আকিকা
আকিকা । আকিকা কখন করিতে হইবে >> সুনানে নাসাই শরিফের মুল সুচিপত্র দেখুন
পর্বঃ ৪১, আকিকা, হাদীস (৪২১২ – ৪২২১)
১.পরিছেদঃ আকিকা
২.পরিছেদঃ পুত্র সন্তানের আকিকা
৩.পরিছেদঃ কন্যা সন্তানের আকিকা
৪.পরিছেদঃ কন্যা সন্তানের পক্ষ হইতে কয়টি বকরী কুরবানী করিতে হইবে
৫.পরিছেদঃ আকিকা কখন করিতে হইবে
১.পরিছেদঃ আকিকা
৪২১২. আমর ইবনি শুআয়ব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তাহাঁর পিতার মাধ্যমে, তাহাঁর দাদা থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে আকিকা সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেনঃ আল্লাহ তাআলা মাতাপিতার অবাধ্যতাকে পছন্দ করেন না, যেন তিনি এই [আকিকা] {১} নামকে অপছন্দ করিলেন ঐ ব্যক্তি আরয করলোঃ ইয়া রসূলুল্লাহ! আমি আপনার নিকট জিজ্ঞাসা করছি, কারো সন্তান হলে সন্তানের পক্ষ হইতে যা যবেহ করা হয় সেই বিষয়ে। তিনি বললেনঃ যে ব্যক্তি স্বীয় সন্তানের পক্ষ হইতে যবেহ করিতে ইচ্ছে করে, সে যেন ছেলে সন্তানের পক্ষ হইতে দুটি বকরী যবেহ করে একই ধরনের এবং কন্যা সন্তানের পক্ষ হইতে একটি বকরী যবেহ করে। রাবী দাউদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেনঃ আমি যায়দ ইবনি আসলাম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর নিকট জিজ্ঞাসা করলাম, এক প্রকার অর্থ কি? তিনি বললেনঃ দেখিতে যেন একই প্রকার হয়, একত্রে যবেহ করা হয়।
কেননা এরই যমধাতু হইতে উৎপন্ন উকুক-এর অর্থ পিতাপাতার অবাধ্যতা করা। কিন্তু বহু হাদীসে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কর্তৃক এ নামের ব্যবহার পাওয়া যায়। কাজেই বলিতে হইবে, এ অপছন্দ করার বিষয়টি রাবীর ধারনা। খুব সম্ভবত মহানাবী [সাঃআঃ] এ স্থলে পিতামাতার অবাধ্যতার কথাটি তুলেছেন প্রসঙ্গক্রমে, যেহেতু উভয় শব্দ একই ধাতু হইতে উৎপন্ন হয় এবং বিশেষত এ কারনে যে, আকিকা সাধারনত পিতামাতাই দিয়ে থাকে।
হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহীহ
৪২১৩. বুরায়দা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] হযরত হাসান এবং হুসায়নের পক্ষে আকিকা করেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২.পরিছেদঃ পুত্র সন্তানের আকিকা
৪২১৪. সালমান ইবনি আমের যাব্বী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ পুত্র সন্তানের ক্ষেত্রে আকিকা আছে। কাজেই তার জন্য যবেহ করিবে এবং তার মাথা মুণ্ডন করিবে।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৪২১৫. উম্মে কুরয [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ পুত্র সন্তানের জন্য দুটি বকরী যা একই প্রকার হইবে এবং কন্যা সন্তানের জন্য একটি বকরী যবেহ করিতে হইবে।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৩.পরিছেদঃ কন্যা সন্তানের আকিকা
৪২১৬. উম্মে কুরয [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ ছেলে সন্তানের আকিকায় দুটি বকরী একই রকমের, কন্যা সন্তানের আকিকায় একটি বকরী যবেহ করিতে হইবে।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৪.পরিছেদঃ কন্যা সন্তানের পক্ষ হইতে কয়টি বকরী কুরবানী করিতে হইবে
৪২১৭. উম্মে কুরয [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি হুদায়বিয়ায় রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট কুরবানীর জন্তুর গোশত সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করার জন্য উপস্থিত হই। তখন আমি তাঁকে বলিতে শুনিঃ পুত্র সন্তানের পক্ষ হইতে আকিকার জন্য দুটি বকরী, আর কন্যা সন্তানের জন্য একটি বকরী তা নর হোক বা মাদী, যবেহ করিতে হইবে।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৪২১৮. উম্মে কুরয [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ পুত্র সন্তানের জন্য দুটি বকরী এবং কন্যা সন্তানের জন্য একটি বকরী যবেহ করিতে হইবে, তা নর হোক বা মাদী।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৪২১৯. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] হাসান এবং হুসায়নের আকিকায় দুটি করে বকরী যবেহ করেন।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫.পরিছেদঃ আকিকা কখন করিতে হইবে
৪২২০. সামুরা ইবনি জুনদুব [রাঃআঃ] রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ প্রত্যেক সন্তান স্বীয় আকিকার সাথে আবদ্ধ। তার পক্ষ হইতে তা তার জন্মের সপ্তম দিনে যবেহ করিতে হইবে। সেদিন তার মাথা মুণ্ডন করিতে হইবে এবং তার নাম রাখতে হইবে।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৪২২১. হাবীব ইবনি শাহীদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
আমাকে মুহাম্মদ ইবনি সীরীন [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলিলেন, তুমি হাসান [রাঃআঃ]-এর নিকট আকিকার হাদীস সমন্ধে জিজ্ঞাসা কর যে, তিনি তা কার নিকট শুনেছেন? আমি তাঁকে এ ব্যপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেনঃ আমি তা সামুরা [রাঃআঃ] থেকে শুনিয়াছি।
হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
Leave a Reply