মসজিদের ফজিলত ও দোয়া । কাবা হারাম আকসা নববী ও কুবা

মসজিদের ফজিলত

মসজিদের ফজিলত ও দোয়া । কাবা হারাম আকসা নববী ও কুবা >> সুনানে নাসাই শরিফের মুল সুচিপত্র দেখুন

পর্বঃ ১, মসজিদ, হাদীস (৬৮৮ – ৭৪১)

১.পরিচ্ছেদঃ মসজিদ নির্মাণের ফযীলত
২.পরিচ্ছেদঃ মসজিদের ব্যাপারে গর্ব করা
৩.পরিচ্ছেদঃ প্রথম মসজিদের আলোচনা
৪.পরিচ্ছেদঃ মসজিদে হারামে নামাজের ফযীলত
৫.পরিচ্ছেদঃ কাবায় নামাজ আদায় করা
৬.পরিচ্ছেদঃ মসজিদুল আকসার অভ্যন্তরে নামাজ আদায় করার ফযীলত
৭.পরিচ্ছেদঃ মসজিদে নববী ও এর অভ্যন্তরে নামাজ আদায় করার ফযীলত
৮.পরিচ্ছেদঃ তাকওয়ার উপর স্থাপিত মসজিদ সম্পর্কে আলোচনা
৯.পরিচ্ছেদঃ মসজিদে কুবা ও তাতে নামাজ আদায় করার ফযীলত
১০.পরিচ্ছেদঃ যে মসজিদের জন্য সওয়ারী প্রস্তুত করা যায়
১১.পরিচ্ছেদঃ গির্জাকে মসজিদ বানানো
১২.পরিচ্ছেদঃ কবরের স্থান সমান করে মসজিদ বানানো
১৩.পরিচ্ছেদঃ কবরকে মসজিদরূপে ব্যবহার করার নিষেধাজ্ঞা
১৪.পরিচ্ছেদঃ মসজিদে আগমনের ফযীলত
১৫.পরিচ্ছেদঃ মহিলাদের মসজিদে আসতে বারণ করার নিষেধাজ্ঞা
১৬.পরিচ্ছেদঃ মসজিদে যেতে যাকে নিষেধ করা হইবে
১৭.পরিচ্ছেদঃ মসজিদ থেকে যাকে বের করে দেয়া হইবে
১৮.পরিচ্ছেদঃ মসজিদে পর্দা লটকানো
১৯.পরিচ্ছেদঃ মসজিদে শিশুদের নিয়ে প্রবেশ করা
২০.পরিচ্ছেদঃ কয়েদীকে মসজিদের খুঁটির সাথে বাঁধা
২১.পরিচ্ছেদঃ মসজিদে উট প্রবেশ করানো
২২.পরিচ্ছেদঃ মসজিদে ক্রয়-বিক্রয় ও জুমুআর নামাজের পূর্বে বৃত্তাকারে বসার নিষেধাজ্ঞা
২৩.পরিচ্ছেদঃ মসজিদে কবিতা পাঠের নিষেধাজ্ঞা
২৪.পরিচ্ছেদঃ মসজিদে উত্তম কবিতা পাঠের অনুমতি
২৫.পরিচ্ছেদঃ মসজিদে হারানো বস্তুর ঘোষণা দেওয়ার নিষেধাজ্ঞা
২৬.পরিচ্ছেদঃ মসজিদে হাতিয়ার বের করা
২৭..পরিচ্ছেদঃ মসজিদে তাশবীক করা
২৮.পরিচ্ছেদঃ মসজিদে শয়ন করা
২৯.পরিচ্ছেদঃ মসজিদে নিদ্রা যাওয়া
৩০.পরিচ্ছেদঃ মসজিদে থুথু ফেলা
৩১.পরিচ্ছেদঃ মসজিদের কিবলার দিকে কফ ফেলার নিষেধাজ্ঞা
৩২.পরিচ্ছেদঃ নামাজে সামনে অথবা ডানদিকে থুথু ফেলার ব্যাপারে নাবী [সাঃআঃ] কর্তৃক নিষেধাজ্ঞা
৩৩.পরিচ্ছেদঃ মুসল্লীর জন্য পেছনে অথবা বামদিকে থুথু ফেলার অনুমতি
৩৪.পরিচ্ছেদঃ কোন পায়ে থুথু মলে বিনাশ করিবে
৩৫.পরিচ্ছেদঃ মসজিদকে সুগন্ধিময় করা
৩৬.পরিচ্ছেদঃ মসজিদে প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় যা বলিতে হয়
৩৭.পরিচ্ছেদঃ বসার পূর্বে নামাজের নির্দেশ
৩৮.পরিচ্ছেদঃ নামাজ ব্যতীত মসজিদে বসা ও বের হওয়ার অনুমতি
৩৯.পরিচ্ছেদঃ মসজিদের নিকট দিয়ে গমনকারীর নামাজ
৪০.পরিচ্ছেদঃ নামাজের অপেক্ষায় মসজিদে বসার ব্যাপারে উৎসাহ প্রদান
৪১.পরিচ্ছেদঃ উটের বসার স্থানে নামাজ আদায়ে নাবী [সাঃআঃ] কর্তৃক নিষেধাজ্ঞা
৪২.পরিচ্ছেদঃ এ ব্যাপারে অনুমতি
৪৩.পরিচ্ছেদঃ মাদুরের ওপর নামাজ
৪৪.পরিচ্ছেদঃ শুধু সিজদা করা যায় এমন ক্ষুদ্র চাটাইয়ের ওপর নামাজ
৪৫.পরিচ্ছেদঃ মিম্বরের উপর নামাজ আদায় করা
৪৬.পরিচ্ছেদঃ গাধার ওপর নামাজ

১.পরিচ্ছেদঃ মসজিদ নির্মাণের ফযীলত

৬৮৮. আমর ইবনি আনবাসা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন ঃযে ব্যক্তি একটি মসজিদ নির্মাণ করিবে, যাতে আল্লাহকে স্মরণ করা হইবে, আল্লাহ তাআলা জান্নাতে তার জন্য একখানা ঘর নির্মাণ করবেন।

মসজিদের ফজিলত হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২.পরিচ্ছেদঃ মসজিদের ব্যাপারে গর্ব করা

৬৮৯. আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন ঃমসজিদের ব্যাপারে লোকের পরস্পরে গর্ব করা কিয়ামতের আলামতের অন্তর্ভুক্ত।

মসজিদের ফজিলত হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩.পরিচ্ছেদঃ প্রথম মসজিদের আলোচনা

৬৯০. ইবরাহীম [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন ঃআমি রাস্তায় বসে আমার পিতার নিকট কুরআন পাঠ করতাম, যখন আমি সিজদার আয়াত পাঠ করলাম তিনি সিজদা করিলেন, তখন আমি বললাম আব্বা ! আপনি রাস্তায় সিজদা করছেন ! তিনি বলিলেন, আমি আবু যর [রাঃআঃ]-কে বলিতে শুনিয়াছি যে, আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, কোন মসজিদটি প্রথম নির্মিত হয় ? তিনি বলেছিলেন, মসজিদুল হারাম। আমি বললাম, তারপর কোনটি ? তিনি বলিলেন, মসজিদুল আকসা। আমি বললাম, এতদুভয়ের মধ্যে ব্যবধান কত ? তিনি বলিলেন, চল্লিশ বছর। আর যমীন তোমার জন্য মসজিদ [সিজদার স্থান]। অতএব যেখানেই নামাজের সময় হইবে, নামাজ আদায় করিবে।

মসজিদের ফজিলত হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৪.পরিচ্ছেদঃ মসজিদে হারামে নামাজের ফযীলত

৬৯১. ইবরাহীম ইবনি আবদুল্লাহ ইবনি মাবাদ [রহঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ]-এর সহধর্মিণী মায়মূনা [রাঃআঃ] বলেছেন ঃযে ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর মসজিদে নামাজ আদায় করিবে, আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনিয়াছি যে, তাতে এক ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা মসজিদে হারাম ব্যতীত অন্যান্য মসজিদে এক হাজার নামাজ আদায় করার চেয়েও উত্তম।

মসজিদের ফজিলত হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৫.পরিচ্ছেদঃ কাবায় নামাজ আদায় করা

৬৯২. আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেছেন ঃরাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] উসামা ইবনি যায়দ [রাঃআঃ], বিলাল [রাঃআঃ] এবং উসমান ইবনি তালহা [রাঃআঃ] কাবায় প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দিলেন। তারপর যখন রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তা খুললেন, তখন প্রথম আমিই প্রবেশ করলাম। বিলাল [রাঃআঃ]-এর সাথে সাক্ষাত হলে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কি তার ভেতরে নামাজ আদায় করিয়াছেন ? তিনি বলিলেন ঃহ্যাঁ। তিনি ইয়ামানী দুই স্তম্ভের মধ্যস্থলে নামাজ আদায় করিয়াছেন।

মসজিদের ফজিলত হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৬.পরিচ্ছেদঃ মসজিদুল আকসার অভ্যন্তরে নামাজ আদায় করার ফযীলত

৬৯৩. আবদুল্লাহ ইবনি আমর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

সুলায়মান ইবনি দাউদ [আঃ] যখন বায়তুল মুকাদ্দাস নির্মাণ করিলেন, তখন তিনি আল্লাহ তাআলার কাছে তিনটি বস্তু চাইলেন ঃতিনি আল্লাহ তাআলার নিকট প্রার্থনা করিলেন এমন ফয়সালা যা তাহাঁর ফয়সালার মত হয়। তা তাঁকে প্রদান করা হল। আর তিনি আল্লাহ তাআলার নিকট চাইলেন এমন রাজ্য, যার অধিকারী তারপর আর কেউ হইবে না। তাও তাঁকে দেয়া হল। আর যখন তিনি মসজিদ নির্মাণের কাজ সমাপ্ত করিলেন তখন তিনি আল্লাহ তাআলার নিকট প্রার্থনা করিলেন, যে ব্যক্তি তাতে নামাজের জন্য আগমন করিবে, তাকে যেন পাপ থেকে ঐদিনের মত মুক্ত করে দেন যেদিন সে তার মাতৃগর্ভ থেকে ভূমিষ্ঠ হয়েছিল।

মসজিদের ফজিলত হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৭.পরিচ্ছেদঃ মসজিদে নববী ও এর অভ্যন্তরে নামাজ আদায় করার ফযীলত

৬৯৪. জুহানীদের মুক্তিপ্রাপ্ত গোলাম আবু আবদুল্লাহ আগার [রহঃ] হইতে বর্ণীত

যাঁরা আবু হুরায়ারা [রাঃআঃ]-এর সঙ্গী ছিলেন, তাঁরা আবু হুরায়ারা [রাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছেন ঃমসজিদে নববীর এক নামাজ মসজিদে হারাম ব্যতীত অন্যান্য মসজিদের এক হাজার নামাজ থেকে উত্তম। কেননা রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সর্বশেষ নাবী, আর তাহাঁর মসজিদ সর্বশেষ মসজিদ। আবু সালামা এবং আবু আবদুল্লাহ বলেন ঃআমাদের সন্দেহ ছিল না যে, আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর হাদিস থেকে এটা বর্ণনা করিতেন। কাজেই আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] এই হাদিস রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] থেকে বর্ণনা করিয়াছেন কিনা সে ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা থেকে আমরা বিরত রইলাম। যখন আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] ইন্তিকাল করিলেন, আমরা তা আলোচনা করলাম এবং এ ব্যাপারে আবু হুরাইরা [রাঃআঃ]-এর কাছে জিজ্ঞাসা না করার জন্য একে অপরকে তিরস্কার করিতে লাগলাম। তিনি তা রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] থেকে যদি শুনেই থাকতেন তবে তাহাঁর থেকে বর্ণনা করিলেন না কেন ? আমরা এই অবস্থায় ছিলাম এমন সময় আবদুল্লাহ ইবনি ইবরাহীম ইবনি কারিয আমাদের নিকট এসে বসলেন। তখন আমরা এই হাদিসের ব্যাপারে আলোচনা করলাম এবং আমরা যে আবু হুরাইরা [রাঃআঃ]-এর হাদিসের বর্ণনায় তাঁকে জিজ্ঞাসা করিতে অবহেলা করেছি, তাও বললাম। আবদুল্লাহ ইবনি ইবরাহীম বলিলেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমি আবু হুরাইরা [রাঃআঃ]-কে বলিতে শুনিয়াছি, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন ঃআমি সর্বশেষ নাবী আর এ মসজিদ সর্বশেষ মসজিদ। {১}

{১} সর্বশেষ মসজিদ এ কথার তাৎপর্য এই যে, মসজিদে নববী [সাঃআঃ] দুনিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ তিন মসজিদের সর্বশেষ কিংবা এটি নাবীগনের মসজিদসমূহের মধ্যে সর্বশেষ মসজিদ। –অনুবাদক।মসজিদের ফজিলত হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৬৯৫. আবদুল্লাহ ইবন্‌ যায়দ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন ঃরসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন ঃআমার ঘর এবং আমার মিম্বরের মধ্যস্থিত স্থান বেহেশতের বাগানসমূহের একটি বাগান।

মসজিদের ফজিলত হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৬৯৬. উম্মে সালামা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ] বলেছেন ঃআমার এই মিম্বরের খুঁটিসমূহ জান্নাতের উপরেই স্থাপিত।

মসজিদের ফজিলত হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৮.পরিচ্ছেদঃ তাকওয়ার উপর স্থাপিত মসজিদ সম্পর্কে আলোচনা

৬৯৭. আবু সাঈদ খুদরী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন ঃ[একদা] দুই ব্যক্তি প্রথম তাকয়ার উপর স্থাপিত মসজিদ সম্বন্ধে বিতর্ক করছিল। এক ব্যক্তি বলিল, তা হল মসজিদে কুবা, অন্যজন বলিল, তা রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর মসজিদ। তখন রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন ঃতা হল আমার এই মসজিদ।

মসজিদের ফজিলত হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৯.পরিচ্ছেদঃ মসজিদে কুবা ও তাতে নামাজ আদায় করার ফযীলত

৬৯৮. ইবনি উমর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন ঃরাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কুবাতে গমন করিতেন সওয়ার হয়ে এবং পদব্রজে।

মসজিদের ফজিলত হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৬৯৯. সাহল ইবনি হুনায়ফ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন ঃরাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন ঃযে ব্যক্তি বের হয়ে এই মসজিদে কুবায় আগমন করিবে এবং তাতে নামাজ আদায় করিবে, এটা তার জন্য এক উমরার সমতুল্য হইবে।

মসজিদের ফজিলত হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১০.পরিচ্ছেদঃ যে মসজিদের জন্য সওয়ারী প্রস্তুত করা যায়

৭০০. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন ঃতিন মসজিদ ব্যতীত অন্য কোন মসজিদের দিকে ভ্রমণ করা যাবে না। মসজিদে হারাম, আমার এই মসজিদ এবং মসজিদে আকসা।

মসজিদের ফজিলত হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১১.পরিচ্ছেদঃ গির্জাকে মসজিদ বানানো

৭০১. তালাক্‌ ইবনি আলী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন ঃআমরা প্রতিনিধি হিসাবে নাবী [সাঃআঃ]-এর নিকট আগমনের উদ্দেশ্যে বের হলাম। পরে তাহাঁর নিকট বায়আত গ্রহন করলাম এবং তাহাঁর সাথে নামাজ আদায় করলাম। তারপর আমরা তাঁকে অবহিত করলাম যে, দেশে আমাদের একটা গির্জা রয়েছে। আমরা তাঁকে উযূর উদ্ধৃত্ত পানি দিতে অনুরোধ জানালাম। তিনি কিছু পানি আনিয়ে উযূ এবং কুল্লি করিলেন, তারপর একটি পাত্রে তা ঢেলে দিলেন। আর আমাদের তা নিতে নির্দেশ দিলেন এবং বলিলেন, তোমরা যাও। যখন তোমরা তোমাদের দেশে পৌছাবে, তখন তোমাদের ঐ গির্জাটি ভেঙ্গে ফেলবে আর সেখানে এ পানি ঢেলে দেবে। তারপর সেটাকে মসজিদ বানাবে। আমরা বললাম, আমাদের দেশ অনেক দূরে, গরমও অত্যধিক, পানি শুকিয়ে যাবে। তিনি বলিলেন, এর সাথে আরও পানি মিশ্রিত করে নেবে। তাতে ঐ পানির সুঘ্রাণ আরও বাড়বে। আমরা সেখানে থেকে বের হয়ে আমাদের দেশে পৌছালাম এবং আমাদের গির্জটি ভেঙ্গে ফেললাম। তারপর তার স্থানে পানি ঢেলে দিলাম আর ওটাকে মসজিদরূপে ব্যবহার করলাম। আমরা তাতে আযান দিলাম। রাবী বলেন ঃপাদ্রী ছিল তার সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি। সে আযান ধ্বনি শুনে বলিল, এ তো সত্যের প্রতি আহবান। তারপর সে ঢালু স্থানের দিকে চলে গেল। তাকে আমরা আর দেখিনি।

মসজিদের ফজিলত হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১২.পরিচ্ছেদঃ কবরের স্থান সমান করে মসজিদ বানানো

৭০২. আনাস ইবনি মালিক [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন ঃরাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যখন মদীনায় আগমন করিলেন তখন তিনি মদীনার এক প্রান্তে বনূ আমর ইবনি আওফ নামক এক গোত্রে অবতরণ করিলেন। তিনি সেখানে চৌদ্দ দিন অবস্থান করেন। তারপর তিনি বনূ নাজ্জারের নেতৃস্থানীয় লোকদের কাছে লোক পাঠালেন। তারা তাহাদের তলোয়ার লটকিয়ে আগমন করিলেন, আমি যেন এখনও দেখছি যে, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর সওয়ারীর উপর আর আবু বকর [রাঃআঃ] তাহাঁর পেছনে উপবিষ্ট। আর বনূ নাজ্জারের নেতৃস্থানীয় লোকেরা তাহাঁর চতুস্পার্শ্বে চলতে চলতে তিনি আবু আইয়্যূব [রাঃআঃ]-এর ঘরের সামনে অবতরন করিলেন। তিনি নামাজের সময় যেখানেই থাকতেন, সেখানেই নামাজ আদায় করিতেন। তিনি বকরীর পালের স্থানেও নামাজ আদায় করিতেন। তারপর তাঁকে মসজিদ তৈরি করার আদেশ দেয়া হলে তিনি নাজ্জার গোত্রের নেতৃস্থানীয় লোকদের কাছে লোক পাঠালেন। তারা আগমন করলে তিনি বলিলেন, হে বনূ নাজ্জারের লোক সকল ! তোমরা তোমাদের এ স্থানটি আমার নিকট বিক্রয় কর। তারা বলিল, আল্লাহর শপথ ! আমরা এর মূল্য গ্রহণ করব না। এর মূল্য আমরা আল্লাহ তাআলার নিকট চাইব। আনাস [রাঃআঃ] বলেন ঃসেখানে মুশরিকদের কবর, ভগ্ন গৃহ এবং খেজুর গাছ ছিল। রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আদেশ করলে ঐ সকল কবর সমতল করে দেয়া হল আর খেজুর গাছ কেটে ফেলা হল এবং বিধ্বস্ত ঘরগুলো ভেঙ্গে সমান করে দেয়া হলো। সাহাবীগণ কিবলার দিকে সারিবদ্ধ করে খেজুর গাছ রাখলেন এবং পাথর দ্বারা তার গোড়া ভরাট করিলেন। তারপর শিলাখন্ডগুলো সরাচ্ছিলেন আর ছড়া গাচ্ছিলেন। রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাঁদের সঙ্গে ছিলেন, তাঁরা বলছিলেন :

اللَّهُمَّ لَا خَيْرَ إِلَّا خَيْرُ الْآخِرَهْ، فانْصُرِ الْأَنْصَارَ وَالْمُهَاجِرَهْ

“হে আল্লাহ্‌ ! আখিরাতের মঙ্গলই প্রকৃত মঙ্গল, আপনি আনসার ও মুহাজিরদেরকে সাহায্য করুন।”

মসজিদের ফজিলত হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৩.পরিচ্ছেদঃ কবরকে মসজিদরূপে ব্যবহার করার নিষেধাজ্ঞা

৭০৩. আয়িশাহ [রাঃআঃ] ও ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তাঁরা বলেন ঃযখন রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর ওফাতের সময় নিকটবর্তী হয়ছিল, তখন তিনি তাহাঁর চেহারার উপর চাদর ফেলেছিলেন আর যখন শ্বাসরুদ্ধ হয়ে আসছিল, তখন তিনি তাহাঁর চেহারা হইতে তা সরিয়ে ফেলেছিলেন, আর ঐ অবস্থায় তিনি বলছিলেন, ইয়াহূদী এবং খ্রিস্টানদের ওপর আল্লাহর লানত, তারা তাহাদের নাবীগনের কবরসমূহকে মসজিদে পরিণত করেছে।

মসজিদের ফজিলত হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৭০৪. আয়িশাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

উম্মে হাবীবা এবং উম্মে সালামা [রাঃআঃ] একটি গির্জার উল্লেখ করেছিলেন, যা তারা হাবশায় দেখেছেন, যাতে অনেক ছবি ছিল। তখন রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন ঃতাহাদের মধ্যে যখন কোন নেককার লোক মৃত্যুবরণ করত, তখন তারা তার কবরের উপর মসজিদ নির্মাণ করত এবং ঐ সকল লোকের ছবি তৈরি করে রাখত। কিয়ামতে তারা আল্লাহর নিকট নিকৃষ্টতম সৃষ্টি বলে পরিগণিত হইবে।

মসজিদের ফজিলত হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৪.পরিচ্ছেদঃ মসজিদে আগমনের ফযীলত

৭০৫. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ] থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন ঃযখন কোন ব্যক্তি তার ঘর থেকে মসজিদের দিকে বের হয়, তখন তার এক পদক্ষেপে একটি নেকী লেখা হয় আর এক পদক্ষেপে একটি গুনাহ মুছে যায়।

মসজিদের ফজিলত হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৫.পরিচ্ছেদঃ মহিলাদের মসজিদে আসতে বারণ করার নিষেধাজ্ঞা

৭০৬. সালিম [রহঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন ঃরাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন ঃতোমাদের কারও স্ত্রী যদি মসজিদে যাওয়ার অনুমতি চায়, তবে সে যেন তাকে নিষেধ না করে।

মসজিদের ফজিলত হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৬.পরিচ্ছেদঃ মসজিদে যেতে যাকে নিষেধ করা হইবে

৭০৭. জাবির [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন ঃরাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন ঃযে ব্যক্তি এ গাছ থেকে খায়, প্রথম দিন তিনি বলেছেন, রসুন; তারপর তিনি বলেছেন, রসুন, পিঁয়াজ এবং কুররাছ {১}। সে যেন আমাদের মসজিদের নিকটে না আসে। কেননা ফেরেশতাগণ কষ্টানুভব করেন যদ্বারা মানুষ কষ্ট অনুভব করে থাকে। {২}

{১} স্বাদে ও গন্ধে পিয়াজেঁর মত এক প্রকার সবজি, কিন্তু পিঁয়াজ গোলাকৃতি আর কুররাছ লম্বা।{২} কাঁচা পিঁয়াজ ও রসুন দুর্গন্ধময়। অতএব এ ধরণের গন্ধযুক্ত বস্তু যথা, মুখের দুর্গন্ধ, ঘামের গন্ধ, তামাকের গন্ধ ইত্যাদি গন্ধ নিয়ে মসজিদে প্রবেশ করাও এ নিষেধাজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত।মসজিদের ফজিলত হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৭.পরিচ্ছেদঃ মসজিদ থেকে যাকে বের করে দেয়া হইবে

৭০৮. মাদান ইবনি আবু তালহা [রহঃ] হইতে বর্ণীত

উমর ইবনি খাত্তাব [রাঃআঃ] বলেছেন, হে লোক সকল ! তোমরা দুপ্রকার সবজি খেয়ে থাক। আমি এতদুভয়কে নিকৃষ্ট মনে করি। তা হলো পিঁয়াজ এবং রসুন। আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে দেখেছি, যখন তিনি কারও নিকট থেকে এর গন্ধ পেতেন, তখন তাকে বের করে দেয়ার নির্দেশ দিতেন। এরপর তাকে বাকী-এর দিকে বের করে দেয়া হতো। অতএব যে ব্যক্তি তা খায়, সে যেন তা পাকিয়ে গন্ধমুক্ত করে ফেলে।

মসজিদের ফজিলত হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৮.পরিচ্ছেদঃ মসজিদে পর্দা লটকানো

৭০৯. আয়িশাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন ঃরাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যখন ইতিকাফ করার ইচ্ছা করিতেন, তখন ফজরের নামাজ আদায় করার পর যে স্থানে ইতিকাফের ইচ্ছা করিতেন, সেখানে প্রবেশ করিতেন। তিনি রমযানের শেষ দশদিন ইতিকাফের ইচ্ছা করিলেন আর তাঁবু স্থাপনের আদেশ দিলেন এবং তাহাঁর জন্য তাঁবু খাটানো হলো। আর হাফসা [রাঃআঃ] আদেশ করলে তাহাঁর জন্যও তাঁবু খাটানো হলো, যয়নব [রাঃআঃ] তাহাঁর তাঁবু দেখলেন। তিনিও আদেশ করিলেন, তাহাঁর জন্যও পৃথক তাঁবু খাটানো হলো। রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তা দেখিতে পেয়ে বলিলেন, তোমরা কি নেকীর প্রত্যাশা করছো ? তিনি সে রমযান মাসে ইতিকাফ করিলেন না এবং শাওয়াল মাসে দশদিন ইতিকাফ করিলেন।

মসজিদের ফজিলত হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৭১০. আয়িশাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন ঃসাদ [রাঃআঃ] খন্দকের যুদ্ধে আহত হলেন। এক কুরায়শ ব্যক্তি তাহাঁর বাহুতে তীর নিক্ষেপ করেছিল। রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মসজিদে তাহাঁর জন্য একটি তাঁবু খাটালেন, যাতে তিনি নিকট থেকে তাহাঁর দেখাশোনা করিতে পারেন।

মসজিদের ফজিলত হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৯.পরিচ্ছেদঃ মসজিদে শিশুদের নিয়ে প্রবেশ করা

৭১১. আমর ইবনি সুলায়ম যুরাকী [রহঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি আবু কাতাদা [রাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছেন যে, আমরা মসজিদে উপবিষ্ট ছিলাম, হঠাৎ রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আবুল আস ইবনি রবীর কন্যা উমামাকে কোলে নিয়ে আমাদের নিকট আসলেন। তাহাঁর মা রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর কন্যা যয়নব [রাঃআঃ]। তিনি ছিলেন ছোট বালিকা। রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাঁকে বহন করেই বেড়াতেন। রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] নামাজ আদায় করিলেন তাঁকে কাঁধে রেখেই। তিনি রুকু করার সময় তাঁকে রেখে দিতেন। দাঁড়ালে আবার কাঁধে তুলে নিতেন। এমনিভাবে তিনি তাহাঁর নামাজ শেষ করিলেন।

মসজিদের ফজিলত হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২০.পরিচ্ছেদঃ কয়েদীকে মসজিদের খুঁটির সাথে বাঁধা

৭১২. সাঈদ ইবনি আবু সাঈদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি আবু হুরাইরা [রাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছেন ঃরাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] একদল সৈন্য নাজদের দিকে পাঠালেন। তারা ইয়ামামাবাসীদের সর্দার সুমামা ইবনি উসাল নামক বনূ হানীফার জনৈক ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে আসলেন। এরপর তাকে মসজিদের এক খুঁটির সাথে বাঁধা হলো। [সংক্ষিপ্ত]

মসজিদের ফজিলত হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২১.পরিচ্ছেদঃ মসজিদে উট প্রবেশ করানো

৭১৩. আবদুল্লাহ ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বিদায় হজ্জে উটে সওয়ার হয়ে তাওয়াফ করিলেন এবং লাঠি দ্বারা হাজরে আসওয়াদকে স্পর্শ করে চুমা দিলেন।

মসজিদের ফজিলত হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২২.পরিচ্ছেদঃ মসজিদে ক্রয়-বিক্রয় ও জুমুআর নামাজের পূর্বে বৃত্তাকারে বসার নিষেধাজ্ঞা

৭১৪. আবদুল্লাহ ইবনি আমর ইবনি আস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] জুমুআর দিন নামাজের পূর্বে বৃত্তাকারে বসতে এবং মসজিদে ক্রয়-বিক্রয় করিতে নিষেধ করিয়াছেন।

মসজিদের ফজিলত হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস

২৩.পরিচ্ছেদঃ মসজিদে কবিতা পাঠের নিষেধাজ্ঞা

৭১৫. আবদুল্লাহ ইবনি আমর ইবনি আস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মসজিদে কবিতা পাঠ করিতে নিষেধ করিয়াছেন।

মসজিদের ফজিলত হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস

২৪.পরিচ্ছেদঃ মসজিদে উত্তম কবিতা পাঠের অনুমতি

৭১৬. সাঈদ ইবনি মুসায়্যাব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেনে ঃএকদা উমর [রাঃআঃ] হাস্‌সান ইবনি সাবিত [রাঃআঃ]-এর নিকট দিয়ে অতিক্রম করার সময় তাঁকে মসজিদে কবিতা পাঠ করিতে দেখলেন। তিনি তাহাঁর দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করলে তিনি বলিলেন ঃআমি তো মসজিদে ঐ সময় কবিতা পাঠ করেছি, যখন তাতে আপনার চেয়ে উত্তম ব্যক্তি [রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]] উপস্থিত ছিলেন। তারপর তিনি আবু হুরাইরা [রাঃআঃ]-এর প্রতি লক্ষ্য করে বলিলেন ঃআপনি কি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -কে বলিতে শোনেন নি {হে হাসসান!} ? আমার পক্ষ থেকে উত্তর দাও। হে আল্লাহ ! তাকে রূহুল কুদুস দ্বারা সাহায্য করুন ? তিনি বলিলেন ঃআল্লাহর কসম, হ্যাঁ।

মসজিদের ফজিলত হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২৫.পরিচ্ছেদঃ মসজিদে হারানো বস্তুর ঘোষণা দেওয়ার নিষেধাজ্ঞা

৭১৭. জাবির [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন ঃএক ব্যক্তি মসজিদে এসে হারানো বস্তুর ঘোষণা দিতে লাগল। তাকে রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন ঃতুমি যেন না পাও।

মসজিদের ফজিলত হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২৬.পরিচ্ছেদঃ মসজিদে হাতিয়ার বের করা

৭১৮. সুফিয়ান [রহঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন ঃআমি আমর [রাঃআঃ]-কে বললাম, আপনি কি জাবিরকে বলিতে শুনেছেন যে, এক ব্যক্তি কতকগুলো তীর নিয়ে মসজিদে গেল, তখন রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাঁকে বলিলেন ঃএর ধারল দিক হাতে ধর ? তিনি বলিলেন, হ্যাঁ।

মসজিদের ফজিলত হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২৭.পরিচ্ছেদঃ মসজিদে তাশবীক করা

৭১৯. আসওয়াদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন ঃআমি এবং আলকামা [রাঃআঃ] আবদুল্লাহ ইবনি মাসউদ [রাঃআঃ]-এর নিকট উপস্থিত হলে তিনি আমাদের বলিলেন, এরা কি নামাজ আদায় করেছে ? আমরা বললাম, না। তিনি বলিলেন, উঠ, নামাজ আদায় কর। আমরা তাহাঁর পেছনে দাঁড়াতে মনস্থ করলাম। তিনি আমাদের একজনকে তাহাঁর ডানদিকে এবং অন্যজনকে তাহাঁর বামদিকে দাঁড় করালেন। তিনি আযান ও ইকামত ব্যতিরেকে নামাজ আদায় করিলেন। পরে যখন রুকুতে গেলেন, তখন তাহাঁর আঙ্গুলির মধ্যে তশবীক {১} করিলেন এবং তা দুই হাঁটুর মধ্যস্থলে রাখলেন এবং বলিলেনঃআমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে এরূপ করিতে দেখেছি।

{১} তাশবীক অর্থ — আংগুলসমূহকে পরস্পর ঢুকিয়ে জালের মত করা।মসজিদের ফজিলত হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৭২০. সুলায়মান [রহঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন ঃআমি ইবরাহীমকে আলকামা [রহঃ] এবং আসওয়াদ [রহঃ] সূত্রে আবদুল্লাহ ইবনি মাসউদ [রাঃআঃ] থেকে বলিতে শুনিয়াছি, এরপর তিনি পূর্ববৎ উল্লেখ করিলেন।

মসজিদের ফজিলত হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণীত নয়

২৮.পরিচ্ছেদঃ মসজিদে শয়ন করা

৭২১. আব্বাদ ইবনি তামীম [রহঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে মসজিদে এক পা অন্য পায়ের উপর রাখা অবস্থায় [শুয়ে থাকতে] দেখেছেন।

মসজিদের ফজিলত হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২৯.পরিচ্ছেদঃ মসজিদে নিদ্রা যাওয়া

৭২২. ইবনি উমর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি মসজিদে নববীতে রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর যামানায় শয়ন করিতেন আর তখন তিনি ছিলেন অবিবাহিত যুবক, তাহাঁর স্ত্রী ছিল না।

মসজিদের ফজিলত হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩০.পরিচ্ছেদঃ মসজিদে থুথু ফেলা

৭২৩. আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন ঃরাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন ঃমসজিদে থুথু ফেলা পাপ এবং এর কাফ্‌ফারা হলো তা পুঁতে ফেলা।

মসজিদের ফজিলত হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩১.পরিচ্ছেদঃ মসজিদের কিবলার দিকে কফ ফেলার নিষেধাজ্ঞা

৭২৪. ইবনি উমর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মসজিদের কিবলার দেয়ালে থুথু দেখে তা উঠিয়ে ফেললেন, তারপর লোকদের দিকে মুখ করে বলিলেন ঃযখন তোমাদের কেউ নামাজ আদায় করে, তখন সে যেন তার সম্মুখ দিকে থুথু না ফেলে। কেননা যখন সে নামাজ আদায় করে তখন আল্লাহ তাআলা তার সামনে থাকেন।

মসজিদের ফজিলত হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩২.পরিচ্ছেদঃ নামাজে সামনে অথবা ডানদিকে থুথু ফেলার ব্যাপারে নাবী [সাঃআঃ] কর্তৃক নিষেধাজ্ঞা

৭২৫. আবু সাঈদ খুদরী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মসজিদের কিবলার দিকে থুথু দেখিতে পেয়ে তা পাথরের টুকরা দ্বারা ঘষে উঠিয়ে ফেললেন এবং তিনি নিষেধ করিলেন যেন কোন ব্যক্তি তার সামনে অথবা ডানদিকে থুথু না ফেলে এবং বলিলেন ঃসে বামদিকে অথবা বাম পায়ের নিচে থুথু ফেলবে।

মসজিদের ফজিলত হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩৩.পরিচ্ছেদঃ মুসল্লীর জন্য পেছনে অথবা বামদিকে থুথু ফেলার অনুমতি

৭২৬. তারিক ইবনি আবদুল্লাহ আল মুহারিবী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন ঃরাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন ঃযখন তুমি নামাজ আদায় করিতে থাকিবে, তখন তোমার সামনে অথবা তোমার ডানদিকে থুথু ফেলবে না, তোমার পেছনে অথবা বামদিকে ফেলতে পার যদি নামাজের বাইরে থাক, তা না হলে এরূপ, এই বলে তিনি পায়ের নিচে থুথু ফেললেন এবং তা মলে ফেললেন।

মসজিদের ফজিলত হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩৪.পরিচ্ছেদঃ কোন পায়ে থুথু মলে বিনাশ করিবে

৭২৭. আবুল আলা ইবনি শিখখীর-এর পিতা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন ঃরাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে আমি দেখলাম যে, তিনি নাক ঝাড়লেন এবং তা তাহাঁর বাম পা দ্বারা মলে ফেললেন।

মসজিদের ফজিলত হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩৫.পরিচ্ছেদঃ মসজিদকে সুগন্ধিময় করা

৭২৮. আনাস ইবনি মালিক [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন ঃরাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মসজিদের কিবলার দিকে নাকের ময়লা দেখে এত রাগান্বিত হলেন যে, তাহাঁর চেহারা মুবারক রক্তিম বর্ণ ধারণ করিল। তখন এক আনসারী মহিলা দাঁড়িয়ে তা মুছে ফেলে তদস্থলে খলুক নামক সুগন্ধি লাগিয়ে দিলেন। তখন রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন, এটা কতইনা উত্তম কাজ।

মসজিদের ফজিলত হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩৬.পরিচ্ছেদঃ মসজিদে প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় যা বলিতে হয়

৭২৯. আবদুল মালিক ইবনি সাঈদ [রহঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন ঃআমি আবু হুমায়দ এবং আবু উসায়দকে বলিতে শুনিয়াছি যে, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন ঃতোমাদের কেউ যখন মসজিদে প্রবেশ করে তখন সে যেন বলে

اللَّهُمَّ افْتَحْ لِي أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ

আল্ল-হুম্মাফ তাহলী আবওয়া-বা রহমাতিক, “হে আল্লাহ! আমার জন্য আপনার রহমতের দরজাসমূহ খুলে দিন”

আর যখন বের হয় তখন যেন বলে

 اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ

আল্ল-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা মিন ফাযলিক, হে আল্লাহ! আমি আপনার অনুগ্রহ প্রার্থনা করি।

{১} অনুবাদঃহে আল্লাহ ! আমার জন্য আপনার রহমতের দরজা খুলে দিন।{২} হে আল্লাহ ! আমি আপনার নিকট আপনার অনুগ্রহ কামনা করছি।মসজিদের ফজিলত হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩৭.পরিচ্ছেদঃ বসার পূর্বে নামাজের নির্দেশ

৭৩০. আবু কাতাদা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন ঃতোমাদের কেউ যখন মসজিদে প্রবেশ করে, তখন সে যেন বসার পূর্বে দু রাকআত নামাজ আদায় করে।

মসজিদের ফজিলত হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩৮.পরিচ্ছেদঃ নামাজ ব্যতীত মসজিদে বসা ও বের হওয়ার অনুমতি

৭৩১. আবদুল্লাহ ইবনি কাব [রহঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন ঃআমি কাব ইবনি মালিককে তবুক যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সঙ্গে তার যোগদান থেকে বিরত থাকার ঘটনা বর্ণনা করিতে শুনিয়াছি। তিনি বলেন ঃরাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ভোরে তবুক থেকে আগমন করিলেন। তিনি যখন কোন সফর থেকে ফিরে আসতেন প্রথমে মসজিদে প্রবেশ করে দু রাকআত নামাজ আদায় করিতেন। তারপর লোকদের সাথে বসতেন। এইবার যখন তিনি এরূপ করিলেন, তখন যারা জিহাদে যোগদান থেকে বিরত ছিল, তারা এসে তাহাঁর নিকট যোগদান না করার অজুহাত পেশ করিতে আরম্ভ করিল এবং তাহাঁর নিকট কসম করিতে লাগল। তারা সংখ্যায় আশিজনের অধিক ছিল। রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাদের বহ্যিক কারণগুলো মেনে নিলেন এবং তাহাদের বায়আত নিলেন এবং তাহাদের জন্য ক্ষমা চাইলেন। আর তাহাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার আল্লাহর নিকট সোপর্দ করিলেন। এমন সময় আমি সেখানে আসলাম। আমি যখন সালাম করলাম তিনি ক্রোধের হাসি হাসলেন। তারপর বলিলেন ঃআস। আমি এসে তাহাঁর সম্মুখে বসে পড়লাম। তিনি বলিলেন ঃতোমাকে কিসে ফিরিয়ে রাখল, তুমি কি সওয়ারী সংগ্রহ করেছিলে না ? আমি বললাম ঃইয়া রাসূলুল্লাহ ! আল্লাহর কসম ! যদি আমি আপনি ছাড়া অন্য কোন দুনিয়াদারের সামনে উপবিষ্ট থাকতাম তা হলে আমার মনে হয় আমি তার ক্রোধ হইতে বের হয়ে যেতে পারতাম, আমাকে বাক চাতুর্য দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আল্লাহর কসম ! আমি জানি, আজ যদি আমি আপনার নিকট মিথ্যা কথা বলি, তাহলে তাতে আপনি সন্তুষ্ট হয়ে যাবেন কিন্তু অচিরেই আল্লাহ তাআলা আপনাকে আমার উপর ক্রোধান্বিত করে দেবেন। আর যদি সত্য কথা বলি, তা হলে আপনি হয়ত আমার উপর ক্রোধান্বিত হইবেন। তবে আমি আল্লাহর ক্ষমা কামনা করি। আল্লাহর কসম ! আমি যখন আপনার সাথে যুদ্ধে যাওয়া থেকে বিরত ছিলাম, তখনকার চাইতে কোন সময় অধিক শক্তিশালী অথবা অধিক সম্পদশালী ছিলাম না। রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন ঃএ ব্যক্তি সত্য কথা বলেছে। উঠ, অপেক্ষা কর যে পর্যন্ত না আল্লাহ তোমার ব্যাপারে কোন ফয়সালা করেন। তখন আামি উঠে গেলাম। [সংক্ষিপ্ত]

মসজিদের ফজিলত হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩৯.পরিচ্ছেদঃ মসজিদের নিকট দিয়ে গমনকারীর নামাজ

৭৩২. আবু সাঈদ ইবনিল মুআল্লা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন ঃরাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সময় আমরা ভোরে বাজারের দিকে যেতাম। তখন আমরা মসজিদের নিকট দিয়ে যাওয়ার সময় নামাজ আদায় করতাম।

মসজিদের ফজিলত হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

৪০.পরিচ্ছেদঃ নামাজের অপেক্ষায় মসজিদে বসার ব্যাপারে উৎসাহ প্রদান

৭৩৩. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন ঃতোমাদের কেউ নামাজ আদায় করে যতক্ষণ মুসাল্লায় বসে থাকে, ততক্ষণ পর্যন্ত ফেরেশতারা তার জন্য নিম্নরূপ দোয়া করিতে থাকেন,

 اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ اللَّهُمَّ ارْحَمْهُ

আল্ল-হুম্মাগফির লাহু আল্ল-হুম্মার হামহু, [হে আল্লাহ ! তাকে ক্ষমা করে দিন, হে আল্লাহ তার প্রতি দয়া করুন], যাবৎ না তার উযূ ভঙ্গ হয়।

মসজিদের ফজিলত হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৭৩৪. আইয়াশ ইবনি উকবা [রহঃ] হইতে বর্ণীত

ইয়াহইয়া ইবনি মাইমূন তাঁকে বলেছেন যে, তিনি সাহল আস-সাঈদী [রাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনিয়াছি ঃযে ব্যক্তি মসজিদে নামাজের অপেক্ষায় থাকে, সে যেন নামাজের মধ্যে থাকে।

মসজিদের ফজিলত হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৪১.পরিচ্ছেদঃ উটের বসার স্থানে নামাজ আদায়ে নাবী [সাঃআঃ] কর্তৃক নিষেধাজ্ঞা

৭৩৫. আবদুল্লাহ ইব্ন মুগাফফাল [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] উটের বসার স্থানে নামাজ আদায় করিতে নিষেধ করিয়াছেন।

মসজিদের ফজিলত হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৪২.পরিচ্ছেদঃ এ ব্যাপারে অনুমতি

৭৩৬. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন ঃরসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন ঃআমার জন্য সমগ্র যমীনকে মসজিদ ও পবিত্রতা অর্জনের উপকরণ করে দেয়া হয়েছে। আমার উম্মতের যে ব্যক্তি যেখানেই নামাজ পায়, সেখানেই নামাজ আদায় করিবে।

মসজিদের ফজিলত হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৪৩.পরিচ্ছেদঃ মাদুরের ওপর নামাজ

৭৩৭. আনাস ইবনি মালিক [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

উম্মে সুলায়ম [রাঃআঃ] রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট নিবেদন করিলেন, তিনি যেন তাহাঁর নিকট আগমন করে তাহাঁর ঘরে নামাজ আদায় করেন। তাহলে তিনি ঐস্থানকে নামাজের স্থান নির্ধারণ করে নেবেন। তিনি তাহাঁর ঘরে আসলেন, তখন তিনি একটি চাটাইর ব্যবস্থা করিলেন এবং পানি দ্বারা তা মুছে ফেললেন। তারপর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তার উপর নামাজ আদায় করিলেন এবং অন্য লোকেরাও তাহাঁর সাথে নামাজ আদায় করিলেন।

মসজিদের ফজিলত হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৪৪.পরিচ্ছেদঃ শুধু সিজদা করা যায় এমন ক্ষুদ্র চাটাইয়ের ওপর নামাজ

৭৩৮. মায়মূনা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] খুমরার {১} -এর ওপর নামাজ আদায় করিতেন।

{১} খুমরা – খেজুর পাতার তৈরি ছোট চাটাইবিশেষ, যার উপর নামাজ আদায়কালে শুধু সিজদা করা ।মসজিদের ফজিলত হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৪৫.পরিচ্ছেদঃ মিম্বরের উপর নামাজ আদায় করা

৭৩৯. আবু হাযিম ইবনি দীনার [রহঃ] হইতে বর্ণীত

কয়েকজন লোক সাহল ইবনি সাদ সাঈদী [রাঃআঃ]-এর নিকট আসলেন, তাঁরা মিম্বরের ব্যাপারে সন্দেহ করিতে লাগলেন যে, তার কাঠ কোথা থেকে আনা হয়েছে। তারা তাঁকে এ সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলিলেন ঃআল্লাহর কসম ! আমি জানি তা কোথা থেকে আনা হয়েছে। প্রথম যেদিন তা স্থাপন করা হয় এবং প্রথম যেদিন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাতে উপবেশন করেছিলেন, সেদিন আমি তা দেখেছিলাম। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] জনৈক মহিলার নিকট লোক পাঠিয়ে বলিলেন যে, তোমার কাঠমিস্ত্রি গোলামকে আদেশ কর, সে যেন আমার জন্য একটা কাঠের মিম্বর তৈরি করে দেয়, আমি লোকের সাথে কথা বলার সময় তাতে বসব। ঐ রমণী তাকে আদেশ করলে সে অরণ্যের ঝাউ বৃক্ষের কাঠ দ্বারা তা বানালো এবং মহিলার কাছে তা নিয়ে আসল। সে মহিলা তা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট পাঠিয়ে দিলেন। এরপর তাহাঁর নির্দেশে তা এখানে রাখা হলো। আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে তাতে আরোহণ করে নামাজ আদায় করিতে দেখেছি। তিনি এর উপর থেকেই তাকবীর বলিলেন ও রুকূ করিলেন। তারপর তিনি পেছনে সরে মিম্বরের মূলে সিজদা করিলেন। তিনি পুনরায় মিম্বরে আরোহণ করিলেন। তারপর তিনি নামাজ শেষ করে লোকের দিকে মুখ করে বলিলেন ঃহে লোক সকল ! আমি এরূপ করলাম যাতে তোমরা আমার ইকতিদা করিতে পার এবং আমার নামাজ সম্পর্কে তোমরা জানতে পার।

মসজিদের ফজিলত হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৪৬.পরিচ্ছেদঃ গাধার ওপর নামাজ

৭৪০. ইবনি উমর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন ঃআমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -কে গাধার ওপর নামাজ আদায় করিতে দেখেছি। তখন তিনি খায়বার অভিমুখী ছিলেন।

মসজিদের ফজিলত হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৭৪১. আনাস ইবনি মালিক [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে গাধার ওপর নামাজ আদায় করিতে দেখেছেন। তখন তিনি খায়বার অভিমুখী ছিলেন আর কিবলা ছিল তাহাঁর পেছনে।

মসজিদের ফজিলত হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহীহ

Comments

One response to “মসজিদের ফজিলত ও দোয়া । কাবা হারাম আকসা নববী ও কুবা”

Leave a Reply