মসজিদে প্রবেশ ও বাহির হওয়ার দোয়া সমূহ
এ বিষয়ে আরও পড়ুন >> সহীহ বুখারী >> সহীহ মুসলিম >> আবু দাউদ >> ইবনে মাজাহ >> তিরমিজি >> নাসাঈ >> মিশকাত >> রিয়াদুস সালেহীন হাদীস শরীফ হতে
মসজিদে প্রবেশ ও বাহির হওয়ার দোয়া সমূহ
পরিচ্ছেদ ১ঃ মসজিদে যাওয়ার সময়ে পড়ার দোআ
পরিচ্ছেদ ২ঃ মসজিদে প্রবেশের দোআ
পরিচ্ছেদ ৩ঃ মসজিদে প্রবেশ ও বেড় হওয়ার দোআ
পরিচ্ছেদ ৪ঃ মসজিদে বসে থাকার ফাযীলাত
পরিচ্ছেদ ৫ঃ মসজিদ থেকে বের হওয়ার দো‘আ
পরিচ্ছেদ ১ঃ মসজিদে যাওয়ার সময়ে পড়ার দোআ
اللَّهُمَّ اجْعَلْ فِي قَلْبِي نُوراً، وَفِي لِسَانِي نُوراً، وَفِي سَمْعِي نُوراً، وَفِي بَصَرِي نُوراً، وَمِنْ فَوْقِي نُوراً، وَمِنْ تَحْتِي نُوراً، وَعَنْ يَمِينِي نُوراً، وَعَنْ شِمَالِي نُوراً، وَمِنْ أَمَامِي نُوراً، وَمِنْ خَلْفِي نُوراً، وَاجْعَلْ فِي نَفْسِي نُوراً، وَأَعْظِمْ لِي نُوراً، وَعَظِّم لِي نُوراً، وَاجْعَلْ لِي نُوراً، وَاجْعَلْنِي نُوراً، اللَّهُمَّ أَعْطِنِي نُوراً، وَاجْعَلْ فِي عَصَبِي نُوراً، وَفِي لَحْمِي نُوراً، وَفِي دَمِي نُوراً، وَفِي شَعْرِي نُوراً، وَفِي بَشَرِي نُوراً
«[اللَّهُمَّ اجْعَلْ لِي نُوراً فِي قَبْرِي… وَنُوراً فِي عِظَامِي]» [«وَزِدْنِي نُوراً، وَزِدْنِي نُوراً، وَزِدْنِي نُوراً»] [«وَهَبْ لِي نُوراً عَلَى نُورٍ»[.
(আল্লা-হুম্মাজ‘আল ফী ক্বালবী নূরান, ওয়া ফী লিসানী নূরান, ওয়া ফী সাম্‘য়ী নূরান, ওয়া ফী বাসারী নূরান, ওয়া মিন ফাওকী নূরান, ওয়া মিন তাহ্তী নূরান, ওয়া ‘আন ইয়ামীনী নূরান, ওয়া ‘আন শিমালী নূরান, ওয়া মিন আমামী নূরান, ওয়া মিন খলফী নূরান, ওয়াজ‘আল ফী নাফ্সী নূরান, ওয়া আ‘যিম লী নূরান, ওয়া ‘আয্যিম লী নূরান, ওয়াজ‘আল্ লী নূরান, ওয়াজ‘আলনী নূরান; আল্লা-হুম্মা আ‘তিনী নূরান, ওয়াজ‘আল ফী ‘আসাবী নূরান, ওয়া ফী লাহ্মী নূরান, ওয়া ফী দামী নূরান, ওয়া ফী শা‘রী নূরান, ওয়া ফী বাশারী নূরান।
[আল্লা-হুম্মাজ‘আল লী নূরান ফী কাবরী, ওয়া নূরান ফী ‘ইযামী] [ওয়া যিদ্নী নূরান, ওয়া যিদনী নূরান, ওয়া যিদনী নূরান] [ওয়া হাবলী নূরান ‘আলা নুর]
১৯- “হে আল্লাহ! আপনি আমার অন্তরে নূর (বা আলো) দান করুন, আমার যবানে নূর দান করুন, আমার শ্রবণশক্তিতে নূর দান করুন, আমার দর্শনশক্তিতে নূর দান করুন, আমার উপরে নূর দান করুন, আমার নিচে নূর দান করুন, আমার ডানে নূর দান করুন, আমার বামে নূর দান করুন, আমার সামনে নূর দান করুন, আমার পেছনে নূর দান করুন, আমার আত্মায় নূর দান করুন, আমার জন্য নূরকে বড় করে দিন, আমার জন্য নূর বাড়িয়ে দিন, আমার জন্য নূর নির্ধারণ করুন, আমাকে আলোকময় করুন। হে আল্লাহ! আমাকে নূর দান করুন, আমার পেশীতে নূর প্রদান করুন, আমার গোশ্তে নূর দান করুন, আমার রক্তে নূর দান করুন, আমার চুলে নূর দান করুন ও আমার চামড়ায় নূর দান করুন।”
এ শব্দগুলোর জন্য দেখুন, বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ১১/১১৬, নং ৬৩১৬; মুসলিম ১/৫২৬, ৫২৯, ৫৩০, নং ৭৬৩।
“হে আল্লাহ! আমার জন্য আমার কবরে নূর দিন, আমার হাড়সমূহেও নূর দিন”
তিরমিযী ৫/৪৮৩, নং ৩৪১৯।
“আমাকে নূরে বৃদ্ধি করে দিন, আমাকে নূরে বৃদ্ধি করে দিন, আমাকে নূরে বৃদ্ধি করে দিন”
ইমাম বুখারী, আল-আদাবুল মুফরাদ, নং ৬৯৫; পৃ. ২৫৮; আর আলবানী সেটার সনদকে সহীহ আদাবিল মুফরাদে সহীহ বলেছেন, নং ৫৩৬।
“আমাকে নূরের উপর নূর দান করুন”
হাফেয ইবন হাজার এটাকে তার ফতহুল বারীতে উল্লেখ করেছেন এবং ইবন আবী আসেমের ‘কিতাবুদ দো‘আ’ এর দিকে সম্পর্কিত করেছেন। দেখুন ফাতহুল বারী, ১১/১১৮। আরও বলেছেন, বিভিন্ন বর্ণনা থেকে মোট ২৫ (পঁচিশটি) বিষয় পাওয়া গেল।
পরিচ্ছেদ ২ঃ মসজিদে প্রবেশের দোআ
হাইওয়াহ ইবনি শুরায়িহ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ
আমি উক্ববাহ্ ইবনি মুসলিমের সাথে সাক্ষাৎ করে বলি, আমি জানতে পারলাম যে, আপনার নিকটআবদুল্লা ইবনি আমর ইবনিলআস (রাঃআঃ)-এর মাধ্যমে নাবী (সাঃআঃ) হইতে এ হাদিস বর্ণনা করা হয়েছেঃ নাবী (সাঃআঃ) মসজিদে প্রবেশের সময় বলিতেনঃ
أَعُوذُ بِاللَّهِ الْعَظِيمِ وَبِوَجْهِهِ الْكَرِيمِ وَسُلْطَانِهِ الْقَدِيمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ
আ‘ঊযু বিল্লা-হিল ‘আযীম, ওয়া বিওয়াজহিহিল কারীম, ওয়াসুলতা-নিহিল ক্বদীম, মিনাশ শাইত্বা-নির রাজীম। আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি, অতীব মর্যাদা ও চিরন্তন পরাক্রমশালীর অধিকারী মহান আল্লাহর নিকট বিতাড়িত শাইত্বান হইতে।
উক্ববাহ্ (রাঃআঃ) বলিলেন, এতটুকুই? আমি বললাম, হ্যাঁ।উক্ববাহ্ (রাঃআঃ) বলিলেন, কেউ এ দুআ পাঠ করলে শাইত্বান বলে, এ লোকটি আমার (অনিষ্ট ও কুমন্ত্রণা) থেকে সারা দিনের জন্য বেঁচে গেল।
[আবু দাউদ ৪৬৬, সহিহ হাদিস]
পরিচ্ছেদ ৩ঃ মসজিদে প্রবেশ ও বেড় হওয়ার দোআ
আবদুল মালিক ইবনি সাইদ ইবনি সুওয়াইদ হইতে বর্ণিতঃ
আমি আবু হুমাইদ (রাঃআঃ) বা আবু আনসারী (রাঃআঃ) কে বলিতে শুনিয়াছি, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশকালে যেন সর্বপ্রথম নাবী (সাঃআঃ) এর উপর সালাম পাঠ করে, অতঃপর যেন বলেঃ
اللَّهُمَّ افْتَحْ لِي أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ
আল্লাহুম্মাফ তাহলি আবওয়াবা রহমাতিকা, হে আল্লাহ্! আমার জন্য আপনার রহমতের দরজাগুলো খুলে দিন।
আর বের হওয়ার সময় যেন বলেঃ
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ
আল্লাহুম্মা ইন্নি আসালুকা মিন ফাদলিকা, হে আল্লাহ! আমি আপনার অনুগ্রহ প্রার্থনা করি।
[আবু দাউদ ৪৬৫, সহিহ হাদিস] [নাসাই ৭২৯, সহীহ]
[সহীহ মুসলিম ১৫৩৭. আবু উসায়দ [রাদি.] হইতে বর্ণীত]
[ইবনে মাজাহ ৭৭২, আবু হুমায়দ আস-সাইদী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিত, সহিহ]
আবু হুরাইরাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ তোমাদের যে কেউ মসজিদে প্রবেশকালে যেন নবী [সাঃআঃ] এর প্রতি সালাম পেশ করে, অতঃপর বলেঃ
اللَّهُمَّ افْتَحْ لِي أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ
আল্লাহুম্মাফ তাহলি আবওয়াবা রহমাতিকা, “হে আল্লাহ! আমার জন্য আপনার রহমতের দরজাসমূহ খুলে দিন”
এবং বের হওয়ার সময়ও যেন নবী [সাঃআঃ]-এর প্রতি সালাম পেশ করে, অতঃপর বলেঃ
اللَّهُمَّ اعْصِمْنِي مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ
“হে আল্লাহ! আপনি আমাকে বিতাড়িত শয়তান থেকে রক্ষা করুন। ”
[ইবনে মাজাহ ৭৭৩, সহিহ]
আলী ইবনি হুজর [রঃ] হইতে বর্ণীতঃ
ইসমাঈল ইবনি ইবরাহীম বলেছেন, আমি মক্কায় আবদুল্লাহ ইবনি হাসানের সাথে দেখা করে তাঁকে এ হাদীস প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলাম। তিনি আমার নিকট হাদীসটি এভাবে বর্ণনা করিলেন-“যখন তিনি [রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]] মসজিদে ঢুকতেন তখন বলিতেনঃ
رَبِّ افْتَحْ لِي بَابَ رَحْمَتِكَ
“রাব্বিফ্তাহ্লী বাবা রাহমাতিকা” এবং যখন বের হইতেন তখন বলিতেনঃ
رَبِّ افْتَحْ لِي بَابَ فَضْلِكَ
রাব্বিফ্তাহলী বাবা ফায্লিকা।
[তিরমিজি ৩১৫, সহীহ হাদীস]
ফাতিমা আল-কুবরা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] যখন মসজিদে ঢুকতেন তখন মুহাম্মাদের [স্বয়ং নিজের] প্রতি দুরুদ ও সালাম পাঠ করিতেন এবং বলিতেনঃ
رَبِّ اغْفِرْ لِي ذُنُوبِي وَافْتَحْ لِي أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ
“রাব্বিগফির লী যুনূবী ওয়াফতাহ্ লী আবওয়াবারাহমাতিকা।” যখন তিনি মসজিদ হইতে বের হইতেন তখনও মুহাম্মাদের [নিজের] প্রতি দুরুদ ও সালাম পাঠ করিতেন এবং বলিতেনঃ
رَبِّ اغْفِرْ لِي ذُنُوبِي وَافْتَحْ لِي أَبْوَابَ فَضْلِكَ
“রব্বিগফির লী যুনূবী ওয়াফতাহ্ লী আবওয়াবা ফাদলিকা।”
[তিরমিজি ৩১৪, সহীহ হাদীস]
ফাতিমাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মসজিদে প্রবেশকালে বলিতেনঃ
بِسْمِ اللَّهِ وَالسَّلاَمُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي ذُنُوبِي وَافْتَحْ لِي أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ
বিস্মিল্লা-হি ওয়াস্সালা-মু আলা রাসূলিল্লাহ, আল্লা-হুম্মাগফিরলি জুনুবি ওয়াফতাহলি আবওয়া রহ্কামাতিকা, “আল্লাহর নামে [প্রবেশ] এবং আল্লাহর রসূলকে সালাম। হে আল্লাহ ! আমার গুনাহসমূহ ক্ষমা করুন এবং আমার জন্য আপনার দয়ার দরজাসমূহ উন্মুক্ত করে দিন”।
তিনি [মসজিদ থেকে] বের হওয়ার সময় বলিতেনঃ
بِسْمِ اللَّهِ وَالسَّلاَمُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي ذُنُوبِي وَافْتَحْ لِي أَبْوَابَ فَضْلِكَ
বিস্মিল্লা-হি ওয়াস্সালা-মু আলা রাসূলিল্লাহ, আল্লা-হুম্মাগফিরলি জুনুবি ওয়াফতাহলি আবওয়া ফাদলিকা, “আল্লাহর নামে [প্রস্থান] এবং সালাম আল্লাহর রসূলকে। হে আল্লাহ! আমার গুনাহসমূহ ক্ষমা করুন এবং আমার জন্য আপনার অনুগ্রহের দরজাসমূহ উন্মুক্ত করে দিন।” {৭৬৯}
[ইবনে মাজাহ ৭৭১, সহিহ হাদিস]
“হে আল্লাহ! আপনি আমার জন্য আপনার রহমতের দরজাসমূহ খুলে দিন।”
মুসলিম ১/৪৯৪, নং ৭১৩; আর সুনান ইবন মাজায় ফাতিমা রাদিয়াল্লাহু আনহার হাদীসে এসেছে,
«اللهم اغفر لي ذنوبي وافتح لي أبواب رحمتك»
“হে আল্লাহ, আমার গুনাহ ক্ষমা করে দিন এবং আমার জন্য আপনার রহমতের দ্বারসমূহ অবারিত করে দিন”। আর শাইখ আলবানী অন্যান্য শাহেদ বা সম অর্থের বর্ণনার কারণে একে সহীহ বলেছেন। দেখুন, সহীহ ইবন মাজাহ্ ১/১২৮-১২৯।
পরিচ্ছেদ ৪ঃ মসজিদে বসে থাকার ফাযীলাত
৪৬৯. আবু হুরাইরাহ (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যতক্ষণ পর্যন্ত তার নামায আদায়ের স্থানে (জায়নামাযে) বসে থাকে ততক্ষণ মালায়িকাহ্ (ফেরেশতাগণ) তার জন্য দুআ করতে থাকেন। তার উযু নষ্ট হওয়া অথবা উঠে চলে যাওয়া পর্যন্ত মালায়িকাহ্ এই বলে দুআ করতে থাকেনঃ
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ اللَّهُمَّ ارْحَمْهُ
আল্লাহুম্মাগ ফিরহু আল্লাহুম্মার হামহু, হে আল্লাহ্! তাকে ক্ষমা করে দিন। হে আল্লাহ! তার প্রতি রহম করুন।
[আবু দাউদ ৪৬৯, ৪৭১, সহিহ হাদিস] তিরমিজি ৩৩০, সহীহ] [নাসাই ৭৩৩, সহীহ ] [রিয়াদুস সালেহীন ১০৬৯, সহীহ বুখারী ২১১৯, ৩২২৯, ৪৭১৭ ]
পরিচ্ছেদ ৫ঃ মসজিদ থেকে বের হওয়ার দো‘আ
বাম পা দিয়ে শুরু করবে এবং বলবে,
بِسْمِ اللَّهِ وَالصّلَاةُ وَالسَّلَامُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ، اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِك، اللَّهُمَّ اعْصِمْنِي مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ
(বিস্মিল্লা-হি ওয়াস্সালা-তু ওয়াস্সালা-মু ‘আলা রাসূলিল্লাহ, আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা মিন ফাদ্বলিকা, আল্লা-হুম্মা আ‘সিমনি মিনাশ শাইত্বানির রাজীম।)
আল-হাকিম, ১/২১৮; বাইহাকী, ২/৪৪২, আর শাইখ আলবানী তার সিলসিলাতুস সহীহায় একে হাসান হাদীস বলেছেন, ৫/৬২৪, নং ২৪৭৮। আর সেটার তাখরীজ পূর্বে গত হয়েছে।
“আল্লাহর নামে (বের হচ্ছি)। আল্লাহর রাসুলের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক। হে আল্লাহ! আপনি আমার গুনাসমূহ মাফ করে দিন এবং আমার জন্য আপনার দয়ার দরজাগুলো খুলে দিন। হে আল্লাহ, আমাকে বিতাড়িত শয়তান থেকে হিফাযত করুন”
Leave a Reply