মক্কার হারামে যাত্রাবিরতি, অস্ত্র, শিকার ও গাছ কাটা
মক্কার হারামে হওয়া, হারামের অভ্যন্তরে ও উপকণ্ঠে শিকার >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন
৮০. অধ্যায়ঃ হাজীদের মাক্কায় যাত্রাবিরতি দেয়া এবং এখানকার বাড়ী-ঘরের উত্তরাধিকারিত্ব
৮১. অধ্যায়ঃ হাজ্জ ও উমরাহ্ সমাপনান্তে মুহাজিরগণের মাক্কায় অনধিক তিনদিন অবস্থান জায়িয
৮২. অধ্যায়ঃ মাক্কার হারামে হওয়া, হারামের অভ্যন্তরে ও উপকণ্ঠে শিকার কার্য চিরস্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ, এখানকার গাছপালা উপড়ানো ও ঘাস কাটা নিষেধ
৮৩. অধ্যায়ঃ নিষ্প্রয়োজনে মাক্কায় অস্ত্র বহন নিষিদ্ধ
৮৪. অধ্যায়ঃ মাক্কায় ইহরামবিহীন অবস্থায় প্রবেশ জায়িয
৮০. অধ্যায়ঃ হাজী দের মক্কায় যাত্রাবিরতি দেয়া এবং এখানকার বাড়ী-ঘরের উত্তরাধিকারিত্ব
৩১৮৫. উসামাহ্ ইবনি যায়দ ইবনি হারিসাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলিলেন, হে আল্লাহর রসূল! আপনি কি মক্কায় আপনার বাড়িতে অবতরণ করবেন? তিনি বলিলেন, “আক্বীল কি আমাদের জন্য কোন চার দেয়াল বা ঘর অবশিষ্ট রেখেছে?”
আবু ত্বালিবের [মৃত্যুর পর তার পুত্র] আক্বীল ও ত্বালিব তার ওয়ারিস হয়, কিন্তু জাফার ও আলী তার কোন কিছুর ওয়ারিস হইতে পারেনি। কেননা তারা উভয়ে [আবু ত্বালিবের মৃত্যুর সময়] ছিলেন মুসলিম এবং আক্বীল ও ত্বালিব ছিল কাফির।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩১৬০, ইসলামিক সেন্টার- ৩১৫৭]
৩১৮৬. উসামাহ্ ইবনি যায়দ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আপনি আগামীকাল কোথায় অবতরণ করবেন? এটা ছিল তাহাঁর বিদায় হজ্জকালীন ঘটনা, যখন আমরা মাক্কার নিকটবর্তী হয়েছিলাম। তিনি উত্তরে বলিলেন, আক্বীল কি আমাদের জন্য কোন বাসস্থান অবশিষ্ট রেখেছে?
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩১৬১, ইসলামিক সেন্টার- ৩১৫৮]
৩১৮৭. উসামাহ্ ইবনি যায়দ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, হে আল্লাহর রসূল! আল্লাহর মর্জি আপনি আগামীকাল কোথায় অবতরণ করবেন? এটা মাক্কাহ্ বিজয়কালের বক্তব্য। তিনি বলিলেন, আক্বীল কি আমাদের জন্য কোন বাসস্থান অবশিষ্ট রেখেছে?
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩১৬২, ইসলামিক সেন্টার- ৩১৫৯]
৮১. অধ্যায়ঃ হজ্জ ও ওমরা সমাপনান্তে মুহাজিরগণের মক্কায় অনধিক তিনদিন অবস্থান জায়িয
৩১৮৮. আলা ইবনিল হাযরামী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছি যে, হজ্জ সমাপনান্তে প্রত্যাবর্তনের পূর্বে মুহাজিরগণ তিনদিন মক্কায় অবস্থান করিবে। তিনি যেন এ বাক্যের দ্বারা তিন দিনের অধিক না হবার কথা বলেছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩১৬৩, ইসলামিক সেন্টার- ৩১৬০]
৩১৮৯. আলা ইবনিল হাযরামী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ মুহাজিরগণ হজ্জ সমাপনান্তে মক্কায় তিনদিন অবস্থান করিতে পারবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩১৬৪, ইসলামিক সেন্টার- ৩১৬১]
৩১৯০. আলা ইবনিল হাযরামী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছি : হজ্জ সমাপনান্তে মুহাজিরগণ তিন রাত মক্কায় অবস্থান করিবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩১৬৫, ইসলামিক সেন্টার- ৩১৬২]
৩১৯১. আলা ইবনিল হাযরামী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ হজ্জের অনুষ্ঠানাদি শেষ করার পর মুহাজিরগণ মক্কায় তিনদিন অবস্থান করিতে পারবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩১৬৬, ইসলামিক সেন্টার- ৩১৬৩]
৩১৯২. ইবনি জুরায়জ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
এ সানাদে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩১৬৭, ইসলামিক সেন্টার- ৩১৬৪]
৮২. অধ্যায়ঃ মক্কার হারামে হওয়া, হারামের অভ্যন্তরে ও উপকণ্ঠে শিকার কার্য চিরস্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ, এখানকার গাছপালা উপড়ানো ও ঘাস কাটা নিষেধ
৩১৯৩. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মাক্কাহ্ বিজয়ের দিন বলেছেনঃ হিজরাতের আর প্রয়োজন নেই, কিন্তু জিহাদ ও নিয়্যাত অব্যাহত থাকিবে। তোমাদেরকে যখন জিহাদের আহ্বান জানানো হয় তখন জিহাদে যোগদান কর। মাক্কাহ্ বিজয়ের দিন তিনি আরও বলেন, আল্লাহ তাআলা এ শহরকে সম্মানিত করিয়াছেন- যেদিন তিনি আসমান ও জমিন সৃষ্টি করিয়াছেন সেদিন থেকে। অতএব ক্বিয়ামাত পর্যন্ত আল্লাহ তাআলা এ শহরের মর্যাদা ও সম্মান অক্ষুণ্ণ রাখবেন। তিনি এ শহরে আমার পূর্বে আর কারও জন্য যুদ্ধ বৈধ করেননি। আমার জন্য মাত্র এক দিনের কিছু সময় তিনি এখানে যুদ্ধ বৈধ করেছিলেন। অতএব তথায় যুদ্ধ বিগ্রহ করা হারাম। আল্লাহ তাআলা কর্তৃক ক্বিয়ামাত পর্যন্ত নিষিদ্ধ করার কারণে এখানকার কোন কাঁটাযুক্ত গাছ উপড়ানো যাবে না, এখানকার শিকারের পশ্চাদ্ধাবণ করা যাবে না, এখানকার পতিত জিনিস তোলা যাবে না। তখন আব্বাস [রাদি.] বলিলেন, হে আল্লাহ্র রসূল! কিন্তু ইয্খির [লম্বা ঘাস] সম্পর্কে [অনুমতি দিন]। কারণ তা স্বর্ণকার ও তাদের ঘরের কাজে লাগে। তিনি বলিলেন, কিন্তু ইযখির [তোলার অনুমতি দেয়া হল]।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩১৬৮, ইসলামিক সেন্টার- ৩১৬৫]
৩১৯৪. মুহাম্মাদ ইবনি রাফি [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
মানসূর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] থেকে এ সূত্রে সামান্য শাব্দিক পার্থক্য সহকারে উপরোক্ত সানাদে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তবে এতে তিনি “যেদিন আসমান ও জমিন সৃষ্টি করিয়াছেন” কথাটুকুর উল্লেখ করেননি এবং ক্বিতাল শব্দের পরিবর্তে ক্বতল শব্দ ব্যবহার করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩১৬৯, ইসলামিক সেন্টার- ৩১৬৬]
৩১৯৫. আবু শুরায়হ আল আদাবী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আম্র ইবনি সাঈদ [ইবনিল আস ইবনি উমাইয়্যাহ্] যখন মাক্কাহ অভিযানের উদ্দেশে সৈন্য বাহিনীসহ রওনা করেন তখন আবু শুরায়হ [রাদি.] তাকে বলেন, হে আমীর! আমাকে অনুমতি দিন একটি কথা বলিতে যা রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মাক্কাহ বিজয়ের দিন সকাল বেলা দাঁড়িয়ে বলেছিলেন- যা আমার দুকান শুনেছে, আমার অন্তর সংরক্ষণ করেছে এবং উভয় চোখ সে দৃশ্য দেখেছে। যখন তিনি তা বলেছিলেন, প্রথমে তিনি আল্লাহর প্রশংসা ও মহিমা বর্ণনা করিলেন। অতঃপর বলিলেন, নিশ্চয়ই মাক্কাকে আল্লাহ তাআলা হারামে পরিণত করিয়াছেন- কোন মানুষ তাকে হারামের মর্যাদায় উন্নীত করেনি। অতএব যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখিরাতের দিনের উপর ঈমান রাখে- তার পক্ষে সেখানে রক্ত প্রবাহিত করা বা সেখানকার কোন গাছ উপড়ানো হালাল নয়। যদি কোন ব্যক্তি আল্লাহর রসূলের উদাহরণ পেশ করে এখানে রক্তপাত বৈধ করিতে চায় তবে তোমরা তাকে বলে দিও, আল্লাহ তাআলা তাহাঁর রসূল [সাঃআঃ]-কে এজন্য অনুমতি দিয়েছিলেন এবং তোমাদের জন্য কখনও অনুমতি দেননি। আর আমার জন্য তিনি তাও এক দিনের সামান্য সময় সেখানে যুদ্ধের অনুমতি দিয়েছিলেন। আজকে তার সে হুরমাত [মর্যাদা] গতকালের মতো পুণঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। উপস্থিত লোকেরা যেন [এ কথা] অনুপস্থিতদের নিকট পৌঁছে দেয়। আবু শুরায়হ [রাদি.]-কে জিজ্ঞেস করা হল- আম্র আপনাকে কী জবাব দিল? তিনি বলিলেন, হে আবু শুরায়হ্! এ সম্পর্কে আমি আপনারে চেয়ে অধিক জ্ঞাত আছি। নিশ্চয়ই হারাম [কাবা] কোন পাপীকে, কোন হত্যাকারীকে এবং কোন অনিষ্টকারীকে আশ্রয় দেয় না।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩১৭০, ইসলামিক সেন্টার- ৩১৬৭]
৩১৯৬. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহ তাআলা যখন তাহাঁর রসূল [সাঃআঃ]-কে মাক্কাহ্ বিজয় দান করিলেন- তখন তিনি লোকদের উদ্দেশে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিলেন। তিনি প্রথমে আল্লাহর প্রশংসা ও মহিমা বর্ণনা করিলেন। অতঃপর বলিলেন, নিশ্চিত আল্লাহ তাআলা হস্তী বাহিনীর মক্কায় প্রবেশে বাধা প্রদান করিয়াছেন এবং তাহাঁর রসূল [সাঃআঃ] ও মুমিনদেরকে মাক্কাহ্ অভিযানে বিজয়ী করিয়াছেন। আমার পূর্বে কারও জন্য এখানে রক্তপাত বৈধ ছিল না। আর আমার জন্যও একদিনের কিছু সময় এখানে যুদ্ধ করা হালাল করা হয়েছিল। আমার পরে আর কারও জন্য তা কখনও হালাল করা হইবে না। অতএব এখানকার শিকারের পশ্চাদ্ধাবণ করা যাবে না, এখানকার কাঁটাদার গাছও উপড়ানো যাবে না এবং এখানকার পতিত জিনিস তোলা যাবে না। তবে ঘোষণা প্রদানকারী [তা তুলে নিতে পারবে]। কারও কোন আত্মীয় নিহত হয়ে তার জন্য দুটি অবস্থার যে কোন একটি গ্রহণের অধিকার রয়েছে : হয় ফিদ্য়া [রক্তপণ] গ্রহণ করিতে হইবে নতুবা হত্যাকারীকে ক্বিসাস স্বরূপ হত্যা করিতে হইবে। আব্বাস [রাদি.] বলিলেন, হে আল্লাহর রসুল! কিন্তু ইযখির ঘাস যা আমরা ক্ববরে দিয়ে থাকি এবং আমাদের ঘরের চালায় ব্যবহার করি। রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ কিন্তু ইযখির ঘাস [এর কাটার অনুমতি দেয়া হল]। ইয়ামানের অধিবাসী আবু শাহ্ [রাদি.] দাঁড়িয়ে বলিলেন, হে আল্লাহর রসুল! আমাকে [এ কথাগুলো] লিখে দেয়ার ব্যবস্থা করুন। রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন, তোমরা আবু শাহকে লিখে দাও।
ওয়ালীদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, আমি আওযাঈ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-কে জিজ্ঞেস করলাম : “হে আল্লাহর রসূল! আমকে লিখে দেয়ার ব্যবস্থা করুন”- তাহাঁর এ কথার অর্থ কী? তিনি বলিলেন, যে ভাষণ তিনি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে দিতে শুনলেন তা।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩১৭১, ইসলামিক সেন্টার- ৩১৬৮]
৩১৯৭. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, বানূ লায়স কর্তৃক বানূ খুযাআর এক ব্যক্তি হত্যার প্রতিশোধ স্বরূপ শেষোক্ত গোত্রের লোকেরা মাক্কাহ্ বিজয়ের সময়ে প্রথমোক্ত গোত্রের এক ব্যক্তিকে হত্যা করে। রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট এ খবর পৌঁছলে তিনি নিজ সওয়ারীতে আরোহণ পূর্বক ভাষণ দেন এবং বলেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা হস্তী বাহিনীর মক্কায় প্রবেশ প্রতিরোধ করেন এবং তাহাঁর রসূল [সাঃআঃ] ও মুমিনদেরকে এর উপর বিজয়ী করেন। সাবধান! আমার পূর্বে কারও জন্য এখানে রক্তপাত হালাল ছিল না এবং আমার পরেও কখনও কারও জন্য তা হালাল নয়। সাবধান! আমার জন্যও এক দিনের সামান্য সময় এখানে [রক্তপাত] বৈধ করা হয়েছিল। সাবধান! এ মুহূর্তে আবার তা [আমার জন্যও] হারাম হয়ে গেল। অতএব এখানকার কাঁটাযুক্ত বৃক্ষও উপড়ানো যাবে না, গাছপালাও কাটা যাবে না এবং পথে পড়ে থাকা বস্তুও তোলা যাবে না। তবে ঘোষণা প্রদানকারী ব্যক্তি [তা তুলতে পারবে]। যার কোন আত্মীয় নিহত হয়েছে তার দুটি ব্যবস্থার যে কোন একটি গ্রহণ করার অধিকার রয়েছে। হয় ফিদ্য়া [রক্তপণ] গ্রহণ করিতে হইবে, নতুবা ক্বিসাস স্বরূপ হত্যাকারীকে হত্যা করিতে হইবে। রাবী বলেন, আবু শাহ্ [রাদি.] নামক ইয়ামানের এক ব্যক্তি এসে বলিল, হে আল্লাহর রসূল! আামকে লিখে দিন। তিনি বলিলেন, তোমরা আবু শাহ্কে লিখে দাও। কুরায়শ বংশের এক ব্যক্তি বলিলেন, কিন্তু ইযখির ঘাস- আমরা তো তা আমাদের ঘর তৈরির কাজে এবং ক্ববরে ব্যবহার করে থাকি। রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন, ইযখির ঘাস ব্যতীত।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩১৭২, ইসলামিক সেন্টার- ৩১৬৯]
৮৩. অধ্যায়ঃ নিষ্প্রয়োজনে মক্কায় অস্ত্র বহন নিষিদ্ধ
৩১৯৮. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছি : তোমাদের কারো জন্য মক্কায় অস্ত্র বহন করা হালাল নয়।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩১৭৩, ইসলামিক সেন্টার- ৩১৭০]
৮৪. অধ্যায়ঃ মক্কায় ইহরাম বিহীন অবস্থায় প্রবেশ জায়িয
৩১৯৯. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] মাক্কাহ্ বিজয়ের সময়ে লৌহ শিরস্ত্রাণ পরিহিত অবস্থায় মক্কায় প্রবেশ করেন। তিনি যখন তা মাথা থেকে নামিয়ে রাখলেন তখন এক ব্যক্তি তাহাঁর নিকট এসে বলিল, ইবনি খাত্বালা-কে কাবার গেলাফের সাথে বেঁধে রাখা হয়েছে। তিনি বলিলেন, তোমরা তাকে হত্যা কর। {ইয়াহ্ইয়া ইবনি ইয়াহ্ইয়া ঈমাম মালিককে জিজ্ঞেস করেন যে, ঈমাম যুহরী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] আনাস [রাদি.]-এর সুত্রে তাঁকে এ হাদীস বলেছেন, কিনা} তিনি বলেন, হাঁ। {৩৭}
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩১৭৪, ইসলামিক সেন্টার- ৩১৭১]
{৩৭} যার হজ্জ বা ওমরা করার উদ্দেশ্য না হইবে তার অথবা বিভিন্ন প্রয়োজন সর্বদাই যাতায়াত করে তাদের জন্য হারামের অভ্যন্তরে ইহরাম ছাড়া প্রবেশ করা বৈধ। ঈমাম শাফিঈ থেকে এটাই বিশুদ্ধ উক্তি। আর দ্বিতীয় উক্তি হল যারা বরাবর যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না তার পক্ষে ইহরাম ব্যতীত প্রবেশ বৈধ নয়।
৩২০০. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ আনসারী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মক্কায় প্রবেশ করিলেন। কুতায়বাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, “তিনি মাক্কাহ্ বিজয়ের দিন ইহরামবিহীন অবস্থায় কালো পাগড়ী পরিধান করে মক্কায় প্রবেশ করেন। কুতায়বাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর রিওয়ায়াতে উল্লেখ রয়েছে যে, জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণিত যে, নবী [সাঃআঃ] কালো পাগড়ী পরিধান করে মাক্কাহ্ বিজয়ের দিন প্রবেশ করেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩১৭৫, ইসলামিক সেন্টার- ৩১৭২]
৩২০১. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.]-এর সূত্র হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] মাক্কাহ্ বিজয়ের দিন কালো পাগড়ী পরিহিত অবস্থায় মক্কায় প্রবেশ করেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩১৭৬, ইসলামিক সেন্টার- ৩১৭৩]
৩২০২. জাফার ইবনি আমর ইবনি হুরায়স [রাদি.] থেকে তাহাঁর পিতার সূত্র হইতে বর্ণীতঃ
রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মাথায় কালো পাগড়ী পরিহিত অবস্থায় লোকদের উদ্দেশ্যে [মাক্কাহ্ বিজয়ের দিন] ভাষণ দেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩১৭৭, ইসলামিক সেন্টার- ৩১৭৪]
৩২০৩. জাফার ইবনি আমর ইবনি হুরায়স [রাদি.]-এর পিতার সূ্ত্র হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে কালো পাগড়ী পরিহিত অবস্থায় মিম্বারের উপর [উপবিস্ট] দেখিতে পাচ্ছি এবং তিনি পাগড়ীর দুপ্রান্ত কাঁধের মাঝ বরাবর ঝুলিয়ে রেখেছেন। আবু বকর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর বর্ণনায় মিম্বারের উপর কথাটুকু উল্লেখ নেই।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩১৭৮, ইসলামিক সেন্টার- ৩১৭৫]
Leave a Reply