আল্লাহর নাম ও গুণাবলী । আল্লাহর চেহারা ছাড়া সব কিছুই ধ্বংসশীল

আল্লাহর নাম ও গুণাবলী । আল্লাহর চেহারা ছাড়া সব কিছুই ধ্বংসশীল

আল্লাহর নাম ও গুণাবলী । আল্লাহর চেহারা ছাড়া সব কিছুই ধ্বংসশীল >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন

পর্বঃ ৯৭, জাহমিয়াদের মতের খণ্ডন ও তাওহীদ প্রসঙ্গ, অধ্যায়ঃ (১২-১৬)=৫টি

৯৭/১২. অধ্যায়ঃ আল্লাহর এক কম একশ নাম আছে।
৯৭/১৩. অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার নামগুলোর সাহায্যে প্রার্থনা করা ও আশ্রয় চাওয়া।
৯৭/১৪. অধ্যায়ঃ আল্লাহর মূল সত্তা, গুণাবলী ও নামসমূহের বর্ণনা।
৯৭/১৫. অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ আল্লাহ তাহাঁর নিজের সম্বন্ধে তোমাদেরকে সাবধান করিয়াছেন- (সুরা আল ইমরান ৩/২৮)।
৯৭/১৬. অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ আল্লাহর চেহারা ছাড়া সব কিছুই ধ্বংসশীল। (সুরা আল-ক্বাসাস ২৮/৮৮)

৯৭/১২. অধ্যায়ঃ আল্লাহর এক কম একশ নাম আছে।

قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: ذُو الْجَلاَلِ الْعَظَمَةِ الْبَرُّ اللَّطِيفُ

ইবনু আববাস (রাদি.) বলেনঃ ذُو الْجَلاَلِ -এর অর্থ মহানত্বের মালিক, الْبَرُّ এর অর্থ দয়ালু।

৭৩৯২

আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলার নিরানববইটি এক কম একশটি নাম আছে।[১] যে ব্যক্তি এগুলো মুখস্থ করে রাখবে সে জান্নাতে প্রবেশ করিবে। أَحْصَيْنَاهُ -এর অর্থ حَفِظْنَاهُ অর্থাৎ আমরা একে মুখস্থ করলাম। [২৭৩৬] (আঃপ্রঃ- ৬৮৭৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৮৮)

[২৭৩৬] কেউ কেউ এ হাদীস থেকে প্রমাণ গ্রহণ করেন যে, আল্লাহ তাআলার নামের সংখ্যা শুধু মাত্র ৯৯টি। অথচ হাদীসের বর্ণনা থেকে এমনটি বুঝা যায় না। বরং এ ৯৯টি ছাড়াও আল্লাহ তাআলার অনেক নাম রয়েছে। তার প্রমাণ রাসুল (সাঃ) বলেন :

أَسْأَلُكَ بِكُلِّ اسْمٍ هُوَ لَكَ سَمَّيْتَ بِهِ نَفْسَكَ أَوْ عَلَّمْتَهُ أَحَدًا مِنْ خَلْقِكَ أَوْ أَنْزَلْتَهُ فِي كِتَابِكَ أَوْ اسْتَأْثَرْتَ بِهِ فِي عِلْمِ الْغَيْبِ عِنْدَكَ

হাদীসটি বর্ণনা করিয়াছেন আহমাদ, ইবনু হিববান ও হাকেম। হাদীসটি সহীহ।

সুতরাং তিনি যা তার ইলমে গায়েবের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করিয়াছেন তা করো পক্ষে সীমাবদ্ধ করা সম্ভব নয়।

সুতরাং উল্লেখিত হাদীস এ সংখ্যায় সীমাবদ্ধ করার প্রমাণ বহন করে না। যদি সীমাবদ্ধতা উদ্দেশ্য হতো তবে বর্ণনাভঙ্গি হত এমন إن أسماء الله تسعة وتسعون اسما من أحصاها دخل الجنة

যেমন কেউ যদি বলে, আমার কাছে একশত টাকা আছে যা আমি সাদাকা করার জন্য প্রস্ত্তত করে রেখেছি্। এর অর্থ এটা নয় যে, তার কাছে আর অন্য কোন টাকা নেই। বরং তার কাছে টাকা আছে। কিন্তু ওগুলো সাদাকার জন্য প্রস্ত্তত করেনি। সাদাকার জন্য শুধুমাত্র এ একশত টাকাই প্রস্ত্তত করেছে।

সুতরাং হাদীসটির অর্থ হচ্ছে : আল্লাহ তাআলার অসংখ্য নামের মধ্য থেকে এ ৯৯টি (নামের) সংখ্যার ফযীলত হলো: যে ব্যক্তি এগুলো গণনা করিবে, হিফাযাত করিবে এবং নামের চাহিদা মোতাবেক আমাল করিবে সে জান্নাতে প্রবেশ করিবে। (বিস্তারিত দেখুন  শাইখ মুহাম্মাদ ইবনু সালেহ আল উসাইমীনের القواعد المثلى في صفات الله وأسمائه الحسنى গ্রন্থে, ফাতহুল বারী ও ফাতাওয়ায়ে ইমাম ইবনে তাইমিয়ার ৬ নং খন্ড ৩৮২ পৃঃ ও ৩৭৯ পৃঃ)

৯৭/১৩. অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার নামগুলোর সাহায্যে প্রার্থনা করা ও আশ্রয় চাওয়া।

৭৩৯৩

আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

আবু হুরাইরা (রাদি.) সূত্রে নাবী (সাঃআঃ) হইতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ তোমাদের কেউ বিছানায় গেলে তখন সে যেন তার কাপড়ের আঁচল দিয়ে তা তিনবার ঝেড়ে নেয়। আর বলে, হে আমার প্রতিপালক! একমাত্র তোমারই নামে আমার শরীরের পার্শ্বদেশ বিছানায় রাখলাম এবং তোমারই সাহায্যে আবার তা উঠাব। তুমি যদি আমার জীবনকে আটকে রাখ, তাহলে তাকে ক্ষমা করে দিবে। আর যদি তা ফিরিয়ে দাও, তাহলে তোমার নেককার বান্দাদের যেভাবে হিফাযত কর, সেভাবে তার হিফাযাত করিবে।

ইয়াহইয়া ও বিশ্র ইবনু মুফাদ্দাল (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) আবু হুরাইরা (রাদি.) সূত্রে নাবী (সাঃআঃ) থেকে এই হাদীসেরই অনুকরণে বর্ণনা করিয়াছেন। যুহায়র, আবু যামরাহ, ইসমাঈল ইবনু যাকারীয়্যা (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) আবু হুরাইরা (রাদি.) সূত্রে নাবী (সাঃআঃ) থেকে বর্ণনা করিয়াছেন। ইবনু আজলান (রাদি.)………আবু হুরাইরা (রাদি.) সূত্রে নাবী (সাঃআঃ) থেকে বর্ণনা করিয়াছেন। (আঃপ্রঃ- ৬৮৭৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৮৯)

৭৩৯৪

হুযাইফাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) যখন আপন বিছানায় যেতেন, তখন বলিতেন- হে আল্লাহ! আমি তোমারই নামে মৃত্যুবরণ করি, আবার তোমারই নামে জীবিত হই। আবার ভোর হলে বলিতেনঃ সমস্ত প্রশংসা সেই আল্লাহর যিনি আমাদের কে মৃত্যুর (ঘুমের) পর জীবিত করিয়াছেন এবং তাহাঁরই কাছে সমবেত হইতে হইবে। (আঃপ্রঃ- ৬৮৭৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৯০)

৭৩৯৫

আবু যার (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) যখন রাতে তাহাঁর বিছানায় যেতেন তখন বলিতেনঃ আমরা তোমারই নামে মৃত্যুবরণ করি ও জীবিত হই এবং তিনি যখন জাগতেন তখন বলিতেনঃ সমস্ত প্রশংসা সেই আল্লাহর, যিনি মৃত্যুর পর আমাদের জীবিত করেন এবং তাহাঁরই কাছে সমবেত হইতে হইবে। (আঃপ্রঃ- ৬৮৭৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৯১)

৭৩৯৬

ইনবু আব্বাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন স্ত্রীর সাথে মিলিত হওয়ার ইচ্ছা করে এবং সে বলে আল্লাহর নামে শুরু করছি। হে আল্লাহ! আমাদেরকে শয়তান থেকে দূরে রাখুন এবং আপনি আমাদের যে রিযিক দেন তা থেকে শয়তান কে দূরে রাখুন এবং উভয়ের মাধ্যমে যদি কোন সন্তান নির্ধারণ করা হয় তাহলে শয়তান কখনো তার ক্ষতি করিতে পারে না। [২১০](আঃপ্রঃ- ৬৮৮০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৯২)

[২১০] হাদীসে উল্লেখিত এই শেষোক্ত আযাবেই বিশ্বব্যাপী মুসলমানরা আজ পিষ্ট হচ্ছে। তারা বিভিন্ন মাযহাব, বিভিন্ন তরীকা, বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শে বিভক্ত হয়ে নিজেদের মধ্যে হিংসা বিদ্বেষ ও হানাহানিতে লিপ্ত হয়ে পড়ায় ইয়াহূদ-নাসারা, মুশরিক মুনাফিকরা সর্বত্র মুসলমানদেরকে গোলামে পরিণত করছে। মুসলমানরা ও আই সি গঠন করেছে কিন্তু ও আই সির অবস্থা হচ্ছে-تحسبهم جميع وقلوبهم شتى – মনে করছ তারা একত্রিত, কিন্তু তাদের অন্তরগুলো ভিন্ন ভিন্ন- ঐক্যহীন।

৭৩৯৭

আদী ইনবু হাতিম (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নাবী (সাঃআঃ) -কে জিজ্ঞেস করলাম- আমি আমার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর ছেড়ে দেই। নাবী (সাঃআঃ) বললেনঃ যখন তুমি আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে তোমার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুরগুলো ছেড়ে দাও এবং যদি সে কোন শিকার ধরে আনে, তাহলে তা খাও। আর যদি তীক্ষ্ণ তীর নিক্ষেপ কর এবং এতে যদি শিকার দেহ ফেড়ে দেয়, তবে তা খাও। (আঃপ্রঃ- ৬৮৮১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৯৩)

৭৩৯৮

আয়েশা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, সাহাবীগণ বলিলেন, হে আল্লাহর রাসুল! এখানে এমন কতকগুলো সম্প্রদায় আছে, যারা সবে মাত্র শিরক ত্যাগ করে ইসলাম গ্রহণ করেছে। তারা আমাদের জন্য গোশত নিয়ে আসে। সেগুলো যবাই করার কালে তারা আল্লাহর নাম নেয় কিনা তা আমরা জানি না। নাবী (সাঃআঃ) বললেনঃ তোমরা আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে নেবে এবং তা খাবে। এ হাদীস বর্ণনায় আবু খালিদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) -এর অনুসরণ করিয়াছেন মুহাম্মাদ ইবনু আবদুর রহমান, দায়াওয়ার্দী এবং উসামাহ ইবনু হাফস। (আঃপ্রঃ- ৬৮৮২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৯৪)

৭৩৯৯

আনাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

আনাস (রাদি.) বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) বিস্মিল্লাহ পড়ে এবং তাকবীর বলে দুটি ভেড়া কুরবানী করিয়াছেন। (আঃপ্রঃ- ৬৮৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৯৫)

৭৪০০

জুনদাব ইবনু আবদুল্লাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন কুরবানীর দিন নাবী (সাঃআঃ) র কাছে উপস্থিত ছিলেন। নাবী (সাঃআঃ) সালাত পড়লেন। অতঃপর খুতবা দিলেন এবং বললেনঃ সালাত পড়ার আগে যে ব্যক্তি কুরবানীর পশু যবেহ করেছে, সে যেন তদস্থলে আরেকটি পশু যবেহ করে। আর যে ব্যক্তি (সলাতের আগে) যবেহ করেনি সে যেন আল্লাহর নামে যবেহ করে।(আঃপ্রঃ- ৬৮৮৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৯৬)

৭৪০১

ইবনু উমার (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) বলেছেনঃ তোমরা তোমাদের বাপ-দাদার নামে কসম করো না। যে ব্যক্তি কসমকারী হইবে সে যেন আল্লাহর নামেই কসম করে।(আঃপ্রঃ- ৬৮৮৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৯৭)

৯৭/১৪. অধ্যায়ঃ আল্লাহর মূল সত্তা, গুণাবলী ও নামসমূহের বর্ণনা।

وَقَالَ خُبَيْبٌ وَذَلِكَ فِي ذَاتِ الإِلَهِ فَذَكَرَ الذَّاتَ بِاسْمِهِ تَعَالَى

খুবায়ব (রাদি.) বলেছিলেন, وَذَلِكَ فِي ذَاتِ الإِلَهِ (এবং ওটি আল্লাহর সত্তার স্বার্থে) আর তিনি মূল সত্তাকে তাহাঁর নামের সঙ্গে উল্লেখ করেছিলেন।

৭৪০২

আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম) দশজন সহাবীর একটি দল পাঠালেন। তাঁদের মধ্যে খুবায়ব আনসারী (রাদি.) -ও ছিলেন। বর্ণনাকারী ইমাম যুহরী (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, উবাইদুল্লাহ ইবনু আয়ায আমার কাছে বর্ণনা করিয়াছেন যে, হারিসের কন্যা তাকে জানিয়েছে, যখন খুবায়ব (রাদি.) -কে হত্যা করার জন্য তারা সবাই সমবেত হল, তখন খুবায়ব (রাদি.) পাক-সাফ হবার জন্য তার থেকে একখানা ক্ষুর চেয়ে নিলেন। আর যখন তারা খুবায়বকে হত্যা করার জন্য হারামের বাইরে নিয়ে গেল, তখন খুবায়ব আনসারী (রাদি.) কবিতা পাঠ করে বললেনঃ

“মুসলিম হবার কারণেই যখন আমাকে হত্যা করা হচ্ছে, তখন আমার কোন আফসোস নেই।

যে পার্শ্বে ঢলে পড়ি না কেন, আল্লাহর জন্যই আমার এ মৃত্যু।

একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই আমার এ জীবন দান।

যদি তিনি চান তবে আমার কর্তিত অঙ্গরাজির প্রতিটি টুক্রায় তিনি বরকত দেবেন।” এরপর হারিসের ছেলে তাঁকে শহীদ করিল। তাঁদের সে বিপদের খবরটি নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম) তাহাঁর সহাবাগণকে সেদিনই জানিয়ে দিয়েছিলেন। (আঃপ্রঃ- ৬৮৮৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৯৮)

৯৭/১৫. অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ আল্লাহ তাহাঁর নিজের সম্বন্ধে তোমাদেরকে সাবধান করিয়াছেন- (সুরা আল ইমরান ৩/২৮)।

আল্লাহর বাণীঃ আমার অন্তরের কথা আপনি জানেন, কিন্তু আপনার অন্তরের কথা আমি জানি না- (সুরা আল-মায়িদাহ ৫/১১৬)।

৭৪০৩

বদুল্লাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ (রাদি.) সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম) হইতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আল্লাহর চেয়ে অধিক আত্মমর্যাদাসম্পন্ন আর কেউ নেই। এই কারণেই তিনি অশ্লীলতাকে হারাম করে দিয়েছেন। এমন কেউ নেই যে, আত্মপ্রশংসা আল্লাহর চেয়ে বেশি ভালবাসে।(আঃপ্রঃ- ৬৮৮৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৯৯)

৭৪০৪

আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

আবু হুরাইরা (রাদি.) সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম) হইতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ যখন মাখলূক সৃষ্টি করিলেন, তখন তা তাহাঁর কিতাবে লিখলেন এবং তিনি আপন সত্তা বিষয়ে লিখছেন, যা তাহাঁর কাছে আরশের উপর রক্ষিত আছে, “আমার রহমত আমার গযবকে পরাভূত করেছে।”(আঃপ্রঃ- ৬৮৮৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৯০০)

৭৪০৫

আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ ঘোষণা করেন, আমি সে রকমই, যে রকম বান্দা আমার প্রতি ধারণা রাখে। আমি বান্দার সঙ্গে থাকি যখন সে আমাকে স্মরণ করে। যদি সে মনে মনে আমাকে স্মরণ করে; আমিও তাকে নিজে স্মরণ করি। আর যদি সে জন-সমাবেশে আমাকে স্মরণ করে, তবে আমিও তাদের চেয়ে উত্তম সমাবেশে তাকে স্মরণ করি। যদি সে আমার দিকে এক বিঘত এগিয়ে আসে, তবে আমি তার দিকে এক হাত এগিয়ে যাই, যদি সে আমার দিকে এক হাত অগ্রসর হয়; আমি তার দিকে দু হাত এগিয়ে যাই। আর সে যদি আমার দিকে হেঁটে আসে, আমি তার দিকে দৌড়ে যাই। [৭৫০৫, ৭৫৩৭; মুসলিম ৪৮/১, হাদীস ১৬৭৫, আহমাদ ৭৪২৬] (আঃপ্রঃ- ৬৮৮৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৯০১)

৯৭/১৬. অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ আল্লাহর চেহারা ছাড়া সব কিছুই ধ্বংসশীল। (সুরা আল-ক্বাসাস ২৮/৮৮)

৭৪০৬

জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এ আয়াত যখন অবতীর্ণ হলঃ “হে নাবী আপনি বলে দিন তোমাদের উপর থেকে তোমাদের ওপর শাস্তি পাঠাতে তিনিই সক্ষম”- (সুরা আনআম ৬/৬৫)। নাবী (সাঃআঃ) বললেনঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার সত্তার সাহায্যে আশ্রয় চাচ্ছি। আল্লাহ তখন বললেনঃ “কিংবা তোমাদের পায়ের নীচ হইতে; তখন নাবী (সাঃআঃ) বলিলেন, আমি আপনার সত্তার সাহায্যে আশ্রয় চাচ্ছি। আল্লাহ বললেনঃ কিংবা তোমাদেরকে বিভিন্ন দলে ভাগ করে। তখন নাবী (সাঃআঃ) বললেনঃ এটি অপেক্ষাকৃত সহজ। (আঃপ্রঃ- ৬৮৯০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৯০২)


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply