দুই ঈদের নামাজ। ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম

দুই ঈদের নামাজ। ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম

 দুই ঈদের নামাজ। ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম >> বুলুগুল মারাম এর মুল সুচিপত্র দেখুন

অধ্যায় ১৪ঃ দুই ঈদের নামাজ

পরিচ্ছেদ ২৩১ঃ রোযার শুরু ও শেষ দলবদ্ধ হতে হইবে
পরিচ্ছেদ ২৩২ঃ সূর্য ঢলে যাওয়ার পরে ঈদের [চাঁদের খবর আবগত হলে] নামাজ আদায়ের বিধান
পরিচ্ছেদ ২৩৩ঃ ঈদুল ফিত্বরের দিন [ঈদগাহে] যাওয়ার পূর্বে পানাহার করা
পরিচ্ছেদ ২৩৪ঃ ঈদুল আযহার দিবসে [ঈদগাহে] বের হওয়ার পূর্বে পানাহারের বিধান
পরিচ্ছেদ ২৩৫ঃ ঈদের নামাজের জন্য মহিলাদের বের হওয়ার বিধান
পরিচ্ছেদ ২৩৬ঃ ঈদের দিন খুতবার পূর্বে নামাজ আদায় করিতে হইবে
পরিচ্ছেদঃ ২৩৭ঃ ঈদের নামাজের পূর্বে ও পরে নফল নামাজ পড়ার বিধান
পরিচ্ছেদ ২৩৮ঃ ঈদের নামাজ আযান ও ইক্বামত হীন
পরিচ্ছেদ ২৩৯ঃ ঈদগাহ থেকে [বাড়িতে] প্রত্যাবর্তন করার পর দু’ রাক‘আত নফল পড়া বৈধ
পরিচ্ছেদ ২৪০ঃ ঈদগাহে ঈদের নামাজ ও জনগণকে উদ্দেশ্য করে ভাষণ দেয়া শরীয়তসম্মত
পরিচ্ছেদ ২৪১ঃ ঈদের নামাজে তাকবীর ও তার সংখ্যা
পরিচ্ছেদ ২৪২ঃ ঈদের নামাজে যা পড়তে হইবে
পরিচ্ছেদ ২৪৩ঃ ঈদের নামাজের জন্য বের হলে রাস্তা পরিবর্তন শরিয়ত সম্মত
পরিচ্ছেদ ২৪৪ঃ দু’ ঈদে আনন্দ প্রকাশ করা মুস্তাহাব
পরিচ্ছেদ ২৪৫ঃ ঈদের মাঠে হেঁটে যাওয়া শরীয়তসম্মত
পরিচ্ছেদ ২৪৬ঃ কোন সমস্যার কারণে ঈদের নামাজ মসজিদে পড়া বৈধ

পরিচ্ছেদ ২৩১ঃ রোযার শুরু ও শেষ দলবদ্ধ হতে হইবে

৪৮৫ – আয়িশা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃ] বলেছেন,- ঈদুল ফিতর ঐটি যেটিতে জনগণ [রমাজানের সাওম পালনের পর] সওমবিহীন কাটাবে আর`ঈদুল আযহা হচ্ছে, যেদিন লোকেরা কুরবানী করে সেদিন। {৫২১}

{৫২১} তিরমিজি ৮০২, আলবানি হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন। ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস

পরিচ্ছেদ ২৩২ঃ সূর্য ঢলে যাওয়ার পরে ঈদের [চাঁদের খবর আবগত হলে] নামাজ আদায়ের বিধান

৪৮৬ – আবূ`উমাইর বিন আনাস[রাঃআঃ] তাহাঁর চাচাদের[সাহাবীদের][রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ

একদল আরোহী এসে সাক্ষ্য দিল যে, গতকাল সন্ধায় তারা আকাশে চাঁদ দেখেছে। ফলে নাবী[সাঃআঃ] তাদেরকে ইফতার করিতে বলিলেন ও পরদিন সকালে`ঈদের ময়দানে যেতে নির্দেশ দিলেন। -এ শব্দ বিন্যাস আবূ দাউদের এবং তাহাঁর সানাদ সহিহ। {৫২২}

{৫২২} আবূ দাউদ ১২৫৭, নাসায়ি হাদিস ১৫৫৭, এবনু মাজাহ ১৬৫৩, আহমাদ ২০০৫৬, ২০০৬১। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস

পরিচ্ছেদ ২৩৩ঃ ঈদুল ফিত্বরের দিন [ঈদগাহে] যাওয়ার পূর্বে পানাহার করা

৪৮৭ – আনাস ইবনু মালিক [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল [সাঃআঃ]`ঈদুল ফিতরের দিন কিছু খেজুর না খেয়ে বের হতেন না। বুখারী ভিন্ন একটি মু’আল্লাক [বিচ্ছিন্ন] সূত্রে যেটি আহমাদ সংযুক্ত সূত্রে বর্ণনা করিয়াছেন [সেখানে আছে এভাবে] “ঐ খেজুরগুলো তিনি একটি একটি করে খেতেন। {৫২৩}

{৫২৩} বুখারী ৯৫৩, তিরমিজি ৫৪৩, আহমাদ ১১৮৫৯, ১৩০১৪ ইবনু মাজাহ ১৭৫৪। ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস

পরিচ্ছেদ ২৩৪ঃ ঈদুল আযহার দিবসে [ঈদগাহে] বের হওয়ার পূর্বে পানাহারের বিধান

৪৮৮ – আবদুল্লাহ্ বিন বুরায়দাহ তাহাঁর পিতা বুরায়দাহ থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ঈদুল ফিত্‌র-এর দিন কিছু না খেয়ে বের হতেন না। আর`ঈদুল আযহার দিন নামাজের পূর্বে কিছু খেতেন না। – ইবনু হিব্বান একে সহিহ বলেছেন। {৫২৪}

{৫২৪} তিরমিজি ৫৪২, ইবনু মাজাহ ১৭৫৬, আহমাদ ২২৪৭৪, ২২৫৩৩, দারেমী ১৬০০। বিন বায তার হাশিয় বুলুগুল মারাম ৩১৯ গ্রন্থে এ হাদিসের সনদকে উত্তম বলেছেন, ইবনু হাজার আর ফতহুল বারী ২/৫১৯ গ্রন্থে বলেন, এর সনদ নিয়ে সমালোচনা আছে, ইমাম যাহাবী তার মীযানুল ইতিদাল ১/৩৭৩ গ্রন্থে বলেন, এর মুতাবাআত রয়েছে। আলবানী তার তাখরিজ মিশকাতুল মাসাবীহ ১৩৮৫, তিরমিজি ৫২৪ গ্রন্থে এর সনদকে সহিহ বলেছেন। ইমাম সুয়ূতী জামেউস সগীর ৬৮৮২ গ্রন্থেও হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস

পরিচ্ছেদ ২৩৫ঃ ঈদের নামাজের জন্য মহিলাদের বের হওয়ার বিধান

৪৮৯ – উম্মু আতীয়াহ্ [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা নাবী [সাঃআঃ] কর্তৃক আদিষ্ট হতাম সাবালিকা, যুবতী ও হায়িযা মেয়েদেরকে`ঈদগাহে নিয়ে যাবার জন্য। তারা হাজির হইবে পুণ্য কাজে এবং মুসলিমদের দু’আয় সামিল হইবে, তবে হায়িযা নারীরা নামাজ আদায়ের স্থান হতে দূরে অবস্থান করিবে। {৫২৫}

{৫২৫} বুখারী ৩২৪, ৩৫১, ৯৭১, ৯৭৪, ৯৮০, ৯৮১, ১৬৫২, মুসলিম ৮০৯০, তিরমিজি ৫৩৯, নাসায়ি হাদিস ৩৯০, ১৫৫৮, ১৫৫৯, আবূ দাউদ ১৩৩৬, ১১৩৯, ইবনু মাজাহ ১৩০৭, ১৩০৩, আহমাদ ২০২৬৫, দারেমী ১৬০৯। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস

পরিচ্ছেদ ২৩৬ঃ ঈদের দিন খুতবার পূর্বে নামাজ আদায় করিতে হইবে

৪৯০ – ইবনু`উমার [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] আবূ বাক্‌র এবং`উমার [রাঃআঃ] উভয়`ঈদের নামাজ খুতবার আগে আদায় করিতেন। {৫২৬}

{৫২৬} বুখারী ৯৫৭, ৯৬৩, মুসলিম ৮৮৮, তিরমিজি ৫৩১, নাসায়ি হাদিস ১৫৬৪, ইবনু মাজাহ ১২৭৬, আহমাদ ৫৬৩০। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস

পরিচ্ছেদ ২৩৭ঃ ঈদের নামাজের পূর্বে ও পরে নফল নামাজ পড়ার বিধান

৪৯১ – ইবনু`আব্বাস [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ

নাবী [সাঃআঃ]`ঈদুল ফিতরে দু’ রাকা‘আত নামাজ আদায় করেন। এর পূর্বে ও পরে কোন নামাজ আদায় করেন নি। {৫২৭}

{৫২৭} বুখারী ৯৮, ৮৫৩, ৯৬২, ৯৬৪, ৯৭৭, মুসলিম ৮৪৪, ৮৮৬, নাসায়ি হাদিস ১৫৬৯, আবূ দাউদ ১১৪২, ১১৪৭, ইবনু মাজাহ ১২৭৩, ১২৭৪, আহমাদ ১৯০৫, ১৯৮৪, ২০৬৩, দারেমী ১৬০৩, ১৬১০। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস

পরিচ্ছেদ ২৩৮ঃ ঈদের নামাজ আযান ও ইক্বামত হীন

৪৯২ – ইবনু`আব্বাস [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ

নাবী [সাঃআঃ] ঈদের নামাজ আযান ও ইকামাত ব্যতীতই আদায় করিয়াছেন। -এর মূল বক্তব্য বুখারীতে রয়েছে। {৫২৮}

{৫২৮} বুখারী ৯৮, ৮৫৩, ৯৬২, ৯৬৪, ৯৭৭, মুসলিম ৮৪৪, ৮৮৬, নাসায়ি হাদিস ১৫৬৯, আবূ দাউদ ১১৪২, ইবনু মাজাহ ১২৭৩, ১২৭৪, আহমাদ ১৯০৫, ১৯৮৪, ২০৬৩, দারেমী ১৬০৩, ১৬১০। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস

পরিচ্ছেদ ২৩৯ঃ ঈদগাহ থেকে [বাড়িতে] প্রত্যাবর্তন করার পর দু’ রাক‘আত নফল পড়া বৈধ

৪৯৩ – আবূ সা‘ঈদ আল-খুদরী [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলূল্লাহ [সাঃআঃ] ঈদের নামাজের আগে কোন নামাজ আদায় করিতেন না। তবে তিনি তাহাঁর বাড়িতে ফিরে আসার পর দু’ রাক‘আত নামাজ আদায় করিতেন। -ইবনু মাজাহ হাসান সানাদে। {৫২৯}

{৫২৯} ইবনু মাজাহ ১২৯৩, আহমাদ ১০৮৪২, ১০৯৬২। হাদিসের তাহকীকঃ হাসান হাদিস

পরিচ্ছেদ ২৪০ঃ ঈদগাহে ঈদের নামাজ ও জনগণকে উদ্দেশ্য করে ভাষণ দেয়া শরীয়তসম্মত

৪৯৪ – আবূ সা‘ঈদ খুদরী [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ]`ঈদুল ফিতর ও`ঈদুল আযহার দিন`ঈদমাঠে যেতেন এবং সেখানে তিনি প্রথম যে কাজ শুরু করিতেন তা হল নামাজ। আর নামাজ শেষ করে তিনি লোকদের দিকে মুখ করে দাঁড়াতেন এবং তাঁরা কাতারে বসে থাকতেন। তিনি তাঁদের নাসীহাত করিতেন, উপদেশ দিতেন এবং নির্দেশ দান করিতেন। {৫৩০}

{৫৩০} বুখারী ৩০৪, ১৪৬২, ১৯৫১, মুসলিম ৮০, ৮৮৯, নাসায়ি হাদিস ১৫৭৬, ১৫৭৯, ইবনু মাজাহ ১২৮৮, আহমাদ ১০৬৭৫, ১০৮৭০। পূর্ণাঙ্গ হাদিসটি হচ্ছে, [আরবী] যদি তিনি কোন সেনাদল পাঠাবার ইচ্ছা করিতেন, তবে তাদের আলাদা করে নিতেন। অথবা যদি কোন বিষয়ে নির্দেশ জারি করার ইচ্ছা করিতেন তবে তা জারি করিতেন। অতঃপর তিনি ফিরে যেতেন। আবূ সা‘ঈদ [রাঃআঃ] বলেন, লোকেরা বরাবর এ নিয়মই অনুসরণ করে আসছিল। অবশেষে যখন মারওয়ান মাদীনাহ্‌র‘আমীর হলেন, তখন সেখানে একটি মিম্বর দেখিতে পেলাম, সেটি কাসীর আবনু সালত [রাঃআঃ] তৈরী করেছিলেন। মারওয়ান নামাজ আদায়ের পূর্বেই এর উপর আরোহণ করিতে উদ্যত হলেন। আমি তাহাঁর কাপড় টেনে ধরলাম। কিন্তু তিনি কাপড় ছাড়িয়ে খুতবাহ দিলেন। আমি তাকে বললাম, আল্লাহর কসম! তোমরা [রাসূলের সুন্নাত] পরিবর্তন করে ফেলেছ। সে বলিল, হে আবূ সা‘ঈদ! তোমরা যা জানতে, তা গত হয়ে গেছে। আমি বললাম, আল্লাহ্‌র কসম! আমি যা জানি, তা তার চেয়ে ভাল, যা আমি জানি না। সে তখন বলিল, লোকজন নামাজের পর আমাদের জন্য বসে থাকে না, তাই ওটা নামাজের আগেই করেছি। ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস

পরিচ্ছেদ ২৪১ঃ ঈদের নামাজে তাকবীর ও তার সংখ্যা

৪৯৫ – আমর বিন্ শুয়াইব থেকে বর্ণিতঃ

তিনি তাহাঁর পিতা থেকে তিনি তাহাঁর দাদা হতে বর্ণনা করিয়াছেন, নাবী [সাঃআঃ] বলেছেন,`ঈদুল ফিতর-এর নামাজে অতিরিক্ত তাকবীর হচ্ছে প্রথম রাক‘আতে সাত ও পরবর্তী রাক‘আতে পাঁচ আর কিরআত পাঠ উভয় ক্ষেত্রেই তাকবীরের পর। -আবূ দাউদ {৫৩১} তিরমিজি হাদিসটি বুখারী থেকে নকল করিয়াছেন, বুখারী হাদিসটিকে সহীহ্ বলেছেন। {৫৩২}

{৫৩১} হাদিসটি সহিহ। আবূ দাউদ তা বর্ণনা করিয়াছেন। যদিও হাদিসটির মধ্যে দুর্বলতা রয়েছে, তবুও এর শাহেদ হাদিস থাকার কারণে তা সহিহ। {৫৩২} আবূ দাউদ ১১৫১, ১১৫২, ইবনু মাজাহ ১২৭৮।ন হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস

পরিচ্ছেদ ২৪২ঃ ঈদের নামাজে যা পড়তে হইবে

৪৯৬ – আবূ ওয়াকিদ আল-লাইসী থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ]`ঈদুল ফিতর ও`ঈদুল আযহার নামাজে সূরা`ক্কাফ’ ও সূরা`ইক্‌তারাবাত [সূরা ক্বামার]’ পাঠ করিতেন। {৫৩৩}

{৫৩৩} মুসলিম ৮৯১, তিরমিজি ৫৬৪, নাসায়ি হাদিস ১৫৬৭, আবূ দাউদ ১১৫৪, আহমাদ ২১৪০৪, মওয়াত্তা মালেক ৪৩৩। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস

পরিচ্ছেদ ২৪৩ঃ ঈদের নামাজের জন্য বের হলে রাস্তা পরিবর্তন শরিয়ত সম্মত

৪৯৭ – জাবির [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]`ঈদমাঠে আসা যাওয়ার সময় রাস্তা পরিবর্তন করিতেন। {৫৩৪}

{৫৩৪} বুখারী ৯৮৬। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস

৪৯৮ – বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ

আবূ দাউদ ইবনু`উমার [রাঃআঃ] হতেও অনুরূপ হাদিস বর্ননা করিয়াছেন। {৫৩৫}

{৫৩৫} আবু দাঊদ ১১৫৬, ইবনু মাজাহ ১১৯৯ । আবূ দাঊদের বর্ননায় রয়েছে, ইবনু উমার [রাঃআঃ] থেকে বর্নিত, তিনি বলেনঃ [আরবী] রসূলুল্লাহ [সাঃ] ঈদের দিন এক রাস্তা দিয়ে যেতেন আর অন্য রাস্তা দিয়ে ফিরতেন। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস

পরিচ্ছেদ ২৪৪ঃ দু’ ঈদে আনন্দ প্রকাশ করা মুস্তাহাব

৪৯৯ – আনাস [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যখন মাদীনাহতে আগমন করেন সে সময় তারা [মদীনাহ্‌ বাসীগণ] দু’টো দিনে খেলাধূলা করত। নাবী [সাঃআঃ] বললেনঃ আল্লাহ তোমাদেরকে এ দু’টোর পরিবর্তে উত্তম দু’টো দিন দিয়েছেন। আযহার দিন, ফিত্‌রের দিন। আবূ দাউদ, নাসায়ি হাদিস উত্তম সানাদ সহকারে। {৫৩৬}

{৫৩৬} আবূ দাউদ ১১৩৪, নাসায়ি হাদিস ১৫৫৬, আহমাদ ১১৫৯৫, ১২৪১৬। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস

পরিচ্ছেদ ২৪৫ঃ ঈদের মাঠে হেঁটে যাওয়া শরীয়তসম্মত

৫০০ – আলী [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন,- সুন্নাত হচ্ছে ঈদগাহে পায়ে হেঁটে যাওয়া-তিরমিজি একে হাসানরূপে বর্ননা করিয়াছেন। {৫৩৭}

{৫৩৭} তিরমিজি ৫৩০, ইবনু মাজাহ ১২৯৬। ইমাম শওকানী তাহাঁর নাইলুল আওত্বার [৩/৩৫২] গ্রন্থে বলেন, এ হাদিসের সনদে খালিদ বিন ইলিয়াস রয়েছেন যিনি শক্তিশালী রাবী নন, এরূপ মন্তব্য করিয়াছেন বাযযার। ইবনু মুঈন ও ইমাম বুখারী বলেন, সে মানসম্পন্ন রাবী নয়। ইমাম আহমাদ ও নাসায়ি হাদিস তাকে মাতরুক হিসেবে অভিহিত করিয়াছেন। ইমাম নববী তাহাঁর মাজমূ [৫/১০] গ্রন্থে বলেন, এ হাদিসের সনদের উৎস হচ্ছে হারিস আল আওয়া থেকে যার জঈফ হওয়ার ব্যাপারে আলিমগন ঐকমত্য। ইবনু উসাইমীনও তাহাঁর মাজমু ফাতাওয়া [২০/৪০৯] গ্রন্থে উক্ত রাবীদের দিকেই অঙ্গুলী নির্দেশ করিয়াছেন। অনুরূপভাবে হাফিয ইবনু হাজার ফাতহুল বারি [২/৫২৩] গ্রন্থেও এর সনদকে জঈফ বলেছেন। ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম হাদিসের তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস

পরিচ্ছেদ ২৪৬ঃ কোন সমস্যার কারণে ঈদের নামাজ মসজিদে পড়া বৈধ

৫০১ – আবূ হুরাইরা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ

ঈদের দিনে বৃষ্টি নামায় নাবী [সাঃআঃ] মাসজিদে তাঁদের নিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেছিলেন। – আবূ দাউদ দুর্বল সানাদে। {৫৩৮}

{৫৩৮} আবূ দাউদ ১১৬০, ইবনু মাজাহ ১২১৩। ইমাম নববী তাহাঁর খুলাসা [২/৮২৫] গ্রন্থে এর সনদকে হাসান বলেছেন। ইমাম শওকানী নাইলুল আওত্বার [৩/৩৫৯] গ্রন্থে এর সনদে একজন মাজহুল রাবীর কথা বলেছেন। আলবানীও সালাতুল ঈদাইন গ্রন্থে [৩২] ও ইমাম সানআনী সুবুলুস সালাম [২/১১] গ্রন্থেও অনুরূপ মন্তব্য করিয়াছেন। ইবনুল কাত্তান আল-ওয়াহম ওয়াল ইহাম [৫/১৪৪] গ্রন্থেও হাদিসটিকে অশুদ্ধ বলেই ইঙ্গিত করিয়াছেন। আলবানী তাখরিজ মিশকাতুল মাসাবাহ [১৩৯৩], ও আবূদাঊদ [১১৬০] গ্রন্থে হাদিসটিকে দুর্বল অভিহিত করিয়াছেন। বিন বায হাশিয়া বুলুগুল মারাম [৩২৪] গ্রন্থে বলেন, এর সনদে ঈসা বিন আবদুল আলা বিন ফুরওয়া রয়েছেন যিনি মাজহুল। মুহাদ্দিস আযীমাবাদীও আওনুল মাবূদ [৪/১৭] গ্রন্থে উক্ত রাবীকে মাজহুল হিসেবেই আখ্যায়িত করিয়াছেন। ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম হাদিসের তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস


by

Comments

2 responses to “দুই ঈদের নামাজ। ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম”

Leave a Reply