পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময়সূচি অধ্যায়। মুয়াত্তা ইমাম মালিক

নামাজের সময়সূচি

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময়সূচি, এই অধ্যায়ে হাদীস =৩০ টি ( ১-৩০ পর্যন্ত )>> মুয়াত্তা ইমাম মালিক এর মুল সুচিপত্র দেখুন

অধ্যায় – ১ নামাযের সময়

পরিচ্ছেদঃ ১ পাঁচ ওয়াক্তের সময়
পরিচ্ছেদঃ ২ জুমআর সময়
পরিচ্ছেদঃ ৩ যে ব্যক্তি নামাযের এক রাকআত পায়
পরিচ্ছেদঃ ৪ দুলুকুশ শামস ও গাসাকুল লাইল-এর বর্ণনা
পরিচ্ছেদঃ ৫ নামাযের সময় সম্পর্কীয় বিবিধ রেওয়ায়ত
পরিচ্ছেদঃ ৬ নামায হতে নিদ্রায় থাকা
পরিচ্ছেদঃ ৭ দ্বিপ্রহরে [প্রখর রৌদ্রতাপে] নামায আদায় নিষেধ
পরিচ্ছেদঃ ৮ – নামাযে মুখ ঢেকে রাখা ও পিয়াজের গন্ধসহ মসজিদে প্রবেশ করা নিষেধ

পরিচ্ছেদঃ ১ পাঁচ ওয়াক্তের সময়

নামাজের সময়সূচি – ১ – ইবনি শিহাব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ

উমার ইবনি আবদুল আযীয [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] একদিন নামায দেরিতে আদায় করিলেন। উরওয়াহ ইবনি যুবায়র [রাঃআ:] তাহাঁর নিকট এসে খবর দিলেন যে, মুগীরা ইবনি শুবা যখন কূফায় ছিলেন তখন তিনি একদিন নামায দেরিতে আদায় করিলেন। তারপর আবু মাসউদ আনসারী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] তাহাঁর নিকট এসে বলিলেন, মুগীরা! এই দেরি কেন? আপনার জানা নেই কি জিবরাঈল [আ] অবতরণ করিলেন, অতঃপর নামায আদায় করিলেন? [তাহাঁর সাথে] রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ও নামায আদায় করিলেন, অতঃপর জিবরাঈল [আ] নামায আদায় করিলেন, [তাহাঁর সাথে] রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও নামায আদায় করিলেন, তারপর জিবরাঈল [আ] নামায আদায় করিলেন, [তাহাঁর সাথে] রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামায আদায় করিলেন। তারপর বলিলেন, আপনার প্রতি এরই [এভাবে নামায আদায় করার] নির্দেশ দেয়া হয়েছে। উমার ইবনি আবদুল আযীয [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলিলেন, উরওয়াহ! তুমি কী বর্ণনা করছ ভেবে দেখ। জিবরাঈল [আ]-ই কি রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য নামাযের সময় ঠিক করেন? উরওয়াহ বলিলেন, বাশীর ইবনি আবু মাসুদ আনসারী তাহাঁর পিতা হতে এরূপ হাদীস বর্ণনা করিতেন।

[বোখারী ৫২২, মুসলিম ৬১১] হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

২ – উরওয়াহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ

নবি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহধর্মিণী আয়েশা [রাঃআ:] আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করেন। রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন আসর নামায আদায় করিতেন তখনও সূর্যের আলো আয়েশার ঘরে থাকত, আলো ঘরের মেঝে হতে প্রাচীরে উঠার পূর্বে।

[বোখারী ৫২২, ৫৪৫, মুসলিম ৬১১] হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

নামাজের সময়সূচি – ৩ – আতা ইবনি ইয়াসার [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ

এক ব্যক্তি রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এল এবং ফজর নামাযের সময় সম্পর্কে জানতে চাইলো। রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার প্রশ্নের উত্তর দানে বিরত থাকলেন। দ্বিতীয় দিন ফজর [সূবহে সাদিক] হলে তিনি ফজরের নামায আদায় করিলেন। তারপরের দিন ফজর আদায় করিলেন [ভোরের আলো] পূর্ণাঙ্গ প্রকাশিত হওয়ার পর। অতঃপর তিনি বলিলেন, নামাযের সময় সম্পর্কে প্রশ্নকারী কোথায়? [সেইলোক] বলিল, আমিই সেই ব্যক্তি ইয়া রসূলাল্লাহ। তিনি বলিলেন, এতদুভয়ের মধ্যবর্তী মুহূর্তগুলিই ফজর নামাযের সময়।

[নাসাঈ, আনাস [রাঃআ:] হতে বর্ণিত ৬৪২, নাসিরুদ্দিন আলবানি সহিহ বলেছেন। ইমাম মালিক মুরসাল ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন] হাদিসের তাহকিকঃ অন্যান্য

নামাজের সময়সূচি – ৪ আয়েশা [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ

রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ফজর আদায় করিতেন তখন মেয়েলোকেরা নামায আদায়ের পর তাহাদের চাদর গায়ে দিয়ে [ঘরের দিকে] ফিরতেন, অন্ধকারের জন্য তাঁদেরকে চেনা যেত না।

[বোখারী ৩৭২ মুসলিম ৬৪৫] হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

নামাজের সময়সূচি – ৫ – আবু হুরাইরা [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ

রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি সূর্য ওঠার পূর্বে ফজরের এক রাকাত পেয়েছে সে ফজর নামায পেয়েছে। আর যে ব্যক্তি সূর্য ডুবার আগে আসরের এক রাকআত পেয়েছে সে আসর নামায পেয়েছে।

[বোখারী ৫৭৯, মুসলিম ৬০৮] হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৬ – নাফি [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ

উমার ইবনিল খাত্তাব [রাঃআ:] তাহাঁর [অধীনস্থ] কর্মকর্তাদের কাছে লিখেছেন, আমার মতে তোমাদের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে নামায, অতএব যে এটার রক্ষণাবেক্ষণ করিল এবং [নিষ্ঠার সাথে] বরাবর পালন করিল সে নিজের দ্বীনের হিফাজত করিল, আর যে নামাযকে নষ্ট করিল, সে নামায ছাড়া অন্যান্য ধর্মীয় দীনি কাজেরও অধিক নষ্টকারী হইবে। তিনি আরও লিখলেন, তোমরা যোহরের নামায আদায় করো যখন ফাই [সূর্য পশ্চিমে হেলিয়া পড়ার পর যে ছায়া হয় তা] এক হাত হয়। এই নামাযের সময় তোমাদের প্রত্যেকের ছায়া তার সমপরিমাণ হওয়া পর্যন্ত। আর আসরের নামায আদায় করো যখন সূর্য উর্ধ্বে উজ্জ্বল ও পরিচ্ছন্ন থাকে। [সেই সময় হতে] সূর্যাস্তের পূর্বে সওয়ারী ব্যক্তি দুই বা তিন ফরসখ চলতে পারে এতটুকু সময় পর্যন্ত। আর মাগরিব আদায় করো যখন সূর্য ডুবে যায়, আর ইশা আদায় করো [শফক] অদৃশ্য হওয়ার পর হতে এক-তৃতীয়াংশ রাত পর্যন্ত। আর যে [ইশা না আদায় করে] ঘুমাতে যায় তার চোখে যেন ঘুম না আসে, আর যে ঘুমাতে যায় তার চোখে যেন ঘুম না আসে, আর যে ঘুমাতে যায় তার চক্ষুর যেন ঘুম না আসে। আর ফজর [আদায় করো] যখন নক্ষত্রসমূহ পরিষ্কারভাবে প্রকাশিত হয় এবং পরস্পর খাপিয়া যায়।

[মুনকাতে ইমাঃ বাইহাকী, সুনানে কুবরা ১/৪৪৫, তাহাবী শরহে মানিল আসার ১/১৯৩, তিনি ইমাম মালেকের সনদে বর্ণনা করেন যা মুনকাতে সনদ] হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণয় করা হয়নি

৭ – মালিক ইবনি আসবাহী [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ

উমার ইবনি খাত্তাব [রাঃআ:] আবু মূসা আশআরী [রাঃআ:]-এর কাছে [পত্র] লিখেছেন, সূর্য ঢলিয়া পড়লে পর তুমি যোহর আদায় কর, আর আসর আদায় কর যখন সূর্য উজ্জ্বল ও পরিচ্ছন্ন থাকে, সেটাতে হলুদ বর্ণ প্রকাশ হওয়ার পূর্বে। সূর্যাস্তের পর মাগরিব আদায় কর। আর ইশা আদায় কর ঘুমানোর আগে। আর নক্ষত্রসমূহ যখন [ফজরের আলোতে] উদ্ভাসিত হয় এবং একে অপরের সাথে খাপিয়া যায় তখন ফজর আদায়। আর ফজর নামাযে মুফাছছল হতে দুইটি দীর্ঘ সূরা পাঠ কর।

[নাফি ওমর [রাঃআ:] হতে হাদীস শুনেনি, মালিক [রঃ] একই বর্ণনা করেন তবে মুয়াত্তার ব্যাখ্যা গ্রন্থ শরহে যুরকানীতে ১/৩৬, এর সমর্থনে একাধিক মারফু ও মাওকুফ হাদীস রয়েছে, হাদীসটি ইমাম মালিক একাই বর্ণনা করেন, এই অধ্যায়ে শাহেদ মারফু ও মাওকুফ- হাদীস রয়েছে] হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণয় করা হয়নি

৮ – উরওয়া ইবনি যুবায়র [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ

উমার ইবনি খাত্তাব [রাঃআ:] আবু মূসা আশআরী [রাঃআ:]-এর কাছ লিখেছেন, তুমি আসর আদায় করো যখন সূর্য উজ্জ্বল ও পরিষ্কার থাকে; আরোহী তিন ফরসখ পথ যেতে পারে সেই পরিমাণ সময় পর্যন্ত। আর ইশা আদায় কর তোমার সম্মুখে যখন ইশা উপস্থিত হয় সেই সময় হতে এক তৃতীয়াংশ রাত্রি পর্যন্ত। যদি তুমি আরও দেরি কর তবে অর্ধরাত্রি পর্যন্ত কর। তবে তুমি অলসদের অন্তর্ভুক্ত হইও না।

[হাদীসটি ইমাম মালিক [রঃ] এককভাবে বর্ণনা করেন, পূর্বে এর সমর্থনে হাদীস রয়েছে] হাদিসের তাহকিকঃ অন্যান্য

৯ – আবদুল্লাহ ইবনি রাফি [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ

আবু হুরাইরা [রাঃআ:]-এর কাছে নামাযের সময় সম্পর্কে জানতে চাইলেন। উত্তরে আবু হুরাইরা [রাঃআ:] বলিলেন, আমি তোমাকে নামাযের সময়ের সংবাদ দিব, যোহর আদায় কর যখন তোমার ছায়া তোমার সমপরিমাণ হয়। আর আসর আদায় কর যখন তোমার ছায়া তোমার দ্বিগুণ হয়। মাগরিব আদায় কর যখন সূর্য অস্ত যায়। আর ইশা আদায় কর তোমার সম্মুখ [অর্থাৎ তোমার সামনে উপস্থিত ইশার প্রথম সময়] হতে এক তৃতীয়াংশ রাত্রি পর্যন্ত আর ফজর আদায় কর গাবস অর্থাৎ গলসে-রাত্রের অন্ধকার কিছুটা বাকি থাকিতে।

[ইমাম মালিক [রঃ] এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন, এ হাদীসের সমর্থনে আরো হাদীস রয়েছে] হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণয় করা হয়নি

১০ – আনাস ইবনি মালিক [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ

আমরা আসর সালাত আদায় করতাম, অতঃপর লোকজন বের হতেন [কুবায় অবস্থিত] বনি আমর ইবনি আউফ-এর বস্তির দিকে, সেখানে তাহাদেরকে এ অবস্থায় পেতেন যে, তাঁরা আসরের নামায আদায় করিতেছেন।

[বোখারী ৫৪৮, মুসলিম, ৬২১] হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১১ – আনাস ইবনি মালিক [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ

আমরা আসর সালাত আদায় করতাম। অতঃপর গমনকারী কুবার দিকে গমন করিতেন এবং তাঁদের [কুবাবাসীদের] কাছে এসে পৌঁছতেন [এমন সময় যে], সূর্য তখনও উঁচুতে।

[বোখারী ৫৫০, ৫৫১, মুসলিম ৬২১] হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১২ – কাসিম ইবনি মুহাম্মাদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ

যোহরের নামায লোকদেরকে সূর্য ঢলার বেশ কিছুক্ষণ পর আদায় করিতে আমি পেয়েছি।

[হাদীসটি ইমাম মালিক [রঃ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন] হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণয় করা হয়নি

পরিচ্ছেদঃ ২ জুমআর সময়

১৩ – আবু সুহায়ল [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ

তাহাঁর পিতা মালিক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেছেন, আমি জুমআর দিন আকীল ইবনি আবু তালিবের একটি ছোট চাটাই [অথবা চাদর] দেখিতে পেতাম। এটা মসজিদের পশ্চিম প্রাচীরের দিকে ফেলে রাখা হত। প্রাচীরের ছায়া যখন চাটাইকে সম্পূর্ণভাবে ঢেকে ফেলত, তখন উমার ইবনি খাত্তাব [রাঃআ:] বের হতেন এবং জুমআ আদায় করাতেন। জুমআর নামায শেষে আমরা ফিরে আসতাম এবং দুপুরের বিশ্রাম নিতাম।

[মালিক [রঃ] একাই বর্ণনা করছেন] হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণয় করা হয়নি

১৪ – ইবনি আবী সালিত [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ

উসমান ইবনি আফফান [রাঃআ:] জুমআর সালাত মদীনায় আদায় করিয়াছেন, আর আসরের সালাত মলালা {১} নামক জায়গায়। মালিক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, ইহা তানজীর [সূর্য পশ্চিমে ঢলার পরপরই জুমআ আদায় করা] ও দ্রুতগতিতে পথ অতিক্রমের জন্য।

[হাদীসটি ইমাম মালিক [রঃ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন] {১} মদীনা এবং মলালা-এর মধ্যকার দূরত্ব বলা হয়েছে। মতান্তরে ২২, ১৮, ১৭ মাইল। হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণয় করা হয়নি

পরিচ্ছেদঃ ৩ যে ব্যক্তি নামাযের এক রাকআত পায়

নামাজের সময়সূচি – ১৫ – আবু হুরাইরা [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ

রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যে নামাযের এক রাকাত পেয়েছে সে অবশ্য নামায পেয়েছে।

[বোখারী ৫৮০, মুসলিম ৬০৭] হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১৬ – নাফি [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাঃআ:] বলিতেন, যদি তোমার রুকূ ফাউত হয়ে গেল [পাওয়া গেল না] তবে তোমার সিজদাও ফাউত হয়ে গেল।

[হাদীসটি ইমাম মালিক [রঃ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন] হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণয় করা হয়নি

১৭ – মালিক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ ইবনি উমার ও যায়দ ইবনি সাবিত [রাঃআ:] তাঁরা দুজনে বলিতেন, যে লোক রুকূ পেয়েছে সে সিজদাও পেয়েছে।

[হাদীসটি ইমাম মালিক [রঃ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন] হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণয় করা হয়নি

নামাজের সময়সূচি – ১৮ – মালিক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ

মালিক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, তাহাঁর কাছে রেওয়ায়ত পৌঁছেছে যে, আবু হুরাইরা [রাঃআ:] বলিতেন, যে রুকূ পেয়েছে সে সিজদাও পেয়েছে। আর যাঁহার উম্মুল-কুরআন ফাউত হয়েছে [সূরা ফাতিহা চলে গেছে] তাহাঁর অনেক সওয়াব ফাউত হয়েছে।

[হাদীসটি ইমাম মালিক [রঃ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন] হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণয় করা হয়নি

পরিচ্ছেদঃ ৪ দুলুকুশ শামস ও গাসাকুল লাইল-এর বর্ণনা

১৯ – নাফি [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাঃআ:] বলিতেন, দুলুকুশ শাম্স হচ্ছে [মধ্যাকাশ হতে] সূর্য পশ্চিমে হেলিয়া পড়া।

[হাদীসটি ইমাম মালিক [রঃ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন] হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণয় করা হয়নি

২০ – আবদুল্লাহ ইবনি আব্বাস [রা] হইতে বর্ণিতঃ

দুলুকুশ শাম্স যখন ছায়া [পশ্চিম দিকে] ঝুঁকে আর গাসাকুল লাইল হচ্ছে রজনী ও তার অন্ধকার।

[হাদীসটি ইমাম মালিক [রঃ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন] হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণয় করা হয়নি

পরিচ্ছেদঃ ৫ নামাযের সময় সম্পর্কীয় বিবিধ রেওয়ায়ত

নামাজের সময়সূচি – ২১ – নাফি [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাঃআ:] বলেছেন, যে ব্যক্তির আসরের নামায ফাউত হয়েছে তবে যেন তার পরিবার-পরিজন ও সম্পদ ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে [অর্থাৎ পরিবার-পরিজন ও ধন-সম্পদ হারালে যেমন ক্ষতি হয় তদ্রুপ ক্ষতি হয়েছে]।

[বোখারী ৫৫২, মুসলিম ৬২৬] হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

২২ – ইয়াহইয়া ইবনি সাঈদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ

আসরের নামায হতে ফেরার পথে উমার ইবনি খাত্তাব [রাঃআ:]-এর এমন এক ব্যক্তির সাথে সাক্ষাৎ হল যিনি আসরের নামাযে হাজির হন নাই। উমার [রাঃআ:] বলিলেন আসরের নামায হতে তোমাকে কোন বস্তু বিরত রাখল? লোকটি তাহাঁর [উমারের] নিকট কারণ জানালেন। কারণ শুনে উমার [রা] বলিলেন, [জামাআতে হাযির না হওয়ায়] তোমার সওয়াব কমেছে।

[হাদীসটি ইমাম মালিক [রঃ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন] মালিক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, বলা হয়ে থাকে “প্রত্যেক বস্তুর পূর্ণতা এবং ক্ষতি বা লোকসান রয়েছে।” হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণয় করা হয়নি

২৩ – ইয়াহইয়া ইবনি সাঈদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ

মুসল্লি এমন সময়ে নামায আদায় করিবে, যখন তাহাঁর নামাযের ওয়াক্ত ফাউত হয় নি, তাই খুবই উত্তম, কিন্তু মুসল্লির নামাযের যে সময় ফাউত হয়ে গিয়াছে [অর্থাৎ মুস্তাহাব সময় ফাউত হয়ে মাকরূহ ওয়াক্ত উপস্থিত হয়েছে] তবে সেই [ফাউত হওয়া মুস্তাহাব] সময় তাহাঁর পরিজন ও মাল অপেক্ষাও খুবই উত্তম।

মালিক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, সফরকালে [যেই সফরে নামায কসর আদায় করিতে হয় সেইরূপ সফর] যে ব্যক্তির নামাযের সময় উপস্থিত হয়েছে, সে যদি ভুলে অথবা ব্যস্ততাবশত নামায আদায়ে দেরি করে এবং এই অবস্থায় নিজের কাছে ফিরে আসে, তবে সে যদি নামাযের সময় থাকিতে পরিজনের কাছে ফিরে আসে সে মুকীমের নামায আদায় করিবে, আর যদি নামাযের সময় চলে যাওয়ার পর ফিরে আসে, সে মুসাফিরের নামায আদায় করিবে। কারণ যেরূপ তার উপর ফরয হয়েছিল সেইরূপ সে কাযা আদায় করিবে।

মালিক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, আমাদের নগরীর লোকজন ও আহলে ইলমকে আমি এর উপরই পেয়েছি [অর্থাৎ তাঁদের আমল ও অভিমতও ঐরূপই ছিল]।

মালিক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, অস্তাচলে যে লালিমা দৃষ্ট হয় তাই শফক। লালিমা চলে গেলে ইশার নামায ওয়াজিব হল এবং তুমি মাগরিবের সময় হতে বের হলে। {১} [হাদীসটি ইমাম মালিক [রঃ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]

{১} ইমাম মালিক, শাফিয়ী. আহমদ, আবু ইউসুফ, মুহাম্মদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর মাযহাব অনুরূপ। ইমাম আবু হানীফা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, লালিমা অস্ত যাওয়ার পর সাদা বর্ণ দেখা যায়, ওটাই শফক। এটা অদৃশ্য হলে ইশার নামাযের সময় শুরু হয়। ইশার সময় শুরু না হওয়া পর্যন্ত মাগরিবের সময় থাকে। হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণয় করা হয়নি

২৪ – নাফি [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাঃআ:] একবার জ্ঞান হারিয়ে ফেললেন। [হুঁশ ফিরে আসার পর] তিনি আর নামাযের কাযা আদায় করিলেন না।

মালিক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, আমাদের মতে এটা এইজন্য যে, নামাযের সময় চলে গিয়েছিল। আর নামাযের সময় থাকতে যে জ্ঞান ফিরে পায় সে নামায আদায় করিবে [আল্লাহ সর্বজ্ঞ]।

[হাদীসটি ইমাম মালিক [রঃ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন] হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণয় করা হয়নি

পরিচ্ছেদঃ ৬ নামায হতে নিদ্রায় থাকা

২৫ – সাঈদ ইবনি মুসায়্যাব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ

রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খায়বর হতে ফিরে আসার সময় রাত্রিবেলা পথ চললেন; যখন রাত্রের শেষ সময় হল তিনি [নিদ্রার জন্য] অবতরণ করিলেন এবং বিলাল [রাঃআ:]-কে বলিলেন, তুমি প্রত্যুষের প্রতি লক্ষ রাখ [ভোর হলে আমাদেরকে জাগিয়ে দেবে]। রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাহাঁর সাহাবীগণ ঘুমিয়ে পড়লেন। বিলাল [রাঃআ:] যথাসাধ্য লক্ষ রাখতে লাগলেন। অতঃপর উটের হাওদার সাথে ঠেস দিয়ে ভোরের আলোর উদয়ের স্থানকে সামনে রেখে বসলেন। হঠাৎ তাহাঁর উপর নিদ্রা ভর করিল। এই অবস্থায় রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, বিলাল এবং কাফিলার অন্য কেউ উঠলেন না যতক্ষণ না সূর্যকিরণ তাঁদের উপর পতিত হল। রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘাবড়ে গেলেন; তারপর বলিলেন বিলাল! এটা কি? বিলাল বলিলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ! আপনাকে যিনি ঘুম পাড়িয়েছেন তিনি আমাকেও ঘুম পাড়িয়েছেন। রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেন, তোমরা উট চালিত কর [এবং স্থানান্তরিত হও]। তাঁরা উটগুলিকে উঠালেন এবং কিছুদূর চললেন। অতঃপর রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিলালকে নির্দেশ দিলেন [ইকামত বলার জন্য]। তিনি ইকামত বলিলেন, তারপর রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁদেরকে ফজরের নামায আদায় করালেন। নামায সমাপ্ত করার পর তিনি বলিলেন, যে নামাযকে ভুলিয়া যায় [অর্থাৎ নামায হতে গাফিল হয় নিদ্রা অথবা ভূলের কারণে] নামাযের কথা স্মরণ হওয়ার পর সে তা আদায় করে নিবে। কারণ আল্লাহ তাআলা বলেছেন, أَقِمْ الصَّلَاةَ لِذِكْرِي “আমার স্বরণার্থে নামায কায়েম কর।”

[ছহীহ মুসলিম ৬৮০, আর ইমাম মালিক [রঃ] কর্তৃক বর্ণিত হাদীসটি মুরসাল] হাদিসের তাহকিকঃ অন্যান্য

২৬ – যায়দ ইবনি আসলাম [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ

মক্কার পথে রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম [একবার বিশ্রাম গ্রহণের জন্য] রাত্রিতে অবতরণ করিলেন এবং বিলালকে নামাযের জন্য জাগিয়ে দেয়ার দায়িত্বে নিযুক্ত করিলেন। তারপর বিলাল ঘুমালেন এবং অন্য সকলেও ঘুমালেন। এমন কি তাঁরা জেগে উঠলেন সূর্য ওঠার পর। হতচকিত অবস্থায় দলের লোকজন জাগ্রত হলেন। রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁদেরকে সওয়ার হওয়ার এবং সেই উপত্যকা হতে বাহিরে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিলেন। আর তিনি বলিলেন, এই উপত্যকায় অবশ্যই শয়তান রয়েছে। তারপর তাঁরা সওয়ার হলেন এবং সেই উপত্যকা হতে বের হয়ে গেলেন। অতঃপর রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁদেরকে অবতরণ এবং ওযূ করার নির্দেশ দিলেন। আর বিলালকে নামাযের জন্য আযান অথবা ইকামত বলার হুকুম করিলেন। তারপর রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকজনকে নামায আদায় করালেন। তারপর তাঁদের দিকে মুখ ফিরালেন এবং তাঁদের ঘাবড়ানোর অবস্থা অনুধাবন করিলেন। তখন তিনি বলিলেন, হে লোকসমাজ! আল্লাহ আমাদের আত্মাসমূহকে কাবু করেছিলেন, আর তিনি যদি ইচ্ছা করিতেন এই সময় ব্যতীত ভিন্ন সময়ে আত্মাসমূহকে আমাদের নিকট ফেরত দিতে পারতেন। যদি তোমাদের কেউ নামায হতে ঘুমিয়ে পড় অথবা উহাকে ভুলে যাও, অতঃপর হঠাৎ নামাযের কথা স্মরণ হয়, তবে সেই নামাযকে উহার নির্ধারিত সময়ে যেভাবে আদায় করিতে সেভাবে আদায় করিবে। তারপর রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবু বকর [রা]-এর দিকে দৃষ্টি করিলেন। তারপর বলিলেন, বিলাল যখন দাঁড়িয়ে নামায আদায় করিতেছিল তখন তাহাঁর কাছে শয়তান আসিল এবং তাঁকে ঠেস দেওয়াইয়া বসাইল এবং শিশুকে যেভাবে [থাপি দিয়া] শান্ত করা হয় ও ঘুম পাড়ানো হয় সেইভাবে তাহাঁর সঙ্গে বারবার করিতে থাকিল। এমন কি [শেষ পর্যন্ত] বিলাল ঘুমিয়ে পড়ল। তাহাঁরপর রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিলালকে আহ্বান করিলেন। অতঃপর রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবু বকর [রাঃআ:]-কে যেরূপ বলেছিলেন বিলালও অনুরূপ রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট বর্ণনা করিলেন। উহা শুনে আবু বকর [রা;] বলিলেন, আমি সাক্ষ্য দিতেছি যে, আপনি নিশ্চয়ই আল্লাহর রসূল।

[মালিক [রঃ] একাই বর্ণনা করিয়াছেন তবে এই হাদীসকে পূর্বের হাদীস ছাড়াও অন্যান্য হাদীস এর সমর্থনে পাওয়া যায়] হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণয় করা হয়নি

পরিচ্ছেদঃ ৭ দ্বিপ্রহরে [প্রখর রৌদ্রতাপে] নামায আদায় নিষেধ

২৭ – আতা ইবনি ইয়াসার [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ

রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করিয়াছেন, জাহান্নামের মূল হতেই প্রখর গ্রীষ্মের উৎপত্তি। তাই প্রচণ্ড গ্রীষ্মের সময় নামায দেরিতে আদায় কর। তিনি আরও বলিলেন, [জাহান্নামের] অগ্নি তাহাঁর নিকট ফরিয়াদ জানিয়ে বলিল, হে রব! আমার এক অংশ অপর অংশকে খেয়ে ফেলল। অতঃপর [আল্লাহ তাআলা] উহাকে বছরে দুবার শ্বাস ছাড়ার অনুমতি দিলেন-এক শ্বাস শীতকালে আর অপর শ্বাস গ্রীষ্মে।

[মালিক [রঃ] একাই বর্ণনা করিয়াছেন, এবং এই হাদীসের সমর্থনে মুয়াত্তা, বোখারী মুসলিম সহ অন্যান্য হাদীস গ্রন্থে হাদীস পাওয়া যায়] হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

২৮ – আবু হুরাইরা [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ

রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যখন গ্রীষ্ম প্রখর হয় সেই সময় নামায দেরি করে [গ্রীষ্মের প্রচণ্ডতা যখন কমে যায় তখন] আদায় কর। কারণ গরমের প্রখরতার উৎপত্তি জাহান্নামের মূল হতেই। তিনি [আরও] উল্লেখ করিলেন জাহান্নাম [উহার আগুন] তার পরওয়ারদিগারের নিকট ফরিয়াদ জানাল। ফলে আল্লাহ তাআলা উহার জন্য প্রতি বৎসর দুইটি শ্বাসের অনুমতি দিলেন, একটি শ্বাস শীতকালে আর একটি গ্রীষ্মকালে।

[ছহীহ, মুসলিম ৬১৭] হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

নামাজের সময়সূচি – ২৯ – আবু হুরাইরা [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ

রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যখন গ্রীষ্মের প্রচণ্ডতা বৃদ্ধি পায় তখন তোমরা নামায দেরি করে আদায় কর। কারণ গ্রীষ্মের প্রখরতার উৎপত্তি জাহান্নামের মূল হতেই।

[বোখারী ৫৩৪, মুসলিম ৬১৫] হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

পরিচ্ছেদঃ ৮ – নামাযে মুখ ঢেকে রাখা ও পিয়াজের গন্ধসহ মসজিদে প্রবেশ করা নিষেধ

নামাজের সময়সূচি – ৩০ – সাঈদ ইবনি মুসায়্যাব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ

রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যে এই উদ্ভিদ হতে আহার করে সে আমাদের মসজিদ সমূহের নিকটে যেন না আসে, পিয়াজের গন্ধ আমাদের কষ্ট দিবে। [সহিহ, মুসলিম ৫৬৩, তবে মালিক [রঃ]-এর বর্ণিত হাদীসটি মুরসাল]

সালিম ইবনি আবদুল্লাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] কোন লোককে নামাযে মুখাবৃত দেখলে খুব জোরে কাপড় [মুখ হতে] টেনে নিতেন। এমন কি মুখ হতে কাপড় ছিনিয়ে নিতেন।

[হাদীসটি ইমাম মালিক [রঃ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন] হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণয় করা হয়নি


by

Comments

One response to “পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময়সূচি অধ্যায়। মুয়াত্তা ইমাম মালিক”

Leave a Reply