মুসাফির ও পীড়িত ব্যক্তির নামাজ। অসুস্থ ব্যক্তির নামাজ

মুসাফির ও পীড়িত ব্যক্তির নামাজ। অসুস্থ ব্যক্তির নামাজ

মুসাফির ও পীড়িত ব্যক্তির নামাজ। অসুস্থ ব্যক্তির নামাজ >> বুলুগুল মারাম এর মুল সুচিপত্র দেখুন

অধ্যায় ১১ঃ মুসাফির ও পীড়িত ব্যক্তির নামাজ

পরিচ্ছেদ ১৯৪ঃ সফরে নামাজ ক্বসর করার বিধান
পরিচ্ছেদ ১৯৫ঃ বিভিন্ন প্রকার জনগণের উপস্থিতিতে সফরে নামাজ পূর্ণ ও ক্বসর করা বৈধ
পরিচ্ছেদ ১৯৬ঃ শরীয়তসম্মত সুযোগ গ্রহণ করা মুস্তাহাব বিশেষ করে ক্বসর নামাজ
পরিচ্ছেদ ১৯৭ঃ যতটুক দূরত্বে গেলে ক্বসর করা যাবে
পরিচ্ছেদ ১৯৮ঃ মুসাফির ব্যক্তি নির্ধারিত সময় অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ক্বসর করিতে পারবে
পরিচ্ছেদ ১৯৯ঃ যে ব্যক্তি কোন প্রয়োজনে সফরে আছে, কিন্তু তার সময়সীমা নির্দিষ্ট করিতে পারছে না তা বিধান
পরিচ্ছেদ ২০০ঃ সফর অবস্থায় যুহর ও আসর নামাজ জমা [একত্র] করে আদায় করার বিধান
পরিচ্ছেদ ২০১ঃ মুসাফিরের চলন্ত ও অবস্থানরত অবস্থায় নামাজ জমা করে আদায় করার বিধান
পরিচ্ছেদ ২০২ঃ ক্বসর [নামাজের] দূরত্বের সীমারেখা
পরিচ্ছেদ ২০৩ঃ সফরে নামাজ পূর্ণ করার চেয়ে ক্বসর করা উত্তম
পরিচ্ছেদ ২০৪ঃ অসুস্থ ব্যক্তির নামাজ আদায়ের বিধান

পরিচ্ছেদ ১৯৪ঃ সফরে নামাজ ক্বসর করার বিধান

৪২৯ – আয়িশা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, প্রথম অবস্থায় নামাজ দু’রাক’আত করে ফরয করা হয় অতঃপর সফরে নামাজ সেভাবেই স্থায়ী থাকে এবং মুকীম অবস্থায় নামাজ পূর্ণ [চার রাক’আত] করা হয়েছে। বুখারীতে আছে, অতঃপর নাবী [সাঃআঃ] যখন হিজরাত করিলেন, ঐ সময় নামাজ চার রাক’আত করে দেয়া হয়। এবং সফর কালে আগের অবস্থা অর্থাৎ দু’ রাক’আত বহাল রাখা হয়। {৪৭০}

{৪৭০} বুখারী ১০৯০, ৩৫০, ৩৯৩৫, মুসলিম ৬৮৫, নাসায়ি হাদিস ৪৫৩, ৪৫৫, আবূ দাউদ ১১৯৮, আহমাদ ২৫৪৩৬, ২৫৮০৬, মুওয়াত্তা মালেক ৩৩৭, দারেমী ১৫০৯। বুখারীর বর্ণনায় রয়েছে, [আরবী] অতঃপর নাবী [সাঃআঃ] যখন হিজরত করিলেন, ঐ সময় নামাজ চার রাক’আত করে দেয়া হয়। এবং সফর কালে আগের অবস্থা অর্থাৎ দু’ রাক’আত বহাল রাখা হয়। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস

৪৩০ – বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ

ইমাম আহমাদ বৃদ্ধি করেছেনঃ “মাগরিবের নামাজ ব্যতীত কেননা সেটা দিনের নামাজের বিত্‌র [বিজোড়], আর সকালের [ফজরের] নামাজ ব্যতীত কেননা তাতে কিরাআত লম্বা হয়”।

হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস

পরিচ্ছেদ ১৯৫ঃ বিভিন্ন প্রকার জনগণের উপস্থিতিতে সফরে নামাজ পূর্ণ ও ক্বসর করা বৈধ

৪৩১ – ‘আয়িশা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ

নাবী [সাঃআঃ] সফরে নামাজ ক্বসর করিতেন ও পুরোও আদায় করিতেন, সওম পালন করিতেন, আবার তা কাযাও করিতেন। দারাকূৎনী; এর সকল রাবীই নির্ভরযোগ্য] তবে এটি মা’লূল [ত্রুটিযুক্ত]।`আয়িশা [রাঃআঃ] –এর এটা নিজস্ব কাজ; তিনি বলেন, [সফরে পুরো নামাজ আদায় করা, সওম পালন করা] এটা আমার জন্য কঠিন কাজ নয়”। {৪৭১}

{৪৭১} দারাকুতনী ২/৪৪/১৮৯। হাদিসের তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস

পরিচ্ছেদ ১৯৬ঃ শরীয়তসম্মত সুযোগ গ্রহণ করা মুস্তাহাব বিশেষ করে ক্বসর নামাজ

৪৩২ – ইবনু`উমার [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, আল্লাহ্‌ তাআলা তাহাঁর অবকাশ দেয়া কাজগুলো কার্যকরী হওয়া পছন্দ করেন। যেমন তিনি তাহাঁর অবাধ্যতাকে অপছন্দ করেন।–আহ্‌মাদ । ইবনু খুযাইমাহ ও ইবনু হিব্বান একে সহীহ্‌ বলেছেন, ভিন্ন একটি বর্ণনায় আছেঃ যেমন তিনি তাহাঁর বিশেষ নির্দেশগুলো কার্যকর হওয়াকে পছন্দ করেন। {৪৭২}

{৪৭২} হাদিস সহিহ । ইবনূ হিব্বান [হাঃ ৩৫৪] তা বর্ণনা করিয়াছেন। বর্ণনাকারী হলেনঃ আবদূল্লাহ বিন আব্বাস [রাঃআঃ] । হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস

পরিচ্ছেদ ১৯৭ঃ যতটুক দূরত্বে গেলে ক্বসর করা যাবে

৪৩৩ – আনাস [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যখন তিন মাইল অথবা তিন ফারসাখ দূরবর্তী স্থানে যেতেন তখন তিনি দু’ রাক’আত নামাজ আদায় করিতেন [অর্থাৎ নামাজ কসর আদায় করিতেন]। {৪৭৩}

{৪৭৩} মুসলিম ৬৯১, আবূ দাউদ ১২০১, আহমাদ ১১৯০৪। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস

পরিচ্ছেদ ১৯৮ঃ মুসাফির ব্যক্তি নির্ধারিত সময় অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ক্বসর করিতে পারবে

৪৩৪ – আনাস [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর সাথে মাদীনা হতে মক্কার দিকে বের হয়েছিলাম। নাবী [সাঃআঃ] মাদীনা ফিরে আসা পর্যন্ত দু’ রাক’আত, দু’ রাক’আত নামাজ আদায় করিয়াছেন। – শব্দ বিন্যাস বুখারীর। {৪৭৪}

{৪৭৪} বুখারী ১০৮১, ৪২৯৭, মুসলিম ৬৯৩, তিরমিজি ৫৪৮, নাসায়ি হাদিস ১৪৩৮, ১৪৫২, আবূ দাউদ ১২৩৩, ইবনু মাজাহ ১০৬৩,১০৭৭, আহমাদ ১২৫৩৩, ১২৫৬৩, দারেমী ১৫০৯। বুখারীতে রয়েছে, [রাবী বলেন] আমি আনাস [রাঃআঃ]-কে বললাম, আপনারা [হাজ্জকালীন সময়] মক্কায় কয় দিন অবস্থান করেছিলেন? তিনি বলিলেন, সেখানে আমরা দশ দিন অবস্থান করেছিলাম। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস

পরিচ্ছেদ ১৯৯ঃ যে ব্যক্তি কোন প্রয়োজনে সফরে আছে, কিন্তু তার সময়সীমা নির্দিষ্ট করিতে পারছে না তা বিধান

৪৩৫ – ইব্‌নু`আব্বাস [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] একদা সফরে ঊনিশ দিন পর্যন্ত অবস্থান কালে নামাজ ক্বাসর করেন। অন্য শব্দেঃ`মক্কায় ঊনিশ দিন’ [অবস্থানকালে] । আবূ দাউদের বর্ণনায় আছে সতের দিন’। অন্য বর্ণনায় আছে – পনের দিন’। {৪৭৫}

{৪৭৫} বুখারী ১০৮০, ৪২৯৮, ৪৩০০, তিরমিজি ৫৪৯, ইবনু মাজাহ ১০৭৫, আবূ দাউদ ১২৩০, হাদিসের প্রথম অংশটুকু বুখারী [১০৮০] নম্বর হাদীসে রয়েছে, আর দ্বিতীয় অংশটুকু [৪২৯৮] নম্বর হাদীসে রয়েছে। তবে আবূ দাঊদের ১২৩০ নং হাদীসে ১৭ দিন, ১২৩১ নং হাদীসে ১৫ দিন, ১২৩২ নং হাদীসে ১৭ দিন উল্লেখ রয়েছে, যে গুলোকে হাদিস বেত্তাগণ সহীর বিপরীত বলে মন্তব্য করিয়াছেন। ইমাম বায়হাকী বলেন ১৭ দিন কথাটি ঠিক নয়। বিশুদ্ধ বর্ণনা হয়েছে ১৯ দিন। সুনানে আল কুবরা বায়হাকী ৩ খণ্ড ১৫১ পৃষ্ঠা, নাসায়ি হাদিসতে বর্ণিত [১৪৫৩] বর্ণিত হাদীসে ১৫ দিনের কথা উল্লেখ থাকলেও হাদিসটিতে [আরবী] রয়েছে। তার সম্পর্কে [আরবী] তারা দুইজন বলেন তার হাদিস পরিত্যাগ করা হয়েছে। হাদিসের তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস

৪৩৬ – বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ

আবূ দাউদ`ইম্‌রান্‌ বিন্‌ হুসাইনের বর্ণনায় আছে-‘আঠারো দিন’। {৪৭৬}

{৪৭৬} ইমরান বিন হুসাইন, ইমাম জয়লায়ী হাদিসটিকে যইফ বলেছেন। [আরবী] ২য় খণ্ড ১৮৪ পৃষ্ঠা। ইমাম নববী তাহাঁর আল মাজমূ’ [৪/৩৬০] গ্রন্থে বলেন, এর সনদে এমন বর্ণনাকারী রয়েছেন যার হাদিস গ্রহণযোগ্য নয়। শাইখ সুমাইর আয যুহাইরী বলেন, এর সনদে আলী বিন যায়দ বিন যাদআন রয়েছেন, তিনি দুর্বল। হাদিসের তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস

৪৩৭ – জাবির [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ

তাবূকে তিনি বিশ দিন অবস্থান করিয়াছেন এবং নামাজ কসর আদায় করিয়াছেন। হাদিসটির সকল রাবী সিকা [নির্ভরযোগ্য]। তবে এর মাওসুল হবার ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে। {৪৭৭}

{৪৭৭} আবূ দাউদ ১২৩৫, আহমাদ ১৩৭২৬। খুলাসা [২/৭৩৩] গ্রন্থে ইমাম নাবাবী বলেন, এর সনদ সহিহ, কারণ তা বুখারী মুসলিমের সনদের শর্তে। আদদেরায়া [১/২১২] গ্রন্থে ইবনু হাজার বলেন, এর সকল রাবী বিশ্বস্ত আবূ দাউদ ও অন্যরা বলেন মামার এককভাবে মারফূ হিসেবে বর্ণনা করেন। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস

পরিচ্ছেদ ২০০ঃ সফর অবস্থায় যুহর ও আসর নামাজ জমা [একত্র] করে আদায় করার বিধান

৪৩৮ – আনাস ইব্‌নু মালিক [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] সূর্য ঢলে পড়ার পূর্বে সফর শুরু করলে আসরের ওয়াক্ত পর্যন্ত যুহর বিলম্বিত করিতেন এবং উভয় নামাজ একত্রে আদায় করিতেন। আর সফর শুরুর আগেই সূর্য ঢলে গেলে যুহর আদায় করে নিতেন। অতঃপর সওয়ারীতে উঠতেন।

আর হাকিমে আরবা‘ঈন গ্রন্থে সহিহ সানাদে বর্ণিত আছে, তিনি {নাবী[সাঃআঃ]} যুহর ও আসরের ঊভয় নামাজ আদায় করে [স্থান ত্যাগের জন্য] বাহনে আরোহণ করিতেন।

আবূ নু’আইম-এর`মুস্‌তাখ্‌রাজি মুসলিম’-এ আছেঃ তিনি {নাবী[সাঃআঃ]} সফরে থাকা কালীন যখন সূর্য পশ্চিমে ঢলে যেত তখন তিনি যুহর ও`আসরের নামাজ একত্রে আদায় করিতেন, তারপর রওয়ানা হতেন। {৪৭৮}

{৪৭৮} বুখারী ১০৯২, ১১১১, ১১১২, মুসলিম ৭০৪, ৮৭৬, আবূ দাউদ ১২০৪। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস

পরিচ্ছেদ ২০১ঃ মুসাফিরের চলন্ত ও অবস্থানরত অবস্থায় নামাজ জমা করে আদায় করার বিধান

৪৩৯ – মু’আয [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমারা নাবী [সাঃআঃ]-এর সঙ্গে তাবুক যুদ্ধের উদ্দেশ্যে বের হলাম। তিনি ঐ সফরে যুহর ও`আসর একত্রে এবং মাগরিব ও`ইশা একত্রে পড়াতে থাকেন। {৪৭৯}

{৪৭৯} মুসলিম ৭০৬, তিরমিজি ৫৫৩, নাসায়ি হাদিস ৫৮৭, আবূ দাউদ ১২০৬, ১২০৮, ইবনু মাজাহ ১০৭০, আহমাদ ২১৫০৭, মুওয়াত্বা মালেক ৩৩০, দারেমী ১৫১৫। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস

পরিচ্ছেদ ২০২ঃ ক্বসর [নামাজের] দূরত্বের সীমারেখা

৪৪০ – ইবনু`আব্বাস [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন-চার‘বারিদ্’-এর কম দূরবর্তী স্থানের সফরে কসর করিবে না। যেমন মাক্কা হতে`উসফান পর্যন্ত। -দারাকুৎনী দুর্বল সানাদে। হাদিসটির মাওকুফ হওয়াই সঠিক, ইবনু খুযাইমাহ এটি এভাবেই সংকলন করিয়াছেন। {৪৮০}

{৪৮০}আল মজমু [৪/৩২৮] আল খুলাসা [২/৭৩১] গ্রন্থ দ্বয়ে ইমান নাবাবী এই হাদিসের সনদকে অত্যন্ত দুর্বল বলে আখ্যা দিয়েছেন। সুবুলুস সালাম [২/৬৯] গ্রন্থে ইমাম সানয়ানী বলেন, এই হাদীসে আঃ ওহাব বিন মুজাহিদ মাতরুক, সাওরী তাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে। ইবনে আব্বাস পর্যন্ত সনদ সহিহ। শরহে বুলুগুল মারাম [২/৩১৪] গ্রন্থে ইবনু উসাইমিন বলেন হাদিসটি মুনকার। রাসূল [সাঃআঃ] থেকে তা কোনভাবেই প্রমাণিত নয়। মাজমুয়া আর রাসায়েল ওয়াল আমায়েল [২/৩০৭] গ্রন্থে ইবনু তায়মিয়া বলেন, রাসূল [সাঃআঃ] এর নামে মিথ্যা আরোপ করা হয়েছে। কিন্তু এটা ইবনু আব্বাসের বক্তব্য। আল ফাতহুর রব্বানী [৬/৩১২৫], নায়লুল আওতার ৩/২৫৩, আদ দারাবী আল মুযীয়য়াহ শরহু দুরারুল বাহীয়া [১২৩] গ্রন্থত্রয়েও ইমাম শাওক্বানী আঃ ওয়াহাব বিন মুজাহিদকে মাতরুক হিসেবে অভিহিত করিয়াছেন। হাদিসের তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস

পরিচ্ছেদ ২০৩ঃ সফরে নামাজ পূর্ণ করার চেয়ে ক্বসর করা উত্তম

৪৪১ – জাবির [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন-আমার উম্মাতের মধ্যে উত্তম তারাই যারা মন্দ কাজ করে ফেললে ক্ষমা প্রার্থনা করে। আর যখন সফর করে তখন নামাজ ক্বসর করে ও রোযা মুক্ত অবস্থায় থাকে। -ত্ববারানী এটি আওসাত নামক গ্রন্থে দুর্বল সানাদে বর্ণনা করিয়াছেন এবং সাঈদ বিন মুসাইয়্যিবের মুরসাল হাদিসরূপে বায়হাকীতে এটা সংক্ষিপ্তাকারে সঙ্কলিত হয়েছে।{৪৮১}

{৪৮১} সহীহুল জামে ২৯০১, সিলসিলা যয়ীফা ৩৫৭১, গ্রন্থ দ্বয়ে আলবানী হাদিসটিকে দুর্বল আখ্যায়িত করিয়াছেন। শরহ বুলুগুল মারাম [২/১৩৫] গ্রন্থে ইবনু উসাইমিন বলেন, হাদিসটি দুর্বল তবে এর অর্থ সহিহ। আল জামিউস স্বগীর [১৪৬২] গ্রন্থে সুয়ূতী, ও সবুলুস সালাম [২/৭০] গ্রন্থে সানয়ানী, হাদিসটিকে জঈফ বলেছেন। মাজমাউয যাওয়াওদ [২/১৬০] গ্রন্থে ইমাম হায়সামী বলেন এই হাদীসে ইবনু লাহিয়া সে বিতর্কিত। মাত্তাফে কাতুল খবর আল খবর [২/৪৬] গ্রন্থে ও ইবনু হাজার আসকালানী উক্ত রাবীকে বিতর্কিত হিসেবে চিহ্নিত করিয়াছেন। তবে তিনি বলেন আমি এর শাহিদ মারাসিলে সাইদ বিন মুসাইয়িবে পেয়েছি। হাদিসের তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস

পরিচ্ছেদ ২০৪ঃ অসুস্থ ব্যক্তির নামাজ আদায়ের বিধান

৪৪২ – ইমরান ইবনু হুসাইন [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমার অর্শরোগ ছিল। তাই আল্লাহর রাসূল [সাঃআঃ]-এর খিদমতে নামাজ সম্পর্কে প্রশ্ন করলাম, তিনি বললেনঃ দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করিবে, তা না পারলে বসে; যদি তাও না পার তাহলে শুয়ে। {৪৮২}

{৪৮২} বুখারী ১১১৫, ১১১৬, ১১১৭, তিরমিজি ৩৭১, নাসায়ি হাদিস ১৬৬০, আবূ দাউদ ৯৫১, ৯৫২, ইবনু মাজাহ ১২৩১, আহমাদ ১৯৩৮৬, ১৯৩৯৮। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস

৪৪৩ – জাবির [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] কোন এক রুগ্ন ব্যক্তির খবরাখবর নিতে যান। ইত্যবসরে বালিশের উপর তাকে নামাজের সাজদাহ করিতে দেখে তা টেনে ফেলে দিয়ে বললেনঃ মাটির উপর সাজদাহ করিতে সক্ষম হলে মাটির উপর সাজদাহ করে নামাজ আদায় করিবে। নতুবা এমনভাবে ইশারা করে নামাজ আদায় করিবে, তাতে রুকুর ইশারা হতে সাজদাহর ইশারায় মাথা অপেক্ষাকৃত বেশি নীচু করিবে।-বায়হাকী, আবূ হাতিম এটির মাওকুফ হওয়াকেই সঠিক বলেছেন।

হাদিসের তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস

৪৪৪ – আয়িশা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেন-নাবী [সাঃআঃ]-কে`চার জানু’ পেতে বসে নামাজ আদায় করিতে দেখেছি। -হাকিম একে সহীহ্ বলেছেন।

হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস


by

Comments

Leave a Reply