টিকটিকি, পিঁপড়া, বিড়াল হত্যা ও পাখীকে পান করানো
যে কোন পশু পাখীকে পান করানো ও খাবার দেওয়ার ফযীলাত >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন
৩৭. অধ্যায়ঃ সর্প ইত্যাদি হত্যা প্রসঙ্গ
৩৮. অধ্যায়ঃ কাঁকলাস [টিকটিকি] মেরে ফেলা মুস্তাহাব
৩৯. অধ্যায়ঃ পিঁপড়া মারার নিষেধাজ্ঞা
৪০. অধ্যায়ঃ বিড়াল হত্যা করা হারাম
৪১. অধ্যায়ঃ যে কোন পশু পাখীকে পান করানো ও খাবার দেওয়ার ফযীলাত
৩৭. অধ্যায়ঃ সর্প ইত্যাদি হত্যা প্রসঙ্গ
৫৭১৬. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] পিষ্ঠে দুটি শুভ্র রেখাযুক্ত বিষধর সার্প হত্যা করার আদৈশ দিয়েছে। কারণ সেটা চোখের জ্যোতি হরণ করে নেয় এবং গর্ভস্থিত সন্তানের উপর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ফেলে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬২৯, ই. সে.৫৬৫৮]
৫৭১৭. হিশাম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
ইসহাক্ ইবনি ইব্রাহীম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হিশাম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] … উপরোল্লিখিত সূ্রেত হাদীস বর্ণনা করেন এবং বলেন, লেজ বিহীন পিঠে দুটি শুভ্র রেখাযুক্ত সর্প।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৩০, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬৫৯]
৫৭১৮. সালিম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
আম্র ইবনি মুহাম্মাদ আন্ নাকিদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] … সালিম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] তাহাঁর পিতা সূ্ত্রে নবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এমন সব সাপ যেগুলোর পিঠে দুটি শুভ্র রেখাযুক্ত ও লেজবিহীন সাপ মেরে ফেলে। কারণ, এ দুটি গর্ভপাত ঘটায় এবং চোখের দৃষ্টি কেড়ে নেয়।
বর্ণনাকারী বলেন, তাই ইবনি উমর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] যে কোন সর্প পেলে সাথে সাথে তাকে মেরে ফেলতেন। [একদিন] আবু লুবাবাহ্ ইবনি আবদুল মুন্যির [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] কিংবা যায়দ ইবনি খাত্তাব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] তাকে লক্ষ্য করিলেন যে, তিনি একটি সাপ মারার জন্য ছুটছেন। তখন তিনি {আবু লুবাবাহ্ বা যায়দ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] } বলিলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ঘর বাড়িতে বসবাসকারী [সাপ] হত্যা করিতে বারণ করিয়াছেন!
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৩১, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬৬০]
৫৭১৯. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -কে আমি কুকুর ধ্বংসের নির্দেশ প্রদান করিতে শুনেছি- তিনি বলিতেন, সাপ আর কুকুরগুলো মেরে ফেল। আর [বিশেষত] পিঠে ডোরাকাটা ও লেজকাটা সাপ মেরে ফেল। কেননা, এ দুটি মানুষের চোখের শক্তি কেড়ে নেয় এবং গর্ভবতীদের গর্ভপাত ঘটায়। [সানাদের মধ্যবর্তী] বর্ণনাকারী যুহ্রী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, আমাদের অনুমানে সেটি তাদের বিষের কারণে; তবে এ ব্যাপারে আল্লাহ তাআলাই সর্বাধিক জ্ঞাত।
বর্ণনাকারী সালিম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] বলেছেন, তারপরে আমার অবস্থা এমন হলো যে, কোন সর্প দেখলেই আমি তাকে হত্যা না করে ছাড়তাম না। একদিনের ঘটনা, আমি গৃহে অবস্থান করে এমন একটি একটি সাপ ধাওয়া করছিলাম। তখান যায়দ ইবনি খাত্তাব [রাদি.] অথবা আবু লুবাবাহ্ [রাদি.] আমর নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন, আর আমি ধাওয়া করছিলাম। তিনি বলিলেন, থামো! হে আবদুল্লাহ! তখন আমি বললাম, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তো এদের হত্যা করার আদেশ দিয়েছেন। তিনি বলিলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ঘর-বাড়িতে অবস্থানকারী সাপ ধ্বংস করিতে বারণও করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৩২, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬৬১]
৫৭২০. যুহ্রী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
হারমালাহ্ ইবনি ইয়াহ্ইয়া, আব্দ ইবনি হুমায়দ ও হাসান হুলওয়ানী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] যুহ্রী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে উপরোল্লিখিত সূ্রেত হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। তবে [শেষ সানাদে] বর্ণনাকারী সালিহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেছেন, পরিশেষে আবু লুবাবাহ্ ইবনি আবদুল মুন্যির [রাদি.] এবং যায়দ ইবনি খাত্তাব [রাদি.] আমাকে প্রত্যক্ষ করিলেন… এবং তাঁরা উভয়ে বলিলেন যে, তিনি ঘর-বাড়িতে অবস্থানকারী সাপ হত্যা করিতে বারণ করিয়াছেন।
আর [প্রথম সূত্রের] বর্ণনাকারী ইউসুস [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বর্ণিত হাদীসে রয়েছে- সব ধরনের সাপ মেরে ফেল। তিনি পিঠে ডোরাকাটা বিশিষ্ট ও লেজকাটা সাপ কথাটি উল্লেখ করেননি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৩২, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬৬২]
৫৭২১. নাফি [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
মুহাম্মাদ ইবনি রুম্হ ও কুতাইবাহ্ ইবনি সাঈদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] … নাফি [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণনা করেন যে, আবু লুবাবাহ্ [রাদি.] ইবনি উমর [রাদি.] -এর সঙ্গে তাহাঁর গৃহে তাহাঁর জন্য একটি দরজা খুলে নেয়ার বিষয়ে কথা বলছিলেন-যেটা দ্বারা তিনি মাসজিদের দিকে চলাচলের রাস্তা কাছাকাঠি করিতে পারবেন। তখন কিশোররা [দেয়াল খুঁড়তে গিয়ে] একটি সাপের খোলস পেল। সে সময় আবদুল্লাহ [রাদি.] বলিলেন, ওটিকে সন্ধান করে বের করে হত্যা কর। তখন আবু লুবাবাহ্ [রাদি.] বলিলেন, তোমরা সেটিকে হত্যা করো না। কারণ, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ঘর-বাড়িতে অবস্থানকারী সাপগুলোকে হত্যা করিতে বারণ করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৩৩, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬৬৩]
৫৭২২. নাফি [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, ইবনি উমর [রাদি.] সব ধরনের সাপ মেরে ফেলতেন। পরিশেষ আবু লুবাবাহ্ ইবনি আবদুল মুন্যির আল-বাদ্রী [রাদি.] আমাদের হাদীস শুনালেন যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] গৃহের সাপগুলোকে হত্যা করিতে বারণ করিয়াছেন। অতঃপর তিনি {ইবনি উমর [রাদি.]} তা থেকে সংযত রইলেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৩৪, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬৬৪]
৫৭২৩. নাফি [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
নাফি [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] খবর দিয়েছেন যে, তিনি আবু লুবাবাহ্ [রাদি.] -কে ইবনি উমর [রাদি.] -এর নিকট [হাদীসের] সংবাদ দিতে শুনেছেন এ মর্মে যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] গৃহের [ছোট-খাটো] সাপগুলো হত্যা করিতে বারণ করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৩৫, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬৬৫]
৫৭২৪. আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] ও আবু লুবাবাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
ইসহাক্ ইবনি মূসা আনসারী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] … আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] আবু লুবাবাহ্ [রাদি.] -এর সানাদে নবী [সাঃআঃ] থেকে …. [ভিন্ন সূত্রে] আবদুল্লাহ ইবনি মুহাম্মাদ ইবনি আসমা যুবাঈ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে এ মর্মে বর্ণিত যে, আবু লুবাবাহ্ [রাদি.] তাঁকে [হাদীসের] সংবাদ দিয়েছেন যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বাড়ী-ঘরে অবস্থানকারী সাপগুলো হত্যা করিতে বারণ করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৩৬, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬৬৬]
৫৭২৫. নাফি [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
মুহাম্মাদ ইবনিল মুসান্না [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] .. নাফি [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] সংবাদ দিয়েছেন যে, আবু লুবাবাহ্ ইবনি আবদুল মুন্যির আনসারী [রাদি.] কুবায় বসবাস করিতেন। অতঃপর তিনি স্থান পরিবর্তন করে মাদীনায় [মাসজিদে নাবাবীর সন্নিকটে] আসলেন। এমতাবস্থায় যে, আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] তাহাঁর {আবু লুবাবাহ্ [রাদি.] -এর} সঙ্গে উপবিস্ট ছিলেন এবং তাহাঁর জন্য ছোট আাকরে একটি দরজা খুলছিলেন। অকস্মাৎ সে সময় তাঁরা বাড়ি ঘরে অবস্থানকারী একটি সাপ লক্ষ্য করিলেন। তারা ওটিকে হত্যা করিতে অগ্রসর হলে আবু লুবাবাহ্ [রাদি.] বলিলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সেগুলো মেরে ফেলতে বারণ করিয়াছেন। তিনি [ওগুলো বলে] বাড়ি-ঘরে অবস্থানকারী সাপ বুঝাতে চেয়েছে। আর লেজকাটা ও পিঠে দুটি সাদা দাগ বিশিষ্ট সাপ মেরে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন। বলা হয়ে যে, সে [সাপ] দুটি এমন, যারা চোখের জ্যোতি নষ্ট করে দেয় এবং নারীদের গর্ভপাত ঘটায়।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৩৭, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬৬৭]
৫৭২৬. নাফি [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, একদিন আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] তাহাঁর ভেঙ্গে ফেলা একটি দেয়ালের নিকট ছিলেন। অতঃপর একটি সাপের খোলস দেখিতে পেয়ে বলিলেন, একে সন্ধান করে তা হত্যা কর। আবু লুবাবাহ্ আনসারী [রাদি.] বলিলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -কে বলিতে শুনেছি যে, তিনি সেসব সাপ হত্যা করিতে বারণ করিয়াছেন যেগুলো বাড়ি-ঘরে অবস্থান করে; কিন্তু লেজ কাটা ও পিঠে দুটি সাদা দাগযুক্ত সাপ [হত্যা করিতে বলেছেন]। কারণ এ দুটি এমন যারা দৃষ্টি শক্তি কেড়ে নেয় এবং স্ত্রীলোকদের গর্ভপাত ঘটায়।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৩৭, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬৬৮]
৫৭২৭. নাফি [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, একবার আবু লুবাবাহ্ [রাদি.] ইবনি উমর [রাদি.] -এর নিকট দিয়ে গেলেন। সে সময় উমর ইবনি খাত্তাব [রাদি.] -এর গৃহের নিকট অবস্থিত দালানের কাছে ছিলেন। তখন তিনি একটি সাপ হত্যা করার জন্য লুকিয়ে ছিলেন। শেষাংশ লায়স ইবনি সাদ [রাদি.] কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের মতো।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৩৯, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬৬৯]
৫৭২৮. আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমরা নবী [সাঃআঃ] -এর সঙ্গে একটি [পাহাড়ী] গুহায় ছিলাম। সে সময় কেবল [আরবী] [সূরা আল-মুরসালাত] তার উপরে অবতীর্ণ হয়েছিল, আর আমরা তাহাঁর কণ্ঠ থেকে তা সতেজভাবে [] শুনছিলাম। অকস্মাৎ একটি সাপ আমাদের সম্মুখে বের হয়ে আসলো। তিনি বলিলেন, তোমরা ওটাকে হত্যা করো। আমরা হতা করার জন্য তার পিছনে দৌড় প্রতিযোগিতা আরম্ভ করলাম। কিন্তু সে আমাদের হারিয়ে দিয়ে পালিয়ে গেল। তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ আল্লাহ তাআলা ওকে তোমাদের অনিষ্ট থেকে হিফাযাত করিয়াছেন, যেমন তিনি তোমাদের হিফাযাত করিয়াছেন তার অনিষ্ট হইতে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৪০, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬৭০]
৫৭২৯. আমাশ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
কুতাইবাহ্ ইবনি সাঈদ ও উসমান ইবনি আবু শাইবাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] … আমাশ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে উপরোল্লিখিত সূ্রেত হুবহু বর্ণনা করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৪১, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬৭১]
৫৭৩০. আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এক মুহ্রিম লোককে মিনায় একটি সাপ হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৪২, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬৭২]
৫৭৩১. আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর সঙ্গে একটি [পাহাড়ী] গুহায় অবস্থান করছিলাম। বাকী অংশ জারীর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ও আবু মুআবিয়াহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বর্ণিত হাদীসের মতই।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৪৩, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬৭৩]
৫৭৩২. হিশাম ইবন যুহ্রাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] -এর মুক্ত গোলাম আবু সায়িব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি আবু সাঈদ খুদ্রী [রাদি.] -এর নিকট তাহাঁর গৃহে ঢুকলেন। তিনি বলেন, সে সময় আমি তাঁকে নামাজরত অবস্থায় পেলাম এবং তাহাঁর নামাজ শেষ করা পর্যন্ত তাহাঁর অপেক্ষায় বসে থাকলাম। সে সময় গৃহের কোণে রেখে দেয়া খেজুর ডালের স্তুপের মাঝে কিচু একটার নড়াচড়ার শব্দ শুনতে পেলাম। আমরা দেখিতে পেলাম যে, এটি একটি সাপ। আমি সেটিকে হত্যা করার জন্য লাফ দেয়ার জন্য প্রস্তুত হলাম। তখন তিনি [সলাতে থেকেই] ইঙ্গিত করিলেন যে, বসে থাকে। নামাজ সমাপ্ত করে গৃহের একটি ঘরের দিকে ইশারা করে বলিলেন, এ ঘরটি কি তুমি দেখিতে পাচ্ছ? আমি বললাম, হ্যাঁ! তিনি বলিলেন, সেখানে নববিবাহিত আমাদের এক যুবক থাকত। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর আমরা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর সঙ্গে খন্দক যুদ্ধে বের হলাম। ঐ যুবক মধ্যাহ্নের সময় রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর নিকট অনুমতি চেয়ে নিত এবং তার পরিবারের নিকট ফিরে যেত। একদিন সে [যথারীতি] রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর নিকট অনুমতি কামনা করলে তিনি তাকে বলিলেন, তোমার যুদ্ধাস্ত্র তোমার সঙ্গে নিয়ে যাও। কারণ, আমি তোমার উপরে বানূ কুরাইযাহ্ [ইয়াহূদীদের আক্রমণ] -এর সংশয়করছি। ব্যক্তিটি তার অস্ত্র নিয়ে [গৃহে] প্রত্যাবর্তন করিল। সেখানে সে তার [সদ্য বিবাহিতা] স্ত্রীকে দুদরজার মাঝে দণ্ডায়মান অবন্থায় লক্ষ্য করিল এবং [তার প্রতি সন্দিহান হয়ে] তাকে বল্লম দিয়ে আঘাত হানার উদ্দেশে তা তার দিকে স্থির করে ধরল। আত্মসম্মানবোধ তাকে পেয়ে বসেছিল। তখন সে [স্ত্রী] বলিল, তোমার বল্লমটি নিজের নিকট সংযত রাখো এবং ঘরে প্রবেশ করো। তুমি যাতে তা দেখিতে পারো, যা আমাকে বের হইতে বাধ্য করেছে। সে গৃহে ঢুকেই দেখিতে পেল যে, এক বিশালাকার সাপ বিছানার উপরে কুণ্ডলী পাকিয়ে রয়েছে। সে এর প্রতি বল্লম স্থিত করে তার মাধ্যমে এটিকে গেঁথে ফেলল। অতঃপর বের হয়ে তা [বল্লমটি] বাড়ীর মধ্যেই পুঁতে রাখল। সে সময় তা নড়ে চড়ে তাকে ছোবল মারলো এবং [ক্ষণিকের মধ্যে] সাপ কিংবা যুবক এ দুজনের কে বেশী দ্রুত মৃত্যুবরণকারী ছিল তা আঁচ করা গেল না। বর্ণনাকারী {আবু সাঊদ [রাদি.]} বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর কাছে যেয়ে ঘটনাটি বিবরণ দিয়ে তাঁকে বললাম, আপনি আল্লাহর নিকট দুআ করুন, তিনি যেন আমাদের মাঝে তাকে আবার তাজা করে দেন। সে সময় তিনি বলিলেন, তোমরা তোমাদের সঙ্গীর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করো। তারপর বলিলেন, মাদীনায় কিছু জিন রয়েছে, যারা ইসলাম গ্রহণ করেছে। তাই, [সাপ ইত্যাদিরূপে] তাদের কিয়দংশ তোমরা লক্ষ্য করলে তাকে তিন দিন সাবধান সংকেত দিবে; তারপরে তোমাদের সম্মুখে [তা] প্রকাশ পেলে তাকে হত্যা করিবে। কারণ, সে একটি [অবাধ্য] শাইতান, [অর্থাৎ, সে মুসলিম নয়]।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৪৪, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬৭৪]
৫৭৩৩. আবু সায়িব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমরা আবু সাঈদ খুদ্রী [রাদি.] -এর নিকট গমন করলাম। আমরা উপবিষ্ট ছিলাম, এমতাবস্থায় অকস্মাৎ তাহাঁর খাটের নীচে একটা নড়াচড়ার শব্দ শুনতে পেলাম। তাকিয়ে দেখি যে, সেটা একটা সাপ… ঘটনা সহ হাদীসটি [পূর্বোল্লিখিত] সাইফী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে মালিক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বর্ণিত হাদীসের হুবহু বর্ণনা করিয়াছেন। কিন্তু এতে তিনি বলেছেন যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন; এসব গৃহে আরও কতক অধিবাসী রয়েছে। সুতরাং সে রকমের কোন কিছু তোমরা লক্ষ্য করলে তাদের প্রতি তিনবার সাবধান বাণী উচ্চারণ করিবে, এতে যদি [তারা] চলে যায় তো ভাল! নতুবা তোমরা তাকে হত্যা করিবে। কারণ সে কাফির [অবাধ্য]। আর তিনি তাদের [মৃত ব্যক্তির অভিভাবকদের] বলিলেন, তোমরা চলে যাও এবং তোমাদের সঙ্গীকে দাফন করো।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৪৫, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬৭৫]
৫৭৩৪. আবুসাঈদ খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ মাদীনায় জিনদের এমন একটি দল রয়েছে, যারা ইসলাম গ্রহণ করেছে। তাই যে লোক এসব গৃহের অধিবাসী [সাপ ইত্যাদির রূপধারী] এ ধরনের কোন কিছু দেখিতে পায়, সে যেন তাকে তিনবার সাবধানী সংকেত দেয়; তারপরও যদি তার সম্মুখে তা প্রকাশ পায় তবে সে যেন তা হত্যা করে ফেলে, কারণ একট [অবাধ্য] শাইতান।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৪৬, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬৭৬]
৩৮. অধ্যায়ঃ কাঁকলাস / টিকটিকি মেরে ফেলা মুস্তাহাব
৫৭৩৫. উম্মু শারীক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] তাঁকে কাঁকলাস মেরে ফেলতে নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু ইবনি আবু শাইবাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বর্ণিত হাদীসে [শুধু] নির্দেশ করিয়াছেন রয়েছে, [অর্থাৎ, তাকে শব্দটি নেই]।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৪৭, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬৭৭]
৫৭৩৬. উম্মু শারীক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি নবী [সাঃআঃ] -এর কাছে কাঁকলাস হত্যা করার বিষয়ে বিধান জানতে চাইলেন, তখন তিনি তাকে তা মেরে ফেলার নির্দেশ দিলেন।
উম্মু শারীক [রাদি.] হলেন বানূ আমির ইবনি লুওয়াই সম্প্রদায়ের জনৈক স্ত্রীলোক। এ হাদীসের রিওয়ায়াতে ইবনি আবু খালাফ ও আব্দ ইবনি হুমায়দ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] -এর শব্দ অভিন্ন। আর ইবনি ওয়াহ্ব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] [প্রথম সূত্রে] -এর বর্ণিত হাদীস [এর শব্দ] -এর পাশাপাশি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৪৮, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬৭৮]
৫৭৩৭. আমির ইবনি সাঈদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] -এর পিতা {সাঈদ [রাদি.] } হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] কাঁকলাস হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং তাকে ছোট্ট ফাসিক ক্ষুদে দুষ্কৃতিকারী নাম দিয়েছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৪৯, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬৭৯]
৫৭৩৮. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কাঁকলাসকে ছোট্ট ফাসিক বলেছেন।
হারামালাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বর্ধিতাকারে বর্ণনা করেন যে, তিনি {আয়িশা [রাদি.] } বলেছেন যে, [তবে] আমি তাঁকে তা হত্যা করার আদেশ দিতে শুনিনি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৫০, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬৮০]
৫৭৩৯. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ প্রথম আঘাতে যে লোক কাঁকলাস মারবে, তার জন্য রয়েছে এত এত পরিমাণ সাওয়াব। আর যে লোক দ্বিতীয় আঘাতে তাকে হত্যা করিবে, তার জন্য এত এত পরিমাণ সাওয়াব, প্রথমবারের চাইতে কম। আর তৃতীয় আঘাতে হত্যা করে ফেলে, তাহলে তার জন্য এত এত পরিমাণ সাওয়াব, তবে দ্বিতীয়বারের থেকে কম।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৫১, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬৮১]
৫৭৪০. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আবু হুরাইরাহ [রাদি.] সূ্ত্রে নবী [সাঃআঃ] থেকে সুহায়ল [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে সংকলিত খালিদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বর্ণিত হাদীসের মর্মার্থ সম্পন্ন হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। কিন্তু শুধামাত্র [অনুরূপ সানাদের] বর্ণনাকারী জাবীর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] [এর বর্ণনায় ভিন্নতা রয়েছে] , তাহাঁর বর্নিত হাদীসে আছে, যে লোক প্রথম আঘাতে কাঁকলাস হত্যা করিবে, তার জন্য একশ সাওয়াব লেখা হয়, আর দ্বিতীয় আঘাতে এর চেয়ে কম আর তৃতীয় আঘাতে তার থেকে কম [সাওয়াব লেখা হয়]।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৫২, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬৮২]
৫৭৪১. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
মুহাম্মাদ ইবনি সাব্বাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] … আবু হুরাইরাহ [রাদি.] -এর সানাদে নবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণিত। তিনি বলেন, প্রথম আঘাতে [হত্যা করিতে পারলে] সত্তরটি সাওয়াব।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৫৩, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬৮৩]
৩৯. অধ্যায়ঃ পিঁপড়া মারার নিষেধাজ্ঞা
৫৭৪২. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণিত যে, একটি পিঁপড়া নবীদের কোন নবীকে কামড় দিলে তিনি পিঁপড়ার বসতি সম্বন্ধে আদেশ দিলেন, ফলে তা জ্বালিয়ে দেয়া হলো। সে সময় আল্লাহ তাআলা তাহাঁর নিকট এ প্রেক্ষিতে ওয়াহী নাযিল করিলেন যে, একটি [মাত্র] পিঁপড়া তোমাকে কামড় দিল, তাতেই কিনা সমস্ত উম্মাত ও সৃষ্টিকূলের এমন একটি সৃষ্টি জাতিকে জ্বালিয়ে দিলে যারা আল্লাহর তাসবীহ্ পাঠ করছিল?
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৫৪, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬৮৪]
৫৭৪৩. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ নবীদের মধ্যে কোন একজন নবী একটি বৃক্ষের নিচে অবস্থান নিলেন, সে সময় একটি পিঁপড়া তাঁকে কামড় দিল। তিনি এ ব্যাপারে নির্দেশ করলে তার আসবাবপত্র গাছ তলা হইতে সরিয়ে ফেলা হলো। তারপর তাদের পিঁপড়া সম্বন্ধে নির্দেশ দিলে তাদের বাসা জ্বালিয়ে দেয়া হলো। তখন আল্লাহ তাআলা তার নিকট ওয়াহী প্রেরণ করিলেন, এমতাবস্থায় একটি মাত্র [অপরাধী] পিঁপড়াকে [শাস্তি] দিলেন না কেন?
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৫৫, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬৮৫]
৫৭৪৪. হাম্মাম ইবনি মুনাব্বিহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, এ হলো সেসব হাদীস যা আবু হুরায়রা্ [রাদি.] রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] হইতে আমাদের নিকট বর্ণনা করিয়াছেন, এ বলে তিনি কয়েকটি হাদীস বর্ণনা করিলেন, [সেগুলোর একটি হলো] রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ নবীকূলের একজন নবী একটি বৃক্ষের নিচে অবস্থান করিলেন, তখন একটি পিঁপড়া তাঁকে কামড় দিল, সে সময় তিনি তার আসবাবপত্র [বের করার] বিষয়ে আদেশ দিলে তা বৃক্ষের নিচ থেকে বের করা হলো এবং তিনি নির্দেশ দিলে পিঁপড়াগলো আগুনে জ্বালিয়ে দেয়া হলো। তিনি বলেন, তখন আল্লাহ তাআলা তাহাঁর নিকট ওয়াহী প্রেরণ করিলেন, এহেন অবস্থায় একটি মাত্র পিঁপড়াকে [শাস্তি] দিলেন না কেন?
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৫৬, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬৮৬]
৪০. অধ্যায়ঃ বিড়াল হত্যা করা হারাম
৫৭৪৫. আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ এক স্ত্রী লোককে একটি বিড়ালের জন্য আযাব দেয়া হয় এজন্য যে, সে বিড়ালটিকে আটকে রেখেছিল, পরিশেষে সে-টি মারা গেল। যার জন্য সে জাহান্নামে গেল। যে মেয়ে লোকটি বিড়ালটিকে বেঁধে রেখেছে, নিজেও পানাহার করায়নি আর সেটিকে ছেড়েও দেয়নি, যাতে সে যমিনের পোকা মাকড় খেয়ে বাঁচতে পারে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৫৭, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬৮৭]
৫৭৪৬. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাস্র ইবনি আলী জাহ্যামী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] … আবু হুরাইরাহ [রাদি.]-এর সানাদে নবী [সাঃআঃ] হইতে উপরোক্ত হাদীসের সমার্থবোধক হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৫৮, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬৮৮]
৫৭৪৭. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
হারূন ইবনি আবদুল্লাহ ও আবদুল্লাহ ইবনি জাফার [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ইবনি উমর [রাদি.] -এর সানাদে নবী [সাঃআঃ] হইতে এ রকম বর্ণনা করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৫৯, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬৮৯]
৫৭৪৮. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ একটি মেয়ে লোককে একটি বিড়ালের কারণে শাস্তি দেয়া হয়। সে নিজেও বিড়ালটিকে পানাহর করায়নি এবং তাকে ছেড়েও দেয়নি যাতে করে সে [নিজে] জমিনের পোকা-মাকড় খেতে পারে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৬০, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬৯০]
৫৭৪৯. হিশাম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
হিশাম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] উপরোল্লিখিত সূত্রে হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। তাঁদের উভয়ের বর্ণিত হাদীসে আছে, সে তাকে আটকে রাখল। [এছাড়া প্রথম সানাদের] বর্ণনাকারী আবু মুআবিয়াহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] -এর বর্ণিত হাদীসে আছে, জমিনের কীটপতঙ্গ। অর্থাৎ (অর্থাৎ-خَشَاشِ শব্দের স্থানেحَشَرَاتِ (অর্থ একই) শব্দ আছে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৬১, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬৯১]
৫৭৫০. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আবু হুরাইরাহ [রাদি.] -এর সানাদে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] হইতে [পূর্বোল্লিখিত সানাদের] বর্ণনাকারী হিশাম ইবনি উরওয়াহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বর্ণিত হাদীসের মর্মে বর্ণনা করিয়াছেন।
৫৭৫১. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
মুহাম্মাদ ইবনি রাফি [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] … আবু হুরাইরাহ [রাদি.] -এর সানাদে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] থেকে পূর্ব বর্ণিত হাদীসের হুবহু বর্ণনা করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৬৩, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬৯৩]
৪১. অধ্যায়ঃ যে কোন পশু পাখীকে পান করানো ও খাবার দেওয়ার ফযীলাত
৫৭৫২. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ জনৈক লোক কোন রাস্তা দিয়ে হাঁটছিল, এমতাবস্থায় সে খুব তৃষ্ণার্ত হলো। সে একটি কূপ দেখিতে পেয়ে তাতে নেমে পড়ল এবং পানি পান করিল। তারপর সে বেরিয়ে এলো। সে সময় দেখিতে পেল যে, [তৃষ্ণায় কাতর] একটি কুকুর জিভ বের করে হাঁপাচ্ছে আর মাটি চাটছে। লোকটি [মনে মনে] বলিল, কুকুরটিকে আমার মতো তীব্র তৃষ্ণায় পেয়েছে। তখন সে কুয়ায় নামল এবং তার [চামড়ার] মোজায় পানি ভরল। তারপরে সে তার মুখ বন্ধ করে উপরে উঠল এবং কুকুরটিকে পান করাল। মহান আল্লাহতার [এ আমালের] কদর করিলেন এবং তাকে মাফ করে দিলেন। [সাহাবীগণ] প্রশ্ন করিলেন, হে আল্লাহ রসূল! তাহলে কি আমাদের জন্য এসব প্রাণীর ব্যাপারেও [সদাচরণে] সওয়াব রয়েছে? তিনি বললৈন, প্রতিটি তাজা কলিজায় সাওয়াব রয়েছে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৬৪, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬৯৪]
৫৭৫৩. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আবু হুরাইরাহ [রাদি.] -এর সানাদে নবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণিত যে, এক বেশ্যা নারী কোন এক গরমের দিনে একটি কুকুরকে একটি কুয়ার পাশে ঘুরতে দেখিতে পেল। সেটি তৃষ্ণায় তার জিভ বের করে হাঁপাচ্ছিল। তখন সে তার [চামড়ার] মোজা দ্বারা তার জন্য পানি তুলে আনল এবং পান করাল। অবশেষে তাকে ক্ষমা করে দেয়া হলো।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৬৫, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬৯৫]
৫৭৫৪. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ একটি কুকুর একটি [পানি ভর্তি] কূপের চতুর্দিকে ঘুরপাক খাচ্ছিল। তৃষ্ণায় যে প্রায় মৃত্যু পথযাত্রী হয়েছি।। সে সময় বানী ইসরাঈলের পতিতাদের এক পতিতা তাকে লক্ষ্য করলো এবং [দয়াদ্র হয়ে] সে তার [চামড়ার] মোজা খুলে ফেলল এবং তার জন্য পানি উঠিয়ে এনে তাকে পান করিয়ে দিল। যার কারণে তাকে ক্ষমা করে দেয়া হলো।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৬৬, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬৯৬]
Leave a Reply