ৯৯১, ইরওয়া ৬৬৮। এই হাদিসটির তাহকীকঃ হাসান হাদিস

১৫০৯. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

উমার ইবনুল খাত্ত্বাব, লোকেরা অনাবৃষ্টির কবলে পতিত হলে রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর চাচা আব্বাস ইবনি আবদুল মুত্ত্বালিব-এর ওয়াসীলায় আল্লাহর নিকট বৃষ্টির জন্য দুআ করিতেন। তিনি বলিতেন,

اللّهُمَّ إِنَّا كُنَّا نَتَوَسَّلُ إِلَيْكَ بِنَبِيِّنَا فَتَسْقِينَا وَإِنَّا نَتَوَسَّلُ إِلَيْكَ بِعَمِّ نَبِيِّنَا فَاسْقِنَا

আল্লাহুম্মা ইন্না কুন্না নাতাওয়াসসালু ইলাইকা বিনাবিয়্যিনা ফাতাস্কিনা ওয়া ইন্না নাতাওয়াসসালু ইলাইকা বি আম্মি বিনাবিয়্যিনা ফাসকিনা, হে আল্লাহ! তোমার নিকট এতদিন আমরা আমাদের নবীর মধ্যমতা পেশ করতাম। তুমি আমাদেরকে বৃষ্টি দিয়ে পরিতৃপ্ত করিতে। এখন আমরা তোমার নিকট আমাদের নবীর চাচার ওয়াসীলা পেশ করছি। তুমি আমাদেরকে বৃষ্টি দান করো।

[বোখারী] {১}, {১} সহীহ : বোখারী ১০১০, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৬৪২৭, শারহুস্ সুন্নাহ্ ১১৬৫। বৃষ্টির জন্য সালাত -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১৫১০. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনিয়াছি যে, নবীদের মধ্যে একজন নবী ইস্তিস্ক্বার [সলাত] আদায়ের জন্য লোকজন নিয়ে বের হয়েছিলেন। হঠাৎ তিনি একটি পিপীলিকা দেখিতে পেলেন। পিপড়াটি তার দুটি পা আকাশের দিকে উঠিয়ে রেখেছে। [অর্থাৎ পিপীলিকাটি বৃষ্টির জন্য দুআ করছে]। এ দৃশ্য দেখে উক্ত নবী [সাঃআঃ] লোকদেরকে বললেন, তোমরা ফিরে চলো। এ পিপড়াটির দুআর কারণে তোমাদের দুআ কবুল হয়ে গেছে।

[দারাকুত্বনী] {১}, {১} জইফ : দারাকুত্বনী ১৭৯৭, জইফ আল জামি আস্ সগীর ২৮২৩। মুসতাদরাক লিল হাকিম ১২১৫। শায়খ আলবানী [রাহিমাহুল্লাহ] বলেছেন, হাদিসের সানাদে মুহাম্মাদ ইবনি আওন রয়েছে যিনি আমার নিকট একজন অপরিচিত রাযী। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply