শিকার করা । বাঘ খেঁকশিয়াল কুকুর গুইসাপ কাক বিড়াল ইঃ

শিকার করা । বাঘ খেঁকশিয়াল কুকুর গুইসাপ কাক বিড়াল ইঃ

শিকার করা । বাঘ খেঁকশিয়াল কুকুর গুইসাপ কাক বিড়াল ইঃ, এই অধ্যায়ে মোট =৫১ টি হাদীস (৩২০০ – ৩২৫০) >> সুনানে ইবনে মাজাহ হাদিস এর মুল সুচিপত্র পড়ুন

পর্বঃ ২৮- শিকার, অধ্যায়ঃ (১-২০)=২০টি, হাদীস (৩২০০ – ৩২৫০)

২২/১. অধ্যায়ঃ শিকারী কুকুর ও ক্ষেত পাহারার কুকুর ব্যতীত অন্যান্য কুকুর নিধন সম্পর্কে
২২/২. অধ্যায়ঃ শিকারী কুকুর এবং কৃষিক্ষেত ও পশুপাল পাহারায় নিয়োজিত কুকুর ব্যতীত অন্যান্য কুকুর পোষা নিষিদ্ধ
২২/৩. অধ্যায়ঃ কুকুর কর্তৃক ধৃত শিকার
২২/৪. অধ্যায়ঃ অগ্নি উপাসকদের কুকুর ও ঘোর কালো কুকুরের শিকার
২২/৫. অধ্যায়ঃ ধনুকের শিকার
২২/৬. অধ্যায়ঃ এক রাত অতিবাহিত হওয়ার পর শিকারকৃত প্রাণী পাওয়া গেলে
২২/৭. অধ্যায়ঃ পালক ও সূক্ষ্মাগ্রবিহীন তীরের শিকার
২২/৮. অধ্যায়ঃ জীবিত প্রাণীর দেহের অংশবিশেষ কর্তন করিলে তা মৃত হিসাবে গণ্য
২২/৯. অধ্যায়ঃ মাছ ও টিড্ডি শিকার
২২/১০. অধ্যায়ঃ যে প্রাণী হত্যা করা নিষেধ
২২/১১. অধ্যায়ঃ কাঁকর নিক্ষেপ নিষিদ্ধ
২২/১২. অধ্যায়ঃ নিধন
২২/১৩. অধ্যায়ঃ শিকারী দাঁতযুক্ত যে কোন হিংস্র জন্তু খাওয়া হারাম
২২/১৪. অধ্যায়ঃ বাঘ ও খেঁকশিয়াল
২২/১৫. অধ্যায়ঃ দাবু [বেজি ও ভালুকের মাঝামাঝি চতুষ্পদ জন্তু]
২২/১৬. অধ্যায়ঃ গুইসাপ
২২/১৭. অধ্যায়ঃ খরগোশ
২২/১৮. অধ্যায়ঃ সমুদ্রগর্ভে মরে ভেসে ওঠা মাছ
২২/১৯. অধ্যায়ঃ কাক
২২/২০. অধ্যায়ঃ বিড়াল

২২/১. অধ্যায়ঃ শিকারী কুকুর ও ক্ষেত পাহারার কুকুর ব্যতীত অন্যান্য কুকুর নিধন সম্পর্কে

৩২০০ আবদুল্লাহ বিন মুগাফফাল [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কুকুর নিধনের নির্দেশ দেন, অতঃপর বলেনঃ লোকেদের কুকুরের কী প্রয়োজন? অতঃপর তিনি তাহাদের শিকারী কুকুর রাখার অনুমতি দেন। {৩২০০}

{৩২০০} মুসলিম ২৮০, নাসাঈ ৬৭, ৩৩৬, ৩৩৭, আবু দাউদ ৭৪, আহমাদ ১৬৩৫০, ২০০৩৯, দারেমী ২০০৬, সহীহ আবু দাউদ ২৫৩৫। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।শিকার করা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩২০১ আবদুল্লাহ বিন মুগাফফাল [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কুকুর হত্যার নির্দেশ দেন, অতঃপর বলেনঃ লোকেদের কুকুরের কী প্রয়োজন? এরপর তিনি তাহাদের কৃষিক্ষেত ও বাগান পাহারায় নিয়োজিত কুকুর পোষার অনুমতি দেন। বুনদার [রাদি.] বলেন, আল-ঈন হলো মদীনার বাগানসমূহ। {৩২০১}

{৩২০১} মুসলিম ২৮০, নাসাঈ ৬৭, ৩৩৬, ৩৩৭, আবু দাউদ ৭৪, আহমাদ ১৬৩৫০, ২০০৩৯, দারেমী ২০০৬, সহীহ আবু দাউদ ২৫৩৫। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।শিকার করা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩২০২ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কুকুর হত্যার নির্দেশ দেন। {৩২০২}

{৩২০২} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ৩৩২৩, ৫৪৮১, মুসলিম ১৫৭০, তিরমিজি ১৪৮৮, নাসাঈ ৪২৭৭, ৪২৭৮, ৪২৭৯, আহমাদ ৪৭৩০, ৫৭৪১, ৫৮৮৯, ৬১৩৬, ৬২৯৯, মুয়াত্তা মালিক ১৮০৯, দারেমী ২০০৭, ইরওয়া ২৫৪৯। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।শিকার করা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩২০৩ আবদুল্লাহ বিন উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে উচ্চ কণ্ঠে কুকুর নিধনের নির্দেশ দিতে শুনিয়াছি। শিকারী কুকুর অথবা পশুপাল পাহারায় নিয়োজিত কুকুর ব্যতীত অন্যান্য কুকুর হত্যা করা হতো [তাহাঁর যুগে] {৩২০৩}

{৩২০৩} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ৩৩২৩, ৫৪৮১, মুসলিম ১৫৭০, তিরমিজি ১৪৮৮, নাসাঈ ৪২৭৭, ৪২৭৮, ৪২৭৯, আহমাদ ৪৭৩০, ৫৭৪১, ৫৮৮৯, ৬১৩৬, ৬২৯৯, মুয়াত্তা মালিক ১৮০৯, দারেমী ২০০৭, ইরওয়া ৮/১৮১, ১৮২। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।শিকার করা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২২/২. অধ্যায়ঃ শিকারী কুকুর এবং কৃষিক্ষেত ও পশুপাল পাহারায় নিয়োজিত কুকুর ব্যতীত অন্যান্য কুকুর পোষা নিষিদ্ধ

৩২০৪ আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কৃষিক্ষেত অথবা পশুপাল পাহারায় রত কুকুর ব্যতীত অন্যান্য কুকুর পোষে সে তাহার সৎকর্ম থেকে প্রতিদিন এক কীরাত পরিমাণ হ্রাস করে। {৩২০৪}

{৩২০৪} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ২৩২২, ৩৩২৪, মুসলিম ১৫৭৫, তিরমিজি ১৪৮৮, ১৪৯০, নাসাঈ ৪২৮৯, ৪২৯০, ৪২৯১, আবু দাউদ ২৭৪৪, আহমাদ ৯২০৯, গায়াতুল মারাম ১৪৭, সহীহ আবু দাউদ ২৫৩৪। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।শিকার করা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩২০৫ আবদুল্লাহ বিন মুগাফফাল [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ কুকুর যদি আল্লাহর সৃষ্ট প্রজাতিগুলোর অন্তর্ভুক্ত প্রজাতি না হতো তবে আমি তা নির্মূল করার নির্দেশ দিতাম। অতএব তোমরা এর মধ্যে কালোগুলো হত্যা করো। যে সম্প্রদায় পশুপাল পাহারায় নিয়োজিত কুকুর, শিকারী কুকুর ও কৃষিখামার পাহারায় রত কুকুর ব্যতীত অন্য কুকুর পোষে তাহাদের সৎকর্মের সওয়াব থেকে প্রতিদিন দুই কীরাত করে হ্রাস পায়। {৩২০৫}

{৩২০৫} মুসলিম ২৮০, নাসাঈ ৬৭, ৩৩৬, ৩৩৭, আবু দাউদ ৭৪, আহমাদ ১৬৩৫০, ২০০৩৯, দারেমী ২০০৬, গায়াতুল মারাম ১৪৮, আস-সহীহ ২৫৩৫। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবি আবু শিহাব সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি আহলে ইলমের নিকট হাফিয নয়। আবু হাফস উমার বিন শাহিন বলেন, তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তাহার হাদিস বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই। আহমাদ বিন শুআয়ব আন-নাসাঈ বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনি হাজার আল-আসকালনী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। ঈমাম যাহাবী ও আবদুর রহমান বিন ইউসুফ বিন খিরাশ বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইয়াকুব বিন শায়বাহ বলেন, তাহার হিফয নিয়ে সমালোচনা রয়েছে। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৩৭৪৪, ১৬/৪৮৫ নং পৃষ্ঠা]শিকার করা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩২০৬ সুফইয়ান বিন আবু যুহায়ব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী [সাঃআঃ] কে বলিতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি কুকুর পোষে এবং তা তাহার কৃষিক্ষেত বা মেষপাল পাহারায় প্রয়োজন হয় না, তাহার আমল থেকে প্রতিদিন এক কীরাত পরিমাণ হ্রাস পায়। সুফিয়ান [রাদি.] কে জিজ্ঞেস করা হলো, আপনি কি  নবী [সাঃআঃ] এর নিকট শুনেছেন? তিনি বলেন, হাঁ, এই মসজিদের প্রতিপালকের শপথ। {৩২০৬}

{৩২০৬} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ২৩২৩, ৩৩২৫, মুসলিম ১৫৭৬, নাসাঈ ৪২৮৫, আহমাদ ২১৪০৬, ২১৪১১, মুয়াত্তা মালিক ১৮০৭, দারেমী ২০০৫। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবি ১. খালিদ বিন মাখলাদ আল-কাতওয়ানী সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আলী আল জুরজানী বলেন, ইনশাআল্লাহ্‌ আমার আমার নিকট তাহার ব্যাপারে কোন সমস্যা নেই। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তাহার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তা দলীলযোগ্য নয়। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে শীয়া মতাবলম্বী। ইবনি হাজার আল-আসকালনী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে শীয়া মতাবলম্বী। ঈমাম যাহাবী বলেন, তাহার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তা দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য হইবে না। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ১৬৫২, ৮/১৬৩ নং পৃষ্ঠা]শিকার করা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২২/৩. অধ্যায়ঃ কুকুর কর্তৃক ধৃত শিকার

৩২০৭ আবু সালাবাহ আল-খুশানী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা আহলে কিতাবের [ইহূদী-খৃস্টান] এলাকায় বসবাস করি। আমরা কখনো তাহাদের পাত্রে আহার করি। এখানে প্রচুর শিকার পাওয়া যায়। আমি তা আমার ধনুক ও প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত কুকুর দিয়ে শিকার করি এবং প্রশিক্ষণহীন কুকুরের সাহায্যেও শিকার করি। রাবী বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ তুমি যে বলছো- তোমরা আহলে কিতাবের এলাকায় বসবাস করো, একান্ত নিরুপায় না হলে তাহাদের পাত্রে আহার করো না। যদি তোমরা একান্ত নিরুপায় হয়ে যাও, তবে তাহাদের পাত্র ধৌত করার পর তাতে আহার করো। আর তুমি যে শিকারের কথা বললে তাতে তুমি তীরের সাহায্যে যে শিকার করো তাহার উপর আল্লাহ্‌র নাম স্মরণ করো এবং খাও। আর তোমার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুরের সাহায্যে যে শিকার ধরো তাতে আল্লাহ্‌র নাম স্মরণ করো এবং খাও। আর তুমি প্রশিক্ষণহীন কুকুরের সাহায্যে যে শিকার ধরো তা যবেহ করিতে পারলে খাও। {৩২০৭}

{৩২০৭} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ৫৪৭৮, ৫৪৮৮, ৫৪৯৬, মুসলিম ১৯৩০, ১৯৩১, তিরমিজি ১৪৬৪, ১৭৯৭, নাসাঈ ৪২৬৬, আবু দাউদ ২৮৫২, ২৮৫৫, ২৮৫৬, ৩৮৩৯, আহমাদ ১৭২৭৭, ১৭২৯৩, দারেমী ২৪৯৯, ইরওয়া ৩৭, সহীহ আবু দাউদ ২৫৪৪-২৫৪৬। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।শিকার করা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩২০৮ আদী বিন হাতিম [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নিকট জিজ্ঞেস করে বললাম, আমরা এই কুকুরের সাহায্যে শিকার ধরে থাকি। তিনি বলেন, তুমি তোমার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর আল্লাহ্‌র নাম নিয়ে শিকারের উদ্দেশ্যে প্রেরণ করে থাকলে সে তোমাদের জন্য যা শিকার করে তা খাও, তা সে হত্যা করে ফেললেও, কিন্তু [তা থেকে] কুকুর খেয়ে ফেললে [তা খেও না]। যদি কুকুর [তা থেকে] খেয়ে থাকে তবে তুমি তা ভক্ষণ করো না। কারণ আমার সন্দেহ হয় যে, সে তা নিজের জন্য শিকার করেছে। আর সাথে অন্য কুকুর থাকলে তুমি তা আহার করো না। ইবনি মাজাহ [রহি] বলেন, আমি আলী ইবনি মুনযিরকে বলিতে শুনিয়াছি, আমি আটান্ন বার হাজ্জ করেছি এবং এর অধিকাংশ বার পদব্রজে। {৩২০৮}

{৩২০৮} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ১৭৫, ২০৫৪, ২০৭৫, ৫৪৭৬, ৫৪৭৭, ৫৪৮৩, ৫৪৮৫, ৫৪৮৬, ৫৪৮৭, ৭৩৯৭, মুসলিম ১৯২৯, তিরমিজি ১৪৬৫, ১৪৭০, নাসাঈ ৪২৬৩, ৪২৬৪, ৪২৬৫, ৪২৬৭, ৪২৬৮, ৪২৬৯, ৪২৭০, ৪২৭২, ৪২৭৩, ৪২৭৪, ৪২৭৫, আবু দাউদ ২৮৪৮, ২৮৪৭, ২৮৪৯, ২৮৫১, ২৮৫৪, আহমাদ ১৭৭৮১, ১৭৭৯৪, ১৭৭৯৮, ১৮৮৭৯, ১৮৮৯৩, ১৮৯০১, দারেমী ২০০২, ইরওয়া ২৫৫১, সহীহ আবু দাউদ ২৫৩৭-২৫৪৩। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবি আলী ইবনিল মুনযীর সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইবনি হাজার আল-আসকালনী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে শিয়া মতাবলম্বী। মাসলামাহ বিন কাসিম বলেন, তাহার হাদিস বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই তবে তিনি শিয়া মতাবলম্বী। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৪১৪০, ১২/১৪৫ নং পৃষ্ঠা]শিকার করা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২২/৪. অধ্যায়ঃ অগ্নি উপাসকদের কুকুর ও ঘোর কালো কুকুরের শিকার

৩২০৯ জাবির বিন আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমাদের অগ্নি উপাসকদের কুকুর ও পাখির ধৃত শিকার খেতে নিষেধ করা হইয়াছে। {৩২০৯}

{৩২০৯} তিরমিজি ১৪৬৬। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ জইফ। উক্ত হাদিসের রাবি হাজ্জাজ বিন আরতা সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি আহলে ইলমের নিকট নির্ভরযোগ্য নয়। আবু বকর আল বায়হাকী বলেন, তাহার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহনযোগ্য নয়, অন্যত্র তিনি তাহাকে দুর্বল বলেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় তাদলীস করেন। মুহাম্মাদ বিন সাদ তাহাকে দুর্বল বলেছেন। আহমাদ বিন শুআয়ব আন-নাসাঈ বলেন, তিনি দুর্বল তাহার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহনযোগ্য নয়। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ১১১২, ৫/৪২০ নং পৃষ্ঠা]শিকার করা হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

৩২১০ আবু যাহার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নিকট ঘোর কালো কুকুর সম্পর্কে জিজ্ঞেস করিলে তিনি বলেনঃ তা শয়তান। {৩২১০}

{৩২১0} মুসলিম ৫১০, তিরমিজি ৩৩৮, নাসাঈ ৭৫০, আবু দাউদ ৭০২, আহমাদ ২০৮১৬, ২০৮৩৫, ২০৮৭০, ২০৯১৪, ২০৯২০, দারেমী ১৪১৪। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।শিকার করা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২২/৫. অধ্যায়ঃ ধনুকের শিকার

৩২১১ আবু সালাবাহ আল-খুশানী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নবী [সাঃআঃ] বলেনঃ তোমরা ধনুকের সাহায্যে ধৃত শিকার খাও। {৩২১১}

{৩২১১} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ৫৪৭৮, ৫৪৮৮, ৫৪৯৬, মুসলিম ১৯৩০, ১৯৩১, তিরমিজি ১৪৬৪, ১৭৯৭, নাসাঈ ৪২৬৬, আবু দাউদ ২৮৫২, ২৮৫৫, ২৮৫৬, ৩৮৩৯, আহমাদ ১৭২৭৭, ১৭২৯৩, দারেমী ২৪৯৯। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবি ১. ঈসা বিন ইউনুস সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইবনি হাজার আল-আসকালনী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। ঈমাম যাহাবী তাহাকে সিকাহ বলেছেন। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৪৬৭২, ২৩/৬০ নং পৃষ্ঠা] ২. দমরাহ বিন রাবীআহ সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সালিহ। আবু সাঈদ বিন ইউনুস আল-মিসরী বলেন, তিনি তাহাদের যুগে একজন ফকীহ ছিলেন। আহমাদ বিন শুআয়ব আন-নাসাঈ ও আহমাদ বিন সালিহ আল-জায়লী বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনি হাজার আল-আসকালনী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় কিছু সন্দেহ করেন। যাকারিয়্যা বিন ইয়াহইয়া আস-সাজী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ২৯৩৮, ১৩/৩১৬ নং পৃষ্ঠা]শিকার করা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩২১২ আদী বিন হাতিম [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমরা তীরন্দাজ সম্প্রদায়। তিনি বলেনঃ তুমি তীর নিক্ষেপ করিলে এবং তা শিকার বিদ্ধ হলে তা খাও। {৩২১২}

{৩২১২} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ২০৫৪, ৫৪৭৫, ৫৪৭৬, ৫৪৭৭, ৫৪৮৫, ৫৪৮৬, ৭৩৯৭, মুসলিম ১৯২৯, তিরমিজি ১৪৬৫, ১৪৬৯, ১৪৭১, নাসাঈ ৪২৬৪, ৪২৬৫, ৪২৬৭, ৪২৭৪, আবু দাউদ ২৮৪৭, ২৮৪৯, ২৮৫৪, আহমাদ ১৭৭৮১, ১৭৭৯৪, ১৭৭৯৮, ১৮৮৭৯, ৭৮৮৯৩, ১৮৯০১, দারেমী ২০০২, ইরওয়া ২৫৪৮। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।উক্ত হাদিসের রাবি আলী ইবনিল মুনযীর সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইবনি হাজার আল-আসকালনী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে শিয়া মতাবলম্বী। মাসলামাহ বিন কাসিম বলেন, তাহার হাদিস বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই তবে তিনি শিয়া মতাবলম্বী। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৪১৪০, ১২/১৪৫ নং পৃষ্ঠা] ২. মুজালিদ বিন সাঈদ সম্পর্কে ঈমাম বুখারী ও ইয়াকুব বিন সুফইয়ান বলেন, তিনি সত্যবাদী। ঈমাম নাসাঈ বলেন, তিনি সিকাহ। ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল-কাত্তান বলেন, তিনি জইফ বা দুর্বল। ইবনি মাঈন বলেন, তাহার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহন করা যাবে না। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৫৭৮০, ২৭/২১৯ নং পৃষ্ঠা]উক্ত হাদিসটি সহীহ কিন্তু মুজালিদ বিন সাঈদ এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ৪২১ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, ৪৩ টি খুবই দুর্বল, ১০১ টি দুর্বল, ৬৪ টি হাসান, ২১৩ টি সহীহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ বুখারী ১৭৫, ২০৫৪, ৫৪৭৫, ৫৪৭৬, ৫৪৭৭, ৫৪৮৩, ৫৪৮৫, ৫৪৮৬, ৫৪৮৭, ৫৪৯৭, মুসলিম ১৯২৯, ১৯৩১, ১৯৩২, তিরমিজি ১৪৬৪, ১৪৬৪, ১৪৬৭, ১৪৬৮, ১৪৬৯, ১৪৭০, ১৪৭১, ৩৯৮৩, ১৭৯৭, আবু দাউদ ২৮৪৭, ২৮৪৮, ২৮৪৯-২৮৫৭, ২৮৬১, দারেমী ২০০২, ২০০৯, আহমাদ ২০৫০, ৬৬৮৬, ১৬৯৭৬, ১৬৯৭৭।শিকার করা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২২/৬. অধ্যায়ঃ এক রাত অতিবাহিত হওয়ার পর শিকারকৃত প্রাণী পাওয়া গেলে

৩২১৩ আদী বিন হাতিম [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! আমি শিকারের প্রতি তীর নিক্ষেপ করি, অতঃপর তা এক রাত পর্যন্ত নিখোঁজ থাকে। তিনি বলেনঃ তুমি শিকারের সাথে তোমার তীর পেলে এবং অন্য কিছু না পেলে তা খাও। {৩২১৩}

{৩২১৩} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ২০৫৪, ৫৪৭৫, ৫৪৭৬, ৫৪৭৭, ৫৪৮৫, ৫৪৮৬, ৭৩৯৭, মুসলিম ১৯২৯, তিরমিজি ১৪৬৫, ১৪৬৯, ১৪৭১, নাসাঈ ৪২৬৪, ৪২৬৫, ৪২৬৭, ৪২৭৪, আবু দাউদ ২৮৪৭, ২৮৪৯, ২৮৫৪, আহমাদ ১৭৭৮১, ১৭৭৯৪, ১৭৭৯৮, ১৮৮৭৯, ৭৮৮৯৩, ১৮৯০১, দারেমী ২০০২, সহীহ আবু দাউদ ২৫৩৯। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।শিকার করা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২২/৭. অধ্যায়ঃ পালক ও সূক্ষ্মাগ্রবিহীন তীরের শিকার

৩২১৪ আদী বিন হাতিম [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নিকট পালক ও সূক্ষ্মাগ্রবিহীন তীরের শিকার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বলেনঃ তীরের আঘাতে যে শিকার ধরতে পারো তা খাও এবং তীরের পার্শ্বদেশের আঘাতে যে শিকার ধরো তা মৃত [তা খাওয়া যাবে না]। {৩২১৪}

{৩২১৪}

সহিহুল বুখারি হাদিস নং ২০৫৪, ৫৪৭৫, ৫৪৭৬, ৫৪৭৭, ৫৪৮৫, ৫৪৮৬, ৭৩৯৭, মুসলিম ১৯২৯, তিরমিজি ১৪৬৫, ১৪৬৯, ১৪৭১, নাসাঈ ৪২৬৪, ৪২৬৫, ৪২৬৭, ৪২৭৪, আবু দাউদ ২৮৪৭, ২৮৪৯, ২৮৫৪, আহমাদ ১৭৭৮১, ১৭৭৯৪, ১৭৭৯৮, ১৮৮৭৯, ৭৮৮৯৩, ১৮৯০১, দারেমী ২০০২, সহীহ আবু দাউদ ২৫৪৩। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।উক্ত হাদিসের রাবি ১. আলী ইবনিল মুনযীর সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইবনি হাজার আল-আসকালনী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে শিয়া মতাবলম্বী। মাসলামাহ বিন কাসিম বলেন, তাহার হাদিস বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই তবে তিনি শিয়া মতাবলম্বী। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৪১৪০, ১২/১৪৫ নং পৃষ্ঠা] ২. মুহাম্মাদ বিন ফুদায়ল সম্পর্কে ইবনি মাঈন তাহাকে সিকাহ বলেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ঈমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি শীয়া মতাবলম্বী। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৫৫৪৮, ২৬/২৯৩ নং পৃষ্ঠা]শিকার করা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩২১৫ আদী বিন হাতিম [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নিকট তীর বা লাঠির পার্শ্বদেশের আঘাতে ধৃত শিকার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বলেন, তাহার শিকার খেও না, কিন্তু যদি তা শিকারের দেহ ভেদ করে [তবে খাবে] {৩২১৫}

{৩২১৫} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ২০৫৪, ৫৪৭৫, ৫৪৭৬, ৫৪৭৭, ৫৪৮৫, ৫৪৮৬, ৭৩৯৭, মুসলিম ১৯২৯, তিরমিজি ১৪৬৫, ১৪৬৯, ১৪৭১, নাসাঈ ৪২৬৪, ৪২৬৫, ৪২৬৭, ৪২৭৪, আবু দাউদ ২৮৪৭, ২৮৪৯, ২৮৫৪, আহমাদ ১৭৭৮১, ১৭৭৯৪, ১৭৭৯৮, ১৮৮৭৯, ৭৮৮৯৩, ১৮৯০১, দারেমী ২০০২, সহীহ আবু দাউদ ২৫৩৭। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।উক্ত হাদিসের রাবি জাররাহ সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, তিনি সত্যবাদী। আবুল ফাতহ আল-আযদী বলেন, তাহার ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তাহার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তা দলীলযোগ্য নয়। ঈমাম যাহাবী বলেন, তাহার মাঝে দুর্বলতা ছিলো। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৯১০, ৪/৫১৭ নং পৃষ্ঠা]শিকার করা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২২/৮. অধ্যায়ঃ জীবিত প্রাণীর দেহের অংশবিশেষ কর্তন করিলে তা মৃত হিসাবে গণ্য

৩২১৬ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ জীবিত প্রানীর দেহের কোন অংশ কেটে বিচ্ছিন্ন করা হলে তা মৃত হিসাবে গণ্য। {৩২১৬}

{৩২১৬} হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন। গায়াতুল মারাম ৪১, সহীহ আবু দাউদ ২৫৪৬। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবি ১. ইয়াকুব বিন হুমায়দ বিন কাসিব সম্পর্কে আবু জাফার আল-উকায়লী বলেন, তাহার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইবনি হাজার আল-আসকালনী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৭০৮৬, ৩২/৩১৮ নং পৃষ্ঠা] ২. হিশাম বিন সাদ সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তাহার মুখস্তশক্তি দুর্বল। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তাহার হাদিস গ্রহন করা যায় কিন্তু দলীলযোগ্য নয়। ইবনি হাজার আল-আসকালনী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। তাহার শীয়া মতাবলম্বী হওয়ার ব্যাপারে অভিযোগ রয়েছে। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৬৫৭৭, ৩০/২০৪ নং পৃষ্ঠা]শিকার করা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩২১৭ তামীম আদ-দারী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

২/৩২১৭. তামীম আদ-দারী [রাদি.], তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ শেষ যুগে এমন একদল লোকের আবির্ভাব ঘটবে, যারা উটের কুজ এবং মেষের লেজের [প্রান্তভাগের চর্বিযুক্ত মোটা] অংশ [খাওয়ার জন্য] কেটে বিচ্ছিন্ন করিবে। সাবধান! জীবন্ত প্রানীর দেহের কোন অংশ কেটে বিচ্ছিন্ন করা হলে তা মৃত হিসাবে গণ্য [তা খাওয়া নিষিদ্ধ] {৩২১৭}

{৩২১৭} হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন। গায়াতুল মারাম ৪৪ নং পৃষ্ঠা। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ খুবই দুর্বল। উক্ত হাদিসের রাবি ১. ইসমাঈল বিন আয়্যাশ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, আহলে শাম থেকে হাদিস বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই। আলী ইবনিল মাদানী, ইবনি আবু শায়বাহ, আমর ইবনিল ফাল্লাস ও দুহায়ম বলেন, শাম শহর থেকে হাদিস বর্ণনায় তিনি সিকাহ কিন্তু অন্য শহর থেকে হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৪৭২, ৩/১৬৩ নং পৃষ্ঠা] ২. আবু বাকর আল-হুযালী সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি আহলে ইলমের নিকট নির্ভরযোগ্য নয় তাহার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তা দলীলযোগ্য হইবে না। আবু যুরআহ আর-রাযী ও আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি দুর্বল। মুহাম্মাদ বিন জাফার বলেন, তিনি মিথ্যা কথা বলিতেন। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৭২৬৮, ৩৩/১৫৯ নং পৃষ্ঠা] ৩. শাহর বিন হাওশাব সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও ইয়াকুব বিন সুফইয়ান এবং আল-আজালী বলেন, তিনি সিকাহ। শুবাহ ইবনিল হাজ্জাজ তাহাকে বর্জন করিয়াছেন। আহমাদ বিন হাম্বল ও আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, কোন সমস্যা নেই। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ২৭৮১, ১২/৫৭৮ নং পৃষ্ঠা] শিকার করা হাদিসের তাহকিকঃ খুবই দুর্বল

২২/৯. অধ্যায়ঃ মাছ ও টিড্ডি শিকার

৩২১৮ আবদুল্লাহ বিন উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ আমাদের জন্য দুটি মৃত জীব হালাল করা হয়েছেঃ মাছ ও টিড্ডি [এক প্রকারের বড় জাতের ফড়িং]। {৩২১৮}

{৩২১৮} আহমাদ ৫৬৯০, মিশকাত ৪১৩২, সহীহাহ ১১১৮। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবি আবদুর রহমান বিন যায়দ বিন আসলাম সম্পর্কে আবুল ফারাজ ইবনিল জাওযী বলেন, তাহার দুর্বলতাহার ব্যাপারে সকলে একমত। আবুল কাসিম বিন বিশকাওয়াল বলেন, তাহার ভাই তাহাকে দুর্বল বলেছেন। আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তাহার হাদিস দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়, তিনি দুর্বল। আবু যুরআহ আর-রাযী ও ঈমাম তিরমিজি বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৩৮২০, ১৭/১১৪ নং পৃষ্ঠা]উক্ত হাদিসটি সহীহ কিন্তু আবদুর রহমান বিন যায়দ বিন আসলাম এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ২৯ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, ১০ টি খুবই দুর্বল, ৯ টি দুর্বল, ৮ টি হাসান, ২ টি সহীহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ আহমাদ ৫৬৯০, দারাকুতনী ৪৬৮৭, শারহুস সুন্নাহ ২৮০৩।শিকার করা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩২১৯ সালমান [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নিকট টিড্ডি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আল্লাহ তাআলার বিরাট বাহিনী। আমি তা খাইও না এবং হারামও করি না। {৩২১৯}

{৩২১৯}আবু দাউদ ৩৮১৩, যইফাহ ১৫৩৩, জইফ আল-জামি ১০৯৭। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ জইফ। উক্ত হাদিসের রাবি যাকারিয়্যা বিন ইয়াহইয়া বিন উমারাহ সম্পর্কে আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তাহার কথাগুলো ভালো। ইবনি হাজার আল-আসকালনী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আলী ইবনিল মাদানী বলেন, তিনি সিকাহ। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ২০০১, ৯/৩৮১ নং পৃষ্ঠা] ২. আবুল আওওয়াম সম্পর্কে ইবনি হাজার আল-আসকালনী বলেন, তিনি মাকবুল। ইবনি হিব্বান তাহার সিকাহ গ্রন্থে সিকাহ হিসেবে উল্লেখ করিয়াছেন। ঈমাম যাহাবী বলেন, তাহার জারাহ সম্পর্কে আমার জানা নেই তবে ইবনি হিব্বান তাহাকে সিকাহ বলেছেন। মুহাম্মাদ ইবনিয যিবরিকান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। ঈমাম বায়হাকী তাহার দুর্বল হওয়ার দিকেই ইঙ্গিত করিয়াছেন।শিকার করা হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

৩২২০ আনাস বিন মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নবী [সাঃআঃ] এর স্ত্রীগণ থরে থরে সাজিয়ে টিড্ডি উপঢৌকন পাঠাতেন। {৩২২০}

{৩২২০}হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ জইফ। উক্ত হাদিসের রাবি আবু সাঈদ আল-বাক্কাল সম্পর্কে আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি সিকাহ নয়। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি যাচাই-বাচাই ছাড়া হাদিস শ্রবন করেন ও তা বর্ণনা করেন। আহমাদ বিন শুআয়ব আন-নাসাঈ বলেন, তিনি দুর্বল, তিনি সিকাহ নয়, তাহার থেকে হাদিস গ্রহন করা যাবে না। আহমাদ বিন সালিহ আল-জায়লী বলেন, তিনি দুর্বল। ঈমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ২৩৫১, ১১/৫২ নং পৃষ্ঠা]শিকার করা হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

৩২২১ আনাস বিন মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নবী [সাঃআঃ] টীড্ডির ব্যাপারে বদদোয়া করে বলিতেনঃ হে আল্লাহ! বড় টিড্ডীগুলো ধংস করো, ছোট টিড্ডীগুলো হত্যা করো, এর ডিমগুলো নষ্ট করে তাহার মূলোৎপাটন করো এবং আমাদের কৃষিজ উৎপাদনের ক্ষতিসাধন থেকে এবং আমাদের জীবিকা থেকে তাহার মুখ বন্ধ করে দাও। নিশ্চয় তুমিই দুআ শ্রবণকারী। এক ব্যাক্তি বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আল্লাহ্‌র একদল সৈনিকের মূলোৎপাটোনের জন্য আপনি কিরূপে বদদোয়া করিলেন? তিনি বলেনঃ সমুদ্রে মাছের হাঁচি থেকে টিড্ডি নির্গত হয়। হাশিম [রাদি.] বলেন, যিয়াদ বলেছেন [রাদি.] এমন এক ব্যক্তি আমাদের তা বলেছেন, যিনি মাছের হাঁচি দিয়ে টিড্ডি নির্গত করিতে দেখেছেন। {৩২২১}

{৩২২১}তিরমিজি ১৮২৩, যইফাহ ১১২। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ বানোয়াট। উক্ত হাদিসের রাবি মুসা বিন মুহাম্মাদ বিন ইবরাহিম সম্পর্কে আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু জাফার আল-উকায়লী বলেন, তাহার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি দুর্বল। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তাহার থেকে হাদিস গ্রহন করা যাবে না। আহমাদ বিন হাম্বল তাহাকে দুর্বল হিসেবে উল্লেখ করিয়াছেন। ঈমাম যাহাবী বলেন, তিনি দুর্বল। আলী ইবনিল মাদানী বলেন, তিনি দুর্বল ছিলেন। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তাহার থেকে হাদিস গ্রহন করা যাবে না তিনি দুর্বল ছিলেন। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৬২৯৬, ২৯/১৩৯ নং পৃষ্ঠা]শিকার করা হাদিসের তাহকিকঃ জাল হাদিস

৩২২২ আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমরা নবী [সাঃআঃ] এর সাথে হাজ্জ অথবা উমরা করিতে রওয়ানা হলাম। আমাদের সামনে একপাল টিড্ডি অথবা এক প্রকারের টিড্ডি উপস্থিত হলো। আমরা আমাদের চাবুক ও জুতা দিয়ে তা মারতে লাগলাম। তখন নবী [সাঃআঃ] বলেনঃ তা খাও, কারণ তা সামুদ্রিক বা জলজ শিকার। {৩২২২}

{৩২২২} তিরমিজি ৮৫০, আবু দাউদ ১৮৫৩, ১৮৫৪, আহমাদ ৭৯৯৯, ৮৫৪৭, ৮৬৫৪, ৯০২৩, ইরওয়া ১০২২। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ জইফ। উক্ত হাদিসের রাবি আবুল মুহাযযিম সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি আহলে ইলমের নিকট নির্ভরযোগ্য নয়। আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি দুর্বল, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আবু জাফার আল-উকায়লী বলেন, তাহার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি দুর্বল। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আলী ইবনিল মাদানী বলেন, তিনি দুর্বল ছিলেন। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৭৬৫৫, ৩৪/৩২৭ নং পৃষ্ঠা]শিকার করা হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

২২/১০. অধ্যায়ঃ যে প্রাণী হত্যা করা নিষেধ

৩২২৩ আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সুরাদ পাখি, বেঙ, পিপীলিকা ও হুদহুদ পাখি হত্যা করিতে নিষেধ করিয়াছেন। {৩২২৩}

{৩২২৩} হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন। ইরওয়া ৮/১৪৩, রাওদুন নাদীর ৫৯৪। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবি ইবরাহীম ইবনিল ফাদল সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি আহলে ইলমের নিকট নির্ভরযোগ্য নয়। আবুল ফাতহ আল-আযদী বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ২২৪, ২/১৬৫ নং পৃষ্ঠা]উক্ত হাদিসটি সহীহ কিন্তু ইবরাহীম ইবনিল ফাদল এর কারণে সানাদটি খুবই দুর্বল। হাদিসটির ৪৬ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, ১ টি জাল, ১৩ টি খুবই দুর্বল, ২৮ টি দুর্বল, ২ টি হাসান, ২ টি সহীহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ আবু দাউদ ৫২৬৭, দারেমী ১৯৯৯, আহমাদ ৩০৫৭, ৩২৩২।শিকার করা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩২২৪ ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] চার ধরনের প্রাণী হত্যা করিতে নিষেধ করেছেনঃ পিপীলিকা, মৌমাছি, হুদহুদ পাখি, সুরাদ পাখি। {৩২২৪}

{৩২২৪} আবু দাউদ ৫২৬৭, আহমাদ ৩০৫৭, ৩২৩২, দারেমী ১৯৯৯, ইরওয়া ২৪৯০, রাওদুন নাদীর ৫৯৪। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।শিকার করা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩২২৫ আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

আল্লাহ্‌র নবী [সাঃআঃ] বলেনঃ নবীগণের মধ্যকার এক নবীকে পিপীলিকা দংশন করিল। তিনি পিপীলিকাদের অবস্থানস্থল সম্পর্কে নির্দেশ দিলেন এবং তদনুযায়ী তা জ্বালিয়া দেয়ে হলো। এজন্য আল্লাহ তাআলা তাহাঁর প্রতি ওহী নাযিল করেনঃ একটি পিপীলিকা তোমাকে দংশন করেছে, আর তুমি আল্লাহ্‌র গুনগানে রত তাহাদের গোটা জাতিকে ধ্বংস করিলে।

{উপরোক্ত হাদিসের মোট ৬টি সানাদের ৪টি বর্ণিত হইয়াছে, অপর ২টি সানাদ হলোঃ} ৪/৩২২৫[১]. আবু হুরাইরা [রাদি.] {৩২২৫} তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।{৩২২৫} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ৩০১৯, ৩৩১৯, মুসলিম ২২৪১, নাসাঈ ৪৩৫৮, ৪৩৫৯, আবু দাউদ ৫২৬৫, ৫২৬৬। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।শিকার করা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২২/১১. অধ্যায়ঃ কাঁকর নিক্ষেপ নিষিদ্ধ

৩২২৬ আবদুল্লাহ বিন মুগাফফাল [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

আবদুল্লাহ বিন মুগাফফাল [রাদি.] এর এক নিকটাত্নীয় কাঁকর নিক্ষেপ করিলে তিনি তাহাকে বারণ করেন এবং বলেন, নবী [সাঃআঃ] কাঁকর নিক্ষেপ করিতে নিষেধ করিয়াছেন এবং বলেছেনঃ তাহাঁর সাহায্যে শিকারও ধরা যায় না, শত্রুকেও আঘাত করা যায় না, কিন্তু তা দাঁতে ভাংগে ও চোখ নষ্ট করে। রাবী বলেন, সে পুনরায় কাঁকর নিক্ষেপ করিলে তিনি বলেন, আমি তোমাকে হাদিস শুনাচ্ছি যে, নবী [সাঃআঃ] তা নিষেধ করিয়াছেন, আর তুমি তা নিক্ষেপ করছো! আমি কখনও তোমার সাথে কথা বলবো না। {৩২২৬}

{৩২২৬} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ৪৮৪২, ৫৪৭৯, ৬২২০, মুসলিম ১৯৫৪, নাসাঈ ৪৮১৫, আবু দাউদ ৫২৭০, আহমাদ ১৬৩৫২, ২০০১৭, ২০০২৮, ২০০৩৮, ২০০৫০, দারেমী ৪৩৯, ৪৪০, রাওদুন নাদীর ৬৫৫। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।শিকার করা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩২২৭ আব্দুল্লাহ বিন মুগাফ্‌ফাল [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] কাঁকর নিক্ষেপ করিতে নিষেধ করিয়াছেন এবং বলেছেনঃ তা শিকারও হত্যা করিতে পারে না শত্রুকেও আঘাত করিতে পারে না, কিন্তু তা চোখ নষ্ট করে এবং দাঁত ভাঙ্গে। {৩২২৭}

{৩২২৭} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ৪৮৪২, ৫৪৭৯, ৬২২০, মুসলিম ১৯৫৪, নাসাঈ ৪৮১৫, আবু দাউদ ৫২৭০, আহমাদ ১৬৩৫২, ২০০১৭, ২০০২৮, ২০০৩৮, ২০০৫০, দারেমী ৪৩৯, ৪৪০, রাওদুন নাদীর ৬৫৫। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।শিকার করা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২২/১২. অধ্যায়ঃ নিধন

৩২২৮ উম্মু শারীক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নবী [সাঃআঃ] তাহাকে গিরগিটি হত্যা করার নির্দেশ দেন। {৩২২৮}

{৩২২৮} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ৩৩০৭, ৩৩৫৯, মুসলিম ২২৩৭, নাসাঈ ২৮৮৫, আহমাদ ২৬৮১৯, ২৭০৭২, দারেমী ২০০০, সহীহাহ ১৫৮১। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।শিকার করা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩২২৯ আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ যে ব্যাক্তি প্রথম গিরগিটি হত্যা করিতে পারবে, তাহার জন্য এত এত পরিমান পুন্য। যে ব্যক্তি দ্বিতীয় আঘাতে তা হত্যা করিতে পারবে, তাহার জন্য এই এই পরিমাণ পুন্য [কিন্তু প্রথম আঘাতের তুলনায় কম]। আর যে ব্যক্তি তৃতীয় আঘাতে তা হত্যা করিতে পারবে, তাহার জন্য এই এই পরিমাণ পুন্য [কিন্তু দ্বিতীয় আঘাতের তুলনায় কম]। {৩২২৯}

{৩২২৯} মুসলিম ২২৪০, তিরমিজি ১৮৮২, আবু দাউদ ৫২৬৩, আহমাদ ৮৪৪৫। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবি সুহায়ল বিন আবু সালিহ সম্পর্কে মুহাম্মাদ বিন সাঈদ বলেন, তিনি সিকাহ। সুফইয়ান বিন উয়াইনাহ বলেন, সাবত। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তাহার বর্ণিত হাদিস সহীহ নয়। ঈমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। ইবনি আদী বলেন, তাহার খবর মাকবুল বা গ্রহণযোগ্য। ইবনি হিব্বান বলেন, তিনি সিকাহ তবে অন্যত্র বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ২৬২৯, ১২/২২৩ নং পৃষ্ঠা]শিকার করা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩২৩০ আয়েশা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] গিরগিটি সম্পর্কে বলেনঃ তা ক্ষতিকর প্রাণী। {৩২৩০}

{৩২৩০} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ১৮৩১, মুসলিম ২২৩৯, নাসাঈ ২৮৮৬, আহমাদ ২৪০৪৭, ২৪৬৮৯, ২৫৮০০, ২৫৮৫০। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।শিকার করা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩২৩১ ফাকিহা ইবনিল মুগীরার মুক্তদাসী সাইবাহ [মাকবূলাহ] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি আয়েশা [রাদি.] এর নিকট প্রবেশ করে তাহার ঘরে একটি বর্শা রক্ষিত দেখিতে পান। তিনি জিজ্ঞেস করেন, হে উম্মুল মুমিনীন! আপনারা এটা দিয়ে কী করেন? তিনি বলেন, আমরা এই বর্শা দিয়ে এসব গিরগিটি হত্যা করি। কারণ আল্লাহর নবী [সাঃআঃ] আমাদের অবহিত করিয়াছেন যে, ইবরাহিম [আঃ]-কে যখন অগ্নিকুন্ডে নিক্ষেপ করা হলো তখন পৃথিবীর বুকে এমন কোন প্রানী ছিল না, যা আগুন নিভাতে চেষ্টা করেনি, গিরগিটি ব্যতীত। সে বরং আগুনে ফুঁ দিয়াছিলো। তাই রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এটিকে হত্যার নির্দেশ দেন। {৩২৩১}

{৩২৩১} আহমাদ ২৪০১৩, ২৪২৫৯, ২৫২৯৯, সহীহাহ ১৫৮১, আত-তালীকুর রাগীব ৪/৩৭। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।শিকার করা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২২/১৩. অধ্যায়ঃ শিকারী দাঁতযুক্ত যে কোন হিংস্র জন্তু খাওয়া হারাম

৩২৩২ আবু সালাবাহ আল-খুশানী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নবী [সাঃআঃ] শিকারী দাঁতযুক্ত যে কোন হিংস্র জন্তু খেতে নিষেধ করিয়াছেন। যুহরী [রাদি.] বলেন, আমি সিরিয়ায় পৌঁছার পূর্ব পর্যন্ত এ হাদিস শুনতে পাইনি। {৩২৩২}

{৩২৩২} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ৫৫২৭, ৫৫৩০, ৫৭৮১, মুসলিম ১৯৩২, তিরমিজি ১৪৭৭, ১৫৬০, নাসাঈ ৪৩২৫, ৪৩২৬, ৪৩৪২, আবু দাউদ ২৮০২, আহমাদ ১৭২৭৭, ১৭২৮৪, ১৭২৯৩, মুয়াত্তা মালিক ১০৭৫, দারেমী ১৯৮০, ১৯৮১, ইরওয়া ২৪৮৫। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।শিকার করা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩২৩৩ আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নবী [সাঃআঃ] বলেনঃ শিকারী দাঁতযুক্ত যে কোন হিংস্র জন্তু খাওয়া হারাম। {৩২৩৩}

{৩২৩৩} মুসলিম ১৯৩৩, তিরমিজি ১৪৭৯, নাসাঈ ৪৩২৪, আহমাদ ৭১৮৩, ৮৫৭১, ৯১৪১, মুয়াত্তা মালিক ১০৭৬, ইরওয়া ৮/১৩৯। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবি আবিয়াহ বিন হিশাম সম্পর্কে আবুল ফারাজ আল-জাওযী বলেন, তাহার থেকে কেউ হাদিস শ্রবন করেনি তবে যারা হাদিস শ্রবন করেছে তাহারা তা বর্জন করেছে। আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৬০৬৭, ২৮/১২৮ নং পৃষ্ঠা]শিকার করা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩২৩৪ ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] খায়বার যুদ্ধের দিন শিকারী দাঁতযুক্ত যে কোন হিংস্র জন্তু এবং নখরযুক্ত যে কোন শিকারী পাখী আহার করিতে নিষেধ করিয়াছেন। {৩২৩৪}

{৩২৩৪} মুসলিম ১৯৩৪, নাসাঈ ৪৩৪৮, আবু দাউদ ৩৮০৩, ৩৮০৫, আহমাদ ২১৯৩, ২৭৪২, ৩০১৫, ৩০৬০, ৩১৩১, ৩৫৩৪, দারেমী ১৯৮২, ইরওয়া ২৪৮৮। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।শিকার করা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২২/১৪. অধ্যায়ঃ বাঘ ও খেঁকশিয়াল

৩২৩৫ খুযায়মাহ বিন জাযই [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]! আমি আপনার নিকট যমীনের কীট সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য এসেছি। আপনি খেঁকশিয়াল সম্পর্কে কী বলেন? তিনি পাল্টা জিজ্ঞেস করেনঃ কে খেঁকশিয়াল খায়? আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আপনি নেকড়ে বাঘ সম্পর্কে কী বলেন? তিনি বলেনঃ যাহার মধ্যে কোন ভালো গুণ আছে সেরূপ কোন ব্যাক্তি কী তা খেতে পারে? {৩২৩৫}

{৩২৩৫}তিরমিজি ১৭৯২। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ জইফ। উক্ত হাদিসের রাবি ১. মুহাম্মাদ বিন ইসহাক সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আজালী বলেন, তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাসানুল হাদিস। আলী ইবনিল মাদানী বলেন, তিনি সালিহ। সুলায়মান বিন তাহারখান ও সুলায়মান বিন মিহরান বলেন, তিনি মিথ্যুক। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি আমার নিকট হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৫০৫৭, ২৪/৪০৫ নং পৃষ্ঠা] ২. আবদুল কারীম বিন আবুল মুখারিক সম্পর্কে আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তাহার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহনযোগ্য হইবে না। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় অধিক সন্দেহ করেন। আবু যুরআহ আর-রাযী ও আহমাদ বিন হাম্বল তাহাকে দুর্বল বলেছেন। আহমাদ বিন শুআয়ব বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। ইবনি হাজার আল-আসকালনী বলেন, তিনি দুর্বল। ইবনি আবদুল বার আল-আন্দালাসী বলেন, তাহার দুর্বলতাহার ব্যাপারে সকলে একমত। ঈমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। ইয়াহইয়া বিন মাঈন তাহাকে দুর্বল হিসেবে উল্লেখ করিয়াছেন। মুহাম্মাদ বিন ইসমাইল বলেন,আহলে ইলমের নিকট তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৩৫০৬, ১৮/২৫৯ নং পৃষ্ঠা]শিকার করা হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

২২/১৫. অধ্যায়ঃ দাবু [বেজি ও ভালুকের মাঝামাঝি চতুষ্পদ জন্তু]

৩২৩৬ আবদুর রহমান বিন আবু আম্মার হইতে বর্ণীতঃ

আমি জাবির বিন আবদুল্লাহ[রাদি.] নিকট দাবুই সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম, তা শিকার কিনা? তিনি বলেন, হাঁ। আমি বললাম, আপনি কি তা রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নিকট শুনেছেন? তিনি বলেন, হ্যা। {৩২৩৬}

{৩২৩৬} তিরমিজি ৮৫১, ১৭৯১, নাসাঈ ২৮৩৬, ৪৩২৩, আবু দাউদ ৩৮০১, আহমাদ ১৩৭৫১, ১৪০১৬, ১৪০৪০, দারেমী ১৯৪১, ১৯৪২, ইরওয়া ১০৫০। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।শিকার করা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩২৩৭ খুযায়মাহ বিন জাযই [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল [সাঃআঃ]! দাবু সম্পর্কে আপনি কী বলেন? তিনি বলেন, কোন্‌ লোক দাবু আহার করে? {৩২৩৭}

{৩২৩৭} তিরমিজি ১৭৯২। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ জইফ। উক্ত হাদিসের রাবি ১. ইবনি ইসহাক সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আজালী বলেন, তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাসানুল হাদিস। আলী ইবনিল মাদানী বলেন, তিনি সালিহ। সুলায়মান বিন তাহারখান ও সুলায়মান বিন মিহরান বলেন, তিনি মিথ্যুক। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি আমার নিকট হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৫০৫৭, ২৪/৪০৫ নং পৃষ্ঠা] ২. আবদুল কারীম বিন আবুল মুখাররিক সম্পর্কে আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তাহার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহনযোগ্য হইবে না। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় অধিক সন্দেহ করেন। আবু যুরআহ আর-রাযী ও আহমাদ বিন হাম্বল তাহাকে দুর্বল বলেছেন। আহমাদ বিন শুআয়ব বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। ইবনি হাজার আল-আসকালনী বলেন, তিনি দুর্বল। ইবনি আবদুল বার আল-আন্দালাসী বলেন, তাহার দুর্বলতাহার ব্যাপারে সকলে একমত। ঈমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। ইয়াহইয়া বিন মাঈন তাহাকে দুর্বল হিসেবে উল্লেখ করিয়াছেন। মুহাম্মাদ বিন ইসমাইল বলেন,আহলে ইলমের নিকট তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৩৫০৬, ১৮/২৫৯ নং পৃষ্ঠা]শিকার করা হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

২২/১৬. অধ্যায়ঃ গুইসাপ

৩২৩৮ সাবিত বিন ইয়াযিদ আল-আনসারী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

আমরা নবী [সাঃআঃ] এর সাথে ছিলাম। লোকেরা গুইসাপ ধরে তা ভুনা করে আহার করিল। আমিও একটি গুইসাপ ধরে তা ভুনা করে নবী [সাঃআঃ] এর নিকট নিয়ে এলাম। তিনি একটি কাঠ তুলে নিয়ে তা দিয়ে সেটির আঙ্গুল গননা করিতে লাগলেন, অতঃপর বলেনঃ বনী ইসরাঈলের একটি সম্প্রদায়ের চেহারা বিকৃত হয়ে পৃথিবীর জন্তুতে পরিণত হয়। আমি জানি না, এটাই সেই প্রাণী কিনা। আমি বললাম লোকেরা তা ভুনা করে খেয়েছে। কিন্তু তিনি তা আহারও করেননি এবং আহার করিতে নিষেধও করেননি। {৩২৩৮}

{৩২৩৮} নাসাঈ ৪৩২০, ৪৩২১, ৪৩২২, আবু দাউদ ৩৭৯৫, আহমাদ ১৭৪৬৯, দারেমী ২০১৬। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবি মুহাম্মাদ বিন ফুদায়ল সম্পর্কে ইবনি মাঈন তাহাকে সিকাহ বলেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ঈমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি শীয়া মতাবলম্বী। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৫৫৪৮, ২৬/২৯৩ নং পৃষ্ঠা]শিকার করা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩২৩৯ জাবির বিন আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নবী [সাঃআঃ] গুইসাপ হারাম করেননি, কিন্তু তা অপছন্দ করিয়াছেন। এটা পশুপালের রাখালদের খাদ্য। আল্লাহ তাআলা এই প্রানীর দ্বারা অনেককে উপকৃত করেন। আমার নিকট থাকলে আমি তা অবশ্যি আহার করতাম।

{উপরোক্ত হাদীসে মোট ২টি সানাদের ১টি বর্নিত হইয়াছে, অপর সানাদটি হলোঃ}৩/৩২৩৯[১] উমার ইবনিল খাত্তাব[রাদি.], {৩২৩৯}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সানাদটি দুর্বল।{৩২৩৯}মুসলিম ১৯৫০, আহমাদ ১৪২৭৪। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সানাদটি দুর্বল। উক্ত হাদিসের সকল রাবীই সিকাহ তবে সানাদের মাঝে ইনকিতা রয়েছে। ইবনি মাঈন, আহমাদ ও ঈমাম বুখারী বলেন, কাতাদাহ বিন দাআমাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] সালমান আল-ইয়াশকুরী থেকে হাদিসটি শ্রবন করেননি। তবে এই হাদিসটি আবুয যুবায়র জাবির বিন আবদুল্লাহ-উমার বিন খাত্তাব [রাদি.] এর সুত্রে বর্ণনা করিয়াছেন।শিকার করা হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

৩২৪০ আবু সাঈদ আল-খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যখন নামায শেষে ফিরছিলেন তখন আহলে সুফ্‌ফার মধ্যকার এক ব্যক্তি তাহাঁকে ডেকে বলিলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমাদের এলাকায় প্রচুর গুইসাপ পাওয়া যায়। এই প্রানী সম্পর্কে আপনার কী অভিমত? তিনি বলেনঃ আমি জানতে পেরেছি যে, একটি সম্প্রদায়ের সৃষ্টিগত রূপ সম্পূর্ণ পরিবর্তিত করে দেয়া হইয়াছে। অতএব তিনি তা খাওয়ার নির্দেশ দেননি এবং তা খেতে নিষেধও করেননি। {৩২৪০}

{৩২৪০} মুসলিম ১৯৯১, আহমাদ ১০৬৩০, ১০৭৬০, ১১২০৫। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।শিকার করা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩২৪১ খালিদ ইবনিল ওয়ালীদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর জন্য ভুনা গুইসাপ এনে তাহাঁর সামনে পরিবেশন করা হলে তিনি তা খাওয়ার জন্য হাত বাড়ালেন। তাহাঁর নিকটে উপস্থিত এক ব্যক্তি বলল, এটা গুইসাপের গোশত। তিনি নিজের হাত তুলে নিলেন। খালিদ [রাদি.] তাহাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, গুইসাপ কি হারাম? তিনি বলেন, না, কিন্তু তা আমার এলাকার প্রানী নয়। তাই এটাতে আমার রুচি হয় না। খালিদ [রাদি.] হাত বাড়িয়ে তা নিলেন এবং আহার করিলেন। আর রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহার দিকে তাকিয়ে দেখলেন। {৩২৪১}

{৩২৪১} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ৫৩৫১, ৫৪০০, ৫৪৩৭, মুসলিম ১৯৪৬, নাসাঈ ৪৩১৬, ৪৩১৭, আবু দাউদ ৩৭৯৪, আহমাদ ১৬৩৭১, ২৬২৭৪, মুয়াত্তা মালিক ১৮০৫, দারেমী ২০১৭। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবি মুহাম্মাদ ইবনিল মুসাফফা আল-হিমসী সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী ও ঈমাম নাসাঈ বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইবনি হিব্বান তাহাকে সিকাহ বললেও অন্যত্র বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। ইবনি হাজার আল-আসকালনী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ ও তাদলীস করেন। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৫৬১৩, ২৬/৪৬৫ নং পৃষ্ঠা] শিকার করা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩২৪২ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, আমি গুইসাপ হারাম বলি না। {৩২৪২}

{৩২৪২} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ৫৫৩৬, ৭২৬৭, মুসলিম ১৯৪৩, ১৯৪৪, তিরমিজি ১৭৯০, নাসাঈ ৪৩১৪, ৪৩১৫, আহমাদ ৪৫৪৮, ৪৫৫৯,৫০৩৮, ৫২৩৩, ৫২৫৮, ৫৪১৭, ৫৫০৫, ৫৫৪০, ৬১৭৮, ৬৪২৯, মুয়াত্তা মালিক ১৮০৬ দারেমী ২০১৫। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।উক্ত হাদিসের রাবি মুহাম্মাদ ইবনিল মুসাফফা আল-হিমসী সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী ও ঈমাম নাসাঈ বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইবনি হিব্বান তাহাকে সিকাহ বললেও অন্যত্র বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। ইবনি হাজার আল-আসকালনী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ ও তাদলীস করেন। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৫৬১৩, ২৬/৪৬৫ নং পৃষ্ঠা]শিকার করা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২২/১৭. অধ্যায়ঃ খরগোশ

৩২৪৩ আনাস বিন মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমরা “মারজা-জাহরান [ওয়াদী ফাতিমাহ]” এলাকা অতিক্রমকালে একটি খরগোশকে উত্তেজিত করে বের করলাম। লোকেরা তাহার পিছু ধাওয়া করে ক্লান্ত হয়ে পড়লো। অতঃপর আমি তাহার পিছু ধাওয়া করে তা ধরে ফেললাম এবং তা নিয়ে আবু তালহা [রাদি.]-র নিকট আসলাম। তিনি তা যবেহ করিলেন। অতঃপর তাহার নিতম্ব ও উরুর গোশত নবী [সাঃআঃ] এর নিকট পাঠালেন। তিনি তা গ্রহণ করিলেন। {৩২৪৩}

{৩২৪৩} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ২৫৭২, ৫৪৮৯, ৫৫৩৫, মুসলিম ১৯৫৩, তিরমিজি ১৭৮৯, নাসাঈ ৪৩১২, আবু দাউদ ৩৭৯১, আহমাদ ১২৩৩৬, ১৩০১৮, ১৩৬৯২, দারেমী ২০১৩, ইরওয়া ২৪৯৫। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহশিকার করা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩২৪৪ মুহাম্মদ বিন সফওয়ান [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি দুটি খরগোশ কাঁধে ঝুলিয়ে নিয়ে নবী [সাঃআঃ] এর নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি এই খরগোশ দুটি ধরেছি কিন্তু এমন কোন লৌহাস্ত্র পেলাম না, যা দিয়ে তা যবেহ করিতে পারতাম। তাই আমি একটি ধারালো সাদা পাথর দিয়ে তা যবেহ করেছি। আমি কি তা আহার করিতে পারি? তিনি [সাঃআঃ] বলেনঃ আহার করো। {৩২৪৪}

{৩২৪৪} তিরমিজি ১৪৭২, নাসাঈ ৪৩১৩, ৪৩৯৯, আবু দাউদ ২৮২২, আহমাদ ১৫৪৪৩, দারেমী ২০১৪, ইরওয়া ২৪৯৬। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।শিকার করা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩২৪৫ খুযায়মাহ বিন জাযই [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল [সাঃআঃ]! আমি মাটির গর্ভে বসবাসকারী প্রানী সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য আপনার নিকট এসেছি। গুইসাপ সম্পর্কে আপনি কী বলেন? তিনি [সাঃআঃ] বলেনঃ আমি নিজে খাই না এবং হারামও করি না। রাবী বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল [সাঃআঃ]! যে জিনিস আপনি হারাম করবেন না তা কি আমি আহার করিতে পারি, আর আপনিই বা কেন তা আহার করেন না? তিনি বলেন, কোন এক সম্প্রদায় বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল এবং তাহাদের গঠন এরুপ দেখেছি বলে আমার সন্দেহ হচ্ছে। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল [সাঃআঃ]! খরগোশ সম্পর্কে আপনি কী বলেন? তিনি [সাঃআঃ] বলেনঃ আমি তা খাইও না এবং হারামও করি না। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল [সাঃআঃ]! যে জিনিস আপনি হারাম করেন না, তা কি আমি আহার করিতে পারি, আর আপনি তা কেন খান না? তিনি [সাঃআঃ] বলেনঃ আমাকে অবহিত করা হইয়াছে যে, তা ঋতুবতী হয়। {৩২৪৫}

{৩২৪৫} তিরমিজি ১৭৯২। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ জইফ। উক্ত হাদিসের রাবি ১. ইবনি ইসহাক সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আজালী বলেন, তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাসানুল হাদিস। আলী ইবনিল মাদানী বলেন, তিনি সালিহ। সুলায়মান বিন তাহারখান ও সুলায়মান বিন মিহরান বলেন, তিনি মিথ্যুক। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি আমার নিকট হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৫০৫৭, ২৪/৪০৫ নং পৃষ্ঠা] ২. আবদুল কারীম বিন আবুল মুখারিক সম্পর্কে আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তাহার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহনযোগ্য হইবে না। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় অধিক সন্দেহ করেন। আবু যুরআহ আর-রাযী ও আহমাদ বিন হাম্বল তাহাকে দুর্বল বলেছেন। আহমাদ বিন শুআয়ব বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। ইবনি হাজার আল-আসকালনী বলেন, তিনি দুর্বল। ইবনি আবদুল বার আল-আন্দালাসী বলেন, তাহার দুর্বলতাহার ব্যাপারে সকলে একমত। ঈমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। ইয়াহইয়া বিন মাঈন তাহাকে দুর্বল হিসেবে উল্লেখ করিয়াছেন। মুহাম্মাদ বিন ইসমাইল বলেন,আহলে ইলমের নিকট তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৩৫০৬, ১৮/২৫৯ নং পৃষ্ঠা] শিকার করা হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

২২/১৮. অধ্যায়ঃ সমুদ্রগর্ভে মরে ভেসে ওঠা মাছ

৩২৪৬ আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ “সমুদ্রের পানি পাক এবং তাহার মৃতজীব হালাল”। আবু আবদুল্লাহ [রাদি.] বলেন, আমি আবু উবায়দা আল-জাওয়াদের সূত্রে জানতে পেরেছি যে, তিনি বলেন, এটা জ্ঞানের অর্ধেক। কারণ দুনিয়াটা [দুভাগে বিভক্ত]ঃ স্থলভাগ ও জলভাগ। অতএব তোমাকে জলভাগ সম্পর্কে ফতোয়া দেয়া হইয়াছে। আর অবশিষ্ট থাকলো স্থলভাগ। {৩২৪৬}

{৩২৪৬} তিরমিজি ৬৯ নাসাঈ ৫৯, ৩৩২, ৪৩৫০, আবু দাউদ ৮৩, আহমাদ ৭১৯২, ৮৫১৮, ৮৬৯৫, ৮৮৫৫, মুয়াত্তা মালিক ৪৩, দারেমী ৭২৮, ৭২৯। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।শিকার করা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩২৪৭ জাবির বিন আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ সমুদ্র যা উদগীরণ করে অথবা তা থেকে যা নিক্ষিপ্ত হয় তা তোমরা আহার করো। আর যা সমুদ্রে মারা যায়, অতঃপর পানির উপর ভেসে উঠে তা আহার করো না। {৩২৪৭}

{৩২৪৭} আবু দাউদ ৩৮১৫, মিশকাত ৪১৩৩। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ জইফ। উক্ত হাদিসের রাবি ইয়াহইয়া বিন সুলায়ম আত-তায়িফী সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি আহলে ইলমের নিকট নির্ভরযোগ্য নয়। আবু বিশর আদ-দাওলানী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। ইবনি হাজার আল-আসকালনী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে স্মৃতিশক্তি দুর্বল। যাকারিয়্যা বিন ইয়াহইয়া আস-সাজী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৬৮৪১, ৩১/৩৬৫ নং পৃষ্ঠা] শিকার করা হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

২২/১৯. অধ্যায়ঃ কাক

৩২৪৮ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, কোন্‌ লোক কাক খায়? অথচ রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহার নাম রেখেছেন, “ফাসিক” [নিকৃষ্ট প্রাণী]। আল্লাহর শপথ! তা পবিত্র প্রাণীর অন্তর্ভূক্ত নয়। {৩২৪৮}

{৩২৪৮} হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন। সহীহাহ ১৮২৫। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।শিকার করা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩২৪৯ আয়েশা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসূলুল্লাহ বলেনঃ সাপ ক্ষতিকর প্রাণী, বিছা ক্ষতিকর প্রানী, ইঁদুর ক্ষতিকর প্রানী এবং কাক ক্ষতিকর প্রাণী। কাসিমের নিকট জিজ্ঞাসা করা হলো, কাক আহার করা যায় কি? তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন, কোন্‌ লোক কাক আহার করে রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর কথার পর যে, তা ফাসিক? {৩২৪৯}

{৩২৪৯} আহমাদ ২৫৪৮১। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবি আল-মাসউদী সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনি নুমায়র বলেন, তিনি সিকাহ তবে শেষ বয়সে হাদিস সংমিশ্রণ করিয়াছেন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি সিকাহ তবে বাগদাদে হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করিয়াছেন। মুহাম্মদ বিন সাদ বলেন, তিনি সিকাহ তবে মৃত্যুর পূর্বে হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করিয়াছেন। আলী ইবনিল মাদানী তাহাকে সিকাহ বলেছেন। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৩৮৭২, ১৭/২১৯ নং পৃষ্ঠা]শিকার করা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২২/২০. অধ্যায়ঃ বিড়াল

৩২৫০ জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বিড়াল ও তাহার ক্রয়মূল্য ভোগ করিতে নিষেধ করিয়াছেন। {৩২৫০}

{৩২৫০} তিরমিজি ১২৮০, আবু দাউদ ৩৪৮০, ৩৮০৭, ইরওয়া ২৪৮৭। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ জইফ। উক্ত হাদিসের রাবি উমার বিন যায়দ সম্পর্কে আবু নুআয়ম আল-আসবাহানী বলেন, তিনি মুহারিব ও আবুয যুবায়র থেকে মুনকার সুত্রে হাদিস বর্ণনা করিয়াছেন। ইবনি হাজার আল-আসকালনী বলেন, তিনি দুর্বল। ঈমাম বুখারী বলেন, তাহার ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৪২৩৫, ২১/৩৫০ নং পৃষ্ঠা শিকার করা হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস


Posted

in

by

Comments

One response to “শিকার করা । বাঘ খেঁকশিয়াল কুকুর গুইসাপ কাক বিড়াল ইঃ”

Leave a Reply