জ্বর নিরাময়ের দোয়া ঝাড়ফুঁক ও পানি ঢালার নিয়ম

জ্বর নিরাময়ের দোয়া

আরও অনেক দোয়া পড়তে পড়ুন সরাসরি কোরআন হাদিসের আলাকে চিকিৎসা Ayat E Shifa Dua প্লেগ মহামারি ইত্যাদির দোয়া

পরিচ্ছেদঃ ১ জ্বরে আক্রান্তকে অথবা রোগীকে দেখিতে গিয়ে দুয়া করা
পরিচ্ছেদঃ ২ মুসলিমের কষ্ট বা রোগ ব্যাধি হলে আল্লাহ তাহাঁর গুনাহগুলো ঝরিয়ে দেন
পরিচ্ছেদঃ ৩ জ্বরের রোগীকে চাদর দিয়ে মুখমন্ডল ঢেকে রাখা ও সরিয়ে ফেলা
পরিচ্ছেদঃ ৪ জ্বর ও অন্যান্য সকল প্রকার ব্যথায় ঝাড়ফুঁক করা
পরিচ্ছেদঃ ৫ হিংসা, বদনযর এবং অপবাদ থেকে জ্বর হলে ঝাড়ফুঁক করা
পরিচ্ছেদঃ ৬ জ্বরের উত্তাপ পানি দিয়ে নিভাতে হয়
পরিচ্ছেদঃ ৭ জ্বরে আক্রান্ত হলে কবিতা আবৃত্তি করা

পরিচ্ছেদঃ ১ জ্বরে আক্রান্তকে অথবা রোগীকে দেখিতে গিয়ে দুয়া করা

হাদিসঃ সহিহুল বোখারি – ৫৬৫৬ঃ মুয়াল্লা ইবনু আসাদ — আব্দুল আজিজ ইবনু মুখতার — খালিদ — ইকরিমা — ইবনু আব্বাস (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ

নবী (সাঃআঃ) এক বেদুঈনের নিকট গিয়েছিলেন, তার রোগ সম্পর্কে জানার জন্য। বর্ণনাকারী বলেন, আর নবী (সাঃআঃ) -এর নিয়ম ছিল, তিনি যখন কোন রোগীকে দেখিতে যেতেন তখন তাকে বলিতেনঃ

لاَ بَأْسَ طَهُورٌ إِنْ شَاءَ اللهُ

উচ্চারণঃ লা বা’সা তাহুরুন ইন সা আল্লাহ, অর্থঃ (কোন ক্ষতি নেই। ইন্‌শাআল্লাহ তুমি তোমার গুনাহসমূহ থেকে পবিত্রতা লাভ করিবে)

بَأْسَ لاَ
কোন ক্ষতিনেই
إِنْ شَاءَ اللهُطَهُورٌ
ইন্‌শাআল্লাহ তুমি তোমার গুনাহসমূহ থেকেপবিত্রতা লাভ

তখন বেদুঈন বলিলঃ আপনি বলেছেন, এটা গুনাহ থেকে পবিত্র করে দেবে? কক্ষনো না, বরং এটা এমন এক জ্বর যা এক অতি বৃদ্ধকে গরম করছে কিংবা সে বলেছে উত্তপ্ত করছে, যা তাকে কবরে পৌঁছাবে। নবী (সাঃআঃ) বললেনঃ হাঁ তাহলে তেমনই।

ইমাম বুখারি এই হাদীস টি সংকলন করেছেন, ৭৫/১০. অদ্ধায়ে – অসুস্থ বেদুঈনদের সেবা করা। (আধুনিক প্রঃ- ৫২৪৫, ইঃ ফাঃ- ৫১৪১)

হাদিসঃ সহিহুল বোখারি – ৫৬৬২ঃ ইশহাক — খালিদ ইবনু আব্দুল্লাহ — খালিদ — ইকরিমা — ইবনু আব্বাস (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ

ইমাম বুখারি এই হাদীস টি সংকলন করেছেন, ৭৫/১৪. অধ্যায় : রোগীর সামনে কী বলতে হবে এবং তাকে কী জবাব দিতে হবে। (আধুনিক প্রঃ- ৫২৫১, ইঃ ফাঃ- ৫১৪৭)

হাদিসঃ সহিহুল বোখারি – ৭৪৭০ঃ মুহাম্মাদ — আব্দুল ওহাব সাকাফি — খালিদ আল হাজ্জাউ — ইকরিমা — ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাঃআঃ) এক বেদুঈনের কাছে প্রবেশ করিলেন তার রোগের খোঁজখবর নিতে। তিনি বললেনঃ

لاَ بَأْسَ عَلَيْكَ طَهُورٌ إِنْ شَاءَ اللهُ

উচ্চারণঃ লা বা’সা আলাইকা তাহুরুন ইন সা আল্লাহ , অর্থঃ (তোমার চিন্তার কোন কারণ নেই। ইনশা’আল্লাহ তুমি সুস্থ হয়ে যাবে। )

عَلَيْكَ
তোমার

বেদুঈন বলিল সুস্থতা? না, বরং এটি এমন জ্বর যা একজন বেশি বুড়োকে সিদ্ধ করছে, ফলে তাকে কবরে নিয়ে ছাড়বে। নবী (সাঃআঃ) বললেনঃ হ্যাঁ, তবে তাই।

ইমাম বুখারি এই হাদীস টি সংকলন করেছেন, ৯৭/৩১. অধ্যায়ঃ আল্লাহ্‌র ইচ্ছা ও চাওয়া। (আধুনিক প্রঃ- ৬৯৫২, ইঃ ফাঃ- ৬৯৬২

আদাবুল মুফরাদ – ৫১৬ঃ মুহাম্মাদ ইবনু সাল্লাম — আব্দুল ওহাব সাকাফি — খালিদ আল হাজ্জাউ — ইকরিমা — ইবনে আব্বাস (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ

ইমাম বুখারি এই হাদিস টি সংকলন করেছেন, “২৩৩.অনুচ্ছেদঃ রুগ্ন বেদুইনকে দেখতে যাওয়া। ” হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

পরিচ্ছেদঃ ২ মুসলিমের কষ্ট বা রোগ ব্যাধি হলে আল্লাহ তাহাঁর গুনাহগুলো ঝরিয়ে দেন

হাদিসঃ সহিহুল বোখারি – ৫৬৬০ঃ কুতাইবাহ — জারির — আ,মাসি — ইব্রাহীম আত তামিয়্যি — হারিস ইবনু সুওয়াইদ — আবদুল্লাহ ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) -এর কাছে প্রবেশ করলাম। তখন তিনি ভয়ানক জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন। আমি তাহাঁর গায়ে হাত বুলিয়ে দিলাম এবং বললামঃ হে আল্লাহ্‌র রসূল! আপনি ভীষণ জ্বরে আক্রান্ত। রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলিলেন, হ্যাঁ আমি এমন কঠিন জ্বরে আক্রান্ত হই, যা তোমাদের দু’জনের হয়ে থাকে। আমি বললামঃ এটা এজন্য যে, আপনার জন্য বিনিময়ও দ্বিগুণ। রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলিলেন, হ্যাঁ! এরপর রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বললেনঃ যে কোন মুসলিমের উপর কোন কষ্ট বা রোগ-ব্যাধি হলে আল্লাহ তাহাঁর গুনাহগুলো ঝরিয়ে দেন, যেমনভাবে গাছ তার পাতাগুলো ঝরিয়ে দেয়।

(আধুনিক প্রঃ- ৫২৪৯, ইঃ ফাঃ- ৫১৪৫)

হাদিসঃ সহিহুল বোখারি – ৫৬৬১ঃ কুতাইবাহ — সুফিয়ান — আ,মাসি — ইব্রাহীম আত তামিয়্যি — হারিস ইবনু সুওয়াইদ — আবদুল্লাহ ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ

(আধুনিক প্রঃ- ৫২৫০, ইঃ ফাঃ- ৫১৪৬)

হাদিসঃ সহিহুল বোখারি – ৫৬৬৭ঃ মুসা — আব্দুল আজিজ ইবনু মুসলিম — সুলাইমান — ইব্রাহীম আত তামিয়্যি — হারিস ইবনু সুওয়াইদ — ইবনু মাস’ঊদ (রাদিআল্লাহু আঃ) হতে বর্ণিতঃ

(আধুনিক প্রঃ- ৫২৫৬, ইঃ ফাঃ- ৫১৫২)

হাদিসঃ সহিহুল বোখারি – ৬৪৫৩ঃ আবদুল্লাহ (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ ?

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) -এর কাছে আসলাম। তখন তিনি জ্বরাক্রান্ত ছিলেন। আমি তাঁকে আমার হাতে স্পর্শ করে বললাম, হে আল্লাহর রসূল (সাঃআঃ)! আপনি তো ভীষণভাবে জ্বরাক্রান্ত। তখন রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলিলেন, হ্যাঁ, আমি এ পরিমাণ জ্বরে ভুগছি, যে পরিমাণ তোমাদের দু’জনের হয়ে থাকে। তিনি বলেন, আমি বললাম, এ কারণেই আপনার জন্য দ্বিগুণ প্রতিদান রয়েছে। তখন রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলিলেন, কোন মুসলিম ব্যক্তির জ্বর কিংবা অন্য কোন কারণে বিপদ আপতিত হলে তার বিনিময়ে আল্লাহ তা’আলা এমনভাবে তার অপরাধসমূহ ক্ষমা করে দেন যেভাবে বৃক্ষাদি পাতা ঝরায়। তবে যুহায়র বর্ণিত হাদীসে আমি আমার হাতে তাকে স্পর্শ করি’ অংশটুকু উল্লেখ নেই।

(ই.ফা. ৬৩২৫, ই.সে. ৬৩৭৪)

হাদিসঃ সহিহুল বোখারি – ৫৬৪৮ঃ আবদান — আবি হামজা — আ,মাসি — ইব্রাহীম আত তামিয়্যি — হারিস ইবনু সুওয়াইদ — আবদুল্লাহ (রাঃ হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) -এর কাছে গেলাম। তখন তিনি জ্বরে ভুগছিলেন। আমি বললামঃ হে আল্লাহর রসূল! আপনি তো ভীষণ জ্বরে আক্রান্ত। তিনি বললেনঃ হাঁ। তোমাদের দু’ব্যক্তি যতটুকু জ্বরে আক্রান্ত হয়, আমি একাই ততটুকু জ্বরে আক্রান্ত হই। আমি বললামঃ এটি এজন্য যে, আপনার জন্য দ্বিগুণ সাওয়াব। তিনি বললেনঃ হ্যাঁ তাই। কেননা যেকোন মুসলিম দুঃখ কষ্টে পতিত হয়, তা একটা কাঁটা কিংবা আরো ক্ষুদ্র কিছু হোক না কেন, এর মাধ্যমে আল্লাহ তার গুনাহগুলোকে মুছে দেন, যেমন গাছ থেকে তার পাতাগুলো ঝরে পড়ে।

(আধুনিক প্রঃ- ৫২৩৬, ইঃ ফাঃ- ৫১৩২)

হাদিসঃ সহিহুল বোখারি – ৫৬৪৭ঃ মুহাম্মাদ ইবনু ইওসুফ — সুফইয়ান — আ,মাসি — ইব্রাহীম আত তামিয়্যি — হারিস ইবনু সুওয়াইদ — আবদুল্লাহ (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ

(৫৬৪৮, ৫৬৬০, ৫৬৬১, ৫৬৬৭; মুসলিম ৪৫/১৪, হাঃ ২৫৭১) আধুনিক প্রঃ- ৫২৩৫, ইঃ ফাঃ- ৫১৩১)

সহিহ মুসলিম – ৬৪৬৪ঃ উবায়দুল্লাহ ইবনু উমার আল কাওয়ারিরিউ — ইয়াজিদ ইবনু জুরাহ — হাজ্জাজ সাওঅয়াফু — আবু জুবাইর — জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) একদিন উম্মু সায়িব কিংবা উম্মুল মুসাইয়্যাব (রাঃ)-এর কাছে গিয়ে বলিলেন, তোমার কি হয়েছে হে উম্মু সায়িব অথবা উম্মুল মুসাইয়্যাব! কাঁদছ কেন? তিনি বলিলেন, ভীষণ জ্বর, একে আল্লাহ বর্ধিত না করুন। তখন তিনি বলিলেন, তুমি জ্বরকে গালমন্দ করো না। কেননা জ্বর আদাম সন্তানের পাপরাশি মোচন করে দেয়, যেভাবে হাঁপর লোহার মরিচিকা দূরীভূত করে।

(ই.ফা. ৬৩৩৬, ই.সে. ৬৩৮৫)

আদাবুল মুফরাদ – ৫১৮ঃ আহম্মাদ ইবনু আয়্যুব — সাবাবাহ — মুগিরা ইবনু মুসলিম — আবি জুবাইর — জাবের (র) হইতে বর্ণিতঃ

নবী (সাঃ) উম্মু সাইবের বাড়িতে গেলেন। তিনি জ্বরের প্রকোপে কাঁপছিলেন। তিনি জিজ্ঞেস করেনঃ তোমার কি হয়েছে? তিনি বলেন, জ্বর। আল্লাহ জ্বরের সর্বনাশ করুন। নবী (সাঃ) বলেনঃ থামো, জ্বরকে গালি দিও না। কেননা তা মুমিন বান্দার গুনাহসমূহ দূরীভূত করে, যেমন হাঁপড় লোহার মরিচ দূর করে ।

(মুসলিম, ইবনে হিব্বান, মুসনাদ আবু আওয়া নাসাঈ) হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

হাদিসঃ ইবনু মাজাহ – ৩৪৬৯ঃ আবু বকর ইবনু আবি সাইবাহ — ওয়াকি — মুসা ইবনি উবাইদাহ — আলকামাহ ইবনে মারসাদ — হাফসি ইবনে উবায়দিল্লাহ — আবূ হুরায়রাহ (রাদিআল্লাহু আঃ), হতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সামনে জ্বরের বিষয় উল্লিখিত হলে এক ব্যক্তি জ্বরকে গালি দেয়। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ জ্বরকে গালি দিও না। কেননা তা পাপসমূহ দূর করে, যেমন আগুন লোহার ময়লা দূর করে।
তাহকীক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।

জ্বর নিরাময়ের দোয়া হাদিস এর মানঃ সহিহ হাদিস

আদাবুল মুফরাদ -৫০৫ঃ আতা — আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

আমার কাছে জ্বরের চেয়ে প্রিয়তর কোন রোগ নাই। তা আমার প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে প্রবেশ করে এবং আল্লাহ এর বিনিময়ে প্রতিটি অঙ্গ-প্রতঙ্গকে তার প্রাপ্য সওয়াব দান করন [ইবনি আবু শায় বাযযার]।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

পরিচ্ছেদঃ ৩ জ্বরের রোগীকে চাদর দিয়ে মুখমন্ডল ঢেকে রাখা ও সরিয়ে ফেলা

হাদিসঃ সহিহুল বোখারি – ৪৪৪৩ঃ আয়িশাহ ও আবদুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ

উবাইদুল্লাহ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু উতবাহ (রহ.) আমাকে জানালেন যে, আয়িশাহ ও আবদুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ) উভয়ে বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রোগ-যাতনায় অস্থির হইতেন তখন তিনি তাহাঁর কালো চাদর দিয়ে নিজ মুখমন্ডল ঢেকে রাখতেন। আবার যখন জ্বরের উষ্ণতা কমত তখন মুখমন্ডল থেকে চাদর সরিয়ে ফেলতেন। রাবী বলেন, এরূপ অবস্থায়ও তিনি বলিতেন, ইয়াহূদী ও নাসারাদের প্রতি আল্লাহর লানত, তারা তাহাদের নাবীদের (নবীদের) কবরকে মাসজিদ বানিয়ে নিয়েছে। তাহাদের কৃতকর্ম থেকে সতর্ক করা হয়েছে।

(৪৩৫, ৪৩৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪০৯২, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪০৯৫)

হাদিসঃ সহিহুল বোখারি – ৪৪৪৪ঃ আয়িশাহ ও আবদুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ

উবাইদুল্লাহ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু উতবাহ (রহ.) আমাকে জানালেন যে, আয়িশাহ ও আবদুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ) উভয়ে বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রোগ-যাতনায় অস্থির হইতেন তখন তিনি তাহাঁর কালো চাদর দিয়ে নিজ মুখমন্ডল ঢেকে রাখতেন। আবার যখন জ্বরের উষ্ণতা কমত তখন মুখমন্ডল থেকে চাদর সরিয়ে ফেলতেন। রাবী বলেন, এরূপ অবস্থায়ও তিনি বলিতেন, ইয়াহূদী ও নাসারাদের প্রতি আল্লাহর লানত, তারা তাহাদের নাবীদের (নবীদের) কবরকে মাসজিদ বানিয়ে নিয়েছে। তাহাদের কৃতকর্ম থেকে সতর্ক করা হয়েছে।

(৪৩৫, ৪৩৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪০৯২, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪০৯৫)

আদাবুল মুফরাদ ৫১২ঃ আহমাদ ইবনু ইসা — আব্দুল্লাহ ইবনু ওহাব — হিসাম ইবনু সাইদ — জাইদ ইবনু আসলাম — আতা ইবনি বাসার — আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর নিকট প্রবেশ করিলেন। তিনি জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন এবং তাহাঁর শরীরে একটি চাদর জড়ানো ছিল। আবু সাঈদ (রাঃ) তার দেহে হাত রাখলেন এবং চাদরের উপড় দিয়েই উত্তাপ অনুভব করিলেন। আবু সাঈদ (রাঃ) বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ। আপনার শরীরে কি ভীষণ জ্বর। তিনি বলেনঃ আমাদের এরূপ হয়ে থাকে। আমাদের উপর কঠিন বিপদ আসে এবং আমাদের দ্বিগুণ সওয়াব দেয়া হয়। আবু সাঈদ (রাঃ) বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! কোন মানুষের উপর অধিক কঠিন বিপদ আসে? তিনি বলেনঃ নবী-রাসূলগণের উপর, অতঃপর সৎকর্মশীলদের উপর। তাহাদের কেউ দারিদ্র্যের পরীক্ষায় নিক্ষিপ্ত হয়েছেন, এমনকি একটি জুব্বা ছাড়া পরার মত কিছুই তাহাঁর ছিলো না। কেউ উকুনের বিপদে পতিত হয়েছেন। শেষে তা তাঁকে হত্যা করে। নিঃসন্দেহে তোমাদের মধ্যকার কেউ পুরস্কার লাভে যতো খুশি হয়, তাহাদের কেউ বিপদে পতিত হলে ততোধিক খুশি হইতেন

(ইবনে মাজাহ, মুশকিলুল আছার)। হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

পরিচ্ছেদঃ ৪ জ্বর ও অন্যান্য সকল প্রকার ব্যথায় ঝাড়ফুঁক করা

হাদিসঃ সুনান আত তিরমিজি – ২০৫৬ঃ আবদাহু ইবনু আব্দুল্লাহ আল খুজায়ি — মুয়াবিয়া ইবনু হিসাম — সুফইয়ান — আসিম — আব্দিল্লাহ ইবনে হারিস — আনাস (রাদিআল্লাহু আঃ) হতে বর্ণিতঃ

জ্বর, বদ-নজর ও ব্রণ-ফুসকুড়ি (ক্ষুদ্র ফোঁড়া) ইত্যাদি ক্ষেত্রে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঝাড়ফুঁক দেয়ার সম্মতি প্রদান করিয়াছেন।

সহীহ, মুসলিম। আনাস ইবনু মালিক (রাদিআল্লাহু আঃ) হইতে বর্ণিত আছে, জ্বর ও ফুসকুড়ির ক্ষেত্রে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঝাড়ফুঁক দেয়ার সম্মতি প্রদান করিয়াছেন।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদিসটি হাসান গারীব। তিনি আরও বলেন, আমার মতে পূর্ববর্তী হাদিসের তুলনায় এ হাদিসটি অনেক বেশি সহীহ্। বুরাইদা, ইমরান ইবনু হুসাইন, জাবির, আইশা, তালক ইবনু আলী, আমর ইবনু হাযম ও আবূ খিযামা (রাদিআল্লাহু আঃ) হইতে তাহাঁর বাবার সূত্রে এ অনুচ্ছেদে হাদিস বর্ণিত আছে। জ্বর নিরাময়ের দোয়া হাদিস এর মানঃ সহিহ হাদিস

হাদিসঃ সুনান আত তিরমিজি – ২০৫৭ঃ ইবনু আমি উমার — সুফইয়ান — হুসাইন — সা,বি — ইমরান ইবনু হুসাইন (রাদিআল্লাহু আঃ) হতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ বদ-নজর ও জ্বর ব্যতীত আর অন্য কোন ক্ষেত্রে ঝাড়ফুঁক বৈধ নয়।

সহীহ, মিশকাত (৪৫৫৭), বুখারী মাওকুফরূপে বর্ণনা করিয়াছেন। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদিসটি হুসাইন-শাবী হইতে, তিনি বুরাইদা (রাদিআল্লাহু আঃ) হইতে, তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হইতে একইরকম বর্ণনা করিয়াছেন । জ্বর নিরাময়ের দোয়া হাদিস এর মানঃ সহিহ হাদিস

হাদিসঃ ইবনু মাজাহ –৩৫২৬ঃ মুহাম্মাদ ইবনু বাসসার — আবু আমির — ইব্রাহীম আসহালি — দাউদ ইবনে হুসাইন — ইকরিমা — ইবনু আব্বাস (রাদিআল্লাহু আঃ) হতে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাহাবীদেরকে জ্বর ও যাবতীয় ব্যথার ঝাড়ফুঁকের জন্য এ দুআ’ শিক্ষা দিতেনঃ

 بِسْمِ اللَّهِ الْكَبِيرِ أَعُوذُ بِاللَّهِ الْعَظِيمِ مِنْ شَرِّ عِرْقٍ نَعَّارٍ وَمِنْ شَرِّ حَرِّ النَّارِ

উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহিল কাবীর আউযু বিল্লাহিল আযীম মিন শাররি ইরকিন না’আরিন ওয়া মিন শাররি হাররিন নার , অর্থঃ ” ( মহামহিম আল্লাহর নামে মহান আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করছি, রক্তচাপে ফুলে উঠা শিরার অনিষ্ট থেকে এবং আগুনের তাপের অনিষ্ট থেকে )”।

الْكَبِيرِ اللَّهِ بِسْمِ
মহামহিম আল্লাহর নামে
الْعَظِيمِ بِاللَّهِ أَعُوذُ
মহান আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করছি
عِرْقٍ شَرِّ مِنْ
অনিষ্ট থেকে
شَرِّ وَمِنْ نَعَّارٍ
অনিষ্ট এবং থেকে
النَّارِحَرِّ
আগুনের তাপের

আবূ আমির (রাদিআল্লাহু আঃ) বলেন, সবার বিপরীতে আমি ইয়াআর’ শব্দটি বলে থাকি।

উপরোক্ত হাদীসে মোট ২ টি সানাদের ১ টি বর্ণিত হয়েছে, অপর সানাদটি হলোঃ
২/৩৫২৬(১). ইবনু আব্বাস (রাদিআল্লাহু আঃ), নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্রে পূর্বোক্ত হাদিসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তার শব্দ হলোঃ “মিন শাররি ইরকিন ইয়া’আর”।

ইবনু মাজাহ এই হাদিসটি সংকলন করেছেন, “২৫/৩৭. অধ্যায়ঃ যে দুআ’ পড়ে জ্বরের ঝাড়ফুঁক করা হয় ।” জ্বর নিরাময়ের দোয়া তাহকীক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ দুর্বল। (৩৫২৬) তিরমিযী ২০৭৫। উক্ত হাদিসের রাবী ইবরাহীম আল-আশহালী সম্পর্কে আবূ আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইমাম তিরমিযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল ছিলেন। আহমাদ বিন হাম্বাল বলেন, তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন শুআয়ব আন নাসায়ী বলেন, তিনি আমাদের শহরে দুর্বল। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১৪৬, ২/৪২ নং পৃষ্ঠা)) হাদিস এর মানঃ দুর্বল হাদিস

তিরমিজি ২০৭৫. ইবনি আব্বাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

নবী (সাঃআঃ) তাদেরকে জ্বর ও অন্যান্য সকল প্রকার ব্যথায় এই দু’আ পাঠের তালিম দিতেনঃ মহান

 بِسْمِ اللَّهِ الْكَبِيرِ أَعُوذُ بِاللَّهِ الْعَظِيمِ مِنْ شَرِّ كُلِّ عِرْقٍ نَعَّارٍ وَمِنْ شَرِّ حَرِّ النَّارِ

অর্থঃ “আল্লাহ্‌ তা’আলার নামে, আমি মহান আল্লাহ্‌ তা’আলার নিকটে আশ্রয় প্রার্থনা করি রক্তচাপের আক্রমণ হইতে এবং জাহান্নামের উত্তপ্ত আগুনের ক্ষতি হইতে।

সহীহ মিশকাত (১৫৫৪), আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। শুধুমাত্র ইবরাহীম ইবনি ইসমাঈল ইবনি আবু হাবীবার সূত্রেই আমরা এ হাদীস জেনেছি। ইবরাহীম ইবনি ইসমাঈলকে হাদীস শাস্ত্রে দুর্বল বলা হয়েছে। অপর এক বর্ণনায় আছে “ইরকিন ইয়াআর” (যে শিরা ফরকায় বা লাফায়)। এই হাদিসটির মানঃ দুর্বল হাদিস

পরিচ্ছেদঃ ৫ হিংসা, বদনযর এবং অপবাদ থেকে জ্বর হলে ঝাড়ফুঁক করা

হাদিসঃ সহিহুল বোখারি – ৪১৪৩ঃ আয়িশাহ (রাঃ)-এর মা উম্মু রুমান (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ও আয়িশাহ (রাঃ) উপবিষ্ট ছিলাম। এমন সময় এক আনসারী মহিলা এসে বলিতে লাগল আল্লাহ অমুক অমুককে ধ্বংস করুন। এ কথা উম্মু রুমান (রাঃ) বলিলেন, তুমি কী বলছ? সে বলিল, যারা অপবাদ রটিয়েছে তাহাদের মধ্যে আমার ছেলেও আছে। উম্মু রুমান (রাঃ) জিজ্ঞেস করিলেন, সেটা কী? সে বলিল, এই এই রটিয়েছে। আয়িশাহ (রাঃ) বলিলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) শুনেছেন? সে বলিল, হ্যাঁ। আয়িশাহ (রাঃ) বলিলেন, আবূ বকরও কি শুনেছেন? সে বলিল, হ্যাঁ। এ কথা শুনে আয়িশাহ (রাঃ) বেহুশ হয়ে পড়ে গেলেন। জ্ঞান ফিরে আসলে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসল। তখন আমি একটি চাদর দিয়ে তাঁকে ঢেকে দিলাম। এরপর নবী (সাঃআঃ) এসে জিজ্ঞেস করিলেন, তাহাঁর কি অবস্থা? আমি বললাম, হে আল্লাহ্‌র রসূল! তাহাঁর কাঁপুনি দিয়ে জ্বর এসেছে। রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলিলেন, হয়তো সে অপবাদের কারণে। তিনি বলিলেন, হ্যাঁ। এ সময় আয়িশাহ (রাঃ) উঠে বসলেন এবং বলিলেন, আল্লাহ্‌র কসম! আমি যদি কসম করি, তাহলেও আপনারা আমাকে বিশ্বাস করবেন না, আর যদি ওযর পেশ করি তবুও আমার ওযর আপনারা গ্রহণ করবেন না, আমার এবং আপনাদের দৃষ্টান্ত নবী ইয়াকুব (আ) ও তার ছেলেদের উদাহরণের মতো। তিনি বলেছিলেন, “তোমরা যা বলছ সে বিষয়ে আল্লাহ্ই একমাত্র আমার আশ্রয়স্থল”। উম্মু রুমান (রাঃ) বলেন, তখন নবী (সাঃআঃ) কিছু না বলেই চলে গেলেন। এরপর আল্লাহ তা’আলা তাহাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করে আয়াত অবতীর্ণ করিলেন। আয়িশাহ (রাঃ) বলিলেন, একমাত্র আল্লাহ্‌রই প্রশংসা করি অন্য কারো না, আপনারও না।

(৩৩৮৮) (আ.প্র. ৩৮৩১, ই.ফা. ৩৮৩৪)

হাদিসঃ সহিহুল বোখারি – ৪৬৯১ঃ আয়িশাহ (রাঃ)-এর মাতা উম্মু রূমান (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, (অপবাদ রটনার সময়) আয়িশাহ (রাঃ) আমাদের ঘরে জ্বরে আক্রান্ত ছিল। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলিলেন, সম্ভবত এ অপবাদের কারণে জ্বর হয়েছে। আয়িশাহ (রাঃ) বলিলেন, হ্যাঁ। তিনি উঠে বসলেন এবং বলিলেন, আমার এবং আপনাদের দৃষ্টান্ত হল ইয়াকুব (আ.) এবং তাহাঁর পুত্র ইউসুফ (আ.)-এর ন্যায়। (ইয়াকুব (আ.) তাহাঁর ছেলেদেরকে বলিলেন) বরং তোমরা এক মনগড়া কাহিনী সাজিয়ে নিয়ে এসেছ কাজেই “ধৈর্যই শ্রেয়। তোমরা যা বলছ, সে বিষয়ে একমাত্র আল্লাহ্ই আমার সাহায্যস্থল।”

(৩৩৮৮) (আ.প্র. ৪৩৩০, ইা.ফা. ৪৩৩০)

হাদিসঃ সহিহুল বোখারি – ৬৩৭২ঃ আয়িশাহ (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দু’আ করিতেন :

اللَّهُمَّ حَبِّبْ إِلَيْنَا الْمَدِينَةَ، كَمَا حَبَّبْتَ إِلَيْنَا مَكَّةَ أَوْ أَشَدَّ، وَانْقُلْ حُمَّاهَا إِلَى الْجُحْفَةِ، اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي مُدِّنَا وَصَاعِنَا

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা হাব্বিব ইলায়নাল মাদিনাতাহ, কামা হাব্বাইতা ইলাইনা মাক্কাতা আও আসাদ্দা, ওয়া আনকুল হুম্মাহা ইলাল জুহফাতি, আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি মুদ্দিনা ওয়া সায়িনা । অর্থঃ ( হে আল্লাহ্‌! আপনি যেভাবে মক্কাকে আমাদের জন্য প্রিয় করে দিয়েছেন, মাদীনাহ্‌কেও সেভাবে অথবা এর চেয়েও অধিক আমাদের কাছে প্রিয় করে দিন। আর মাদীনাহ্‌র জ্বর জুহফা’র দিকে সরিয়ে দিন। হে আল্লাহ্‌! আপনি আমাদের মাপের ও ওযনের পাত্রে বারাকাত দান করুন। )

ইমাম বুখারি এই হাদিস টি সংকলন করেছেন তাঁর ৮০/৪৩. অদ্ধায়ে – মহামারি ও রোগ যন্ত্রণা বিদূরিত হবার জন্য দু’আ । আধুনিক প্রঃ- ৫৯২৬, ইঃ ফাঃ- ৫৮১৯)

পরিচ্ছেদঃ ৬ জ্বরের উত্তাপ পানি দিয়ে নিভাতে হয়

তিরিজি ২০৮৪. সাওবান (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

নবী (সাঃআঃ) বলেন: জ্বর হল জাহান্নামের একটি টুকরা। তোমাদের কারো জ্বর হলে সে যেন তা পানি ঢেলে নিভায়। (এর নিয়ম হচ্ছে) ফজরের নামাযের পর সূর্যোদয়ের পূর্বে প্রবাহমান ঝর্ণায় নেমে স্রোত প্রবাহের দিকে মুখ করে সে বলবে,

بِسْمِ اللَّهِ اللَّهُمَّ اشْفِ عَبْدَكَ وَصَدِّقْ رَسُولَكَ بَعْدَ صَلاَةِ الصُّبْحِ قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ فَلْيَغْتَمِسْ فِيهِ ثَلاَثَ غَمَسَاتٍ

অর্থঃ “আল্লাহ্‌ তা’আলার নামে, হে আল্লাহ্‌! তোমার বান্দাকে রোগমুক্ত করে দাও এবং তোমার রাসূলকে সত্যবাদী প্রমাণ কর”।

তারপর ঝর্ণার পানিতে তিনবার ডুব দিবে। তিনি দিন এরূপ করবে। তিন দিনেও যদি জ্বর না ছাড়ে তবে পাঁচ দিন এরকম করবে। পাঁচ দিনেও ভাল না হলে সাত দিন এরকম করবে। সাত দিনেও ভাল না হলে নয় দিন করবে। আল্লাহ্‌ তা’আলার হুকুমে জ্বর নয় দিনের বেশী অতিক্রম করতে পারবে না।

সহীহ যঈফা (২৩৩৯), আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। এই হাদিসটির মানঃ দুর্বল হাদিস

হাদিসঃ সহিহুল বোখারি – ৫৭২৩ঃ ইয়াহইয়া ইবনু সুলাইমান — ইবনু ওহাব — মালিক — নাফি — ইবনু উমর (রাঃ) –এর সূত্রে নবী (সাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেনঃ জ্বর জাহান্নামের উত্তাপ থেকে হয়। কাজেই তাকে পানি দিয়ে নিভাও। নাফি (রহঃ) বলেন, আবদুল্লাহ (রাঃ) তখন বলিতেনঃ আমাদের উপর থেকে শাস্তিকে হালকা কর।

(আধুনিক প্রঃ- ৫৩০৩, ইঃ ফাঃ- ৫১৯৯)

হাদিসঃ সহিহুল বোখারি – ৫৭২৫ঃ মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না — ইয়াহইয়া — হিসাম — আয়িশাহ (রাঃ) সূত্রে নবী (সাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেনঃ জ্বর হয় জাহান্নামের তাপ থেকে। কাজেই তোমরা পানি দিয়ে তা ঠান্ডা কর।

(আধুনিক প্রঃ- ৫৩০৫, ইঃ ফাঃ- ৫২০১)

হাদিসঃ সহিহুল বোখারি – ৫৭২৬ঃ মুসাদ্দাদ — আবু আল আহওয়াস — সাইদ ইবনু মাসরুক — আন আবাইয়াহ — ইবনু রিফায়া — জাদ্দি — রাফি ইবনু খাদীজ (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ

(৩২৬২; মুসলিম ৩৯/২৬, হাঃ ২২১২) আধুনিক প্রঃ- ৫৩০৬, ইঃ ফাঃ- ৫২০২)

সহিহ মুসলিম – ৫৬৪৪ঃ যুহায়র ইবনু হার্ব ও মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না — ইয়াহইয়া — ইবনু সাইদ — আব্দিল্লাহ — নাফি — ইবনু উমার (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ

(ই. ফা. ৫৫৬৩, ই. সে. ৫৫৮৮)

সহিহ মুসলিম – ৫৬৪৫ঃ ইবনু নুমায়র — আবি ও মুহাম্মাদ ইবনু বিসর — আবূ বকর ইবনু আবূ শাইবাহ — আব্দুল্লাহ ইবনু নুমাইর — ও মুহাম্মাদ ইবনু বিসর — আব্দুল্লাহ — নাফি –>> ইবনু উমার (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ

(ই. ফা. ৫৫৬৪, ই. সে. ৫৫৮৯)

সহিহ মুসলিম – ৫৬৪৬ঃ হারুন ইবনু সাইদ আল আলি — ইবনু ওহাব — মালিক — মুহাম্মাদ ইবনু রাফি — ইবনু আবি ফুদাইক — দাহহাক — ইয়া,নি ইবনি উসমান — নাফি — ইবনু উমার (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ

(ই. ফা. ৫৫৬৫, ই. সে. ৫৫৯০)

সহিহ মুসলিম – ৫৬৪৭ঃ আহ্‌মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু হাকাম — মুহাম্মাদ ইবনু জাফর — সু,বাহ — হারূন ইবনু আবদুল্লাহ –>> ইবনু উমার (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ

(ই. ফা. ৫৫৬৬, ই. সে. ৫৫৯১)

হাদিসঃ ইবনু মাজাহ – ৩৪৭২ঃ আলি ইবনু মুহাম্মাদ — আব্দুল্লাহ ইবনু নুমাইর — উবাইদুল্লাহ ইবনু উমার (রাদিআল্লাহু আঃ), হতে বর্ণিতঃ

তাহকীক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। হাদিস এর মানঃ সহিহ হাদিস

সহিহ মুসলিম – ৫৬৪৮ঃ আবূ বাক্‌র ইবনু আবূ শাইবাহ্‌ ও আবূ কুরায়ব — ইবনু নুমাইর — হিসাম — আবিহ — আয়িশাহ্‌ (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ

(ই. ফা. ৫৫৬৭, ই. সে. ৫৫৯২)

হাদিসঃ ইবনু মাজাহ – ৩৪৭১ঃ আবূ বাক্‌র ইবনু আবূ শাইবাহ্‌ — আব্দুল্লাহ ইবনু নুমাইর — হিসাম ইবনু উরয়া — আবিহ — আয়িশাহ (রাদিআল্লাহু আঃ), হতে বর্ণিতঃ

তাহকীক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। হাদিস এর মানঃ সহিহ হাদিস

হাদিসঃ ইবনু মাজাহ – ৩৪৭৩ঃ মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল্লাহ ইবনু নুমাইর — মুসআবু ইবনু মিকদাম — ইসরাইল সাইদ ইবনু মাসরুক — আবাইয়াহ ইবনু রিফায়াহ — রাফি বিন খাদীজ (রাদিআল্লাহু আঃ), হতে বর্ণিতঃ

আমি নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে বলিতে শুনেছিঃ জ্বর হলো জাহান্নামের উত্তাপ থেকে। তোমরা পানি ঢেলে তা ঠান্ডা করো। তিনি আম্মার (রাদিআল্লাহু আঃ)-র এক পুত্রকে দেখিতে গেলেন এবং বললেনঃ

 اكْشِفِ الْبَاسْ رَبَّ النَّاسْ إِلَهَ النَّاسْ

উচ্চারণঃ “ইকশিফিল বাসা রব্বান নাস ইলাহান নাস” (হে মানুষের রব, হে মানবের ইলাহ! আপনি ক্ষতি বিদূরিত করুন)।

رَبَّ الْبَاسْ اكْشِفِ
রবক্ষতি বিদূরিত করুন
النَّاسْإِلَهَ النَّاسْ
মানুষের ইলাহমানুষের

জ্বর নিরাময়ের দোয়া তাহকীক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। হাদিস এর মানঃ সহিহ হাদিস

আবু দাউদ ৩৮৮৫. মুহম্মাদ ইবনি ইউসুফ ইবনি সাবিত ইবনি ক্বায়িস ইবনি শাম্মাস [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে তার পিতা ও দাদার সূত্র হইতে বর্ণীতঃ

একদা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সাবিত ইবনি ক্বায়িস [রাদি.]-এর নিকট গেলেন। আহমাদ বলেন, তিনি তখন অসুস্থ ছিলেন। তিনি বলেনঃ

اكْشِفِ الْبَاسَ رَبَّ النَّاسِ

Uccharon: হে মানুষের রব! সাবিত ইবনি ক্বায়িস ইবনি শাম্মাসের রোগ দূর করে দিন।

অতঃপর তিনি বাতহান নামক উপত্যকার কিছু ধুলামাটি নিয়ে একটি পাত্রে রাখলেন এবং পানিতে মিশিয়ে তার দেহে ঢেলে দিলেন। {৩৮৮৫}

{৩৮৮৫} নাসায়ী আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লায়লাহ, ইবনি হিব্বান। সনদের ইউসূফ ইবনি মুহাম্মাদ ইবনি সাবিত সম্পর্কে হাফিয বলেনঃ মাক্ববূল। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

সহিহ মুসলিম – ৫৬৫২ঃ হান্নাদ ইবনু সারী — আবু আহ,ওয়াসি — সাইদ ইবনু মাসরুক — আবায়াহ্‌ ইবনু রিফাআহ্‌ (রহঃ) জাদ্দি — রাফি ইবনু খাদিজ হইতে বর্ণিতঃ

(ই. ফা. ৫৫৭১, ই. সে. ৫৫৯৬)

সহিহ মুসলিম – ৫৬৫৩ঃ আবূ বাক্‌র ইবনু শাইবাহ্‌ ও মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না ও মুহাম্মাদ ইবনু হাতিম ও আবূ বাক্‌র ইবনু নাফি — আব্দুর রহমান ইবনু মাহদি — সুফইয়ান আবিহ — আবাইয়াহ ইবনু রিফায়াহ — রাফি ইবনু খাদীজ — >> হইতে বর্ণিতঃ

(ই. ফা. ৫৫৭২, ই. সে. ৫৫৯৭)

হাদিসঃ সহিহুল বোখারি – ৫৭২৪ঃ আব্দুল্লাহ ইবনু মাসলামা — মালিক — হিসাম — ফাতিমা বিন্‌ত মুনযির (রহঃ) হইতে বর্ণিতঃ

আসমা বিন্‌ত আবু বক্‌র (রাঃ) -এর নিকট যখন কোন জ্বরে আক্রান্ত স্ত্রীলোকদেরকে দুআর জন্য নিয়ে আসা হত, তখন তিনি পানি হাতে নিয়ে সেই স্ত্রীলোকটির জামার ফাঁক দিয়ে তার গায়ে ছিটিয়ে দিতেন এবং বলিতেনঃ রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃআঃ) আমাদের নির্দেশ করিতেন, আমরা যেন পানির সাহায্যে জ্বরকে ঠান্ডা করি।

(মুসলিম ৩৯/২৬, হাঃ ২২১১,আহমাদ ২৬৯৯২) আধুনিক প্রঃ- ৫৩০৪, ইঃ ফাঃ- ৫২০০)

সহিহ মুসলিম – ৫৬৫০ঃ আবূ বাক্‌র ইবনু আবূ শাইবাহ্‌ — আবদাহু ইবনু সুলাইমান — হিসাম — ফাতিমা — আসমা (রহঃ) হইতে বর্ণিতঃ

(ই. ফা. ৫৫৬৯, ই. সে. ৫৫৯৪)

হাদিসঃ ইবনু মাজাহ – ৩৪৬১ ঃ আবূ বাক্‌র ইবনু আবূ শাইবাহ্‌ — আবু আসমাহ — আব্দিল হামিদ ইবনু জাফর — জুরআতা ইবনে আব্দির রহমান — মা,লা — মামার আল তাইমিয়াহ — আসমা বিনতু আবূ বাকর (রাদিআল্লাহু আঃ), হতে বর্ণিতঃ

তাহকীক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। হাদিস এর মানঃ সহিহ হাদিস

হাদিসঃ ইবনু মাজাহ – ৩৪৭০ঃ আবূ বাক্‌র ইবনু আবূ শাইবাহ্‌ — আবু আসমাহ — আব্দির রহমান ইবনু ইয়াজিদ — ইসমাইল ইবনু উবায়দুল্লাহ — আবি সালিহ আসআরি — আবূ হুরায়রাহ (রাদিআল্লাহু আঃ), হতে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আবূ হুরায়রাহ (রাদিআল্লাহু আঃ)-কে সাথে নিয়ে জ্বরাক্রান্ত এক রোগীকে দেখিতে গেলেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) রোগীকে বললেনঃ সুসংবাদ গ্রহণ করো। কেননা মহান আল্লাহ্ বলেন, এটা আমার আগুন যা আমি দুনিয়াতে আমার মুমিন বান্দার উপর চাপিয়ে দেই, যাতে আখেরাতে তাহাঁর প্রাপ্য আগুনের বিকল্প হয়ে যায়।

তাহকীক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। জ্বর নিরাময়ের দোয়া হাদিস এর মানঃ সহিহ হাদিস

হাদিসঃ ইবনু মাজাহ – ৩৪৭৫ঃ আবু সালামাহ — ইয়াহইয়া ইবনু খালাফ — আব্দুল আলা — সাইদ — কাতাদাহ — হাসান — আবূ হুরায়রাহ (রাদিআল্লাহু আঃ) হতে বর্ণিতঃ

রাসূলুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেনঃ জ্বর হলো জাহান্নামের হাপরসমূহের মধ্যকার একটি হাপর। তোমরা ঠান্ডা পানি ঢেলে নিজেদের থেকে তা দূর করো।

জ্বর নিরাময়ের দোয়া তাহকীক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। হাদিস এর মানঃ সহিহ হাদিস

আদাবুল মুফরাদ – ৪৯৭ঃ আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ

এক বেদুইন নবী (সাঃ)-এর নিকট উপস্থিত হলে তিনি তাকে বলেনঃ তোমাকে কি উম্মু মিলদাম স্পর্শ করেছে? সে বললো, উম্মু মিলদাম কি? তিনি বলেনঃ দেহের চামড়া ও গোশতের মধ্যবর্তী স্থানের উত্তাপ (জ্বর)। সে বললো, না। তিনি পুনরায় বলেনঃ তুমি কি সুদা আক্রান্ত হয়েছো? সে বললো, সুদা কি? তিনি বলেনঃ একটি বায়ু যা মাথায় অনুভূত হয় এবং তা শিরাসমূহে আঘাত করে। সে বললো, না। অতঃপর সে ব্যক্তি উঠে চলে গেলে তিনি বলেনঃ যে ব্যক্তি কোন দোযখীকে দেখিতে আগ্রহী সে যেন এই ব্যক্তিকে দেখে নেয় (হাকিম, ইবনে হিব্বান)।

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

ইবন মাজা – ৩৫৩২ঃ উম্মু জুনদুব (রাঃ), থেকে বর্ণিতঃ

আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে কোরবানীর দিন উপত্যকার মাঝখানে দাঁড়িয়ে জামরাতুল আকাবায় কংকর নিক্ষেপ করতে দেখেছি। তারপর তিনি ফিরে এলেন। তখন খাছআম গোত্রের এক মহিলা তাঁর পিছনে পিছনে আসলো এবং তার কোলে ছিলো তার এক শিশু সন্তান। সে কোন অসুখের কারণে কথা বলতে পারতোনা। মহিলা বললো, হে আল্লাহর রাসূল! এ আমার পুত্র, আমার পরিবারের একমাত্র অধস্তন বংশধর। কিন্তু সে একটি বিপদে লিপ্ত, যার ফলে সে কথা বলতে পারে না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা আমার নিকট একটু পানি আনো। পানি আনা হলে তিনি তাঁর হস্তদ্বয় ধৌত করলেন এবং কুলি করলেন। অতঃপর অবশিষ্ট পানি ঐ মহিলাকে দিয়ে বলেনঃ এই পানি তাকে পান করাও, তার গায়ে ছিটাও এবং আল্লাহর নিকট তার জন্য আরোগ্য প্রার্থনা করো। উম্মু জুনদুব (রাঃ) বলেন, আমি মহিলার সাথে দেখা করে বললাম, আমাকে যদি এ পানির কিছুটা দান করতেন। সে বললো, এটা তো এই বিপদগ্রস্তের জন্য নিয়েছি। তিনি বলেন, বছর শেষে সেই মহিলার সাথে সাক্ষাত করে আমি তাকে শিশুটি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। সে বললো, সে সুস্থ হয়েছে এবং তার মেধাশক্তি সাধারণ মানুষের মেধাশক্তির তুলনায় অধিক বেড়েছে।

তাহকীক আলবানীঃ দুর্বল। ৩৫৩২] আবূ দাউদ ১৯৬৬। সহীহ আবূ দাউদ ১৭১৫। হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

উবাদাহ ইবনুস সামিত (রাঃআঃ), হইতে বর্ণিতঃ

জিবরাঈল (আঃ) নাবী (সাঃআঃ) এর জ্বরাক্রান্ত অবস্থায় তাহার নিকট আসেন। তিনি তাকে ঝাড়ফুঁক করে বলেনঃ

 بِسْمِ اللَّهِ أَرْقِيكَ مِنْ كُلِّ شَىْءٍ يُؤْذِيكَ مِنْ حَسَدِ حَاسِدٍ وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ اللَّهُ يَشْفِيكَ

উচ্চারণঃ “বিসমিল্লাহি আরকীকা মিন কুল্লি শায়ইন ইয়ুযীকা মিন হাসাদি হাসিদিন ওয়া মিন কুল্লি আয়নিন আল্লাহু ইয়াশফীকা” অর্থঃ (আমি আল্লাহর নামে আপনাকে ঝাড়ফুঁক করছি এমন প্রতিটি জিনিস থেকে যা আপনাকে কষ্ট দেয়, হিংসুকের হিংসা থেকে এবং সকল বদনযর থেকে, আল্লাহ আপনাকে আরোগ্য দান করুন)। [৩৫২৭]

ইবনে মাজা ৩৫২৭ তাহকীক আলবানীঃ হাসান। [৩৫২৭] হাদীসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। হাদীসটির মানঃ হাসান হাদীস

পরিচ্ছেদঃ ৭ জ্বরে আক্রান্ত হলে কবিতা আবৃত্তি করা

হাদিসঃ সহিহুল বোখারি – ৫৬৭৭ ঃ ইসমাইল — মালিক — হিসাম ইবনু উরওয়াহ — আবিহ — আয়িশা (রাদিআল্লাহু আঃ) হতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যখন নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (মাদীনাহ) আসলেন, তখন আবূ বকর (রাদিআল্লাহু আঃ) ও বিলাল (রাদিআল্লাহু আঃ) জ্বরে আক্রান্ত হলেন। তিনি বলেনঃ আমি তাঁদের নিকট বললামঃ আব্বাজান, আপনি কেমন অনুভব করছেন? হে বিলাল! আপনি কেমন অনুভব করছেন? তিনি বলেনঃ আবূ বকর (রাদিআল্লাহু আঃ) যখন জ্বরে আক্রান্ত হইতেন তখন তিনি আবৃত্তি করিতেন,
“সব মানুষ সুপ্রভাত ভোগ করে আপন পরিবার পরিজন নিয়ে ,
আর মৃত্যু অপেক্ষা করে তার জুতার ফিতার চেয়েও নিকটে।”

আর বিলাল (রাদিআল্লাহু আঃ)–এর নিয়ম ছিল যখন তাহাঁর জ্বর ছেড়ে যেত, তিনি তখন উচ্চ আওয়াজে বলিতেনঃ

হায়! আমি যদি পেতাম একটি রাত অতিবাহিত করার সুযোগ
এমন উপত্যকায় যেখানে আমার পাশে আছে ইয্‌খির ও জালীল ঘাস।
যদি আমার অবতরণ হত কোন দিন মাযিন্না এলাকার কূপের কাছে,
যদি আমার চোখে ভেসে উঠত শামা ও তাফীল।

আয়িশা (রাদিআল্লাহু আঃ) বলেন, এরপর আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে গেলাম এবং তাঁকে সংবাদ দিলাম। তখন তিনি বললেনঃ

হে আল্লাহ্‌! আমাদের কাছে মাদীনাহ্‌কে প্রিয় করে দাও, যেভাবে আমাদের কাছে প্রিয় ছিল মাক্কাহ এবং মাদীনাহ্‌কে স্বাস্থ্যকর বানিয়ে দাও। আর মাদীনাহ্‌র মুদ্দ ও সা’তে বরকত দাও এবং মাদীনাহ্‌র জ্বরকে স্থানান্তরিত কর জুহ্‌ফা’ এলাকায়।

(আধুনিক প্রঃ- ৫২৬৬, ইঃ ফাঃ- ৫১৬২)

হাদিসঃ সহিহুল বোখারি – ৫৬৫৪ঃ কুতায়বাহ — মালিক — হিসাম ইবনু উরওয়াহ — আবিহ –আয়িশা (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ

(১) শামা ও তাফীল মক্কা শরীফের দু’টি পর্বতের নাম। কারো কারো মতে দু’টি কূপের নাম।

আদাবুল মুফরাদ – ৫২৭ঃ ইসমাইল ইবনু আবু উওয়াইস — মালিক — হিসাম ইবনু উরওয়াহ — আবিহ — আয়েশা (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদি


Posted

in

by

Comments

2 responses to “জ্বর নিরাময়ের দোয়া ঝাড়ফুঁক ও পানি ঢালার নিয়ম”

Leave a Reply