নাসায়ী শরীফ বাংলা – পর্ব পবিত্রতা
নাসায়ী শরীফ বাংলা – পর্ব পবিত্রতা ওজু গোসল ইত্যাদি >> সুনানে নাসাই শরিফের মুল সুচিপত্র দেখুন
পর্বঃ ১, পবিত্রতা, হাদীস (১-৫১)
১.পরিচ্ছেদঃ রাতের বেলা নামাজ আদায় করিতে উঠলে মিস্ওয়াক করা
২.পরিচ্ছেদঃ মিসওয়াক কিভাবে করিতে হইবে
৩.পরিচ্ছেদঃ ঈমাম তাহাঁর অধঃস্তনের সামনে মিস্ওয়াক করবেন কি
৪.পরিচ্ছেদঃ মিস্ওয়াকের প্রতি উৎসাহ দান
৫.পরিচ্ছেদঃ বারবার মিসওয়াক করা
৬.পরিচ্ছেদঃ সিয়াম পালনকারীর জন্য অপরাহ্নে মিসওয়াক করার অনুমতি
৭.পরিচ্ছেদঃ সর্বদা মিসওয়াক করা
৮.পরিচ্ছেদঃ ফিতরত প্রসঙ্গঃ খাতনা
৯.পরিচ্ছেদঃ নখ কাটা
১০.পরিচ্ছেদঃ বগলের পশম উপড়ে ফেলা
১১.পরিচ্ছেদঃ নাভীর নিম্নাংশের লোম চাঁছা
১২.পরিচ্ছেদঃ গোঁফ ছাঁটা
১৩.পরিচ্ছেদঃ উল্লেখিত কাজসমূহের জন্য মেয়াদ নির্ধারণ
১৪.পরিচ্ছেদঃ গোঁফ ছাঁটা ও দাড়ি বর্ধিত করা
১৫.পরিচ্ছেদঃ পায়খানা—পেশাবের প্রয়োজনের সময় দূরে গমন করা
১৬.পরিচ্ছেদঃ দূরে না যাওয়ার অনুমতি
১৭.পরিচ্ছেদঃ পায়খানা—পেশাবের স্থানে প্রবেশ করার সময় দোয়া পাঠ করা
১৮.পরিচ্ছেদঃ পায়খানা—পেশাবের সময় কিবলামুখী হওয়া নিষেধ
১৯.পরিচ্ছেদঃ পায়খানা—পেশাবের সময় কিবলাকে পেছনে রেখে বসা নিষেধ
২০.পরিচ্ছেদঃ পায়খানা—পেশাবের সময় পূর্ব অথবা পশ্চিমদিকে ফিরে বসার নির্দেশ {২}
২১.পরিচ্ছেদঃ ঘরের ভেতর কিবলামুখী হয়ে বসার অনুমতি
২২.পরিচ্ছেদঃ মাঠে-ময়দানে দাঁড়িয়ে পেশাব করার অনুমতি
২৩.পরিচ্ছেদঃ ঘরের ভেতর বসে পেশাব করা
২৪.পরিচ্ছেদঃ কোন সুতরার {১} দ্বারা আড়াল করে পেশাব করা
২৫.পরিচ্ছেদঃ পেশাবের ছিটা হইতে বেঁচে থাকা
২৬.পরিচ্ছেদঃ পাত্রে পেশাব করা
২৭.পরিচ্ছেদঃ তশতরিতে পেশাব করা
২৮.পরিচ্ছেদঃ গর্তে পেশাব করা মাকরূহ
২৯.পরিচ্ছেদঃ বদ্ধ পানিতে পেশাব করা নিষেধ
৩০.পরিচ্ছেদঃ গোসলখানায় পেশাব করা মাকরূহ
৩১.পরিচ্ছেদঃ পেশাবরত ব্যক্তিকে সালাম দেওয়া
৩২.পরিচ্ছেদঃ উযূ করার পর সালামের জবাব দেয়া
৩৩.পরিচ্ছেদঃ হাড় দ্বারা পবিত্রতা অর্জন [ঢেলা হিসেবে ব্যবহার] করা নিষিদ্ধ
৩৪.পরিচ্ছেদঃ গোবর দ্বারা পবিত্রতা অর্জন নিষিদ্ধ
৩৫.পরিচ্ছেদঃ তিনটির কম ঢেলা দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করা নিষিদ্ধ
৩৬.পরিচ্ছেদঃ দুটি ঢেলার দ্বারা পবিত্রতা অর্জনের অনুমতি
৩৭.পরিচ্ছেদঃ একটি ঢেলা দ্বারা পবিত্রতা অর্জনের অনুমতি
৩৮.পরিচ্ছেদঃ শুধু ঢেলা দ্বারা পবিত্রতা অর্জন যথেষ্ট
৩৯.পরিচ্ছেদঃ পানির দ্বারা পবিত্রতা অর্জন
৪০.পরিচ্ছেদঃ ডান হাতে ইস্তিঞ্জা করা নিষিদ্ধ
৪১.পরিচ্ছেদঃ ইস্তিঞ্জার পর হাত মাটিতে ঘষা
১.পরিচ্ছেদঃ রাতের বেলা নামাজ আদায় করিতে উঠলে মিস্ওয়াক করা
১. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমাদের কেউ নিদ্রা থেকে জাগ্রত হলে সে যেন তার হাত তিনবার না ধোয়া পর্যন্ত পানিতে না ঢোকায়। কেননা তোমাদের কারো জানা নেই যে, তার হাত রাতে কোথায় পৌঁছেছিল।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
২. হুযায়ফা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] রাত্রিবেলা নামাজ আদায় করিতে উঠলে মিসওয়াক দ্বারা আপন দাঁত মাজতেন।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২.পরিচ্ছেদঃ মিসওয়াক কিভাবে করিতে হইবে
৩. আবু মূসা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর নিকট গেলাম তখন তিনি মিসওয়াক করছিলেন আর মিসওয়াকের একপার্শ্ব তাহাঁর জিহ্বার উপর ছিল এবং আ আ করছিলেন।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩.পরিচ্ছেদঃ ঈমাম তাহাঁর অধঃস্তনের সামনে মিস্ওয়াক করবেন কি
৪. আবু বুরদা [রাঃআঃ] {তাহাঁর পিতা} আবু মূসা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর নিকট এলাম, আমার সঙ্গে ছিল আশআর গোত্রের দুজন লোক। তাহাদের একজন ছিল আমার ডানদিকে আর অন্যজন ছিল আমার বাঁদিকে। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তখন মিসওয়াক করছিলেন। তারা উভয়ে তাহাঁর কাছে কাজ চাইল। আমি বললামঃ যিনি আপনাকে সত্য নাবী রূপে পাঠিয়েছেন তাহাঁর শপথ ! তাহাদের অন্তরে কি ছিল তা আমাকে অবগত করেনি আর আমিও বুঝতে পারিনি যে, তারা কাজ চাইবে। আমি তখন তাহাঁর ঠোঁটের নিচে রাখা মিসওয়াকের দিকে লক্ষ্য করছিলাম। তাহাঁর ঠোঁট তখন উঁচু ছিল। তিনি বললেনঃ যে ব্যাক্তি কাজ চায় আমরা তাকে কাজ দিই না। তবে তুমি যাও, পরে আবু মূসাকে ইয়ামানে পাঠান আর মুয়ায ইবনি জাবালকে তাহাঁর অনুগামী করিলেন।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৪.পরিচ্ছেদঃ মিস্ওয়াকের প্রতি উৎসাহ দান
৫. আয়িশাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] থেকে বর্ণনা করেনঃ তিনি বলেছেন যে, মিসওয়াক মুখের পবিত্রতা অর্জনের উপকরণ ও আল্লাহ্র সন্তোষ লাভের উপায়।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৫.পরিচ্ছেদঃ বারবার মিসওয়াক করা
৬. আনাস ইবনি মালিক [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আমি মিসওয়াক করার ব্যাপারে তোমাদেরকে অত্যধিক উৎসাহিত করছি।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৬.পরিচ্ছেদঃ সিয়াম পালনকারীর জন্য অপরাহ্নে মিসওয়াক করার অনুমতি
৭. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আমার উম্মতের জন্য যদি কষ্টকর মনে না করতাম তবে তাঁদেরকে প্রত্যেক নামাজের সময় মিসওয়াক করার নির্দেশ দিতাম।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৭.পরিচ্ছেদঃ সর্বদা মিসওয়াক করা
৮. শুরায়হ্ [রহঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ আমি আয়িশাহ [রাঃআঃ]-কে জিজ্ঞাসা করলাম, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ঘরে প্রবেশ করার পর প্রথমে কি করিতেন ? তিনি বলেনঃ মিসওয়াক করিতেন।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৮.পরিচ্ছেদঃ ফিতরত প্রসঙ্গঃ খাতনা
৯. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ পাঁচটি বিষয় মানুষের ফিতরাতের অন্তর্গত। খাতনা করা, নাভীর নিম্নভাগের লোম চেঁছে ফেলা, গোঁফ ছাঁটা, নখ কাটা, বগলের পশম উপড়ে ফেলা।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৯.পরিচ্ছেদঃ নখ কাটা
১০. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ পাঁচটি বিষয় মানুষের ফিতরাতের অন্তর্ভুক্ত। গোঁফ ছাঁটা, বগলের পশম উপড়ে ফেলা, নখ কাটা, নাভীর নিম্নাংশের লোম চেঁছে ফেলা এবং খাতনা করা।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১০.পরিচ্ছেদঃ বগলের পশম উপড়ে ফেলা
১১. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ পাঁচটি বিষয় মানুষের ফিতরাতের অন্তর্ভুক্ত। খাতনা করা, নাভীর মিম্নাংশের লোম চেঁছে ফেলা, বগলের পশম উপড়ে ফেলা, নখ কাটা এবং গোঁফ ছাঁটা।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১১.পরিচ্ছেদঃ নাভীর নিম্নাংশের লোম চাঁছা
১২. আবদুল্লাহ্ ইবনি উমর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ মানুষের ফিতরাত হলো নখ কাটা, গোঁফ ছাঁটা এবং নাভীর নিম্নভাগের লোম চেঁছে ফেলা।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১২.পরিচ্ছেদঃ গোঁফ ছাঁটা
১৩. যায়দ ইবনি আরকাম [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি গোঁফ না ছাঁটে সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৩.পরিচ্ছেদঃ উল্লেখিত কাজসমূহের জন্য মেয়াদ নির্ধারণ
১৪. আনাস ইবনি মালিক [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদের জন্য গোঁফ ছাঁটা, নখ কাটা, নাভীর নিম্নভাগের লোম চেঁছে ফেলার ও বগলের পশম উপড়ে ফেলার মেয়াদ নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন যে, আমরা যেন এ কাজগুলো চল্লিশ দিনের বেশী সময় পর্যন্ত ফেলে না রাখি। রাবী বলেন আরেকবার চল্লিশ রাতের কথাও বলেছেন।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৪.পরিচ্ছেদঃ গোঁফ ছাঁটা ও দাড়ি বর্ধিত করা
১৫. আবদুল্লাহ্ ইবনি উমর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেছেনঃ তোমরা গোঁফ খাট কর এবং দাড়ি বর্ধিত কর।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৫.পরিচ্ছেদঃ পায়খানা—পেশাবের প্রয়োজনের সময় দূরে গমন করা
১৬ আবদুর রহমান ইবনি আবু কুরাদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ আমি একবার রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর সঙ্গে ময়দানের দিকে বের হলাম। যখন তিনি পায়খানা—পেশাব করার ইচ্ছা করিতেন তখন [লোকালয় হইতে] দূরে গমন করিতেন।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭ মুগীরা ইবনি শুবা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
নাবী [সাঃআঃ] যখন পায়খানা—পেশাবের স্থানের দিকে যাওয়ার ইচ্ছা করিতেন, তখন [লোকালয় হইতে] দূরে চলে যেতেন। বর্ণনাকারী বলেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর কোন এক সফরে পায়খানা—পেশাবের প্রয়োজনে [লোকালয় হইতে] দূরে গিয়েছিলেন। তারপর বলিলেন, আমার জন্য উযূর পানি আন। আমি তাহাঁর জন্য উযূর পানি আনলাম। তিনি উযূ করিলেন এবং মোজার উপর মসেহ করিলেন।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহীহ
১৬.পরিচ্ছেদঃ দূরে না যাওয়ার অনুমতি
১৮ হুযায়ফা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর সঙ্গে হাঁটছিলাম। তিনি এক সম্প্রদায়ের আবর্জনা ফেলবার স্থান পর্যন্ত গেলেন এবং [সেখানে] দাঁড়িয়ে পেশাব করিলেন। এমতাবস্থায় আমি তাহাঁর নিকট হইতে দূরে সরে দাঁড়ালাম। কিন্তু তিনি আমাকে ডাকলেন, আমি [এসে] তাহাঁর গোড়ালির কাছে [অর্থাৎ নিকটেই] থাকলাম, যাবৎ না তিনি পেশাবের কাজ সমাধা করিলেন। এরপর তিনি উযূ করিলেন এবং মোজার উপর মসেহ করিলেন।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৭.পরিচ্ছেদঃ পায়খানা—পেশাবের স্থানে প্রবেশ করার সময় দোয়া পাঠ করা
১৯ আনাস ইবনি মালিক [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যখন পায়খানা—পেশাবের স্থানে প্রবেশের ইচ্ছা করিতেন তখন পড়তেনঃ
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْخُبُثِ وَالْخَبَائِثِ
আল-হুম্মা ইন্নী আউযুবিকা মিনাল খুবুসি ওয়াল খবা-য়িস
“হে আল্লাহ্! আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি – পুরুষ শয়তান ও নারী শয়তান থেকে।”
সহীহ: বুখারী ১৪২, মুসলিম ৩৭৫, ইবনু মাজাহ ২৯৮, ইওয়াউল গালীল ৫১ , নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৮.পরিচ্ছেদঃ পায়খানা—পেশাবের সময় কিবলামুখী হওয়া নিষেধ
২০ রাফী ইবনি ইসহাক [রহঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি আবু আইয়্যূব আনসারী [রাঃআঃ]-এর মিসর অবস্থানকালে তাঁকে বলিতে শুনেছেন – আল্লাহ্র শপথ ! আমি জানি না কিভাবে [মিসরের] এই পায়খানাগুলো ব্যাবহার করবো। অথচ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে কেউ যখন মল—মূত্র ত্যাগের উদ্দেশ্যে গমন করিবে, তখন সে যেন কিবলামুখী হয়ে ও কিবলাকে পেছনে রেখে না বসে।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
১৯.পরিচ্ছেদঃ পায়খানা—পেশাবের সময় কিবলাকে পেছনে রেখে বসা নিষেধ
২১ আবু আইয়্যূব আনসারী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ পেশাব ও পায়খানার জন্য তোমরা কিবলামূখী হয়ে এবং কিবলাকে পেছনে রেখে বসবে নাঃ বরং পূর্বদিক ও পশ্চিম দিক ফিরে বসবে। {১}
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২০.পরিচ্ছেদঃ পায়খানা—পেশাবের সময় পূর্ব অথবা পশ্চিমদিকে ফিরে বসার নির্দেশ {২}
২২ আবু আইয়ূব আনসারী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে কেউ যখন [পায়খানার জন্য] ঢালু জমির দিকে যাবে তখন সে যেন কিবলামুখী হয়ে না বসে এবং সে যেন পূর্ব ও পশ্চিমদিকে মুখ করে বসে।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২১.পরিচ্ছেদঃ ঘরের ভেতর কিবলামুখী হয়ে বসার অনুমতি
২৩ আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ আমি [একদিন] আমাদের ঘরের ছাদে উঠেছিলাম। তখন রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে মুখ করে পায়খানা পেশাবের প্রয়োজনে দুটি ইটের উপবিষ্ট অবস্থায় দেখেছি। {১}
{১} হানাফী মাযহাব অনুযায়ী ঘরের ভেতরে ও বাইরে কোথাও কিবলামুখী হয়ে কিংবা কিবলাকে পেছনে রেখে পেশাব-পায়খানায় বসার অনুমতি নেই। এ হাদিস উল্লেখিত ঘটনাটি নিষেধাজ্ঞা আরোপের পূর্বেকার ঘটনা কিংবা নাবী করীম [সাঃআঃ] বিশেষ কোন ওজরবশত ঐরূপ করেছিলেন।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৪ আবু কাতাদা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
রাসূলুল্লাহ [সাঃ] বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে কেউ যখন পেশাব করিবে, তখন সে যেন ডান হাত দ্বারা তার লিঙ্গ স্পর্শ না করে।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৫ আবু কাতাদা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ [সাঃ] বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন পায়খানা বা পেশাবখানায় প্রবেশ করিবে, তখন সে যেন ডান হাত দ্বারা তার লিঙ্গ স্পর্শ না করে।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২২.পরিচ্ছেদঃ মাঠে-ময়দানে দাঁড়িয়ে পেশাব করার অনুমতি
২৬ হুযায়ফা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] লোকদের আবর্জনা ফেলার স্থানে আসেন এবং [সেখানে] দাঁড়িয়ে পেশাব করেন। {১}
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৭ হুযায়ফা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] লোকদের আবর্জনা ফেলার স্থানে আসেন এবং [সেখানে] দাঁড়িয়ে পেশাব করেন।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৮ হুযায়ফা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আবর্জনা ফেলবার স্থানে গমন করিলেন এবং দাঁড়িয়ে পেশাব করিলেন।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৩.পরিচ্ছেদঃ ঘরের ভেতর বসে পেশাব করা
২৯ আয়িশাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ যে ব্যক্তি তোমাদের বলে যে; রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] দাঁড়িয়ে পেশাব করিয়াছেন, তোমরা তার কথা বিশ্বাস করিবে না। [কেননা] তিনি বসেই পেশাব করিতেন।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৪.পরিচ্ছেদঃ কোন সুতরার {১} দ্বারা আড়াল করে পেশাব করা
৩০ আবদুর রহমান ইব্ন হাসানা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] একদা আমাদের কাছে আগমন করিলেন। তাহাঁর হাতে চামড়ার তৈরি ঢালের মত একটি বস্তু ছিল। তিনি তা স্থাপন করিলেন। এরপর তার পেছনে বসলেন এবং সেদিকে ফিরে পেশাব করিলেন। জনৈক ব্যক্তি বললো, দেখ, তিনি স্ত্রীলোকের ন্যায় পেশাব করছেন। লোকটির কথা তিনি শুনে ফেললেন এবং বললেনঃ তুমি কি জান না যে, বনী ইসরাঈলের এক ব্যক্তির শাস্তি হয়েছে? তাহাদের যদি পেশাবের কোন ফোটা শরীরে লাগত তাহলে কাঁচি দিয়ে সে অংশ তারা কেটে ফেলত। তাহাদের এক ব্যক্তি তাহাদেরকে এরূপ করিতে নিষেধ করে। এজন্য তাকে কবরে শাস্তি দেওয়া হয়।
{১} সুতরাঃপায়খানা-পেশাবের সময় যা আড়াল হিসাবে ব্যবহার করা হয়। নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৫.পরিচ্ছেদঃ পেশাবের ছিটা হইতে বেঁচে থাকা
৩১ ইব্ন আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] দুটি কবরের নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। [এমনি সময়] তিনি বললেনঃ এ দুটি কবরের লোককে আযাব দেওয়া হচ্ছে। [অবশ্য] কোন কবীরা গুনাহর কারণে আযাব দেওয়া হচ্ছে না। [এরপর তিনি কবর দুটির দিকে ইংগিত করে বলিলেন] এই যে, কবরের অধিবাসী, সে তার পেশাবের [ফোঁটা] হইতে বেঁচে থাকত না। আর এই যে কবরের অধিবাসী, সে চুগলি করে বেড়াত। তারপর তিনি একটি খেজুরের তাজা শাখা আনতে বলিলেন। [শাখা আনা হলে] তিনি তা দুভাগে বিভক্ত করিলেন এবং উভয় কবরের উপর একটি করে শাখা পুঁতে দিলেন। তারপর বললেনঃ আল্লাহ্ তাআলা হয়ত শাখাগুলো না শুকানো পর্যন্ত এদের আযাব হালকা করে দেবেন।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৬.পরিচ্ছেদঃ পাত্রে পেশাব করা
৩২ উমায়মা বিনত রুকায়কা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর একটি কাঠের পেয়ালা ছিল। তিনি তাতে [রাত্রে] পেশাব করিতেন এবং তা খাটের নিচে রেখে দিতেন। {১}
{১} তা ছিল প্রয়োজনবশত। নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহীহ
২৭.পরিচ্ছেদঃ তশতরিতে পেশাব করা
৩৩ আয়িশাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
আয়িশাহ [রাঃআঃ] বর্ণিত। তিনি বলেনঃ লোকেরা বলে যে, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] [হযরত] আলী [রাঃআঃ]-কে ওসিয়ত করিয়াছেন। [অথচ তিনি তার অন্তিমকালে] পেশাব করবার জন্য একটি তশতরি আনতে বললেনঃ আর অমনি তাহাঁর দেহ মুবারক [মৃত্যুর কারণে] ঢলে পড়ল, অথচ আমি টের পেলাম না [যে তার মৃত্যু হয়েছে]। কাজেই তিনি কাকে [কখন] ওসিয়ত করিলেন?
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
২৮.পরিচ্ছেদঃ গর্তে পেশাব করা মাকরূহ
৩৪ আবদুল্লাহ ইব্ন সারজিস্ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন যে, তোমাদের মধ্যে কেউ যেন গর্তে পেশাব না করে। লোকেরা তাঁকে জিজ্ঞাসা করলোঃ গর্তে পেশাব করা দূষণীয় কেন? তিনি জবাব দেন যে, বলা হয়ে থাকে, গর্ত জিন্নের বাসস্থান। {১}
{১} অনেক সময় গর্তের মধ্যে সাপ, বিচ্ছু, ইঁদুর, বিষাক্ত, পোকা-মাকড় ইত্যাদি বসবাস করে থাকে। সেখানে পেশাব করলে কষ্টদায়ক প্রানী মানুষের ক্ষতি করিতে পারে; অপরদিকে দুর্বল প্রাণী ক্ষতিগ্রস্ত হইবে।-অনুবাদক , নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
২৯.পরিচ্ছেদঃ বদ্ধ পানিতে পেশাব করা নিষেধ
৩৫. জাবির [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বদ্ধ পানিতে পেশাব করিতে নিষেধ করিয়াছেন।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩০.পরিচ্ছেদঃ গোসলখানায় পেশাব করা মাকরূহ
৩৬. আবদুল্লাহ ইব্ন মুগাফ্ফাল [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন গোসলখানায় পেশাব না করে। কেননা এর কারণেই অধিকাংশ বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ অন্যান্য
৩১.পরিচ্ছেদঃ পেশাবরত ব্যক্তিকে সালাম দেওয়া
৩৭. আবদুল্লাহ ইব্ন উমর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] পেশাব করছিলেন। এমন সময় এক ব্যক্তি তাহাঁর পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। সে তাঁকে সালাম দিল। কিন্তু তিনি তার সালামের জবাব দিলেন না। {১}
{১} পেশাবরত ব্যাক্তিকে সালাম দেওয়া নিষেধ। তাই সেই সময় উক্ত ব্যক্তির সালামের জবাব দেননি। নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহীহ
৩২.পরিচ্ছেদঃ উযূ করার পর সালামের জবাব দেয়া
৩৮. মুহাজির ইবন কুনফুয [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] পেশাব করছিলেন, এমতাবস্থায় তিনি তাঁকে সালাম দেন। কিন্তু নাবী [সাঃআঃ] উযূ করার পূর্বে সালামের জবাব দেননি; উযূ করার পর সালামের জবাব দেন।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৩.পরিচ্ছেদঃ হাড় দ্বারা পবিত্রতা অর্জন [ঢেলা হিসেবে ব্যবহার] করা নিষিদ্ধ
৩৯. আবদুল্লাহ্ ইব্ন মাসউদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তোমাদেরকে হাড় এবং শুষ্ক গোবর দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করিতে নিষেধ করিয়াছেন।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৪.পরিচ্ছেদঃ গোবর দ্বারা পবিত্রতা অর্জন নিষিদ্ধ
৪০. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
রাসূলূল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আমি তো তোমাদের জন্য পিতৃতুল্য। আমি তোমাদেরকে শিক্ষা দেই। তোমাদের মধ্যে কেউ যখন পেশাব-পায়খানার স্থানে যাবে, তখন সে যেন কিবলার দিকে ফিরে অথবা কিবলাকে পেছনে রেখে না বসে। আর ডান হাতে যেন পবিত্রতা অর্জন না করে। নাবী [সাঃআঃ] তিনটি পাথর [ঢেলা] ব্যবহার করিতে হুকুম করিতেন এবং গোবর ও হাড়কে ঢেলা হিসেবে ব্যবহার করিতে নিষেধ করিতেন।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহীহ
৩৫.পরিচ্ছেদঃ তিনটির কম ঢেলা দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করা নিষিদ্ধ
৪১. সালমান [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ তাঁকে এক ব্যক্তি বলিল, তোমাদের নাবী তোমাদেরকে শিক্ষা দেন। এমনকি পায়খানা-পেশাবে কিভাবে বসবে তাও। সালমান [রাঃআঃ] [উত্তরে] বললেনঃ নিশ্চয়ই। তিনি আমাদেরকে পেশাব-পায়খানাকালে কিবলামূখী হয়ে বসতে, ডান হাতে ইস্তিঞ্জা করিতে এবং তিনটি কুলুখের কমে ক্ষান্ত হইতে নিষেধ করিয়াছেন।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৬.পরিচ্ছেদঃ দুটি ঢেলার দ্বারা পবিত্রতা অর্জনের অনুমতি
৪২. আসওয়াদ [রহঃ] হইতে বর্ণীত
আবদুল্লাহ ইব্ন মাসউদ [রাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছেন যে, নাবী [সাঃআঃ] একদিন [পায়খানার জন্য] ঢালু জমিতে আসেন এবং আমাকে তিনটি পাথর [ঢেলা] আনার জন্য হুকুম করেন। আমি দুটি পাথর পেলাম। তৃতীয়টি খোঁজ করলাম। কিন্তু পেলাম না। কাজেই আমি একটি গোবরের টুকরা নিলাম এবং এগুলো নিয়ে নাবী [সাঃআঃ]-এর নিকট আসলাম। তিনি পাথর দুটি নিলেন ও গোবর ফেলে দিলেন এবং বলিলেন, ইহা রিকস। আবু আবদুর রহমান বলেনঃ রিকস হলো জীনের খাদ্য।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৭.পরিচ্ছেদঃ একটি ঢেলা দ্বারা পবিত্রতা অর্জনের অনুমতি
৪৩. সালামা ইব্ন কায়স [রাঃআঃ হইতে বর্ণীত
[সাঃআঃ] থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, যখন ঢেলা ব্যবহার কর তখন বেজোড় ব্যবহার কর।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৮.পরিচ্ছেদঃ শুধু ঢেলা দ্বারা পবিত্রতা অর্জন যথেষ্ট
৪৪. আয়িশাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন [পায়খানার জন্য] ঢালু ভূমিতে যাবে, সে যেন সাথে করে তিনটি পাথর নিয়ে যায় এবং এগুলোর দ্বারা যেন সে পবিত্রতা অর্জন করে। এটা তার [পবিত্রতা অর্জনের] জন্য যথেষ্ট হইবে।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৯.পরিচ্ছেদঃ পানির দ্বারা পবিত্রতা অর্জন
৪৫. আতা ইবন আবু মায়মূনা [রহঃ] হইতে বর্ণীত
আমি আনাস ইবন মালিক [রাঃআঃ]-কে বলিতে শুনিয়াছি, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যখন পায়খানা-পেশাবের প্রয়োজনে উন্মুক্ত স্থানে প্রবেশ করিতেন তখন আমি এবং আমার সাথে আমার মতই আর একটি ছেলে পানির পাত্র বয়ে আনতাম। তিনি পানি দ্বারা ইস্তিঞ্জা করিতেন।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৪৬. আয়িশাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেছেনঃ তোমাদের স্বামীদেরকে পানি দ্বারা শৌচকার্য করিতে বল। আমি নিজে তাহাদেরকে বলিতে লজ্জাবোধ করি। রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এরূপ করিতেন।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৪০.পরিচ্ছেদঃ ডান হাতে ইস্তিঞ্জা করা নিষিদ্ধ
৪৭. আবু কাতাদা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন পান করে, তখন সে যেন পাত্রে নিঃশ্বাস না ফেলে এবং যখন পায়খানা-প্রস্রাবের জন্য যায়, তখন সে যেন তার ডান হাত দ্বারা লিঙ্গ স্পর্শ না করে এবং ডান হাত দ্বারা ইস্তিঞ্জা না করে।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৪৮. আবু কাতাদা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
নাবী [সাঃআঃ] পাত্রে নিঃশ্বাস ফেলতে এবং ডান হাতে লিঙ্গ স্পর্শ করিতে ও ডান হাতে শৌচকার্য করিতে নিষেধ করিয়াছেন।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৪৯. সালমান [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
তিনি বলেনঃ মুশরিকরা বললোঃ তোমাদের নাবীকে দেখেছি যে, তোমাদেরকে পায়খানা-পেশাবের পদ্ধতি শিক্ষা দেন! সালমান [রাঃআঃ] বলিলেন, নিশ্চয়ই। তিনি আমাদের নিষেধ করিয়াছেন যে, আমাদের কেউ যেন ডান হাতে ইস্তিঞ্জা না করে এবং কিবলামূখী হয়ে [পায়খানা-পেশাবে] না বসে। তিনি আরও বলেছেন যে, তোমাদের কেউ যেন তিনটির কম কুলুখ [ঢেলা] দ্বারা ইস্তিঞ্জা না করে।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৪১.পরিচ্ছেদঃ ইস্তিঞ্জার পর হাত মাটিতে ঘষা
৫০. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
নাবী [সাঃআঃ] ইস্তিঞ্জা করার পর মাটিতে হাত ঘষেন এবং উযূ করেন।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
৫১. জারীর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত
জারীর [রাঃআঃ] বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি নাবী [সাঃআঃ] এর সঙ্গে ছিলাম। তিনি পায়খানা-পেশাবের স্থানে গেলেন এবং প্রয়োজন সমাধা করিলেন। তারপর বলিলেন, হে জারীর ! পানি আন, আমি তাঁকে পানি এনে দিলাম। তিনি পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করেন এবং হাত মাটিতে ঘষেন। আবু আবদুর রহমান বলেনঃ এটি শারীকের হাদিসের তুলনা অধিক সঠিক বলে প্রতীয়মান হয়। আল্লাহ সম্যক অবগত।
নাসায়ী শরীফ বাংলা হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
Leave a Reply