রসূলুল্লাহ [সাঃ] এর বালিশে হেলান দেয়ার বিবরণ
রসূলুল্লাহ [সাঃ] এর বালিশে হেলান দেয়ার বিবরণ , এই অধ্যায়ে হাদীস ৪ টি ( ৯৮-১০১ পর্যন্ত ) << শামায়েলে তিরমিযী হাদীসের মুল সুচিপত্র দেখুন
অধ্যায়-২২ঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর বালিশে হেলান দেয়ার বিবরণ
১।পরিচ্ছদঃ রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বাম কাঁধে বালিশের উপর হেলান দিতেন
২।পরিচ্ছদঃ হাদিস বর্ণনার সময়ও বালিশে হেলান দিতেন
৩।পরিচ্ছদঃ তিনি কখনো ঠেস দেয়া অবস্থায় খেতেন না
১।পরিচ্ছদঃ রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বাম কাঁধে বালিশের উপর হেলান দিতেন
৯৮. জাবির ইবনি সামুরা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে বাম কাধে [হেলান দেয়া অবস্থায়] দেখেছি। {৯৯}
{৯৯} আবু দাউদ, হাদিস নং/৪১৪৫; মুসনাদে আহম্মদ, হাদিস নং/২১০১৩; সহিহ ইবনি হিব্বান, হাদিস নং/৫৮৯; মুসনাদে বাযযার, হাদিস নং/৪২৭২; শারহুস সুন্নাহ, হাদিস নং/৩১২৬; মিশকাত, হাদিস নং/৪৭১২। হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
২।পরিচ্ছদঃ হাদিস বর্ণনার সময়ও বালিশে হেলান দিতেন
৯৯. আবু বাকরা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, আমি কি তোমাদেরকে কবীরা গুনাহ সম্পর্কে বলব না? সাহাবায়ে কেরাম বলিলেন, হ্যাঁ- হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বলিলেন, আল্লাহর সাথে শরীক স্থাপন করা ও পিতামাতার অবাধ্য হওয়া। বর্ণনাকারী বলেন, হাদিস বর্ণনার সময় তিনি বালিশে হেলান দেয়া অবস্থায় ছিলেন। এরপর তিনি সোজা হয়ে বসলেন এবং বলিলেন, আর মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান করা অথবা মিথ্যা বলা [-ও কবীরা গুনাহ]। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এ কথা বারবার বলিতে থাকেন। এমনকি আমরা মনে মনে বলিতে লাগলাম যে, আহ! যদি তিনি চুপ করিতেন। {১০০}
ব্যাখ্যা ঃ আলোচ্য হাদীসে সবচেয়ে বড় কবীরা গুনাহ তিনটির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এর তালিকা এ তিনটির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; বরং বিভিন্ন হাদীসে আরো কতিপয় কাজকে কবীরা গুনাহ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন- খাবারে শরীক হওয়ার ভয়ে বা ভরণ পোষণের ভয়ে নিজ সন্তানকে হত্যা করা, প্রতিবেশীর স্ত্রীর সাথে যিনা করা প্রভৃতি। কবীরা গুনাহের সংজ্ঞা ঃগুনাহ দুপ্রকার। ১. কবীরা, ২. সগীরা। শরীয়তে যে পাপ কাজের জন্য কোন শাস্তির বিধান রহিয়াছে, তা করা কবীরা বা বড় গুনাহ। কেউ কেউ বলেন, কুরআন হাদীসে যে গুনাহ সম্পর্কে কঠোর ধমকি দেয়া হয়েছে যদিও শাস্তির কথা বলা হয়নি, সেটি কবীরা।{১০০} সহিহ বোখারী, হাদিস নং/২৬৫৪; সহিহ মুসলিম, হাদিস নং/২৬৯; মুসনাদে আহম্মদ, হাদিস নং/২০৪১০; আদাবুল মুফরাদ, হাদিস নং/১৫; সহিহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হাদিস নং/২২৯৯। হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৩।পরিচ্ছদঃ তিনি কখনো ঠেস দেয়া অবস্থায় খেতেন না
১০০. আবু জুহায়ফা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, আমি হেলান দিয়ে আহার করি না। {১০১}
ব্যাখ্যা ঃ আমি হেলান দিয়ে আহার করি না এ উক্তিটি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এ জন্য বলেছেন, মানুষ যেন তার অনুসরণ করে। {১০১}মুসনাদুল বাযযার, হাদিস নং/৪২১৪; সুনানুল কুবরা লিন নাসাঈ, হাদিস নং/৬৭০৯; সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হাদিস নং/১৩৭০৬; মুজামুল কাবীর, হাদিস নং/১৭৮০২; ইবনি হিব্বান, হাদিস নং/৫২৪০ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১০১. জাবির ইবনি সামুরা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি নাবী [সাঃআঃ]জ-কে বালিশের উপর হেলান দেয়া অবস্থায় দেখেছি. {১০২}
ব্যাখ্যাঃ – এ হাদিস থেকে বুঝা যায়, আহার ছাড়া অন্য সময় রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] হেলান দিয়ে বসতেন। {১০২}আবু দাউদ, হাদিস নং/৪১৪৫; মুসনাদে আহম্মদ, হাদিস নং/২১০১৩; শারহুস সুন্নাহ, হাদিস নং/৩১২৬; সহিহ ইবনি হিব্বান, হাদিস নং/৫৮৯। হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
Leave a Reply