যিকর দুআ তাহলীল ও স্মরণ সভার মর্যাদা
যিকর, আল্লাহর নাম, দোয়া ও ইসতিগফার করা >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন
৬. অধ্যায়ঃ যিকর, দুআ ও আল্লাহর সান্নিধ্য অর্জন করার মর্যাদা
৭. অধ্যায়ঃ দুনিয়াতে শাস্তি কার্যকরের জন্য দুআ করা অপছন্দনীয়
৮. অধ্যায়ঃ আল্লাহর স্মরণ সভার মর্যাদা
৯. অধ্যায়ঃ হে আল্লাহ! আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দান করো এবং আখিরাতে কল্যাণ দান করো আর জাহান্নাম হইতে আমাদের মুক্তি দাও- এ দুআর মর্যাদা
১০. অধ্যায়ঃ তাহলীল [লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ বলা], তাসবীহ্ [সুবহা-নাল্লা-হ বলা] ও দুআর ফযিলত
১১. অধ্যায়ঃ কুরআন পাঠ ও যিক্রের জন্য একত্রিত হওয়ার মর্যাদা
৬. অধ্যায়ঃ যিকর, দুআ ও আল্লাহর সান্নিধ্য অর্জন করার মর্যাদা
৬৭২২ : আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা বলেছেন, আমার বান্দার ধারণা অনুযায়ী আমি আছি। আর যখন সে আমাকে ডাকে আমি তার ডাকে সাড়া দেই।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৫৮৫, ইসলামিক সেন্টার- ৬৬৩৭]
৬৭২৩ : আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.]-এর সানাদে নবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহ জাল্লা শানুহু বলেন, যখন আমার বান্দা আমার প্রতি এক বিঘত এগিয়ে আসে তখন আমি তার প্রতি এক হাত এগিয়ে আসি। আর যখন সে আমার প্রতি এক হাত অগ্রসহর হয় তখন আমি তার প্রতি এক গজ অগ্রসর হই। আর যখন সে আমার প্রতি হেঁটে আসে তখন আমি তার প্রতি দৌড়ে আসি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৫৮৬, ইসলামিক সেন্টার- ৬৬৩৮]
৬৭২৪ :মুতামির [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] তার পিতার সানাদে এ সূত্রে হইতে বর্ণীতঃ
অবিকল হাদীস বর্ণনা করেন। তবে তিনি তার বর্ণনায় إِذَا أَتَانِي يَمْشِي أَتَيْتُهُ هَرْوَلَةً (যখন সে পায়ে হেঁটে আসে তখন আমি তার দিকে দৌড়ে আসি] উল্লেখ করেননি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৫৮৭, ইসলামিক সেন্টার- ৬৬৩৯]
৬৭২৫ : আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আল্লাহ জাল্লা শানুহু ইরশাদ করেনঃ আমি আমার বান্দার নিকট তার ধারণা অনুযায়ী থাকি। যখন সে আমার স্মরণ করে তখন আমি তার সাথী হয়ে যাই। যখন সে একাকী আমার স্মরণ করে তখন আমি একাকী তাকে স্মরণ করি। যখন সে কোন সভায় আমার স্মরণ করে তখন আমি তাকে তার চেয়েও উত্তম সভায় স্মরণ করি। যদি সে আমার প্রতি এক বিঘত অগ্রসর হয় আমি তার দিকে এক হাত এগিয়ে আসি। যদি সে আমার দিকে এক হাত অগ্রসর হয় তাহলে আমি তার দিকে এক গজ [দুহাত] অগ্রসর হই। যদি সে আমার প্রতি পায়ে হেঁটে আসে আমি তার প্রতি দৌড়ে আসি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৫৮৮, ইসলামিক সেন্টার- ৬৬৪০]
৬৭২৬ : আবু যার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আল্লাহ জাল্লা শানুহু ইরশাদ করেন, যে লোক একটি নেক কাজ করিবে তার জন্য রয়েছে দশগুণ প্রতিদান; আর আমি তাকে আরও বৃদ্ধি করে দিব। আর যে লোক একটি খারাপ কর্ম করিবে তার প্রতিদান সে কর্মের সমান অথবা আমি তাকে মাফ করে দিব। যে লোক আমার প্রতি এক বিঘত এগিয়ে আসে আমি তার প্রতি এক হাত অগ্রসর হই। আর যে লোক আমর প্রতি এক হাত এগিয়ে আসে আমি তার দিকে দুহাত [এক গজ] অগ্রসর হই। যে লোক আমার নিকট পায়ে হেঁটে আসে আমি তার প্রতি দৌড়িয়ে আসি। যে লোক আমার সাথে কাউকে কোন বিষয়ে অংশীদার স্থাপন ব্যতীত পৃথিবী তুল্য গুনাহ নিয়েও আমার সাথে সাক্ষাৎ করে তাহলে আমি তার সাথে অনুরূপ পৃথিবী তুল্য মার্জনা নিয়ে সাক্ষাৎ করি।
ইব্রাহীম বলেন, হাসান ইবনি বিশ্র হাদীসটি ওয়াকী সানাদে অবিকল বর্ণনা করিয়াছেন। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৫৮৯, ইসলামিক সেন্টার- ৬৬৪১]
৬৭২৭ : আমাশ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর সানাদে এ সূত্রে হইতে বর্ণীতঃ
অবিকল হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। তবে পার্থক্য এই যে, তিনি বলেছেন, তার জন্যে রয়েছে দশগুণ প্রতিদান কিংবা আমি আরও বৃদ্ধি করে দিব।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৫৯০, ইসলামিক সেন্টার- ৬৬৪২]
৭. অধ্যায়ঃ দুনিয়াতে শাস্তি কার্যকরের জন্য দুআ করা অপছন্দনীয়
৬৭২৮ : আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] একজন মুসলিম রোগীকে সেবা করিতে গেলেন। সে [অসুখে কাতর হয়ে] অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েছিল, এমনকি সে পাখির ছানার মতো হয়ে গেল। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাকে বলিলেন, তুমি কি কোন বিষয় প্রার্থনা করছিলে অথবা আল্লাহর নিকট বিশেষভাবে কিছু চেয়েছিলে? সেবলিল, হ্যাঁ। আমি বলেছিলাম, হে আল্লাহ! আপনি পরকালে আমাকে যে সাজা দিবেন তা এ ইহকালেই দিয়ে দিন। সে সময় রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন, সুবহানাল্লাহ্! তোমার এমন সামর্থ্য নেই যে, তা বহন করিবে? অথবা তুমি তা সহ্য করিতে পরবে না। তুমি এমনটি বললে না কেন? হে আল্লাহ! আমাদের কল্যাণ দাও পৃথিবীতে এবং কল্যাণ দান করো পরকালেও। আর জাহান্নাম হইতে আমাদেরকে রক্ষা করো। তিনি [রাবী] বলেন, তখন তিনি তার জন্য আল্লাহর নিকট দুআ করেন। আর আল্লাহ তাকে সুস্থ করে দেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৫৯১, ইসলামিক সেন্টার- ৬৬৪৩]
৬৭২৯ : হুমায়দ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর সূত্রে হইতে বর্ণীতঃ
হুমায়দ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর সূত্রে জাহান্নাম থেকে আমাদের রক্ষা কর পর্যন্ত বর্ণনা করিয়াছেন। এর অতিরিক্ত অংশ তিনি উল্লেখ করেননি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৫৯২, ইসলামিক সেন্টার- ৬৬৪৪]
৬৭৩০ ; আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর সহাবাদের মধ্য থেকে এক রোগীকে সেবা করিতে যান। সে ভীষণ কাতর হয়ে পাখির ন্যায় হয়ে গিয়েছিল। হুমায়দ-এর হাদীসের অর্থানুযায়ী বর্ণনা করেন। কিন্তু তার হাদীসে আছে যে, “আল্লাহর সাজা সহ্য করার মতো সামর্থ্য তোমার নেই” আর এরপর “তিনি আল্লাহর নিকট দুআ করিলেন এবং আল্লাহ তাকে সুস্থ করিলেন” কথাটি তিনি উল্লেখ করেননি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৫৯৩, ইসলামিক সেন্টার- ৬৬৪৫]
৬৭৩১ : আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আনাস [রাদি.]-এর সানাদে নবী [সাঃআঃ] হইতে এ হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৫৯৪, ইসলামিক সেন্টার- ৬৬৪৬]
৮. অধ্যায়ঃ আল্লাহর স্মরণ সভার মর্যাদা
৬৭৩২ : আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.]-এর সানাদে নবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহ তাআলার এক গ্রুপ ভ্রাম্যমান বর্ধিত ফেরেশ্তা রয়েছে। তারা যিকিরের বৈঠক সমূহ সন্ধান করে বেড়ায়। তাঁরা যখন কোন যিকিরের বৈঠক পায় তখন সেখানে তাদের [যিকিরকারীদের] সাথে বসে যায়। আর পরস্পর একে অপরকে বাহু দ্বারা ঘিরে ফেলেন। এমনকি তাঁরা তাদের মাঝে ও নিকটতম আকাশের ফাঁকা জায়গা পূরণ করে ফেলে। আল্লাহর যিকিরকারীগণ যখন পৃথক হয়ে যায় তখন তাঁরা আকাশমণ্ডলীতে আরোহণ করে। তিনি বলেন, তখন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআলা তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন, তোমরা কোত্থকে আসছো? অথচ তিনি তাদের ব্যাপারে সবচেয়ে বেশী অবহিত। তখন তাঁরা বলিতে থাকেন, আমরা ভূমণ্ডলে অবস্থানকারী আপনার বান্দাদের কাছ হইতে আসছি, যারা আপনার তাসবীহ্ পড়ে, তাকবীর পড়ে, তাহ্লীল বলে [লা-ইলা-হাইল্লাল্লা-হ-এর] যিকির করে, আপনার প্রশংসা করে এবং আপনার নিকট তাদের প্রত্যাশিত বিষয় প্রার্থনা করে। তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দারা আমার নিকট কি প্রার্থনা করে? তাঁরা বলেন, তারা আপনার নিকট আপনার জান্নাত প্রত্যাশা করে। তিনি বলেন, তারা কি আমার জান্নাত প্রত্যক্ষ করেছে? তাঁরা বলেন, না; হে আমাদের প্রভু! তিনি বলেন, তারা যদি আমার জান্নাত প্রত্যক্ষ করত তাহলে তারা কি করত? তাঁরা বলেন, তাঁরা আপনার নিকট আশ্রয় চায়। তিনি বলেন, কি বিষয় হইতে তাঁরা আমার নিকট আশ্রয় চায়? তাঁরা বলেন, হে আমাদের প্রভু! আপনার জাহান্নাম হইতে [মুক্তির জন্য]। তিনি বলেন, তারা কি আমার জাহান্নাম প্রত্যক্ষ করেছে? তারা বলেন, না; তারা প্রত্যক্ষ করেনি। তিনি বলেন, তারা যদি আমার জাহান্নাম প্রত্যক্ষ করত তাহলে কী করত? তারা বলেন, তারা আপনার নিকট ক্ষমা প্রর্থনা করে। তিনি বলেন, তখন আল্লাহ বলবেন, আমি তাদের মার্জনা করে দিলাম এবং তারা যা প্রার্থনা করছিল আমি তা তাদের প্রদান করলাম। আর তারা যা হইতে আশ্রয় চেয়েছিল আমি তা থেকে তাদের মুক্তি দিলাম। অতঃপর তারা বলবে, হে আমাদের রব! তাদের মাঝে তো অমুক পাপী বান্দা ছিল, যে তাদের সাথে বৈঠকের নিকট দিয়ে যাওয়ার প্রাক্কালে বসেছিল। তিনি বলেন, তখন আল্লাহ বলবেন, আমি তাকেও মাফ করে দিলাম। তারা তো এমন একটি কওম যাদের সঙ্গীরা দুর্ভাগা হয়না।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৫৯৫, ইসলামিক সেন্টার- ৬৬৪৭]
৯. অধ্যায়ঃ হে আল্লাহ! আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দান করো এবং আখিরাতে কল্যাণ দান করো আর জাহান্নাম হইতে আমাদের মুক্তি দাও- এ দুআর মর্যাদা
৬৭৩৩ : আবদুল আযীয ইবনি সুহায়ব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, কাতাদাহ্ আনাস [রাদি.]-কে জিজ্ঞেস করিলেন, নবী [সাঃআঃ] কোন্ দুআ সর্বাধিক পড়তেন? তিনি বলিলেন, তিনি যে দুআ দ্বারা সর্বাধিক দুআ করিতেন তাতে বলিতেন :
اللَّهُمَّ آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
উচ্চারণঃ আল্ল-হুম্মা আ-তিনা- ফিদ্দুন্ইয়া- হাসানাতাও ওয়াফিল আ-খিরতি হাসানাতাও ওয়াকিনা- আযা-বান্ না-র। (অর্থাৎ- হে আল্লাহ! আমাদেরকে দুনিয়ায় কল্যাণ দান কর এবং আখিরাতে কল্যাণ দান কর। আর আমাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি হইতে বাঁচিয়ে রাখো)
রাবী বলেন, আনাস [রাদি.] যখনই কোন দুআ করার সংকল্প করিতেন তখন তিনি {নবী [সাঃআঃ]-এর ন্যায়} দুআ করিতেন। তারপর যখন তিনি কোন ব্যাপারে দুআ করার সংকল্প করিতেন তখন তাতে এ দুআ পড়তেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৫৯৬, ইসলামিক সেন্টার- ৬৬৪৮]
৬৭৩৪ : আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এ দুআ পাঠ করিতেন :
رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
উচ্চারণঃ রব্বনা- আ-তিনা- ফিদ্দুন্ইয়া- হাসানাও ওয়াফিল আ-খিরতি হাসানাতাও ওয়াকিনা- আযা-বান্ না-র। (অর্থাৎ- হে আমাদের রব! আমাদের পার্থিব জীবনে কল্যাণ দান করো, আখিরাতে কল্যাণ দান করো। আর জাহান্নামের শাস্তি হইতে আমাদের বাঁচাও)।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৫৯৭, ইসলামিক সেন্টার- ৬৬৪৯]
১০. অধ্যায়ঃ তাহলীল [ লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ বলা], তাসবীহ্ [সুবহা-নাল্লা-হ বলা] ও দুআর ফযিলত
৬৭৩৫ : আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ
লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহ্দাহু লা- শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হাম্দু ওয়াহুয়া আলা- কুল্লি শাইয়্যিন কদীর ( অর্থাৎ- আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই; তিনি অদ্বিতীয়, তাহাঁর কোন অংশীদার নেই; তাহাঁরই রাজত্ব, তাহাঁরই যাবতীয় প্রশংসা; তিনিই সব বিষয়ের উপর শক্তিধর)
যে লোক এ দুআ প্রতিদিনে একশ বার পাঠ করে সে দশজন গোলামমুক্ত করার পুণ্য অর্জন হয়, তার [আমালনামায়] একশ নেকী লেখা হয় এবং তার হইতে একশ পাপ মিটিয়ে দেয়া হয়। আর তা ঐ দিন বিকাল পর্যন্ত শাইতান [তার কুমন্ত্রণা] হইতে তার জন্যে রক্ষাকারী হয়ে যায়। সেদিন সে যা পুণ্য অর্জন করেছে তার চেয়ে বেশি পুণ্যবান কেউ হইবে না। তবে কেউ তার চাইতে বেশি আমাল করলে তার কথা আলাদা। আর যে লোক দিনে একশ বার
سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ
সুবহা-নাল্ল-হি ওয়াবি হাম্দিহী (অর্থাৎ- আমি আল্লাহর সপ্রশংসা সহ তার পরিবত্রতা বর্ণনা করছি)
পাঠ করিবে, তার সমস্ত পাপ মিটিয়ে দেয়া হইবে, যদি ও তা সমুদ্রের ফেনার সম পরিমাণ হয়।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৫৯৮, ইসলামিক সেন্টার- ৬৬৫০]
৬৭৩৬ : আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে লোক সকালে ও সন্ধ্যায়
سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ
সুবহা-নাল্ল-হি ওয়াবি হামদিহী, (অর্থাৎ- আল্লাহ পবিত্র ও সমস্ত প্রশংসা তাহাঁরই)
একশ বার পড়ে আখিরাতের দিবসে তার তুলনায় উত্তম আমাল নিয়ে কেউ আসবে না। তবে সে ব্যক্তি ব্যতীত, যে লোক তার সমান আমাল করে অথবা তার তুলনায় বেশি আমাল করে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৫৯৯, ইসলামিক সেন্টার- ৬৬৫১]
৬৭৩৭ :আমর ইবনি মাইমূন [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
যে ব্যক্তি দশবার
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ
লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহ্দাহু লা- শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হাম্দু ওয়াহুয়া আলা- কুল্লি শাইয়্যিন কদীর (অর্থাৎ- আল্লাহ ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন মাবূদ নেই, তিনি অদ্বিতীয়, তাহাঁর কোন অংশীদার নেই, রাজত্ব তাহাঁরই, সমস্ত প্রশংসা তাহাঁরই, তিনি-ই সব বিষয়ের উপর সম্পূর্ণ শক্তিধর)
পাঠ করিবে সে যেন ইসমাঈল [আঃ]-এর বংশের চারজন গোলামকে মুক্তি করে দিলেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬০০, ইসলামিক সেন্টার- ৬৬৫২]
৬৭৩৮ : সুলাইমান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] রাবী ইবনি খুসায়ম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর সানাদ হইতে বর্ণীতঃ
অবিকল হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। তিনি বলেন, আমি রাবীকে প্রশ্ন করলাম, আপনি কার কাছ হইতে তা শুনেছেন? তিনি বলিলেন, আম্র ইবনি মাইমূন [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে। তিনি বলেন, তখন আমি আম্র ইবনি মাইমূন [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর নিকট গেলাম এবং বললাম, আপনি কার কাছ হইতে শুনেছেন? তিনি বলেন, [শাবী বলেন] অতঃপর আমি ইবনি লাইলার কাছে গিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করলাম, আপনি কার থেকে শুনেছেন? তিনি বলিলেন, আবু আইয়ূব আল আনসারী [রাদি.] হইতে, তিনি প্রত্যক্ষভাবে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] হইতে হাদীসটি বর্ণনা করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬০০, ইসলামিক সেন্টার- ৬৬৫৩]
৬৭৩৯ : আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ দুটি কালিমাহ্ জিহ্বার উপর [উচ্চারণে] খুবই হাল্কা, মীযানের পাল্লায় খুবই ভারী, রহ্মান [পরম দয়ালু আল্লাহ]-এর নিকট অত্যন্ত প্রিয়। তা হলো
سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ سُبْحَانَ اللَّهِ الْعَظِيمِ
সুবহা-নাল্ল-হি ওয়াবি হামদিহী সুবহা-নাল্ল-হিল আযীম (অর্থাৎ- আমি আল্লাহ তাআলার সমস্ত প্রশংসা, পরিবত্রতা জ্ঞাপন করছি, আমি মহান আল্লাহর পবিত্রতা জ্ঞপন করছি, আমি মহান আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করছি)
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬০১, ইসলামিক সেন্টার- ৬৬৫৪]
৬৭৪০ : আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আমি বলি-
سُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ
সুবহা-নাল্ল-হি ওয়াল হামদু লিল্লা-হি ওয়ালা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াল্ল-হু আকবার (অর্থাৎ- “আল্লাহর পবিত্র, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর এবং আল্লাহ ভিন্ন কোন মাবূদ নেই, আল্লাহ মহান” পড়া আমার নিকট বেশি প্রিয়- সে সব বিষয়ের চেয়ে, যার উপর সূর্য উদিত হয়।)
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬০২, ইসলামিক সেন্টার- ৬৬৫৫]
৬৭৪১ : মুসআব ইবনি সাদ [রাদি.] তাহাঁর পিতা হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট জনৈক গ্রাম্য লোক এসে বলিল, আমাকে একটি কালাম শিক্ষা দিন, যা আমি নিয়মিত পাঠ করব। তিনি বলিলেন, তুমি বলো-
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ اللَّهُ أَكْبَرُ كَبِيرًا وَالْحَمْدُ لِلَّهِ كَثِيرًا سُبْحَانَ اللَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ الْعَزِيزِ الْحَكِيمِ
লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহ্দাহু লা- শারীকা লাহু আল্ল-হু আকবার কাবীরা ওয়াল হামদু লিল্লা-হি কাসীরা সুবহানাল্ল-হি রাব্বিল আ-লামীনা লা- হাওলা ওয়ালা- কুও্ওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হিল আযীযিল হাকীম (অর্থাৎ- “আল্লাহ ভিন্ন কোন মাবূদ নেই, তিনি অদ্বিতীয়, তাহাঁর কোন অংশীদার নেই, আল্লাহ মহান, সবচেয়ে মহান, আল্লাহর জন্য সমস্ত প্রশংসা এবং আমি আল্লাহ রব্বুল আলামীনের পবিত্রতা ঘোষণা করছি। পরাক্রমশালী বিজ্ঞানময় আল্লাহর সাহায্য ছাড়া ভাল কাজ করার এবং খারাপ কাজ হইতে বিরত থাকার সাধ্য কারো নেই।”)
সে বলিল, এসব তো আমার রবের জন্য। আমার জন্যে কি? তিনি বলিলেন, বলো,
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَارْحَمْنِي وَاهْدِنِي وَارْزُقْنِي
আল্লাহুম্মাগফেরলি ওয়ার হামনি ওয়া দিনি ওয়ার জুকনি (হে আল্লাহ! আপনি আমাকে মাফ করুন, আমার প্রতি দয়া করুন, আমাকে সঠিক পথ দেখিয়ে দিন এবং আমাকে জীবিকা দান করুন)
মূসা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, [আমার মনে হয়] তিনি [আরবী] [আ-ফিনী] “আমাকে মাফ করুন” কথাটি বলেছেন। তবে আমি তাতে সংশয় আছি এবং আমি জানি না। আর ইবনি আবু শাইবাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] তার হাদীসে মূসার উক্তি বর্ণনা করেননি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬০৩, ইসলামিক সেন্টার- ৬৬৫৬]
৬৭৪২ : আবু মালিক আল আশজাঈ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] তাহাঁর পিতার সানাদ হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, কোন লোক ইসলাম কবূল করলে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাকে এ দুআ বলিতে শিখিয়ে দিতেন,
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَارْحَمْنِي وَاهْدِنِي وَارْزُقْنِي
আল্ল-হুম্মাগ্ ফিরলী ওয়ার্হাম্নী ওয়াহ্দিনী ওয়ার্যুক্নী (অর্থাৎ- হে আল্লাহ! আপনি আমাকে মাফ করুন, আমার প্রতি দয়া করুন, আমাকে সঠিক পথপ্রদর্শন করুন এবং আমাকে জীবিকা দান করুন)
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬০৪, ইসলামিক সেন্টার- ৬৬৫৭]
৬৭৪৩ : আবু মালিক আল আশজাঈ-এর পিতার সানাদ হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, যখন কোন ব্যক্তি ইসলামে দীক্ষা গ্রহণ করত তখন নবী [সাঃআঃ] তাকে প্রথমে নামাজ আদায়ের শিক্ষা দিতেন। তারপর তিনি তাকে এ কালিমাসমূহ পাঠ করার নির্দেশ দিতেন,
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَارْحَمْنِي وَاهْدِنِي وَعَافِنِي وَارْزُقْنِي
আল্ল-হুম্মাগ্ ফির্লী ওয়ার্হাম্নী ওয়াহ্দিনী ওয়াআ-ফিনী ওয়ার্যুক্নী (অর্থাৎ- হে আল্লাহ! আমাকে মাফ করুন, আমার প্রতি দয়া করুন, আমাকে সঠিক পথ প্রদর্শন করুন, আমাকে সুস্থতা দান করুন এবং আমার জীবিকা উপকরণ দান করুন।)
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬০৫, ইসলামিক সেন্টার- ৬৬৫৮]
৬৭৪৪ : আবু মালিক [রাদি.]-এর পিতা সানাদ হইতে বর্ণীতঃ
তিনি নবী [সাঃআঃ] থেকে শুনেছেন যে, তাহাঁর নিকট এক লোক এসে বলিল, হে আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ]! আমি যখন আমার প্রতিপালকের নিকট দুআ করব তখন কিভাবে তা প্রকাশ করব? তিনি বলিলেন, তুমি বলো,
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَارْحَمْنِي وَعَافِنِي وَارْزُقْنِي
আল্ল-হুম্মাগ্ ফির্লী ওয়ার্হাম্নী ওয়াআ-ফিনী ওয়ার্যুক্নী (অর্থাৎ- “হে আল্লাহ! আপনি আমাকে মাফ করে দিন, আমার প্রতি দয়া করুন, আমাকে মাফ করে দিন এবং আমাকে জীবিকা দান করুন।”)
আর তিনি বৃদ্ধাঙ্গুলি ছাড়া সব আঙ্গুল একত্র করে বলিলেন, এ শব্দগুলো তোমাকে দুনিয়া ও আখিরাত উভয়টাকে একসাথে করে দিবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬০৬, ইসলামিক সেন্টার- ৬৬৫৯]
৬৭৪৫ : মুসআব ইবনি সাদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমার পিতা [সাদ] আমাকে হাদীস শুনিয়েছেন যে, তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর কাছে [বসা] ছিলাম। তখন তিনি বলিলেন, তোমাদের মাঝে কেউ কি প্রতিদিন এক হাজার পুণ্য হাসিল করিতে অপারগ হয়ে যাবে? তখন সেখানে বসে থাকদের মধ্য থেকে এক প্রশ্নকারী প্রশ্ন করিল, আমাদের কেউ কিবাবে এক হাজার পুণ্য হাসিল করিবে, তিনি বলিলেন, সে একশ তাসবীহ্
سُبْحَانَ اللهِ
[সুবহানাল্ল-হ]
পাঠ করলে তার জন্য এক হাজার পুণ্য লিখিত হইবে এবং তার [আমালনামা হইতে এক হাজার পাপ মুছে দেয়া হইবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬০৭, ইসলামিক সেন্টার- ৬৬৬০]
১১. অধ্যায়ঃ কুরআন পাঠ ও যিকরের জন্য একত্রিত হওয়ার মর্যাদা
৬৭৪৬ : আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে লোক কোন ঈমানদারের দুনিয়া থেকে কোন মুসীবাত দূর করে দিবে, আল্লাহ তাআলা বিচার দিবসে তার থেকে মুসীবাত সরিয়ে দিবেন। যে লোক কোন দুঃস্থ লোকের অভাব দূর করিবে, আল্লাহ তাআলা দুনিয়াও আখিরাতে তার দুরবস্থা দূর করবেন। যে লোক কোন মুসলিমের দোষ-ত্রুটি লুকিয়ে রাখবে আল্লাহ তাআলা দুনিয়াও আখিরাতে তার দোষ-ত্রুটি লুকিয়ে রাখবেন। বান্দা যতক্ষণ তার ভাই-এর সহযোগিতায় আত্মনিয়োগ করে আল্লাহ ততক্ষণ তার সহযোগিতা করিতে থাকেন। যে লোক জ্ঞানার্জনের জন্য রাস্তায় বের হয়, আল্লাহ এর বিনিময়ে তার জন্য জান্নাতের পথ সহজ করে দেন। যখন কোন সম্প্রদায় আল্লাহর গৃহসমূহের কোন একটি গৃহে একত্রিত হয়ে আল্লাহর কিতাব পাঠ করে এবং একে অপরের সাথে মিলে [কুরআন] অধ্যয়নে লিপ্ত থাকে তখন তাদের উপর শন্তিধারা অবতীর্ণ হয়। রহ্মাত তাদেরকে আচ্ছন্ন করে ফেলে এবং ফেরেশ্তাগণ তাদেরকে পরিবেষ্টন করে রাখেন। আর আল্লাহ তাআলা তাহাঁর নিকটবর্তীদের [ফেরেশ্তাগণের] মধ্যে তাদের কথা আলোচনা করেন। আর যে লোককে আমালে পিছনে সরিয়ে দিবে তার বংশ [মর্যাদা] তাকে অগ্রসর করে দিবে না। {৭}
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬০৮, ইসলামিক সেন্টার- ৬৬৬১] {৭} যে ব্যক্তিকে তার আমালে দূর সরিয়ে রাখে। তাকে তার সমৃদ্ধ বংশ মর্যাদা এগেয়ে নিতে পারবে না। সুতরাং যার আমাল কম সে কখনো অধিক সৎকর্মশীল লোকের মর্যাদায় উন্নীত হইতে পারবে না। সেক্ষেত্রে তার উচিত হইবে যে, স্বল্প আমাল, বাপ-দাদাদের কৃতিত্ব ও বংশমর্যাদার উপর ভরসা না করে সর্বদা নেক আমালে জড়িয়ে থাকা।
৬৭৪৭ : আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ ….. আবু মুআবিয়াহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর হাদীসের অবিকল। তবে আবু উসামার হাদীসে “দুঃস্থ লোকের অভাব লাঘব করার” বর্ণনা নেই।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬০৯, ইসলামিক সেন্টার- ৬৬৬২]
৬৭৪৮ : আগার আবু মুসলিম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আবু হুরায়রা্ ও আবু সাঈদ আল খুদরী [রাদি.] তারা উভয়ে সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, নবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ কোন জাতি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআলার যিকির করিতে বসলে একদল ফেরেশ্তা তাদেরকে ঘিরে ফেলে এবং রহ্মাত তাদেরকে ঢেকে নেয়। আর তাদের উপর শান্তি নাযিল হয় এবং আল্লাহ তাআলা তাহাঁর নিকটস্থ ফেরেশ্তাগণের মধ্যে তাদের আলোচনা করেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬১০, ইসলামিক সেন্টার- ৬৬৬৩]
৬৭৪৯ : শুবাহ্ [রাদি.] হইতে এ সানাদ হইতে বর্ণীতঃ
হুবহু হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬১০, ইসলামিক সেন্টার- ৬৬৬৪]
৬৭৫০ : আবু সাঈদ আল খুদ্রী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, মুআবিয়াহ্ [রাদি.] মাসজিদে একটি হাল্কার উদ্দেশে বের হলেন। অতঃপর তিনি বলিলেন, কিসে তোমাদেরকে এখানে বসিয়েছে [তোমরা এখানে বসেছ কেন]? তারা বলিল, আমরা আল্লাহর যিকির করিতে বসেছি। তিনি বলিলেন, আল্লাহর শপথ! এছাড়া আর কোন বিষয় তোমাদেরকে বসায়নি? [তোমরা কি শুধু এ জন্যই বসেছ?] তারা বলিল, আল্লাহর শপথ! এছাড়া অন্য কোন বিষয় আমাদেরকে বসায়নি। তিনি বলিলেন, আমি তোমাদেরকে অপবাদ দেয়ার উদ্দেশে শপথ প্রার্থনা করিনি। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর দৃষ্টিতে আমার যে সম্মান ছিল সে অনুযায়ী আমার চেয়ে কম হাদীস বর্ণনাকারী কেউ নেই। একবার রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর সহাবাদের একটি হালকার নিকটে গিয়ে বলিলেন, কিসে তোমাদের বসিয়েছে? তারা বলিল, আমরা বসেছি আল্লাহর স্মরণ ও তাহাঁর কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য। যেহেতু তিনি আমাদেরকে ইসলামের দিকে পথ দেখিয়েছেন এবং আমাদের উপর তিনি ইহসান করিয়াছেন। তিনি বলিলেন, আল্লাহর শপথ! তোমাদেরকে কি শুধু এ বিষয়েই বসিয়েছে?
তারা বলিল, আল্লাহর শপথ! আমাদেরকে একমাত্র ঐ বিষয় বসিয়েছে। তিনি বলিলেন, আমি তোমাদেরকে অপবাদ দেয়ার জন্যে শপথ করিতে বলিনি; বরং আমার নিকট জিব্রীল [আঃ] এসে আমাকে অবহিত করিয়াছেন যে, আল্লাহ সুবাহাহু ওয়াতাআলা ফেরেশ্তাগণের নিকট তোমাদের মর্যাদা সম্পর্কে আলোচনা করছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬১১, ইসলামিক সেন্টার- ৬৬৬৫]
Leave a Reply