অসুস্থ মানুষের জন্য যে সব দো‘আ বলা হয় – রিয়াদুস সালেহীন

অসুস্থ মানুষের জন্য যে সব দো‘আ বলা হয় – রিয়াদুস সালেহীন

অসুস্থ মানুষের জন্য যে সব দো‘আ বলা হয় – রিয়াদুস সালেহীন >> রিয়াদুস সালেহীন  হাদিস শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে রিয়াদুস সালেহীন হাদিস শরীফ এর পরিচ্ছেদের হাদিস পড়ুন

এ বিষয়ে আরও পড়ুন >> মুয়াত্তা মালিক >> সহীহ বুখারী >> আদাবুল মুফরাদ >> সহীহ মুসলিম >> আবু দাউদ >> ইবনে মাজাহ >> তিরমিজি >> মিশকাত >> হাদীস শরীফ হতে

পরিচ্ছেদ – ১৪৪: রোগীকে সাক্ষাৎ করে জিজ্ঞাসাবাদ করার মাহাত্ম্য
পরিচ্ছেদ – ১৪৫. অসুস্থ মানুষের জন্য যে সব দো‘আ বলা হয়
পরিচ্ছেদ – ১৪৬: রোগীর বাড়ির লোককে রোগীর অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা উত্তম
পরিচ্ছেদ – ১৪৭ঃ জীবন থেকে নিরাশ হওয়ার সময়ে দো‘আ
পরিচ্ছেদ – ১৪৮ঃপীড়িতের পরিবার এবং তার সেবাকারীদেরকে পীড়িতের সাথে সদ্ব্যবহার করা এবং সে ক্ষেত্রে কষ্ট বরণ করা ও তার পক্ষ থেকে উদ্ভূত বিরক্তিকর পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধারণ করার জন্য উপদেশ প্রদান। অনুরূপভাবে কোন ইসলামী দণ্ডবিধি প্রয়োগজনিত কারণে যার মৃত্যু আসন্ন, তার সাথেও সদ্ব্যবহার করার উপর তাকীদ
পরিচ্ছেদ – ১৪৯ঃ রুগ্ন ব্যক্তির জন্য ‘আমার যন্ত্রণা হচ্ছে’ অথবা ‘আমার প্রচন্ড ব্যথা হচ্ছে’ কিংবা ‘আমার জ্বর হয়েছে’ কিংবা ‘হায়! আমার মাথা গেল’ ইত্যাদি বলা জায়েয; যদি তা আল্লাহর প্রতি অসন্তুষ্টি প্রকাশের জন্য না হয়
পরিচ্ছেদ – ১৫০ঃ মুমূর্ষু ব্যক্তিকে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ স্মরণ করিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে

পরিচ্ছেদ – ১৪৪: রোগীকে সাক্ষাৎ করে জিজ্ঞাসাবাদ করার মাহাত্ম্য

৮৯৯. বারা’ ইবনে আযেব রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘রসুলুল্লাহ সাঃআঃ আমাদেরকে রোগীর কুশল জিজ্ঞাসা করতে যাওয়া, জানাযার সঙ্গে যাওয়া, কেউ হাঁচলে তার জবাব দেওয়া, কসমকারীর কসম পুরা করা, অত্যাচারিতের সাহায্য করা, নিমন্ত্রণ গ্রহণ করা ও সালাম প্রচার করার আদেশ দিয়েছেন।’

(সহীহুল বুখারী শরীফ ১২৩৯, ২৪৪৫, ৫১৭৫, ৫৬৩৪, ৫৬৫০, ৫৮৩৮, ৫৮৪৯, ৫৮৬৩, ৬২২২, ৬২৩৫, ৬৬৫৪, মুসলিম ২০৬৬, তিরমিজী ১৭৬০, ২৮০৯, নাসাঈ ১৯৩৯, ৩৭৭৮, ৫৩০৯, ইবনু মাজাহ ২১১৫,আহমাদ ১৮০৩৪, ১৮০৬১, ১৮১৭০) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

৯০০. আবু হুরাইরা রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘এক মুসলিমের অধিকার অপর মুসলিমের উপর পাঁচটিঃ সালামের জবাব দেওয়া, রুগীকে দেখতে যাওয়া, জানাযার সঙ্গে যাওয়া, দাওয়াত কবুল করা এবং হাঁচলে তার জবাব দেওয়া।’’

(সহীহুল বুখারী শরীফ ১২৪০,মুসলিম ২১৬২, তিরমিজী ২৭৩৭, নাসাঈ ১৯৩৮, আবু দাঊদ ৫০৩০, ইবনু মাজাহ ১৪৩৫, আহমাদ , ১০৫৮৩, ২৭৫১১) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

৯০১. উক্ত রাবী রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘আল্লাহ আয্‌যা অজাল্ল কিয়ামতের দিন বলবেন, ‘হে আদম সন্তান! আমি অসুস্থ ছিলাম, তুমি আমাকে দেখতে আসনি।’ সে বলবে, ‘হে প্রভু! কিভাবে আমি আপনাকে দেখতে যাব, আপনি তো সারা জাহানের পালনকর্তা?’ তিনি বলবেন, ‘তুমি কি জানতে না যে, আমার অমুক বান্দা অসুস্থ ছিল? তুমি তাকে দেখতে যাওনি। তুমি কি জানতে না যে, তুমি যদি তাকে দেখতে যেতে, তাহলে অবশ্যই তুমি আমাকে তার কাছে পেতে?

হে আদম সন্তান! আমি তোমার কাছে খাবার চেয়েছিলাম, তুমি আমাকে খাবার দাওনি।’ সে বলবে, ‘হে প্রভু! আমি আপনাকে কিভাবে খাবার দেব, আপনি তো সারা জাহানের প্রভু?’ আল্লাহ বলবেন, ‘তোমার কি জানা ছিল না যে, আমার অমুক বান্দা তোমার কাছে খাবার চেয়েছিল, কিন্তু তাকে তুমি খাবার দাওনি? তোমার কি জানা ছিল না যে, যদি তাকে খাবার দিতে, তাহলে অবশ্যই তা আমার কাছে পেতে?

হে আদম সন্তান! তোমার কাছে আমি পানি পান করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু তুমি আমাকে পান করাওনি।’ বান্দা বলবে, ‘হে প্রভু! আপনাকে কিরূপে পানি পান করাবো, আপনি তো সমগ্র জগতের প্রভু?’ তিনি বলবেন, ‘আমার অমুক বান্দা তোমার কাছে পানি চেয়েছিল, তুমি তাকে পান করাওনি। তুমি কি জানতে না যে, যদি তাকে পান করাতে, তাহলে তা অবশ্যই আমার কাছে পেতে? ’’

(মুসলিম ২৫৬৯, আহমাদ ৮৯৮৯) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

৯০২. আবু মূসা ‘আশআরী রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘তোমরা রুগী দেখতে যাও, ক্ষুধার্তকে অন্ন দাও এবং বন্দীকে মুক্ত কর।’’

(সহীহুল বুখারী শরীফ ৩০৪৬, ৫১৭৪, ৫৩৭৩, ৫৬৪৯, ৭১৭৩, আবু দাঊদ ৩১০৫, আহমাদ ১৯০২৩, ১৯১৪৪, দারেমী ২৪৬৫) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

৯০৩. সওবান রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

নবী সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘কোন মুসলিম যখন তার অন্য কোন মুসলিম ভাইয়ের রোগ জিজ্ঞাসা করতে যায়, সে না ফিরা পর্যন্ত জান্নাতের ‘খুরফার’ মধ্যে সর্বদা অবস্থান করে।’’ জিজ্ঞাসা করা হল, ‘হে আল্লাহর রসূল! খুরফাহ কী?’ তিনি বললেন, ‘‘জান্নাতের ফল-পাড়া।’’

(মুসলিম ২৫৬৮, তি, ৯৬৭, আহমাদ ২১৮৬৮, ২১৮৮৪, ২১৮৯৮, ২১৯১৬, ২১৯৩৩, ২১৯৩৮) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

৯০৪. আলী রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসুলুল্লাহ সাঃআঃকে বলতে শুনেছি, ‘‘যে কোন মুসলিম অন্য কোন (অসুস্থ) মুসলিমকে সকাল বেলায় কুশল জিজ্ঞাসা করতে যাবে, তার জন্য সন্ধ্যা পর্যন্ত সত্তর হাজার ফিরিশ্‌তা কল্যাণ কামনা করিবেন। আর যদি সে সন্ধ্যা বেলায় তাকে কুশল জিজ্ঞাসা করতে যায়, তাহলে সকাল পর্যন্ত সত্তর হাজার ফিরিশ্‌তা তার মঙ্গল কামনা করে। আর তার জন্য জান্নাতের মধ্যে পাড়া ফল নির্ধারিত হবে।

(মুসলিম ২৫৬৮, তিরমিজী ৯৬৭, আহমাদ ২১৮৬৮, ২১৮৮৪, ২১৮৯৮, ২১৯১৬, ২১৯৩৩, ২১৯৩৮) হাদীসটির মানঃ হাসান হাদীস

৯০৫. আনাস রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একজন ইয়াহুদী বালক নবী সাঃআঃ এর সেবা করত। হঠাৎ সে অসুস্থ হয়ে পড়ল। নবী সাঃআঃ তার রোগ জিজ্ঞাসার উদ্দেশ্যে তার নিকট গেলেন এবং তার শিয়রে বসে তাকে বললেন, ‘‘তুমি ইসলাম গ্রহণ কর।’’ সে তার পিতার দিকে তাকালে–তার পিতা সেখানেই উপস্থিত ছিল–সে বলল, ‘আবুল কাসেমের কথা মেনে নাও।’ সুতরাং সে বালকটি ইসলাম গ্রহণ করল। (তারপর সে মারা গেল।) অতঃপর নবী সাঃআঃ এ কথা বলতে বলতে বের হয়ে চলে গেলেন যে, ‘‘সেই আল্লাহর সমস্ত প্রশংসা, যিনি ওকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচিয়ে নিলেন।’’

(সহীহুল বুখারী শরীফ ১৩৫৬, ৫৬৫৭, আবু দাঊদ ৩০৯৫, আহমাদ ১২৩৮১, ১২৯৬২, ১৩৩২৫, ১৩৫৬৫) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

পরিচ্ছেদ – ১৪৫. অসুস্থ মানুষের জন্য যে সব দো‘আ বলা হয়

৯০৬. আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হইতে বর্ণিতঃ

যখন কোন ব্যক্তি নবী সাঃআঃ এর নিকট নিজের কোন অসুস্থতার অভিযোগ করত অথবা (তার দেহে) কোন ফোঁড়া কিংবা ক্ষত হত, তখন নবী সাঃআঃ নিজ আঙ্গুল নিয়ে এ রকম করতেন। (হাদীসের রাবী) সুফ্‌য়ান তাঁর শাহাদত আঙ্গুলটিকে যমীনের উপর রাখার পর উঠালেন। (অর্থাৎ তিনি এভাবে মাটি লাগাতেন।) অতঃপর দো‘আটি পড়তেনঃ

بِسمِ اللهِ، تُرْبَةُ أرْضِنَا، بِرِيقَةِ بَعْضِنَا، يُشْفَى بِهِ سَقِيمُنَا، بِإِذْنِ رَبِّنَا

‘বিসমিল্লাহি তুরবাতু আরদ্বিনা, বিরীক্বাতি বা’যিবনা, য়্যুশফা বিহী সাক্বীমুনা, বিইযনি রাব্বিনা।’

অর্থাৎ আল্লাহর নামের সঙ্গে আমাদের যমীনের মাটি এবং আমাদের কিছু লোকের থুতু মিশ্রিত করে (ফোঁড়াতে) লাগালাম। আমাদের প্রতিপালকের আদেশে এর দ্বারা আমাদের রুগী সুস্থতা লাভ করিবে।

(সহীহুল বুখারী শরীফ ৫৭৪৫, ৫৭৪৬, মুসলিম ২১৯৪, আবু দাঊদ ৩৮৯৫, ইবনু মাজাহ ৩৫২১, আহমাদ ২৪০৯৬) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

৯০৭. আয়েশা রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

নবী সাঃআঃ আপন পরিবারের কোন রোগী-দর্শন করার সময় নিজের ডান হাত তার ব্যথার স্থানে ফিরাতেন এবং এ দো‘আটি পড়তেন,

اَللهم رَبَّ النَّاسِ، أَذْهِبِ البَأسَ، اِشْفِ أَنْتَ الشَّافِي لاَ شِفَاءَ إِلاَّ شِفَاؤُكَ، شِفَاءً لاَ يُغَادِرُ سَقَماً

‘আল্লাহুম্মা রাব্বান্না-স, আযহিবিল বা’স ইশফি আন্তাশ শা-ফী, লা শিফা-আ ইল্লা শিফা-উক, শিফা-আল লা য়্যুগা-দিরু সাক্বামা।’’

অর্থাৎ হে আল্লাহ! মানুষের প্রতিপালক! তুমি কষ্ট দূর কর এবং আরোগ্য দান কর। (যেহেতু) তুমি রোগ আরোগ্যকারী। তোমারই আরোগ্য দান হচ্ছে প্রকৃত আরোগ্য দান। তুমি এমনভাবে রোগ নিরাময় কর, যেন তা রোগকে নির্মূল করে দেয়।

(সহীহুল বুখারী শরীফ ৫৭৪৩, ৫৬৭৫, ৫৭৪৪, ৫৭৫০, মুসলিম ২১৯১, ইবনু মাজাহ ৩৫২০, আহমাদ ২৩৬৫৫, ২৩৬৬২, ২৩৭১৪, ২৪২৫৩, ২৪৩১৭, ২৪৪১৪, ২৫৮৬৮) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

৯০৮। আনাস রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

তিনি সাবেত (রাহিমাহুল্লাহ)কে বললেন, ‘আমি কি তোমাকে রসুলুল্লাহ সাঃআঃ এর মন্ত্র দ্বারা ঝাড়ফুঁক করব না?’ সাবেত বললেন, ‘অবশ্যই।’ আনাস রাঃআঃ এই দো‘আ পড়লেন,

اَللهم رَبَّ النَّاسِ، مُذْهِبَ البَأسِ، اِشْفِ أَنْتَ الشَّافِي، لاَ شَافِيَ إِلاَّ أنْتَ، شِفَاءً لاَ يُغَادِرُ سَقَماً

‘‘আল্লাহুম্মা রাব্বান্না-স, মুযহিবাল বা’স, ইশফি আন্তাশ শা-ফী, লা শা-ফিয়া ইল্লা আন্ত্, শিফা-আল লা য়্যুগা-দিরু সাক্বামা।’’

অর্থাৎ হে আল্লাহ! মানুষের প্রতিপালক! তুমি কষ্ট দূর কর এবং আরোগ্য দান কর। (যেহেতু) তুমি রোগ আরোগ্যকারী। তুমি ছাড়া আরোগ্যকারী আর কেউ নেই। তুমি এমনভাবে রোগ নিরাময় কর, যেন তা রোগকে নির্মূল করে দেয়।

(সহীহুল বুখারী শরীফ ৫৭৪২, তিরমিজী ৯৭৩, আবু দাঊদ ৩৮৯০, আহমাদ ১২১২৩, ১৩৪১১) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

৯০৯। সা‘দ ইবনে আবী অক্কাস রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

রসুলুল্লাহ সাঃআঃ (আমার অসুস্থ অবস্থায়) আমাকে দেখা করতে এসে বললেন,

اَللهم اشْفِ سَعْداً،  اَللهم اشْفِ سَعْداً،  اَللهم اشْفِ سَعْداً

আল্লাহুম্মা আসফি সাদ, আল্লাহুম্মা আসফি সাদ, আল্লাহুম্মা আসফি সাদ

‘‘হে আল্লাহ! সা‘দকে রোগমুক্ত কর, হে আল্লাহ! সা‘দকে রোগমুক্ত কর। হে আল্লাহ! সা‘দকে রোগমুক্ত কর।’’

(সহীহুল বুখারী শরীফ ৫৬, ১২৯৬, ২৭৪২, ২৭৪৪, ৩৯৩৬, ৪৪০৯, ৫৩৫৪, ৫৬৫৯, ৫৬৬৮, ৬৩৭৩, ৬৭৩৩, মুসলিম ১৬২৮, তিরমিজী ২১১৬, নাসাঈ ৩৬২৬, ৩৬২৭, ৩৬২৮, ৩৬৩০, ৩৬৩১, ৩৬৩২, ৩৬৩৫, আবু দাঊদ ২৮৬৪, আহমাদ ১৪৪৩, ১৪৭৭, ১৪৮২, মুওয়াত্তা মালিক ১৪৯৫, দারেমী ৩১৯৬) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

৯১০। আবু আব্দুল্লাহ ‘উসমান ইবনে আবুল ‘আস রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

রসুলুল্লাহ সাঃআঃ এর নিকট ঐ ব্যথার অভিযোগ করলেন, যা তিনি তার দেহে অনুভব করছিলেন। অতঃপর রসুলুল্লাহ সাঃআঃ তাঁকে বললেন, ‘‘তুমি তোমার দেহের ব্যথিত স্থানে হাত রেখে তিনবার

بِسمِ اللهِ

‘বিসমিল্লাহ’

এবং সাতবার

أَعُوذُ بِعِزَّةِ اللهِ وَقُدْرَتِهِ مِنْ شَرِّ مَا أجِدُ وَأُحَاذِرُ

‘আ‘উযু বি‘ইয্‌যাতিল্লাহি অক্বুদরাতিহী মিন শার্রি মা আজিদু অউহাযিরু’

বল।’’ অর্থাৎ আল্লাহর ইজ্জত এবং কুদরতের আশ্রয় গ্রহণ করছি, সেই মন্দ থেকে যা আমি পাচ্ছি এবং যা থেকে আমি ভয় করছি।

(মুসলিম ২২০২, তিরমিজী ২০৮০, আবু দাঊদ ৩৮৯১ ইবনু মাজাহ ৩৫২২, আহমাদ ১৫৮৩৪, ১৭৪৪৯, মুওয়াত্তা মালিক ১৭৫৪) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

৯১১. ইবনে আব্বাস রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

নবী সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি এমন কোন রুগ্ন মানুষকে সাক্ষাৎ করিবে, যার এখন মরার সময় উপস্থিত হয়নি এবং তার নিকট সাতবার এই দো‘আটি বলবে,

أَسْأَلُ اللهَ العَظيمَ، رَبَّ العَرْشِ العَظِيمِ، أَنْ يَشْفِيَكَ

‘আসআলুল্লাহাল আযীম, রাব্বাল আরশিল আযীম, আঁই য়্যাশ্‌ফিয়াক’

(অর্থাৎ আমি সুমহান আল্লাহ, মহা আরশের প্রভুর নিকট তোমার আরোগ্য প্রার্থনা করছি), আল্লাহ তাকে সে রোগ থেকে মুক্তি দান করিবেন।’’

(আবু দাঊদ, তিরমিজী, হাসান সূত্রে, হাকেম, বুখারীর শর্তে সহীহ সূত্রে) (আবু দাঊদ ৩১০৬, তিরমিজী ৩০৮৩, আহমাদ ২১৩৮, ২১৮৩, ২৩৮৮) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

৯১২. উক্ত রাবী রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

নবী সাঃআঃ এক পীড়িত বেদুঈনের সাক্ষাতে গেলেন। আর নবী সাঃআঃ যে রোগীকেই সাক্ষাৎ করতে যেতেন, তাকে বলতেন,

لاَ بَأسَ ؛ طَهُورٌ إنْ شَاءَ اللهُ

‘‘লা-বা’স, ত্বাহুরুন ইনশাআল্লাহ।’’

অর্থাৎ কোন ক্ষতি নেই, (গোনাহ থেকে) পবিত্র হবে ইন শাআল্লাহ।

(সহীহুল বুখারী শরীফ ৩৬১৬, ৫৬৫৬, ৫৬৬২, ৭৪৭০) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

৯১৩. আবু সা‘ঈদ খুদরী রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

জিবরীল নবী সাঃআঃ এর নিকট এসে বললেন, ‘হে মুহাম্মাদ! আপনি কি অসুস্থ?’ তিনি বললেন, ‘‘হ্যাঁ।’’ জিবরীল তখন এই দো‘আটি পড়লেন,

بِسْمِ الله أَرْقِيكَ، مِنْ كُلِّ شَيْءٍ يُؤْذِيكَ، مِنْ شَرِّ كُلِّ نَفْسٍ أَوْ عَيْنِ حَاسِدٍ، اللهُ يَشْفِيكَ، بِسمِ اللهِ أُرقِيكَ

‘বিসমিল্লা-হি আরক্বীক, মিন কুল্লি শাইয়িন ইউ’যীক, মিন শার্রি কুল্লি নাফসিন আউ ‘আইনি হা-সিদ, আল্লা-হু য়্যাশফীকা, বিসমিল্লা-হি আরক্বীক।’

অর্থাৎ আমি তোমাকে আল্লাহর নাম নিয়ে প্রত্যেক কষ্টদায়ক বস্তু থেকে এবং প্রত্যেক আত্মা অথবা বদনজরের অনিষ্ট থেকে মুক্তি পেতে ঝাড়ছি। আল্লাহ তোমাকে আরোগ্য দান করুন। আল্লাহর নাম নিয়ে তোমাকে ঝাড়ছি।

(সহীহুল বুখারী শরীফ ৯৭২, মুসলিম ২১৮৬, ইবনু মাজাহ ৩৫২৩, আহমাদ ১১১৪০, ১১৩১৩) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

৯১৪. আবু সা‘ঈদ খুদরী রাঃআঃ এবং আবু হুরাইরা রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

তাঁরা উভয়েই রসুলুল্লাহ সাঃআঃ এর প্রতি সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, তিনি বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, অল্লাহু আকবার’ (অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই এবং আল্লাহ সবচেয়ে বড়) বলে, আল্লাহ তার সত্যায়ন করে বলেন, ‘আমি ছাড়া কোন (সত্য) উপাস্য নেই এবং আমি সবচেয়ে বড়।’ আর যখন সে বলে

اَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ وَحدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ

‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু অহদাহু লা শারীকা লাহ’

(অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই, তিনি একক, তাঁর কোন অংশী নেই), তখন আল্লাহ বলেন, ‘আমি ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই, আমি একক, আমার কোন অংশী নেই।’

আর যখন সে বলে

 لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ لَهُ المُلْكُ وَلَهُ الحَمْدُ

‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, লাহুল মুলকু অলাহুল হাম্‌দ’

(অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই, সার্বভৌম ক্ষমতা তাঁরই এবং তাঁরই যাবতীয় প্রশংসা), তখন আল্লাহ বলেন, ‘আমি ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই, সার্বভৌম ক্ষমতা আমারই এবং আমারই যাবতীয় প্রশংসা।’

আর যখন সে বলে,

لاَ إله إِلاَّ اللهُ وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ باللهِ

‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, অলা হাওলা অলা ক্বুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’

(অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কোন (সত্য) উপাস্য নেই এবং আল্লাহর প্রেরণা দান ছাড়া পাপ থেকে ফিরার এবং সৎকাজ করার বা নড়া-চড়ার শক্তি নেই), তখন আল্লাহ বলেন, ‘আমি ছাড়া কোন (সত্য) উপাস্য নেই এবং আমার প্রেরণা দান ছাড়া পাপ থেকে ফিরার এবং সৎকাজ করার বা নড়া-চড়ার শক্তি নেই।’

নবী সাঃআঃ বলতেন, ‘‘যে ব্যক্তি তার পীড়িত অবস্থায় এটি পড়ে মারা যাবে, জাহান্নামের আগুন তাকে খাবে না।’’ (অর্থাৎ সে জাহান্নামে যাবে না।)

(তিরমিজী, হাসান সূত্রে) (তিরমিজী ৩৪৩০, ইবনু মাজাহ ৩৭৯৪) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

পরিচ্ছেদ – ১৪৬: রোগীর বাড়ির লোককে রোগীর অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা উত্তম

৯১৫. ইবনে আব্বাস রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

আলী ইবনে আবী ত্বালেব রাঃআঃ রসুলুল্লাহ সাঃআঃ এর নিকট হইতে তাঁর সেই অসুস্থ অবস্থায় বের হলেন, যাতে তিনি মৃত্যুবরণ করেছিলেন। অতঃপর লোকেরা বলল, ‘হে হাসানের পিতা! রসুলুল্লাহ সাঃআঃ কী অবস্থায় সকাল করলেন?’ তিনি বললেন, ‘আলহামদু লিল্লাহ, তিনি ভাল অবস্থায় সকাল করলেন।

(সহীহুল বুখারী শরীফ ৪৪৪৭, ৬২৬৬, আহমাদ ২৩৭০, ২৯৯০) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

পরিচ্ছেদ – ১৪৭ঃ জীবন থেকে নিরাশ হওয়ার সময়ে দো‘আ

৯১৬. আয়েশা রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

আমি নবী সাঃআঃকে এই দো‘আ বলতে শুনেছি, যখন তিনি (তাঁর মৃত্যুর পূর্বমুহূর্তে) আমার উপর ঠেস লাগিয়ে ছিলেন,

اَللهم اغْفِرْ لِي وارْحَمْنِي، وأَلْحِقْنِي بِالرَّفِيقِ الأَعْلَى

‘আল্লা-হুম্মাগফিরলী অরহামনী অ আলহিক্বনী বির্রাফীক্বিল আ‘লা।’

অর্থাৎ আল্লাহ গো! আমাকে ক্ষমা কর, আমার প্রতি দয়া কর এবং আমাকে মহান সাথীর সাথে মিলিত কর।

(সহীহুল বুখারী শরীফ ৪৪৫১, ৮৯১, ১৩৮৯, ৩১০০, ৩৭৭৪, ৪৪৩৫, ৪৪৩৮, ৪৪৪০, ৪৪৪৬, ৪৪৪৯, ৪৪৫০, ৪৪৬৩, ৫২১৭, ৫৬৭৪, ৬৩৪৮, ৬৫০৯, ৬৫১০, মুসলিম ২১৯২, তিরমিজী ৩৪৯৬, ইবনু মাজাহ ১৬২০, আহমাদ ২৩৬৯৬, ২৩৯৩৩, ২৪৩৭০, মুওয়াত্তা মালিক ৫৬২) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

৯১৭. আয়িশাহ রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

আমি রসুলুল্লাহ সাঃআঃকে দেখেছি, তাঁর উপর তখন মৃত্যু ছেয়ে গিয়েছিল, তাঁর সামনে একটি পানি ভর্তি পাত্র ছিল। তাতে তিনি নিজের (ডান) হাত প্রবেশ করাচ্ছিলেন, অতঃপর (হাতের সাথে লেগে থাকা) পানি দিয়ে তাঁর মুখমন্ডল মুছছিলেন এবং বলছিলেনঃ আল্লাহ! মৃত্যুর কঠোরতা ও তার ভীষণ কষ্টের বিরুদ্ধে আমাকে সহায়তা কর।

(আমি (আলবানী) বলছিঃ তিরমিজীর কোন এক কপিতে ‘গামারাত’ শব্দের পরিবর্তে ‘মুনকারাত’ শব্দ উল্লেখ্য করা হয়েছে। এর সনদটি দুর্বল দেখুন ‘‘মিশকাত’’ (নং ১৫৬৪)। তিরমিজী ৯৮৭, ইবনু মাজাহ ১৬২৩, আহমাদ ২৩৮৩৫, ২৩৮৯৫।) হাদীসটির মানঃ দুর্বল হাদীস

পরিচ্ছেদ – ১৪৮ঃপীড়িতের পরিবার এবং তার সেবাকারীদেরকে পীড়িতের সাথে সদ্ব্যবহার করা এবং সে ক্ষেত্রে কষ্ট বরণ করা ও তার পক্ষ থেকে উদ্ভূত বিরক্তিকর পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধারণ করার জন্য উপদেশ প্রদান। অনুরূপভাবে কোন ইসলামী দণ্ডবিধি প্রয়োগজনিত কারণে যার মৃত্যু আসন্ন, তার সাথেও সদ্ব্যবহার করার উপর তাকীদ

৯১৮। ইমরান ইবনে হুসাইন রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

জুহাইনা গোত্রের এক মহিলা ব্যভিচার করে গর্ভবতী হয়েছিল। সে নবী সাঃআঃ এর নিকট এসে বলল, ‘হে আল্লাহর রসূল! আমি শাস্তি পাওয়ার যোগ্যা, সুতরাং আপনি আমাকে শাস্তি দিন।’ অতএব রসুলুল্লাহ সাঃআঃ তাঁর অভিভাবককে ডেকে বললেন, ‘‘এর সাথে সদ্ব্যবহার কর। অতঃপর সে যখন সন্তান ভূমিষ্ট করিবে তখন একে আমার নিকট নিয়ে এসো।’’ সে তাই করল। নবী সাঃআঃ তার উপর তার কাপড়খানি মযবুত করে বাঁধার আদেশ করলেন। অতঃপর তাকে নবী সাঃআঃ এর আদেশক্রমে পাথর মেরে শেষ করে দেওয়া হল। অতঃপর তিনি তার জানাযার নামায পড়লেন।

(মুসলিম ১৬৯৬, তিরমিজী ১৪৩৫, নাসাঈ ১৯৫৭, আবু দাঊদ ৪৪৪০, ইবনু মাজাহ ২৫৫৫, আহমাদ ১৯৩৬০, ১৯৪০২, ১৯৪২৪, ১৯৪৫২, দারেমী ২৩২৫) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

পরিচ্ছেদ – ১৪৯ঃ রুগ্ন ব্যক্তির জন্য ‘আমার যন্ত্রণা হচ্ছে’ অথবা ‘আমার প্রচন্ড ব্যথা হচ্ছে’ কিংবা ‘আমার জ্বর হয়েছে’ কিংবা ‘হায়! আমার মাথা গেল’ ইত্যাদি বলা জায়েয; যদি তা আল্লাহর প্রতি অসন্তুষ্টি প্রকাশের জন্য না হয়

৯১৯। ইবনে মাসঊদ রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

আমি নবী সাঃআঃ এর নিকট গেলাম যখন তাঁর জ্বর হয়েছিল। অতঃপর আমি তাঁকে স্পর্শ করে বললাম, ‘আপনার প্রচন্ড জ্বর এসেছে।’ তিনি বললেন, ‘‘হ্যাঁ, তোমাদের দু’জনের সমান আমার জ্বর হয়।’’

(সহীহুল বুখারী শরীফ ৫৬৪৮, ৫৬৪৭, ৫৬৬০, ৫৬৬১, ৫৬৬৭, মুসলিম ২৫৭১, আহমাদ ৩৬১১, ৪১৯৩, ৪৩৩৩, দারেমী ২৭৭১) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

৯২০। সা‘দ ইবনে আবী অক্কাস রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

আমার (দৈহিক) যন্ত্রণা প্রচন্ডভাবে বেড়ে যাওয়ার কারণে রসুলুল্লাহ সাঃআঃ আমাকে সাক্ষাৎ করতে এলেন। আমি বললাম, ‘আমার কী অবস্থা আপনি তা দেখছেন এবং আমি একজন ধনবান মানুষ? আর আমার উত্তরাধিকারী আমার একমাত্র কন্যা।—’ অতঃপর অবশিষ্ট হাদীস বর্ণনা করলেন।

(সহীহুল বুখারী শরীফ ৫৬, ১২৯৬, ২৭৪২, ২৭৪৪, ৩৯৩৬, ৪৪০৯, ৫৩৫৪, ৫৬৫৯, ৫৬৬৮, ৬৩৭৩, ৬৭৩৩, মুসলিম ১৬২৮, তিরমিজী ২১১৬, নাসাঈ ৩৬২৬, ৩৬২৭, ৩৬২৮, ৩৬৩০, ৩৬৩১, ৩৬৩২, ৩৬৩৫, আবু দাঊদ ২৮৬৪, আহমাদ ১৪৪৩, ১৪৭৭, ১৪৮২, মুওয়াত্তা মালিক ১৪৯৫, দারেমী ৩১৯৬) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

৯২১। কাসেম ইবনে মুহাম্মাদ রাহিমাহুল্লাহ হইতে বর্ণিতঃ

একদা আয়েশা রাঃআঃ বললেন, ‘হায়! আমার মাথার ব্যথা।’ নবী সাঃআঃ বললেন, ‘‘বরং হায়! আমার মাথার ব্যথা!’’ (অর্থাৎ আমার মাথাতেও প্রচন্ড ব্যথা হচ্ছে।)

(সহীহুল বুখারী শরীফ ৫৬৬৬, ৭২১৭, মুসলিম ২৩৮৭) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

পরিচ্ছেদ – ১৫০ঃ মুমূর্ষু ব্যক্তিকে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ স্মরণ করিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে

৯২২। মু‘আয রাঃআঃ বলেন, রসুলুল্লাহ সাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

‘‘যে ব্যক্তির শেষ কথা

لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ

‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ হবে

(অর্থাৎ এই কালেমা পড়তে পড়তে যার মৃত্যু হবে), সে জান্নাতে প্রবেশ করিবে।’’ (আবু দাঊদ, হাকেম এটিকে সহীহ বলেছেন।)

(আবু দাঊদ ৩১১৬, আহমাদ ২১৫২৯, ২১৬২২) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

৯২৩। আবু সা‘ঈদ খুদরী রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেন, ‘‘তোমাদের মুমূর্ষু ব্যক্তিদেরকে

لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ

‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ স্মরণ করিয়ে দাও।’’

(মুসলিম ৯১৬, ৯১৭, তিরমিজী ৯৭৬, নাসাঈ ১৮২৬, আবু দাঊদ ৩১১৭, ইবনু মাজাহ ১৪৪৫, আহমাদ ১০৬১০) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

Comments

Leave a Reply