পোশাক সম্পর্কিত হাদিস । পোশাক-পরিচ্ছেদ
পোশাক সম্পর্কিত হাদিস । পোশাক-পরিচ্ছেদ, এই অধ্যায়ে মোট =১০৭ টি হাদীস (৩৫৫০ – ৩৬৫৬) >> সুনানে ইবনে মাজাহ হাদিস এর মুল সুচিপত্র পড়ুন
পোশাক সম্পর্কিত হাদিস
পর্বঃ ৩২-পোশাক-পরিচ্ছেদ, অধ্যায়ঃ (১-৪৭)=৪৭টি, হাদীস (৩৫৫০ – ৩৬৫৬)
২৬/১. অধ্যায়ঃ রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর পোশাক
২৬/২. অধ্যায়ঃ কোন বেক্তি নতুন কাপড় পরিধানের সময় যে দুয়া পড়বে।
২৬/৩. অধ্যায়ঃ যেসব পোশাক পরিধান করিতে নিষেধ করা হইয়াছে
২৬/৪. অধ্যায়ঃ পশমী পোশাক পরিধান
২৬/৫. অধ্যায়ঃ সাদা পোশাক পরিধান
২৬/৬.অধ্যায়ঃ যে ব্যক্তি অহংকারবশে পরিধেয় বস্তু [পায়ের গোছার নীচে] ঝুলিয়ে দেয়।
২৬/৭. অধ্যায়ঃ পরিধেয় বস্ত্রের সর্বনিম্ন সীমা।
২৬/৮. অধ্যায়ঃ জামা পরিধান
২৬/৯. অধ্যায়ঃ জামা কতখানি লম্বা হইবে?
২৬/১০.অধ্যায়ঃ জামার হাতাহার দৈর্ঘ্য
২৬/১১. অধ্যায়ঃ জামার বোতাম খোলা রাখা
২৬/১২. অধ্যায়ঃ পায়জামা পরিধান
২৬/১৩. অধ্যায়ঃ স্ত্রীলোকের পরিধেয় বস্ত্রের আঁচল কতখানি [দীর্ঘ হইবে]?
২৬/১৪. অধ্যায়ঃ কালো পাগড়ি
২৬/১৫. অধ্যায়ঃ দু কাঁধের মাঝ বরাবর পাগড়ির প্রান্তভাগ ঝুলানো
২৬/১৬. অধ্যায়ঃ রেশমী বস্ত্র পরিধান নিষিদ্ধ
২৬/১৭. অধ্যায়ঃ যাকে রেশমী বস্ত্র পরিধানের অনুমতি দেয়া হইয়াছে
২৬/১৮. অধ্যায়ঃ কাপড়ে চিহ্ন লাগানোর অনুমতি
২৬/১৯. অধ্যায়ঃ মহিলাদের রেশমী বস্ত্র ও সোনা ব্যবহার
২৬/২০. অধ্যায়ঃ পুরুষদের লাল রংয়ের কাপড় ব্যবহার
২৬/২১. অধ্যায়ঃ পুরুষদের জন্য হলুদ রং-এর পোষাক পরিধান মাকরূহ
২৬/২২. অধ্যায়ঃ পুরুষ লোকেদের হলুদ বর্ণের পোষাক পরিধান
২৬/২৩. অধ্যায়ঃ অপচয় ও অহংকার এড়িয়ে তুমি যে কোন ধরনের পোশাক পরতে পার
২৬/২৪. অধ্যায়ঃ যে ব্যক্তি খ্যাতি লাভের মানসে পোশাক পরে
২৬/২৫. অধ্যায়ঃ যে ব্যক্তি মৃত জীবের চামড়া প্রক্রিয়াজাত করার পর পরিধান করে
২৬/২৬. অধ্যায়ঃ যে ব্যক্তি মৃত জীবের চামড়া ও শিরা কাজে লাগানো নাজায়েজ মনে করে
২৬/২৭. অধ্যায়ঃ নবী [সাঃআঃ] এর স্যান্ডেল
২৬/২৮. অধ্যায়ঃ জুতা পরিধান করা ও তা খুলে রাখা
২৬/২৯. অধ্যায়ঃ এক পায়ে জুতা পরে হাঁটা
২৬/৩০. অধ্যায়ঃ দাঁড়ানো অবস্থায় জুতা পরা
২৬/৩১. অধ্যায়ঃ কালো মোজা
২৬/৩২. অধ্যায়ঃ মেহেদির খেজাব
২৬/৩৩. অধ্যায়ঃ কালো খেজাব ব্যবহার
২৬/৩৪. অধ্যায়ঃ হলুদ রঙয়ের খেজাব ব্যবহার
২৬/৩৫. অধ্যায়ঃ যে ব্যক্তি খেযাব বর্জন করে
২৬/৩৬. অধ্যায়ঃ কেশ গুচ্ছবদ্ধ করা গুচ্ছহীন রাখা
২৬/৩৭. অধ্যায়ঃ লম্বা চুল অপছন্দনীয়
২৬/৩৮. অধ্যায়ঃ মাথার অংশবিশেষের চুল কামানো নিষেধ
২৬/৩৯. অধ্যায়ঃ আংটিতে নকশা করা
২৬/৪০. অধ্যায়ঃ সোনার আংটি পরা নিষেধ
২৬/৪১. অধ্যায়ঃ যে ব্যক্তি আংটির পাথর তাহার হাতের তালুর দিকে রাখে
২৬/৪২. অধ্যায়ঃ ডান হাতে আংটি পরা
২৬/৪৩. অধ্যায়ঃ বৃদ্ধাংগুলে আংটি পরা
২৬/৪৪. অধ্যায়ঃ ঘরে ছবি রাখা
২৬/৪৫. অধ্যায়ঃ পদদলিত হওয়ার স্থানের ছবি
২৬/৪৬. অধ্যায়ঃ লাল জিনপোশ ব্যাবহার
২৬/৪৭. অধ্যায়ঃ চিতা বাঘের চামড়ার উপর সওয়ার হওয়া
২৬/১. অধ্যায়ঃ রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর পোশাক
৩৫৫০ আয়েশা [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কারুকার্য খচিত একটি পশমী চাদর পরিহিত অবস্থায় সলাত আদায় করিলেন, অতঃপর বললেনঃ এই চাদরের কারুকার্য আমাকে অমনোযোগী করেছে। এটা আবু জাহমের নিকট নিয়ে যাও এবং আমার জন্য তাহার কারুকার্যবিহীন [আম্বেজানী] চাদর নিয়ে এসো।
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৫৫১ আবু বুরদাহ হইতে বর্ণীতঃ
আমি আয়েশা [রাদি.] এর নিকট প্রবেশ করিলে তিনি আমার সামনে ইয়ামানের তৈরী মোটা কাপড়ের একট লুঙ্গি এবং একটি কম্বল [বা চাদর] বের করিলেন এবং শপথ করে আমাকে বলিলেন, কাপড় দুটি পরিহিত অবস্থায় রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ইনতিকাল করেন।
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৫৫২ উবাদাহ ইবনিস সামিত [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] একটি চাদর পরিহিত অবস্থায় সলাত আদায় করেন, যা তিনি পিঠ দিয়ে বেঁধে রেখেছিলেন। {২৮৮৪}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সানাদটি দুর্বল।{২৮৮৪} হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন ।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৩৫৫৩ আনাস বিন মালিক [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
আমি নবী [সাঃআঃ]-এর সাথে ছিলাম। তাহাঁর পরনে ছিল মোটা পাড়যুক্ত একটি নাজরানী চাদর।
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৫৫৪ আয়েশা [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে কাউকে গালি দিতে শুনিনি এবং কাউকে তাহাঁর কাপড় ভাঁজ করে দিতেও দেখিনি। {২৮৮৬}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ দুর্বল।২৮৮৬. হাদিসটি ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন ।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৩৫৫৫ সাহল বিন সাদ আস-সাইদী [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
এক মহিলা একখানা চাদরসহ রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নিকট এসে বলল, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আপনার জন্য আমি নিজ হাতে এটা বুনেছি। চাদরের প্রয়োজন অনুভব করে রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তা গ্রহণ করিলেন, অতঃপর তা লুঙ্গীর মতো করে পরিধান করে আমাদের নিকট আসলেন। তখন অমুকের পুত্র অমুক এসে বলল, হে রাসূল! চাদরটা কী চমৎকার। এটা আমাকে পরতে দিন। রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ আচ্ছা। তিনি বাড়িতে গিয়ে চাদরটা ভাঁজ করে তাহার নিকট পাঠিয়ে দিলেন। লোকজন তাহাকে বলল, আল্লাহর শপথ! কাজটা তুমি ভালো করোনি। নবী [সাঃআঃ] প্রয়োজন অনুভব করেই তা পরেছিলেন। আর তুমি তাহাঁর নিকট তা চেয়ে নিলে! অথচ তুমি জানো যে তিনি কোন প্রার্থীকেই বিমুখ করেন না। সে বলল, আল্লাহর শপথ! আমি এটা পরার জন্য তাহাঁর কাছ থেকে চেয়ে নেইনি, বরং আমার কাফন বানানোর জন্য চেয়ে নিয়েছি। সাহল [রাদি.] বলেন, লোকটা যেদিন মারা গেল সেদিন সেটিই তাহার কাফন হলো।
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৫৫৬ আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] পশমী কাপড় পরেছেন, ছেঁড়া জুতা পরেছেন এবং মোটা কাপড়ও পরেছেন। {২৮৮৮}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ দুর্বল।২৮৮৮. হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন ।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
২৬/২. অধ্যায়ঃ কোন বেক্তি নতুন কাপড় পরিধানের সময় যে দুয়া পড়বে।
৩৫৫৭ আবু উমামাহ [রাদি.] বলেন, হইতে বর্ণীতঃ
উমার ইবনিল খাত্তাব [রাদি.] নতুন কাপড় পরে বলেন, “আলহামদু লিল্লাহিল্লাযী কাসানী মা উওয়ারী বিহি আওরাতী ওয়াতাজাম্মালু বিহি ফী হায়াতী” [সকল প্রশংসা আল্লাহর যিনি আমাকে এমন বস্ত্র পরিধান করিয়েছেন যা দিয়ে আমি আমার লজ্জাস্থান ঢাকতে পারি এবং আমার জীবনযাত্রাকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করিতে পারি]। অতঃপর তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে বলিতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি নতুন কাপড় পরিধানকালে এ দুআ পড়বে, “আলহামদু লিল্লাহিল্লাযী কাসানী উওয়ারী বিহি আওরাতী ওয়াতাজাম্মালু বিহি ফী হায়াতী”, অতঃপর পুরাতন কাপড়খানাও রেখে দেয়ার ইচ্ছা করে তা দান করে দেয় , তবে সে জীবনে ও মরণে আল্লাহর আশ্রয়ে ও আল্লাহর হিফাযাতে থাকিবে। কথাটি তিনি তিনবার বলেন। {২৮৮৯}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ দুর্বল।২৮৮৯. তিরমিজি ৩৫৬০ । মিশকাত ৪৩৭৪, আত তালীকুর রাগীব ৩/১০০, দঈফাহ ৪৬৪৯, দঈফ আল-জামি ৫৮২৭ ।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৩৫৫৮ ইবনি উমার [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] উমার [রাদি.]-র পরনে একটি সাদা জামা দেখিতে পেয়ে বলেনঃ তোমার এ কাপড় ধোয়া না নতুন? তিনি বলেন, না, বরং ধৌত করা। তিনি বলেনঃ নতুন কাপড় পরিধান করো, উত্তম জীবনযাপন করো এবং শহীদি মৃত্যু বরণ করো।
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৬/৩. অধ্যায়ঃ যেসব পোশাক পরিধান করিতে নিষেধ করা হইয়াছে
৩৫৫৯ আবু সাঈদ আল-খুদরী হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] কাপড় পরিধানের দুটি পদ্ধতি নিষিদ্ধ করিয়াছেন। অতএব সে দুটি পদ্ধতি হলোঃ [১] এক কাঁধ খোলা রেখে একই চাদর গোটা শরীরে জড়িয়ে নেয়া এবং [২] একই কাপড়ে পেট, উরু ও পায়ের গোছা ঢেকে নিতম্ব মাটিতে ঠেকিয়ে দুহাঁটু উঁচু করে বসা এবং লজ্জাস্থানে এর কোন অংশ না থাকা।
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৫৬০ আবু হুরাইরাহ [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কাপড় পরিধানের দুটি পদ্ধতি নিষিদ্ধ করেছেনঃ [১] এক কাঁধ খোলা রেখে একই চাদর সমস্ত শরীরে জড়িয়ে নেয়া এবং [২] একই কাপড়ে পেট, উরু ও পায়ের গোছা ঢেকে নিতম্ব মাটিতে ঠেকিয়ে দু হাঁটু উঁচু করে বসা এবং লজ্জাস্থানে এর কোন অংশ না থাকা।
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৫৬১ আয়েশা [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কাপড় পরিধানের দুটি পদ্ধতি নিষিদ্ধ করেছেনঃ [১] এক কাঁধ খোলা রেখে একই চাদর গোটা শরীরে জড়িয়ে নেয়া এবং। [২] একই কাপড়ে পেট, উরু ও পায়ের গোছা ঢেকে তোমার নিতম্ব মাটিতে ঠেকিয়ে দুহাঁটু উঁচু করে বসা এবং লজ্জাস্থানে এর কোন অংশ না থাকা।
তাহকিক আলবানীঃ সহীহ পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৬/৪. অধ্যায়ঃ পশমী পোশাক পরিধান
৩৫৬২ [আবু বুরদাহ] হইতে বর্ণীতঃ
আমার পিতা আমাকে বলিলেন, হে বৎস! বৃষ্টির সময় তুমি যদি রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাথে আমাদের দেখিতে তবে অবশ্যই তুমি আমাদের শরীরের গন্ধকে মেষের গন্ধ বলে অনুভব করিতে।
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৫৬৩ উবাদাহ ইবনিস সামিত [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
একদিন রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সংকীর্ণ হাতাবিশিষ্ট একটি রুমীয় পশমী জুব্বা পরিহিত অবস্থায় আমাদের নিকট বের হয়ে এলেন। তিনি সেটি পরিহিত অবস্থায় আমাদের সাথে সলাত আদায় করিলেন। এটি ছাড়া তাহার শরীরে উপরাংশে আর কিছু ছিলো না। {২৮৯৫}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ দুর্বল। ২৮৯৫. হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন ।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৩৫৬৪ সালমান ফারিসী [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] উযু করার পর তাহাঁর পশমী জুব্বা উল্টিয়ে তা দিয়ে তাহাঁর মুখমণ্ডল মুছলেন। {২৮৯৬}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ দুর্বল ২৮৯৬. হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন ।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৩৫৬৫ আনাস বিন মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে মেষ পালের কানে দাগ দিতে দেখেছি এবং তাহাঁকে একটি চাদর পরিহিত অবস্থায় দেখেছি। {২৮৯৭} তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাদিসটি সহীহ কিন্তু সানাদটি দুর্বল {২৮৯৭} সহিহুল বুখারী ৫৫৪২, মুসলিম ২১১৯, আবু দাঊদ ২৫৬৩, আহমাদ ১২৩৩৯, ১৩২৫১, ১৩৩১২ ।উক্ত হাদিসের রাবি সুওয়ায়দ বিন সাঈদ সম্পর্কে আবুল হাসান বিন সুফইয়ান আল-কূফী বলেন, তিনি দুর্বল। আবুল কাসিম আল-বাগাবী বলেন, তিনি হুফফাযদের একজন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদি তবে হাদিস বর্ণনায় অধিক তাদলীস করেন। আহমাদ বিন শুআয়ব আন নাসাঈ বলেন, তিনি সিকাহ নয়। [তাহজিবুল কামালঃ রাবি নং ২৬৪৩, ১২/২৪৭ নং পৃষ্ঠা]পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ অন্যান্য
২৬/৫. অধ্যায়ঃ সাদা পোশাক পরিধান
৩৫৬৬ ইবনি আব্বাস[রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমাদের পোশাকের মধ্যে উত্তম পোশাক হল সাদা পোশাক। অতএব তোমরা সাদা রংয়ের পোশাক পরো এবং তা দিয়ে মৃতদের কাফন দাও। [বুখারী, মুসলিম, দাঊদ ও তিরমিজি]
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৫৬৭ সামুরাহ বিন জুনদুব [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলেছেন, “তোমরা সাদা রংয়ের পোষাক পরিধান করো। কেননা তা অধিক পবিত্র ও উত্তম।”
তাহক্বীক আলবানীঃ সহীহ।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৫৬৮ আবু দারদা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলেছেনঃ তোমাদের কবরসমূহে ও মসজিদসমূহে আল্লাহ তাআলার সাথে সাদা পোষাকে সাক্ষাত করাই তোমাদের জন্যে উত্তম। {২৯০০}
তাহক্বীক আলবানীঃ বানোয়াট।{২৯০০} হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন।আত-তালীকুর রাগীব ৩/৫৭, মিশকাত ৪৩৮২।উক্ত হাদিসের রাবি ১. আব্দুল মাজীদ বিন আবু রাওওয়াদ সম্পর্কে আবুল কাসিম বিন বিশকাওয়াল বলেন, মক্কায় তাহাকে দুর্বলতায় স্পর্শ করেছিলো।আবু হাতিম আর রাযী বলেন, তাহার থেকে হাদিস গ্রহণ করা যায় তবে তিনি নির্ভরযোগ্য নন।আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি প্রত্যাখানযোগ্য।ইবনি হাজার আল-আসকালনী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন।[তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৩৫১০, ১৮/২৭১ নং পৃষ্ঠা]২.মারওয়ান বিন সালিম সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তাহার হাদিস নির্ভরযোগ্য নয়।আবু বাকর আল-বাযযাহার বলেন, তিনি যাচাই-বাছাই ছাড়া হাদিস গ্রহণ করেন ও তা বর্ণনা করেন।আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল।আবু আরুবাহ আর-হাররানী বলেন, তিনি জাল [বানোয়াট] হাদিস বর্ণনা করিতেন।[তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৫৮৭৩, ২৭/৩৮২ নং পৃষ্ঠা]পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ জাল হাদিস
২৬/৬.অধ্যায়ঃ যে ব্যক্তি অহংকারবশে পরিধেয় বস্তু [পায়ের গোছার নীচে] ঝুলিয়ে দেয়।
৩৫৬৯ ইবনি উমার [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলেনঃ যে ব্যক্তি অহংকারবশে নিজের পরিধেয় বস্ত্র গোছার নীচে পর্যন্ত ঝুলিয়ে পরিধান করে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাহার দিকে তাকাবেন না।
তাহক্বীক আলবানীঃ সহীহ।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৫৭০ আবু সাঈদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি অহংকারে মত্ত হয়ে তাহার পরিধেয় বস্ত্র গোছার নীচে পর্যন্ত ঝুলিয়ে পরবে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাহার দিকে তাকাবেন না। রাবী আমাশ [রাদি.] বলেন, আমি বালাত নামক স্থানে বিন উমার [রাদি.] এর সাথে সাক্ষাত করে নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] থেকে আবু সাঈদ [রাদি.] বর্ণিত হাদিসটি তাহার নিকট পেশ করলাম। তিনি তাহার দুকানের দিকে ইশারা করে বলেন, আমার এ দুকান তা শুনেছে এবং আমার অন্তর তা আত্মস্থ করেছে।
তাহক্বীক আলবানীঃ সহীহ। পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৫৭১ আবু সালামাহ হইতে বর্ণীতঃ
আবু হুরাইরাহ [রাদি.]-এর পাশ দিয়ে এক কুরাইশ যুবক তাহার পরিধেয় বস্ত্র পায়ের গোছার নীচে পর্যন্ত ঝুলিয়ে যাচ্ছিল। তিনি বলিলেন, হে ভাতিজা! আমি রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম]-কে বলিতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি অহংকারবশে তাহার পরিধেয় বস্ত্র গোছার নীচে পর্যন্ত ঝুলিয়ে পরে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাহার দিকে তাকাবেন না। {২৯০৩}
তাহক্বীক আলবানীঃ হাসান সহীহ।{২৯০৩} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ৫৭৮৮, মুসলিম ২০৮৭, আহমাদ ৮৭৭৮, ৮৯১০,৯০৫০, ৯২৭০, ৯৫৪৫, ২৭২৫৩, ৯৮৯১। মুওয়াত্তা মালিক ১৬৯৭।আত তালীকুর রাগীব ৩/৯৮।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ হাসান সহীহ
২৬/৭. অধ্যায়ঃ পরিধেয় বস্ত্রের সর্বনিম্ন সীমা।
৩৫৭২ হুযায়ফাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] আমার [অপর বর্ণনায় তাহাঁর নিজের] জঙ্ঘার পশ্চাদভাগ ধরে বললেনঃ এই হলো লুঙ্গির [সর্বনিম্ন] স্থান। তুমি যদি তা মানতে না চাও তবে আরো নীচে, যদি তাও মানতে না চাও আরো নীচে [নামাতে পারো]। যদি তুমি তাও মানতে না চাও তবে পায়ের গোছার নীচে যাওয়ার অধিকার লুঙ্গির নাই।
উক্ত হাদিসের রাবি আতিয়্যাহ সম্পর্কে আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি দুর্বল, তাহার হাদিস দলিলযোগ্য নয়। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি দুর্বল। আবু যুরআহ আর রাযী বলেন, তিনি যাচাই বাছাই ছাড়া হাদিস গ্রহণ করেন ও তা বর্ণনা করেন। আহমাদ বিন হাম্বাল বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আহমাদ শুয়ায়ব আন নাসাঈ বলেন, তিনি দুর্বল। ইবনি হাজার আল-আসকালনী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। ঈমাম যাহাবী ও ঈমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি দুর্বল। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৩৯৫৬, ২০/১৪৫ নং পৃষ্ঠা]
{উপরোক্ত হাদিসের মোট ২টি সানাদের ১টি বর্ণিত হইয়াছে, অপর সানাদটি হলো}ঃ২/৩৫৭২[১]. হুযায়ফাহ [রাদি.], নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] সূত্রে পূর্বোক্ত হাদিসের অনুরুপ বর্ণিত আছে।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৫৭৩ আব্দুর রহমান হইতে বর্ণীতঃ
আমি আবু সাঈদ [রাদি.] কে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কি রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম]-এর নিকট লুঙ্গি সম্পর্কে কিছু শুনেছেন? তিনি বলেন, হ্যাঁ। আমি রাসূলুল্লাহ [সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম]-কে বলিতে শুনেছিঃ মুমিন ব্যক্তির লুঙ্গি তাহার দু জঙ্ঘার মধ্যাংশ পর্যন্ত [প্রলম্বিত হইতে পারে], তবে জঙ্ঘা থেকে গোছা পর্যন্ত [প্রলম্বিত হওয়ায়] কোন দোষ নেই। কিন্তু গোছার নিম্নাংশে পৌঁছুলে তা জাহান্নামে যাবে। এ কথা তিনি তিনবার বলেছেন। যে ব্যক্তি অহংকারবশে তাহার লুঙ্গি [গোছার নীচে] ঝুলিয়ে পরে আল্লাহ তাহার দিকে তাকাবেন না।
তাহক্বীক আলবানীঃ সহীহ।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৫৭৪ মুগীরাহ বিন শুবাহ [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বললেনঃ হে সুফিয়ান বিন সাহল! পরিধেয় বস্ত্র [গোছার নীচে] ঝুলিয়ে পরো না। কারণ আল্লাহ তাআলা এভাবে পরিধেয় বস্ত্র ঝুলিয়ে পরিধানকারীদের পছন্দ করেন না।
{২৯০৬} তাহক্বীক আলবানীঃ হাসান।{২৯০৬} আহমাদ ১৭৬৮৫, ১৭৭২১, ১৭৭৫০।আত তালীকুর রাগীব ৩/৯৮, সহীহাহ ৪৮২৩।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ হাসান হাদিস
২৬/৮. অধ্যায়ঃ জামা পরিধান
৩৫৭৫ উম্মু সালামাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম]-এর নিকট জামার চেয়ে অধিক প্রিয় কোন পোষাক ছিলো না।
তাহক্বীক আলবানীঃ সহীহ ।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৬/৯. অধ্যায়ঃ জামা কতখানি লম্বা হইবে?
৩৫৭৬ আব্দুল্লাহ বিন উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলেনঃ ” ইসবা [পায়ের গোছার নীচে পর্যন্ত ঝুলিয়ে পরিধান] লুঙ্গি, জামা ও পাগড়ীর বেলায়ই হয়ে থাকে। যে ব্যক্তি অহংকারবশে কোন কিছু [পায়ের গোছার নীচে] ঝুলিয়ে পরে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাহার দিকে ফিরে তাকাবেন না। রাবী আবু বাকর [রাদি.] বলেন, হাদিসটি সানাদের দিক দিয়ে কিছুটা অপ্রসিদ্ধ।
তাহক্বীক আলবানীঃ সহীহ। পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৬/১০.অধ্যায়ঃ জামার হাতাহার দৈর্ঘ্য
৩৫৭৭ ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] দৈর্ঘ্য-প্রস্থে ক্ষুদ্র হাতা-বিশিষ্ট জামা পরিধান করিতেন। {২৯০৯}
তাহক্বীক আলবানীঃ দুর্বল। {২৯০৯} হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন।দঈফাহ ২৪৫৮।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
২৬/১১. অধ্যায়ঃ জামার বোতাম খোলা রাখা
৩৫৭৮ কুররাহ বিন ইয়াস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আমি রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম]-এর নিকট এসে তাহাঁর হাতে বাইআত হলাম। তাহাঁর জামার বোতামগুলো খোলা ছিল। রাবী উরওয়াহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, তাই আমি শীতকালে বা গ্রীষ্মকালে মুআবিয়া ও তাহার ছেলের জামার বোতাম খোলা রাখতে দেখেছি।
তাহক্বীক আলবানীঃ সহীহ।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৬/১২. অধ্যায়ঃ পায়জামা পরিধান
৩৫৭৯ সুওয়ায়দ বিন কায়স [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] আমাদের এখানে এসে দরদাম করে পায়জামা খরিদ করিলেন।
তাহক্বীক আলবানীঃ সহীহ ।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৬/১৩. অধ্যায়ঃ স্ত্রীলোকের পরিধেয় বস্ত্রের আঁচল কতখানি [দীর্ঘ হইবে]?
৩৫৮০ উম্মু সালামাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম]-কে জিজ্ঞেস করা হলো, কোন নারী তাহার পরিধেয় বস্ত্রের আঁচল কতখানি [নীচে] ঝুলিয়ে পরতে পারে? তিনি বলেন, [গোড়ালী থেকে] এক বিঘত পরিমাণ [উপরে রাখবে]। আমি বললাম, এতে তো তাহার পা উদাম হয়ে থাকিবে। তিনি বলেন, তাহলে সে এক হাত পরিমাণ নীচে ঝুলিয়ে রাখবে, তাহার বেশী নয়।
তাহক্বীক আলবানীঃ সহীহ।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৫৮১ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম]-এর স্ত্রীগণকে এক হাত পরিমাণ আঁচল লম্বা করার অনুমতি দেয়া হয়েছিল। নারীরা আমাদের নিকট এলে আমরা তাহাদেরকে কাঠি দ্বারা এক হাত পরিমাণ মেপে দেখিয়ে দিতাম। {২৯১৩}
তাহক্বীক আলবানীঃ القصب শব্দ ব্যতীত সহীহ।{২৯১৩} তিরমিজি ১৭৩১, নাসাঈ ৫৩৩৬, আবু দাউদ ৪১১৯। উক্ত হাদিসের রাবি যায়দ আল-আম্মী সম্পর্কে আবুল ফারাজ ইবনিল জাওযী তাহার মাওদুআত গ্রন্হে তাহাকে উল্লেখ করিয়াছেন।আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তাহার থেকে হাদিস গ্রহণ করা যায় তবে তা দলীলযোগ্য হইবে না, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল।আবু নুআয়ম আল-আসবাহানী বলেন, তাহার মাঝে দুর্বলতা রয়েছে।আহমাদ বিন সালিহ আল-জায়লী বলেন, তিনি দুর্বল।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৫৮২ আবু হুরাইরাহ [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] ফাতিমাহ [রাদি.] অথবা উম্মু সালামাহ [রাদি.]-কে বলেনঃ তোমার পরিধেয় বস্ত্রের আঁচল এক হাত পরিমাণ লম্বা হইতে পারে।
তাহক্বীক আলবানীঃ সহীহ। পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৫৮৩ আয়েশা [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] নারীদের পরিধেয় বস্ত্রের আঁচল সম্পর্কে বলেনঃ তা এক বিঘত পরিমাণ [গোড়ালীর উপরে থাকিবে]। আয়েশা [রাদি.] বলিলেন, তাহলে তো তাহাদের পায়ের জঙ্ঘা অনাবৃত হয়ে যাবে। তিনি বলেনঃ তবে এক হাত পরিমাণ [নীচের দিকে] লম্বা হইবে।
তাহক্বীক আলবানীঃ সহীহ।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৬/১৪. অধ্যায়ঃ কালো পাগড়ি
৩৫৮৪ আমর বিন হুরায়স [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
আমি নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম]-কে কালো পাগড়ী পরিহিত অবস্থায় মিম্বারের উপর খুতবা দিতে দেখেছি।
তাহক্বীক আলবানীঃ সহীহ।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৫৮৫ জাবির [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] মক্কা বিজয়ের দিন কালো পাগড়ী পরিহিত অবস্থায় [মক্কায়] প্রবেশ করেন।
তাহক্বীক আলবানীঃ সহীহ।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৫৮৬ ইবনি উমার [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] মক্কা বিজয়ের দিন কালো পাগড়ী পরিহিত অবস্থায় [মক্কায়] প্রবেশ করেন।
তাহক্বীক আলবানীঃ সহীহ।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৬/১৫. অধ্যায়ঃ দু কাঁধের মাঝ বরাবর পাগড়ির প্রান্তভাগ ঝুলানো
৩৫৮৭ আমর বিন হুরায়স [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
আমি যেন রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে তাহাঁর মাথার কালো পাগড়ি পরিহিত অবস্থায় দেখিতে পাচ্ছি। তিনি তাহাঁর পাগড়ির দুপ্রান্ত তাহাঁর দুকাঁধের মাঝ বরাবর ঝুলিয়ে দিয়াছিলেন।
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৬/১৬. অধ্যায়ঃ রেশমী বস্ত্র পরিধান নিষিদ্ধ
৩৫৮৮ আনাস বিন মালিক [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি দুনিয়াতে রেশমী বস্ত্র পরিধান করিল, আখেরাতে সে তা পরিধান করিতে পারবেনা।
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৫৮৯ বারা বিন আযিব [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] দীবাজ, হারীর ও ইসতাবরাক নিষিদ্ধ করিয়াছেন।
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৫৯০ হুযায়ফা [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] রেশমী বস্ত্র ও সোনার ব্যবহার নিষিদ্ধ করিয়াছেন এবং বলেছেনঃ এটা দুনিয়াতে তাহাদের [কাফেরদের] জন্য এবং আখেরাতে আমাদের জন্য।
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৫৯১ আবদুল্লাহ বিন উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, উমার ইবনিল খাত্তাব [রাদি.] লাল বর্ণের একটি হুল্লা [রেশম মিশ্রিত চাদর] দেখে বলিলেন, হে আল্লাহর রাসূল! প্রতিনিধি দলকে সাক্ষাত দানকালে এবং জুমুআর দিন ব্যবহারের জন্য যদি আপনি এটা কিনতেন! রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ এটা এমন লোকে পরতে পারে, আখেরাতে যাহার কোন অংশ নেই।
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৬/১৭. অধ্যায়ঃ যাকে রেশমী বস্ত্র পরিধানের অনুমতি দেয়া হইয়াছে
৩৫৯২ আনাস বিন মালিক [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যুবায়র ইবনিল আওওয়াম ও আবদুর রহমান বিন আওফ [রাদি.] কে তাহাদের চর্মরোগের কারণে রেশমী জামা পরার অনুমতি দেন।
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।
২৬/১৮. অধ্যায়ঃ কাপড়ে চিহ্ন লাগানোর অনুমতি
৩৫৯৩ উমার [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
তিনি হীরার ও দীবাজ এতটুকু পরিমাণের অধিক ব্যবহার করিতে নিষেধ করিতেন। অতঃপর তিনি তাহাঁর হাতের প্রথম আংগুল, এরপর দ্বিতীয়টি, এরপর তৃতীয়টি এবং এরপর চতূর্থটি দিয়ে ইশারা করিলেন। তিনি আরও বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদেরকে রেশমী বস্ত্র ব্যবহার করিতে নিষেধ করিতেন।
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৫৯৪ আসমা বিনতু আবু বাকর [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
[আবু উমার] বলেন, আমি ইবনি উমার [রাদি.] কে রেশমী বস্ত্রের প্রান্তযুক্ত একটি পাগড়ী ক্রয় করিতে দেখলাম। অতঃপর তিনি কাঁচি আনিয়ে তা কেটে ফেলেন। আমি আসমা [রাদি.] এর নিকট প্রবেশ করে বিষয়টি তাহাঁর নিকট উল্লেখ করলাম। তিনি বলেন, আবদুল্লাহর জন্য দুঃখ হয়। হে মেয়ে! রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর জুব্বাটা নিয়ে এসো। সে জুব্বাটি নিয়ে আসলো, যাহার দুই হাতা, গলা ও বুকে রেশমের ফিতা লাগানো ছিল।
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৬/১৯. অধ্যায়ঃ মহিলাদের রেশমী বস্ত্র ও সোনা ব্যবহার
৩৫৯৫ আলী বিন আবু তালিব [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর বাম হাতে কিছু রেশমী বস্ত্র এবং ডান হাতে কিছু সোনা নিলেন এবং সেগুলো সহ তাহাঁর দুহাত উপরে তুলে বলেনঃ আমার উম্মতের পুরুষদের জন্য এ দুটির ব্যবহার হারাম এবং তাহাদের মহিলাদের জন্য হালাল।
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৫৯৬ আলী [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে রেশমী সূচীকর্ম খচিত একটি চাদর উপহার দেয়া হলো, যাহার টানা অথবা পড়ন ছিল রেশমী সূতাহার। তিনি সেটি লোক মারফত আমার নিকট পাঠিয়ে দিলেন। আমি তাহাঁর নিকট এসে বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! এটা দিয়ে আমি কি করিব, আমি কি এটা পরবো? তিনি বলেনঃ না, এটা দ্বারা ফাতেমার ওড়না বানিয়ে দাও।
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৫৯৭ আবদুল্লাহ বিন আমর [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বের হয়ে আমাদের নিকট এলেন। তাহাঁর এক হাতে ছিল একটি রেশমী বস্ত্র এবং অপর হাতে ছিল এক টুকরা সোনা। তিনি বলেনঃ এ দুটি জিনিস আমার উম্মাতের পুরুষদের জন্য হারাম এবং তাহাদের মহিলাদের জন্য হালাল।
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৫৯৮ আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর কন্যা যায়নাব [রাদি.]র পরিধানে লাল রং-এর রেশমী কাপড়ের জামা দেখেছি। {২৯৩০}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ শায তবে যায়নাব এর স্থানে উম্মু কুলসুম হলে হাদিসটি মাহফূয হইবে।{২৯৩০} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ৫৮৪২, নাসাঈ ৫২৯২, ৫২৯৭, আবু দাউদ ৪০৫৮ ।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ অন্যান্য
২৬/২০. অধ্যায়ঃ পুরুষদের লাল রংয়ের কাপড় ব্যবহার
৩৫৯৯ বারা বিন আযিব [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
লাল রং-এর পোশাকে ও পরিপাটি চুলে রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর চেয়ে অধিক সুন্দর আর কাউকে দেখিনি।
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৬০০ বুরায়দাহ [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] খুতবা দিচ্ছিলেন। তখন [শিশু] হাসান ও হোসাইন [রাদি.] লাল জামা পরিহিত অবস্থায় আছাড়-পাছাড় খেতে খেতে সামনে এসে দাঁড়ালেন। নবী [সাঃআঃ] মিম্বার থেকে নেমে এসে তাহাদের উভয়কে তাহাঁর কোলে তুলে নিলেন এবং বললেনঃ আল্লাহ ও তাহাঁর রাসূল সত্য বলেছেন, “তোমাদের সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি তো পরীক্ষা বিশেষ” [সূরা তাগাবুনঃ১৫]। এ দুজনকে দেখে আমি র্ধৈয ধারণ করিতে পারলাম না। অতঃপর তিনি আবার খুতবা দিতে শুরু করেন।
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৬/২১. অধ্যায়ঃ পুরুষদের জন্য হলুদ রং-এর পোষাক পরিধান মাকরূহ
৩৬০১ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মুফাদ্দাম পরতে নিষেধ করিয়াছেন। রাবী ইয়াযিদ [রাদি.] বলেন, আমি হাসান বিন সুহায়লকে জিজ্ঞেস করলাম মুফাদ্দাম কী? তিনি বলেন, হলুদ রং-এ রঞ্জিত বস্ত্র।
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৬০২ আবদুল্লাহ বিন হুনায়ন হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি আলী [রাদি.] কে বলিতে শুনিয়াছি, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে এবং আমি বলি না যে, তোমাদেরকেও হলুদ রং-এ রঞ্জিত পোশাক পরতে নিষেধ করিয়াছেন।
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৬০৩ আবদুল্লাহ বিন আমর ইবনিল আস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আমরা রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাথে আযাখির উপত্যকা থেকে আসছিলাম। তিনি আমার দিকে তাকালেন, আমার পরনে ছিল হলুদ রং-রঞ্জিত লুঙ্গি। তিনি বলেনঃ এটা কী? আমি তাহাঁর কিসে অপছন্দ তা অনুভব করলাম। আমি আমার পরিজনের কাছে এলাম, তখন তাহারা তাহাদের চুলায় আগুন ধরাচ্ছিল। আমি লুঙ্গিটি চুলায় নিক্ষেপ করলাম। পরদিন সকালে আমি তাহাঁর নিকট গেলে তিনি বলেনঃ হে আবদুল্লাহ! লুঙ্গিটা কি করেছো? বিষয়টি আমি তাহাঁকে অবহিত করলাম। তিনি বলেন, তোমার পরিবারের কাউকে তা পরতে দিলে না কেন? কেননা নারীদের এই রং ব্যবহারে কোন আপত্তি নেই। {২৯৩৫}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান।{২৯৩৫} আবু দাউদ ৪০৬৬, ৪০৩৮, আহমাদ ৬৮১৩ ।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ হাসান হাদিস
২৬/২২. অধ্যায়ঃ পুরুষ লোকেদের হলুদ বর্ণের পোষাক পরিধান
৩৬০৪ কায়স বিন সাদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] আমাদের নিকট আসেন। আমরা তাহাঁর ঠান্ডা হওয়ার জন্য পানি রাখি। তিনি গোসল করিলেন। আমি তাহাঁর জন্য হলুদ রং-এর একটি চাদর নিয়ে এলাম। আমি তাহাঁর পিঠে হলুদ রং-এর ছাপ দেখিতে পেলাম। {২৯৩৬}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ দুর্বল।{২৯৩৬} আবু দাউদ ৫১৮৫, আহমাদ ১৫০৫০, ২৩৩৩২ ।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
২৬/২৩. অধ্যায়ঃ অপচয় ও অহংকার এড়িয়ে তুমি যে কোন ধরনের পোশাক পরতে পার
৩৬০৫ আবদুল্লাহ বিন আমর ইবনিল আস [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা পানাহার করো, দান-খয়রাত করো এবং পরিধান করো যাবত না তাহার সাথে অপচয় বা অহংকার যুক্ত হয়। {২৯৩৭}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান।{২৯৩৭} আহমাদ ৬৬৫৬, ৬৬৬৯। মিশকাত ৪৩৮১ ।হাদিস এর তাহকিকঃ হাসান হাদিস
২৬/২৪. অধ্যায়ঃ যে ব্যক্তি খ্যাতি লাভের মানসে পোশাক পরে
৩৬০৬ ইবনি উমার [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি খ্যাতি লাভের মানসে পোশাক পরে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাহাকে অপমানের পোশাক পরাবেন। {২৯৩৮}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান।{২৯৩৮} আবু দাউদ ৪০২৯, আহমাদ ৫৬৩১, ৬২০৯ । মিশকাত ৪৩৪৬, হিযবুল মারআহ ৮৮ নং পৃষ্ঠা ।হাদিস এর তাহকিকঃ হাসান হাদিস
৩৬০৭ আবদুল্লাহ বিন উমার [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি দুনিয়াতে যশ লাভের উদ্দেশ্যে পোশাক পরে আল্লাহ কিয়ামতের দিন তাহাকে অপমানের পোশাক পরাবেন, অতঃপর তাতে অগ্নিসংযোগ করবেন। {২৯৩৯}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান {২৯৩৯} আবু দাউদ ৪০২৯, আহমাত ৫৬৩১,৬২০৯। আত তালীকুর রাগীব৩/১১২, হিজাবুল মারআহ১১০।হাদিস এর তাহকিকঃ হাসান হাদিস
৩৬০৮ আবু যাহার [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] বলেনঃ যে ব্যাক্তি যশের পোশাক পরে, আল্লাহ তাহার প্রতি ভ্রক্ষেপ করবেন না যাবত না তাহাকে যেখানে ইচ্ছা ফেলে রাখেন। {২৯৪০}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ দুর্বল।{২৯৪০} হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ একক ভাবে বর্ননা করিয়াছেন। আত তালীকুর রাগীব ৩/১১২. দঈফ আল- জামি ৫৮২৮।হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
২৬/২৫. অধ্যায়ঃ যে ব্যক্তি মৃত জীবের চামড়া প্রক্রিয়াজাত করার পর পরিধান করে
৩৬০৯ ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আমি রাসুল [সাঃআঃ] কে বলিতে শুনেছিঃ যে কোন চামড়া প্রক্রিয়াজাত করা হলেই তা পাক হয়ে যায়।
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৬১০ মায়মূনাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তাহার মুক্তদাসীকে যাকাত থেকে একটা বকরী দান করেছিলেন। বকরীটি মারা গেলে তা ফেলে দেয়া হলো। নবী [সাঃআঃ] সেটির পাশ অতিক্রমকালে বলেনঃ এরা এর চামড়া খুলে নিলো না কেন, এটা প্রক্রিয়াজাত করে কাজে লাগাতে পারতো! সাহাবীগন বলিলেন হে আল্লাহর রাসুল! এটা তো মৃত। তিনি বলেনঃ মৃত জীব খাওয়া হারাম।
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৬১১ সালমান আল ফারিসী [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন কোন এক উম্মুল মুমিনীনের বকরি মারা গেল। রাসুল [সাঃআঃ] সেটি অতিক্রমকালে বলেনঃ তাহারা এর চামড়াটা কাজে লাগালে তাহাদের কোন ক্ষতি হতো না।
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৬১২ আয়েশা [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] চামড়া প্রক্রিয়াজাত করার পর তা কাজে লাগাতে নির্দেশ দিয়েছেন। {২৯৪৪}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ দুর্বল।{২৯৪৪} নাসাঈ ৪২৫২; আবুদাউদ ৪১২৪; আহমেদ ২৩৯২৬;২৪২০৯;২৪৬৩১;২৪৬৭০;২৪৬৮৮; মুয়াত্তা মালিক ১০৮০; দারেমী ১৯৮৭। রাওদুন নাদীর ৭৭২।
২৬/২৬. অধ্যায়ঃ যে ব্যক্তি মৃত জীবের চামড়া ও শিরা কাজে লাগানো নাজায়েজ মনে করে
৩৬১৩ আব্দুল্লাহ বিন উকায়ম [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
আমাদের নিকট এই মর্মে নবী [সাঃআঃ] এর নির্দেশনামা এলোঃ তোমরা মৃতজীবের চামড়া ও শিরা কোন কাজে ব্যবহার করো না।
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৬/২৭. অধ্যায়ঃ নবী [সাঃআঃ] এর স্যান্ডেল
৩৬১৪ আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] এর জুতাজোড়ার সামনের দিকে দুটি ফিতা ছিলো।
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৬১৫ আনাস [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ]-এর জুতা জোড়ার দুটি ফিতা ছিল।
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৬/২৮. অধ্যায়ঃ জুতা পরিধান করা ও তা খুলে রাখা
৩৬১৬ আবু হুরাইরাহ [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
রাসুল [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমাদের কেউ জুতা পরিধানের সময় যেন ডান পায়ে আগে পরে, এবং খোলার সময় যেন বাম পায়ের জুতা আগে খোলে।
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।
২৬/২৯. অধ্যায়ঃ এক পায়ে জুতা পরে হাঁটা
৩৬১৭ আবু হুরাইরাহ [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
রাসুল [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন এক পায়ে জুতা পরে বা এক পায়ে মোজা পরে না হাঁটে। হয় সে উভয় পায়ে জুতা পরবে, অন্যথায় উভয় পা খোলা রাখবে [বুখারী, মুসলীম ও তিরমিজি]।
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান সহীহ।
২৬/৩০. অধ্যায়ঃ দাঁড়ানো অবস্থায় জুতা পরা
৩৬১৮ আবু হুরাইরাহ [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
রাসুল [সাঃআঃ] কোন ব্যক্তিকে দাঁড়ানো অবস্থায় জুতা পরতে নিষেধ করিয়াছেন।
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৬১৯ ইবনি উমার [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] কোন ব্যক্তিকে দাঁড়ানো অবস্থাই জুতা পরতে নিষেধ করিয়াছেন।
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৬/৩১. অধ্যায়ঃ কালো মোজা
৩৬২০ বুরায়দাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাজ্জাসী [রাদি.] রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে মিশমিশে কালো রংয়ের একজোড়া মোজা উপটৌকন দেন। তিনি তা পরিধান করেন। {২৯৫২}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান।{২৯৫২} আবু দাউদ ১৫৫।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ হাসান হাদিস
২৬/৩২. অধ্যায়ঃ মেহেদির খেজাব
৩৬২১ আবু হুরাইরাহ [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] বলেনঃ ইহুদী ও খৃস্টানরা খেযাব ব্যবহার করেনা। সুতরাং তোমরা তাহাদের বিপরীত করো।
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৬২২ আবু যাহার [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
রাসুল [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যেসব জিনিস দিয়ে তোমরা বার্ধক্যকে পরিবর্তন করিতে পারো তাহার মধ্যে মেহেদী ও কাতাম হলো সর্বোত্তম।
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৬২৩ উসমান বিন মাওহাব হইতে বর্ণীতঃ
আমি উম্ম সালামা [রাদি.] এর নিকট প্রবেশ করলাম। রাবী বলেন, তিনি আমার সামনে রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর চুল বের করিলেনঃ যা মেহেদী ও কাতাম দ্বারা রঞ্জিত ছিল।
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৬/৩৩. অধ্যায়ঃ কালো খেজাব ব্যবহার
৩৬২৪ জাবির [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
মক্কা বিজয়ের দিন আবু কুহাফাকে নবী [সাঃআঃ] এর নিকট আনা হলো। তাহার মাথার চুল ছিল ধবধবে সাদা। রাসুল [সাঃআঃ] বলেন, তোমরা তাহাকে তাহার কোন স্ত্রীর নিকট নিয়ে যাও এবং সে যেন তাহার [চুলের] রং পরিবর্তন করে দেয়। তবে তোমরা তাহার জন্য কালো রং পরিহার করো।
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৬২৫ সুহায়ব আল খায়র [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
রাসুল [সাঃআঃ] বলেছেন, তোমরা যা দিয়ে চুল রঙ্গিন করো তাহার মধ্যে এই কালো খেযাব খুবই উত্তম। তাতে তোমাদের প্রতি নারীদের আকর্ষন আছে এবং জিহাদে তা তোমাদের শত্রুদের মধ্যে ভীতি সৃষ্টিকর। {২৯৫৭}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ দুর্বল।{২৯৫৭} হাদিস টি ঈমাম ইবনি মাজাহ একক ভাবে বর্ননা করিয়াছেন। দঈফাহ২৯৭২; দঈফ আল জামি১৩৭৫।হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
২৬/৩৪. অধ্যায়ঃ হলুদ রঙয়ের খেজাব ব্যবহার
৩৬২৬ উবায়দ বিন জুরায়জ হইতে বর্ণীতঃ
তিনি ইবনি উমার [রাদি.] কে জিজ্ঞেস করিলেন, আমি তো আপনাকে ওয়ারস ঘাসের রং দিয়ে আপনার দাঁড়ি রঞ্জিত করিতে দেখেছি। বিন উমার [রাদি.] বলেন, আমার দাড়ী হলুদ রংয়ে রঞ্জিত করার কারন এই যে, আমি রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে দাঁড়ি হলুদ রংয়ে রঞ্জিত করিতে দেখেছি।
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৬২৭ ইবনি আব্বাস [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মেহেদির খেযাব গ্রহণকারী এক ব্যক্তিকে অতিক্রম করার সময় বলেনঃ এটা কতই না উত্তম। অতঃপর তিনি মেহেদি ও কাতামের খেযাব গ্রহণকারী এক ব্যক্তিকে অতিক্রম করার সময় বলেনঃ এটা ওটার চেয়ে উত্তম। অতঃপর তিনি হলুদ রঙের খেযাব গ্রহণকারী এক ব্যক্তিকে অতিক্রমকালে বলেনঃ এটা ঐ সবগুলোর চেয়ে উত্তম। রাবী বলেন, তাউস [রাদি.] হলুদ রঙের খেযাব ব্যবহার করিতেন। {২৯৫৯}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ দুর্বল।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
২৬/৩৫. অধ্যায়ঃ যে ব্যক্তি খেযাব বর্জন করে
৩৬২৮ আবু জুহায়ফাহ [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর এ অংশটা অর্থাৎ তাহাঁর চিবুকের নিচের ও উপরের কিছু চুল সাদা দেখেছি।
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৬২৯ আনাস বিন মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তাহাকে জিজ্ঞেস করা হলো, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কি খেযাব ব্যবহার করিয়াছেন? তিনি বলেন যে, তিনি তাহাঁর দাঁড়ীর সম্মুখভাবে মাত্র সতের বা বিশটি সাদা চুল দেখেছেন।
পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৬৩০ ইবনি উমার [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর বার্ধক্য বলিতে ছিল গোটা বিশেক [সাদা] চুল।
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৬/৩৬. অধ্যায়ঃ কেশ গুচ্ছবদ্ধ করা গুচ্ছহীন রাখা
৩৬৩১ উম্মু হানী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যখন মক্কায় প্রবেশ করেন তখন তাহাঁর মাথার চুলে চারটি বেণি ছিলো।
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৬৩২ ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আহলে কিতাব সম্প্রদায় তাহাদের মাথার চুল পিছনের দিকে ছেড়ে দিতো এবং মুশরিকরা মাথার মাঝ বরাবর সিঁথি কাটতো। রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] [আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্দেশপ্রাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত] কিতাবীদের সাথে সামঞ্জস্য পছন্দ করিতেন। রাবী বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]ও তাহাঁর মাথার সামনের দিকের চুল স্ব-অবস্থায় পিছনের দিকে ছেড়ে দিতেন এবং পরবর্তী পর্যায়ে সিঁথি কাটতেন।
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৬৩৩ আয়েশা [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর পিছন দিকের চুলে সিঁথি কেটে দিতাম, পরে আমি তাহাঁর মাথার সামনের চুল স্ব-অবস্থায় পিছনের দিকে ছেড়ে দিতাম।
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৬৩৪ আনাস [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
রাসূলূল্লাহ [সাঃআঃ] এর চুল ছিল সামান্য কোঁকড়ানো এবং দুকান ও দুকাঁধের মাঝ বরাবর ঝুলানো।
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৬৩৫ আয়েশা [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর মাথার চুল ছিলো তাহাঁর কানের লতির নিম্নভাগ অতিক্রম করে প্রায় কাঁধ বরাবর প্রলম্বিত। {২৯৬৭}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ হাসান হাদিস
২৬/৩৭. অধ্যায়ঃ লম্বা চুল অপছন্দনীয়
৩৬৩৬ ওয়াইল বিন হুজর [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] আমার মাথার লম্বা চুল দেখে বললেনঃ দুর্ভাগ্য! আমি ফিরে গিয়ে তা খাটো করে ফেললাম। পরে নবী [সাঃআঃ] আমাকে দেখে বলেনঃ আমি তো তোমার সম্পর্কে মন্তব্য করিনি। তবে এটা উত্তম।
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৬/৩৮. অধ্যায়ঃ মাথার অংশবিশেষের চুল কামানো নিষেধ
৩৬৩৭ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কাযা নিষিদ্ধ করিয়াছেন। রাবী জিজ্ঞেস করেন, কাযা কী? বিন উমার [রাদি.] বলেন, কাযা হল শিশুদের মাথার একাংশের চুল কামানো এবং একাংশের চুল রেখে দেয়া।
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৬৩৮ ইবনি উমার [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মাথার অংশবিশেষের চুল কামাতে নিষেধ করিয়াছেন।
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৬/৩৯. অধ্যায়ঃ আংটিতে নকশা করা
৩৬৩৯ ইবনি উমার [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] একটি রূপার আংটি গ্রহণ করিলেন এবং তাহার গায়ে “মুহাম্মাদুর রাসূলূল্লাহ” খোদাই করান। অতঃপর তিনি বলেনঃ তোমাদের কেউ যেন তাহার আংটিতে নকশা খোদাই না করে।
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৬৪০ আনাস বিন মালিক [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] একটি আংটি তৈরি করান, তাহারপর বলেনঃ আমি একটি আংটি তৈরি করিয়েছি এবং তাতে কিছু নকশা করিয়েছি। সুতরাং কেউ যেন এর অনুরূপ নকশা খোদাই না করায়।
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৬৪১ আনাস বিন মালিক [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] একটি রূপার আংটি গ্রহণ করেন। তাতে আবিসিনীয় পাথর ছিল এবং তাহার গায়ে “মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ” খোদাইকৃত ছিল।
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৬/৪০. অধ্যায়ঃ সোনার আংটি পরা নিষেধ
৩৬৪২ আলী [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সোনার আংটি পরতে নিষেধ করিয়াছেন।
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৬৪৩ ইবনি উমর [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সোনার আংটি পরা নিষিদ্ধ করিয়াছেন।
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৬৪৪ উম্মুল মুমিনীন আয়েশা [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
নাজ্জাশী রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে সোনার একটি আংটি উপহার দেন। তাতে আবিসিনীয় পাথর বসানো ছিল। রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সেটি অপছন্দ করায় একটি কাঠি বা হাতের আংগুল দ্বারা তা নিলেন, অতঃপর তাহাঁর কন্যার কন্যা [নাতনি] উমামা বিনতু আবুল আসকে ডেকে বলেনঃ নাতনি! এটা তুমি পরো। {২৯৭৬}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ হাসান হাদিস
২৬/৪১. অধ্যায়ঃ যে ব্যক্তি আংটির পাথর তাহার হাতের তালুর দিকে রাখে
৩৬৪৫ ইবনি উমার [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] তাহাঁর আংটির পাথর তাহাঁর হাতের তালুর দিকে রাখতেন।
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৬৪৬ আনাস বিন মালিক [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] একটি রূপার আংটি পরেন, তাতে আবিসিনীয় পাথর বসানো ছিল। তিনি পাথরটি তাহাঁর হাতের তালুর দিকে রাখতেন।
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৬/৪২. অধ্যায়ঃ ডান হাতে আংটি পরা
৩৬৪৭ আবদুল্লাহ বিন জাফর [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] তাহাঁর ডান হাতে আংটি পরতেন।
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৬/৪৩. অধ্যায়ঃ বৃদ্ধাংগুলে আংটি পরা
৩৬৪৮ আলী [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে এই আঙ্গুলে এবং এই আঙ্গুলে অর্থাৎ বৃদ্ধা ও কনিষ্ঠাতে আংটি পরতে নিষেধ করিয়াছেন।
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৬/৪৪. অধ্যায়ঃ ঘরে ছবি রাখা
৩৬৪৯ আবু তালহাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] বলেনঃ যে ঘরে কুকুর ও ছবি থাকে সে ঘরে ফেরেশতাগণ প্রবেশ করে না। {২৯৮১}
{২৯৮০} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ৩২২৫, ৩২২৬, ৩৩২২, ৪০০২, ৫৯৪৯, ৫৯৫৮, মুসলিম ২১০৬, তিরমিজি ১৭৫০, ২৮০৪, নাসাঈ ৪২৮২, ৫৩৪৭, ৫৩৪৮, ৫৩৪৯, ৫৩৫০, আবু দাউদ ৪১৫৩, ৪১৫৫, আহমাদ ১৫৯১০, ১৫৯১৮, ১৫৯৩৪, মুওয়াত্তা মালিক ১৮০২। গায়াতুল মারাম ১১৮।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
৩৬৫০ আলী বিন আবু তালীব [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] বলেনঃ যে ঘরে কুকুর ও ছবি থাকে সেই ঘরে ফেরেশতাগণ প্রবেশ করেন না।
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৬৫১ আয়েশা [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর সাথে জিবরাঈল [আঃ] এর একটি নির্দিষ্ট সময়ে সাক্ষাতের প্রতিশ্রুতি ছিল কিন্তু তাতে বিলম্ব হলে নবী [সাঃআঃ] বাইরে বের হলেন এবং দেখলেন, জিবরাইল [আঃ] দরজায় দাঁড়ানো। তিনি বলেনঃ ভিতরে প্রবেশ করিতে কিসে আপনাকে বাধা দিলো? তিনি বলেনঃ এ ঘরে একটি কুকুর আছে। যে ঘরে কুকুর ও ছবি থাকে সে ঘরে আমরা প্রবেশ করি না। {২৯৮৩}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান সহীহ
{২৯৮৩} আহমাদ ২৪৫৭৬।আ্দাবুয যিফাফ ১০২,১০৮।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ হাসান সহীহ
৩৬৫২ আবু উমামাহ [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
এক মহিলা নবী [সাঃআঃ]-এর নিকট এসে তাহাঁকে অবহিত করে যে, তাহার স্বামী একটি জিহাদে গেছে। সে তাহাঁর নিকট তাহার ঘরে একটি খেজুর গাছের ছবি আঁকার অনুমতি চাইলে তিনি তাহাকে তা করিতে নিষেধ করেন। {২৯৮৪}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ দুর্বল। {২৯৮৪} হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
২৬/৪৫. অধ্যায়ঃ পদদলিত হওয়ার স্থানের ছবি
৩৬৫৩ আয়েশা [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
আমি আমার ঘরের দরজায় ছবিযুক্ত একটি পর্দা টানালাম। অতঃপর নবী [সাঃআঃ] এসে তা ছিঁড়ে ফেলেন। পরে আমি তা দিয়ে দুটি তাকিয়ার গেলাফ বানালাম। আমি নবী [সাঃআঃ] কে তাহার একটিতে হেলান দিয়ে বসতে দেখেছি।
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান সহীহ। {২৯৮৫} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ৫৯৫৪, মুসলিম ২১০৮,তিরমিজি ২৪৬৮, নাসাঈ ৭৬১,৫৩৫৫,৫৩৫৭, আহমাদ ২৫১০৩,২৫৫৭২,দারেমী ২৬৬২। আদাবুয যিফাফ ৯৮,৯৯।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ হাসান সহীহ
২৬/৪৬. অধ্যায়ঃ লাল জিনপোশ ব্যাবহার
৩৬৫৪ আলী [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] সোনার আংটি এবং লাল রঙের জিনপোষ ব্যবহার করিতে নিষেধ করিয়াছেন।
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৬/৪৭. অধ্যায়ঃ চিতা বাঘের চামড়ার উপর সওয়ার হওয়া
৩৬৫৫ আমির আল-হাজরী [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
আমি নবী [সাঃআঃ] এর সাহাবী আবু রায়হানা [রাদি.] কে বলিতে শুনিয়াছি, নবী [সাঃআঃ] চিতা বাঘের চামড়ার উপর সওয়ার হইতে নিষেধ করিতেন। {২৯৮৭}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান সহীহ।{২৯৮৭} নাসাঈ ৫০৯১,আবু দাউদ ৪০৪৯,আহমাদ ১৬৭৫৭,১৬৭৬৩, দারেমী ২৬৪৮।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ হাসান সহীহ
৩৬৫৬ মুআবিয়াহ [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] চিতা বাঘের চামড়ার উপর সওয়ার হইতে নিষেধ করিতেন।
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ ।পোশাক সম্পর্কিত হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
Leave a Reply