চোরের হাত কাটা । যা চুরি করলে হাত কাটা যাবে না

চোরের হাত কাটা

চোরের হাত কাটা । যা চুরি করলে হাত কাটা যাবে না >> সুনানে নাসাই শরিফের মুল সুচিপত্র দেখুন

পর্বঃ ৪৭, চোরের হাত কাটা, হাদীস (৪৮৭০ – ৪৯৮৪)

১.পরিচ্ছেদঃ চোরের হাত কাটা
২.পরিচ্ছেদঃ চুরি স্বীকার করানোর জন্য চোরকে মারা বা বন্দী করা
৩.পরিচ্ছেদঃ চোরকে উপদেশ দান
৪.পরিচ্ছেদঃ চোরকে বিচারকের নিকট আনার পর ক্ষমা করলে
৫.পরিচ্ছেদঃ কোন মাল রক্ষিত এবং কোন মাল অরক্ষিত
৬.পরিচ্ছেদঃ মাখযুমী নারীর হাদীসে যুহরী [র] হইতে বর্ণনাকারীদের মধ্যে বর্ণনাগত পার্থক্য।
৭.পরিচ্ছেদঃ হদ বা শাস্তি বিধানের প্রতি উদ্বুদ্ধ করা।
৮.পরিচ্ছেদঃ কত মূল্যের মাল চুরিতে হাত কাটা যাবে।
৯.পরিচ্ছেদঃ যুহরী হইতে বর্ণনাকারীদের মতপার্থক্য
১০.পরিচ্ছেদঃ এই হাদীসে আমর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] থেকে বর্ণনাকারী আবু বকর ইবনি মুহাম্মদ ও আব্দুল্লাহ ইবনি আবু বকর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর বর্ণনাগত পার্থক্য
১১.পরিচ্ছেদঃ ফল গাছে থাকতে চুরি হওয়া
১২.পরিচ্ছেদঃ যা চুরি করলে হাত কাটা যাবে না
১৩.পরিচ্ছেদঃ চোরের হাত কাটার পর পা কাটা
১৪.পরিচ্ছেদঃ চোরের হস্তদ্বয় ও পদদ্বয় কেটে ফেলা
১৫.পরিচ্ছেদঃ সফরে হাত কাটা
১৬.পরিচ্ছেদঃ বালেগ হওয়ার বয়স এবং যে বয়সে উপনীত হলে নর-নারীর উপরে হদ [শরঈ শাস্তি] আরোপ করা যায়।
১৭.পরিচ্ছেদঃ চোরের কর্তিত হাত ঘাড়ে ঝুলানো
১৮.পরিচ্ছেদঃ চোরের হাত কাটা

১.পরিচ্ছেদঃ চোরের হাত কাটা

৪৮৭০. আবু হুরাইরা [রা] সূত্রে রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেনঃ যখন কোন ব্যভিচারী ব্যভিচার করে, তখন সে মুমিন অবস্থায় ব্যভিচার করে না, যখন চোর চুরি করে, তখন সে মুমিন অবস্থায় চুরি করে না, যখন কোন মদ্যপায়ী মদ পান করে, তখন সে মুমিন অবস্থায় মদপান করে না, আর যখন কোন ডাকাত লোক চক্ষুর সামনে ডাকাতি করে, তখনও সে মুমিন অবস্থায় ডাকাতি করে না।

চোরের হাত কাটা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪৮৭১. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] সূত্রে রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেনঃ যখন ব্যভিচারী ব্যভিচার করে, তখন সে মুমিন অবস্থায় ব্যভিচার করে না, আর যখন চোর চুরি করে তখন সে মুমিন অবস্থায় চুরি করে না, আর যখন কোন মদ্যপায়ী মদ পান করে তখন সে মুমিন অবস্থায় মদ পান করে না। এরপরও তওবার সুযোগ রাখা হইয়াছে।

চোরের হাত কাটা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪৮৭২. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ যখন কোন ব্যভিচারী ব্যভিচারে লিপ্ত হয় তখন সে মুমিন অবস্থায় ব্যভিচার করে না; আর কেউ মুমিন অবস্থায় চুরি করে না এবং মুমিন অবস্থায় মদপান করে না। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি চতুর্থ একটি কথা বলেন, যা আমি ভুলে গিয়েছি। যখন সে এসব গুনাহে লিপ্ত হয় তখন সে তার ঘাড় হইতে ইসলামের বন্ধন বের করে ফেলে। যদি তওবা করে, আল্লাহ তার তওবা কবূল করেন।

হাদিসের তাহকিকঃ মুনকার

৪৮৭৩. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ সেই চোরের উপর আল্লাহর লানত, যে একটি ডিম চুরি করে, যাহার বিনিময়ে তার হাত কাটা যায় এবং একটি রশি{১} চুরি করে, আর তার হাত কাটা হয়।

{১} এক দীনারের এক-চতুর্থাংশের কম পরিমাণ মাল চুরি করলে হাত কাটা হয় না. ডিম রুপার হলে, রশি নৌকা বাঁধার মূল্যবান রশি হলে অনুরুপ পরিমাণ মালের চুরিতে হাত কাটার বিধান রয়েছে।হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২.পরিচ্ছেদঃ চুরি স্বীকার করানোর জন্য চোরকে মারা বা বন্দী করা

৪৮৭৪. নুমান ইবনি বশীর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

কয়েকজন কালায়ী গোত্রের লোক তার নিকট এসে বললোঃ কতিপয় তাঁতী আমাদের মালপত্র চুরি করেছে। তিনি কয়েকদিন তাহাদেরকে বন্দি করে রেখে ছেড়ে দেন। কালায়ী লোকেরা তাহাঁর নিকট এসে বলেলোঃ আপনি ঐ সকল লোককে কোন প্রকার শাস্তি বা পরীক্ষা না করে ছেড়ে দিলেন? নুমান [রাহঃ] বললেনঃ তোমরা কী চাও ? তোমরা চাইলে আমি তাহাদের মারব। তারপর যদি তোমাদের মাল তাহাদের নিকট পাওয়া যায়, তবে তো ভাল, আর তা না হলে, আমি তোমাদের পিঠ থেকে তার প্রতিশোধ নেব ! তারা বললোঃ এটা কি আপনার আদেশ ? তিনি বললেনঃ এটা আল্লাহ্ এবং তাহাঁর রাসূল [সাঃআঃ]- এর হুকুম।

চোরের হাত কাটা হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদীস

৪৮৭৫. বাহয ইবনি হাকীম [রাঃআঃ] পিতার মাধ্যমে তাহাঁর দাদা হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] অভিযোগের ভিত্তিতে কোন কোন লোককে বন্দী করেন।

হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণীত নয়

৪৮৭৬. বাহয ইবনি হাকীম [রাঃআঃ] তাহাঁর পিতার মাধ্যমে তাহাঁর দাদা হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] এক ব্যক্তিকে অভিযোগের ভিত্তিতে বন্দী করে পরে তাকে ছেড়ে দেন।

চোরের হাত কাটা হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদীস

৩.পরিচ্ছেদঃ চোরকে উপদেশ দান

৪৮৭৭. আবু উমায়রা মাখযূমী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-এর নিকট এমন এক চোরকে উপস্থিত করা হয় যে তার অপরাধ স্বীকার করে, কিন্তু তার নিকট কোন মাল পাওয়া যায়নি। রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বললেনঃ আমি তো মনে করি না যে, তুমি চুরি করেছ। সে বললোঃ নিশ্চয়ই [করেছি]। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ এই ব্যক্তিকে নিয়ে যাও এবং তার হাত কেটে দাও, পরে আমার নিকট নিয়ে এসো। লোকেরা তাকে নিয়ে গিয়ে হাত কেটে দিল এবং আবার নিয়ে আসলো। রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বললেনঃ তুমি বল, আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাচ্ছি এবং তওবা করছি। সে ব্যক্তি বললোঃ আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাচ্ছি এবং তওবা করছি। তখন রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বললেনঃ হে আল্লাহ ! তাকে ক্ষমা করুন।

হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস

৪.পরিচ্ছেদঃ চোরকে বিচারকের নিকট আনার পর ক্ষমা করলে

৪৮৭৮. সাফওয়ান ইবনি উমাইয়া [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

এক ব্যক্তি তাহাঁর চাদর চুরি করলে তিনি চোরকে রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-এর নিকট নিয়ে আসলেন। তিনি তার হাত কাটার আদেশ দিলেন। তখন সাফওয়ান বললেনঃ ইয়া রসূলুল্লাহ্! আমি তাকে ক্ষমা করে দিলাম। রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বললেনঃ হে আবু ওয়াহাব ! আমার নিকট আনার পূর্বে তুমি কেন তাকে ক্ষমা করলে না ? পরে রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] তার হাত কেটে দিলেন।

চোরের হাত কাটা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪৮৭৯. সাফওয়ান ইবনি উমাইয়া [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

এক ব্যক্তি তাহাঁর চাদর চুরি করলে তিনি চোরকে রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-এর নিকট নিয়ে আসেন। রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] তার হাত কাটার আদেশ দিলেন। সাফওয়ান বললেনঃ ইয়া রসূলুল্লাহ্! আমি তাকে ক্ষমা করে দিলাম। রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বললেনঃ হে আবু ওয়াহাব ! তুমি এখানে আনার পূর্বে কেন তাকে ক্ষমা করলে না? তিনি তার হাত কেটে দিলেন।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪৮৮০. আতা ইবনি আবু রাবাহ্‌ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ এক ব্যক্তি কাপড় চুরি করে। তাকে রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-এর নিকট আনা হলে তিনি তার হাত কাটার আদেশ দেন। তখন ঐ ব্যক্তি বললোঃ ইয়া রসূলুল্লাহ্! আমি তাকে তা দান করলাম। তিনি বললেনঃ এর আগে কেন দিলে না?

চোরের হাত কাটা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ লিগাইরিহি

৫.পরিচ্ছেদঃ কোন মাল রক্ষিত এবং কোন মাল অরক্ষিত

৪৮৮১. সাফওয়ান ইবনি উমাইয়া [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি কাবা শরীফ তওয়াফ করিলেন এবং নামাজ আদায় করিলেন। তারপর তিনি তাহাঁর চাদর ভাঁজ করে মাথার নীচে রেখে শুয়ে পড়লেন। চোর এসে চাদর টান দিলে তিনি চোরকে ধরে ফেললেন এবং তাকে রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-এর নিকট নিয়ে আসলেন এবং বললেনঃ ইয়া রসূলুল্লাহ্! এই ব্যক্তি আমার চাদর চুরি করেছে। তিনি চোরকে জিজ্ঞাসা করলেনঃ তুমি কি চাদর চুরি করেছ ? সে বললোঃ হ্যাঁ, তিনি বললেনঃ একে নিয়ে যাও এবং তার হাত কেটে দাও। তখন সাফওয়ান বললেনঃ ইয়া রসূলুল্লাহ্! আমার এই নিয়ত ছিল না যে, মাত্র একটি চাদরের জন্য তার হাত কাটা যাবে। রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বললেনঃ আমার নিকট বিচার আনার পূর্বে যদি তুমি ক্ষমা করিতে, তবে হতো, এখন আর হইবে না।

চোরের হাত কাটা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪৮৮২. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ সাফওয়ান তাহাঁর চাদর মাথার নীচে রেখে নিদ্রা গেলেন। এক ব্যক্তি তা চুরি করলো, সাফওয়ান, উঠে দেখেন চোরে তা নিয়ে উধাও হচ্ছে। তিনি দৌড় দিয়ে চোরকে ধরে ফেললেন। তারপর তাকে রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-এর নিকট নিয়ে আসলেন। তিনি তার হাত কাটার আদেশ দিলেন। সাফওয়ান বললেনঃ ইয়া রসূলুল্লাহ্! আমার চাদর এমন নয় যে, এর বিনিময়ে একজনের হাত কাটা যেতে পারে। রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বললেনঃ একথা আগে কেন মনে করনি?

চোরের হাত কাটা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ লিগাইরিহি

৪৮৮৩. সাফওয়ান ইবনি উমাইয়া [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমি মসজিদে আমার একটি চাদরের উপর নিদ্রিত ছিলাম, যাহার মূল্য ত্রিশ দিরহাম হইবে। এক ব্যক্তি এসে তা উঠিয়ে নিয়ে যায় এবং পরে সে ধরা পড়ে। তাকে রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] এর নিকট উপস্থিত করা হলে তিনি তার হাত কাটার আদেশ করিলেন। আমি বললামঃ ইয়া রসূলুল্লাহ্! ত্রিশ দিরহামের পরিবর্তে আপনি তার হাত কাটার আদেশ দিলেন? আমি চাদর তার নিকট বিক্রি করছি আর এর মূল্য তার নিকট বাকি রাখছি। তিনি বললেনঃ আমার নিকট আনার পূর্বে তুমি কেন এরূপ করলে না ?

হাদিসের তাহকিকঃ মুনকার

৪৮৮৪. সাফওয়ান ইবনি উমাইয়া [রাহঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তাহাঁর একখানা চাদর মাথার নীচ হইতে চুরি হইয়া গেল। তিনি মসজিদে নববীতে নিদ্রিত ছিলেন। তিনি চোরকে ধরে ফেললেন। তারপর তাকে নিয়ে নাবী [সাঃআঃ]-এর দরবারে উপস্থিত হলেন। তিনি তার হাত কাটার আদেশ করিলেন। তখন সাফওয়ান বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্‌ ! আপনি তার হাত কাটবেন ? রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বললেনঃ তবে তুমি এর পূর্বে তাকে ছেড়ে দিলে না কেন ?

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪৮৮৫. আমর ইবনি শুআয়ব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] তাহাঁর পিতার মাধ্যমে তাহাঁর দাদা হইতে হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ কোন অপরাধীকে আমার নিকট আনার পূর্বে ক্ষমা করে দেবে। যখন আমার নিকট কোন মোকদ্দমা উপস্থিত হয়, তখন শাস্তি অবধারিত হইয়া যায়।

চোরের হাত কাটা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪৮৮৬. আব্দুল্লাহ ইবনি আমর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ দণ্ডনীয় অপরাধসমূহ [বিচারকের নিকট আসার পূর্বে] ক্ষমা করে দেবে। কেননা কোন বিচার আমার নিকট আসলে এর শাস্তি অবধারিত হয়।

হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদীস

৪৮৮৭. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

মাখযুম গোত্রের এক নারী লোকদের থেকে ধারে মালপত্র নিত, পরে সে অস্বীকার করতো। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তার হাত কাটার আদেশ দেন।

চোরের হাত কাটা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪৮৮৮. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন মাখযুম গোত্রের এক মহিলা তার পড়শী মহিলাদের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে জিনিসপত্র ধার নিত। পরে সে অস্বীকার করতো। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এ কারনে তার হাত কাটার আদেশ দেন।

চোরের হাত কাটা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪৮৮৯. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

এক নারী লোকদের থেকে অলঙ্কার ধার করতো এবং নিজের কাছে রেখে দিত। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন, এই নারীর উচিত আল্লাহ এবং তাহাঁর রাসূল [সাঃআঃ]-এর নিকট তওবা করা। এরপর তিনি বললেনঃ হে বিলাল! ওঠো এবং এই মহিলার হাত ধরে কেটে ফেল।

হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস

৮৯০. নাফি [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সময় এক নারী অলঙ্কার ধার করতো। একবার সে একটি অলঙ্কার ধার করিল। তারপর সেটি রেখে দিল। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন, এই মহিলা তওবা করুক এবং তার নিকট যা আছে তা তাকে ফেরৎ দিক। তিনি কয়েকবার এরূপ বলিলেন কিন্তু সেই মহিলা তা মান্য না করায় তিনি তার হাত কাটার আদেশ দেন।

চোরের হাত কাটা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪৮৯১. জাবির [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

মাখযূম গোত্রের এক নারী চুরি করলে তাকে নাবী [সাঃআঃ] -এর কাছে উপস্থিত করা হল। সে উম্মুল মুমিনীন উম্মে সালামা [রাঃআঃ] -এর নিকট আশ্রয় নিল। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন, এ যদি মুহাম্মদের মেয়ে ফাতিমা হত,তবুও তার হাত কাটার আদেশ দিতাম। সুতরাং তার হাত কাটা হল।

৪৮৯২. সাঈদ ইবনি মুসাইয়্যাব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ

মাখযূম গোত্রের এক নারী লোকের মারফত ধারে অলঙ্কার এনে নিজের কাছে রেখে দিল এবং অস্বীকার করলো। তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তার হাত কাটার আদেশ দেন।

চোরের হাত কাটা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪৮৯৩. সাঈদ ইবনি মুসাইয়্যাব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ

অনুরুপ হাদীস বর্ণিত রয়েছে।

হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণীত নয়

৬.পরিচ্ছেদঃ মাখযুমী নারীর হাদীসে যুহরী [র] হইতে বর্ণনাকারীদের মধ্যে বর্ণনাগত পার্থক্য।

৪৮৯৪. সুফয়ান [রাহঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ মাখযূম গোত্রের এক নারী লোকদের নিকট হইতে জিনিসপত্র ধার করত এবং পরে অস্বীকার করত।তাকে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট পেশ করা হল এবং তার বিষয়ে কথা বল। তিনি বলিলেন “যদি ফাতিমা [রাঃআঃ] -ও হতো, তা হলে তার হাট কেটে দিতাম”। সুফয়ানকে জিজ্ঞেস করা হল, এটা কে বর্ণনা করিয়াছেন? তিনি বলেন, আইয়্যূব ইবনি মুসা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] যুহরী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে, তিনি উরওয়া হইতে এবং তিনি হযরত আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে।

চোরের হাত কাটা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪৮৯৫. আইয়্যুব ইবনি মূসা যুহরী হইতে, তিনি উরওয়া হইতে এবং তিনি আয়েশা [রাঃআঃ] থেকে। হইতে বর্ণিতঃ

এক নারী চুরি করলে তাকে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট নিয়ে আসা হল। লোকেরা বললোঃ এরজন্য রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট উসামা ইবনি যায়দ ব্যতীত কে সুপারিশ করিতে পারবে? তারা এই ব্যাপারে উসামা [রাঃআঃ] -কে বললো। উসামা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট আরয করলে তিনি বলিলেন, “হে উসামা! বনী ইসরাঈল এ জন্যই ধ্বংস হইয়াছে যে, তাহাদের মধ্যে যদি কোন আমীর লোক কোন অপরাধ করতো, তারা তাকে ছেড়ে দিত,শাস্তি দিত না। আর যখন কোন গরীব লোক কোন অপরাধ করতো, তখন তারা তাকে শাস্তি দিত। যদি ফাতিমা বিনতে মুহাম্মদও এই অপরাধ করতো, তবুও আমি তার হাত কাটার আদেশ দিতাম।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪৮৯৬. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট এক চোরকে আনা হলে তিনি তার হাত কাটেন। তারা বলিল, আমরা চাইনি তার এতটা হোক। তিনি বলিলেন, যদি ফাতিমাও হতো, আমি তারও হাত কাটতাম।

চোরের হাত কাটা হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস

৪৮৯৭. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সময় এক নারী চুরি করলো। লোক বললোঃ আমরা এ ব্যাপারে , রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাথে কথা বলিতে পারব না। তার প্রিয়পাত্র উসামা ব্যতিত আর কেউ-ই এ ব্যাপারে তার সাথে কথা বলিতে পারবে না। উসামা [রাঃআঃ] তারা সাথে কথা বললে তিনি বলিলেন, হে উসামা! বনী ইসরাঈল এ জন্যই ধ্বংস হইয়াছে যে, তাহাদের মধ্যে কোন সম্মানী ব্যক্তি অপরাধ করলে, তারা তাকে ছেড়ে দিত। আর গরীব লোক কোন অপরাধ করলে তারা তাকে হত্যা করতো। যদি ফাতিমা বিনতে মুহাম্মদও হতো, আমি তার হাত কাটতাম।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪৮৯৮. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ এক নারী এমন লোকের মারফত অলংকার ধার করতো, যাদেরকে তারা চিনতো, কিন্তু ঐ নারীকে তারা চিনতো না। এরপর সে তা বিক্রি করে মূল্য রেখে দিত। পরে ঐ নারীকে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট আনা হলো। তার আত্মীয়গন উসামা ইবনি যায়দকে সুপারিশ করিতে বলিলেন। উসামা [রাঃআঃ] রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট আরয করলে তাহাঁর চেহারার রং পরিবর্তিত হইয়া গেল, অথচ উসামা [রাঃআঃ] আরয করিতেই থাকলেন। এরপর তিনি বলিলেন, তুমি কি আল্লাহ তাআলার নির্ধারিত শাস্তির বিরুদ্ধে সুপারিশ করছো? উসামা বলিলেন, ইয়া রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]! আমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন। সেই সন্ধ্যায়ই রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আল্লাহর হামদ আদায় করিলেন, যেরূপ তাহাঁর হক আছে। এরপর তিনি বলিলেন, তোমাদের পূর্বেরকার লোক এজন্যই ধ্বংস হইয়াছে যে, যখন তাহাদের মধ্যে কোন ধনী লোক চুরি করতো, তখন তারা তাকে ছেড়ে দিত; আর যখন গরীব লোক চুরি করতো, তখন তারা তাকে শাস্তি দিত। ঐ সত্তার কসম! যাঁহার হাতে আমার জীবন। যদি ফাতিমা বিনতে মুহাম্মদও চুরি করতো, তবে আমি তার হাত কাটার আদেশ দিতাম। পরে ঐ মহিলার হাত কাটা হয়।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪৮৯৯. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

কুরায়শরা জনৈক মাখযূমী নারীর ব্যাপারে চিন্তিত হইয়া পড়ে, যে চুরি করেছিল। তারা বললোঃ এর ব্যাপারে কে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাথে কথা বলবে? তারা আরো বললোঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর প্রিয়পাত্র উসামা ইবনি যায়দ ব্যতীত আর কে এ ব্যাপারে সাহস করিবে? সুতরাং উসামা [রাঃআঃ] তাহাঁর সঙ্গে কথা বলিলেন। রসূলুল্লাহ[সাঃআঃ]বললেনঃ তুমি কি আল্লাহ তাআলা কর্তৃক নির্ধারিত হদ্দের ব্যাপারে সুপারিশ করছো? এরপর তিনি দাঁড়িয়ে খুতবা দিলেন। তাতে বললেনঃ তোমাদের পূর্ববর্তী লোকেরা এ কারণেই ধ্বংস হইয়াছে যে,তাহাদের মধ্যে যখন কোন সভ্রান্ত ব্যক্তি চুরি করতো, , তখন তারা তাকে ছেড়ে দিত। পক্ষান্তরে যদি তাহাদের কোন দুর্বল লোক যখন চুরি করতো,তারা তার উপর হদ কার্যকর করত। আল্লাহর শপথ ! যদি ফাতিমা বিনতে মুহাম্মদও চুরি করতো, তবে আমি তার হাত কাটে দিতাম।

রের হাত কাটা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪৯০০. আয়েশা [রাঃ] হইতে বর্ণিতঃ

কুরায়শদের মাখযূম গোত্রের এক নারী চুরি করলে তাকে নাবী [সাঃআঃ]-এর নিকট উপস্থিত করা হলো। তারা বলিল, এ ব্যাপারে তার নিকট কে কথা বলবে? তারা বললোঃ উসামা [রাঃআঃ]। উসামা তার নিকট এসে কথা বললে, তিনি তাকে ধমক দিলেন এবং বললেনঃ বনী ইসরাঈল যখন তাহাদের কোন ভদ্রলোক চুরি করতো, , তখন তারা তাকে ছেড়ে দিত। আর যখন গরীব লোক চুরি করতো, তখন তারা তার হাত কেটে দিত। মুহাম্মদের প্রাণ যাহার হাতে, তার শপথ, যদি ফাতিমা বিনতে মুহাম্মদও চুরি করতো, আমি তার হাত কাটার নির্দেশ দিতাম।

চোরের হাত কাটা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪৯০১. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

মাখযূম গোত্রীয়া যে নারী চুরি করেছিল, তার ব্যাপারটা কুরায়শকে চিন্তিত করে তুলল [কেননা সে তাহাদের বংশের ছিল]। তারা বললোঃ এই মামলায় নাবী [সাঃআঃ] –এর নিকট কে কথা বলবে? লোক বললোঃ এই দুঃসাহস কে করিতে পারে, উসামা ব্যতিত, যিনি তার প্রিয় পাত্র। উসামা তাহাঁর নিকট কথা বললে তিনি বললেনঃ তোমাদের পূর্বের লোকেরা ধ্বংস হইয়াছে এজন্য যে, তাহাদের কোন ধনী লোক চুরি করতো, তারা তাকে ছেড়ে দিত। আর যখন কোন দুর্বল লোক যখন চুরি করতো,তারা তার উপর হদ্ জারী করতো। আল্লাহর কসম, যদি ফাতিমা বিনতে মুহাম্মদও চুরি করতো, তা হলে আমি তার হাতও কাটার নির্দেশ দিতাম।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪৯০২. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর যুগে মক্কা বিজয়ের সময় এক নারী চুরি করলো। লোক তাকে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট নিয়ে আসল। উসামা [রাঃআঃ] তার ব্যাপারে নাবী [সাঃআঃ] সাথে কথা বলিলেন। তিনি যখন কথা বলিলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর চেহারা বিবর্ণ হলো। তিনি বলিলেন, হে উসামা! তুমি আল্লাহ তাআলার নির্ধারিত শাস্তির ব্যাপারে সুপারিশ করছো? উসামা [রাঃআঃ] বলিলেন, ইয়া রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]! আমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন। সন্ধ্যা হলে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] দাঁড়িয়ে আল্লাহর হামদ বর্ণনার পর বলিলেন, তোমাদের পূর্ববর্তী লোক এজন্যই ধ্বংস হইয়াছে যে, তাহাদের মধ্যে কোন অভিজাত লোক চুরি করতো, তখন তারা তাকে ছেড়ে দিত। আর কোন গরীব লোক চুরি করলে তারা তাকে শাস্তি দিত। তিনি বললেনঃ ঐ সত্তার কসম, যাহার হাতে আমার প্রাণ। যদি ফাতিমা বিনতে মুহাম্মদ চুরি করতো, তবে আমি তারও হাত কাটার নির্দেশ দিতাম।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪৯০৩. উরওয়া ইবনি যুবায়র [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর যুগে মক্কা বিজয়ের সময় এক নারী চুরি করলো। তার গোত্রের লোকেরা ভীত হইয়া উসামা ইবনি যায়দ-এর নিকট সুপারিশপ্রার্থী হলো। উরওয়া [রাঃআঃ] বলেনঃ উসামা [রাঃআঃ] এ ব্যাপারে নাবী [সাঃআঃ] সঙ্গে কথা বললে, তার এর চেহারা বিবর্ণ হলো। তিনি বলিলেন, তুমি কি আল্লাহর বিধানের ব্যাপারে আমার নিকট সুপারিশ করিতে চাও? উসামা [রাহঃ] বললেনঃ ইয়া রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]! আমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন। সন্ধ্যা হলে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ভাষণ দিতে দাঁড়ালেন। তিনি আল্লাহর যথাযথ প্রশংশা জ্ঞাপনের পর বললেনঃ তোমাদের পূর্ববর্তী লোক এজন্যই ধ্বংস হইয়াছে যে, যখন তাহাদের কোন অভিজাত লোক চুরি করতো, তখন তারা তাকে ছেড়ে দিত। আর যখন কোন দুর্বল লোক চুরি করতো, তখন তারা তাকে শাস্তি দিত। আল্লাহর কসম! যদি ফাতিমা বিনতে মুহাম্মদও চুরি করতো, তা হলে আমি তার হাত কাটে দিতাম। এরপর তার আদেশে ঐ নারীর হাত কাটা হলো। পরে ঐ নারী উত্তমরূপে তওবা করলো। আয়েশ [রাঃআঃ] বলেনঃ ঐ নারী পরে আমার নিকট আসতো এবং রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট তার প্রয়োজন তুলে ধরতাম।

চোরের হাত কাটা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৭.পরিচ্ছেদঃ হদ বা শাস্তি বিধানের প্রতি উদ্বুদ্ধ করা।

৪৯০৪. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ পৃথিবীতে একটি হদ প্রতিষ্ঠিত হওয়া পৃথিবীবাসীদের জন্য ত্রিশ দিন বৃষ্টি বর্ষিত হওয়া অপেক্ষা উত্তম।

হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদীস

৪৯০৫. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ কোন স্থানে হদ প্রতিষ্ঠিত হওয়া ঐ এলাকাবাসীর উপর চল্লিশ দিন বৃষ্টি হওয়া অপেক্ষা উত্তম।

চোরের হাত কাটা হাদিসের তাহকিকঃ হাসান মাওকুফ

৮.পরিচ্ছেদঃ কত মূল্যের মাল চুরিতে হাত কাটা যাবে।

৪৯০৬. আব্দুল্লাহ ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] একটি ঢাল-যাহার মূল্য ছিল পাঁচ দিরহাম, চুরি করায় চোরের হাত কাটার নির্দেশ দেন।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪৯০৭. আব্দুল্লাহ ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তিন দিরহাম মূল্যের ঢাল চুরি করায় চোরের হাত কেটে দেন।

চোরের হাত কাটা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪৯০৮. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ঢাল চুরির জন্য হাত কেটে দেন, যাহার মূল্য ছিল তিন দিরহাম।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪৯০৯. আব্দুল্লাহ ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এক চোরের হাত কেটে দেন যে, মহিলাদের জন্য নির্দিষ্ট স্থান থেকে ঢাল চুরি করেছিল, যাহার মূল্য ছিল তিন দিরহাম।

চোরের হাত কাটা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪৯১০. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] একটি ঢাল চুরিতে হাত কেটে দেন, যাহার মূল্য ছিল তিন দিরহাম।

রের হাত কাটা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪৯১১. আনাস ইবনি মালিক [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] একটি ঢাল চুরির জন্য হাত কাটেন।

চোরের হাত কাটা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ লিগাইরিহি

৪৯১২. আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

আবু বকর [রাঃআঃ] একটি ঢাল চুরি জন্য হাত কেটে দেন, যাহার মূল্য ছিল পাঁচ দিরহাম।

হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহীহ

৪৯১৩. কাতাদা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আনাসকে বলিতে শুনেছিঃ আবু বকর [রাঃআঃ]-এর সময় এক লোক একটি ঢাল চুরি করে যাহার মূল্য সাব্যস্ত হয় পাঁচ দিরহাম। এ কারনে তার হাত কাটা হয়।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৯.পরিচ্ছেদঃ যুহরী হইতে বর্ণনাকারীদের মতপার্থক্য

৪৯১৪. হাফস ইবনি হাসসান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] যুহরী থেকে, তিনি উরওয়া হইতে এবং তিনি আয়েশা [রাঃআঃ] থেকে। হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এক দীনারের এক-চতুর্থাংশের [চার ভাগের এক ভাগ] জন্য চোরের হাত কাটার নির্দেশ দেন।

৪৯১৫. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ একটি ঢালের মুল্য অর্থাৎ এক দীনারের তিনভাগের একভাগ বা অর্ধ দীনার কিংবা এর অধিক না হলে চোরের হাত কাটা যাবে না।

হাদিসের তাহকিকঃ মুনকার

৯১৬. আয়েশা [রাঃআঃ] সূত্রে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

দীনারের চার ভাগের এক ভাগের জন্য চোরের হাত কাটা যাবে।

চোরের হাত কাটা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪৯১৭. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ দীনারের এক-চতুর্থাংশ বা ততোধিকের জন্য চোরের হাত কাটা যাবে।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪৯১৮. আয়েশা [রাঃআঃ] সূত্রে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ দীনারের চতুর্থাংশ বা ততোধিকের জন্য চোরের হাত কাটা যাবে।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪৯১৯. আয়েশা [রাঃআঃ] সূত্রে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ দীনারের চতুর্থাংশ বা তদুর্ধের জন্য চোরের হাত কাটা যাবে।

চোরের হাত কাটা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪৯২০. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ দীনারের এক-চতুর্থাংশ বা তদুর্ধের জন্য চোরের হাত কাটা যাবে।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ মাওকুফ

৪৯২১. আয়েশা [রাঃআঃ] সূত্রে নাবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

দীনারের চতুর্থাংশ বা তদুর্ধের জন্য চোরের হাত কাটা যাবে।

চোরের হাত কাটা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪৯২২. হযরত আয়েশা [রাঃআঃ] নাবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

দীনারের চতুর্থাংশ বা তদুর্ধের জন্য চোরের হাত কাটা যাবে।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪৯২৩. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ দীনারের চতুর্থাংশ বা তদুর্ধের জন্য চোরের হাত কাটা হইবে।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪৯২৪. আমর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি আয়েশা [রাহঃ]-কে বলিতে শুনেছেনঃ দীনারের চতুর্থাংশ বা তদুর্ধের জন্য চোরের হাত কাটা যাবে।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ মাওকুফ

৪৯২৫. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

, তিনি বলেনঃ দীনারের এক-চতুর্থাংশ বা তদুর্ধের জন্য চোরের হাত কাটা যাবে।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ মাওকুফ

৪৯২৬. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ দীনারের চতুর্থাংশ বা তদুর্ধের জন্য চোরের হাত কাটা যাবে।

চোরের হাত কাটা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ মাওকুফ

৪৯২৭. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ অনেক দিন অতিবাহিত হয়নি আর আমি ভুলে যাইনি যে, দীনারের চতুর্থাংশ বা তদুর্ধের জন্যই চোরের হাত কাটা যাবে।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ মাওকুফ

১০.পরিচ্ছেদঃ এই হাদীসে আমর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] থেকে বর্ণনাকারী আবু বকর ইবনি মুহাম্মদ ও আব্দুল্লাহ ইবনি আবু বকর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর বর্ণনাগত পার্থক্য

৪৯২৮. আয়েশা [রাহঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছেনঃ চোরের হাত কাটা হইবে না দীনারের চতুর্থাংশ বা ততোধিক ব্যতীত।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪৯২৯. আয়েশা [রাঃআঃ] সুত্রে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] থেকে হইতে বর্ণিতঃ

প্রথম হাদিসের ন্যায় বর্ণনা করিয়াছেন।

চোরের হাত কাটা হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণীত নয়

৪৯৩০. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

যাবে দীনারের চতুর্থাংশ বা ততোধিকের জন্য।

চোরের হাত কাটা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ মাওকুফ

৪৯৩১. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ চোরের হাত কাটা যাবে ঢালের মূল্যে, আর ঢালের মূল্য হলো দীনারের চতুর্থাংশ।

হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহীহ

৪৯৩২. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ দীনারের চতুর্থাংশ বা তদুর্ধের জন্য রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] চোরের হাত কাটতেন।

চোরের হাত কাটা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪৯৩৩. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ দীনারের চতুর্থাংশ ব্যতীত চোরের হাত কাটা যাবে না।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪৯৩৪. উম্মুল মুমিনীন আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ ঢালের [চুরির] জন্য চোরের হাত কাটা যাবে।

চোরের হাত কাটা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ লিগাইরিহি

৪৯৩৫. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, ঢালের মূল্যের কমে চোরের হাত কাটতেন না। আয়েশা [রাঃআঃ]-কে জিজ্ঞাসা করা হলো, ঢালের মূল্য কত? তিনি বললেনঃ দীনারের চতুর্থাংশ।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ লিগাইরিহি

৪৯৩৬. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছেনঃ দীনারের চতুর্থাংশ বা ততোধিক ব্যতীত চোরের হাত কাটা যাবে না।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪৯৩৭. আয়শা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিতেনঃ ঢালের জন্য অথবা এর মুল্যের কমে হাত কাটা যাবে না।

চোরের হাত কাটা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪৯৩৮. উরওয়া ইবনি যুবায়ের [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

আয়েশা [রাঃআঃ] নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ ঢাল অথবা এর মুল্যের কোন দ্রব্য চুরি করা ব্যতীত হাত কাটা যাবে না। উরওয়া [রাঃআঃ] বলেনঃ ঢাল চার দিরহাম হইয়া থাকে।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪৯৩৯. সুলায়মান ইবনি ইয়াসার [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি আয়েশা [রাঃআঃ] কে বলিতে শুনেছেনঃ আমি রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে বলিতে শুনেছিঃ দীনারের চতুর্থাংশ বা তদুর্ধের জন্য ব্যতীত চোরের হাত কাটা যাবে না।

হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণীত নয়

৪৯৪০. সুলায়মান ইবনি ইয়াসার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ পাঁচ দিরহামের জন্য চোরের পাঁচ আঙ্গুল কাটা যাবে।

চোরের হাত কাটা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ মাকতু

৪৯৪১. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ হাফজা [শুধু চামড়ার ধাল] বা তুরস [কাঠ ও চামড়াযোগে গঠিত ঢাল]-এর মত মূল্যের বস্তুতে চোরের হাত কাটা যাবে না। এর প্রত্যেকটিই মূল্যবান বস্তু।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪৯৪২. আব্দুল্লাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] পাঁচ দিরহাম মূল্যের জন্য চোরের হাত কাটার নির্দেশ দেন।

চোরের হাত কাটা হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস

৪৯৪৩. আয়মন [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] ঢালের সমপরিমাণ মূল্যের জন্য চোরের হাত কাটতেন, আর সে সময় ঢালের মূল্য ছিল এক দীনার।

হাদিসের তাহকিকঃ মুনকার

৪৯৪৪. আয়মন [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর সময়ে ঢালের মুল্যের কমে হাত কাটা হয়নি। আর তখন ঢালের মুল্য ছিল এক দীনার।

হাদিসের তাহকিকঃ মুনকার

৪৯৪৫. আয়মন [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর সময়ে ঢালের মুল্যের কমে হাত কাটা হয়নি। আর সে সময় ঢালের মুল্য ছিল এক দীনার।

চোরের হাত কাটা হাদিসের তাহকিকঃ মুনকার

৪৯৪৬. আয়মান [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর সময়ে ঢালের মুল্যের কমে হাত কাটা হয়নি। আর তখন ঢালের মুল্য ছিল এক দীনার।

হাদিসের তাহকিকঃ মুনকার

৪৯৪৭. আয়মন [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর সময়ে ঢালের মুল্যের জন্য চোরের হাত কাটা হতো, যা ছিল এক দীনার বা দশ দিরহাম।

চোরের হাত কাটা হাদিসের তাহকিকঃ মুনকার

৪৯৪৮. আয়মন ইবনি উম্মে আয়মন [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ ঢালের মুল্য ব্যতীত হাত কাটা যাবে না। আর তখন এর মূল্য ছিল এক দীনার।

হাদিসের তাহকিকঃ মুনকার

৪৯৪৯. আয়মন [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ ঢালের মুল্যের কমে চোরের হাত কাটা যাবে না।

হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস

৪৯৫০. আব্দুল্লাহ ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

। তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর সময়ে ঢালের দাম হতো দশ দিরহাম।

চোরের হাত কাটা হাদিসের তাহকিকঃ শায

৪৯৫১. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] থেকে আনুরূপ বর্ণিত হইতে বর্ণিতঃ

রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] – এর সময়ে ঢালের মুল্য ছিল দশ দিরহাম।

৪৯৫২. আতা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ

[…]

হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণীত নয়

৪৯৫৩. আতা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ সর্বনিম্ন যাতে হাত কাটা যাবে, তা হলো ঢালের মূল্য। আর তখন এর মূল্য ছিল দশ দিরহাম। ঈমাম আবু আব্দুর রহমান নাসাঈ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, পূর্বে যে আয়মান থেকে হাদীস বর্ণিত হইয়াছে, তিনি নাবী [সাঃআঃ]-এর সাহচর্য পেয়েছেন বলে আমি মনে করি না। তার থেকে বর্ণিত অন্য হাদীস দ্বারা আমার এ কথা প্রমাণিত হয়। নিম্নে সে হাদীস উদ্ধৃত হলঃ [আরবি]।

হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল মাকতু

৪৯৫৪. ইবনি যুবায়র [রাঃআঃ] এর আযাদকৃত দাস আয়মান [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি তুবায় সূত্রে কাব [রাঃআঃ] হইতে শুনেছেনঃ যে ব্যক্তি উত্তমরূপে উযু করে নামাজ আদায় করে; রাবি আব্দুর রাহমান বলেন, ইশার নামাজ আদায় করে এবং পরে চার রাকআত নামাজ আদায় করে এবং তাতে রুকূ-সিজদা পূর্ণরূপে আদায় করে, আর যা পড়ে তা উপলব্ধি করে, তবে তা শবে কদরের ইবাদতের ন্যায় হইবে।

চোরের হাত কাটা হাদিসের তাহকিকঃ মাকতু মাওকুফ

চোরের হাত কাটা হাদিসের তাহকিকঃ অন্যান্য

৪৯৫৫. কাব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ যে ব্যক্তি উত্তমরূপে উযু করে এশার সালাতের জামায়াতে শরীক হয় এবং এরপর অনুরূপ চার রাকাআত নামাজ আদায় করে। এতে কুরআন পড়ে এবং রুকূ-সিজদা পূর্ণরূপে আদায় করে, তবে তার জন্য শবে কদরের সওয়াবের মত হইবে।

চোরের হাত কাটা হাদিসের তাহকিকঃ মাকতু মাওকুফ

চোরের হাত কাটা হাদিসের তাহকিকঃ অন্যান্য

৪৯৫৬. আমর ইবনি শুআয়াব তাহাঁর পিতার মাধ্যমে তাহাঁর দাদা হইতে বর্ণিতঃ

রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ ]এর সময় ঢালের মুল্য ছিল দশ দিরহাম।

চোরের হাত কাটা হাদিসের তাহকিকঃ শায

১১.পরিচ্ছেদঃ ফল গাছে থাকতে চুরি হওয়া

৪৯৫৭. আমর ইবনি শুআয়ব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]– কে জিজ্ঞাসা করা হলো, কি পরিমাণ মাল চুরি করলে হাত কাটা যাবে ? তিনি বললেনঃ যে ফল গাছে ঝুলছে, ঐ ফল চুরি হলে হাত কাটা যাবে না। কিন্তু যখন তা খোলায় এনে রাখা হয়, আর সেখান হইতে এ পরিমান ফল চুরি হয় যাহার মূল্য ঢালের মুল্যের সমান, তখন হাত কাটা যাবে। এভাবে যে জন্তু পাহাড়ের চরনভূমিতে চরে, তাতে হাত কাটা যাবে না। কিন্তু যখন তা খোয়াড়ে তোলা হয়, তখন চুরি করলে এবং তার মূল্য ঢালের মূল্যের সমপরিমাণ হলে হাত কাটা যাবে।

চোরের হাত কাটা হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদীস

৪৯৫৮. আব্দুল্লাহ ইবনি আমর [রাহঃ] হইতে বর্ণিতঃ

গাছে ফল চুরির ব্যাপারে রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]- কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেনঃ যে ব্যক্তি প্রয়োজনের তাগিদে ফল নেয়, কিন্তু লুকিয়ে কাপড়ে বেঁধে না নেয়, তবে তার কোন শাস্তি হইবে না। যদি কেউ এরূপ ফল নিয়ে বের হয়, তবে তার দ্বিগুন জরিমানা হইবে, এবং তার আলাদা শাস্তি হইবে। গাছ হইতে ফল নামিয়ে রাখার পর যদি কেউ চুরি করে আর এর মূল্য ঢালের মূল্যের পরিমান হয়, তবে তার হাত কাটা যাবে। যদি কোন ব্যক্তি ঢালের মূল্যের চেয়ে কম মূল্যের বস্তু চুরি করে, তবে তার দ্বিগুণ জরিমানা দিতে হইবে, আর শাস্তি পৃথক হইবে।

চোরের হাত কাটা হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদীস

৪৯৫৯. আব্দুল্লাহ ইবনি আমর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

মুযায়না গোত্রের এক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]– এর নিকট এসে বললোঃ ইয়া রসূলুল্লাহ্ ! পাহাড়ে চরে বেড়ায় এমন জন্তুর ব্যাপারে আপনি কী আদেশ করেন? তিনি বললেনঃ যদি কেউ এরূপ জন্তু চুরি করে, তবে যেন তা ফেরৎ দেয় এবং এরূপ অন্য একটি জন্তুও দিবে। আর তাকে শাস্তি দেওয়া হইবে, তার হাত কাটা যাবে না। ঐ ব্যক্তি বললোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্‌ ! গাছে ঝুলান ফল সম্বন্ধে আপনি কি বলেন? তিনি বলেনঃ চোর ঐ ফল এবং আরও ঐ পরিমাণ ফল আদায় করিবে এবং তাকে শাস্তি দেওয়া হইবে, গাছে ঝুলন্ত কোন ফল চুরিতে হাত কাটা যাবে না। ফল গাছ থেকে নামিয়ে স্তূপ করে রাখা হইয়াছে। আর তা থেকে এত ফল চুরি হইয়াছে যাহার মূল্য ঢালের মূল্যের সমপরিমান চুরি করলে হাত কাটা যাবে। আর যদি ঐ পরিমানের চাইতে কম হয় ; তবে দ্বিগুণ জরিমানা দিবে, আর শাস্তিস্বরূপ বেত্রাঘাত খাবে।

হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণীত নয়

১২.পরিচ্ছেদঃ যা চুরি করলে হাত কাটা যাবে না

৪৯৬০. রাফে ইবনি খাদীজ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]– কে বলিতে শুনেছিঃ ফল এবং খেজুর গাছের শাঁস চুরিতে হাত কাটা নেই।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪৯৬১. রাফে ইবনি খাদিজ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] – কে বলিতে শুনিয়াছি ফল এবং খেজুর গাছের শাঁস চুরিতে হাত কাটা নেই।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪৯৬২. রাফে ইবনি খাদীজ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]- কে বলিতে শুনেছিঃ ফল এবং খেজুর গাছের শাঁস চুরিতে হাত কাটা নেই।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪৯৬৩. রাফে ইবনি খাদীজ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ ফল এবং খেজুর গাছের শাঁস চুরিতে হাত কাটা নেই।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪৯৬৪. রাফে ইবনি খাদীজ [রাঃআঃ] সূত্রে রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেনঃ ফল এবং খেজুর গাছের শাঁস চুরিতে হাত কাটা নেই।

চোরের হাত কাটা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪৯৬৫. রাফে ইবনি খাদীজ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ ফল এবং খেজুর গাছের শাঁস চুরিতে হাত কাটা নেই।

চোরের হাত কাটা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪৯৬৬. রাফে ইবনি খাদীজ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ ফল এবং খেজুর গাছের শাঁস চুরিতে হাত কাটা নেই।

চোরের হাত কাটা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪৯৬৭. রাফে ইবনি খাদীজ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]- কে বলিতে শুনেছিঃ ফল এবং খেজুর গাছের শাঁস চুরিতে হাত কাটা নেই।

চোরের হাত কাটা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪৯৬৮. রাফে ইবনি খাদীজ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ ফল এবং খেজুর গাছের শাঁস চুরিতে হাত কাটা নেই।

চোরের হাত কাটা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ লিগাইরিহি

৪৯৬৯. রাফে ইবনি খাদীজ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]- কে বলিতে শুনেছিঃ ফল এবং খেজুর গাছের শাঁস চুরিতে হাত কাটা নেই।

চোরের হাত কাটা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪৯৭০. রাফে ইবনি খাদীজ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]- কে বলিতে শুনেছিঃ ফল এবং খেজুর গাছের শাঁস চুরিতে হাত কাটা নেই।

চোরের হাত কাটা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ লিগাইরিহি

৪৯৭১. জাবির [রাঃআঃ] সূত্রে রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেনঃ আমানতে খিয়ানতকারী, প্রকাশ্যে লুণ্ঠনকারী এবং ছোঁ মেরে পলায়নকারী ব্যক্তির প্রতি হাত কাটার শাস্তি আরোপিত হইবে না।

চোরের হাত কাটা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪৯৭২. জাবির [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আমানতে খিয়ানতকারী, লুণ্ঠনকারী এবং ছোঁ মেরে পলায়নকারী ব্যক্তির প্রতি হাত কাটার শাস্তি আরোপিত হইবে না।

চোরের হাত কাটা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪৯৭৩. জাবির [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন কিছু খপ করে নিয়ে পালায়, তার শাস্তি হাত কাটা নয়।

চোরের হাত কাটা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪৯৭৪. জাবির [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আমানতে খিয়ানতকারীর হাত কাটা যাবে না।

চোরের হাত কাটা হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস

৪৯৭৫. জাবির [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ প্রকাশ্যে লুণ্ঠনকারী এবং ছোঁ মেরে মাল নিয়ে পলায়নকারী এবং খিয়ানতকারীর হাত কাটা যাবে না।

চোরের হাত কাটা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪৯৭৬. জাবির [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ খিয়ানতকারী ব্যক্তির হাত কাটা যাবে না।

চোরের হাত কাটা হাদিসের তাহকিকঃ অন্যান্য

১৩.পরিচ্ছেদঃ চোরের হাত কাটার পর পা কাটা

৪৯৭৭. হারিস ইবনি হাতিব [রা] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃ]-এর নিকট এক চোরকে আনা হলে তিনি বলিলেনঃ তাকে হত্যা কর। লোকজন বললো ঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! সেতো চুরি করেছে। তিনি বলিলেন ঃ তাকে হত্যা কর। লোকজন বললোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্ ! সে তো চুরি করেছে। তিনি বলিলেন ঃ তবে তার হাত কেটে ফেল। পরে এই লোকটি আবার চুরি করলে তার-পা কাটা হলো। এরপর আবু বকর [রা]-এর খিলাফতকালে সে আবার চুরি করিল। এভাবে তার সমস্ত হাত পা কাটা গেল। পরে সে পঞ্চমবার চুরি করলে আবু বকর [রা] বলিলেন ঃ রসূলুল্লাহ [সাঃ] তার অবস্থা অবগত ছিলেন বলেই তিনি বলেছিলেন, তাকে হত্যা কর। এরপর হযরত আবু বকর [রা] তাকে কুরায়শদের যুবকদের হাতে ছেড়ে দেন, যেন তারা তাকে হত্যা করে। তাহাদের মধ্যে আবদুল্লাহ ইবনি যুবায়রও ছিলেন। তিনি নেতৃত্ব পছন্দ করিতেন। তিনি বলিলেন ঃ তোমরা আমাকে তোমাদের দলপতি নিযুক্ত কর। তারা তাঁকে দলপতি নিযুক্ত করিল। যখন তিনি মারা শুরু করিলেন, তখন তারা ঐ ব্যক্তিকে মারল এবং এভাবে তারা তাকে হত্যা করিল।

চোরের হাত কাটা হাদিসের তাহকিকঃ মুনকার

১৪.পরিচ্ছেদঃ চোরের হস্তদ্বয় ও পদদ্বয় কেটে ফেলা

৪৯৭৮. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ্‌ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসুলাল্লাহ্‌ [সাঃআঃ] এর নিকট এক চোরকে আনা হলে তিনি বলিলেনঃ তাকে হত্যা কর। লোকজন বলিলঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ্‌! সেতো চুরি করেছে। তিনি বলিলেনঃ তবে তার হাত কেটে ফেল। তখন তার হাত কাটা হলো। পরে আবার তাকে চুরির কারণে ধরে আনা হলে তিনি বলিলেনঃ তাকে হত্যা কর। লোকজন বললোঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ্‌! সে তো চুরি করেছে। তিনি বলিলেনঃ তবে তার পা কাট। তখন তা কাটা হল। তৃতীয়বারও তাকে আনা হলো। তিনি বলিলেনঃ তাকে হত্যা কর। লোকজন বললোঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ্‌। এ ব্যক্তি তো চুরি করেছে। তিনি বলিলেনঃ তবে তার বাম হাত কাট। তাকে চতুর্থবারও আনা হল। তিনি বলিলেনঃ তাকে হত্যা কর। লোকজন বললোঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ্‌! লোকটি তো চুরি করেছে। তিনি বলিলেনঃ তবে তার [ডান] পা কেটে ফেল। এরপর তাকে পঞ্চমবারও আনা হলে তিনি বলিলেনঃ এবার তাকে হত্যা কর। জাবির [রাঃআঃ] বলেনঃ আমরা ঐ চোরকে মিরবাদ নামক স্থানের দিকে নিয়ে গেলাম। তাকে উঠাতে গেলে সে চিত হইয়া গেল। এরপর সে তার কাটা হাত-পা নিয়ে দাপাদাপি করিতে লাগল। উট তার এ অবস্থা দেখে ভয়ে ছোটাছুটি শুরু করে দিল। তাকে দ্বিতীয়বার উঠানো হলো, কিন্তু সে পুনরায় ঐরূপ করলো। আবার তৃতীয়বার তাকে উঠানো হলো। পরে আমরা তাকে পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করি এবং তাকে এক কূপে নিক্ষেপ করি। এরপর উপর থেকে তার উপর পাথর নিক্ষেপ করি।

চোরের হাত কাটা হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণীত নয়

১৫.পরিচ্ছেদঃ সফরে হাত কাটা

৪৯৭৯. বুস্‌র ইবনি আবু আরতাত [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] –কে বলিতে শুনিয়াছিঃ সফরে হাত কাটা যাবে না।

চোরের হাত কাটা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪৯৮০. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ ক্রীতদাস যদি চুরি করে, তবে তাকে বিক্রি করে ফেলবে বিশ দিরহামের বিনিময়ে [বা অর্ধেক মূ্ল্যে] হলেও।

চোরের হাত কাটা হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস

১৬.পরিচ্ছেদঃ বালেগ হওয়ার বয়স এবং যে বয়সে উপনীত হলে নর-নারীর উপরে হদ [শরঈ শাস্তি] আরোপ করা যায়।

৪৯৮১. আতিয়্যা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি বনূ কুরায়যাহার বন্দীদের মধ্যে ছিলাম। তারা পর্যবেক্ষণ করতো, যাহার [নাভির নিচের] চুল গজাত, তাকে হত্যা করতো, আর যাহার গজায় নি, তাকে ছেড়ে দিত, হত্যা করতো না।

চোরের হাত কাটা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

১৭.পরিচ্ছেদঃ চোরের কর্তিত হাত ঘাড়ে ঝুলানো

৪৯৮২. ইবনি মুহায়রীয [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ফাযালা ইবনি উবায়দকে চোরের হাত তার ঘাড়ে ঝুলিয়ে দেয়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বলিলেনঃ এটা সুন্নত। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এক চোরের হাত কেটে তার ঘাড়ে লটকে দিয়েছিলেন।

চোরের হাত কাটা হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস

১৮.পরিচ্ছেদঃ চোরের হাত কাটা

৪৯৮৩. আবদুর রহমান ইবনি মুহায়রীয [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ফাযালা ইবনি উবায়দকে জিজ্ঞাসা করলামঃ চোরের হাত কেটে ঝুলিয়ে দেয়া কি সুন্নত? তিনি বলিলেনঃ হ্যাঁ, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নিকট এক চোরকে আনা হলে তিনি তার হাত কেটে তার ঘাড়ে ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন।

চোরের হাত কাটা হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস

৪৯৮৪. আবদুর রহমান ইবনি আউফ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ চোরের উপর তার শাস্তি কার্যকর করা হলে চোরাই মালের জন্য তাকে জরিমানা দিতে হইবে না।

চোরের হাত কাটা হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস

Comments

One response to “চোরের হাত কাটা । যা চুরি করলে হাত কাটা যাবে না”