সুনানে নাসাঈ -পর্ব পানির বর্ণনা – বদ্ধ বরফ বৃষ্টি ও সমুদ্রের পানি

সুনানে নাসাঈ -পর্ব পানির বর্ণনা

সুনানে নাসাঈ -পর্ব পানির বর্ণনা – বদ্ধ বরফ বৃষ্টি ও সমুদ্রের পানি >> সুনানে নাসাই শরিফের মুল সুচিপত্র দেখুন

পর্বঃ ২, পানির বর্ণনা, হাদীস (৩২৫-৩৪৭)

১.পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ
২.পরিচ্ছেদঃ বুযাআ নামক কূপ প্রসঙ্গে আলোচনা
৩.পরিচ্ছেদঃ পানির পরিমাণ নির্ণয়
৪.পরিচ্ছেদঃ বদ্ধ পানিতে জুনুব ব্যক্তির গোসল করার প্রতি নিষেধাজ্ঞা
৫.পরিচ্ছেদঃ সমুদ্রের পানি দ্বারা উযূ করা
৬.পরিচ্ছেদঃ বরফ ও বৃষ্টির পানি দ্বারা উযূ করা
৭.পরিচ্ছেদঃ কুকুরের উচ্ছিষ্ট
৮.পরিচ্ছেদঃ কোন পাত্রে কুকুরের মুখ দেয়ার দরুন তা মাটি দ্বারা ঘষা
৯.পরিচ্ছেদঃ বিড়ালের উচ্ছিষ্ট
১০.পরিচ্ছেদঃ ঋতুমতি নারীর ভুক্তাবশেষ
১১.পরিচ্ছেদঃ স্ত্রীর উদ্বৃত্ত পানি ব্যবহারের অনুমতি
১২.পরিচ্ছেদঃ নারীর উযূর উদ্বৃত্ত পানি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা
১৩.পরিচ্ছেদঃ জানাবাতগ্রস্থ ব্যক্তির উদ্বৃত্ত পানি ব্যবহারের অনুমতি
১৪.পরিচ্ছেদঃ একজন লোকের উযূ এবং গোসলের জন্য কতটুকু পানি যথেষ্ট

১.পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ

৩২৫. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

বর্ণিত। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] – এর সহধর্মিণীদের মধ্যে একজন জানাবাতের গোসল করলে তাহাঁর গোসলের উদ্ধৃত্ত পানি দ্বারা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] উযূ করিলেন। পরে তিনি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর নিকট তা উল্লেখ করলে তিনি বললেনঃ পানিকে কোন বস্তুই নাপাক করে না। {১}

{১} এ হাদিস দ্বারা বুযাআ কূপের পানি উদ্দেশ্য করা হয়েছে। এ কূপের পানি শস্যক্ষেত ও খেজুর ইত্যাদির বাগানে সেচকার্যে ব্যবহার করা হত। তাই তাতে কোন নাপাক বস্তু পড়লেও তা সেখানে অবশিষ্ট থাকত না। এ ছাড়া বুযাআ কূপের পানির পরিমাণ অনেক বেশি ছিল। আর বেশি পানি দূষিত হয় না। যেমন কোন বড় পুকুরের পানি। অপরদিকে সম্ভবত বুযাআ কূপটি এমন স্থানে ছিল, যেখানে বাইরে থেকে পানির গমনাগমন ছিল। যেমন, নদীর পানি। এর তলদেশ পাতালের পানির সাথে সংযুক্ত ছিল বলে যাবতীয় ময়লা অপসারিত হয়ে যেত।সুনানে নাসাঈ হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২.পরিচ্ছেদঃ বুযাআ নামক কূপ প্রসঙ্গে আলোচনা

৩২৬. আবু সাঈদ খুদরী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -কে প্রশ্ন করা হলোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্‌! আমরা কি বুযাআ নামক কূপের পানিতে উযূ করব? তা এমন একটি কূপ যাতে কুকুরের মাংস, হায়যের ন্যাকড়া ও আবর্জনা নিক্ষেপ করা হয়। তিনি বললেনঃ পানি পবিত্র, তাতে কোন বস্তুই নাপাক করে না।

সুনানে নাসাঈ হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩২৭. আবু সাঈদ খুদরী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেনঃ আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর পাশ দিয়ে গমন করলাম, তখন তিনি বুযাআ কূপের পানি দ্বারা উযূ করছিলেন। আমি বললাম, আপনি কি এই কূপের পানি দ্বারা উযূ করছেন? অথচ তাতে ঘৃণ্য ময়লা-আবর্জনা নিক্ষেপ করা হয়ে থাকে। তখন তিনি বললেনঃ পানিকে কোন বস্তুই নাপাক করে না।

সুনানে নাসাঈ হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩.পরিচ্ছেদঃ পানির পরিমাণ নির্ণয়

৩২৮. আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -কে পানি এবং তাতে যে কোন সময় চতুস্পদ জন্তু ও হিংস্র পশু অবতরন করে, সে সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হল। তিনি বললেনঃ যখন পানি দুই কুল্লা পরিমাণ হয় তখন তা নাপাক হয় না। {১}

{১} কুল্লা বড় ধরনের মাটির কলসীকে বলা হয়। যাতে পাঁচশত রতল পানি ধরে। এক রতলের পরিমাণ অর্ধ সের বা অর্ধ লিটারের একটু বেশি। হাদীসে উল্লেখিত কুল্লাতায়ন -এর উদ্দেশ্য, পানি প্রচুর হলে তা নাপাক হয় না।সুনানে নাসাঈ হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩২৯. আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

এক বেদুঈন মসজিদে পেশাব করলে উপস্থিত লোকদের মধ্যে কেউ কেউ তাকে তিরস্কার করিতে উদ্যত হল। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ তাকে বাধা দিও না। যখন ঐ ব্যক্তি পেশাব করা শেষ করিল, তখন তিনি এক বালতি পানি আনিয়ে তা পেশাবের উপর ঢেলে দিলেন।

সুনানে নাসাঈ হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩৩০. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেনঃ এক বেদুঈন মসজিদে দাঁড়িয়ে পেশাব করিল। উপস্থিত লোকজন তাকে পাকড়াও করিতে উদ্যত হলে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাদের বললেনঃ তাকে ছেড়ে দাও এবং তার পেশাবের উপর এক বালতি পানি ঢেলে দাও। তোমাদেরকে নরম ব্যবহার করার জন্য পাঠানো হয়েছে, কঠোর ব্যবহারের জন্য নয়।

সুনানে নাসাঈ হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৪.পরিচ্ছেদঃ বদ্ধ পানিতে জুনুব ব্যক্তির গোসল করার প্রতি নিষেধাজ্ঞা

৩৩১. বুকায়র [রহঃ] হইতে বর্ণীত

আবু সায়িব তাহাঁর নিকট বর্ণনা করিয়াছেন যে, তিনি আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] -কে বলিতে শুনেছেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন যে, তোমাদের কেউ যেন জানাবাত অবস্থায় বদ্ধ পানিতে গোসল না করে।

সুনানে নাসাঈ হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৫.পরিচ্ছেদঃ সমুদ্রের পানি দ্বারা উযূ করা

৩৩২. সাঈদ ইবনি আবু সালামা [রহঃ] হইতে বর্ণীত

মুগীরা ইবনি আবু বুরদা [রহঃ] তাঁকে বর্ণনা করিয়াছেন যে, তিনি আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] -কে বলিতে শুনেছেন যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -কে এক ব্যক্তি প্রশ্ন করলঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্‌! আমরা সমুদ্রে ভ্রমন করি এবং আমাদের সাথে করে স্বল্প পানি নিয়ে যাই। আমরা যদি ঐ পানি দ্বারা উযূ করি তবে আমরা পিপাসায় কষ্ট পাব, এমতাবস্থায় আমরা সমুদ্রের পানি দ্বারা উযূ করব কি? রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ এর পানি পবিত্র আর এর মৃত জীব হালাল।

সুনানে নাসাঈ হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৬.পরিচ্ছেদঃ বরফ ও বৃষ্টির পানি দ্বারা উযূ করা

৩৩৩. আয়িশাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিতেনঃ

اللَّهُمَّ اغْسِلْ خَطَايَايَ بِمَاءِ الثَّلْجِ وَالْبَرَدِ، وَنَقِّ قَلْبِي مِنَ الْخَطَايَا كَمَا نَقَّيْتَ الثَّوْبَ الْأَبْيَضَ مِنَ الدَّنَسِ

আল্ল-হুম্মাগসিল খত্বা-ইয়া-ইয়া বিমা-য়িস সালজি ওয়াল বারাদি ওয়া নাক্কি কলবী মিনাল খতা- ইয়া-ইয়া কামা- নাক্কয়তাস সাওবাল আবইয়াযা মিনাদ দানাস

“হে আল্লাহ্‌! আমার পাপসমূহ বরফ ও মেঘের পানি দ্বারা ধৌত কর আর আমার অন্তঃকরনকে গুনাহ থেকে পরিষ্কার কর, যেমন তুমি সাদা কাপড়কে ময়লা হইতে পরিষ্কার করে থাক।”

সুনানে নাসাঈ হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩৩৪. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিতেনঃ

اللَّهُمَّ اغْسِلْنِي مِنْ خَطَايَايَ بِالثَّلْجِ وَالْمَاءِ وَالْبَرَدِ

“আল্ল-হুম্মাগ সিলনী মিন খত্বা-ইয়া-ইয়া বিস্ সালজি ওয়াল মা-য়ি ওয়াল বারদ

“হে আল্লাহ্‌! আমার পাপসমূহ বরফ, পানি এবং মেঘের পানি দ্বারা ধুয়ে ফেল।”

সুনানে নাসাঈ হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৭.পরিচ্ছেদঃ কুকুরের উচ্ছিষ্ট

৩৩৫. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ কুকুর তোমাদের কারো কোন পাত্রে মুখ দিলে সে যেন পাত্রের বস্তু ফেলে দেয় আর পাত্রটি সাতবার ধুয়ে ফেলে।

সুনানে নাসাঈ হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৮.পরিচ্ছেদঃ কোন পাত্রে কুকুরের মুখ দেয়ার দরুন তা মাটি দ্বারা ঘষা

৩৩৬. আবদুল্লাহ ইবনি মুগাফ্‌ফাল [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কুকুরকে হত্যা করিতে আদেশ করিয়াছেন এবং বকরীপালের ও শিকারের কুকুরের বিষয়ে অনুমতি দান করিয়াছেন। তিনি বলেছেনঃ কুকুর কোন পাত্রে মুখ দিলে তা সাতবার ধুয়ে নেবে আর অষ্টমবারে তা মাটি দ্বারা ঘষবে।

সুনানে নাসাঈ হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩৩৭. আবদুল্লাহ ইবনি মুগাফ্‌ফাল [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কুকুর হত্যার নির্দেশ প্রদান করেন। পরে বলেন, কুকুরের বিষয়ে তাহাদের কী হল? আবদুল্লাহ বলেনঃ আর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] শিকারের কুকুর ও বকরীপালের কুকুর পোষার অনুমতি দিয়েছেন। তিনি বলেছেনঃ যখন কুকুর পাত্রে মুখ দেয়, তখন তা সাতবার ধুয়ে নেবে আর অষ্টমবার মাটি দ্বারা ঘষে নেবে। আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] -এর বর্ণনা আবদুল্লাহ ইবনি মুগাফ্‌ফাল [রাঃআঃ] -এর বর্ণনা হইতে ভিন্নরূপ। তিনি বলেছেনঃ তারপর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, তন্মধ্যে একবার মাটি দ্বারা।

সুনানে নাসাঈ হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩৩৮. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যখন কুকুর তোমাদের কারো পাত্রে মুখ দেয়, তখন তা সাতবার ধুয়ে ফেলবে তন্মধ্যে প্রথমবার মাটি দ্বারা।

সুনানে নাসাঈ হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩৩৯. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ] থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ যখন কুকুর তোমাদের কারো পাত্রে মুখ দেয়, তখন ঐ পাত্র সাতবার ধুয়ে ফেলবে যার প্রথমবার হইবে মাটি দ্বারা।

সুনানে নাসাঈ হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৯.পরিচ্ছেদঃ বিড়ালের উচ্ছিষ্ট

৩৪০. কাব্‌শা বিন্‌তে কাব ইবনি মালিক [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

আবু কাতাদা তাহাঁর নিকট আগমন করিলেন, তারপর বর্ণনাকারী কিছু কথা বললেনঃ যার অর্থ এই; আমি তার জন্য পানিভর্তি একটি উযূর পাত্র উপস্থিত করলাম। এমন সময় একটি বিড়াল তা হইতে পান করিল। তারপর তিনি ঐ বিড়ালটির জন্য পাত্রটি কাত করে দিলেন যাতে সে পান করিতে পারে। কাব্‌শা বলেন, তখন আবু কাতাদা দেখলেন, আমি তাহাঁর দিকে তাকিয়ে আছি, তিনি বলিলেন, হে ভাতিজী! তুমি কি আশ্চর্যবোধ করছ? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ এরা [বিড়াল] অপবিত্র নয়, এরা তোমাদের আশেপাশে বিচরণকারী এবং বিচরণকারিণী।

সুনানে নাসাঈ হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১০.পরিচ্ছেদঃ ঋতুমতি নারীর ভুক্তাবশেষ

৩৪১. আয়িশাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেনঃ আমি গোশ্‌তযুক্ত হাড় হইতে গোশত আলগা করতাম, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর মুখ সেখানেই রাখতেন যেখানে আমি মুখ রেখেছিলাম। আর আমি পাত্র হইতে পানি পান করতাম এবং তিনি সেখানেই মুখ রাখতেন যেখানে আমি রেখেছিলাম, অথচ আমি তখন ঋতুমতি।

সুনানে নাসাঈ হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১১.পরিচ্ছেদঃ স্ত্রীর উদ্বৃত্ত পানি ব্যবহারের অনুমতি

৩৪২. ইবনি উমর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর সময়ে নারী-পুরুষ সকলে একত্রে উযূ করত।{১}

{১} এ ছিল পর্দার নির্দেশ নাযিল হওয়ার পূর্বেকার কথা।সুনানে নাসাঈ হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১২.পরিচ্ছেদঃ নারীর উযূর উদ্বৃত্ত পানি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা

৩৪৩. হাকাম ইবনি আমর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] নারীর উদ্বৃত্ত উযূর পানি দ্বারা পুরুষদের উযূ করিতে নিষেধ করিয়াছেন।

সুনানে নাসাঈ হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৩.পরিচ্ছেদঃ জানাবাতগ্রস্থ ব্যক্তির উদ্বৃত্ত পানি ব্যবহারের অনুমতি

৩৪৪. আয়িশাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন যে, তিনি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর সঙ্গে একত্রে একই পাত্রে গোসল করিতেন।

সুনানে নাসাঈ হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৪.পরিচ্ছেদঃ একজন লোকের উযূ এবং গোসলের জন্য কতটুকু পানি যথেষ্ট

৩৪৫. আবদুল্লাহ ইবনি আবদুল্লাহ ইবনি জাব্‌র [রহঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেনঃ আমি আনাস ইবনি মালিক [রাঃআঃ] -কে বলিতে শুনিয়াছি যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এক মাক্‌কূক পানি দ্বারা উযূ করিতেন এবং পাঁচ মাক্‌কূক পানি দ্বারা গোসল করিতেন।

সুনানে নাসাঈ হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩৪৬. আয়িশাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এক মুদ পরিমাণ পানি দ্বারা উযূ করিতেন আর গোসল করিতেন এক সা পানি দ্বারা।

সুনানে নাসাঈ হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩৪৭. আয়িশাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] উযূ করিতেন এক মুদ পানি দ্বারা এবং গোসল করিতেন এক সা পানি দ্বারা।

সুনানে নাসাঈ হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস


Posted

in

by

Comments

One response to “সুনানে নাসাঈ -পর্ব পানির বর্ণনা – বদ্ধ বরফ বৃষ্টি ও সমুদ্রের পানি”

Leave a Reply