রোজার হাদিস – রোযাদারের চুম্বন এবং স্পৰ্শ করার বিধান

রোজার হাদিস – রোযাদারের চুম্বন এবং স্পৰ্শ করার বিধান

রোজার হাদিস – রোযাদারের চুম্বন এবং স্পৰ্শ করার বিধান >> বুলুগুল মারাম এর মুল সুচিপত্র দেখুন

অধ্যায়ঃ রোযা পালন – রোযাদারের চুম্বন এবং স্পৰ্শ করার বিধান

পরিচ্ছেদ ০১. সাওম পালন করে রমাযানকে গ্রহণ করা নিষেধ
পরিচ্ছেদ ০২. [চাঁদ উঠা-না উঠা] সন্দেহের দিনে রোযা রাখার বিধান
পরিচ্ছেদ ০৩. রোযা রাখা এবং ভঙ্গ করা চাঁদ দেখার সাথে সম্পর্কিত
পরিচ্ছেদ ০৪. সাওম আরম্ভ হওয়ার ব্যাপারে একজনের সাক্ষাদানই যথেষ্ট
পরিচ্ছেদ ০৫. সাওমের নিয়্যাত অপরিহার্য
পরিচ্ছেদ ০৬. দিনের বেলায় নফল সাওমের নিয়্যাত এবং ভঙ্গ করার বিধান
পরিচ্ছেদ ০৭. সময় হওয়ার সাথে সাথেই তাড়াতাড়ি ইফতার করা মুস্তাহাব
পরিচ্ছেদ ০৮. সাহরীর ব্যাপারে উৎসাহ প্রদান
পরিচ্ছেদ ০৯. যা দিয়ে ইফতার করা মুস্তাহাব
পরিচ্ছেদ ১০. লাগাতার [ইফতার না করে] সওম রাখার বিধান
পরিচ্ছেদ ১১. রোযাদার ব্যক্তির যা পরিত্যাগ করা উচিত
পরিচ্ছেদ ১২. রোযাদারের চুম্বন এবং স্পৰ্শ করার বিধান
পরিচ্ছেদ ১৩. সাওম পালনকারীর শিঙ্গা লাগানোর বিধান
পরিচ্ছেদ ১৪. রোযাদারের সুরমা লাগানোর বিধান
পরিচ্ছেদ ১৫. ভুলে পানাহারকারীর সাওমের বিধান
পরিচ্ছেদ ১৬. সাওমের ক্ষেত্রে বমির প্রভাব
পরিচ্ছেদ ১৭. সফরে রোযা রাখার বিধান
পরিচ্ছেদ ১৮. দূর্বল-অক্ষম ব্যক্তিদের রোযা রাখার বিধান
পরিচ্ছেদ ১৯. দিনের বেলায় রোযাদার ব্যক্তি সহবাস করলে তার বিধান
পরিচ্ছেদ ২০. অপবিত্র অবস্থায় সকালকারীর সাওমের বিধান
পরিচ্ছেদ ২১. মৃত ব্যক্তির উপর ওয়াজিব হওয়া সাওম কাযা করার বিধান
পরিচ্ছেদ 22. আইয়্যামুত তাশরীকের [ঈদুল আযহার পরবর্তী তিন দিন] রোযা রাখার বিধান

পরিচ্ছেদ ০১. সাওম পালন করে রমাযানকে গ্রহণ করা নিষেধ

৬৫০ – আবূ হুরাইরা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা কেউ রমযানের একদিন কিংবা দুদিন আগে হতে সওম শুরু করিবে না। তবে কেউ যদি এ সময় সিয়াম পালনে অভ্যস্ত থাকে তাহলে সে সেদিন সওম পালন করিতে পারবে। {৬৯৬}

৬৯৬} বুখারী ১৯১৪৩, মুসলিম ১০৮২, ১১০৯, তিরমিয়ী ৬৮৪, ৬৮৫, নাসায়ী ২১৭২, ২১৭৩, আবু দাউদ ২৩২৫, ইবনু মাজাহ ১৬৫০, আহমাদ ৭১৫৯, ৭৭২২, ৮২৭০, দারেমী ১৬৮৯। রোজার হাদিস হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস

পরিচ্ছেদ ০২. [চাঁদ উঠা-না উঠা] সন্দেহের দিনে রোযা রাখার বিধান

৬৫১ – আম্মার বিন ইয়াসির [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যে ব্যক্তি সন্দেহ-দিনে সওম পালন করিল সে অবশ্যই আবুল কাসিম [রাঃআঃ]-এর বিরুদ্ধাচরণ করিল। এ হাদিসকে বুখারী [রহঃ] মু’আল্লাক হিসেবে এবং পাচজনে [আহমাদ, আবু দাউদ, নাসায়ী, তিরমিয়ী, ইবনু মাজাহ] মাওসুলরূপে একে বর্ণনা করিয়াছেন। আর ইবনু খুযাইমাহ ও ইবনু হিব্বান একে সহিহ বলেছেন। {৬৯৭}

{৬৯৭} সিলাহ বিন যুফার বলেন, আমরা আম্মার [রাঃআঃ] এর কাছে ছিলাম। তখন তাহাঁর কাছে ভুনা ছাগলের গোশত নিয়ে আসা হলো। তিনি সকলকে খেতে বলিলেন। তখন কতিপয় লোক সরে গিয়ে বলিল, আমি রোযাদার। আম্মার [রাঃআঃ] উপরোক্ত হাদিস উল্লেখ করিলেন। ইমাম তিরমিয়ী বলেন, হাদিসটি হাসান সহিহ। আবু দাউদ ২৩৩৪, তিরমিয়ী ৬৮৬, নাসায়ী ২১৮৮ ইবনু মাজাহ ১৬৪৫ , দারেমী ১৬৮২। রোজার হাদিস হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস

পরিচ্ছেদ ০৩. রোযা রাখা এবং ভঙ্গ করা চাঁদ দেখার সাথে সম্পর্কিত

৬৫২ – ইবনু উমার [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ]- কে বলিতে শুনিয়াছি, যখন তোমরা তা [চাঁদ] দেখবে তখন সওম রাখবে, আবার যখন তা দেখবে তখন সওম ছাড়বে। আর যদি আকাশ মেঘলা থাকে তবে সময় হিসাব করে [ত্রিশ দিন] পূর্ণ করিবে। মুসলিমের হাদীসে আছে ঃ যদি মেঘাচ্ছন্ন থাকে তাহলে ত্রিশ দিন গণনা কর। বুখারীতে আছে ঃ ত্রিশ দিন পূর্ণ করিবে। {৬৯৮}

{৬৯৮} বুখারী ১৯০০, ১৯০৬, ১৯০৭, ১৯০৮ মুসলিম ১০৮০, নাসায়ী ২১২০, ২১২১, আবু দাউদ ২২১৯, ২৩২০, আহমাদ ৪৪৭৪, ৪৫৯৭, ৪৮০০, মুসলিম ৬২৩, ৬২৪, দারেমী ১৬৮৪। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস

৬৫৩ – বুখারীতে আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ

এর হাদীসে আছে- “মেঘাচ্ছন্ন থাকলে শাবান মাসের ত্রিশ দিন পূর্ণ করিবে। {৬৯৯}

৬৯৯} বুখারী ১৯০৯, মুসলিম ১০৮১, তিরমিয়ী ৬৮৪, নাসায়ী ২১১৭, ২১১৮, ২১১৯, ইবনু মাজাহ ১৬৫৫, আহমাদ ৭৪৬৪, ৭৫২৭, দারেমী ১৬৮৫। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস

পরিচ্ছেদ ০৪. সাওম আরম্ভ হওয়ার ব্যাপারে একজনের সাক্ষাদানই যথেষ্ট

৬৫৪ – ইবনু ‘উমার [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ

লোকেরা আমাকে হিলাল [নতুন চাঁদ] দেখলো। তাই আমি নাবী [সাঃআঃ]-কে সংবাদ দিলাম যে আমি চাঁদ দেখেছি। ফলে তিনি নিজে সওম পালন করিলেন এবং লোকেদেরকে সওম পালনের আদেশ দিলেন। -ইবনু হিব্বান ও হাকিম একে সহিহ বলেছেন।” {৭০০}

{৭০০} আবু দাউদ ২৩৪২, দারেমী ১৬৯১। রোজার হাদিস তাহকীকঃ সহিহ হাদিস

৬৫৫ – ইবনু আব্বাস [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ

কোন একজন অশিক্ষিত গ্রাম্য লোক নাবী [সাঃআঃ]-এর সামনে এসে বললো, আমি চাঁদ দেখেছি। তিনি বলিলেন, তুমি কি এ সত্যের সাক্ষ্য দাও যে আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন উপাস্য নেই-সে বললো, হা। তারপর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন-তুমি কি সাক্ষ্য দাও যে মুহাম্মদ [সাঃআঃ] আল্লাহর রসূল। লোকটা বললো, হা। অতঃপর নাবী [সাঃআঃ] বলিলেন, হে বিলাল! আগামী কাল সওম পালনের নির্দেশটি লোকেদের মাঝে ঘোষণা করে দাও। -ইবনু খুযাইমাহ ও ইবনু হিব্বান একে সহিহ বলেছেন। নাসায়ী এর মুরসাল হওয়াকে অধিকতর প্রাধান্য দিয়েছেন।” {৭০১}

{৭০১} আবু দাউদ ২৩৪১, তিরমিজি ৬৯১, নাসায়ী ২১১২, ২১১৩, ইবনু মাজাহ ১৬৫২, ১৬৯২। সাম্মাক বিন হারব ইকরামা থেকে, তিনি ইবনু আব্বাস থেকে এটি বর্ণনা করিয়াছেন। সাম্মাক ইকরামা থেকে বর্ণনার সময় এলোমেলো করে বর্ণনা করিয়াছেন। তিনি কখনও মারফু’ আবার কখনও মুরসাল হিসেবে বর্ণনা করিয়াছেন। শাইখ সুমাইর আয যুহাইর বলেন, মুসনাদে আমি এ হাদিসটি পাইনি। রোযা পালন হাদিসের তাহকীকঃ মুরসাল

পরিচ্ছেদ ০৫. সাওমের নিয়্যাত অপরিহার্য

৬৫৬ – হাফসা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রাত থাকতে ফরয রোযার নিয়াত করলো না তার রোযা হয়নি। -তিরমিয়ী ও নাসায়ী এর মাওকুফ হওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করিয়াছেন ইবনু খুযাইমাহ ও ইবনু হিব্বান এর মারফু হওয়াকে সঠিক বলেছেন।

আর দারাকুৎনীর মধ্যে আছে- “তার সওম হইবে না যে রাতের বেলাতেই [ফরয] সওম পালন ঠিক [নিয়্যাত] না করিবে।” {৭০২}

৭০২} আবু দাউদ ২৪৫৪, তিরমিজি ২৭৩০, নাসায়ী ২২৩১, ২২৩২, ২২৩৪, ইবনু মাজাহ ১৭০০, আহমাদ ২৫৯১৮, মুওয়াত্তা মালেক ৬২৭, দারেমী ৬৯৮। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস

পরিচ্ছেদ ০৬. দিনের বেলায় নফল সাওমের নিয়্যাত এবং ভঙ্গ করার বিধান

৬৫৭ – আয়িশা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] একদা আমার নিকট এসে বলিলেন তোমার নিকট কোন খাবার আছে? আমি বললাম, না। তিনি বলিলেন, তাহলে আমি এখন সায়িম [সওম পালনকারী]। তারপর অন্য একদিন তিনি আমাদের নিকট আসলে আমরা বললাম, আমাদের জন্য হায়স উপটৌকন হিসেবে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলিলেন, তা আমাকে দেখাও, আমি কিন্তু [নফল] সায়িম [রোযাদার] হিসেবে সকাল করেছি, তারপর তিনি খাদ্য গ্রহণ করিলেন।” {৭০৩}

{৭০৩} মুসলিম ১১৫৪, নাসায়ী ২২২২, ২৩২৩, ২৩২৮, আবূ দাউদ ২৪৫৫. আহমাদ ২৫২০৩। রোজার হাদিস তাহকীকঃ সহিহ হাদিস

পরিচ্ছেদ ০৭. সময় হওয়ার সাথে সাথেই তাড়াতাড়ি ইফতার করা মুস্তাহাব

৬৫৮ – সাহল ইবনু সা’দ [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ

আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] বলেছেনঃ লোকেরা যতদিন শীঘ্ৰ ইফতার করিবে, ততদিন তারা কল্যাণের উপর থাকিবে। {৭০৪}

{৭০৪} বুখারী ১৯৫৭, মুসলিম ১০৯৮, তিরমিয়ী ৬৯৯, ইবনু মাজাহ ১৬৯৭, আহমাদ ২২৩৬৩, ২২৩৫২, মুওয়াত্তা মালেক ৬২৮। রোযা পালন হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস

৬৫৯ – আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ

“নাবী [সাঃআঃ] বলেছেন যে, মহান আল্লাহ তা’আলা বলেছেন- আমার বান্দাদের মধ্যে আমার নিকট সর্বাপেক্ষা প্রিয় তারা যারা শীঘ্ৰ ইফতার করে। {৭০৫}

{৭০৫} তিরমিয়ী ৭০০, আবু দাউদ ৮১৬০। আলবানী যঈফুত তারগীব [৬৪৯] বলেন, দুর্বল। আলবানী যঈফুল জামি’ [৪০৪১] গ্রন্থে বলেন, দুর্বল। আলবানী সহিহ ইবনু খুযাইম [২০৬২] গ্রন্থে বলেছেন, তার সানাদ জঈফ। আলবানী জঈফ তিরমিয়ীতে [৭০০] বলেছেন, দুর্বল। আহমদ শাকির মুসনাদ আহমাদ [১২/২৩২] গ্রন্থে বলেছেন, তার সানাদ সহিহ। যাহাবী মিযানুল ইতিদাল [৪/১১০] গ্রছে বলেন, এর সনদে মাসলামা বিন আলী রহিয়াছে যিনি দুর্বল। হাদিসের তাহকীকঃ হাসান হাদিস

পরিচ্ছেদ ০৮. সাহরীর ব্যাপারে উৎসাহ প্রদান

৬৬০ – আনাস বিন মালিক [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন- আনাস ইবনু মালিক ভুল হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা সাহরী খাও, কেননা সাহরীতে বরকত রহিয়াছে।” {৭০৬}

{৭০৬} বুখারী ১৯২৩, মুসলিম ১০৯৫, তিরমিয়ী ৭০৮, নাসায়ী ২১৪৬, ইবনু মাজাহ ১৬৮২, আহমাদ ১১৫২৯, ১২৮২৩, দারেমী ১৬৯৬। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস

পরিচ্ছেদ ০৯. যা দিয়ে ইফতার করা মুস্তাহাব

৬৬১ – সুলায়মান বিন`আমির আযযাব্বী [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ

নবী [সাঃআঃ] বলেছেন—যখন কেউ ইফতার করিবে তখন সে যেন খেজুর দ্বারা ইফতার করে, যদি সে তা না পায় তাহলে পানি দ্বারা ইফতার করিবে। কেননা সেটা পরিবত্রকারী। -ইবনু খুযাইমাহ ও ইবনু হিব্বান একে সহিহ বলেছেন। {৭০৭}

{৭০৭} তিরমিয়ী ৬৯৫, আবু দাউদ ২২৫৫, ইবনু মাজহ ১৬৯৯, আহমাদ ১৫৭৯২, ১৫৭৯৮, ১৭৪১৪, দারেমী ১৭০১। আল বানী যঈফুত তিরমিয়ী [৬৯৫] গ্রন্থে বলেছেন, দুর্বল। ইবনু বায হাশিয়াতু বুলুগিল মারাম লি ইবনিল বায [৪০৬] গ্রন্থে তার সানাদ সুন্দর। আল বানী যঈফু ইবনি মাজাহ [৩৩৪] জঈফ বলেছেন। সুমৃতী আল জামিউস সগীর [৪৬৪] সহিহ বলেছেন। আল বানী সিলসিলাতু্য যঈফা [৬৩৮৩] গ্রন্থে দুর্বল বলেছেন। আল বানী যঈফুত তিরমিজি [৬৫৮] গ্রন্থে দুর্বল বলেছেন। মুনযির আত তারগীব ওয়াত তারহীব [১/১৫১] গ্রন্থে তার সানাদ সহিহ ও হাসান বলেছেন। আল বানী সহীহুত তিরমিয়ী [৬৫৮] গ্রন্থে দুর্বল বলেছেন। ইবনু হাজার মুহাল্লা [৭/৩১] গ্রন্থে বলেছেন, তার দ্বারা দালীল গ্রহন করা যাবে। আল বানী যঈফুত তারগীব [৬৫১] গ্রন্থে দুর্বল বলেছেন। হাদিসের তাহকীকঃ হাসান হাদিস

পরিচ্ছেদ ১০. লাগাতার [ইফতার না করে] সওম রাখার বিধান

৬৬২ -আবূ হুরাইরা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা ইফতার না করে লাগাতার সওম রেখো না। তখন মুসলিমদের মধ্য হতে জনৈক ব্যক্তি বলে উঠলো ঃ হে আল্লাহর রসূল! আপনি তো ইফতার না করে লাগাতার সওম রাখেন। উত্তরে নাবী [সাঃআঃ] বলিলেন, তোমাদের মধ্যে আমার মত কে আছ? আমি রাত কাটাই তাতেই আমার রব আমাকে খাওয়ান ও পান করান। কিন্তু তারা লাগাতার সওম রাখা থেকে বিরত হলো না। ফলে তাদের সঙ্গে নাবী [সাঃআঃ] ও দু’দিন অথবা [বর্ণনাকারী বলেছিলেন] দু’ রাত লাগাতার সওম রাখলেন। এরপর তারা নতুন চাঁদ দেখিতে পেলেন। তখন নাবী [সাঃআঃ] বললেনঃ যদি চাঁদ [আরও কয়েক দিন] দেরী করে উঠত, তাহলে আমিও [লাগাতার সওম রেখে] তোমাদের সওমের সময়কে বাড়িয়ে দিতাম, তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার জন্য। [বিসাল অর্থ পানাহার না করেই বিরতিহীনভাবে সওম পালন করা]। {৭০৮}

{৭০৮} বুখারী ৬৭০১, মুসলিম ১৬৪২, তিরমিয়ী ১৫২৭, নাসায়ী ৩৮৫২, ৩৮৫৩, ৩৮৫৪, আবু দাউদ ২৩০১, আহমাদ ১১৬২৭, ১১৭১৭, ১২৪৭৮। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস

পরিচ্ছেদ ১১. রোযাদার ব্যক্তির যা পরিত্যাগ করা উচিত

৬৬৩ -আবূ হুরাইরা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে লোক মিথ্যা কথা এবং সে অনুসারে কাজ করা আর মূর্খতা পরিহার করলো না, আল্লাহর নিকট তার পানাহার বর্জনের কোন প্রয়োজন নেই। -শব্দ বিন্যাস আবু দাউদের।” {৭০৯}

{৭০৯} বুখারী ১৯০৩, ৬০৫৭, তিরমিয়ী ৭০৭, ২৩৬২, আবূ দাউদ ২৩৬২, ইবনু মাজাহ ১৬৮৯, আহমাদ ৮৫২৯, ১০১৮৪। রোজার হাদিস তাহকীকঃ সহিহ হাদিস

পরিচ্ছেদ ১২. রোযাদারের চুম্বন এবং স্পৰ্শ করার বিধান

৬৬৪ – আয়িশা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] সওমের অবস্থায় চুমু খেতেন এবং গায়ে গা লাগাতেন। তবে তিনি তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিয়ন্ত্রণে তোমাদের চেয়ে অধিক সক্ষম ছিলেন। -শব্দ মুসলিমের।

মুসলিম ভিন্ন একটি বর্ণনায় “তিনি রমযানে এরূপ করিয়াছেন” কথাটি বৃদ্ধি করিয়াছেন।” {৭১০}

রোযা পালন হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস

পরিচ্ছেদ ১৩. সাওম পালনকারীর শিঙ্গা লাগানোর বিধান

৬৬৫ – ইবনু আব্বাস [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] মুহরিম অবস্থায় শিঙ্গা লাগিয়েছেন এবং সায়িম [রোযা রাখা] অবস্থায়ও শিঙ্গা লাগিয়েছেন। {৭১১}

{৭১১} বুখারী ১৮২৫, ১৯৩৮, ২৯২৯, ২১০৩, মুসলিম ১২০২, তিরমিয়ী ৭৭৫, ৭৭৬, ৭৭৭, নাসায়ী ২৮৪৫, ২৮৪৬, ২৮৪৭, ১৮২৫, ইবনু মাজাহ ১৬৮২, ২০৮১, আহমাদ ১৮৫২, ১৯২২, দারেমী ১৮১৯, ১৯২১ । হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস

৬৬৬ – শাদাদ বিন আওস [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বাকী নামক স্থানে এক ব্যক্তির নিকট এলেন যে রমযান মাসে রক্তমোক্ষণ [শিঙ্গা লাগিয়েছিল] করছিল। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ রক্তমোক্ষক ও যার রক্তমোক্ষণ করা হয়েছে তারা উভয়ে রোযা ভঙ্গ করেছে। -আহমাদ, ইবনু খুযাইমাহ ও ইবনু হিব্বান একে সহিহ সাব্যস্ত করিয়াছেন।” {৭১২}

{৭১২} আবু দাউদ ২৩৬৭, ২৩৬৯, ২৩৭০, ২৩৭১, ইবনু মাজাহ ১৬৮০, ১৬৮১, আহমাদ ১৬৬৬৮, ১৬৬৭৫, দারেমী ১৭৩০ । হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস

৬৬৭ – আনাস বিন মালিক [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, প্রথম দিকে সিঙ্গা লাগান মাকরূহ হবার কারণ ছিল, জাফার বিন আবু তালিব সওমের অবস্থায় সিঙ্গা লাগিয়েছিলেন আর নাবী [সাঃআঃ] তার নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন, তিনি বলিলেন-এরা দুজনেই সওম ভঙ্গ করে ফেলেছে। তারপর তিনি [সাঃআঃ] সায়িমকে সিঙ্গা লাগানোর ব্যাপারে অবকাশ দিয়েছেন। ফলে আনাস [রাঃআঃ] সায়িম অবস্থায় সিঙ্গা লাগাতেন। -দারাকুৎনী একে কাবি [মজবুত] সানাদ হিসেবে সাব্যস্ত করিয়াছেন। {৭১৩}

{৭১৩} ইমাম যাহাবী তানকীহুত তাহকীক ১/৩৮২ গ্রন্থে বলেন, খালেদ নামে এতে একজন বর্ণনাকারী আছে যাকে ইমাম আহমাদ মুনকার বর্ণনাকারীদের মধ্যে গণ্য করিয়াছেন। আরও রহিয়াছে আবদুল্লাহ ইবনুল মুসান্না যাকে ইমাম আবৃ দাউদ দুর্বল বলেছেন। তথাপিও ইমাম বুখারী এ দুজনের বর্ণিত হাদিসকে দলীল হিসেবে গ্রহণ করিয়াছেন। আলবানী ইরওয়াউল গলীল [৪/৭২] গ্রন্থে বলেছেন, সে বিশ্বস্ত রাবী। রোজার হাদিস তাহকীকঃ সহিহ হাদিস

পরিচ্ছেদ ১৪. রোযাদারের সুরমা লাগানোর বিধান

৬৬৮ -আয়িশা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ

নবী [সাঃআঃ] সায়ম [রোযা রাখা] অবস্থায় চোখে সুরমা লাগিয়েছেন। ইবনু মাজহ দুর্বল সনদে। তিরমিয়ী বলেছেন-এ অধ্যায়ে এ ব্যাপারে কোন সহিহ বর্ণনা নেই। {৭১৪}

{৭১৪} তিরমিয়ী ৭২৬। ইবনু হাজার আসকালানী আত-তালখীসুল হাবীর [২/৭৮২] গ্রন্থে সাঈদ ইবনু সাঈদকে দুর্বল বলেছেন। ইবনু উসাইমিন বুলুগুল মারামের শরাহ [৩/২২২] গ্রন্থে দুর্বল বলেছেন। হাদিসের তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস

পরিচ্ছেদ ১৫. ভুলে পানাহারকারীর সাওমের বিধান

৬৬৯ – আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ সওম পালনকারী ভুলক্রমে যদি আহার করে বা পান করে ফেলে, তাহলে সে যেন তার সওম পুরা করে নেয়। কেননা আল্লাহই তাকে পানাহার করিয়েছেন। {৭১৫}

{৭১৫} বুখারী ১৯৩৩, ৬৬৬৯, মুসলিম ১১৫৫, তিরমিয়ী ৭২১, আবু দাউদ ২৩৯৮, ইবনু মাজাহ ১৬৭৩, আহমাদ ৮৮৮৯, ৯২০৫, দারেমী ১৭২৬, ১৭২৭ । রোযা পালন হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস

৬৭০ -বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ

হাকিমে আছে, যে ব্যক্তি ভুলক্রমে ইফতার করে ফেলল তার জন্য কোন কাযা বা কাফফারা নেই। হাদিসটি সহিহ। {৭১৬}

৭১৬} হাসান। হাকিম ১/৪৩০, ইবনু খুযাইমাহ ১৯৯০ । হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস

পরিচ্ছেদ ১৬. সাওমের ক্ষেত্রে বমির প্রভাব

৬৭১ – আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] বলেন ঃ যার মুখ ভরে বমি হয় তাকে রোযা কায করিতে হইবে না। যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় বমি করে তাকে রোযার কাযা করিতে হইবে। -আহমাদ একে দুর্বল সাব্যস্ত করিয়াছেন ও দারাকুৎনী একে মজবুত সানাদের হাদিস হিসেবে সাব্যস্ত করিয়াছেন। {৭১৭}

{৭১৭} আবু দাউদ ২৩৮০, তিরমিয়ী ৭২০, ইবনু মাজাহ ১৬৭৩, আহমাদ ১০০৮৫, দারেমী ১৭২৯। হাদিসের তাহকীকঃ হাসান হাদিস

পরিচ্ছেদ ১৭. সফরে রোযা রাখার বিধান

৬৭২ – জাবির বিন আবদুল্লাহ থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মাক্কা বিজয়কালে রমযান মাসে [মদীনা থেকে মাক্কাভিমুখে] যাত্রা করেন। তিনি ও তার সঙ্গীগণ সওম পালন করছিলেন। যখন তিনি কুরা’আল গামীম নাম স্থানে পৌছলেন তখন এক পেয়ালা পানি নিয়ে ডাকলেন ও ঐ পানির পেয়ালা এমন উচু করে ধরলেন যাতে লোকেরা তা দেখিতে পেলো। তারপর তিনি তা পান করিলেন। অতঃপর তাকে বলা হলো এরপরও কিছু লোক রোযা রেখেছে। তিনি ঃ বলিলেন, ওরা অবাধ্য, ওরা অবাধ্য!

ভিন্ন একটি বর্ণনায় এ শব্দ রহিয়াছে, নাবী [সাঃআঃ]-কে বলা হল, লোকেদের উপর [আজ] সওম পালন কঠিন হয়ে পড়েছে। আপনি কি করেন এরই অপেক্ষায় তারা আছে। তারপর আসরের পরে পানির পেয়াল নিয়ে ডাকলেন ও অতঃপর তিনি পানি পান করিলেন। {৭১৮}

{৭১৮} মুসলিম ১১ঃ১৪, তিরমিয়ী ৭১০, নাসায়ী ২২৬৩। রোজার হাদিস তাহকীকঃ সহিহ হাদিস

৬৭৩ – হামযাহ বিন আমর আল-আসলামী [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলিলেন, হে আল্লাহর রসূল! [সাঃআঃ] আমি সফরের অবস্থায় সওম পালনের মত ক্ষমতা রাখি। রোযা পালন আমার জন্য কি কোন দূষনীয় হইবে। তদুত্তরে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন-এটা আল্লাহ প্রদত্ত অবকাশ, যে তা গ্রহণ করিবে সে তাতে উত্তম করিবে, আর যে সওম পালন পছন্দ করিবে তারও কোন ক্ষতি নেই।” {৭১৯}

{৭১৯} মুসলিম ২৪৭৭, বুখারী ১৪৩, তিরমিয়ী ২৮২৪, ইবনু মাজাহ ১৬৬ আহমাদ ২২৯৩, ২৪১৮, ২৮৭৪। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস

৬৭৪ – আয়িশা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ

হাদিসটির মূল মুত্তাফাকুন আলাইহি [বুখারী ও মুসলিমে] রহিয়াছে। তাতে আছেঃ হামযাহ বিন আমর জিজ্ঞেস করিলেন। {৭২০}

{৭২০} বুখারী ১৯৪২, ১৯৪৩, মুসলিম ১১২১, তিরমিয়ী ৭১১, নাসায়ী ২৩০৬, আবু দাউদ ২৪০২, ইবনু মাজাহ ১৬৬২, আহমাদ ২৫০৭৯। পূর্ণাজ্ঞ হাদিসটি হচ্ছে , হামযা বিন আমর [রাঃআঃ] রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -কে সফরে রোযা রাখার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করিলেন, তদুত্তরে তিনি বলিলেন, যদি রোযা রাখতে চাও তাহলে রাখ। আর যদি না রাখতে চাও, তাহলে ভেঙ্গে ফেল। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস

পরিচ্ছেদ ১৮. দূর্বল-অক্ষম ব্যক্তিদের রোযা রাখার বিধান

৬৭৫ – ইবনু আব্বাস [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, অতি বৃদ্ধের জন্য সওম পালনের ব্যাপারে এই অবকাশ দেয়া হয়েছে যে, সে প্রতি সওমের বদলে একজন মিসকীনকে ইফতার করাবে ও খাওয়াবে। তার উপর কাযাও নেই। দারাকুৎনী ও হাকিম একে সহিহ হিসেবে বর্ণনা করিয়াছেন। {৭২১}

{৭২১} হাদিসটি সহিহ। দারাকুতনী ২/২০৫/৬, হাকিম ১/৪৪০। ইমাম দারাকুতনী বলেনঃ এর ইসনাদ সহিহ। ইমাম হাকিম বলেনঃ হাদিসটি বুখারীর শর্তানুপাতে সহিহ। রোযা পালন হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস

পরিচ্ছেদ ১৯. দিনের বেলায় রোযাদার ব্যক্তি সহবাস করলে তার বিধান

৬৭৬ – আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ]-এর নিকট উপবিষ্ট ছিলাম। এমন সময় এক ব্যক্তি এসে বলিল, হে আল্লাহর রসূল! আমি ধ্বংস হয়ে গেছি। আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ]- বললেনঃ কি বিষয় তোমাকে ধ্বংস করেছে? সে বলিল, আমি সায়িম [রোযা রাখা] অবস্থায় আমার স্ত্রীর সাথে মিলিত হয়েছি। আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] বললেনঃ আযাদ করার মত কোন ক্রীতদাস তুমি পাবে কি? সে বলিল, না। তিনি বললেনঃ তুমি কি একাধারে দু’মাস সওম পালন করিতে পারবে? সে বলিল, না। এরপর তিনি বললেনঃ ষাটজন মিসকীন খাওয়াতে পারবে কি? সে বলিল, না। তারপর সে বসে রইল। এ সময় নাবী [সাঃআঃ]-এর কাছে এক আরাক পেশ করা হল যাতে খেজুর ছিল। আরাক হল ঝুড়ি। নাবী [সাঃআঃ] বলিলেন ঃ এগুলো নিয়ে সদাকাহ করে দাও। তখন লোকটি বলিল, হে আল্লাহর রসূল! আমার চাইতেও বেশি অভাবগ্রস্তকে সদাকাহ করব? আল্লাহর শপথ, মাদীনার উভয় লাবা অর্থাৎ উভয় প্রান্তের মধ্যে আমার পরিবারের চেয়ে অভাবগ্রস্ত কেউ নেই। আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] হেসে উঠলেন এবং তার দাঁত [আনইয়াব] দেখা গেল। অতঃপর তিনি বলিলেন ; এগুলো তোমার পরিবারকে খাওয়াও {৭২২} -শব্দ বিন্যাস মুসলিমের।

{৭২২} বুখারী ১৯৩৬, মুসলিম ১১১১, তিরমিজি ৭২৪, আবূ দাউদ ২৩৯০,২৩৯২, ইবনু মাজাহ ১৬৭১, আহমাদ ৬৯০৫, ৭২৪৮, মালিক ৬৬০, দারিমী ১৭১৬। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস

পরিচ্ছেদ ২০. অপবিত্র অবস্থায় সকালকারীর সাওমের বিধান

৬৭৭ – আয়িশা ও উম্মু সালামাহ [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ

নবী [সাঃআঃ] যৌন অপবিত্রতা বা জুনুবী অবস্থায় সকাল [সুবহে সাদিক] করিতেন, তারপর [ফজরের নামাজের পূর্বে] গোসল করিতেন ও সওম পালন করিতেন। মুসলিমে উম্মু সালামাহর হাদীসে অতিরিক্ত আছে, “তিনি ঐরুপ সওমের কাযা আদায় করিতেন না। {৭২৩}

{৭২৩} বুখারী ১৯২৬, ১৯৩০, ১৯৩২, মুসলিম ১১০৯ তিরমিজি ৭৭৯, আবু দাউদ ১৯৮৪, ১৯৮৫, ২৩৮৮, আহমাদ ২৩৫৪২, মুওয়াত্তা মালেক ৬৪১, ৬৪২, দারেমী ১৭২৫ । হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস

৬৭৮ – আয়িশা ও উম্মু সালামাহ [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ

নবী [সাঃআঃ] যৌন অপবিত্রতা বা জুনুবী অবস্থায় সকাল [সুবহে সাদিক] করিতেন, তারপর [ফজরের নামাজের পূর্বে] গোসল করিতেন ও সওম পালন করিতেন। মুসলিমে উম্মু সালামাহর হাদীসে অতিরিক্ত আছে, “তিনি ঐরুপ সওমের কাযা আদায় করিতেন না। {৭২৩}

{৭২৩} বুখারী ১৯২৬, ১৯৩০, ১৯৩২, মুসলিম ১১০৯ তিরমিজি ৭৭৯, আবু দাউদ ১৯৮৪, ১৯৮৫, ২৩৮৮, আহমাদ ২৩৫৪২, মুওয়াত্তা মালেক ৬৪১, ৬৪২, দারেমী ১৭২৫। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস

পরিচ্ছেদ ২১. মৃত ব্যক্তির উপর ওয়াজিব হওয়া সাওম কাযা করার বিধান

৬৭৯ – আয়িশা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ

আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] বলেছেনঃ সওমের কাযা যিম্মায় রেখে যদি কোন ব্যক্তি মারা যায় তাহলে তার অভিভাবক তার পক্ষ হতে সওম আদায় করিবে। {৭২৪}

{৭২৪} বুখারী ১৯৫২, মুসলিম ১১৪৭, আবূ দাউদ ২৪০০, ২৩১১, আহমাদ ২৩৮৮০। সতর্কবানী ঃ উক্ত হাদীসে যে রোযা রাখার ব্যাপারে আলোচনা করা হয়েছে তা শুধুমাত্র মানতের রোযা। রোজার হাদিস তাহকীকঃ সহিহ হাদিস

পরিচ্ছেদ 22. আইয়্যামুত তাশরীকের [ঈদুল আযহার পরবর্তী তিন দিন] রোযা রাখার বিধান

৬৮৭ – নুবায়শাতুল হুযালী থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, তাশরীকের দিনগুলো হচ্ছে [যিলহাজের ১১ হতে ১৩ তারিখ] খাওয়া, পানাহার ও আল্লাহ্ তাআলার যিকর আযকারের দিন। অর্থাৎ কুরবানীর দিনসহ তার পরে আরো তিনদিন মতান্তরে দু-দিন সওম পালন নিষিদ্ধ। {৭৩২}

{৭৩২} মুসলিম ১১৪১, আহমাদ ২০১৯৮, ২০২০২। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস

৬৮৮ – আয়িশা [রা] ও ইবনু`উমার [রা] থেকে বর্ণিতঃ

তাঁরা উভয়ে বলেন, যাঁর নিকট কুরবানীর পশু নেই তিনি ব্যতীত অন্য কারও জন্য আইয়্যামে তাশরীকে সওম পালন করার অনুমতি দেয়া হয়নি। {৭৩৩}

{৭৩৩} বুখারী ১৯৯৭, ১৯৯৯, মুওয়াত্তা মালেক ৯৭২। রোজার হাদিস তাহকীকঃ সহিহ হাদিস


by

Comments

Leave a Reply