রসূলুল্লাহ [সাঃ] এর বাচনভঙ্গি বিষয়ক হাদীস

রসূলুল্লাহ [সাঃ] এর বাচনভঙ্গি

রসূলুল্লাহ [সাঃ] এর বাচনভঙ্গি , এই অধ্যায়ে হাদীস ৩ টি ( ১৬৫-১৬৭ পর্যন্ত )<< শামায়েলে তিরমিযী হাদীসের মুল সুচিপত্র দেখুন 

অধ্যায়-৩৪ঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) এর বাচনভঙ্গি

১।পরিচ্ছদঃ রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) এর কথা ছিল সুস্পষ্ট
২।পরিচ্ছদঃ রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) কোন কোন কথা তিনবার বলিতেন
৩।পরিচ্ছদঃ রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) এর বাচনভঙ্গি সম্পর্কে হিন্দ ইবনি আবু হালা [রাদি.] এর বর্ণনা

১।পরিচ্ছদঃ রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) এর কথা ছিল সুস্পষ্ট

১৬৫. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) কোন কথা তিনবার বলিতেন, যাতে [শ্রোতারা] ভালোভাবে হৃদয়ঙ্গম করিতে পারে।{১}

{১} মুজামুল ইসমাঈলী, হাদিস নং/১০৫; মুজামুস সগীর, হাদিস নং/৯১২১৷ রসূলুল্লাহ [সাঃ] এর বাচনভঙ্গি হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

২।পরিচ্ছদঃ রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) কোন কোন কথা তিনবার বলিতেন

১৬৬. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) কোন কথা তিনবার বলিতেন, যাতে [শ্রোতারা] ভালোভাবে হৃদয়ঙ্গম করিতে পারে।{১}

{১} মুজামুল ইসমাঈলী, হাদিস নং/১০৫; মুজামুস সগীর, হাদিস নং/৯১২১৷ রসূলুল্লাহ [সাঃ] এর বাচনভঙ্গি হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৩।পরিচ্ছদঃ রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) এর বাচনভঙ্গি সম্পর্কে হিন্দ ইবনি আবু হালা [রাদি.] এর বর্ণনা

১৬৭. হাসান ইবনি আলী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি [আমার] মামা হিন্দ ইবনি আবু হালা [রাদি.]-কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) এর অবয়ব ও আখলাক সম্পর্কে সুন্দররুপে বর্ণনা করিতেন। আমি বললাম, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) এর বাচনভঙ্গি সম্পর্কে আমাকে অবহিত করুন। তিনি বলিলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) সর্বদা আখিরাতে উম্মতের মুক্তির চিন্তায় বিভোর থাকতেন। এ কারণে তাহাঁর কোন স্বস্তি ছিল না। তিনি অধিকাংশ সময় নীরব থাকতেন। বিনা প্রয়োজনে কথা বলিতেন না। তিনি স্পষ্টভাবে কথা বলিতেন। তিনি ব্যাপক অর্থবোধক বাক্যালাপ করিতেন। তাহাঁর কথা ছিল একটি থেকে অপরটি পৃথক। তাহাঁর কথাবার্তা অধিক বিস্তারিত ছিল না কিংবা অতি সংক্ষিপ্তও ছিল না। অর্থাৎ তাহাঁর কথার মর্মার্থ অনুধাবনে কোন প্রকার অসুবিধা হতো না। তাহাঁর কথায় কঠোরতার ছাপ ছিল না, থাকত না তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যের ভাব।

আল্লাহর নিয়ামত যত সামান্যই হতো তাকে তিনি অনেক বড় মনে করিতেন। এতে তিনি কোন দোষত্রুটি খুঁজতেন না। তিনি অপরিহার্য খাদ্য সামগ্রীর ত্রুটি খতিয়ে দেখিতেন না এবং উচ্ছসিত প্রশংসাও করিতেন না। পার্থিব কোন বিষয় বা কাজের উপর ক্রোধ প্রকাশ করিতেন না এবং তাহাঁর জন্য আক্ষেপও করিতেন না। অবশ্য যখন কেউ দীনি কোন বিষয়ে সীমালঙ্ঘন করত তখন তাহাঁর রাগের সীমা থাকত না। এমনকি তখন কেউ তাঁকে বশে রাখতে পারত না। তিনি তাহাঁর ব্যক্তিগত কারণে ক্রোধাম্বিত হতেন না এবং এজন্য কারো সাহায্য গ্রহণ করিতেন না। কোন বিষয়ের প্রতি ইশারা করলে সম্পূর্ণ হাত দ্বারা ইশারা করিতেন। তিনি কোন বিস্ময় প্রকাশ করলে হাত উল্টাতেন। যখন কথাবার্তা বলিতেন তখন ডান হাতের তালুতে বাম হাতের আঙ্গুলের আভ্যন্তরীণ ভাগ দ্বারা আঘাত করিতেন। কারো প্রতি অসন্তুষ্ট হলে তাহাঁর দিক হতে মুখ ফিরিয়ে নিতেন এবং অমনোযোগী হতেন। যখন তিনি আনন্দ-উৎফুল্ল হতেন তখন তাহাঁর চোখের কিনারা নিম্নমুখী করিতেন। অধিকাংশ সময় তিনি মুচকি হাসতেন। তখন তাহাঁর দাঁতগুলো বরফের ন্যায় উজ্জ্বল সাদারূপে শোভা পেত।{১}

{১} শুআবুল ঈমান, হাদিস নং/১৩৬২। রসূলুল্লাহ [সাঃ] এর বাচনভঙ্গি হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

Comments

One response to “রসূলুল্লাহ [সাঃ] এর বাচনভঙ্গি বিষয়ক হাদীস”

Leave a Reply