রফউল ইয়াদাইন, ফাতিহা, বিসমিল্লাহ ও হাত বাধা

তাকবীর, রুকূতে এবং রুকূ থেকে উঠানোর সময় রফউল ইয়াদাইন

তাকবীর, রুকূতে এবং রুকূ থেকে উঠানোর সময় রফউল ইয়াদাইন >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন

রফউল ইয়াদাইন, ফাতিহা, বিসমিল্লাহ ও হাত বাধা

৯. অধ্যায়ঃ তাকবীরে তাহরীমার সময়, রুকূতে যাওয়ার সময় এবং রুকূ থেকে মাথা উঠানোর সময়, কাঁধ পর্যন্ত হাত উঠানো [রফউল ইয়াদাইন] মুস্তাহাব, কিন্তু সাজদাহ্ থেকে ওঠার সময় এটা না করা মুস্তাহাব
১০. অধ্যায়ঃ নামাজের মধ্যে ঝুঁকে পড়ার সময় এবং সোজা হয়ে উঠার সময় আল্ল-হু আকবার বলিতে হইবে, কিন্তু রুকূ থেকে উঠার সময় “সামিআল্ল-হু লিমান হামিদাহ” বলিতে হইবে
১১. অধ্যায়ঃ প্রতি রাকআতে সুরাহ্‌ ফা-তিহাহ্‌ পড়া অপরিহার্য, কেউ যদি [ভালভাবে] সুরা ফা-তিহাহ্‌ পড়তে বা শিখতে সক্ষম না হয়, তবে সে যেন তার সুবিধামত স্থান থেকে কিরাআত পাঠ করে নেয়
১২. অধ্যায়ঃ ইমামের পিছনে উচ্চৈঃস্বরে কিরাআত পাঠ করা মুক্তাদীদের জন্য নিষেধ
১৩. অধ্যায়ঃ বিসমিল্লাহ সশব্দে না পড়ার পক্ষে দলীল
১৪. অধ্যায়ঃ যারা বলে, বিসমিল্লা-হ, সূরাহ্ বারাআহ্ [তাওবাহ্] ছাড়া আর সব সূরারই অংশ তাদের দলীল
১৫. অধ্যায়ঃ তাকবীরে তাহরীমার পর বুকের নিচে কিন্তু নাভির উপরে বাঁ হাতের উপর দান হাত রাখবে এবং সাজদাহরত অবস্থায় উভয় হাত কাঁধ বরাবর মাটিতে রাখবে

৯. অধ্যায়ঃ তাকবীরে তাহরীমা র সময়, রুকূতে যাওয়ার সময় এবং রুকূ থেকে মাথা উঠানোর সময়, কাঁধ পর্যন্ত হাত উঠানো [ রফউল ইয়াদাইন ] মুস্তাহাব, কিন্তু সাজদাহ্ থেকে ওঠার সময় এটা না করা মুস্তাহাব

৭৪৭. সালিম থেকে তার পিতার সূত্রে হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে দেখেছি-যখন তিনি নামাজ শুরু করিতেন তখন উভয় হাত কাঁধ পর্যন্ত উঠাতেন। তিনি রুকূতে যাওয়ার আগে এবং রুকূ থেকে উঠার সময়ও এরূপ করিতেন। কিন্তু তিনি দুই সাজদার মাঝখানে হাত উঠাতেন না

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭৪৫, ইসলামিক সেন্টার-৭৫৮]

৭৪৮. সালিম ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

ইবনি উমর [রাদি.] বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যখন নামাজের জন্য দাঁড়াতেন তখন নিজের দুই হাত কাঁধ বরাবর উঠাতেন, অতঃপর তাকবীর তাহরীমা বলিতেন। তিনি রুকূতে যাওয়ার সময় এবং রুকূ থেকে উঠার সময়ও কাঁধ পর্যন্ত দুই [আল্ল-হু আকবার] হাত তুলতেন। কিন্তু সাজদাহ্ থেকে মাথা তোলার সময় তিনি [এরূপ] করিতেন না।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭৪৬, ইসলামিক সেন্টার-৭৫৯]

৭৪৯. যুহরী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর সূত্রে হইতে বর্ণীতঃ

উক্ত সানাদে ইবনি জুরায়জ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর অবিকল বর্ণনা করিয়াছেন যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যখন সলাতে দাঁড়াতেন, দুই হাত কাঁধ বরাবর উঁচু করিতেন, অতঃপর আল্ল-হু আকবার বলে তাকবীরে তাহরীমা করিতেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭৪৭, ইসলামিক সেন্টার-৭৬০]

৭৫০. আবু কিলাবাহ্‌ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি মালিক বিন হুওয়াইরিস [রাদি.]-কে দেখলেন যে, তিনি যখন রুকূতে যাওয়ার ইচ্ছা করিতেন তখনো উভয় হাত উত্তোলন করিলেন এবং যখন রুকূ থেকে মাথা তুললেন তখনো হাত উত্তোলন করিলেন। তিনি আরো বলেছেন, রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এরূপই করিতেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭৪৮, ইসলামিক সেন্টার-৭৬১]

৭৫১. মালিক ইবনি হুওয়াইরিস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যখন তাকবীর বলিতেন, কান পর্যন্ত উভয় হাত উত্তোলন করিতেন। তিনি যখন রুকূতে যেতেন উভয় হাত কান পর্যন্ত উত্তোলন করিতেন। তিনি যখন রুকূ থেকে মাথা তুলতেন তখন

سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ‏

উচ্চারণঃ সামিআল্ল-হ লিমান হামিদাহ, অর্থঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রশংসা করেন আল্লাহ তার কথা শুনে থাকেন

বলিতেন এবং অনুরূপ [কান পর্যন্ত উভয় হাত উত্তোলন] করিতেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭৪৯, ইসলামিক সেন্টার-৭৬২]

৭৫২. কাতাদাহ্‌ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে উক্ত সূত্রে হইতে বর্ণীতঃ

{মালিক ইবনি হুওয়াইরিস [রাদি.] বলেন যে,} তিনি নবী[সাঃআঃ]-কে কানের লতি বরাবর হাত তুলতে দেখেছেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭৫০, ইসলামিক সেন্টার-৭৬৩]

১০. অধ্যায়ঃ নামাজের মধ্যে ঝুঁকে পড়ার সময় এবং সোজা হয়ে উঠার সময় আল্ল-হু আকবার বলিতে হইবে, কিন্তু রুকূ থেকে উঠার সময় “সামিআল্ল-হু লিমান হামিদাহ” বলিতে হইবে

৭৫৩. আবু সালামাহ্‌ ইবনি আবদুর রহমান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

আবু হুরায়রা্[রাদি.] তাদের নামাজ আদায় করে দেখাতেন। তিনি প্রতিবার ঝুঁকে পড়ার সময় এবং সোজা হওয়ার সময়

اللَّهُ أَكْبَرُ

উচ্চারণঃ আল্লাহু আকবার, অর্থঃ আল্লাহ মহান

বলিতেন। তিনি নামাজ শেষে বলিতেন, আল্লাহর শপথ! আমি তোমাদের চেয়ে অধিক পরিমাণে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নামাজের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ নামাজ আদায় করিতে পারি।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭৫১, ইসলামিক সেন্টার-৭৬৪]

৭৫৪. আবু বাক্‌র ইবনি আবদুর রহমান [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি আবু হুরায়রা্[রাদি.]-কে বলিতে শুনেছেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যখন সলাতে দাঁড়াতেন

اللَّهُ أَكْبَرُ

উচ্চারণঃ আল্লাহু আকবার, অর্থঃ আল্লাহ মহান

বলে নামাজ শুরু করিতেন। তিনি তাকবীর বলে রুকূতে যেতেন। তিনি রুকূ থেকে পিঠ সোজা করে দাঁড়ানোর সময়

سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ

সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদাহ [যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রশংসা করেন আল্লাহ তার কথা শুনে থাকেন]

বলিতেন। অতঃপর দাঁড়ানো অবস্থায়

رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ

রব্বানা ওয়া লাকাল হামদ [হে আল্লাহ! তোমার জন্য সমস্ত প্রশংসা] বলিতেন।

তিনি তাকবীর সাজদাহ থেকে মাথা তোলার সময়ও তাকবীর বলিতেন। প্রত্যেক রাকআতে নামাজ শেষ করা পর্যন্ত তিনি এরূপই করিতেন। দ্বিতীয় রাকআতের বসার পর ওঠার সময়ও তিনি তাকবীর বলিতেন।

অতঃপর আবু হুরায়রা্[রাদি.] বলিলেন, আমি তোমাদের সবার তুলনায় অধিক পরিমাণে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর অনুরূপ নামাজ আদায় করিতে পারি।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭৫২, ইসলামিক সেন্টার-৭৬৫]

৭৫৫. আবু হুরাইরাহ্[রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যখন নামাজের জন্য দাঁড়াতেন তখন তাকবীর বলে নামাজ শুরু করিতেন। …… উপরের [ইবনি খুরায়য-এর] হাদীসের অনুরূপ। কিন্তু এ বর্ণনায় আবু হুরাইরার কথা, “আমি তোমাদের সবার তুলনায় অধিক পরিমাণে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর অনুরূপ নামাজ আদায় করিতে পারি”- কথাটুকু উল্লেখ নেই।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭৫৩, ইসলামিক সেন্টার-৭৬৬]

৭৫৬. আবু সালামাহ্‌ ইবনি আবদুর রহমান [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

মারওয়ান যখন আবু হুরায়রা্[রাদি.]-কে মাদীনায় খলীফা নিযুক্ত করিলেন- তিনি যখন ফরয সলাতে দাঁড়াতেন তখন তাকবীর বলে শুরু করিতেন। উপরের হাদীসের অনুরূপ। উক্ত হাদীসেই রয়েছে, তিনি নামাজ শেষে সালাম ফিরিয়ে মাসজিদে উপস্থিত লোকেদের দিকে মুখ করে বসলেন। তিনি বললেনঃ সে সত্তার শপথ, যাঁর হাতে আমার প্রাণ! আমি তোমাদের চেয়ে রসূলুল্ললাহ [সাঃআঃ]-এর নামাজের সাথে অধিক সামঞ্জস্যপূর্ণ নামাজ আদায় করিতে পারি।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭৫৪, ইসলামিক সেন্টার-৭৬৭]

৭৫৭. আবু সালামাহ্‌ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

আবু হুরায়রা্[রাদি.] নামাজের মধ্যে যখনই ঝুঁকতেন অথবা উঠতেন তাকবীর বলিতেন। আমরা বললাম, হে আবু হুরায়রা! এটা কিসের তাকবীর? তিনি বলিলেন, এটা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নামাজের তাকবীর

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭৫৫, ইসলামিক সেন্টার-৭৬৮]

৭৫৮. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি প্রতিবার উঠা-বসায় তাকবীর বলিতেন। তিনি বলিতেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এমনই করিতেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭৫৬, ইসলামিক সেন্টার-৭৬৯]

৭৫৯. মুতার্‌রিফ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি এবং ইমরান ইবনি হুসায়ন [রাদি.] আলী [রাদি.]-এর পিছনে নামাজ আদায় করেছি। তিনি যখন সিজদায় যেতেন আল্ল-হু আকবার বলিতেন, যখন সিজদা থেকে মাথা উঠাতেন তখনও আল্ল-হু আকবার বলিতেন এবং দুই রাকআত পূর্ণ করে [তাশাহুদ পড়ার পর] উঠার সময়ও আল্ল-হু আকবার বলিতেন। আমরা যখন নামাজ শেষ করলাম, ইমরান [রাদি.] আমার হাত ধরে বলিলেন, তিনি [আলী] আমাদেরকে মুহাম্মাদ [সাঃআঃ]-এর অনুরূপ নামাজ আদায় করালেন। অথবা [রাবীর সন্দেহ] তিনি বলিলেন, তিনি [আলী] আমাদেরকে মুহাম্মাদ [সাঃআঃ]-এর নামাজের কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭৫৭, ইসলামিক সেন্টার-৭৭০]

১১. অধ্যায়ঃ প্রতি রাকআতে সুরাহ‌ ফা-তিহাহ পড়া অপরিহার্য, কেউ যদি [ভালভাবে] সুরা ফা-তিহাহ্‌ পড়তে বা শিখতে সক্ষম না হয়, তবে সে যেন তার সুবিধামত স্থান থেকে কিরাআত পাঠ করে নেয়

৭৬০. উবাইদাহ্‌ ইবনি সামিত [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নবী[সাঃআঃ] বলেনঃ যে ব্যক্তি [সলাতে] সুরাহ‌ ফা-তিহাহ পাঠ করে না তার নামাজ ই হয় না।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭৫৮, ইসলামিক সেন্টার-৭৭১]

৭৬১: উবাদাহ্‌ ইবনি সামিত [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ যে উম্মুল কুরআন সুরাহ‌ ফা-তিহাহ  পাঠ করে না তার নামাজই হয় না।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭৫৯, ইসলামিক সেন্টার-৭৭২]

৭৬২. উবাদাহ ইবনি সামিত [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ যে লোক উম্মুল কুরআন [ সুরাহ‌ ফা-তিহাহ ] পাঠ করেনা তার নামাজ ই হয় না।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭৬০, ইসলামিক সেন্টার-৭৭৩]

৭৬৩.ইসহাক্‌ ইবনি ইব্‌রাহীম এবং আব্‌দ ইবনি হুমায়দ-এর সূত্রে হইতে বর্ণীতঃ

অবিকল বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন আবদুর রায্‌যাক। তিনি বলেন, আমাদের হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন মামার যুহরী হইতে উক্তরূপ।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭৬১, ইসলামিক সেন্টার-নেই]

৭৬৪. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নবী[সাঃআঃ] বলেনঃ যে ব্যক্তি নামাজ আদায় করিল অথচ তাতে উম্মুল কুরাআন [সুরা ফা-তিহা] পাঠ করেনি তার নামাজ ত্রুটিপূর্ণ থেকে গেল, পূর্ণাঙ্গ হল না। এ কথাটা তিনবার বলেছেন। আবু হুরায়রা্[রাদি.]-কে জিজ্ঞেস করা হল, আমরা যখন ইমামের পিছনে নামাজ আদায় করব তখন কী করব? তিনি বলিলেন, তোমারা চুপে চুপে তা পড়ে নাও। কেননা আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছি, মহান আল্লাহ বলেছেনঃ আমার এবং আমার বান্দার মাঝে আমি নামাজ কে অর্ধেক অর্ধেক করে ভাগ করে নিয়েছি এবং আমার বান্দার জন্য রয়েছে সে যা চায়। বান্দা যখন বলে,

[الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ‏] [সমস্ত প্রশংসা বিশ্ব জাহানের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য],

আল্লাহ তাআলা তখন বলেনঃ আমার বান্দা আমার প্রশংসা করেছে। সে যখন বলে,

[ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ‏] [তিনি অতিশয় দয়ালু এবং করুণাময়];

আল্লাহ তাআলা বলেনঃ বান্দা আমার প্রশংসা করেছে, গুণগান করেছে। সে যখন বলে,

[مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ‏] [তিনি বিচার দিনের মালিক];

তখন আল্লাহ বলেনঃ আমার বান্দা আমার গুণ বর্ণনা করেছে। আল্লাহ আরো বলেনঃ বান্দা তার সমস্ত কাজ আমার উপর সমর্পন করেছে। সে যখন বলে,

[ إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ‏] [আমরা কেবল তোমারই ইবাদাত করি এবং তোমারই কাছে সাহায্য প্রার্থনা করি];

তখন আল্লাহ বলেনঃ এটা আমার এবং আমার বান্দার মধ্যকার ব্যাপার। [এখন] আমার বান্দার জন্য রয়েছে সে যা চায়। যখন সে বলে,

[اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ * صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلاَ الضَّالِّينَ] [আমাদের সরল-সঠিক পথে পরিচালনা করুন। যেসব লোকদের আপনি নিআমাত দান করিয়াছেন, তাদের পথে নয় যাদের প্রতি আপনার গযব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে],

তখন আল্লাহ বলেনঃ এসবই আমার বান্দার জন্যে এবং আমার বান্দার জন্যে রয়েছ সে যা চায়।

সুফ্‌ইয়ান বলেন, আমি আলা ইবনি আবদুর রহমান ইবনি ইয়াকূবকে জিজ্ঞেস করলে তিনি আমাকে এ হাদীস বর্ণনা করে শুনান। এ সময় তিনি রোগশয্যায় ছিলেন এবং আমি তাকে দেখিতে গিয়াছিলাম।

[ ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭৬২, ইসলামিক সেন্টার-৭৭৪]

৭৬৫. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছি [আগের হাদীসের ন্যায়]।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭৬৩, ইসলামিক সেন্টার-৭৭৫]

৭৬৬. আবু হুরাইরাহ্[রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছেন যে, যে ব্যক্তি নামাজ আদায় করিল অথচ তাতে সুরাহ‌ ফা-তিহাহ পাঠ করিল না…… সুফ্‌ইয়ানের হাদীসের অনুরূপ। তাদের উভয়ের হাদীসে রয়েছে, মহান আল্লাহ বলেনঃ আমি নামাজ কে আমার ও আমার বান্দাদের মধ্যে দুই ভাগে ভাগ করে নিয়েছি, এর অর্ধেক আমার এবং অর্ধেক আমার বান্দার।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭৬৩, ইসলামিক সেন্টার-৭৭৫]

৭৬৭. আবু হুরাইরাহ্[রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন নামাজ আদায় করিল, কিন্তু তাতে ফাতিহাতুল কিতাব [ সুরাহ‌ ফা-তিহাহ ] পাঠ করিল না-তবে এ নামাজ ত্রুটিপূর্ণ ও অসম্পূর্ণ। এ কথাটি তিনি তিনবার বলেছেন। তাদের হাদীসের অনুরূপ।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭৬৪, ইসলামিক সেন্টার-৭৭৬]

৭৬৮. আবু হুরাইরাহ্[রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ কুরআন পাঠ ছাড়া নামাজ ই হয় না। আবু হুরায়রা্[রাদি.] বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যে সলাতে কিরাআত উচ্চৈঃস্বরে পাঠ করিয়াছেন আমরাও তাতে তোমাদের জন্য উচ্চৈঃস্বরে কিরাআত পাঠ করি। তিনি যে সলাতে চুপে চুপে কিরাআত পাঠ করিয়াছেন আমরাও তাতে তোমাদের জন্যে চুপে চুপে কিরাআত পাঠ করি।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭৬৫, ইসলামিক সেন্টার-৭৭৭]

৭৬৯. আতা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

আবু হুরায়রা্[রাদি.] বলেছেন, নামাজের প্রতি রাকআতে কুরআন থেকে পাঠ হইবে [আমরা পাঠ করি]। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যে সলাতে উচ্চৈঃস্বরে কুরআন পাঠ করিয়াছেন, আমরাও সে সলাতে তোমাদের শুনিয়ে কুরআন পাঠ করি এবং যে সলাতে চুপিসারে কুরআন পাঠ করিয়াছেন সে সলাতে আমরাও চুপিসারে কুরআন পাঠ করি। একজন লোক তাঁকে জিজ্ঞেস করলেনঃ আমি যদি সুরা ফা-তিহাহ্‌র বেশি না পড়ি তবে কি আমার নামাজ যথেষ্ট হইবে? তিনি বলিলেন, তুমি যদি সুরা ফাতিহার পর আরো আয়াত পাঠ কর তবে এটা তোমার জন্য কল্যাণকর আর যদি তুমি সুরা ফা-তিহাহ্‌ পাঠ করেই থেমে যাও তবে সেটাও তোমার জন্য যথেষ্ট।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭৬৬, ইসলামিক সেন্টার-৭৭৮]

৭৭০. আতা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

আবু হুরায়রা্[রাদি.] বলেছেন, প্রত্যেক সলাতেই কিরাআত পাঠ করিতে হইবে। নবী[সাঃআঃ] যে সলাতে আমাদের শুনিয়ে কিরাআত পাঠ করিয়াছেন, আমরাও তাতে তোমাদের শুনিয়ে কিরাআত পাঠ করি। তিনি যে সলাতে আওয়াজ না করে চুপিসারে কিরাআত পাঠ করিয়াছেন, আমরাও তাতে তোমাদের না শুনিয়ে নিম্নস্বরে কিরাআত পাঠ করি। যে ব্যক্তি সুরা ফা-তিহাহ্‌ পাঠ করিল তা তার জন্য যথেষ্ট। আর যে ব্যক্তি আরো সুরা পাঠ করিল, এটা তার জন্য বেশি ভাল।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭৬৭, ইসলামিক সেন্টার-৭৭৯]

৭৭১. আবু হুরাইরাহ্[রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]মাসজিদে প্রবেশ করিলেন, অতঃপর এক লোক মাসজিদে প্রবেশ করে নামাজ আদায় করিল। অতঃপর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকটে এসে তাঁকে সালাম দিলে তিনি তার সালামের উত্তর দিয়ে বললেনঃ যাও পুনরায় নামাজ আদায় কর, কেননা তুমি নামাজ আদায় করনি। লোকটি ফিরে গিয়ে আগের মতোই নামাজ আদায় করিল। অতঃপর নবী[সাঃআঃ]-এর কাছে এসে তাঁকে সালাম করিল। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ ওয়া আলাইকাস সালাম। অতঃপর তিনি বললেনঃ যাও তুমি পুনরায় নামাজ আদায় কর, কেননা তোমার নামাজ আদায় হয়নি। তিনি পরপর তিনবার তাকে এ রকম নির্দেশ দিলেন। অতঃপর লোকটি বলিল, সে সত্তার শপথ! যিনি আপনাকে সত্য দ্বীন সহকারে পাঠিয়েছেন; আমি এর চেয়ে সুন্দর করে নামাজ আদায় করিতে পারি না। আমাকে শিখিয়ে দিন। তিনি বললেনঃ তুমি যখন সলাতে দাঁড়াও, তাকবীর বল, অতঃপর কুরআনের যে অংশ তোমার কাছে সহজ মনে হয় তা থেকে পাঠ কর। অতঃপর রুকূতে যাও এবং শান্তভাবে রুকূতে থাক। অতঃপর রুকূ থেকে সোজা মনে দাঁড়াও, অতঃপর সিজদায় যাও এবং সিজদার মধ্যে শান্তভাবে থাক, অতঃপর সিজদা থেকে উঠে আরামে বস। সমস্ত নামাজ তুমি এভাবে আদায় কর।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭৬৮, ইসলামিক সেন্টার-৭৮০]

৭৭২. আবু হুরাইরাহ্[রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

এক লোক মাসজিদে প্রবেশ করে নামাজ আদায় করিল। এ সময় রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] [মাসজিদের] এক প্রান্তে বসা ছিলেন, হাদীসের পরবর্তী অংশ পূর্বের হাদীসের মতোই। কিন্তু এ বর্ণনায় আরও আছেঃ তুমি যখন নামাজ আদায় করার ইচ্ছা পোষণ কর তখন ভাল করে ওযূ করে নাও। অতঃপর কিবলামূখী হও, অতঃপর আল্ল-হু আকবার বল।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭৬৯, ইসলামিক সেন্টার-৭৮১]

১২. অধ্যায়ঃ ইমামের পিছনে উচ্চৈঃস্বরে কিরাআত পাঠ করা মুক্তাদীদের জন্য নিষেধ

৭৭৩. ইমরান ইবনি হুসাইন [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদেরকে যুহ্‌র অথবা আস্‌র-এর নামাজ আদায় করালেন। নামাজ শেষে তিনি জিজ্ঞেস করিলেন, তোমাদের মধ্যে কে আমার পিছনে [আরবি] [সুরা আলা] পাঠ করেছ? এক ব্যক্তি বলিল, আমি। এর মাধ্যমে কল্যাণই কামনা করেছিলাম। তিনি বলিলেন, আমি জানতে পেরেছি তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ আমার কাছ থেকে কুরআন ছিনিয়ে নিচ্ছে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭৭০, ইসলামিক সেন্টার-৭৮২]

৭৭৪. ইমরান ইবনি হুসায়ন [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যুহরের নামাজ আদায় করিলেন। এক লোক তাহাঁর পিছনে সুরা সাব্বিহিস্‌মা রাবি্‌কাল আলা-” পাঠ করিল। নামাজ শেষে নবী[সাঃআঃ] জিজ্ঞেস করলেনঃ কে সুরা পাঠ করেছে? লোকটি বলিল, আমি। তিনি বললেনঃ আমি অনুসন্ধান করেছি তোমাদের কেউ কেউ আমার কাছ থেকে [কুরআন] পাঠ ছিনিয়ে নিচ্ছে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭৭১, ইসলামিক সেন্টার-৭৮৩]

৭৭৫. কাতাদাহ্‌ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যুহরের নামাজ আদায় করিলেন এবং বললেনঃ আমি জানতে পেরেছি তোমাদের কেউ কেউ আমার কাছ থেকে [কুরআন] ছিনিয়ে নিচ্ছো।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭৭২, ইসলামিক সেন্টার-৭৮৪]

১৩. অধ্যায়ঃ বিসমিল্লাহ সশব্দে না পড়ার পক্ষে দলীল

৭৭৬. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ], আবু বাক্‌র[রাদি.], উমর [রাদি.] ও উসমান [রাদি.]-এর সাথে নামাজ আদায় করেছি। আমি তাদের কাউকে বিসমিল্লাহ-হির রহমা-নির রহীম” [সশব্দে] পড়তে শুনিনি।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭৭৩, ইসলামিক সেন্টার-৭৮৫]

৭৭৭. শুবাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি কাতাদাহ্ কে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কি উপরের হাদীসটি আনাস [রাদি.]- এর কাছে  শুনেছেন? তিনি বলিলেন, হ্যাঁ, আমরা তাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি আমাদের এ হাদীস শুনান।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭৭৪, ই.সে .৭৮৬]

৭৭৮. আবদাহ হইতে বর্ণীতঃ

উমর ইবনি খাত্তাব [রাদি.] এ কথাগুলো উচ্চঃস্বরে পড়তেনঃ

 سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ تَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالَى جَدُّكَ وَلاَ إِلَهَ غَيْرُكَ

অর্থাৎ “হে আল্লাহ, তোমারই পবিত্রতা বর্ণনা করি এবং তোমারই শুকর আদায় করি, তোমার নাম বড়ই বরকতপূর্ণ, তোমার মর্যাদা সর্বচ্চো, তুমি ছাড়া আর কেউ মাবুদ নেই।”

কাতাদাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীত, তিনি লিখিতভাবে জানিয়েছেন যে, আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] তাকে বলেছেনঃ আমি নবী [সাঃআঃ] ও আবু বকর [রাদি.] , উমর [রাদি.]- এর পিছনে নামাজ আদায় করেছি। তারা সকলে সলাতে

الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ

দিয়ে শুরু করিতেন। তারা কিরাআতের শুরুতেও [আরবি] পড়তেন না , শেষেও না।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭৭৫, ইসলামিক সেন্টার-৭৮৭]

৭৭৯. ইসহাক্ ইবনি আব্দুল্লাহ ইবনি আবু তালহাহ্ [রহ] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] – কে এ হাদীস বর্ণনা করিতে শুনেছেন।

[ই.ফা.৭৭৬,ইসলামিক সেন্টার- ৭৮৮]

১৪. অধ্যায়ঃ যারা বলে, বিসমিল্লা-হ , সূরাহ্ বারাআহ্ [তাওবাহ্] ছাড়া আর সব সূরারই অংশ তাদের দলীল

৭৮০. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, একদা আমরা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]- এর মাজলিসে উপস্থিত ছিলাম। হঠাৎ তাহাঁর উপর অচৈতন্য ভাব চেপে বসল। অতঃপর তিনি মুচকি হেসে মাথা তুললেন। আমরা বললাম , হে আল্লাহর রাসুল! আপনার হাসির কারন কি? তিনি বললেনঃ এ মাত্র আমার উপর একটি সুরাহ্ অবতীর্ণ হয়েছে। তিনি পাঠ করলেনঃ

 بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ

বিস্‌মিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।

 إِنَّا أَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَ * فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانْحَرْ * إِنَّ شَانِئَكَ هُوَ الأَبْتَرُ‏

নিশ্চয়ই আমরা তোমাকে কাওসার দান করেছি। অতএব তুমি তোমার প্রতিপালকের জন্য নামাজ আদায় কর আবং কুরবানী দাও। তোমার কুৎসা রটনাকারীরাই মূলত শিকড়কাটা, নির্মূল। অতঃপর তিনি বলিলেন, তোমরা কি জান কাওসার কি? আমরা বললাম, আল্লাহ ও তাহাঁর রাসুলই বেশি ভালো জানেন। তিনি বললেনঃ এটা একটা ঝর্ণা। আমার মহান প্রতিপালক আমাকে তা দেয়ার জন্য ওয়াদা করিয়াছেন। এর মধ্যে অশেষ কল্যাণ রয়েছে, আমার উম্মতের লোকেরা কিয়ামতের দিন এ হাওযের পানি পান করিতে আসবে। এ হাওযে রয়েছে তারকার মত অসংখ্য পানপাত্র [গ্লাস]। এক ব্যাক্তিকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়া হইবে। আমি তখন বলবঃ প্রভু! সে আমার উম্মতেরই লোক। আমাকে তখন বলা হইবে , তুমি জান না , তোমার মৃত্যুর পর এরা কি অভিনব কাজ [বিদআত] করেছে।

ইবনি হজরের বর্ণনায় আরো আছেঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মাসজিদে আমাদের কাছে এসেছেন এবং আল্লাহ বলবেন, এ ব্যাক্তি আপনার পরে বিদআত চালু করেছে।

[ই.ফা.৭৭৭,ইসলামিক সেন্টার- ৭৮৯]

৭৮১. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি ইবনি মুসহির বর্ণিত [উপরোল্লিখিত] হাদীসের অবিকল বর্ণনা করেন, একদা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]- এর উপর অচেতন ভাব দেখা গেল। ….. ইবনি মুসহির- এর হাদীসের অনুরুপ। তবে এ বর্ণনায় আছে, কাওসার একটি সুন্দর ঝর্ণার নাম। আমার প্রতিপালক জান্নাতের এ ঝর্ণাধারা আমাকে দেয়ার ওয়াদা করিয়াছেন। এ বর্ণনায় তারকার মতো অসংখ্য পানপাত্রের কথা উল্লেখ নেই।

[ই.ফা.৭৭৮, ইসলামিক সেন্টার-৭৯০]

১৫. অধ্যায়ঃ তাকবীরে তাহরীমার পর বুকের নিচে কিন্তু নাভির উপরে বাঁ হাতের উপর দান হাত রাখবে এবং সাজদাহরত অবস্থায় উভয় হাত কাঁধ বরাবর মাটিতে রাখবে

৭৮২. ওয়ায়িল ইবনি হুজর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি নবী [সাঃআঃ]–কে দেখলেন, তিনি নামাজ শুরু করার সময় দুই হাত তুললেন এবং তাকবীর বলিলেন। হাম্মামের বর্ণনায় আছে, তিনি দুই হাত কান পর্যন্ত উঠালেন ; অতঃপর চাদরে ঢেকে নিলেন এবং ডান হাত বাঁ হাতের উপর রাখলেন। তিনি যখন রুকুতে যাওয়ার ইচ্ছা করিলেন, উভয় হাত কাপড়ের ভিতর থেকে বের করিলেন, অতঃপর উভয় হাত উত্তোলন করিলেন, অতঃপর তাকবীর বলে রুকুতে গেলেন, তিনি যখন

 سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ

সামিয়াল্লা-হু লিমান হামিদাহ বলিলেন দুহাত উঠালেন। তিনি যখন সাজদায় গেলেন, দুহাতের মাঝখানে সাজদাহ্ করিলেন।

[ই.ফা.৭৭৯, ইসলামিক সেন্টার- ৭৯১]


Posted

in

by

Comments

One response to “রফউল ইয়াদাইন, ফাতিহা, বিসমিল্লাহ ও হাত বাধা”

Leave a Reply