ঝগড়া বিবাদ , একে অপরের উপর দলীল পেশ করা, পরাজিত করা

ঝগড়া বিবাদ , একে অপরের উপর দলীল পেশ করা, পরাজিত করা, বিজয়ী হওয়া প্রভৃতি কাজ থেকে ভীতি প্ৰদৰ্শন এবং হকদার হওয়া বা না হওয়া উভয় ক্ষেত্রে ঝগড়া পরিত্যাগ করার প্ৰতি উদ্বুদ্ধ করণঃ

<< সহীহ আত তারগীব ওয়াত তারহীব হাদীস বই এর মুল সুচিপত্র

পরিচ্ছেদঃ ঝগড়া বিবাদ , একে অপরের উপর দলীল পেশ করা, পরাজিত করা, বিজয়ী হওয়া প্রভৃতি কাজ থেকে ভীতি প্ৰদৰ্শন এবং হকদার হওয়া বা না হওয়া উভয় ক্ষেত্রে ঝগড়া পরিত্যাগ করার প্ৰতি উদ্বুদ্ধ করণঃ

আত তারগীব ওয়াত তারহীবঃ ১৩৮ – আবু উমামা [রাঃআঃ] হতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেনঃ
“যে ব্যক্তি বাতিল বিষয় নিয়ে ঝগড়া পরিত্যাগ করিবে, তার জন্যে জান্নাতের আশে-পাশে একটি ঘর নির্মাণ করা হইবে। সত্য বিষয় হওয়া সত্বেও যে ব্যক্তি ঝগড়া পরিহার করিবে তার জন্যে জান্নাতের মধ্যভাগে ঘর তৈরী করা হইবে। আর যে ব্যক্তি নিজের চরিত্রকে সুন্দর করিবে তার জন্যে জান্নাতে উচু স্থানে ঘর তৈরী করা হইবে।”

[হাদীছটি বর্ণনা করিয়াছেন আবু দাউদ, তিরমিযী, ইবনি মাজাহ ও বায়হাকী] তিরমিযী বলেন, হাদীছটি হাসান। হাদিসের তাহকিকঃহাসান লিগাইরিহি

আত তারগীব ওয়াত তারহীবঃ ১৩৯ – মুআ`য বিন জাবাল [রাঃআঃ] হতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেনঃ “আমি ঐ ব্যক্তির জন্যে জান্নাতের আশে-পাশে একটি ঘরের, জান্নাতের মধ্যভাগে একটি ঘরের এবং জান্নাতের উচু স্থানে একটি ঘরের জিম্মাদার হব, যে সত্যবাদী হওয়া সত্ত্বেও অনর্থক ঝগড়া পরিহার করিবে, ঠাট্টা করে হলেও যে মিথ্যা পরিত্যাগ করিবে এবং যে ব্যক্তি নিজের চরিত্রকে সুন্দর করিবে।”

হাদিসের তাহকিকঃহাসান লিগাইরিহি [হাদীছটি বাযযার ও ত্বাবরানী বর্ণনা করিয়াছেন]

আত তারগীব ওয়াত তারহীবঃ ১৪০ – আবু সাঈদ খুদরী [রাঃআঃ] হতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ একদা আমরা রাসূলুল্লাহ্ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর বাড়ীর দরজায় বসে পরস্পর আলোচনা করছিলাম। একজন একটি আয়াত টেনে নিয়ে আসছে আরেকজন আরেকটি আয়াত টানছে। এমন সময় রাসূলুল্লাহ্ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] আমাদের নিকট বের হয়ে আসলেন। [ক্রোধের কারণে] যেন তাহাঁর মুখমন্ডলে ডালিমের দানা ফুটে উঠেছিল। তারপর তিনি বললেনঃ “ওহে তোমরা! এই দিয়ে তোমাদেরকে প্রেরণ করা হয়েছে? নাকি এ বিষয়ে তোমাদেরকে আদেশ করা হয়েছে? আমার পরে তোমরা কাফের হয়ে যেও না। তখন তোমাদের একজন আরেকজনের ঘাড় মটকাবে।”

[ত্বাবরানী [কাবীর গ্রন্থে] হাদীছটি বর্ণনা করিয়াছেন] হাদিসের তাহকিকঃসহীহ লিগাইরিহি

আত তারগীব ওয়াত তারহীবঃ ১৪১ – আবু উমামা [রাঃআঃ] হতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেনঃ
“হেদায়াতের উপর প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর কোন জাতি যদি পথভ্রষ্ট হয়, তবে তাহাদেরকে কুট বিতর্কে জড়িয়ে দেয়া হয়।” তারপর তিনি পাঠ করেনঃ [আরবি] “ওরা আপনার সামনে যে উদাহরণ উপস্থাপন করে তা কেবল বিতর্কের জন্যেই করে।” [সূরা যুখরুফঃ ৫৮]

[তিরমিযী, ইবনি মাজাহ ও ইবনি আবী দুনিয়া [কিতাবুস সামত গ্রন্থে] হাদীছটি বর্ণনা করিয়াছেন] তিরমিযী বলেনঃ হাদীছটি হাসান ছহীহ। হাদিসের তাহকিকঃহাসান হাদীস

আত তারগীব ওয়াত তারহীবঃ ১৪২- আয়েশা [রাঃআঃ] হতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেনঃ “আল্লাহর নিকট সর্বাধিক ঘূণিত মানুষ হচ্ছে সর্বদা কুটতর্ককারী।”

[বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী ও নাসাঈ হাদীছটি বর্ণনা করিয়াছেন] হাদিসের তাহকিকঃসহীহ হাদীস

আত তারগীব ওয়াত তারহীবঃ ১৪৩ – আবু হুরায়রা [রাঃআঃ] হতে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ্ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেনঃ
“কুরআন নিয়ে কুটতর্কে [১] লিপ্ত হওয়া কুফরী।”

[আবু দাউদ ও ইবনি হিব্বান হাদীছটি বর্ণনা করিয়াছেন] [১] যেমন এরূপ তর্কে লিপ্ত হওয়া যে, কুরআন নতুন না পুরাতন। অথবা কুরআনের সাদৃশ্যপূর্ণ আয়াত নিয়ে ঝগড়া-বিবাদ করা। হাদিসের তাহকিকঃহাসান সহীহ

আত তারগীব ওয়াত তারহীবঃ ১৪৪ – যায়েদ বিন ছাবেত [রাঃআঃ] হতে বর্ণিতঃ

ত্বাবরানী প্রমূখ হাদীছটি যায়েদ বিন ছাবেত [রাঃআঃ] থেকে বর্ণনা করিয়াছেন।


by

Comments

One response to “ঝগড়া বিবাদ , একে অপরের উপর দলীল পেশ করা, পরাজিত করা”

Leave a Reply