ব্যথা ও প্রাণীর দংশনে ঝাড়ফুঁক এবং আশ্রয় প্রাথনা

ব্যথা ও প্রাণীর দংশনে ঝাড়ফুঁক এবং আশ্রয় প্রাথনা

পরিচ্ছেদঃ ১ কান ব্যথা, সাপ, বিছা ও প্রাণীর দংশনে ঝাড়ফুঁক করার অনুমতি
পরিচ্ছেদঃ ২ ব্যথা দূর করা ও প্রাণীর দংশনে ঝাড়ফুঁক এর দুয়া
পরিচ্ছেদঃ ৩ আল্লাহর সৃষ্টির অনিষ্ট হতে আশ্রয় প্রার্থনা
পরিচ্ছেদঃ ৪ উকুন কষ্ট দিলে মাথা মুড়িয়ে ফেলার বর্ণনা
পরিচ্ছেদঃ ৫ যে সব বিষয়ে ঝাড়ফুঁক করিতে নিষেধ করিয়াছেন

পরিচ্ছেদঃ ১ কান ব্যথা, সাপ, বিছা ও প্রাণীর দংশনে ঝাড়ফুঁক করার অনুমতি

সহিহুল বুখারি – ৫৭৪১ঃ আবদুর রহমান ইবনুল আসওয়াদের পিতা আসওয়াদ (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আয়িশাহ (রাঃ) -কে বিষাক্ত প্রাণীর দংশনের কারণে ঝাড়-ফুঁক করার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেনঃ নবী (সাঃআঃ) সকল প্রকার বিষাক্ত প্রাণীর দংশনে ঝাড়ফুঁক করার অনুমতি দিয়েছেন।

(৩৯/২১, ২১৯৩, আহমাদ ২৫৭৯৭) আধুনিক প্রঃ- ৫৩২১, ইঃ ফাঃ- ৫২১৭)

হাদিসঃ সুনান আবু দাউদ – ৩৮৮৭ তাহকিক আলবানি , আশ-শিফা বিনতু আবদুল্লাহ (রাদিআল্লাহু আঃ) হতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা আমি হাফসাহ (রাদিআল্লাহু আঃ)-এর নিকট ছিলাম, তখন নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার নিকট এসে বললেনঃ তুমি ওকে (হাফসাহকে) যেভাবে লেখা শিখিয়েছো, সেভাবে পিপড়া (পোকা) কামড়ের ঝাড়ফুঁক শিক্ষা দাও না কেন।

সহিহুল বুখারি – ৫৭২০ঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃআঃ) আনসারদের এক পরিবারের লোকদের বিষাক্ত দংশন ও কান ব্যথার কারণে ঝাড়ফুঁক গ্রহণ করার জন্য অনুমতি দেন।

(আধুনিক প্রঃ- ৫৩০১, ইঃ ফাঃ- ৫১৯৭)

হাদিসঃ সুনান আবু দাউদ – ৩৮৮৪: ইমরান ইবনু হুসাইন (রাদিআল্লাহু আঃ) হতে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ কেবল বদনযর লাগা কিংবা বিষাক্ত প্রাণীর দংশনের চিকিৎসায় ঝাঁড়ফুঁক দেয়া যায়।

প্রাণীর দংশনে ঝাড়ফুঁক হাদিস এর মানঃ সহিহ হাদিস

হাদিসঃ সুনান আবু দাউদ – ৩৮৮৮ তাহকিক আলবানি, রাবাব (রহঃ) হতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি সাহ্‌ল ইবনু হুনাইফ (রাদিআল্লাহু আঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছি, আমি বন্যার প্রবহমান পানির পাশ দিয়ে অতিক্রমকালে তাতে নেমে গোসল করায় জ্বরে আক্রান্ত হই। এ সংবাদ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট পৌছলে তিনি বলেনঃ তোমরা আবূ সাবিতকে আশ্রয় প্রার্থনা করিতে আদেশ দাও। তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আমার নেতা! ঝাড়ফুঁক কি ফলদায়ক? তিনি বলেন, শুধুমাত্র বদনযর লাগা বা সাপ বিছার দংশনে ঝাড়ফুঁক দেয়া চলে। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, হামাহ’ হলো সাপ ও বিষধর কীটের কামড়।

(৩৮৮৮) নাসায়ীর আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লায়লাহ, আহমাদ। সানাদ রাবাব অজ্ঞাত। প্রাণীর দংশনে ঝাড়ফুঁক হাদিস এর মানঃ দুর্বল হাদিস

হাদিসঃ সুনান আবু দাউদ – ৩৮৮৯: আনাস (রাদিআল্লাহু আঃ) হতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কেবল বদনযর লাগা বা বিষাক্ত প্রাণীর দংশন বা রক্ত বইতে থাকলে ঝাড়ফুঁক দেয়া চলে। বর্ণনাকারী আল-আব্বাস (রহঃ) বদনযর-এর উল্লেখ করেননি। তবে সুলায়মান ইবনু দাঊদ তা উল্লেখ করিয়াছেন।

দুর্বলঃ মিশকাত (৪৫৫৭)। (৩৮৮৯) হাকিম, তিনি বলেনঃ এই হাদিসটি মুসলিমের শর্তে। কিন্ত সানাদের শারীক সম্পর্কে হাফিয বলেনঃ স্মরণশক্তি খারাপ। হাদিস এর মানঃ দুর্বল হাদিস

হাদিসঃ সুনান ইবনে মাজাহ – ৩৫১৭ তাহকিক আলবানিঃ আয়িশাহ (রাদিআল্লাহু আঃ), হতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাপ ও বিছার দংশনে ঝাড়ফুঁক করার অনুমতি দিয়েছেন।

তাহকীক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সনদ সহীহ . প্রাণীর দংশনে ঝাড়ফুঁক হাদিস এর মানঃ সহিহ হাদিস

হাদিসঃ সুনান ইবনে মাজাহ – ৩৫১৯ তাহকিক আলবানিঃ আমর বিন হাযম (রাদিআল্লাহু আঃ) হতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সামনে আমি সর্পদংশনের ঝাড়ফুঁকের দুআ’ পেশ করলে তিনি আমাকে এর অনুমতি দেন। (৩৫১৯)

তাহকীক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সানাদটি দুর্বল। (৩৫১৯) হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন। হাদিস এর মানঃ দুর্বল হাদিস

পরিচ্ছেদঃ ২ ব্যথা দূর করা ও প্রাণীর দংশনে ঝাড়ফুঁক এর দুয়া

আয়িশাহ (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) ঝাড়-ফুঁক করিতেন। আর এ দুআ পাঠ করিতেনঃ

امْسَحْ الْبَاسَ رَبَّ النَّاسِ بِيَدِكَ الشِّفَاءُ لاَ كَاشِفَ لَه“إِلاَّ أَنْتَ

আমসাহল বাসা রাব্বান নাসি বিয়াদিকাশশিফাউ লা কাশিফা লাহু ইল্লা আংতা, ব্যথা দূর করে দাও, হে মানুষের পালনকর্তা। আরোগ্যদানের ক্ষমতা কেবল তোমারই হাতে। এ ব্যথা তুমি ছাড়া আর কেউ দূর করিতে পারে না।

رَبَّ الْبَاسَ امْسَحْ
পালনকর্তাব্যথা দূর করে দাও
الشِّفَاءُبِيَدِكَ النَّاسِ
আরোগ্যদানের ক্ষমতা তোমারই হাতেমানুষের
لَهكَاشِفَ لاَ
তারআরোগ্যদাননা
أَنْتَإِلاَّ
তুমি ছাড়া

ইমাম বুখারি, আয়িশাহ (রাঃ) এর সুত্রে উপরোক্ত হাদীস বর্ণনা করেছেন।” [সহিহ বুখারি ৫৭৪৪, আধুনিক প্রঃ ৫৩২৪, ইঃ ফাঃ ৫২২০]

তিরমিজি – ৩৫৮৮ :মুহাম্মাদ ইবনি সালিম [রঃ] হইতে বর্ণীতঃ

সাবিত আল –বুনানী [রঃ] আমাকে বলিলেন, হে মুহাম্মাদ! তোমার কোন অংশে ব্যথা হলে তুমি ব্যথার জায়গায় তোমার হাত রেখে বলঃ

بِسْمِ اللَّهِ أَعُوذُ بِعِزَّةِ اللَّهِ وَقُدْرَتِهِ مِنْ شَرِّ مَا أَجِدُ

বিস্মিল্লাহি আউজু বি ইজ্জাতিল্লাহি ওয়া কুদরতিহি মিন সাররি মা আজিদু, “আল্লাহ তাআলার নামে, আমি আল্লাহ তাআলার অসীম সম্মান ও তাহাঁর বিরাট ক্ষমতার নিকট আমার এ ব্যথার অনুভূতি ও অনিষ্ট থেকে আশ্রয় প্রার্থণা করি”।

أَعُوذُ اللَّهِ بِسْمِ
আশ্রয় প্রার্থণা করিআল্লাহ তাআলারনামে
وَقُدْرَتِهِ اللَّهِ بِعِزَّةِ
ও তাহাঁর বিরাট ক্ষমতার নিকটআল্লাহ তাআলারঅসীম সম্মান
مَا أَجِدُشَرِّ مِنْ
ব্যথার অনুভূতিঅনিষ্টথেকে

তারপর তোমার হাত তুমি তুলে নাও, পরে পুণরায় ঐ নিয়মে বেজোড় সংখ্যায় উক্ত দুয়া পাঠ কর। কেননা আমাকে আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] বলেছেন যে, তাকে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] ঐ দুয়া বলে দিয়েছেন।

সহীহঃ সহীহাহ [১২৫৮] আবু ঈসা বলেন, উক্ত সনদসূত্রে এ হাদীসটি হাসান গারীব। এই মুহাম্মাদ ইবনি সালিম হলেন বাসরার শাইখ। এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

আবু দাঊদ – ৩৮৯১: উসমান ইবনু আবুল আস (রাদিআল্লাহু আঃ) হতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি শরীর ব্যথায় প্রায় মুমূর্ষু অবস্থায় রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ)-এর নিকট আসতাম। নবী (সাঃআঃ) বলেনঃ তুমি সাতবার তোমার ডান হাত ব্যথার স্থানে বুলাতে থাকো এবং বলো,

أَعُوذُ بِعِزَّةِ اللَّهِ وَقُدْرَتِهِ مِنْ شَرِّ مَا أَجِدُ

আউজু বি ইজ্জাতিল্লাহি ওয়া কুদরতিহি মিন সাররি মা আজিদু, (আমি যে ব্যথা অনুভব করছি তা হইতে মহাসম্মানিত আল্লাহ ও তাহাঁর ক্ষমতার নিকট আশ্রয় চাইছি)

তিনি বলেন, অতঃপর আমি তাই করলাম, আল্লাহ আমার ব্যথা দূর করে দিলেন। পরে সর্বদা আমি আমার পরিজন ও অন্যদের এরূপ করার আদেশ দেই।

ইমাম আবু দাউদ এই হাদিসটি সংকলন করছেন, ” অনুচ্ছেদ-১৯ – ঝাড়ফুঁক করার পদ্ধতি” । হাদিস এর মানঃ সহিহ হাদিস

হাদিসঃ সহিহ মুসলিম- ৫৬৩০। আবু তালহা ও হারমালাহ ইবনু ইয়াহইয়া — ইবনু ওহাব — ইওনুস — ইবনি সিহাব — নাফি ইবনি জুবাইর ইবনে মুতইম — উসমান ইবনি আবুল আস-সাকাফী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

উসমান ইবনি আবুল আস-সাকাফী [রাদি.] হইতে বর্ণনা করেন যে, তিনি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নিকট একটি ব্যথার অভিযোগ করিলেন, যা তিনি ইসলাম গ্রহণের পর থেকে তার দেহে অনুভব করছেন। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাকে বলিলেন, তোমার শরীরের যে অংশ ব্যথাযুক্ত হয়, তার উপরে তোমার হাত রেখে তিনবার বিসমিল্লা-হ বলবে এবং সাতবার বলবে-

أَعُوذُ بِاللَّهِ وَقُدْرَتِهِ مِنْ شَرِّ مَا أَجِدُ وَأُحَاذِرُ 

আউজু বিল্লাহি ওয়া কুদরতিহি মিন সাররি মা আজিদু ওয়া ইউহাজির, “আল্লাহ এবং তাহাঁর ক্ষমতার আশ্রয় প্রার্থনা করছি-যা আমি অনুভব করি এবং যা ধারণা করি তার অনিষ্ট হইতে।”

أُحَاذِرُ وَ 
যা ধারণা করিএবং

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৫১, ইসলামিক সেন্টার-৫৫৭৪]

ইবন মাজাহ – ৩৫২২: উসমান বিন আবুল আস আস-সাকাফী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট মারাত্মক ব্যথা নিয়ে উপস্থিত হলাম, যা আমাকে অকেজো প্রায় করেছিল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বলেনঃ তুমি তোমার বাম হাত ব্যথার স্থানে রেখে সাতবার বলোঃ

أَعُوذُ بِعِزَّةِ اللَّهِ وَقُدْرَتِهِ مِنْ شَرِّ مَا أَجِدُ وَأُحَاذِرُ

আউযু বি-ইজ্জাতিল্লাহি ওয়া কুদরাতিহী মিন শাররি মা আজিদু ওয়া উহাযিরু (আল্লাহর নামে আমি আল্লাহর অসীম সম্মান ও তাঁর বিশাল ক্ষমতার ওয়াসিলায় আমার অনুভূত এই ব্যথার ক্ষতি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করি)।

[৩৫২২] মুসলিম ২২০২, তিরমিযী ২০৮০, আবূ দাউদ ৩৮৯১, আহমাদ ১৫৮৩৪, ১৭৪৪৯, আহমাদ ১৭৫৪, আত তহাবিয়াহ ৭০, সহীহাহ ৩/৪০৪। উক্ত হাদীসের রাবী যুহায়র বিন মুহাম্মাদ সম্পর্কে আবূ হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদীস বর্ণনায় ভুল ও সিকাহ রাবীর বিপরীত হাদীস বর্ণনা করেন। আহমাদ বিন শুআয়ব আন নাসায়ী বলেন, তিনি দুর্বল। ইবনুল আবদুল বার্র আল-আন্দালাসী বলেন, তিনি সকলের নিকট দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২০১৭, ৯/৪১৪ নং পৃষ্ঠা) . ইবনে মাজাহ এই হাদিসটির অধ্যায়ের নাম করন করেছেন, ২৫/৩৬. অধ্যায়ঃ মহানবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে দুআ’ পড়ে ঝাড়ফুঁক করেছেন এবং তাঁকে যে দুআ’ পড়ে ঝাড়ফুঁক করা হয়েছে। হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

তিরমিযী ২০৮০

পরিচ্ছেদঃ ৩ আল্লাহর সৃষ্টির অনিষ্ট হতে আশ্রয় প্রার্থনা

আবূ সালিহ (রাদিআল্লাহু আঃ), হতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা আমি আস্লাম গোত্রের এক লোককে বলিতে শুনিয়াছি, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট বসা ছিলাম। তখন তাহাঁর এক সঙ্গী এসে বলিলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি রাতে দংশিত হওয়ার কারণে সারারাত ঘুমাতে পারিনি। তিনি বলিলেন, কিসে দংশন করেছে? আমি বললাম, বিচ্ছু। তিনি বললেনঃ রাতের বেলায় তুমি যদি একথা বলতেঃ

 أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ 

“আউজু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন শাররি মা খালাক” (আমি আল্লাহ পাকের কল্যাণকর বাক্যাবলীর ওয়াসীলায় তিনি যা সৃষ্টি করিয়াছেন তার অনিষ্ট থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি),

اللَّهِ بِكَلِمَاتِ أَعُوذُ
আল্লাহ পাকেরকল্যাণকর বাক্যাবলীর আশ্রয় প্রার্থনা করছি
شَرِّ مِنْ التَّامَّةِ
অনিষ্ট থেকে ওয়াসীলায়
خَلَقَ مَا
সৃষ্টি করিয়াছেন যা

তাহলে আল্লাহর ইচ্ছায় কোন কিছুই তোমার ক্ষতি করিতে পারতো না।

ইমাম আবু দাউদ, আবূ সালিহ (রাঃ) এর সুত্রে উপরোক্ত হাদীস বর্ণনা করেছেন [সুনান আবু দাউদ ৩৮৯৮, সহীহ]

ইমাম আবু দাউদ, আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) এর সুত্রে উপরোক্ত হাদীস বর্ণনা করেছেন [সুনান আবু দাউদ ৩৮৯৯, দুর্বল ]

ইবনে মাজাহ, আবূ হুরায়রাহ (রাদিআল্লাহু আঃ) এর সুত্রে উপরোক্ত হাদীস বর্ণনা করেছেন [ইবনে মাজাহ ৩৫১৮, সহীহ]

ইবনে মাজাহ, খাওলাহ বিনতু হাকিম (রাদিআল্লাহু আঃ) এর সুত্রে উপরোক্ত হাদীস বর্ণনা করেছেন [ইবনে মাজাহ ৩৫৪৭, সহীহ]

পরিচ্ছেদঃ ৪ উকুন কষ্ট দিলে মাথা মুড়িয়ে ফেলার বর্ণনা

হাদিসঃ সহিহুল বুখারি – ৫৬৬৫ (আধুনিক প্রঃ- ৫২৫৪, ইঃ ফাঃ- ৫১৫০) কা’ব ইবনু উজরাহ (রাদিআল্লাহু আঃ) হতে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পথ অতিক্রম করছিলেন, এ সময় আমি হাঁড়ির নীচে লাকড়ি জ্বালাচ্ছিলাম। তিনি বললেনঃ তোমার মাথার উকুন কি তোমাকে খুব কষ্ট দিচ্ছে। আমি বললামঃ জ্বি, হ্যাঁ। তখন তিনি নাপিত ডাকলেন। সে মাথা মুড়িয়ে দিল। তারপর নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে ফিদ্‌ইয়া’ আদায় করার নির্দেশ দিলেন।

হাদিসঃ সহিহুল বুখারি – ৫৭০৩ঃ কা’ব ইবনু উজরা (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ হুদাইবিয়ার সফরকালে নবী (সাঃআঃ) আমার কাছে আসলেন। আমি তখন পাতিলের নীচে আগুন দিচ্ছিলাম, আর আমার মাথা থেকে তখন উকুন ঝরছিল। তিনি বললেনঃ তোমার উকুনগুলো তোমাকে কি খুব কষ্ট দিচ্ছে? আমি বললামঃ হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ তাহলে তুমি মাথা মুড়িয়ে নাও এবং তিন দিন সাওম পালন কর অথবা ছয়জন (মিসকীন) কে খাদ্য দাও কিংবা একটি কুরবাণীর পশু যবেহ্‌ করে নাও।

আইউব (রহঃ) বলেনঃ আমি বলিতে পারি না, এগুলোর কোনটি তিনি প্রথমে বলেছেন।

(আধুনিক প্রঃ- ৫২৮৯, ইঃ ফাঃ- ৫১৮৫)

পরিচ্ছেদঃ ৫ যে সব বিষয়ে ঝাড়ফুঁক করিতে নিষেধ করিয়াছেন

হাদিসঃ ইবনে মাজাহ -৩৫১২ঃ আয়িশাহ (রাদিআল্লাহু আঃ), হতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ বদনজর ও বিষাক্ত প্রাণীর দংশন ছাড়া অন্য কিছুতে ঝাড়ফুঁক বৈধ নয়।

তাহকীক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। হাদিস এর মানঃ সহিহ হাদিস

হাদিসঃ সুনান ইবনে মাজাহ – ৩৫১৩ঃ বুরায়দাহ (রাদিআল্লাহু আঃ) হতে বর্ণিতঃ

তাহকীক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। প্রাণীর দংশনে ঝাড়ফুঁক হাদিস এর মানঃ সহিহ হাদিস

হাদিসঃ সুনান ইবনে মাজাহ – ৩৫১৫ ঃ জাবির (রাদিআল্লাহু আঃ), হতে বর্ণিতঃ

আনসার সম্প্রদায়ভুক্ত আমর বিন হাযম নামক পরিবার বিষাক্ত প্রাণীর দংশনে ঝাড়ফুঁক করতো। অথচ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঝাড়ফুঁক করিতে নিষেধ করিয়াছেন। তারা তাহাঁর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি তো ঝাড়ফুঁক করিতে নিষেধ করিয়াছেন, অথচ আমরা বিষাক্ত প্রাণীর দংশনে ঝাড়ফুঁক করি। তিনি তাহাদের বলেনঃ সেগুলো আমার সামনে পেশ করো। তারা তা তাহাঁর নিকট পেশ করেন। তিনি বলেনঃ এগুলো দোষের কিছু নেই। এগুলো নির্ভরযোগ্য।

তাহকীক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। প্রাণীর দংশনে ঝাড়ফুঁক হাদিস এর মানঃ সহিহ হাদিস


Posted

in

by