সালামের উত্তর দেয়া, অনুমতি ও বসার আদব
এক মুসলিমের প্রতি অপর মুসলিমের হক্ সালামের উত্তর দেয়া >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন
১. অধ্যায়ঃ আরোহী পথচারীকে এবং কম সংখ্যক বেশি সংখ্যককে সালাম করিবে
২. অধ্যায়ঃ সালামের উত্তর দেয়া রাস্তায় বসার হক
৩. অধ্যায়ঃ এক মুসলিমের প্রতি অপর মুসলিমের হক্ সালামের উত্তর দেয়া
৪. অধ্যায়ঃ আহলে কিতাব [ইয়াহূদী-নাসারা] -কে আগে সালাম করার নিষিদ্ধকরণ এবং তাদের সালামের উত্তর দেয়ার বিবরণ
৫. অধ্যায়ঃ শিশুদের সালাম করা মুস্তাহাব
৬. অধ্যায়ঃ পর্দা তুলে দেয়া বা অপর কোন আলামতকে অনুমতি বানানো বৈধ
৭. অধ্যায়ঃ প্রাকৃতিক প্রয়োজন পূরণের জন্যে মহিলাদের ঘরের বাইরে যাওয়ার বৈধতা
৮. অধ্যায়ঃ নির্জনে আজ্নাবিয়্যাহ্ {২৪} মেয়েলোকের নিকট অবস্থান করা এবং তার নিকট প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধকরণ
৯. অধ্যায়ঃ কোন লোককে নারীদের সঙ্গে একাকী দেখা পেলে এবং সে মহিলা তার স্ত্রী বা তার মাহরাম হলে কু-ধারণা কে দমনের জন্য এ স্ত্রীলোক অমুক বলে দেয়া মুস্তাহাব
১০. অধ্যায়ঃ কোন মাজলিসে উপস্থিত হয়ে ফাঁকা স্থান পেলে সেখানে বসে পড়া; নচেৎ সবার পিছনে বসা
১১. অধ্যায়ঃ আগে এসে বসা বৈধ অবস্থান থেকে কোন মানুষকে উঠিয়ে দেয়া হারাম
১২. অধ্যায়ঃ কেউ আসন ছেড়ে উঠে গিয়ে আবার ফিরে আসলে সে অধিক হকদার হইবে
১৩. অধ্যায়ঃ পরিচয়বিহীন [অমুহরিম] নারীদের নিকট হিজড়াকে প্রবেশে বাধাদান
১৪. অধ্যায়ঃ অজ্ঞাত নারী পথ-শ্রান্ত হলে তাকে আরোহণের পিছে বসিয়ে দেয়া বৈধ
১৫. অধ্যায়ঃ তৃতীয় ব্যক্তির অনুমতি ছাড়া তাকে রেখে দুজনের চুপি চুপি কথা বলা নিষিদ্ধ
১. অধ্যায়ঃ আরোহী পথচারীকে এবং কম সংখ্যক বেশি সংখ্যককে সালাম করিবে
৫৫৩৯. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ সওয়ারী পদচারীকে, পদচারী বসে থাকা লোককে এবং কম সংখ্যক লোক বেশি সংখ্যক লোককে সালাম করিবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৬১, ইসলামিক সেন্টার- ৫৪৮৩]
২. অধ্যায়ঃ সালামের উত্তর দেয়া রাস্তায় বসার হক
৫৫৪০. ইসহাক্ ইবনি আবদুল্লাহ ইবনি আবু তাল্হার আব্বা {আবদুল্লাহ [রাদি.] } হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমরা [গৃহের সম্মুখের উন্মুক্ত] উঠানে বসে গল্প-গুজব করিতেছিলাম। তখন রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আসলেন এবং আমাদের সম্মুখে দাঁড়িয়ে বলিলেন, রাস্তা-ঘাটে বসে বৈঠকে করা তোমাদের কি আচরণ? রাস্তাঘাটে মাজলিস করা তোমরা ছেড়ে দাও। আমরা বললাম, আমরা তো কাউকে কষ্ট দেয়ার উদ্দেশে বসিনি। আমরা শলা-পরামর্শ ও আলোচনা করছি। তিনি বলিলেন, যদি তা না করলেই নয়, তাহলে রাস্তার হক আদায় করিবে- আর তা হলো চোখ নিচু রাখা, সালামের উত্তর দেয়া এবং ভাল কথা বলা।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৬২, ইসলামিক সেন্টার- ৫৪৮৪]
৫৫৪১. আবু সাঈদ খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] বলেছেন, তোমরা পথে বৈঠক করা হইতে সাবধান থাকো। তারা বলিলেন, হে আল্লাহর রসূল! রাস্তায় বসা ব্যতীত আমাদের উপায় নেই। সেখানে আমরা আলাপচারিতায় থাকি। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ নিতান্তই যদি তোমাদের বসতেই হয়, তাহলে তোমরা রাস্তার হক আদায় করিবে। তারা প্রশ্ন করিলেন, রাস্তার হক কি? তিনি বলিলেন, দৃষ্টি নিচু রাখা, [কাউকে] কষ্ট দেয়া থেকে বিরত থাকা, সালামের উত্তর দেয়া এবং সৎ কাজের নির্দেশ করা ও মন্দ কাজে বাধা প্রদান করা।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৬৩, ইসলামিক সেন্টার- ৫৪৮৫]
৫৫৪২. যায়দ ইবনি আসলাম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
যায়দ ইবনি আসলাম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে উপরোক্ত সূত্রে হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫৪৬৪, ইসলামিক সেন্টার ৫৪৮৬]
৩. অধ্যায়ঃ এক মুসলিমের প্রতি অপর মুসলিমের হক্ সালামের উত্তর দেয়া
৫৫৪৩. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ এক মুসলিমের প্রতি অপর মুসলিমের হক পাঁচটি। অপর বর্ণনায় আব্দ ইবনি হুমায়দ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] আবু হুরায়রা্ [রাদি.] বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ পাঁচটি ব্যাপারে মুসলিমের জন্যে তার ভাইয়ের সম্পর্কে ওয়াজিব। ১. সালামের উত্তর দেয়া, ২. হাঁচিদাতাকে [তার আলহাম্দু লিল্লাহ্ বলার উত্তরে] ইয়ারহামুকুল্লাহ বলে দুআ করা, ৩. দাওয়াত কবূল করা, ৪. অসুস্থকে দেখিতে যাওয়া এবং ৫. জানাযার সঙ্গে শারীক হওয়া।
[রাবী] আবদুর রায্যাক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, মামার [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] এ হাদীস যুহরী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে মুরসাল হিসেবে বর্ণনা করিতেন, তারপর তিনি ইবনি মুসাইয়্যাব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] -এর সানাদে আবু হুরায়রা্ [রাদি.] হইতে পূর্ণ সানাদে রিওয়ায়াত করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৬৫, ইসলামিক সেন্টার- ৫৪৮৭]
৫৫৪৪. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ মুসলিমের প্রতি মুসলিমের হক ছয়টি। প্রশ্ন করা হলো- সেগুলো কী, হে আল্লাহর রসূল! তিনি বলিলেন, [সেগুলো হলো-] ১. কারো সাথে তোমার দেখা হলে তাকে সালাম করিবে, ২. তোমাকে দাওয়াত করলে তা তুমি কবূল করিবে, ৩. সে তোমার নিকট ভাল উপদেশ চাইলে, তুমি তাকে ভাল উপদেশ দিবে, ৪. সে হাঁচি দিয়ে আলহাম্দু লিল্লাহ বললে, তার জন্যে তুমি [ইয়ারহামুকাল্লাহ্ বলে] রহ্মাতের দুআ করিবে, ৫. সে পীড়িত হলে তার সেবা-শুশ্রুষা করিবে এবং ৬. সে মৃত্যুবরণ করলে তার [জানাযার] সাথে যাবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৬৬, ইসলামিক সেন্টার- ৫৪৮৮]
৪. অধ্যায়ঃ আহলে কিতাব [ইয়াহূদী-নাসারা] -কে আগে সালাম করার নিষিদ্ধকরণ এবং তাদের সালামের উত্তর দেয়ার বিবরণ
৫৫৪৫. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আহলে কিতাবের কেউ যদি তোমাদের সালাম করে তোমরা [শুধু এতটুকু] বলবে-
وَعَلَيْكُمْ
ওয়া আলাইকুম– [তোমাদের প্রতিও]।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৬৭, ইসলামিক সেন্টার- ৫৪৮৯]
৫৫৪৬. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর সাহাবীগন নবী [সাঃআঃ] -কে প্রশ্ন করিলেন, আহলে কিতাবরা তো আমাদের সালাম দিয়ে থাকে, আমরা কেমন করে তাদের উত্তর দিব? তিনি বলিলেন, তোমরা বলবে,
وَعَلَيْكُمْ
ওয়া আলাইকুম– [তোমাদের প্রতিও]।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৬৮, ইসলামিক সেন্টার- ৫৪৯০]
৫৫৪৭. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ ইয়াহুদীরা যে সময় তোমাদের প্রতি সালাম দেয়, সে সময় তাদের কেউ বলে
السَّامُ عَلَيْكُمْ
“আস্সামু আলাইকুম” [তোমাদের মরণ হোক]। তখন তুমি বলবে
عَلَيْكَ
ওয়া আলাইকা- [তোমারও-হোক]।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৬৯, ইসলামিক সেন্টার- ৫৪৯১]
৫৫৪৮. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
ইবনি উমর [রাদি.] -এর সানাদে নবী [সাঃআঃ] হইতে অবিকল হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। তাছাড়া তিনি বলেছেন- তখন তোমরা বলবে
وَعَلَيْكَ
“ওয়া আলাইকুম” অর্থাৎ তোমারও [মৃত্যু হোক]।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৭০, ইসলামিক সেন্টার- ৫৪৯২]
৫৫৪৯. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, একদা ইয়াহূদী রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর নিকট [দেখা করার জন্যে] অনুমতি চাইল। তারা সে সময় বলিল,
السَّامُ عَلَيْكُمْ
“আস্সামু আলাইকুম”, তোমাদের মরণ হোক!
তখন আয়েশাহ [রাদি.] বলিলেন,
عَلَيْكُمُ السَّامُ وَاللَّعْنَةُ
“বরং তোমাদের উপরে মরণ ও লানাত হোক। ” তখন রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন, হে আয়েশাহ! আল্লাহ্ তাআলা সকল বিষয়ে সহনশীলতা পছন্দ করেন। আয়েশাহ [রাদি.] বলিলেন, আপনি কি তাদের কটূক্তি শুনেননি? তিনি বলিলেন, আমিও তো বলে দিয়েছি “
وَعَلَيْكُمْ
ওয়া আলাইকুম” [তোমাদের উপরেও]।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৭১, ইসলামিক সেন্টার- ৫৪৯৩]
৫৫৫০. যুহ্রী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
যুহ্রী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে উপরোল্লিখিত সূত্রে হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।
তবে এ দুজনের বর্ণিত হাদীসে আছে যে, রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন, আমি তো বলেছি-
عَلَيْكُمْ
আলাইকুম [তোমাদের উপরে] তারা وَ অব্যয়টির উল্লেখ করেননি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৭২, ইসলামিক সেন্টার- ৫৪৯৪]
৫৫৫১. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর নিকট কয়েকজন ইয়াহূদী আসলো। তারা বলিল-
السَّامُ عَلَيْكَ يَا أَبَا الْقَاسِمِ
আস্সামু আলাইকা ইয়া আবাল কাসিম, হে আবুল কাসিম! তোমার মৃত্যু হোক। তিনি বলিলেন,
وَعَلَيْكُمْ
তোমাদের উপরেও। আয়েশাহ [রাদি.] বলেন, আমি বললাম- arbi
عَلَيْكُمُ السَّامُ وَالذَّامُ
বরং তোমাদের মৃত্যু ও অপমান হোক। সে সময় রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন, হে আয়েশাহ! তুমি অশ্লীলভাষী হয়ো না। তিনি বলিলেন, তারা কি বলেছে, তা কি আপনি শুনেননি? তিনি বলিলেন, তারা যা বলেছিল, তা-ই কি আমি তাদের ফিরিয়ে দেইনি? আমি যা বলেছি-
وَعَلَيْكُمْ
ওয়া আলাইকুম তোমাদের উপরেও।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৭৩, ইসলামিক সেন্টার- ৫৪৯৫]
৫৫৫২. আমাশ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
আমাশ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] উপরোক্ত সূত্রে হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। তাছাড়া তিনি বলেছেন, আয়েশাহ [রাদি.] তাদের চক্রান্ত বুঝে ফেললেন এবং তাদের বকা দিলেন। তখন রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন, চুপ কর, হে আয়েশাহ! কারন আল্লাহ্ তাআলা অশ্লীলতা ও বেহায়াপনা পছন্দ করেন না। তিনি অতিরিক্ত বর্ণনা করিয়াছেন। সে সময় মহামহিমান্বিত আল্লাহ্ অবতীর্ণ করিলেন-
আর যারা তারা [ইয়াহূদীরা] আপনার নিকট আসে, সে সময় তারা আপনাকে এমন [কতিপয় বাক্য বলে] সম্ভাষণ করে, যেমন [বাক্য দ্বারা] আল্লাহ্ আপনাকে সম্ভাষণ করেননি…..
وَإِذَا جَاءُوكَ حَيَّوْكَ بِمَا لَمْ يُحَيِّكَ بِهِ اللَّهُ
” [সুরা আল-মুজালাদাহ্ ৫৮ : ৮] আয়াতের শেষ পর্যন্ত।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৭৪, ইসলামিক সেন্টার- ৫৪৯৬]
৫৫৫৩. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
ইয়াহূদীদের কিছু লোক রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] -কে সালাম দিল। তারা বলিল-
السَّامُ عَلَيْكَ يَا أَبَا الْقَاسِمِ
আস্সামু আলাইকা ইয়া আবাল কাসিম। তিনি বলিলেন,
وَعَلَيْكُمْ
“ওয়া আলাইকুম”। তখন আয়েশাহ [রাদি.] বলিলেন, সে সময় তিনি ক্রোধান্বিত হয়েছিলেন- তারা কি বলিল, আপনি কি শোনেননি? তিনি বলিলেন- হ্যাঁ, শুনেছি এবং তাদের উপর তা ফিরিয়ে দিয়েছি। তাদের বিপক্ষে আমাদের [প্রার্থনা] মঞ্জুর করা হয় কিন্তু আমাদের বিপক্ষে তাদের [প্রার্থনা] কবূল করা হয় না।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৭৫, ইসলামিক সেন্টার- ৫৪৯৭]
৫৫৫৪. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ ইয়াহূদী ও নাসারাদের আগে বাড়িয়ে সালাম করো না এবং তাদের কাউকে রাস্তায় দেখলে তাকে রাস্তার পাশে চলতে বাধ্য করো।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৭৬, ইসলামিক সেন্টার- ৫৪৯৮]
৫৫৫৫. ওয়াকী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
ওয়াকী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বর্ণিত হাদীসে আছে- যখন তোমরা ইয়াহূদীদের সাথে সাক্ষাৎ করিবে…। আর শুবাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে গৃহীত ইবনি জাফার [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বর্ণিত হাদীসে আছে- তিনি আহলে কিতাব সমন্ধে বলেছেন। … আর জারীর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বর্ণিত হাদীসে আছে- যখন তোমরা তাদের সাথে সাক্ষাৎ করিবে … তিনি মুশরিকদের কোন দলের নাম উল্লেখ করেননি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৭৭, ইসলামিক সেন্টার- ৫৪৯৯]
৫. অধ্যায়ঃ শিশুদের সালাম করা মুস্তাহাব
৫৫৫৬. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] একদল বালকের নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন, সে সময় তিনি তাদের সালাম দিলেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৭৮, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫০০]
৫৫৫৭. সাইয়্যার [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
৫৫৫৭-[…/…] …..ইসমাঈল ইবনি সালিম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] সাইয়্যার [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] -এর সানাদে উপরোল্লিখিত সূত্রে হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৭৮, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫০১]
৫৫৫৮. সাইয়্যার [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি সাবিত বুনানী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] -এর সাথে হাঁটতে ছিলাম। তিনি একদল কিশোরের নিকট দিয়ে গমনের সময় তাদের সালাম দিলেন এবং [তখন] সাবিত [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হাদীস বর্ণনা করিলেন যে, তিনি আনাস [রাদি.] -এর সাথে পায়ে হেঁটে চলছিলেন। তিনি [আনাস] একদল কিশোরের নিকট দিয়ে গেলেন এবং তাদের সালাম দিলেন, আনাস [রাদি.] হাদীস বর্ণনা করেন যে, তিনি [একবার] রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর সাথে পায়ে হেঁটে চলছিলেন, তিনি, নবী, [সাঃআঃ] কিশোরদের নিকট দিয়ে চললেন এবং তাদের সালাম দিলেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৭৯ ইসলামিক সেন্টার- ৫৫০২]
৬. অধ্যায়ঃ পর্দা তুলে দেয়া বা অপর কোন আলামতকে অনুমতি বানানো বৈধ
৫৫৫৯. ইবনি মাসঊদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে বলিলেন, আমার নিকট তোমার জন্যে প্রবেশাধিকার হলো পর্দা উঠিয়ে রাখা এবং [ঘরে] আমার আলাপচারিতা শুনতে পাওয়া। যে পর্যন্ত না আমি তোমাকে বারণ করি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৮০, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫০৩]
৫৫৬০. হাসান ইবনি উবাইদুল্লাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
আবু বাক্র ইবনি আবু শাইবাহ্, মুহাম্মাদ ইবনি আবদুল্লাহ ইবনি নুমায়র ও ইস্হাক ইবনি ইব্রাহীম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ….. হাসান ইবনি উবাইদুল্লাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে উপরোক্ত সূত্রে হুবহু বর্ণনা করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৮১, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫০৪]
৬. অধ্যায়ঃ পর্দা তুলে দেয়া বা অপর কোন আলামতকে অনুমতি বানানো বৈধ
৫৫৫৯. ইবনি মাসঊদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে বলিলেন, আমার নিকট তোমার জন্যে প্রবেশাধিকার হলো পর্দা উঠিয়ে রাখা এবং [ঘরে] আমার আলাপচারিতা শুনতে পাওয়া। যে পর্যন্ত না আমি তোমাকে বারণ করি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৮০, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫০৩]
৫৫৬০. হাসান ইবনি উবাইদুল্লাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
আবু বাক্র ইবনি আবু শাইবাহ্, মুহাম্মাদ ইবনি আবদুল্লাহ ইবনি নুমায়র ও ইস্হাক ইবনি ইব্রাহীম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ….. হাসান ইবনি উবাইদুল্লাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে উপরোক্ত সূত্রে হুবহু বর্ণনা করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৮১, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫০৪]
৭. অধ্যায়ঃ প্রাকৃতিক প্রয়োজন পূরণের জন্যে মহিলাদের ঘরের বাইরে যাওয়ার বৈধতা
৫৫৬১. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, পর্দার বিধান আমাদের উপরে আসার পর সাওদাহ্ [রাদি.] তার প্রাকৃতিক প্রয়োজনে বের হলেন, তিনি ছিলেন স্বাস্থ্যবতী, দেহাকৃতিতে তিনি মহিলাদের উপরে থাকতেন; যারা তাঁকে চিনতো, তাদের নিকট নিজেকে আড়াল করিতে পারতেন না। তখন উমর ইবনিল খাত্তাব [রাদি.] তাকে দেখিতে পেয়ে বলিলেন, হে সাওদাহ্! আল্লাহ্র কসম! তুমি আমাদের নিকট আড়াল করিতে পারবে না। চিন্তা করে দেখো, কিভাবে তুমি বের হচ্ছো? আয়েশাহ [রাদি.] বলেন, এ কথা শুনে তিনি ফিরে আসলেন। সে সময় রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমার ঘরে ছিলেন এবং রাতে আহার করছিলেন। তাহাঁর হাতে সে সময় গোশ্তের টুকরো একটি হাড় ছিল। সাওদাহ্ [রাদি.] [প্রবেশ করে বলিলেন,] হে আল্লাহ্র রসূল! আমি বের হয়েছিলাম, উমর আমাকে এ এ কথা বলেছে। আয়েশাহ [রাদি.] বলেন, সে সময় আল্লাহ্ তাআলা তাহাঁর প্রতি ওয়াহী অবতীর্ণ করেন। অতঃপর তাহাঁর উপর হইতে [ওয়াহীর] অবস্থা উঠিয়ে নেয়া হয় এবং হাড়টি তখনও তাহাঁর হাতেই ছিল, তা তিনি রেখে দেননি। তখন তিনি বলিলেন, তোমাদের দরকারে বের হওয়ার অনুমতি প্রদান করা হয়েছে [এ বর্ণনা আবু কুরায়ব-এর]।
আবু বাক্র [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বর্ণিত বর্ণনায় রয়েছে-“তাহাঁর দেহাকৃতি নারীদের ঊর্ধ্বে থাকত”। আবু বাক্র [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] তাহাঁর বর্ণিত হাদীসে বেশি বর্ণনা করিয়াছেন যে, বর্ণনাকারী হিশাম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেছেন, [আরবি] অর্থাৎ-পায়খানার প্রয়োজনে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৮২, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫০৫]
৫৫৬২. হিশাম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
আবু কুরায়ব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ….. হিশাম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে উপরোল্লিখিত সূত্রে হাদীস রিওয়ায়াত করিয়াছেন। তিনি বলেছেন, তিনি ছিলেন এমন এক নারী, যার শরীর অন্যদের তুলনায় উঁচু থাকত। তিনি [আরও] বলেছেন, আর তখন রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] রাতের খাবার গ্রহণ করছিলেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৮৩, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫০৬]
৫৫৬৩. হিশাম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
সুওয়াইদ ইবনি সাঈদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ….. হিশাম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে উপরোল্লিখিত সূত্রে এ হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৮৩, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫০৭]
৫৫৬৪. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর স্ত্রীগণ প্রকৃতির ডাকে সারা দেয়ার [প্রস্রাব-পায়খানায় যাওয়ার] সময় রাতের বেলা মানাসি-এর দিকে বেরিয়ে যেতেন। মানাসি হলো প্রশস্ত খোলা জায়গা। ওদিকে উমর ইবনিল খাত্তাব [রাদি.] রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] -কে বলিতেন- আপনার স্ত্রীগণের প্রতি পর্দার বিধান আরোপ করুন। কিন্তু রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] সেটি করেননি। একরাতে ইশার সময় নবী [সাঃআঃ] -এর স্ত্রী সাওদাহ্ বিনতু যাম্আহ্ [রাদি.] বের হলেন। তিনি ছিলেন দীর্ঘাঙ্গী নারী। উমর [রাদি.] তাঁকে ডাক দিয়ে বলিলেন, হে সাওদাহ্! আমরা তোমাকে চিনে ফেলেছি। পর্দার বিধান অবতীর্ণ করার প্রতি দৃঢ় প্রত্যাশায় তিনি এমন করিলেন।
আয়েশাহ [রাদি.] বলেন, তখন আল্লাহ্ তাআলা পর্দা-বিধি অবতীর্ণ করিলেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৮৪, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫০৮]
৫৫৬৫. ইবনি শিহাব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
৫৫৬৫-[…/…] আম্র ইন্ নাকিদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ….. ইবনি শিহাব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে উপরোল্লিখিত হাদীস সূত্রে হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৮৫, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫০৯]
৮. অধ্যায়ঃ নির্জনে আজ্নাবিয়্যাহ্ {২৪} মেয়েলোকের নিকট অবস্থান করা এবং তার নিকট প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধকরণ
৫৫৬৬. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ হুঁশিয়ার! কোন পুরুষ কোন বয়স্কা নারীর সাথে কিছুতেই রাত্রি যাপন করিবে না; তবে যদি সে তার স্বামী হয় কিংবা মাহ্রাম হয় [তাহলে করিতে পারে]।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৮৬, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫১০]
{২৪} যে নারীর সঙ্গে কোন পুরুষের বিবাহ বন্ধন স্থায়ীভাবে বৈধ- ইসলামী শারীআতে সে নারীকে ঐ পুরুষের জন্য আজ্নাবিয়্যাহ্ তথা বেগানাহ্ বলা হয়।
৫৫৬৭. উকবাহ্ ইবনি আমির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ হুঁশিয়ার! [বেগানাহ] নারীদের নিকট তোমরা প্রবেশ করা পরিত্যাগ করো। সে সময় আনসারীদের এক লোক বলিল- দেবর সম্পর্কে আপনার কি মতামত? তিনি বলিলেন- দেবর তো মৃত্যু তুল্য।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৮৭, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫১১]
৫৫৬৮. ইয়াযীদ আবু হাবীব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
আবু তাহির [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ….. ইয়াযীদ আবু হাবীব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে উপরোল্লিখিত সূত্রে হুবহু হাদীস রিওয়ায়াত করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৮৮, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫১২]
৫৫৬৯. ইবনি ওয়াহ্ব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
ইবনি ওয়াহ্ব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, লায়স ইবনি সাদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] -কে আমি বলিতে শুনেছি যে, [–] শব্দের অর্থ স্বামীর ভাই [দেবর-ভাসুর] এবং স্বামীর আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে তার [স্বামীর ভাইয়ের] সমপর্যায়ের চাচাত ভাই প্রমুখ।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৮৯, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫১৩]
৫৫৭০. আবদুল্লাহ ইবনি আম্র ইবনিল আস [রাদি.] {আবদুর রহ্মান ইবনি জুবায়র [রাদি.] -এর নিকট} হইতে বর্ণীতঃ
[বানূ] হাশিম সম্প্রদায়ের একদল লোক আসমা বিনতু উমায়স [রাদি.] -এর নিকট প্রবেশ করলো। তারপর আবু বাক্র সিদ্দীক [রাদি.] ও [গৃহে] প্রবেশ করিলেন, তখন তিনি {আসমা [রাদি.] }, তাহাঁর সহধর্মিণী ছিলেন। তাদের দেখিতে পেয়ে ঐ বিষয়টি [অনুমতি ছাড়া প্রবেশ] অপছন্দ করিলেন। তিনি তা রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর নিকট আলোচনা করিলেন এবং [এ কথাও] বলিলেন, অকল্যাণ কিছুই দেখিনি। রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃআল্লাহ্ অবশ্যই তাকে এ থেকে পবিত্র রেখেছেন। অতঃপর রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] মিম্বারে দাঁড়িয়ে বলিলেন, আমার আজকের এ দিনের পরে কোন পুরুষ তার সঙ্গে একজন পুরুষ বা দুজন পুরুষ ছাড়া কোন মহিলার নিকট প্রবেশ করিবে না যার স্বামী উপস্থিত নেই।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৯০, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫১৪]
৯. অধ্যায়ঃ কোন লোককে নারীদের সঙ্গে একাকী দেখা পেলে এবং সে মহিলা তার স্ত্রী বা তার মাহরাম হলে কু-ধারণা কে দমনের জন্য এ স্ত্রীলোক অমুক বলে দেয়া মুস্তাহাব
৫৫৭১. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর স্ত্রীগণের কোন একজনের সাথে ছিলেন, সে সময় তাহাঁর নিকট দিয়ে এক লোক যাচ্ছিল। তিনি তাকে ডাকলেন। সে [কাছে] আসলে তিনি বলিলেন, ওহে! এটা আমার অমুক স্ত্রী। সে বলিল, হে আল্লাহ্র রসূল! অপর কারো সম্বন্ধে আমি মন্দ ধারণা করলেও হয়ত করতাম, কিন্তু আপনার সম্বন্ধে তো মন্দ ধারণা করতাম না। সে সময় রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ শাইতান মানুষের রক্ত সঞ্চারণের শিরায় শিরায় চলাফেরা করে থাকে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৯১, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫১৫]
৫৫৭২. সাফিয়্যাহ্ বিনতু হুয়াই [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] ইতেকাফরত ছিলেন। আমি রাত্রিতে তাহাঁর সাথে দেখা করিতে এলাম। [কিছু সময়] তাহাঁর সাথে কথা বললাম, এরপর ফিরে যাওয়ার জন্যে উঠলাম। তিনিও আমাকে বিদায় দেয়ার জন্যে আমার সঙ্গে উঠলেন। [বর্ণনাকারী বলেন] , সে সময় তার {সাফিয়্যাহ্ [রাদি.] } বাসস্থান ছিল উসামাহ্ ইবনি যায়দ [রাদি.] -এর ঘরে। তখন [সেখান দিয়ে] আনসারীদের দুজন লোক গমন করছিলেন। তারা রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] -কে [এক মহিলার সঙ্গে] দেখিতে পেয়ে জলদি যেতে লাগল। রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] তখন বললেনঃ তোমরা দুজন আস্তে আস্তে যাও। এ কিন্তু সাফিয়্যাহ্ বিনতু হুয়াই [আমার স্ত্রী]। তারা দুজন বলিল, সুব্হানাল্লাহ্! হে আল্লাহ্র রসূল [আমরা তো কিছু ভাবিনি] ! তিনি বলিলেন, শাইতান মানুষের শিরায় শিরায় চলাফেরা করে। আর আমি আশঙ্কা করলাম যে, শাইতান তোমাদের দুজনের মনে কোন মন্দ ধারণা ঢেলে দিবে অথবা [বর্ণনা সন্দেহ] এ বিষয়ে কোন কিছু তৈরি করিতে পারে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৯২, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫১৬]
৫৫৭৩. আলী ইবনি হুসায়ন [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর স্ত্রী সাফিয়্যাহ্ [রাদি.] তার নিকট বর্ণনা করিয়াছেন যে, রমাযানের শেষ দশকে মাসজিদে [নাবাবীতে] রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর ইতিকাফের সময় তিনি তাহাঁর সাথে দেখা করিতে গেলেন। তিনি তাহাঁর সাথে কিছু সময় আলোচনা করিলেন, তারপর প্রত্যাবর্তনের জন্যে উঠে দাঁড়ালেন। নবী [সাঃআঃ] -ও তাঁকে বিদায় দিতে উঠে দাঁড়ালেন …..। অতঃপর [পূর্ববর্তী হাদীসের রাবী] মামার [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বর্ণিত হাদীসের মর্মানুযায়ী হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। তাছাড়া তিনি বলেছেন, নবী [সাঃআঃ] বলিলেন, শাইতান মানুষের রক্ত সঞ্চারণের শিরায় শিরায় পৌঁছে। “প্রবাহিত হয়” বলেননি। [বরং তিনি এ বর্ণনায় [আরবি] বলেছেন, তিনি [আরবি] বলেন নি
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৯২, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫১৭]
১০. অধ্যায়ঃ কোন মাজলিস এ উপস্থিত হয়ে ফাঁকা স্থান পেলে সেখানে বসে পড়া; নচেৎ সবার পিছনে বসা
৫৫৭৪. আবু ওয়াকিদ লায়সী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] মাসজিদে আমাদের মধ্যে বসা ছিলেন এবং তাহাঁর সঙ্গে সাহাবীগণের এক দলও ছিল। এ সময় তিনজনের একটি জামায়াত সামনে আসলো। এদের দুজন রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর দিকে অগ্রসর হলো, আর একজন চলে গেল। বর্ণনাকারী বলেন, তারা দুজন রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর সম্মুখে থেমে গেল। তারপর তাদের একজন সমাবেশের মধ্যে একটু খোলা জায়গা দেখিতে পেয়ে সেখানে বসে গেল, দ্বিতীয়জন তাদের [মাজলিসের] পিছনে বসল আর তৃতীয় লোক পেছনে ফিরে চলে গেল। রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] [মজলিস] সমাপ্ত করে বলিলেন, শুন! তিনজনের ক্ষুদে দলটি সম্বন্ধে কি আমি তোমাদের সংবাদ দিব না?- তাদের একজন তো আল্লাহ্র কাছে আশ্রয় নিল, আল্লাহ্ তাআলা তাকে আশ্রয় দিলেন। আর একজন লজ্জা সংকোচ করিল, আল্লাহ্ তার লজ্জা-[এর মর্যাদা] রক্ষা করিলেন। আর তৃতীয়জন মুখ ফিরিয়ে নিলো, আল্লাহ্ তাআলাও তার হইতে দৃষ্টি ফিরিয়ে নিলেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৯৩, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫১৮]
৫৫৭৫. ইয়াহ্ইয়া ইবনি আবু কাসীর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
ইসহাক্ ইবনি আবদুল্লাহ ইবনি আবু তাল্হাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] এ সূত্রে তার নিকট হুবহু অর্থের হাদীস রিওয়ায়াত করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৯৪, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫১৯]
১১. অধ্যায়ঃ আগে এসে বসা বৈধ অবস্থান থেকে কোন মানুষকে উঠিয়ে দেয়া হারাম
৫৫৭৬. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
ইবনি উমর [রাদি.] নবী [সাঃআঃ] থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন কখনো কোন লোককে তার বসার জায়গা হইতে উঠিয়ে দিয়ে সেথায় না বসে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৯৫, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫২০]
৫৫৭৭. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
ইবনি উমর [রাদি.] -এর সানাদে নবী [সাঃআঃ] হইতে রিওয়ায়াত করেন যে, তিনি বলেছেনঃ কোন লোক কোন লোককে তার বসার স্থান থেকে উঠিয়ে দিয়ে সেথায় বসবে না বরং তোমরা [বলবে] প্রশস্ত করে দাও, জায়গা বিস্তার করে দাও।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৯৬, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫২১]
৫৫৭৮. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
ইবনি উমর [রাদি.] -এর সানাদে নবী [সাঃআঃ] হইতে [উপরোক্ত হাদীসের বর্ণনাকারী] লায়স [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বর্ণিত হাদীসের হুবহু বর্ণনা করিয়াছেন। কিন্তু এদের বর্ণিত হাদীসে “বরং তোমরা বিস্তৃত করে দাও, প্রশস্ত করে দাও” [কথাটি] বর্ণনা করেননি। আর [তৃতীয় সানাদের] বর্ণনাকারী ইবনি জুরায়জ বর্ধিত রিওয়ায়াত করিয়াছেন যে, আমি নাফিকে প্রশ্ন করলাম- [এ বিধান] জুমুআর দিনের জন্য? তিনি বলিলেন, জুমুআহ ও অন্যান্য [সকল] দিবসের জন্যে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৯৭, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫২২]
৫৫৭৯. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
ইবনি উমর [রাদি.] -এর সানাদে নবী [সাঃআঃ] হইতে রিওয়ায়াত করেন যে, তিনি বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে কেউ যেন তার ভাইকে তার বসার জায়গা হইতে উঠিয়ে দিয়ে সেখানে না বসে। আর ইবনি উমর [রাদি.] -এর আচরন ছিল যে, কোন লোক তাহাঁর জন্যে নিজের বসার স্থান থেকে উঠে গেলে তিনি সেথায় বসতেন না।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৯৮, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫২৩]
৫৫৮০. মামার [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
আবদ ইবনি হুমায়দ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] , আবদুর রাযযাক ও মামার [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে উপরোক্ত সুত্রে অবিকল হাদীস রিওয়ায়াত করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৯৯, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫২৪]
৫৫৮১. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
জাবির [রাদি.] -এর সানাদে নবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেছেনঃ জুমুআর দিনে তোমাদের কেউ [মাসজিদের কাতার হইতে] তার ভাইকে উঠিয়ে দিয়ে তার বসার জায়গায় বসবে না বরং সে বলব, বিস্তার করে দিন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫০০, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫২৫]
১২. অধ্যায়ঃ কেউ আসন ছেড়ে উঠে গিয়ে আবার ফিরে আসলে সে অধিক হকদার হইবে
৫৫৮২. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আবু হুরাইরাহ [রাদি.] -এর সানাদে নবী [সাঃআঃ] থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন [তার স্থান থেকে] [কিছু সময়ের জন্যে] উঠে যায়…… এ বর্ণনা কুতাইবাহ [রাদি.] -এর ঊর্ধ্বতন বর্ণনাকারী আবদুল আযীয [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] -এর এবং অপর ঊর্ধ্বতন বর্ণনাকারী আবু আওয়ানাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] -এর বর্ণিত হাদীসে আছে, যে লোক তার জায়গা ছেড়ে উঠে যাওয়ার পর আবার সেখানে ফিরে আসে, তাহলে সে সেই স্থানে [পুনরায় বসার ব্যাপারে] বেশি হকদার।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫০১, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫২৬]
১৩. অধ্যায়ঃ পরিচয়বিহীন [অমুহরিম] নারীদের নিকট হিজড়া কে প্রবেশে বাধাদান
৫৫৮৩. উম্মু সালামাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
এক হিজড়া তার নিকট বসা ছিল। সে সময় রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ঘরে ছিলেন। সে উম্মু সালামাহ [রাদি.] -এর ভাইকে বলিতে লাগল-হে আবদুল্লাহ ইবনি আবু উমাইয়াহ! যদি আগামী দিনে আল্লাহ্ তাআলা আপনাদেরকে তায়িফ বিজয়ী করেন, তাহলে আমি আপনাকে গাইলান-কন্যাকে দেখাব, সে চারটি নিয়ে সম্মুখে আসে আর আটটি নিয়ে পশ্চাৎদিকে যায়।{২৫} রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাকে এ ধরনের কথা বলিতে শুনে বলিলেন, এ যেন তোমাদের নিকট প্রবেশ না করে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫০২, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫২৭]
{২৫} অর্থাৎ চলার সময় তার মেদ স্ফীত পেটের সম্মুখে থেকে চারটি ভাঁজ আর পেছন থেকে আট টি ভাঁজ পরিলক্ষিত হয়।
৫৫৮৪. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, এক হিজড়া, নবী [সাঃআঃ] -এর সহধর্মিণীগণের নিকট প্রবেশ করত। মানুষজন তাকে বুদ্ধি জ্ঞানহীন হিজড়াদের অন্তর্ভুক্ত মনে করত। বর্ণনাকারী বলেন, নবী [সাঃআঃ] একদিন গৃহে প্রবেশ করিলেন, তখন সে তাহাঁর কোন এক স্ত্রীর নিকট ছিল আর সে এক মহিলার [দেহ সৌষ্ঠবের] বর্ণনা দিয়ে বলছিল- যখন সম্মুখে অগ্রসর হয় তখন চার [ভাঁজ] নিয়ে অগ্রসর হয় এবং যখন পশ্চাতে ফিরে তখন আটটি নিয়ে ফিরে যায়। তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ সাবধান! এ তো দেখছি এখানকার [নারী রহস্যের] বিষয়াদি বুঝে শুনে। সে যেন তোমাদের নিকট কখনো প্রবেশ না করে। তিনি {আয়েশাহ [রাদি.] } বলেন, তারপর তারা তার থেকে পর্দা করতো।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫০৩, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫২৮]
১৪. অধ্যায়ঃ অজ্ঞাত নারী পথ-শ্রান্ত হলে তাকে আরোহণের পিছে বসিয়ে দেয়া বৈধ
৫৫৮৫. আসমা বিনতু আবু বাকর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, যুবায়র [রাদি.] আমাকে বিবাহ করিলেন, সে সময় একটি ঘোড়া কোন যোগ্য সম্পদ, গোলাম বা অন্য কোন কিছু দুনিয়াতে তার ছিল না। তিনি বলেন, আমি তার ঘোড়াটাকে ঘাস খাওয়াতাম, তার পারিবারিক কাজকর্মেও সঙ্গ দিতাম। আমি তার যত্ন নিতাম, তার পানিবাহী উটের জন্যে খর্জুর বীচি কুড়াতাম, তাকে ঘাস খাওয়াতাম, পানি নিয়ে আসতাম, তার ঢোল ইত্যাদি মেরামত করতাম এবং [রুটির জন্য] আটা মাখতাম। তবে আমি ভাল রুটি বানাতে পারতাম না। তাই আমার কতিপয় আনসারী সাথীর মনিরা আমাকে রুটি পাকিয়ে দিত। তারা ছিল স্বার্থহীন রমণী। আমি যুবায়র-এর জমি থেকে যা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাকে জায়গীর রূপে দিয়েছিলেন [সেখান থেকে] খেজুর বীচি [কুড়িয়ে] আমার মাথায় করে বয়ে আনতাম। সে [জমি] ছিল এক ক্রোসের দু-তৃতীয়াংশ [প্রায় দুমাইল] দূরে অবস্থিত। তিনি বলেন, আমি একদিন আসছিলাম আর বীচি[-র বোঝা] আমার মাথায় ছিল। [পথে] রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর দেখা পেলাম, সে সময় তাহাঁর সাথে সাহাবীগণের একটি ক্ষুদ্র দল ছিল। তিনি আমাকে ডাকলেন এবং [তাহাঁর বাহন উটটিকে বসাবার জন্যে] ইখ ইখ [আওয়াজ] করিলেন যাতে আমাকে সেটির পেছনে উঠিয়ে নিতে পারেন। তিনি {আসমা [রাদি.] } বলেন, আমি লজ্জাবোধ করলাম আর আমি ছিলাম তোমার {যুবায়র [রযিঃ] } আত্মমর্যাদাবোধ সম্পর্কে জ্ঞাত। তিনি {যুবায়র [রাদি.] } বলিলেন, আল্লাহর শপথ! তোমার মাথায় করে বীচি বয়ে আনাটা [আমার নিকট] তাহাঁর সাথে তোমার আরোহণের চাইতে অনেক কঠিন [ও কষ্টকর]। তিনি বলেন, অতঃপর [আব্বা] আবু বাকর [রাদি.] আমার নিকট একটি খাদিম প্রেরণ করিলেন। ঘোড়াটি দেখা-শুনার কাজে সে আমার পক্ষে যথেষ্ট হয়ে গেল। সে যেন আমাকে এ দায়িত্ব হইতে মুক্ত করেছিল।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫০৪, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫২৯]
৫৫৮৬. ইবনি আবু মুলাইকাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আসমা [রাদি.] বলেছেন, আমি পারিবারিক কাজে যুবায়র [রাদি.] -এর সেবা করতাম। তার একটি ঘোড়া ছিল। আমি [-ই] তা দেখাশুনা করতাম। ঘোড়াটির দেখাশুনা করার চেয়ে কোন কর্ম আমার নিকট ভারী ছিল না। আমি তার জন্যে ঘাস যোগাড় করতাম, তার দেখাশুনা ও সেবা-পরিচর্যা করিতে থাকতাম। বর্ণনাকারী বলেন, তারপর তিনি একটি খাদিম পেলেন। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] – এর নিকট কিছু যুদ্ধবন্দী এলে তিনি তাকে একটি খাদিম দিলেন। তিনি {আসমা [রাদি.] } বলেন, সে [খাদিম] ঘোড়ার দেখাশুনায় আমার জন্যে যথেষ্ট হলো এবং আমি দায়িত্বমুক্ত হলাম।
তখন এক অভাবী লোক আমার নিকট এসে বলিল, হে আবদুল্লাহর মা! আমি একজন অভাবী মানুষ, আপনার গৃহের ছায়ায় বসে বেচাকেনা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছি। তিনি বলিলেন, তোমাকে আমি অনুমতি দিয়ে ফেললে যুবায়র [রাদি.] [সম্ভবত] তা বাতিল করিবে। তাই এক কাজ করো, যুবায়র [রাদি.] উপস্থিত থাকা অবস্থায় তুমি এসে আমার নিকট প্রস্তাব করিবে। ঠিক সময় এসে সে বলিল, হে আবদুল্লাহর মা! আমি একজন অভাবী মানুষ, আপনার গৃহের ছায়ায় বসে বেচাকেনা করার ইচ্ছা করেছি। তিনি বলিলেন, আমার গৃহ ব্যতীত তোমার জন্যে মাদীনায় আর কোন স্থান নেই [কি]? সে সময় যুবায়র [রাদি.] তাকে বলিলেন, একটা অভাবী মানুষকে ক্রয়-বিক্রয় করিতে দিতে তুমি বাঁধা হয়ে দাড়াঁচ্ছো কেন? তারপর সে [সেথায়] ক্রয়-বিক্রয় করে [বেশকিছু] আয় করিল, আমি খাদিমটি তার নিকট বিক্রি করে দিলাম। এ সময় যুবায়র [রাদি.] আমার নিকট প্রবেশ করিল-তখন ও তার [বিক্রয়কৃত] মুল্য আমার কোলের উপর ছিল। সে বলিল ওগুলো আমাকে দান করে দাও। তিনি বলেন, [আমি বললাম] , আমি ওগুলো সদাকাহ করে দিয়েছি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫০৫, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫৩০]
১৫. অধ্যায়ঃ তৃতীয় ব্যক্তির অনুমতি ছাড়া তাকে রেখে দুজনের চুপি চুপি কথা বলা নিষিদ্ধ
৫৫৮৭. উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যখন তিনজন থাকিবে, তখন একজনকে রেখে দুজনে কানে কানে কথা বলবে না।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫০৬, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫৩১]
৫৫৮৮. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
ইবনি উমর [রাদি.] -এর সানাদে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] হইতে মালিক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বর্ণিত হাদীসের অর্থানুযায়ী বর্ণিত হয়েছে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫০৭, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫৩২]
৫৫৮৯. আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যখন তোমরা তিনজন হইবে, তখন দুজন আর একজনকে বাদ দিয়ে দুজনে চুপিচুপি কথা বলবে না, যে পর্যন্ত না অন্য ব্যক্তিদের সঙ্গে মিশে যাও- এ কারণে যে, তাহলে তাকে দুর্ভাবনায় ফেলে দিবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫০৮, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫৩৩]
৫৫৯০. আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যখন তোমরা তিনজন হইবে, তখন দুজন তাদের সঙ্গীকে বাদ দিয়ে কানাঘুষা করিবে না, [কারণ] তা তাকে দুর্ভাবনায় ফেলবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫০৯, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫৩৪]
৫৫৯১. আল্ আমাশ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
ইসহাক্ ইবনি ইব্রাহীম ও ইবনি আবু উমর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ….. আল্ আমাশ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] -এর সানাদে উপরোল্লিখিত সূত্রে হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫১০, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫৩৫]
Leave a Reply