কুরআনের দোয়া ও ইস্তেগফার সমূহ
1. পরিচ্ছেদঃ দুনিয়া এবং আখিরাতে কল্যান কামনা করা
2.পরিচ্ছেদঃ গুরু দায়িত্ব থেকে পানাহ চাওয়া
3.পরিচ্ছেদঃ সরল পথ কামনা করা ও আযাব থেকে পানাহ চাওয়া
4.পরিচ্ছেদঃ জীবিকা ও রিযক কামনা করা
5.পরিচ্ছেদঃ যালিম কাফেরদের থেকে পানাহা চাওয়া ও মীমাংসা প্রাথনা
6.পরিচ্ছেদঃ অপর পিতা-মাতা, স্বামী-স্ত্রী ও সন্তান এর জন্য দোয়া
7.পরিচ্ছেদঃ নেক স্ত্রী ও সন্তানের জন্য দোয়া
8.পরিচ্ছেদঃ পিতা মাতা এবং মু’মিনদের জন্য ক্ষমা চাওয়া
9.পরিচ্ছেদঃ ইস্তেগফার ও তাওবা
1. পরিচ্ছেদ ১ঃ দুনিয়া এবং আখিরাতের জন্য কল্যান কামনা করা
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
রাব্বানা আতিনা ফিদ-দু-নিয়া হাসানাতাও ওয়া ফিল আখিরাতি হাসানাতাও ওয়াকিনা আযাবান-নার, অর্থ:- “হে রাব্বুল আলামিন! আমাদেরকে দুনিয়া এবং আখিরাতে কল্যান দান করুন। এবং জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করুন!”
আমাদেরকে দাও آتِنَا | আমাদের রব্ব! رَبَّنَا | হে আল্লাহ! اللَّهُمَّ |
কল্যাণ حَسَنَةً | দুনিয়াতে الدُّنْيَا | মধ্যে فِي |
কল্যাণ حَسَنَةً | আখিরাতেও الآخِرَةِ | এবং মধ্যে وَفِي |
অগ্নি النَّارِ | জাহান্নামের عَذَابَ | আমাদেরকে রক্ষা কর وَقِنَا |
[সূরা আল-বাক্বারাহ ২ঃ২০১, Sura Al Baqara 2: 201]
সহীহুল বুখারী ৪৫২২, ৬৩৮৯, [৪৫২২; মুসলিম ৪৮/৯, হাদীস ২৬৯০, আহমাদ ১৩৯৩৮] আঃপ্রঃ- ৫৯৪১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৩৪), মুসলিম ২৬৮৮, তিরমিযী ৩৪৮৩, আবূ দাউদ ১৫১৯, আহমাদ ১১৫৭০, ১১৫৩৮, ১২৭৫১, ১২৭৭৪, ১৩১৬৮, ১৩৫২৪, ১৩৬৫৩
2. পরিচ্ছেদ ২ঃ গুরু দায়িত্ব থেকে পানাহ চাওয়া
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
رَبَّنَا لاَ تُؤَاخِذْنَا إِن نَّسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا
রাব্বানা লা তু-আখিযনা ইন-নাসিনা আউ আখতাও-না, অর্থ: “হে দয়াময়! আমরা যদি কোন কারনে ভুলে যাই কিংবা ভুল করি আমাদের শাস্তি দিওনা।”
যদি إِن | আমাদেরকে পাকড়াও করো تُؤَاخِذْنَا |
আমরা ভুল করি أَخْطَأْنَا | আমরা ভুলে যাই نَّسِينَا |
[সূরা আল-বাক্বারাহ ২ঃ২৮৬, Sura Al Baqara 2:286]
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
رَبَّنَا وَلاَ تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِنَا
রাব্বানা ওয়ালা তাহ-মিল আলাইনা ইসরান কামা হামাল-তাহু আলাল-লাযীনা মিন কাবলিনা, অর্থ: “হে আল্লাহ! আমাদের উপর এমন গুরু দায়িত্ব চাপিয়ে দিওনা, যেমনটি আমাদের পূর্বগণের উপরে দিয়েছ।”
আমাদের উপর عَلَيْنَا | চাপিয়ে দিও تَحْمِلْ |
তা তুমি চাপিয়ে দিয়েছিলে حَمَلْتَهُ | বোঝা إِصْرًا |
আমাদের পূর্ব ছিল قَبْلِنَا | (তাদের) যারা الَّذِينَ |
[সূরা আল-বাক্বারাহ ২ঃ২৮৬, Sura Al Baqara 2:286]
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
رَبَّنَا وَلاَ تُحَمِّلْنَا مَا لاَ طَاقَةَ لَنَا بِهِ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا أَنتَ مَوْلاَنَا فَانصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ
রাব্বানা ওয়ালা তুহাম্মিলনা মা লা তাকাতা লানা বিহি ওয়া-ফু আন্না ওয়াঘফির লানা ওয়াইরহামনা আন্তা মাওলানা ফানসুরনা আলাল-কওমিল কাফিরীন, অর্থ: “হে রাব্বুল আলামিন! আমাদের উপর এমন গুরু দায়িত্ব চাপিয়ে দিওনা যার ভার আমরা সইতে পারবনা। আমাদেরকে মাফ করুন এবং আমাদের ক্ষমা কবুল করুন। আমাদেরকে দয়া করুন। তুমিই আমাদের প্রভু এবং আমাদেরকে কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে জয়ী করে তোল।”
আমাদের কাছে لَنَا | শক্তি طَاقَةَ |
এবং মোচন করে দাও (ত্রুটি) وَاغْفِرْ | যার بِهِ |
আমাদের অভিভাবক مَوْلاَنَا | আমাদের থেকে عَنَّا |
সম্প্রদায়ের الْقَوْمِ | আমাদের সাহায্য কর তাই فَانصُرْنَا |
[সূরা আল-বাক্বারাহ ২ঃ২৮৬, Sura Al Baqara 2:86]
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
رَبَّنَا آتِنَا مِن لَّدُنكَ رَحْمَةً وَهَيِّئْ لَنَا مِنْ أَمْرِنَا رَشَدًا
রাব্বানাআ-তিনা-মিল্লাদুনকা রাহমাতাওঁ ওয়া হাইয়ি’ লানা-মিন আমরিনা-রাশাদা-। অর্থ: হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি তোমার নিকট হতে আমাদেরকে রহমত দান কর আর আমাদের ব্যাপারটি সুন্দর ভাবে সম্পাদন কর।’
[সূরা কাহাফ ১৮ঃ১০, Sura Kahaf 18:10]
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
رَبَّنَاۤ اَ تْمِمْ لَـنَا نُوْرَنَا وَا غْفِرْ لَـنَا ۚ اِنَّكَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ
রাব্বানা আতমিম লানা-নূরানা-ওয়াগফিরলানা- ইন্নাকা ‘আলা-কুল্লি শাইয়িন কাদীর। অর্থ: ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের নূরকে আমাদের জন্য পরিপূর্ণ করে দাও আর আমাদেরকে ক্ষমা কর; তুমি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।’
(সূরা তাহরিম ৬৬ঃ৮, Sura Tahrim 66:8)
3. পরিচ্ছেদ ৩ঃ সরল পথ কামনা করা ও আযাব থেকে পানাহ চাওয়া
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
اهدِنَــــا الصِّرَاطَ المُستَقِيمَ. صِرَاطَ الَّذِينَ أَنعَمتَ عَلَيهِمْ غَيرِ المَغضُوبِ عَلَيهِمْ وَلاَ الضَّالِّينَ
‘আমাদেরকে সরল পথ দেখাও,সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নিয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।’
[সুরা ফাতিহা ১ঃ৬-৭, Sura Al Fatiha 1:6-7]
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
رَبَّنَا لاَ تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِن لَّدُنكَ رَحْمَةً إِنَّكَ أَنتَ الْوَهَّابُ
রাব্বানা লা তুযিগ কুলুবানা বা-দা ইয হাদায়তানা ওয়া হাব লানা মিল্লা দুনকা রাহমাতান ইন্নাকা আন্তাল ওয়াহাব, অর্থ: “হে আল্লাহ! তুমি আমাদেরকে তোমার দেখানো পথ থেকে পথভ্রষ্ট হতে দিও না এবং আমাদের ক্ষমা কর। নিশ্চয়ই আপনি দানশীল।”
আমাদের অন্তরগুলো قُلُوبَنَا | বাঁকা করো تُزِغْ |
এবং দাও وَهَبْ | এর পরে بَعْدَ |
মহাদাতা الْوَهَّابُ | তোমার নিকট لَّدُنكَ |
[সূরা আল-ইমরান ৩ঃ৮, Sura Al Imran 3:8]
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
رَبَّنَا إِنَّكَ جَامِعُ النَّاسِ لِيَوْمٍ لاَّ رَيْبَ فِيهِ إِنَّ اللّهَ لاَ يُخْلِفُ الْمِيعَادَ
রাব্বানা ইন্নাকা যামি-উন-নাচি লি-ইয়াওমিল লা রাইবা ফি ইন্নাল্লাহা লা ইউখলিফুল মি-আদ
অর্থ: “হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আপনি সমস্ত মানবজাতিকে কেয়ামতের দিন একত্র করবেন, এতে কোন প্রকার সন্দেহের অবকাশ নেই। নিশ্চয়ই তুমি ভঙ্গ করোনা অঙ্গীকার!”
[সূরা আল-ইমরান, আয়াত ৩ঃ৯, Sura Al Imran 3:9]
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
رَبَّنَا آمَنَّا بِمَا أَنزَلَتْ وَاتَّبَعْنَا الرَّسُولَ فَاكْتُبْنَا مَعَ الشَّاهِدِينَِ
রাব্বানা আ~মান্না বিমা আনঝালতা ওয়াত্তবা‘নার রাছূলা ফাকতুবনা মাআশশা হিদীন।
অর্থ: “হে রাব্বুল আলামিন! আমারা তোমার নাযিল করা বিষয়ের উপর বিশ্বাস স্থাপন করেছি, এবং তোমার রাসুলের দেখানো পথে চলার চেষ্টা করি! দয়া করে আমাদেরকে তোমার হুকুম পালনকারীদের সারিতে রাখুন।”
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
رَبَّنَا إِنَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
রাব্বানা ইন্নানা আ~মান্না ফাগফিরলানা যুনূবানা ওয়াকিনা আযাবা ন্নার। অর্থ: “হে আল্লাহ! আমরা ঈমান এনেছি, দয়া করে আমাদের গুনাহ মাফ করে দিন এবং আমাদেরকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করুন।”
আমাদের গুনাহগুলোকে ذُنُوبَنَا | নিশ্চয়ই আমরা إِنَّنَا |
[সূরা আল-ইমরান ৩ঃ১৬, Sura Al Imran 3:16]
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هَذا بَاطِلاً سُبْحَانَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
রাব্বানা মা খালাকতা হাযা বাতিলান ছুবহানাকা ফাকিনা আযাবা ন্না-র। অর্থ: “হে আল্লাহ! আপনি এই দুনিয়ার কোন কিছুই উদ্দেশ্য ছাড়া আপন মহিমায় তৈরি করেন নি! আমাদিগকে দোযখের আযাব থেকে পরিত্রাণ দিন।”
[সূরা আল-ইমরান ৩ঃ১৯১, Sura Al Imran 3:191]
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
رَبَّنَا إِنَّكَ مَن تُدْخِلِ النَّارَ فَقَدْ أَخْزَيْتَهُ وَمَا لِلظَّالِمِينَ مِنْ أَنصَارٍ
রাব্বানা ইন্নাকা মান তুদখিলিন্না রা ফাকাদ আখঝাইতাহূ ওয়ামা লিজ্জা-লিমীনা মিন আনসার। অর্থ: “হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আপনি তাকেই জাহান্নামে প্রেরন করবেন, যার উপর আপনি নাখোশ হবেন। এবং জালিম ও সত্যের পথ ভ্রষ্টরা আপনার করুনা পাবেনা।”
[সূরা আল-ইমরান ৩ঃ১৯২, Sura Al Imran 3:192]
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
رَّبَّنَا إِنَّنَا سَمِعْنَا مُنَادِيًا يُنَادِي لِلإِيمَانِ أَنْ آمِنُواْ بِرَبِّكُمْ فَآمَنَّا
রাব্বানা ইন্নানা ছামি‘না মুনা দিআইঁ ইউনা-দী লিল ঈমানি আন আ~মিনূ বিরাব্বিকুম ফা`আ~মান্না, অর্থ: “হে রাব্বুল আলামিন! সত্যিই আমরা “আল্লাহ্র উপর বিশ্বাস” এর ডাকে সাড়া দিয়েছি এবং ঈমান এনেছি।”
[সূরা আল-ইমরান ৩ঃ১৯৩, Sura Al Imran 3:193]
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
رَبَّنَا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَكَفِّرْ عَنَّا سَيِّئَاتِنَا وَتَوَفَّنَا مَعَ الأبْرَارِ
রাব্বানা ফাগফিরলানা যুনূবানা ওয়াকাফফির আন্না ছাইয়িআ তিনা ওয়াতাওয়াফফানা মা‘আল আবরা-র। অর্থ: “হে আল্লাহ! আমাদের গুনাহ মাফ কর ও খারাপ কাজ থেকে নিজেদেরকে বিরত রাখার তৌফীক দাও! এবং আমাদের পবিত্রতার সাথে আল-আবরারগনের সাথেই মৃত্যু কবুল করুন- যারা আপনার অনুগত এবং আপনার আদেশ নিষেধ সঠিক ভাবে মেনে চলেছে।”
[সূরা আল-ইমরান ৩ঃ১৯৩, Sura Al Imran 3:193]
4. পরিচ্ছেদ ৪ঃ জীবিকা ও রিযক কামনা করা
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
رَبَّنَا آمَنَّا فَاكْتُبْنَا مَعَ الشَّاهِدِينَ
রাব্বানা আ~মান্না ফাকতুবনা মা‘আশশা হিদীন। অর্থ: হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা ঈমান এনেছি, কাজেই তুমি আমাদেরকে সাক্ষীদাতাদের তালিকাভূক্ত কর।”
[Sura Mayeda 5:83, সুরা মায়েদা 5:83]
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
رَبَّنَا أَنزِلْ عَلَيْنَا مَآئِدَةً مِّنَ السَّمَاء تَكُونُ لَنَا عِيداً لِّأَوَّلِنَا وَآخِرِنَا وَآيَةً مِّنكَ وَارْزُقْنَا وَأَنتَ خَيْرُ الرَّازِقِينَ
রাব্বানা আনঝিল ‘আলাইনা-মাইদাতাম মিনাছছামাই তাকূনুলানা-‘ঈদাল লিআওওয়ালিনা-ওয়া আ-খিরিনা-ওয়া আ-ইয়াতাম মিনকা ওয়ারঝুকনা-ওয়া আনতা খাইরুর রা-ঝিকীন। অর্থ: হে আল্লাহ! আমাদের প্রতিপালক আমাদের নিকট আসমান থেকে খাদ্য ভর্তি খাদ্য প্রেরণ কর যা আমাদের প্রথম থেকে শেষ সকল ব্যক্তির জন্য আনন্দের ব্যাপার হবে আর হবে তোমার থেকে একটা নিদর্শন। আর আমাদেরকে জীবিকা দান কর; তুমিই সর্বোত্তম রিযকদাতা।”
[Sura Mayeda 5:114, সূরা মায়দা ৫ঃ১১৪]
5. পরিচ্ছেদ ৫ঃ যালিম কাফেরদের থেকে পানাহা চাওয়া ও মীমাংসা প্রাথনা
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْراً وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانصُرْنَا عَلَى القَوْمِ الكَافِرِينَ
রাব্বানা আফরিঘ আলাইনা সাব-রান ওয়া থাব্বিত আকদামানা ওয়ানসুরনা আলাল-কাউমিল-কাফিরিন, অর্থ: “হে আল্লাহ! আমাদের ধৈর্য শক্তি বাড়িয়ে দাও, এবং আমাদেরকে দৃঢ়পদ কর এবং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে জয়ী করে তোল।”
[সূরা আল-বাক্বারাহ ২ঃ২৫০, Sura Al Baqara 2:250]
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
ربَّنَا اغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَإِسْرَافَنَا فِي أَمْرِنَا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وانصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ
রাব্বানাগ ফিরলানা যুনূবানা ওয়া ইছরাফানা ফী আমরিনা ওয়াছাব্বিত আকদা মানা ওয়ানসুরনা আলাল কাওমিল কা-ফিরীন। অর্থ: “হে রাব্বুল আলামিন! আমাদের গুনাহ এবং ভুল গুলো ক্ষমা করে দাও। এবং আমাদেরকে দৃঢ় থাকতে এবং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে জয়ী হতে সাহায্য কর।”
[সূরা আল-ইমরান ৩ঃ১৪৭, Sura Al Imran 3:147]
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
رَبَّنَا لاَ تَجْعَلْنَا مَعَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ
রাব্বানা লা তাজ আলনা মা‘আল কাওমিজ্জা-লিমীন। অর্থ: ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে যালিমদের সঙ্গী করো না।’”
[Sura Araf 7:47, সূরা আরাফ ৭ঃ৪৭]
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
رَبَّنَا افْتَحْ بَيْنَنَا وَبَيْنَ قَوْمِنَا بِالْحَقِّ وَأَنتَ خَيْرُ الْفَاتِحِينَ
রাব্বানা ফতাহ বাইনানা ওয়া বাইনা কাওমিনা বিল হাক্কি ওয়া আনতা খাইরুল ফাতিহীন। অর্থ: হে আমাদের প্রতিপালক! ‘তুমি আমাদের আর আমাদের জাতির মধ্যে সঠিকভাবে ফায়সালা করে দাও আর তুমি হলে সর্বোত্তম মীমাংসাকারী।’”
মাঝে আমাদের بَيْنَنَا | মীমাংসা করে দাও افْتَحْ |
জাতির আমাদের الْفَاتِحِينَ | ও মাঝে وَبَيْنَ |
[Sura Araf 7:89, সূরা আরাফ ৭ঃ৮৯]
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
لَا إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّىْ كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِيْنَ
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَتَوَفَّنَا مُسْلِمِينَ
রাব্বানা আফরিগ আলাইনা সাবরাওঁ ওয়া তাওয়াফফানা মুছলিমীন। অর্থ: হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে ধৈর্য ও দৃঢ়তা অবলম্বনের গুণে অভিষিক্ত কর আর মুসলমান হিসেবে আমাদের মৃত্যু দান কর।
[Sura Araf 7:126, সূরা আরাফ ৭ঃ১২৬]
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
رَبَّنَا لاَ تَجْعَلْنَا فِتْنَةً لِّلْقَوْمِ الظَّالِمِينَ ; وَنَجِّنَا بِرَحْمَتِكَ مِنَ الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ
রাব্বানা লা তায আলনা ফিতনাতাল লিল কাওমিয যালিমীন ওয়া নাযযিনা বি রাহমাতিকা মিনাল কাওমিল কাফিরীন, অর্থঃ “হে আল্লাহ্! আমাদেরকে জালিম এবং পথভ্রষ্ট কওমের শক্তি পরিক্ষা করিও না। এবং আমাদেরকে জালিম ও কাফেরদের হাত থেকে রক্ষা করো। “
[Sura Younus 10:85-86, সূরা ইউনুস ১০ঃ৮৫-৮৬]
লা- ইলা-হা ইল্লা- আন্তা সুবহা-নাকা ইন্নী কুনতু মিনায্ যোয়া-লিমীন অর্থাৎ- তুমি ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন মাবূদ নেই। তুমি পবিত্র, আমি হচ্ছি যালিম বা অত্যাচারী অপরাধী
[Sura Younus 10:87, সূরা ইউনুস ১০ঃ৮৭]
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
رَبَّنَا إِنَّنَا نَخَافُ أَن يَفْرُطَ عَلَيْنَا أَوْ أَن يَطْغَى
রাব্বানাইন্নানা-নাখা-ফুআইঁ ইয়াফরুতা ‘আলাইনাআও আইঁ ইয়াতগা-। অর্থ: হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের ভয় হচ্ছে সে আমাদের প্রতি হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে উঠবে কিংবা আমাদের প্রতি আচরণে বাড়াবাড়ি করবে।
[Sura Toha 20:45, সূরা ত্বহা ২০ঃ৪৫]
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
رَبَّنَا لَا تَجْعَلْنَا فِتْنَةً لِّلَّذِيْنَ كَفَرُوْا وَا غْفِرْ لَـنَا رَبَّنَا ۚ اِنَّكَ اَنْتَ الْعَزِيْزُ الْحَكِيْمُ
রাব্বানা-লা-তাজ‘আলনা-ফিতনাতালিলল্লাযীনা কাফারূওয়াগফিরলানা-রাব্বানা- ইন্নাকা আনতাল ‘আঝীঝুল হাকীম। অর্থ: হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে কাফিরদের উৎপীড়নের পাত্র করো না, হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি আমাদেরকে ক্ষমা কর, তুমি মহা পরাক্রান্ত, মহা বিজ্ঞানী।
[Sura Mumtahana 60:5, সূরা মুমতাহানা ৬০ঃ৫]
6. পরিচ্ছেদ ৬ঃ অপর পিতা-মাতা, স্বামী-স্ত্রী ও সন্তান এর জন্য দোয়া
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
رَبَّنَا وَاَ دْخِلْهُمْ جَنّٰتِ عَدْنِ ٱِلَّتِيْ وَعَدْتَّهُمْ وَمَنْ صَلَحَ مِنْ اٰبَآئِهِمْ وَاَ زْوَا جِهِمْ وَذُرِّيّٰتِهِمْ ۗ اِنَّكَ اَنْتَ الْعَزِيْزُ الْحَكِيْمُ
রাব্বানা-ওয়া আদখিলহুম জান্না-তি ‘আদনি নিল্লাতী ওয়া ‘আত্তাহুম ওয়া মান সালাহা মিন আবাইহিম ওয়া আঝওয়া-জিহিম ওয়া যুররিইয়া-তিহিম ইন্নাকা আনতাল ‘আঝীঝুল হাকীম। অর্থ: হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি তাদেরকে আর তাদের পিতৃপুরুষ, স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানাদির মধ্যে যারা সৎকাজ করেছে তাদেরকেও চিরস্থায়ী জান্নাতে প্রবেশ করান যার ওয়া‘দা তুমি তাদেরকে দিয়েছ; তুমি মহা পরাক্রমশালী, মহা বিজ্ঞ।
[Sura Gafir 40:8, সূরা গাফির ৪০ঃ৮]
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا وَلِإِخْوَانِنَا الَّذِينَ سَبَقُونَا بِالْإِيمَانِ وَلَا تَجْعَلْ فِي قُلُوبِنَا غِلًّا لِّلَّذِينَ آمَنُوا
রাব্বানা-ঘফির লানা ওয়া লি ইখওয়ানি নাল্লাযিনা সাবাকুনা বিল ইমানি ওয়া লা তাযাআল ফি কুলুবিনা ঘিল্লাল-লিল্লাযিনা আমানু অর্থ: “হে আল্লাহ্! আপানার ওয়াদা অনুযায়ী তাদেরকে এবং তাদের পিতা-মাতা, স্ত্রী-সন্তান সকলকেই জান্নাতবাসী করুন। নিশ্চয়ই আপনি পরাক্রমশালী এবং প্রজ্ঞাময়। এবং আপনি তাদের গুনাহ মাফ করুন। নিশ্চয়ই আপনি কেয়ামতের দিন তাদের উপর ক্ষমাশীল থাকবেন। এবং এটাই শ্রেষ্ঠ অর্জন।”
[Sura Al Hasor 59:10, সূরা আল-হাশর ৫৯ঃ১০]
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
رَبَّنَا إِنَّكَ رَؤُوفٌ رَّحِيمٌ
রাব্বানা ইন্নাকা রাউফুর রাহিম, অর্থ: “হে আল্লাহ্! নিশ্চয়ই আপনি পরম দয়ালু এবং করুনাময়।”
[Sura Al Hasor 59:10, সূরা আল-হাশর ৫৯ঃ১০]
7. পরিচ্ছেদ ৭ঃ নেক স্ত্রী ও সন্তানের জন্য দোয়া
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا
রাব্বানা-হাবলানা-মিন আঝওয়া-জিনা-ওয়া যুররিইইয়া-তিনা কুররাতা আ‘ইউনিওঁ ওয়াজ‘আলনা-লিলমুত্তাকীনা ইমা-মা-। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে এমন স্ত্রী ও সন্তানাদি দান কর যারা আমাদের চোখ জুড়িয়ে দেয় আর আমাদেরকে মুত্তাকীদের নেতা বানিয়ে দাও।”
[Sura Furkan 25:74, সূরা ফুরকান ২৫ঃ৭৪]
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
رَبَّنَا وَسِعْتَ كُلَّ شَيْءٍ رَّحْمَةً وَّعِلْمًا فَا غْفِرْ لِلَّذِيْنَ تَا بُوْا وَا تَّبَعُوْا سَبِيْلَكَ وَقِهِمْ عَذَا بَ الْجَحِيْمِ
রাব্বানা-ওয়াছি‘তা কুল্লা শাইয়িররাহমাতাওঁ ওয়া ‘ইলমান ফাগফির লিল্লাযীনা তা-বূওয়াত্তাবা‘ঊ ছাবীলাকা ওয়াকিহিম ‘আযা-বাল জাহীম। অর্থ: হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি তোমার রহমত ও জ্ঞান দিয়ে সব কিছুকে বেষ্টন করে রেখেছ, কাজেই যারা তাওবাহ করে ও তোমার পথ অনুসরণ করে তাদেরকে ক্ষমা কর, আর জাহান্নামের ‘আযাব থেকে তাদেরকে রক্ষা কর।
[Sura Gafir 7, সূরা গাফির:৭]
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
رَّبَّنَا عَلَيْكَ تَوَكَّلْنَا وَإِلَيْكَ أَنَبْنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ
রাব্বানা-‘আলাইকা তাওয়াক্কালনাওয়া ইলাইকা আনাবনা-ওয়া ইলাইকাল মাসীর। অর্থ: হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা তোমারই উপর নির্ভর করছি, তোমারই অভিমুখী হচ্ছি, আর (সব কিছুর) প্রত্যাবর্তন তো তোমারই পানে।
[Sura Mumtahana 60:8, সূরা মুমতাহানা ৬০ঃ৪]
8. পরিচ্ছেদ ৮ঃ পিতা মাতা এবং মু’মিনদের জন্য ক্ষমা চাওয়া
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
رَبَّنَا إِنَّكَ تَعْلَمُ مَا نُخْفِي وَمَا نُعْلِنُ وَمَا يَخْفَى عَلَى اللّهِ مِن شَيْءٍ فَي الأَرْضِ وَلاَ فِي السَّمَاء
রাব্বানাইন্নাকা তা‘লামুমা-নুখফী ওয়ামা-নু‘লিনু ওয়ামা-ইয়াখফা-‘আলাল্লা-হি মিন শাইইন ফিল আরদিওয়ালা-ফিছছামাই। অর্থ: হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি তো জান যা আমরা গোপন করি আর যা প্রকাশ করি, আসমান ও যমীনের কোন বস্তুই আল্লাহ হতে গোপন নেই।
[Sura Ibrahim 14: 38, সূরা ইব্রাহিম ১৪ঃ৩৮]
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
رَبَّنَا اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ يَقُومُ الْحِسَابُ
রাব্বানা গফিরলী ওয়ালি ওয়ালি দাইয়া ওয়া লিলমু’মিনীনা ইয়াওমা ইয়াকূমুল হিছা-ব। অর্থ: হে আমাদের প্রতিপালক! হিসাব গ্রহণের দিন আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে আর মু’মিনদেরকে ক্ষমা করে দিও
[Sura Ibrahim 14:41, সূরা ইব্রাহিম ১৪ঃ৪১]
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
رَّبِّ ٱغۡفِرۡ لِي وَلِوَٰلِدَيَّ وَلِمَن دَخَلَ بَيۡتِيَ مُؤۡمِنٗا وَلِلۡمُؤۡمِنِينَ وَٱلۡمُؤۡمِنَٰتِۖ وَلَا تَزِدِ ٱلظَّٰلِمِينَ إِلَّا تَبَارَ
উচ্চারণ: রাব্বিগ ফিরলি ওয়ালি ওয়ালিদাইয়া, ওয়া লিমান দাখালা বাইতিয়া মু’মিনা; ওয়ালিল মু’মিনিনা ওয়াল মু’মিনাত। ওয়ালা তাজিদিজ জা-লিমিনা ইল্লা তাবারা। অর্থ: ‘হে আমার রব! আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে, যে আমার ঘরে ঈমানদার হয়ে প্রবেশ করবে তাকে এবং মুমিন নারী-পুরুষদের ক্ষমা করুন এবং আপনি জালিমদের ধ্বংস ছাড়া আর কিছুই বাড়িয়ে বাড়িয়ে দেবেন না।’
[Suran Nuh 28, আয়াত ২৮ : সুরা নুহ]
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
رَّب ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرً
রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বায়ানি সাগিরা, অর্থ : ‘হে আমাদের পালনকর্তা! তাদের উভয়ের প্রতি রহম করুন; যেমনিভাবে তারা আমাকে শৈশবকালে লালন-পালন করেছেন।
Sura Boni Israil 24, বনি ইসরাইল এর ২৪
9. পরিচ্ছেদ ৯ঃ ইস্তেগফার ও তাওবা
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنفُسَنَا وَإِن لَّمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ
রাব্বানা জালামনা আনফুছানা ওয়া ইল্লাম তাগফির লানা ওয়া তারহামনা লানাকূনান্না মিনাল খাছিরীন। অর্থ: হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা নিজেদের প্রতি অন্যায় করে ফেলেছি, যদি তুমি আমাদেরকে ক্ষমা না কর আর দয়া না কর তাহলে আমরা অবশ্য অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব।’
যদি وَإِن | নিজেদের প্রতি أَنفُسَنَا | জুলম করেছি ظَلَمْنَا |
وَتَرْحَمْنَا | আমাদেরকে ক্ষমা تَغْفِرْ | না করেন لَّمْ |
الْخَاسِرِينَ | مِنَ | لَنَكُونَنَّ |
[Sura Araf 7:23, সূরা আরাফ ৭ঃ২৩]
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
رَبَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا وَأَنتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ
রাব্বানা আ-মান্না-ফাগফিরলানা ওয়ারহামনা ওয়া আনতা খাইরুর রা-হিমীন। হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা ঈমান এনেছি, তুমি আমাদেরকে ক্ষমা কর, আমাদের প্রতি দয়া কর, তুমি তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।’
[Sura Muminun 23:109, সূরা মুমিনুন ২৩ঃ১০৯]
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
رَبَّنَا اصْرِفْ عَنَّا عَذَابَ جَهَنَّمَ إِنَّ عَذَابَهَا كَانَ غَرَامًا إِنَّهَا سَاءتْ مُسْتَقَرًّا وَمُقَامًا
রাব্বানাস-রিফ আন্না আযাবা জাহান্নামা ইন্না আযাবা কানা ঘারামা ইন্নাহা সা’ত মুস্তা-কাররানাও ওয়া মুকামা, “হে রাব্বুল আলামিন! আমরা ঈমান এনেছি! আমাদেরকে মাফ করুন এবং আমাদের প্রতি রহম করুন। নিশ্চয়ই আপনি দয়ালুদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দয়ালু।”
[Sura Al Furkan 25:65-66, সূরা আল-ফুরকান ২৫ঃ৬৫-৬৬]
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
اِنَّ رَبَّنَا لَـغَفُوْرٌ شَكُوْرٌ
ইন্না রাব্বানা লাগাফূরুন শাকূর। অর্থ: আমাদের প্রতিপালক অবশ্যই পরম ক্ষমাশীল, (ভাল কাজের) বড়ই মর্যাদাদানকারী।
[Sura Fatir 35:34, সূরা ফাতির ৩৫ঃ৩৪]
10. দোয়া কবুল এর জন্য আবেদন
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
رَبَّنَا وَتَقَبَّلْ دُعَاء
রাব্বানা-ওয়া তাকাব্বাল দু‘আই, অর্থ: “হে পালনকর্তা! আমাদের দোয়া কবুল করুন। “
[Sura Ibrahim 14:40, সূরা ইব্রাহীম ১৪ঃ৪০]
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا إِنَّكَ أَنْتَ السَّمِيعُ العَلِيمُ
রাব্বানা তাকাব্বাল মিন্না ইন্নাকা আন্তাস সামিউল আলীম, অর্থ: “হে আল্লাহ! আমাদের এই কাজটি কবুল করুণ। নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা এবং সর্বজ্ঞ।”
আমাদের থেকে (এ কাজ) مِنَّا | কবুল করুণ تَقَبَّلْ |
তুমিই إِنَّكَ | তুমি নিশ্চয়ই إِنَّكَ |
সবকিছু জ্ঞাত العَلِيمُ | শ্রবণকারী السَّمِيعُ |
[সূরা আল-বাক্বারাহ ২ঃ১২৭, Sura Al Baqara 2:127]
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
رَبَّنَا وَاجْعَلْنَا مُسْلِمَيْنِ لَكَ وَمِن ذُرِّيَّتِنَا أُمَّةً مُّسْلِمَةً لَّكَ وَأَرِنَا مَنَاسِكَنَا وَتُبْ عَلَيْنَآ إِنَّكَ أَنتَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ
রাব্বানা ওয়ায-আলনা মুসলিমাইনা লাকা ওয়া মিন জুররিয়াতিনা উম্মাতান মুসলিমাতাল লাকা ওয়া আরিনা মানাসিকানা ওয়া তুব আলাইনা ইন্নাকা আন্তাত-তাউয়াবুর-রাহীম, অর্থ: “হে আল্লাহ! আমাদেরকে আপনার উপর আজ্ঞাবহ করুণ এবং আমাদের বংশধর থেকেও একটি অনুগত জাতি সৃষ্টি করুণ, আমাদেরকে সঠিকভাবে ইবাদত করার পথ বলে দিন। আমাদেরকে ক্ষমা করুন। নিশ্চয়ই আপনিই একমাত্র তওবা কবুলকারী! পরমদয়ালু!”
[সূরা আল-বাক্বারাহ ২ঃ১২৮, Sura Al Baqara 2:128]
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
رَبَّنَا وَآتِنَا مَا وَعَدتَّنَا عَلَى رُسُلِكَ وَلاَ تُخْزِنَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِنَّكَ لاَ تُخْلِفُ الْمِيعَاد
রাব্বানা ওয়া আ~তিনা মা ওয়া ‘আত্তানা আলা রুছুলিকা ওয়ালা তুখঝিনা ইয়াওমাল কিয়া-মাতি ইন্নাকা লা তুখলিফুল মীআ-দ। অর্থ: “হে আল্লাহ্! আপনি রাসুলগনের মাধ্যমে আমাদের কাছে যে ওয়াদা করেছিলেন তা কবুল করুন। এবং কিয়ামতের দিন আমাদের লজ্জিত করো না। নিশ্চয়ই তুমি ভঙ্গ করোনা অঙ্গীকার!”
[সূরা আল-ইমরান ৩ঃ১৯৪, Sura Al Imran 3:194]
Leave a Reply