জাহমিয়াদের মতের খণ্ডন ও তাওহীদ প্রসঙ্গ

জাহমিয়াদের মতের খণ্ডন ও তাওহীদ প্রসঙ্গ

পর্বঃ ৯৭, জাহমিয়াদের মতের খণ্ডন ও তাওহীদ প্রসঙ্গ, অধ্যায়ঃ (১-৫৮)=৫৮টি

আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা, নিরাপত্তা বিধানকারী, অদৃশ্যের জ্ঞান কেবল তাহাঁরই আছে

৯৭/১. অধ্যায়ঃ আল্লাহর তাওহীদের দিকে উম্মতের প্রতি নাবী (সাঃআঃ) -এর আহ্বান।
৯৭/২. অধ্যায়ঃ তুমি বলে দাও, তোমরা আল্লাহ নামে ডাকো বা রহমান নামে ডাকো। তোমরা যে নামেই ডাকো সকল সুন্দর নামই তাহাঁর। [২০৬] (সুরা ইসরা ১৭/১১০)
৯৭/৩. অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ নিশ্চয়ই আমি তো রিযিক দাতা প্রবল, পরাক্রান্ত। (সুরা আয্‌ যারিয়াত ৫১/৫৮)
৯৭/৪. অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ তিনি অদৃশ্য সম্পর্কে জ্ঞাত, তিনি তাহাঁর অদৃশ্যের জ্ঞান কারো কাছে প্রকাশ করেন না- (সুরা জ্বিন ৭২/২৬)। ক্বিয়ামাতের জ্ঞান কেবল আল্লাহর কাছে রয়েছে- (সুরা লুক্বমান ৩১/৩৪)। তা তিনি জেনে শুনে নাযিল করিয়াছেন- (সুরা আন-নিসা ৪/১৬৬)। তাহাঁর অবগতি ব্যতীত কোন নারী গর্ভ ধারণ করে না বা (তার বোঝা) হালকা করে না- (সুরা ফাতির ৩৫/১১)। ক্বিয়ামাতের জ্ঞান কেবল তাহাঁরই আছে- (সুরা ফুসসিলাত ৪১/৪৭)।
৯৭/৫. অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ তিনিই শান্তি, তিনিই নিরাপত্তা বিধানকারী।
৯৭/৬. অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ মানুষের বাদশাহ (সুরা আন-নাস ১১৪/২)
৯৭/৭. অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ তিনি পরাক্রান্ত, প্রজ্ঞাময়- (সুরা আল-হাশর ৫৯/২৪)। পবিত্র ও মহান তোমার প্রতিপালক, ইযযতের অধিকারী প্রতিপালক- (সুরা আস্‌-সাফফাত ৩৭/১৮০)। ইয্‌যত তা তো আল্লাহ এবং তাহাঁর রসুলেরই- (সুরা আল-মুনাফিকুন ৬৩/৮)।
৯৭/৮. অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ এবং তিনিই সে সত্তা, যিনি যথার্থই আসমান ও যমীন সৃষ্টি করিয়াছেন। (সুরা আনআম ৬/৭৩)
৯৭/৯. অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ আল্লাহ সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা। (সুরা আন-নিসা ৪/১)
৯৭/১০. অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ আপনি বলে দিন, তিনি শক্তির অধিকারী। (সুরা আনআম ৬/৬৫)
৯৭/১১. অধ্যায়ঃ অন্তরসমূহ পরিবর্তনকারী।

আল্লাহর নাম ও গুণাবলী । আল্লাহর চেহারা ছাড়া সব কিছুই ধ্বংসশীল
৯৭/১২. অধ্যায়ঃ আল্লাহর এক কম একশ নাম আছে।
৯৭/১৩. অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার নামগুলোর সাহায্যে প্রার্থনা করা ও আশ্রয় চাওয়া।
৯৭/১৪. অধ্যায়ঃ আল্লাহর মূল সত্তা, গুণাবলী ও নামসমূহের বর্ণনা।
৯৭/১৫. অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ আল্লাহ তাহাঁর নিজের সম্বন্ধে তোমাদেরকে সাবধান করিয়াছেন- (সুরা আল ইমরান ৩/২৮)।
৯৭/১৬. অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ আল্লাহর চেহারা ছাড়া সব কিছুই ধ্বংসশীল। (সুরা আল-ক্বাসাস ২৮/৮৮)

আল্লাহর সৃষ্টি সম্পর্কে আয়াত ও হাদিস
৯৭/১৭. অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণী: যাতে তুমি আমার তত্ত্বাবধানে প্রতিপালিত হও- (সুরা ত্বহা ২০/৩৯)।
৯৭/১৮. অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ তিনিই আল্লাহ সৃষ্টিকর্তা, উদ্ভাবনকর্তা, আকৃতিদাতা। (সুরা আল-হাশর ৫৯/২৪)
৯৭/১৯. অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ যাকে আমি নিজ হাতে সৃষ্টি করেছি। [২১১] (সুরা সোয়াদ ৩৮/৭৫)
৯৭/২০. অধ্যায়ঃ নাবী (সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর বাণীঃ আল্লাহর চেয়ে অধিক মর্যাদাসম্পন্ন কেউই নয়
৯৭/২১. অধ্যায়ঃ মহান আল্লাহর বাণীঃ বল, সাক্ষ্য প্রদানে সর্বশ্রেষ্ঠ কী? বল, আল্লাহ-(সুরা আনআম ৬/১৯)।
৯৭/২২. অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ তখন তাহাঁর আরশ পানির ওপর ছিল- (সুরা হূদ ১১/৭)। তিনি আরশে আযীমের প্রতিপালক- (সুরা আত-তাওবাহ ৯/১২৯)।
৯৭/২৩. অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ ফেরেশ্‌তা এবং রূহ আল্লাহর দিকে ঊর্ধ্বগামী হয়- (সুরা আন-নিসা ৪/৭০)। এবং আল্লাহর বাণীঃ তাহাঁরই দিকে পবিত্র বাণীসমূহ আরোহণ করে- (সুরা ইউনুস ১০/৩৫)।
৯৭/২৪. অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ কতক মুখ সেদিন উজ্জ্বল হইবে। তারা তাদের প্রতিপালকের দিকে তাকিয়ে থাকবে। (সুরা আল-ক্বিয়ামাহ ৭৫/২২-২৩)
৯৭/২৫. অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ আল্লাহর রাহমাত নেক্‌কারদের নিকটবর্তী। (সুরা আল-আরাফ ৭/৫৬)
৯৭/২৬. অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ আল্লাহই আসমান ও যমীনকে স্থির রাখেন যাতে ও দুটো টলে না যায়। (সুরা ফাতির ৩৫/৪১)
৯৭/২৭. অধ্যায়ঃ আসমান, যমীন ইত্যাদির সৃষ্টি সম্পর্কে; এটি রব্বের কাজ ও নির্দেশ।

আল্লাহর কথাবার্তা, বাণী, ইচ্ছা, চাওয়া ও ফেরেশ্‌তাদের প্রতি আল্লাহর আহ্বান
৯৭/২৮. অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার বানীঃ আমার প্রেরিত বান্দাদের সম্পর্কে আমার এ কথা আগেই স্থির হয়ে গেছে। (সুরা আস্‌ সাফফাত ৩৭/১৭১)
৯৭/২৯. অধ্যায়ঃ মহান আল্লাহর বাণীঃ কোন বিষয়ে আমি ইচ্ছে করলে বলি, হয়ে যাও, ফলে তা হয়ে যায়। (সুরা আন-নাহল ১৬/৪০)
৯৭/৩০. অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ
৯৭/৩১. অধ্যায়ঃ আল্লাহর ইচ্ছা ও চাওয়া।
৯৭/৩২. অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণী :
৯৭/৩৩. অধ্যায়ঃ জিবরাইলের সঙ্গে রবের কথাবার্তা , ফেরেশ্‌তাদের প্রতি আল্লাহর আহ্বান।
৯৭/৩৪. অধ্যায়ঃ আল্লাহর বানীঃ তা তিনি জেনে শুনে নাযিল করিয়াছেন। আর ফেরেশ্‌তারা এর সাক্ষী। (সুরা আন-নিসা ৪/১৬৬)
৯৭/৩৫. অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ তারা আল্লাহর ওয়াদাকে বদলে দিতে চায়। (সুরা আল-ফাতহ ৪৮/১৫)
৯৭/৩৬. অধ্যায়ঃ ক্বিয়ামাতের দিনে নাবী ও অপরাপরের সঙ্গে মহান আল্লাহর কথাবার্তা
৯৭/৩৭. অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ এবং মুসা (আঃ) এর সঙ্গে আল্লাহ বাক্যালাপ করেছিলেন। (সুরা আন্-নিসা ৪/১৬৪)
৯৭/৩৮. অধ্যায়ঃ জান্নাতবাসীদের সঙ্গে রবের কথাবার্তা।
৯৭/৩৯. অধ্যায়ঃ আদেশ দেয়ার মাধ্যমে আল্লাহ কর্তৃক বান্দাকে স্মরণ করা এবং দুআ, মিনতি, বার্তা ও বাণী প্রচারের মাধ্যমে বান্দা কর্তৃক আল্লাহকে স্মরণ করা।

আসমানী কিতাব, আল্লাহর বাণী, তিনি অতি সূক্ষদর্শী, ওয়াকিফহাল
৯৭/৪০. অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ সুতরাং জেনে শুনে কাউকেও আল্লাহর সমকক্ষ দাঁড় করো না। (সুরা আল-বাক্বারাহ ২/২২)
৯৭/৪১. অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ (দুনিয়ায় নিজেদের শরীরের অংশগুলোকে তোমরা) এই ভেবে গোপন করিতে না যে, না তোমাদের কান, না তোমাদের চোখ আর না তোমাদের চামড়া তোমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবে। বরং তোমরা মনে করিতে যে, তোমরা যা কর তার অধিকাংশই আল্লাহ জানেন না। (সুরা ফুস্‌সিলাত ৪১/২২)
৯৭/৪২. অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ তিনি সর্বক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত- (সুরা আর রহমান ৫৫/২৯)।
৯৭/৪৩. অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ তাড়াতাড়ি ওয়াহী আয়ত্ত করার উদ্দেশ্যে তুমি তোমার জিহ্বা দ্রুততার সঙ্গে সঞ্চালন করো না- (সুরা আল-ক্বিয়ামাহ ৭৫/১৬)।
৯৭/৪৪. অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ তোমরা তোমাদের কথা চুপেচাপেই বল আর উচ্চৈঃস্বরেই বল, তিনি (মানুষের) অন্তরের গোপন কথা সম্পর্কে পুরোপুরি অবগত। যিনি সৃষ্টি করিয়াছেন তিনিই কি জানেন না? তিনি অতি সূক্ষদর্শী, ওয়াকিফহাল।- (সুরা আল-মূল্‌ক ৬৭/১৩-১৪)।
৯৭/৪৫. অধ্যায়ঃ নাবী (সাঃআঃ) -এর বাণীঃ এক ব্যক্তিকে আল্লাহ কুরআন দান করিয়াছেন। সে রাতদিন তা পাঠ করছে।
৯৭/৪৬. অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ হে রাসুল! তোমার প্রতিপালকের নিকট থেকে যা তোমার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে তা প্রচার কর, যদি না কর তাহলে তুমি তাহাঁর বার্তা পৌছানোর দায়িত্ব পালন করলে না। (সুরা আল-মায়িদাহ ৫/৬৭)
৯৭/৪৭. অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ বল, তোমরা সত্যবাদী হলে তাওরাত আন এবং পাঠ কর। (সুরা আল্‌ ইমরান ৩/৯৩)
৯৭/৪৮. অধ্যায়ঃ নাবী (সাঃআঃ) নামাযকে আমাল বলেছেন।
৯৭/৪৯. অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে খুবই অস্থির-মনা করে, বিপদ তাকে স্পর্শ করলে সে হয় উৎকন্ঠিত, কল্যাণ তাকে স্পর্শ করলে সে হয়ে পড়ে অতি কৃপণ। (সুরা মাআরিজ ৭০/১৯-২৯)
৯৭/৫০. অধ্যায়ঃ নাবী (সাঃআঃ) কর্তৃক তাহাঁর রবের থেকে রিওয়ায়াতের বর্ণনা।
৯৭/৫১. অধ্যায়ঃ তাওরাত ও অন্যান্য আসমানী কিতাব আরবী ইত্যাদি ভাষায় ব্যাখ্যা করা বৈধ। কেননা, আল্লাহর বাণী: তোমরা তাওরাত নিয়ে এসো, এবং তা পাঠ কর, যদি তোমরা সত্যবাদী হও। (সুরা আল ইমরান ৩/৯৩)
৯৭/৫২. অধ্যায়ঃ নাবী (সাঃআঃ) -এর বাণী: কুরআন সম্পর্কে অভিজ্ঞ ব্যক্তি জান্নাতে সন্মানিত পূত-পবিত্র কাতিব ফেরেশতাদের সঙ্গে থাকবে। অতএব, তোমাদের (সুললিত) কন্ঠ দ্বারা কুরআনকে সৌন্দর্যমন্ডিত কর।
৯৭/৫৩. অধ্যায়ঃ
৯৭/৫৪. অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ আমি কুরআনকে সহজ করে দিয়েছি উপদেশ গ্রহণের জন্য, উপদেশ গ্রহণের কেউ আছে কি? (সুরা আল-ক্বামার ৪৫/৩২)
৯৭/৫৫. অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণী : বস্তুত এটি সম্মানিত কুরআন, সংরক্ষিত ফলকে লিপিবদ্ধ- (সুরা বুরুজ ৮৫/২১-২২)। শপথ তূর পর্বতের। শপথ কিতাবের, যা লিখিত আছে- (সুরা আত তূর ৫২/১-২)।
৯৭/৫৬. অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ আল্লাহই সৃষ্টি করিয়াছেন তোমাদেরকে আর তোমরা যা তৈরী কর সেগুলোকেও- (সুরা আস সফ্‌ফাত ৩৭/৯৬)। আমি সব কিছু সৃষ্টি করেছি নির্ধারিত পরিমাপে। (সুরা আল ক্বামার ৫৪/৪৯)।
৯৭/৫৭. অধ্যায়ঃ পাপী ও মুনাফিকের কিরাআত, তাদের স্বর ও তাদের কিরাআত কন্ঠনালী অতিক্রম করে না।
৯৭/৫৮. অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার বানীঃ কিয়ামত দিবসে আমি স্থাপন করব ন্যায়বিচারের মানদণ্ড (২১:৪৭)।

Comments

Leave a Reply