ওয়ারিসী স্বত্ব বণ্টন । দাদা দাদী নানী ওয়ালা নিঃসন্তান ফারায়েয
ওয়ারিসী স্বত্ব বণ্টন । দাদা দাদী নানী ওয়ালা নিঃসন্তান ফারায়েয , এই অধ্যায়ে মোট =৩৪ টি হাদীস (২৭১৯ – ২৭৫২) >> সুনানে ইবনে মাজাহ হাদিস এর মুল সুচিপত্র পড়ুন
পর্বঃ ২৩- ওয়ারিসী স্বত্ব বণ্টন, অধ্যায়ঃ (১-১৪)=১৪টি, হাদীস (২৭১৯ – ২৭৫২)
১৭/১. অধ্যায়ঃ ফারায়েয শিখতে উৎসাহিত করা
১৭/২. অধ্যায়ঃ ওরসজাত সন্তানের ওয়ারিসী স্বত্ব
১৭/৩. অধ্যায়ঃ দাদার ওয়ারিসী স্বত্ব
১৭/৪. অধ্যায়ঃ দাদী-নানীর ওয়ারিসীর স্বত্ব
১৭/৫. অধ্যায়ঃ কালালা [পিতৃ-মাতৃহীন নিঃসন্তান ব্যক্তি]
১৭/৬. অধ্যায়ঃ মুসলমান ব্যক্তি মুশরিক ব্যক্তির ওয়ারিস হলে
১৭/৭. অধ্যায়ঃ ওয়ালাআর উত্তরাধিকার স্বত্ব
১৭/৮. অধ্যায়ঃ হত্যাকারীর উত্তরাধিকার স্বত্ব
১৭/৯. অধ্যায়ঃ যাবিল আরহাম
১৭/১০. অধ্যায়ঃ আসাবার মীরাস
১৭/১১. অধ্যায়ঃ যাহার কোনো ওয়ারিস নেই
১৭/১২. অধ্যায়ঃ নারীগণ বিশেষ তিন শ্রেণীর লোকের ওয়ারিস হইতে পারে
১৭/১৩. অধ্যায়ঃ যে ব্যক্তি নিজ সন্তানকে অস্বীকার করেছে
১৭/১৪. অধ্যায়ঃ সন্তানের দাবীদার হওয়া সম্পর্কে
১৭/১. অধ্যায়ঃ ফারায়েয শিখতে উৎসাহিত করা
২৭১৯ আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ হে আবু হুরাইরাহ! ফারায়েয শিক্ষা করো এবং [অন্যদের] তা শিক্ষা দাও। কেননা তা জ্ঞানের অর্ধেক। আর এটা ভুলিয়ে দেয়া হইবে এবং এটাই প্রথম জিনিস যা আমার উম্মাত থেকে [শেষ যুগে] ছিনিয়ে নেয়া হইবে। {২৭১৯}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ দঈফ।২৭১৯} তিরমিজি ২০৯১, ইরওয়া ১৬৬৪, ১৬৬৫। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ জইফ। উক্ত হাদিসের রাবি হাফস বিন উমার বিন আবুল ইতাফ সম্পর্কে আবু বাকর আল-বায়হাকী ও আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি কুফুরী নয় এমন কওলী বা আমলী কোন ফিসক এর সাথে জড়িত। আহমাদ বিন শুআয়ব, ইবনি হাজার আল-আসকালনী ও ঈমাম যাহাবী বলেন, তিনি দুর্বল। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ১৪০৩, ৭/৩৮ নং পৃষ্ঠা]।ওয়ারিসী স্বত্ব বণ্টন হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
১৭/২. অধ্যায়ঃ ওরসজাত সন্তানের ওয়ারিসী স্বত্ব
২৭২০ জাবির বিন আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
সাদ বিন আর রাবী [রাদি.]-এর স্ত্রী সাদের দু কন্যাসহ নবী [সাঃআঃ] এর নিকট এসে বলেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ! এরা দুজন সাদ [রাদি.]-র কন্যা, যিনি আপনার সাথে উহুদের যুদ্ধে শরীক হয়ে শহীদ হইয়াছেন। এদের পিতাহার পরিত্যক্ত সমস্ত মাল এদের চাচা দখল করে নিয়েছে। মেয়েদের সম্পদ না থাকলে তাহাদের বিবাহ দেয়া যায় না| রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] চুপ করে রইলেন। শেষে উত্তরাধিকার স্বত্ব সংক্রান্ত আয়াত নাযিল হলো। তখন রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] সাদ বিন আর রাবীর ভাইকে ডেকে এনে বলেনঃ সাদের কন্যাদ্বয়কে তাহার সম্পদের দুই-তৃতীয়াংশ দাও, তাহার স্ত্রীকে এক-অষ্টমাংশ দাও, অবশিষ্ট যা থাকে তা তুমি নাও। {২৭২০}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান।{২৭২০} তিরমিজি ২০৯২, আবু দাউদ ২৮৯১, সহীহ আবু দাউদ ২৫৭৩-২৫৭৪, তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবি আবদুল্লাহ বিন মুহাম্মাদ বিন আকীল সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, তাহার থেকে হাদিস গ্রহন কর যায়। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি যাচাই-বাচাই ছাড়া হাদিস গ্রহন করেন ও তা বর্ণনা করেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী তাহাকে দুর্বল বলেছেন। ইবনি হাজার আল-আসকালনী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় শিথিল। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৩৫৪৩, ১৬/৭৮ নং পৃষ্ঠা] ওয়ারিসী স্বত্ব বণ্টন হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
২৭২১ আবদুল্লাহ বিন মাসঊদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
এক ব্যক্তি আবু মুসা আশাআরী ও সালমান বিন রাবীআ আল-বাহিলী [রাদি.]-এর কাছে এসে এক কন্যা, এক পৌত্রী ও এক সহোদর বোনের ওয়ারিসী স্বত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করিল। তাহারা বলেন, কন্যা পাবে অর্ধেক এবং অবশিষ্ট থাকিবে তা পাবে বোন। তুমি বিন মাসউদের নিকট যাও। তিনিও হয়তো আমাদের সাথে একমত হইবেন। অতঃপর লোকটি বিন মাসউদ [রাদি.]–এর নিকট গিয়ে জিজ্ঞাসা করিল এবং তাহারা যা বলেছিলেন তাও তাহাকে অবহিত করিল। আবদুল্লাহ বিন মাসউদ[রাদি.] বলেন, তাহলে আমি পথভ্রষ্ট হয়ে যাবো এবং হেদায়াতপ্রাপ্তদের অন্তভুক্ত থাকবো না। এ ব্যাপারে আমি রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর অনুরূপ ফায়সালাই দিবো। কন্যা পাবে অর্ধাংশ এবং পৌত্রী পাবে এক-ষষ্ঠাংশ। এভাবে উভয়ের অংশ মিলে দুই-তৃতীয়াংশ পূর্ণ হইবে। অবশিষ্ট যা থাকিবে তা পাবে বোন। {২৭২১}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। {২৭২১} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ৬৭৩৬, তিরমিজি ২০৯৩, আবু দাউদ ২৮৯০, আহমাদ ৩৬৮৩, ৪১৮৪, দারেমী ২৮৮৯, ইরওয়া ১৬৮৩, রাওদুন নাদীর ৬৩৪, সহীহ আবু দাউদ ২৫৭২। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবি আবু কায়স আল-আওদী সম্পর্কে আবু বাকর আল-বাযযাহার বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু আবদুল্লাহ আল-হাকিম বলেন, তাহার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহণযোগ্য নয়। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সিকাহ রাবীর বিপরীত হাদিস বর্ণনা করেন। ইবনি হাজার আল-আসকালনী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো সিকাহ রাবীর বিপরীত হাদিস বর্ণনা করেন। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৩৭৭৮, ১৭/২০ নং পৃষ্ঠা]।ওয়ারিসী স্বত্ব বণ্টন হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭/৩. অধ্যায়ঃ দাদার ওয়ারিসী স্বত্ব
২৭২২ মাকিল বিন ইয়াসার আল-মুযানী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আমি নবী [সাঃআঃ] এর নিকট শুনিয়াছি যে, একটি ফারায়েযের বিষয় উথাপিত হলো, যাতে দাদাও অন্তভুক্ত ছিল। তিনি দাদাকে এক-তৃতীয়াংশ বা এক-ষষ্ঠাংশ দিয়েছেন। {২৭২২}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। {২৭২২} আবু দাউদ ২৮৯৭। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবি ইউনুস বিন আবু ইসহাক সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি তাহার রেওয়ায়াতে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তাহার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহনযোগ্য নয়। আবু হাতিম বিন হিব্বান তাহার সিকাহ গ্রন্থে তাহার নাম উল্লেখ করিয়াছেন। ইবনি হাজার আল-আসকালনী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় কিছু সন্দেহ করেন। যাকারিয়্যা বিন ইয়াহইয়া আস-সাজী বলেন, তিনি সত্যবাদী। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৭১৭০, ৩২/৪৮৮ নং পৃষ্ঠা]ওয়ারিসী স্বত্ব বণ্টন হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৭২৩ মাকিল বিন ইয়াসার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদের মধ্যেকার দাদাকে এক-ষষ্ঠাংশ ওয়ারিসী স্বত্ব প্রদানের নির্দেশ দিলেন। {২৭২৩}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।{২৭২৩} আবু দাউদ ২৮৯৭, সহীহ আবু দাউদ ২৫৭৬। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।ওয়ারিসী স্বত্ব বণ্টন হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭/৪. অধ্যায়ঃ দাদী-নানীর ওয়ারিসীর স্বত্ব
২৭২৪ মুগীরাহ ও মুহাম্মাদ বিন মাসলামাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
এক দাদী বা নানী আবু বকর সিদ্দীক [রাদি.] এর নিকট এসে তাহার ওয়ারিসীর স্বত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞেস করিল। আবু বকর [রাদি.] তাহাকে বলেন, তোমার জন্য আল্লাহর কিতাবে কিছু নির্ধারিত নেই। আর রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর হাদীসেও তোমার জন্য কিছু নির্ধারিত আছে বলে আমি জানি না। তুমি ফিরে যাও, আমি লোকজনকে জিজ্ঞেস করে জেনে নেই। অতঃপর তিনি লোকজনের নিকট জিজ্ঞেস করিলে মুগীরাহ বিন শুবাহ [রাদি.] বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নিকট উপস্থিত থাকা অবস্থায় তিনি তাহাকে এক-ষষ্ঠাংশ দিয়েছেন। আবু বকর [রাদি.] জিজ্ঞেস করেন, তুমি ছাড়া তোমার সাথে আরো কেউ উপস্থিত ছিল কি? তখন মুহাম্মাদ বিন মাসলামা আল-আনসারী [রাদি.] দাঁড়ালেন এবং মুগীরা বিন শোবা [রাদি.]-র অনুরূপ একই কথা বলিলেন। আবু বকর [রাদি.] তাহার জন্য এ হুকুম জারী করে দিলেন। এরপর উমর [রাদি.] এর নিকট এক দাদী বা নানী এসে তাহার ওয়ারিসীর স্বত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞেস করিল। তিনি বলেন, তোমার জন্য আল্লাহর কিতাবে কোন স্বত্ব নির্ধারিত নেই এবং ইতিপূর্বেকার যে ফয়সালা, তা ছিল তুমি ছাড়া ভিন্নজনের ব্যাপারে। আমি ফারায়েযে অতিরিক্ত কিছু যোগ করিতে প্রস্তুত নই, বরং সেই এক-ষষ্ঠাংশই নির্ধারিত থাকিবে। যদি দাদী-নানী দুজনই একত্র হয় তবে ঐ এক-ষষ্ঠাংশ স্বত্ব তোমাদের দুজনের মধ্যে সমানভাবে বন্টিত হইবে। আর তোমাদের দুজনের মধ্যে যদি একজন জীবিত থাকে সে একাই এই স্বত্ব পাবে। {২৭২৪}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ দঈফ ।{২৭২৪} তিরমিজি ২১০০, ২১০১, আবু দাউদ ২৮৯৪, মুয়াত্তা মালিক ১০৯৮, দারেমী ২৯৩৮, ইরওয়া ১৬৮০। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ জইফ। উক্ত হাদিসের রাবি সুওয়ায়দ বিন সাঈদ সম্পর্কে আবুল হাসান বিন সুফইয়ান আল-কুফী বলেন, তিনি দুর্বল। আবুল কাসিম আল-বাগাবী বলেন, তিনি হুফফাযদের একজন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় অধিক তাদলীস করেন। আহমাদ বিন শুআয়ব আন-নাসাঈ বলেন, তিনি সিকাহ নয়। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ২৬৪৩, ১২/২৪৭ নং পৃষ্ঠা]উক্ত হাদিসের সকল রাবীই সিকাহ তবে কাবিসাহ বিন যুআয়ব ঐ ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন না কারণ তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে একজন ছোট বালক ছিলেন, তিনি প্রথম যুগের তাবিঈ। সুতরাং মুহাম্মাদ বিন মাসলামাহ বা মুগীরাহ বিন শুবাহ অথবা অন্যান্য সাহাবী থেকে তাহার হাদিস বর্ণনার সম্ভাবনা রয়েছে কিন্তু আবু বাকর [রাদি.] থেকে নয়। [আত-তাখলীস ৩/৮২]।ওয়ারিসী স্বত্ব বণ্টন হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
২৭২৫ ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এক দাদীকে এক-ষষ্ঠাংশ ওয়ারিসী স্বত্ব দিয়েছেন। {২৭২৫}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সানাদ দঈফ।{২৭২৫} দারেমী ২৯৩২। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ জইফ। উক্ত হাদিসের রাবি লায়স সম্পর্কে ঈমাম বুখারী বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, মুদতাহারাবুল হাদিস। ইয়াহইয়া বিন মাঈন, আবু যুরআহ ও আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি দুর্বল। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৫০১৭, ২৪/২৭৯ নং পৃষ্ঠা]।ওয়ারিসী স্বত্ব বণ্টন হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
১৭/৫. অধ্যায়ঃ কালালা [পিতৃ-মাতৃহীন নিঃসন্তান ব্যক্তি]
২৭২৬ উমর ইবনিল খাত্তাব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
জুমুআর দিন তাহাদের উদ্দেশ্যে খুতবা দিতে দাঁড়ালেন এবং খুতবা দিলেন। তিনি আল্লাহর প্রশংসা ও গুণগান করার পর বলেন, আল্লাহর শপথ! আমি আমার পরে কালালার চেয়ে গুরুতর কোন বিষয় রেখে যাচ্ছিনা। বিষয়টি সম্পর্কে আমি রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে জিজ্ঞেস করিলে তিনি আমাকে এতো কঠোর জবাব দেন যে, অন্য কোন বিষয়ে ততো কঠোর জবাব আমাকে দেননি। এমনকি তিনি তাহাঁর আঙ্গুল দিয়ে আমার উভয় পার্শ্বদেশে অথবা আমার বুকে খোঁচা মারেন, অতঃপর বললেনঃ হে উমর! তোমার জন্য গ্রীষ্মকালে নাযিলকৃত সুরা নিসার শেষ ভাগের আয়াতটিই [৪ঃ১৭৬] যথেষ্ট। {২৭২৬}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।{২৭২৬} মুসলিম ৫৬৭, ১৬১৭, আহমাদ ৯০, ১৮০, ১৮৭, ২৬৪, ৩৪৩, ৩৬৪, মুয়াত্তা মালিক ১১০১, সহীহ আবু দাউদ ২৫৭১। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।ওয়ারিসী স্বত্ব বণ্টন হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৭২৭ উমর ইবনিল খাত্তাব [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
তিনটি বিষয় সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] স্পষ্টভাবে বর্ণনা করে দিলে তা আমার জন্য দুনিয়া ও তাহার মধ্যেকার সব কিছুর চেয়ে প্রিয়তর হতো। তা হলঃ কালালা, সুদ এবং খিলাফত। {২৭২৭}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ দঈফ।{২৭২৭} হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন। বায়হাকী ফিস সুনান ৭/১২, তাখরীজুল মুখতাহার ২৬৩-২৬৫। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ জইফ।ওয়ারিসী স্বত্ব বণ্টন হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
২৭২৮। জাবির বিন আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আমি অসুস্থ হয়ে পড়লে রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] আবু বকর [রাদি.]-কে সাথে নিয়ে পদব্রজে আমাকে দেখিতে এলেন। আমি বেহুঁশ হয়ে পড়লাম। রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] উযু করিলেন, অতঃপর তাহাঁর উযুর পানি আমার গায়ে ছিটিয়ে দিলেন। [হুঁশ ফিরে এলে] আমি বললাম, ইয়া রাসুলুল্লাহ! আমি আমার সম্পদের ব্যাপারে কী করিব, আমি এ ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নিবো? শেষভাগে মীরাছের আয়াত নাযিল হলো [অনুবা-দ.]ঃ “লোকে তোমার নিকট ব্যবস্থা জানতে চায়। বলো, পিতৃ-মাতৃহীন নিঃসন্তান অবস্থায় মারা গেলে এবং তাহার এক বোন থাকলে তাহার জন্য পরিত্যক্ত সম্পত্তির অর্ধাংশ এবং সে [বোন] নিঃসন্তান হলে তাহার ভাই তাহার ওয়ারিস হইবে। আর দুবোন থাকলে তাহার পরিত্যক্ত সম্পত্তির দুই-তৃতীয়াংশ তাহাদের প্রাপ্য। আর ভাই-বোন থাকলে এক পুরুষের অংশ দুনারীর অংশের সমান। তোমরা যাতে পথভ্রষ্ট না হও সেজন্য আল্লাহ তোমাদের পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিচ্ছেন। আল্লাহ সর্ববিষয়ে সবিশেষ অবহিত” [সুরা নিসাঃ ১৭৬] {২৭২৮}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।{২৭২৮} হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন। সহীহ আবু দাউদ ২৫৬৮। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।ওয়ারিসী স্বত্ব বণ্টন হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭/৬. অধ্যায়ঃ মুসলমান ব্যক্তি মুশরিক ব্যক্তির ওয়ারিস হলে
২৭২৯ উসামাহ বিন যায়দ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ মুসলমান ব্যক্তি কাফের ব্যক্তির ওয়ারিস হইবে না এবং কাফেরও মুসলমানের ওয়ারিস হইবে না। {২৭২৯}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। {২৭২৯} ইবনি মাজাহ ২৭৩০, সহিহুল বুখারি হাদিস নং ১৫৮৮, ৩০৮৯, ৪২৮৩, ৬৭৬৪, মুসলিম ১৩৫১, ১৬১৪, তিরমিজি ২১০৭, আবু দাউদ ২০১০, ২৯০৯, ২৯১০, আহমাদ ২১২৪০, ২১২৪৫, ২১২৫৯, ২১৩০১, ২১৩১৩, মুয়াত্তা মালিক ১১০৪, দারেমী ২৯৯৭, ২৯৯৯, ৩০০০, ইরওয়া ১৬৭৫, সহীহ আবু দাউদ ২৫৮৪। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। ওয়ারিসী স্বত্ব বণ্টন হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৭৩০ উসামাহ বিন যায়দ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
ইয়া রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]! আপনি কি মক্কায় আপনার বাড়িতে অবস্থান করবেন? তিনি বলেনঃ আকীল কি আমাদের জন্য কোন ঘর-বাড়ি বা ঠিকানা অবশিষ্ট রেখেছে? [রাবী বলেন,] আকীল ও তালিবই আবু তালিবের ওয়ারিস হয়েছিল এবং জাফর ও আলী [রাদি.] তাহার ওয়ারিস হননি। কেননা তাহারা দুজন তখন [আবু তালিবের মৃত্যুর সময়] মুসলমান ছিলো। আর আকীল ও তালিব ছিল কাফের [আকীল পরে মুসলমান হন]। এ কারনেই উমর [রাদি.] বলেতেন, কোন মুমিন কোন কাফেরের ওয়ারিস হইবে না। উসামা [রাদি.] বলেন, রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ মুসলমান কাফেরের ওয়ারিস হইবেনা এবং কাফেরও মুসলমানের ওয়ারিস হইবেনা। {২৭৩০}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।{২৭৩০} ইবনি মাজাহ ২৭২৯, সহিহুল বুখারি হাদিস নং ১৫৮৮, ৩০৮৯, ৪২৮৩, ৬৭৬৪, মুসলিম ১৩৫১, ১৬১৪, তিরমিজি ২১০৭, আবু দাউদ ২০১০, ২৯০৯, ২৯১০, আহমাদ ২১২৪০, ২১২৪৫, ২১২৫৯, ২১৩০১, ২১৩১৩, মুয়াত্তা মালিক ১১০৪, দারেমী ২৯৯৭, ২৯৯৯, ৩০০০, বায়হাকী ফিস সুনান ৬/১২৮, ২৫৮, ইবনি হিব্বান ৬০৩৩, দারাকুতনী ৪/৬৯, ৭১, ইবনিল জারুদ ৯৫৪, সাঈদ বিন মানসুর ১৩৫, আস-সহীহ ১৭৫৪, ২৫৮৫। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।ওয়ারিসী স্বত্ব বণ্টন হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৭৩১ আবদুল্লাহ বিন আমর ইবনিল আস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ দু ভিন্ন ধর্মের লোক পরস্পরের ওয়ারিস হইবে না। {২৭৩১}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান সহীহ।{২৭৩১} আবু দাউদ ২৯১১, আহমাদ ৬৬২৬, ৬৮০৫, ইরওয়া ৬/১২০-১২১, আস-সহীহ ২৫৮৬, মিশকাত ৩০৪৬-৩০৪৭। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবি ১. ইবনি লাহীআহ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তাহার হাদিসের ব্যাপারে কোন সমস্যা নেই। আমর বিন ফাল্লাস বলেন, তাহার কিতাব সমূহ পুড়ে যাওয়ায় হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। কিতাব সমূহ পুড়ে যাওয়ায় যে হাদিস বর্ণনা করিয়াছেন তা দুর্বল। আবু কাসিম বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। আবু বকর আল-বায়হাকী বলেন, তাহার হাদিস দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। আবু হাতিম আর-রাযী তাহাকে দুর্বল বলেছেন। ইবনি হাজার আল-আসকালনী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তাহার কিতাব সমূহ পুড়ে যাওয়ার পর হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। বিশর ইবনিস সারী বলেন, যদি তাহার সাথে আমার সাক্ষাৎ হত তবে আমি তাহার থেকে কোন হাদিস গ্রহন করতাম না। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৩৫১৩, ১৫/৪৮৭ নং পৃষ্ঠা] ২. মুসান্না ইবনিস সাব্বাহ সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি আহলে ইলমের নিকট নির্ভরযোগ্য নয়। আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, পূর্ব ঈমামগণ তাহাকে দুর্বল হিসেবে উল্লেখ করিয়াছেন। আবু হাতিম আর-রাযী ও ঈমাম তিরমিজি বলেন, তিনি যাচাই-বাচাই ছাড়া হাদিস গ্রহন করেন ও তা বর্ণনা করেন। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৫৭৭৩, ২৭/২০৩ নং পৃষ্ঠা]ওয়ারিসী স্বত্ব বণ্টন হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহীহ
১৭/৭. অধ্যায়ঃ ওয়ালাআর উত্তরাধিকার স্বত্ব
২৭৩২ উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রাবাব বিন হুযায়ফাহ বিন সাঈদ বিন সাহম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] উম্মু ওয়াইল বিনতু মামার আল-জুমাহিয়্যাকে বিবাহ করেন। তাহার গর্ভে তিনটি সন্তান জন্মগ্রহণ করে। অতঃপর তাহাদের মা মারা গেলে তাহার ওয়ারিসী সূত্রে তাহার পরিত্যক্ত সম্পত্তি ও তাহার মুক্ত দাসদের ওয়ালাআর মালিক হয়। অতঃপর আমর ইবনিল আস [রাদি.] তাহাদেরকে সিরিয়ায় নিয়ে যান। সেখানে তাহারা আমওয়াস নামক মহামারীতে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। অতঃপর আমর [রাদি.] তাহাদের ওয়ারিস হন। তিনি ছিলেন তাহাদের আসাবা। আমর ইবনিল আস [রাদি.] ফিরে এলে মামারের পুত্ররা এসে তাহাদের বোনের ওয়ালাআর দাবিদার হয়ে উমর [রাদি.]-এর নিকট মামলা দায়ের করে। উমর [রাদি.] বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নিকট যা শুনিয়াছি তদনুযায়ী তোমাদের মধ্যে ফয়সালা করিব। আমি তাহাঁকে বলিতে শুনেছিঃ পুত্র ও পিতা [ওয়ালাআ সূত্রে] যা পেয়েছে তা তাহার আসাবাগনের প্রাপ্য। রাবী বলেন, অতএব তিনি এ সম্পর্কে আমাদের অনুকূলে ফয়সালা দিলেন এবং আমাদেরকে একখানা পত্র লিখে দিলেন যাতে আব্দুর রহমান বিন আউফ [রাদি.], যায়দ বিন সাবিত [রাদি.] ও আরো একজন সাক্ষী হয়েছিলেন। এরপর আব্দুল মালিক বিন মারওয়ানের খেলাফতকালে উম্মু ওয়াইলের এক মুক্ত দাস দু হাজার দীনার রেখে মারা গেলো। আমি অবহিত হলাম যে, পূর্বের সেই ফয়সালা পরিবর্তন করা হইয়াছে। অতএব তাহারা হিশাম বিন ইসমাঈলের নিকট অভিযোগ দায়ের করিলে তিনি আমাদেরকে আব্দুল মালেকের নিকট পাঠান। আমরা তাহার কাছে উমর [রাদি.] এর পত্রসহ উপস্থিত হলাম। তিনি বলেন, আমি জানতাম না যে, এই সুস্পষ্ট ফয়সালা নিয়েও লোকজন বিবাদ করিবে। আমার ধারনা ছিল না যে, মদীনাবাসীদের অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছবে যে, তাহারা এই ফয়সালা নিয়ে সন্দেহ করিবে। অতএব তিনি এ ব্যাপারে আমাদের পক্ষে রায় দিলেন এবং এরপর থেকে আমরা এ সম্পত্তি ওয়ারিসী সূত্রে ভোগদখল করে আসছি। {২৭৩২}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।{২৭৩২} আবু দাউদ ২৯১৭, সহীহাহ ২২১৩, সহীহ আবু দাউদ ২৫৯০। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।ওয়ারিসী স্বত্ব বণ্টন হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৭৩৩ আয়েশা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] এর একটি মুক্ত দাস খেজুর গাছ থেকে পড়ে মারা যায়। তাহার কিছু সম্পদও ছিল, কিন্ত কোন সন্তান বা আত্মীয়-স্বজন ছিলো না। নবী [সাঃআঃ] বলেনঃ তোমরা তাহার পরিত্যক্ত সম্পত্তি তাহার গ্রামের কোন লোককে দান করো। {২৭৩৩}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।{২৭৩৩} তিরমিজি ২১০৫, আবু দাউদ ২৯০২, আহমাদ ২৪৫৩৩, বায়হাকী ফিস সুনান ৬/২৪২, ১০/১৮৮, সহীহ আবু দাউদ ২৫৮১। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।ওয়ারিসী স্বত্ব বণ্টন হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৭৩৪ হামযাহ [রাঃ]-র কন্যা উমামাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আমার এক মুক্ত দাস একটি কন্যা সন্তান রেখে মারা যায়। রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহার পরিত্যক্ত সম্পদ আমার ও তাহার সেই কন্যার মধ্যে বণ্টন করেন। তিনি আমাকে দিলেন অর্ধেক এবং তাহাঁকে দিলেন অর্ধেক। {২৭৩৪}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান।{২৭৩৪} দারেমী ৩০১২, ইরওয়া ১৬৯৬। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবি মুহাম্মাদ বিন আব্দুর রহমান বিন আবু লায়লা সম্পর্কে ইয়াকুব বিন সুফইয়ান বলেন, তিনি সিকাহ। শুবাহ ইবনিল হাজ্জাজ বলেন, আমি তাহার চেয়ে দুর্বল স্মৃতিশক্তি সম্পন্ন আর কাউকে দেখিনি। ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল-কাত্তান বলেন, তিনি জইফ বা দুর্বল। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তাহার স্মৃতিশক্তি খুবই দুর্বল। ইবনি মাঈন বলেন, সমস্যা নেই। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৫৪০৬, ২৫/৬২২ নং পৃষ্ঠা]ওয়ারিসী স্বত্ব বণ্টন হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
১৭/৮. অধ্যায়ঃ হত্যাকারীর উত্তরাধিকার স্বত্ব
২৭৩৫ আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, হত্যাকারী ওয়ারিস হইবেনা [উত্তরাধিকার স্বত্ব পাবে না]। {২৭৩৫}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।{২৭৩৫} তিরমিজি ৩১০৯, বায়হাকী ফিস সুনান ৬/২২০, দারাকুতনী ৫/৯৬। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবি ইসহাক বিন আবু ফারওয়াহ সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, তাহার সানাদ বা মাতান কোনটিরই কেউ অনুসরণ করেনি। আবু বাকর আল-বুরকানী ও আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি মাতরুক বা প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আবু বাকর আল-বাযযাহার বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি দুর্বল। আবু ইয়ালা আল-খালীলী বলেন, তিনি খুবই দুর্বল। ঈমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৩৬৭, ২/৪৪৬ নং পৃষ্ঠা]উক্ত হাদিসটি সহীহ কিন্তু ইসহাক বিন আবু ফারওয়াহ এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ৬৭ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ তিরমিজি ২১০৯, আহমাদ ৩৪৯, দারাকুতনী ৪০৯৮, ৪০৯৯, ৪১০০, ৪১০১, ৪১০২, ৪৫২৬, ৪৫২৭, ৪৫২৮, মুসান্নাফ আব্দুর রাযযাক ১৭৭৮১, ১৭৭৮২, ১৭৭৮৩, ১৭৭৮৭, ১৭৭৯৮, মুজামুল আওসাত ৮৮৪, ৮৬৯০, শারহুস সুন্নাহ ২২৩৩।ওয়ারিসী স্বত্ব বণ্টন হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৭৩৬ আবদুল্লাহ বিন আমর ইবনিল আস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] মক্কা বিজয়ের দিন দাঁড়িয়ে বলেনঃ স্ত্রী তাহার স্বামীর দিয়াত ও পরিত্যক্ত সম্পদের ওয়ারিস হইবে এবং স্বামী স্ত্রীর দিয়াত ও পরিত্যক্ত সম্পদের ওয়ারিস হইবে, যদি না একজন অপরজনকে হত্যা করে। তাহাদের একজন অপরজনকে ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করিলে সে তাহার দিয়াত ও সম্পদ কিছুরই ওয়ারিস হইবে না। অবশ্য একজন অপরজনকে ভুলবশত হত্যা করিলে তাহার সম্পদের ওয়ারিস হইবে কিন্ত দিয়াতের ওয়ারিস হইবে না। {২৭৩৬}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ বানোয়াট।{২৭৩৬} হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন। যইফাহ ৪৬৭৪, জইফ আল-জামি ৫৯২৬। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ বানোয়াট। উক্ত হাদিসের রাবি মুহাম্মাদ বিন সাঈদ [উমার বিন সাঈদ] সম্পর্কে ইবনি হাজার আল-আসকালনী বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৪২৪৪, ২১/৩৬৭ নং পৃষ্ঠা]ওয়ারিসী স্বত্ব বণ্টন হাদিসের তাহকিকঃ জাল হাদিস
১৭/৯. অধ্যায়ঃ যাবিল আরহাম
২৭৩৭ আবু উমামাহ বিন সাহল বিন হুনায়ফ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
এক ব্যাক্তি অপর ব্যাক্তিকে তীর নিক্ষেপ করে হত্যা করিল। নিহইতের এক মামা ছাড়া আর কোনো ওয়ারিস ছিলো না। আবু উবায়দা ইবনিল জাররাহ[রাদি.] বিষয়টি নিয়ে উমর[রাদি.] কে পত্র লিখেন। উমর[রাদি.] তাহাকে লিখে জানান যে, নবী[সাঃআঃ] বলেছেনঃ যাহার কোনো অভিভাবক নেই আল্লাহ ও তাহাঁর রাসুলই তাহার অভিভাবক এবং যাহার কোনো ওয়ারিস নেই মামাই তাহার ওয়ারিস। {২৭৩৭}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।{২৭৩৭} তিরমিজি ২১০৩, বায়হাকী ফিস সুনান ৬/২১৪, ২১৫, ইবনি হিব্বান ৬০৩৭, আত-তহাবী ৪/৩৯৭, ইবনিল জারুদ ৯৬৪, ইরওয়া ১৭০০, তাখরীজুল মুখতাহার ৬৮-৭১। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবি আব্দুর রহমান ইবনিল হারিস বিন আয়্যাশ বিন আবু রাবীআহ আয-যুকারী সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল তাহাকে দুর্বল বলেছেন, অন্যত্র বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আহমাদ বিন শুআয়ব আন-নাসাঈ বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়, তিনি দুর্বল। ইবনি হাজার আল-আসকালনী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। আলী ইবনিল মাদানী তাহাকে দুর্বল বলেছেন। মুহাম্মাদ বিন সাদ বলেন, তিনি সিকাহ। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তাহার মাঝে কোন সমস্যা নেই। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৩৭৮৭, ১৭/৩৭ নং পৃষ্ঠা]ওয়ারিসী স্বত্ব বণ্টন হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৭৩৮ মিকদাম আবু কারীমাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রাসুল [সাঃআঃ] বলেছেনঃ কোনো ব্যাক্তি সম্পদ রেখে গেলে তা তাহার ওয়ারিসদের প্রাপ্য। আর কোনো ব্যাক্তি ঋণের বোঝা বা অসহায় সন্তান রেখে গেলে সেগুলোর দায়িত্ব আমাদের উপর। তিনি কখনো বলিতেনঃ তাহার দায়িত্ব আল্লাহ ও তাহাঁর রাসুলের উপর। যাহার কোনো ওয়ারিস নেই আমিই তাহার ওয়ারিস। আমিই তাহার পক্ষ থেকে দিয়াত পরিশোধ করিব এবং আমিই তাহার পরিত্যক্ত মাল গ্রহণ করিব। আর যাহার অন্য কোনো ওয়ারিস নেই মামাই তাহার ওয়ারিস। সে তাহার পক্ষ থেকে দিয়াত পরিশোধ করিবে এবং তাহার পরিত্যাক্ত মাল গ্রহণ করিবে। {২৭৩৮}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান সহীহ।{২৭৩৮} আবু দাউদ ২৮৯৯, ২৯০০, ২৯০১, আহমাদ ১৬৭২৩, ১৬৭৪৮, ইরওয়া ৬/১৩৮-১৩৯, সহীহ আবু দাউদ ২৫৭৮-২৫৮০। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবি আবু তালহাহ সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল তাহাকে দুর্বল বলেছেন। অন্যত্র বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আহমাদ বিন শুআয়ব আন-নাসাঈ বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়, তিনি দুর্বল। ইবনি হাজার আল-আসকালনী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। আলী ইবনিল মাদানী তাহাকে দুর্বল বলেছেন। মুহাম্মাদ বিন সাদ বলেন, তিনি সিকাহ। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তাহার মাঝে কোন সমস্যা নেই। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৩৭৮৭, ১৭/৩৭ নং পৃষ্ঠা]ওয়ারিসী স্বত্ব বণ্টন হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহীহ
১৭/১০. অধ্যায়ঃ আসাবার মীরাস
২৭৩৯ আলী বিন আবু তালিব[রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ[সাঃআঃ] ফয়সালা দিয়েছেনঃ একই মায়ের সন্তানেরা পরস্পরের ওয়ারিস হইবে, বৈমাত্রেয় ভাইগণ নয়। মানুষ তাহার সহোদর ভাই-বোনের ওয়ারিস হইবে, বৈমাত্রেয় ভাই-বোনের নয়। {২৭৩৯}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান।{২৭৩৯} তিরমিজি ২০৯৪, ২০৯৫, আহমাদ ১২২৬, দারেমী ২৯৮৩। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবি ১. আবু বাহর আল-বাকরাবী সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি আহলে ইলমের নিকট নির্ভরযোগ্য নয়। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তাহার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তা দলীলযোগ্য নয়, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, মানুষ তাহার হাদিস বর্জন করেছে। আহমাদ বিন শুআয়ব আন-নাসাঈ বলেন, আমার দৃষ্টিতে তিনি দুর্বল। ইবনি হাজার আল-আসকালনী বলেন, তিনি দুর্বল। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৩৮৯৭, ১৭/২৭১ নং পৃষ্ঠা] ২. হারিস [বিন আবদুল্লাহ] সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আহমাদ বিন সালিহ আল-মিসরী বলেন, তিনি সিকাহ। ঈমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। আলী ইবনিল মাদানী তাহাকে মিথ্যুক বলেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তাহার হাদিস গ্রহনযোগ্য নয়। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহীহ। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ১০২৪, ৫/২৩৯ নং পৃষ্ঠা]ওয়ারিসী স্বত্ব বণ্টন হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
২৭৪০ ইবনি আব্বাস[রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রাসুলুল্লাহ[সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা যাবিল ফরুদের মধ্যে মৃতের সম্পদ বন্টন করো আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী। তাহাদের জন্য নির্ধারিত অংশ তাহাদেরকে দেয়ার পর যা অবশিষ্ট থাকিবে তা [মৃতের] সবচেয়ে নিকটতম পুরুষ আত্মীয় পাবে। {২৭৪০}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।{২৭৪০} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ৬৭৩২, ৬৭৩৫, ৬৭৩৭, ৬৭৪৬, মুসলিম ১৬১৫, তিরমিজি ২০৯৮, আবু দাউদ ২৮৯৮, আহমাদ ২৬৫২, ২৮৫৭, ২৯৮৬, দারেমী ২৯৮৬, ইরওয়া ১৬৯০, সহীহ আবু দাউদ ২৫৭৭। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।ওয়ারিসী স্বত্ব বণ্টন হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭/১১. অধ্যায়ঃ যাহার কোনো ওয়ারিস নেই
২৭৪১ ইবনি আব্বাস[রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রাসূলুল্লাহ[সাঃআঃ] এর যুগে এক ব্যাক্তি মারা গেলো এবং তাহার একটি মুক্ত দাস ছাড়া আর কোনো ওয়ারিস রেখে যায়নি। নবী[সাঃআঃ] তাহার পরিতাক্ত সম্পত্তি সেই মুক্ত দাসকে দেন। {২৭৪১}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ দঈফ।{২৭৪১} তিরমিজি ২০০৬, আবু দাউদ ২৯০৫, আহমাদ ৩৩৫৯, বায়হাকী ফিস সুনান ৬/২৪২, আল-হাকিম ফিল মুসতাদরাক ৪/৩৪৬, ইরওয়া ১৬৬৯। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ জইফ। উক্ত হাদিসের রাবি ১. ইসমাইল বিন মুসা সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন, তাহার ব্যাপারে শীয়া মতাবলম্বী হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ঈমাম যাহাবী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে শীয়া মতাবলম্বী। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৪৯১, ৩/২১০ নং পৃষ্ঠা] ২. আওসাজাহ সম্পর্কে আবু জাফার আল-উকায়লী বলেন, তাহার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না। আবু হাতিম আর-রাযী, আহমাদ বিন শুআয়ব আন-নাসাঈ ও ইবনি হাজার আল-আসকালনী বলেন, তিনি প্রসিদ্ধ নয়। ঈমাম বুখারী বলেন, তাহার হাদিস সহীহ নয়। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৪৫৪৪, ২২/৪৩৪ নং পৃষ্ঠা]ওয়ারিসী স্বত্ব বণ্টন হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
১৭/১২. অধ্যায়ঃ নারীগণ বিশেষ তিন শ্রেণীর লোকের ওয়ারিস হইতে পারে
২৭৪২ ওয়াসিলাহ ইবনিল আসকা[রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] বলেনঃ নারীগণ বিশেষ তিন শ্রেণীর লোকের ওয়ারিস হইতে পারে। [১] তাহার আযাদকৃত দাস-দাসীর, [২] পরিত্যক্ত শিশুর যাকে সে কুড়িয়ে পেয়েছে এবং [৩] সেই সন্তানের যাহার সম্পর্কে সে স্বামীর সাথে লীআন [অভিশাপযুক্ত শপথ] করেছে। মুহাম্মাদ বিন ইয়াযিদ[রঃ] বলেন, এই হাদিস হিশাম ছাড়া অন্য কেউ রিওয়ায়াত করেননি। {২৭৪২}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ দঈফ। {২৭৪২} তিরমিজি ২১১৫, আবু দাউদ ২৯০৬, আহমাদ ১৫৫৭৪, ১৬৫৩৩, বায়হাকী ফিস সুনান ৬/২৪০, আল-হাকিম ফিল মুসতদরাক ৪/৩৪০, ইরওয়া ১৫৭৬, জইফ আবু দাউদ ৫০৪। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ জইফ। উক্ত হাদিসের রাবি আমর বিন রুবাহ আত-তাগলিবী সম্পর্কে ঈমাম বুখারী বলেন, তাহার ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সালিহ কন্তু তাহার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহণযোগ্য নয়।ওয়ারিসী স্বত্ব বণ্টন হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
১৭/১৩. অধ্যায়ঃ যে ব্যক্তি নিজ সন্তানকে অস্বীকার করেছে
২৭৪৩ আবু হুরাইরা[রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
লিআন সম্পর্কিত আয়াত নাযিল হলে রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ যে নারী কোনো সম্প্রদায়ের সাথে এমন বাচ্চাকে শামিল করে যে তাহাদের নয়, তাহার সাথে আল্লাহর কোনো সম্পর্ক নেই এবং তিনি কখনো তাহাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন না। আর যে পুরুষ নিজের সন্তানকে চিনতে পেরেও অস্বীকার করিল, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাহার থেকে আড়ালে থাকিবেন এবং সমস্ত সৃষ্টিকুলের সামনে তাহাকে অপমান করবেন। {২৭৪৩}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ দঈফ।{২৭৪৩} নাসাঈ ৩৪৮১, আবু দাউদ ২২৬৩, দারেমী ২২৬৮, ইরওয়া ২৩৬৭, জইফ আবু দাউদ ৩৮৯, যইফাহ ১৪২৭, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৭। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ জইফ। উক্ত হাদিসের রাবি ১. যায়দ ইবনিল হুবাব সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। আলী ইবনিল মাদানী ও উসমান বিন আবু শায়বাহ তাহাকে সিকাহ বলেছেন। ইবনি হাজার আল-আসকালনী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করিয়াছেন। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ২০৯৫, ১০/৪০ নং পৃষ্ঠা] ২. মুসা বিন উবায়দাহ সম্পর্কে মুহাম্মাদ বিন সাদ বলেন, তিনি সিকাহ তবে হুজ্জাহ নয়। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তাহার থেকে হাদিস বর্ণনা করা উচিত নয়। আলী ইবনিল মাদানী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, মুনকারুল হাদিস। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৬২৮০, ২৯/১০৪ নং পৃষ্ঠা] ৩. ইয়াহইয়া বিন হারব সম্পর্কে ইবনি হাজার আল-আসকালনী, ঈমাম দারাকুতনী ও ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত। ঈমাম যাহাবী বলেন, তাহার মাঝে জাহালাত রয়েছে, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৬৮০৮, ৩১/২৬৫ নং পৃষ্ঠা]ওয়ারিসী স্বত্ব বণ্টন হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
২৭৪৪ আবদুল্লাহ বিন আমর ইবনিল আস[রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী[সাঃআঃ] বলেনঃ এমন লোককে নিজ বংশীয় দাবি করা কুফরী যাকে লোকে চিনে না, অথবা সামান্য সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও নিজ বংশের লোককে অস্বীকার করাও কুফরী। {২৭৪৪}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান সহীহ।{২৭৪৪} আহমাদ ৬৯৮০, রাওদুন নাদীর ৫৮৭। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান সহীহ।ওয়ারিসী স্বত্ব বণ্টন হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহীহ
১৭/১৪. অধ্যায়ঃ সন্তানের দাবীদার হওয়া সম্পর্কে
২৭৪৫ আবদুল্লাহ বিন আমর ইবনিল আস[রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রাসুলুল্লাহ[সাঃআঃ] বলেছেনঃ কোনো ব্যাক্তি বাঁদী বা স্বাধীন নারীর সাথে যিনা করিলে তাহার পরিণতিতে যে সন্তান হইবে তা জারজ সন্তান। পুরুষ লোকটিও ঐ সন্তানের ওয়ারিস হইবে না এবং ঐ সন্তানও পুরুষ লোকটির ওয়ারিস হইবে না। {২৭৪৫}তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান।
২৭৪৫} তিরমিজি ২১১৩, মিশকাত ৩০৫৪, সহীহ আবু দাউদ ১৯৫৯, ১৯৬০। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবি ১. ইয়াহইয়া ইবনিল ইয়ামান সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ইদতিরাব করেন। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হুজ্জাহ ছিলেন না তিনি দুর্বল। আহমাদ বিন শুআয়ব আন-নাসাঈ বলেন, তাহার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহণযোগ্য হইবে না। ইবনি হাজার আল-আসকালনী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৬৯৫৩, ৩২৫৫ নং পৃষ্ঠা] ২. মুসান্না ইবনিস সাব্বাহ সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি আহলে ইলমের নিকট নির্ভরযোগ্য নয়। আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, তিনি পূর্ব ঈমামদের নিকট দুর্বল। আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি যাচাই-বাচাই ছাড়া হাদিস গ্রহন করেন ও তা বর্ণনা করেন। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৫৭৭৩, ২৭/২০৩ নং পৃষ্ঠা]ওয়ারিসী স্বত্ব বণ্টন হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
২৭৪৬ আবদুল্লাহ বিন আমর ইবনিল আস [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ কোনো ব্যাক্তির মৃত্যুর পর কোনো শিশুকে তাহার সন্তানরুপে তাহার সাথে সম্পৃক্ত করা হলো এবং মৃতের ওয়ারিসগণ তাহার সম্পর্কে এই দাবি করিল, “সে আমাদের বংশীয়”, তাহার ক্ষেত্রে ফয়সালা এই যে, সে যে দাসীর গর্ভজাত, মালিকের মালিকানায় থাকা অবস্থায় যদি তাহার সাথে সঙ্গম হয়ে থাকে তবে সেই সন্তান যাহার বলে দাবি করা হচ্ছে তাহার সাথে সম্পৃক্ত হইবে। তবে ইতোপূর্বে [জাহিলী যুগে] যে ওয়ারিসী স্বত্ব বন্টিত হইয়াছে সে তাহার কিছুই পাবে না। আর যে ওয়ারিসী স্বত্ব এখনো বন্টিত হয়নি তা থেকে সে তাহার অংশ পাবে। পক্ষান্তরে তাহাকে যে পিতাহার সাথে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে, সেই পিতা তাহাকে অস্বীকার করিলে ওয়ারিসগণের দাবির কোনো কার্যকারিতা নেই। আর সেই সন্তান যদি তাহার মালিকানাধীন কোন দাসীর গর্ভজাত হয়ে থাকে অথবা কোনো স্বাধীন নারীর সাথে তাহার যেনার পরিণতিতে হয়ে থাকে, তাহলে উক্ত সন্তান তাহার সাথে সম্পৃক্ত হইবে না এবং সে তাহার পরিত্যক্ত সম্পত্তিও পাবে না, যদিও সে তাহাকে তাহার সন্তান বলে দাবি করে। সে হইবে জারজ সন্তান। সে তাহার মায়ের বংশের সাথে সম্পৃক্ত হইবে, সে স্বাধীন নারী হোক বা কৃতদাসী। রাবী মুহাম্মাদ বিন রাশেদ বলেন, এখানে বন্টনের অর্থ হলোঃ যে ওয়ারিসী স্বত্ব ইসলামের পূর্বে জাহিলী যুগে বন্টিত হইয়াছে। {২৭৪৬}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান সহীহ।{২৭৪৬} আবু দাউদ ২২৬৫, আহমাদ ৬৬৬০, ৭০০৬, দারেমী ৩১১১। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবি মুহাম্মাদ বিন রাশীদ সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, তাহার বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী তাহার হাদিস হাসান। আহমাদ বিন শুআয়ব আন-নাসাঈ বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনি হাজার আল-আসকালনী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন, তাহার কাদারিয়া মতাবলম্বী হওয়ার ব্যাপারে অভিযোগ রয়েছে। শুবাহ ইবনিল হাজ্জাজ বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে শীয়া মতাবলম্বী। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৫২০৮, ২৫/১৮৬ নং পৃষ্ঠা] ২. সুলায়মান বিন মুসা সম্পর্কে আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি সিকাহ। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি একজন ফকীহ ছিলেন। আতা বিন আবু রাবাহ বলেন, তিনি শামের যুবকদের নেতা ছিলেন। ঈমাম বুখারী তাহাকে মুনকার বলেছেন। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ২৫৭১, ১২/৯২ নং পৃষ্ঠা]ওয়ারিসী স্বত্ব বণ্টন হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহীহ
১৭/১৫. অধ্যায়ঃ ওয়ালাআস্বত্ব বিক্রয়ও করা যাবে না, হেবাও করা যাবে না
২৭৪৭ ইবনি উমর[রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রাসুলুল্লাহ[সাঃআঃ] ওয়ালাআ স্বত্ব বিক্রয় বা হেবা করিতে নিষেধ করিয়াছেন। {২৭৪৭}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।{২৭৪৭} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ২৫৩৫, ৬৭৫৬, মুসলিম ১৫০৬, তিরমিজি ১২৩৬, ২১২৬, নাসাঈ ৪৬৫৭, ৪৬৫৮, ৪৬৫৯, আবু দাউদ ২৯১৯, আহমাদ ৪৫৪৬, ৫৪৭২, ৫৮১৬, মুয়াত্তা মালিক ১৫২২, দারেমী ২৫৭২, ৩১৫৫,৩১৫৬, ইবনি হিব্বান ৪৯৪৮, ৪৯৪৯, সহীহ আবু আবু দাউদ ২৫৯২। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।ওয়ারিসী স্বত্ব বণ্টন হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৭৪৮ ইবনি উমর[রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] ওয়ালাআ স্বত্ব বিক্রয় বা হেবা করিতে নিষেধ করিয়াছেন। {২৭৪৮}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।{২৭৪৮} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ২৫৩৫, ৬৭৫৬, মুসলিম ১৫০৬, তিরমিজি ১২৩৬, ২১২৬, নাসাঈ ৪৬৫৭, ৪৬৫৮, ৪৬৫৯, আবু দাউদ ২৯১৯, আহমাদ ৪৫৪৬, ৫৪৭২, ৫৮১৬, মুয়াত্তা মালিক ১৫২২, দারেমী ২৫৭২, ৩১৫৫,৩১৫৬। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবি ইয়াহইয়া বিন সুলায়ম আত-তায়িফী সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি আহলে ইলমের নিকট নির্ভরযোগ্য নয়। আবু বিশর আদ-দাওলানী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। ইবনি হাজার আল-আসকালনী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে স্মৃতিশক্তি দুর্বল। যাকারিয়্যা বিন ইয়াহইয়া আস-সাজী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৬৮৪১, ৩১/৩৬৫ নং পৃষ্ঠা]ওয়ারিসী স্বত্ব বণ্টন হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭/১৬. অধ্যায়ঃ ওয়ারিসী স্বত্ব বন্টন
২৭৪৯ আবদুল্লাহ বিন উমর[রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রাসুলুল্লাহ[সাঃআঃ] বলেন, যেসব ওয়ারিসী স্বত্ব জাহিলী যুগে বন্টিত হইয়াছে তা সেই জাহিলী যুগের বন্টন নীতি অনুযায়ী বহাল থাকিবে। আর যে সকল ওয়ারিসী স্বত্ব ইসলামী যুগে উদ্ভূত হইয়াছে তা ইসলামের বন্টন নীতি অনুযায়ী বন্টিত হইবে। {২৭৪৯}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।{২৭৪৯} হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন। ইরওয়া ১৭১৭। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবি আবদুল্লাহ বিন লাহীআহ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তাহার হাদিসের ব্যাপারে কোন সমস্যা নেই। আমর বিন ফাল্লাস বলেন, তাহার কিতাব সমূহ পুড়ে যাওয়ায় হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। কিতাব সমূহ পুড়ে যাওয়ায় যে হাদিস বর্ণনা করিয়াছেন তা দুর্বল। আবু কাসিম বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। আবু বকর আল-বায়হাকী বলেন, তাহার হাদিস দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। আবু হাতিম আর-রাযী তাহাকে দুর্বল বলেছেন। ইবনি হাজার আল-আসকালনী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তাহার কিতাব সমূহ পুড়ে যাওয়ার পর হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। বিশর ইবনিস সারী বলেন, যদি তাহার সাথে আমার সাক্ষাৎ হত তবে আমি তাহার থেকে কোন হাদিস গ্রহন করতাম না। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৩৫১৩, ১৫/৪৮৭ নং পৃষ্ঠা]ওয়ারিসী স্বত্ব বণ্টন হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭/১৭. অধ্যায়ঃ সদ্যজাত শিশু চীৎকার দিলে সে ওয়ারস হইবে
২৭৫০ জাবির[রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ সদ্যজাত শিশু চীৎকার দিলে তাহার [জানাযাহার] নামায পড়তে হইবে এবং সে ওয়ারিস হইবে। {২৭৫০}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ দঈফ।{২৭৫০} তিরমিজি ১০৩২, দারেমী ৩১২৫, আল-আহকাম ৮১, ইরওয়া ৬/১৪৮, ১৪৯। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ জইফ। উক্ত হাদিসের রাবি রাবী বিন বাদর সম্পর্কে ঈমাম দারাকুতনী বলেন, মুনকারুল হাদিস। ইয়াহইয়া বিন সাঈদ ও উসমান বিন আবু শায়বাহ তাহাকে দুর্বল বলেছেন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইয়াকুব বিন সুফইয়ান তাহাকে প্রত্যাখ্যান করিয়াছেন। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ১৮৫৪, ৯/৬৩ নং পৃষ্ঠা]ওয়ারিসী স্বত্ব বণ্টন হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
২৭৫১ জাবির বিন আবদুল্লাহ ও মিসওয়ার বিন মাখরামাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ সদ্যজাত শিশু সশব্দে চীৎকার না দেয়া পর্যন্ত ওয়ারিস হইবে না। রাবী বলেন, তাহার সশব্দে চীৎকারের অর্থ হলোঃ ক্রন্দন করা, চিল্লানো বা হাঁচি দেয়া। {২৭৫১}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।{২৭৫১} তিরমিজি ১০৩২, দারেমী ৩১২৫, ইরওয়া ১৭০৭, সহীহাহ ১৫৩, সহীহ আবু দাউদ ২৫৯৩। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।ওয়ারিসী স্বত্ব বণ্টন হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭/১৮. অধ্যায়ঃ যে ব্যাক্তি অপর কোনো ব্যাক্তির নিকট ইসলাম গ্রহণ করে
২৭৫২তামিম আদ-দারী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আহলে কিতাবদের কেউ কারো কাছে ইসলাম গ্রহণ করিলে তাহার বিধাণ কী? তিনি বলেনঃ সে [মুসলিম ব্যাক্তি] তাহার [নও মুসলিমের] জীবনে ও মরণে অন্য সব লোকের চেয়ে অগ্রগন্য। {২৭৫২}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান সহীহ।{২৭৫২} তিরমিজি ২১১২, আবু দাউদ ২৯১৮, আহমাদ ১৬৪৯৭, ১৬৫০০, দারেমী ৩০৩২, ৩০৩৩, মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ১৬২৭১, দারাকুতনী ৪/১৮১, ১৮২, বায়হাকী ফিস সুনান ১০/২৯৭, সহীহাহ ২৩১৬, সহীহ আবু দাউদ ২৫৯১। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবি আবদুল আযীয বিন উমার সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তাহার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায়। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আবু হাফস উমার বিন শাহীন ও আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি সিকাহ। আবু মুহসীর আল-গাসসানী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইবনি হাজার আল-আসকালনী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। ঈমাম যাহাবী তাহাকে সিকাহ বলেছেন। আবদুল আলা বিন মুহসির বলেন, তিনি দুর্বল। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৩৪৬৪, ১৮/১৭৩ নং পৃষ্ঠা]ওয়ারিসী স্বত্ব বণ্টন হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহীহ
Leave a Reply