দাজ্জাল, স্ত্রীলোকের শাসন, ইয়াজূজ-মাজূজ ও আগুন বের হওয়া

দাজ্জাল, স্ত্রীলোকের শাসন, ইয়াজূজ-মাজূজ ও আগুন বের হওয়া

দাজ্জাল, স্ত্রীলোকের শাসন, ইয়াজূজ-মাজূজ ও আগুন বের হওয়া >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন

পর্বঃ ৯২, ফিতনা, অধ্যায়ঃ (১৮-২৮)=১১টি

৯২/১৮. অধ্যায়ঃ সে জাতি কখনো সফলকাম হইবে না, যারা তাদের শাসনভার কোন স্ত্রীলোকের হাতে অর্পণ করে।
৯২/১৯. অধ্যায়ঃ যখন আল্লাহ কোন সম্প্রদায়-এর উপর আযাব অবতীর্ণ করেন ।
৯২/২০. অধ্যায়ঃ হাসান ইবনু আলী (রাদি.) সম্পর্কে নাবী (সাঃআঃ) – এর উক্তিঃ অবশ্যই আমার এ দৌহিত্র সরদার। আর সম্ভবত আল্লাহ তাআলা তাহাঁর মাধ্যমে মুসলিমদের দুটি দলের মধ্যে মীমাংসা করে দিবেন।
৯২/২১. অধ্যায়ঃ যখন কেউ কোন সম্প্রদায়ের কাছে কিছু বলে অতঃপর বেরিয়ে এসে উল্টো কথা বলে।
৯২/২২. অধ্যায়ঃ কবরবাসীদের উপর হিংসা না জাগা কিয়ামত পর্যন্ত সংঘটিত হইবে না ।
৯২/২৩. অধ্যায়ঃ কালের এমন পরিবর্তন ঘটবে যে, আবার মূর্তিপূজা শুরু হইবে। [১৬৩]
৯২/২৪. অধ্যায়ঃ আগুন বের হওয়া।
৯২/২৫. অধ্যায়ঃ তোমরা সাদাকা কর।
৯২/২৬. অধ্যায়ঃ দাজ্জাল সম্পর্কিত আলোচনা ।
৯২/২৭. অধ্যায়ঃ দাজ্জাল মদীনাহয় প্রবেশ করিবে না ।
৯২/২৮. অধ্যায়ঃ ইয়াজূজ ও মাজূজ ।

৯২/১৮. অধ্যায়ঃ সে জাতি কখনো সফলকাম হইবে না, যারা তাদের শাসনভার কোন স্ত্রীলোকের হাতে অর্পণ করে।

৭০৯৯

আবু বাক্‌রাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একটি কথা দিয়ে আল্লাহ জঙ্গে জামাল (উষ্ট্রের যুদ্ধ) এর সময় আমাকে বড়ই উপকৃত করিয়াছেন। (তা হল) নাবী (সাঃআঃ)-এর নিকট যখন এ খবর পৌছল যে, পারস্যের লোকেরা কিস্‌রার মেয়েকে তাদের শাসক নিযুক্ত করেছে, তখন তিনি বললেনঃ সে জাতি কখনো সফলকাম হইবে না, যারা তাদের শাসনভার কোন স্ত্রীলোকের হাতে অর্পণ করে। [১৬০](আঃপ্রঃ- ৬৬০৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬১৮)

[১৬০] মুসলমানরা যদি সফলতা পেতে চায় তবে তাদেরকে অবশ্যই নারী নেতৃত্ব পরিহার করিতে হইবে।

৭১০০

আবু মারইয়াম আবদুল্লাহ ইবনু যিয়াদ আসাদী (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ত্বলহা, যুবায়র ও আয়েশাহ (রাদি.) যখন বসরার দিকে গেলেন, তখন আলী (রাদি.) আম্মার ইবনু ইয়াসির ও হাসান ইবনু আলী (রাদি.) – কে পাঠালেন। তাঁরা আমাদের কুফায় আসলেন এবং (মাসজিদের) মিম্বরে উপবেশন করিলেন। হাসান ইবনু আলী (রাদি.) মিম্বারের সর্বোচ্চ ধাপে উপবিষ্ট ছিলেন, আর আম্মার (রাদি.) হাসান (রাদি.)-এর নিচের ধাপে দন্ডায়মান ছিলেন। আমরা এসে তাহাঁর নিকট জড় হলাম। এ সময় আমি শোনলাম, আম্মার (রাদি.) বলেছেন, আয়েশাহ (রাদি.) বস্‌রার দিকে রওনা হয়ে গেছেন। নিঃসন্দেহে তিনি দুনিয়া ও আখিরাতে তোমাদের (আমাদের) নাবী (সাঃআঃ)-এর পত্নী। কিন্তু আল্লাহ এ কথা স্পষ্ট করে জেনে নেয়ার জন্য তোমাদের পরীক্ষায় ফেলেছেন যে, তোমরা কি তাহাঁরই আনুগত্য কর, না তাহাঁর (অর্থাৎ আয়েশাহ (রাদি.)-এর) আনুগত্য কর। (আঃপ্রঃ- ৬৬০৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬১৯)

৭১০১

আবু ওয়ায়িল (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ

আবু ওয়ায়িল (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) থেকে বর্ণনা করিয়াছেন যে, আম্মার (রাদি.) কূফার (মাসজিদের) মিম্বরে দাঁড়ালেন এবং তিনি আয়েশাহ (রাদি.) – ও তাহাঁর সফরের কথা উল্লেখ্য করিলেন। এরপর তিনি বলিলেন, তিনি (আয়েশাহ (রাদি.)) দুনিয়া ও আখিরাতে নাবী (সাঃআঃ)-এর পত্নী। কিন্তু বর্তমানে তোমরা তাঁকে নিয়ে ভীষণ পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছ।(আঃপ্রঃ- ৬৬০৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬২০)

৭১০২

আবু ওয়ায়িল (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আলী (রাদি.) যখন যুদ্ধে অংশগ্রহণের আহবান জানাতে আম্মার (রাদি.) – কে কূফাবাসীদের নিকট পাঠালেন, তখন আবু মূসা ও আবু মাসঊদ (রাদি.) তাহাঁর কাছে হাজির হয়ে বলিলেন, তোমার ইসলাম গ্রহণের পর থেকে আমাদের জানামতে বর্তমান বিষয়ে (যুদ্ধের জন্য মানুষকে অনুপ্রাণিত করার বিষয়ে) দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করার চেয়ে অপছন্দনীয় কোন কাজ করিতে আমরা তোমাকে দেখিনি। তখন আম্মার (রাদি.) বলিলেন, যখন থেকে আপনারা ইসলাম গ্রহণ করিয়াছেন, আমি আপনাদের কোন কাজ দেখিনি যা আমাদের কাছে অপছন্দনীয় মনে হয়েছে বর্তমানের এ কাজে দেরী করা ব্যতীত। তখন আবু মাসঊদ (রাদি.) তাদের দুজনকেই একজোড়া করে পোশাক পরিয়ে দিলেন। এরপর সকলেই (কূফা) মাসজিদের দিকে রওনা হলেন। (আঃপ্রঃ- ৬৬০৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬২১)

৭১০৩

আবু ওয়ায়িল (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আলী (রাদি.) যখন যুদ্ধে অংশগ্রহণের আহবান জানাতে আম্মার (রাদি.) – কে কূফাবাসীদের নিকট পাঠালেন, তখন আবু মূসা ও আবু মাসঊদ (রাদি.) তাহাঁর কাছে হাজির হয়ে বলিলেন, তোমার ইসলাম গ্রহণের পর থেকে আমাদের জানামতে বর্তমান বিষয়ে (যুদ্ধের জন্য মানুষকে অনুপ্রাণিত করার বিষয়ে) দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করার চেয়ে অপছন্দনীয় কোন কাজ করিতে আমরা তোমাকে দেখিনি। তখন আম্মার (রাদি.) বলিলেন, যখন থেকে আপনারা ইসলাম গ্রহণ করিয়াছেন, আমি আপনাদের কোন কাজ দেখিনি যা আমাদের কাছে অপছন্দনীয় মনে হয়েছে বর্তমানের এ কাজে দেরী করা ব্যতীত। তখন আবু মাসঊদ (রাদি.) তাদের দুজনকেই একজোড়া করে পোশাক পরিয়ে দিলেন। এরপর সকলেই (কূফা) মাসজিদের দিকে রওনা হলেন।(আঃপ্রঃ- ৬৬০৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬২১)

৭১০৪

আবু ওয়ায়িল (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আলী (রাদি.) যখন যুদ্ধে অংশগ্রহণের আহবান জানাতে আম্মার (রাদি.) – কে কূফাবাসীদের নিকট পাঠালেন, তখন আবু মূসা ও আবু মাসঊদ (রাদি.) তাহাঁর কাছে হাজির হয়ে বলিলেন, তোমার ইসলাম গ্রহণের পর থেকে আমাদের জানামতে বর্তমান বিষয়ে (যুদ্ধের জন্য মানুষকে অনুপ্রাণিত করার বিষয়ে) দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করার চেয়ে অপছন্দনীয় কোন কাজ করিতে আমরা তোমাকে দেখিনি। তখন আম্মার (রাদি.) বলিলেন, যখন থেকে আপনারা ইসলাম গ্রহণ করিয়াছেন, আমি আপনাদের কোন কাজ দেখিনি যা আমাদের কাছে অপছন্দনীয় মনে হয়েছে বর্তমানের এ কাজে দেরী করা ব্যতীত। তখন আবু মাসঊদ (রাদি.) তাদের দুজনকেই একজোড়া করে পোশাক পরিয়ে দিলেন। এরপর সকলেই (কূফা) মাসজিদের দিকে রওনা হলেন। (আঃপ্রঃ- ৬৬০৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬২১)

৭১০৫

শাক্বীক্ব ইবনু সালামাহ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আবু মাসঊদ (রাদি.), আবু মূসা (রাদি.) ও আম্মার (রাদি.)-এর কাছে উপবিষ্ট ছিলাম। তখন আবু মাসঊদ (রাদি.) বলিলেন, তুমি ছাড়া তোমার সঙ্গীদের মাঝে এমন কেউ নেই, যার ব্যাপারে আমি ইচ্ছা করলে কিছু না কিছু বলিতে পারি। তবে নাবী (সাঃআঃ)-এর সঙ্গ লাভ করার পর থেকে এ ব্যাপারে দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করার চেয়ে আমার দৃষ্টিতে দূষণীয় কোন কাজ তোমার নিকট হইতে দেখিনি। তখন আম্মার (রাদি.) বলিলেন, হে আবু মাসঊদ (রাদি.)! নাবী (সাঃআঃ)-এর সঙ্গে তোমাদের সঙ্গ লাভ করার পর থেকে এ ব্যাপারে ইতস্তত করার চেয়ে আমার দৃষ্টিতে অধিক দূষণীয় কোন কাজ তোমার থেকে এবং তোমার এ সঙ্গী থেকে দেখিনি। আবু মাসঊদ (রাদি.) ধনবান ব্যক্তি ছিলেন। তিনি (তাহাঁর খাদেমকে) বলিলেন, হে বৎস! দুজোড়া পোশাক নিয়ে এস। এরপর তিনি তার একটি আবু মূসা (রাদি.) – কে ও অন্যটি আম্মার (রাদি.) – কে দিলেন এবং বলিলেন, এগুলো পরে জুমআহর সালাতে যাও।(আঃপ্রঃ- ৬৬০৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬২২)

৭১০৬

শাক্বীক্ব ইবনু সালামাহ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আবু মাসঊদ (রাদি.), আবু মূসা (রাদি.) ও আম্মার (রাদি.)-এর কাছে উপবিষ্ট ছিলাম। তখন আবু মাসঊদ (রাদি.) বলিলেন, তুমি ছাড়া তোমার সঙ্গীদের মাঝে এমন কেউ নেই, যার ব্যাপারে আমি ইচ্ছা করলে কিছু না কিছু বলিতে পারি। তবে নাবী (সাঃআঃ)-এর সঙ্গ লাভ করার পর থেকে এ ব্যাপারে দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করার চেয়ে আমার দৃষ্টিতে দূষণীয় কোন কাজ তোমার নিকট হইতে দেখিনি। তখন আম্মার (রাদি.) বলিলেন, হে আবু মাসঊদ (রাদি.)! নাবী (সাঃআঃ)-এর সঙ্গে তোমাদের সঙ্গ লাভ করার পর থেকে এ ব্যাপারে ইতস্তত করার চেয়ে আমার দৃষ্টিতে অধিক দূষণীয় কোন কাজ তোমার থেকে এবং তোমার এ সঙ্গী থেকে দেখিনি। আবু মাসঊদ (রাদি.) ধনবান ব্যক্তি ছিলেন। তিনি (তাহাঁর খাদেমকে) বলিলেন, হে বৎস! দুজোড়া পোশাক নিয়ে এস। এরপর তিনি তার একটি আবু মূসা (রাদি.) – কে ও অন্যটি আম্মার (রাদি.) – কে দিলেন এবং বলিলেন, এগুলো পরে জুমআহর সালাতে যাও।(আঃপ্রঃ- ৬৬০৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬২২)

৭১০৭

শাক্বীক্ব ইবনু সালামাহ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আবু মাসঊদ (রাদি.), আবু মূসা (রাদি.) ও আম্মার (রাদি.)-এর কাছে উপবিষ্ট ছিলাম। তখন আবু মাসঊদ (রাদি.) বলিলেন, তুমি ছাড়া তোমার সঙ্গীদের মাঝে এমন কেউ নেই, যার ব্যাপারে আমি ইচ্ছা করলে কিছু না কিছু বলিতে পারি। তবে নাবী (সাঃআঃ)-এর সঙ্গ লাভ করার পর থেকে এ ব্যাপারে দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করার চেয়ে আমার দৃষ্টিতে দূষণীয় কোন কাজ তোমার নিকট হইতে দেখিনি। তখন আম্মার (রাদি.) বলিলেন, হে আবু মাসঊদ (রাদি.)! নাবী (সাঃআঃ)-এর সঙ্গে তোমাদের সঙ্গ লাভ করার পর থেকে এ ব্যাপারে ইতস্তত করার চেয়ে আমার দৃষ্টিতে অধিক দূষণীয় কোন কাজ তোমার থেকে এবং তোমার এ সঙ্গী থেকে দেখিনি। আবু মাসঊদ (রাদি.) ধনবান ব্যক্তি ছিলেন। তিনি (তাহাঁর খাদেমকে) বলিলেন, হে বৎস! দুজোড়া পোশাক নিয়ে এস। এরপর তিনি তার একটি আবু মূসা (রাদি.) – কে ও অন্যটি আম্মার (রাদি.) – কে দিলেন এবং বলিলেন, এগুলো পরে জুমআহর সালাতে যাও।(আঃপ্রঃ- ৬৬০৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬২২)

৯২/১৯. অধ্যায়ঃ যখন আল্লাহ কোন সম্প্রদায়-এর উপর আযাব অবতীর্ণ করেন ।

৭১০৮

ইবনু উমার (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) বলেছেনঃ যখন আল্লাহ কোন কাওমের এর উপর আযাব অবতীর্ণ করেন তখন সেখানে বসবাসরত সকলের উপরই সেই আযাব পতিত হয়। অবশ্য পরে প্রত্যেককে তার আমাল অনুযায়ী উঠানো হইবে। [১৬১] [মুসলিম ৫১/১৯, হাদীস ২৮৭৯, আহমাদ ৪৯৮৫] (আঃপ্রঃ- ৬৬০৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬২৩)

[১৬১] হাদীসটি প্রমাণ করে যে, যখন আল্লাহ কোন সম্প্রদায়ের গুনাহের কারণে তাদের উপর আযাব অবতীর্ণ করেন তখন তা ভাল মন্দ সবার উপরই অবতীর্ণ হয়। ঐ সম্প্রদায়ের মাঝে অবস্থানকারী সৎ লোকেরা আল্লাহর আযাব থেকে রক্ষা পান না।

“যায়নাব বিনতু জাহাশ (রাদি.) হইতে বর্ণিত তিনি বলেনঃ আমাদের মাঝে সৎ লোক থাকা অবস্থায়ও কি আমরা ধ্বংস হয়ে যাব? রাসুল (সাঃআঃ) তার উত্তরে বলেন, হ্যাঁ, যখন নোংরামির মাত্রা বেড়ে যাবে। সুতরাং বুঝা যাচ্ছে যে, যখন গর্হিত ও গুনাহের কাজ প্রকাশ পাবে তখন সবার ধ্বংস অনিবার্য হয়ে পড়বে। তবে সৎ ও মন্দ লোকের মৃত্যুর ব্যাপারে অংশীদারিত্ব নেকী ও শাস্তির ব্যাপারে অংশীদারিত্বকে অপরিহার্য করিবে না। বরং তাদের প্রত্যেককে তাদের নিজ নিজ আমলের নিয়্যাত অনুযায়ী প্রতিদান দেয়া হইবে। আর এ ক্ষেত্রে সৎ লোকের উপর আযাবের উদ্দেশ্য হইবে তাদেরকে পবিত্র করা আর মন্দ লোকের জন্য শাস্তি দেয়া। (ফাতহুল বারী)

৯২/২০. অধ্যায়ঃ হাসান ইবনু আলী (রাদি.) সম্পর্কে নাবী (সাঃআঃ) – এর উক্তিঃ অবশ্যই আমার এ দৌহিত্র সরদার। আর সম্ভবত আল্লাহ তাআলা তাহাঁর মাধ্যমে মুসলিমদের দুটি দলের মধ্যে মীমাংসা করে দিবেন।

৭১০৯

হাসান বস্‌রী (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যখন হাসান ইবনু আলী (রাদি.) সেনাবাহিনী নিয়ে মুআবিয়াহ (রাদি.) এর প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রওনা হলেন, তখন আমর ইবনু আস (রাদি.) মুআবিয়াহ (রাদি.) – কে বলিলেন, আমি এমন এক সেনাবাহিনী দেখছি, যারা বিপক্ষকে না ফিরিয়ে যাবে না। মুআবিয়াহ (রাদি.) বলিলেন, তাহলে মুসলিমদের সন্তান-সন্ততির দেখাশুনা কে করিবে? আমর ইবনু আস (রাদি.) বলিলেন, আমি। এ সময় আবদুল্লাহ ইবনু আমির (রাদি.) ও আবদুর রহমান ইবনু সামুরাহ (রাদি.) বলিলেন, আমরা তাহাঁর সঙ্গে দেখা করব এবং তাঁকে সন্ধির কথা বলব। হাসান বস্‌রী (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, আমি আবু বাক্‌রাহ (রাদি.) থেকে শুনিয়াছি, তিনি বলেন, একবার নাবী (সাঃআঃ) ভাষণ দিচ্ছিলেন। এমন সময় হাসান (রাদি.) আসলেন। তিনি (নাবী (সাঃআঃ) তাঁকে দেখে) বললেনঃ আমার এ দৌহিত্র সরদার আর সম্ভবত আল্লাহ তাআলা তাহাঁর মাধ্যমে মুসলিমদের দুটি দলের মাঝে মীমাংসা করে দিবেন। (আঃপ্রঃ- ৬৬১০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬২৪)

৭১১০

উসামাহ (রাদি.)-এর গোলাম হারমালাহ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, উসামাহ (রাদি.) আমাকে আলী (রাদি.)-এর কাছে পাঠালেন। আর তিনি বলে দিলেন যে, সেখানে যাওয়ার পরই (আলী (রাদি.)) তোমাকে জিজ্ঞেস করবেন যে, তোমার সাথীকে (আমার সহযোগিতা থেকে) কিসে ফিরিয়ে রেখেছে? তুমি তাঁকে বলবে, তিনি আপনার কাছে এ কথা বলে পাঠিয়েছেন যে, যদি আপনি সিংহের মুখে পড়েন, তবুও আমি আপনার সঙ্গে সেখানে থাকাকে ভাল মনে করব। তবে এ বিষয়টি (অর্থাৎ মুসলিমদের মধ্যে) আমি ভাল মনে করছি না। (হারমালাহ বলেন) তিনি (আলী (রাদি.)) আমাকে কিছুই দিলেন না। এরপর আমি হাসান, হুসাইন ও আবদুল্লাহ ইবনু জাফর (রাদি.)-এর কাছ গেলাম। তাঁরা আমার বাহন বোঝাই করে দিলেন।(আঃপ্রঃ- ৬৬১১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬২৫)

৯২/২১. অধ্যায়ঃ যখন কেউ কোন সম্প্রদায়ের কাছে কিছু বলে অতঃপর বেরিয়ে এসে উল্টো কথা বলে।

৭১১১

নাফি (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যখন মাদীনার লোকেরা ইয়াযীদ ইবনু মুআবিয়াহ (রাদি.)-এর বাইআত ভঙ্গ করিল, তখন ইবনু উমার (রাদি.) তাহাঁর বিশেষ ভক্তবৃন্দ ও সন্তানদের একত্রিত করিলেন এবং বলিলেন আমি নাবী (সাঃআঃ) – কে বলিতে শুনিয়াছি যে, ক্বিয়ামতের দিন প্রত্যেক বিশ্বাসঘাতকের জন্য একটি করে ঝান্ডা (পতাকা) উঠানো হইবে। আর আমরা এ লোকটির (ইয়াযীদের) প্রতি আল্লাহ ও তাহাঁর রসূলের বর্ণিত শর্তানুযায়ী বাইআত গ্রহণ করেছি। বস্তুত কোন একজন লোকের প্রতি আল্লাহ ও তাহাঁর রসূলের দেয়া শর্ত মুতাবিক বাইআত গ্রহণ করার পর তার বিরুদ্ধে যুদ্ধের উদ্যোগ গ্রহণ করার চেয়ে বড় কোন বিশ্বাসঘাতকতা আছে বলে জানি না। ইয়াযীদের বাইআত ভঙ্গ করেছে, কিংবা তার আনুগত্য করছে না আমি যেন কারো সম্পর্কে জানতে না পাই। তা না হলে তার ও আমার সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাবে। (আঃপ্রঃ- ৬৬১২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬২৬)

৭১১২

আবু মিনহাল (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ইবনু যিয়াদ ও মারওয়ান যখন সিরিয়ার শাসনকর্তা নিযুক্ত ছিলেন এবং ইবনু যুবায়র (রাদি.) মক্কার শাসন ক্ষমতা দখল করেন, আর ক্বারী নামধারীরা (খারেজীরা) বসরায় ক্ষমতায় চেপে বসল, তখন একদিন আমি আমার পিতার সাথে আবু বারযা আসলামী (রাদি.)-এর উদ্দেশ্যে রওনা করে আমরা তাহাঁর ঘরে প্রবেশ করলাম। এ সময় তিনি তাহাঁর বাঁশের তৈরি ঘরের ছায়ায় উপবিষ্ট ছিলেন। আমরা তাহাঁর কাছে বসলাম। আমার পিতা তাহাঁর নিকট হইতে কিছু হাদীস শুনতে চাইলেন। পিতা বলিলেন, হে আবু বারযা! লোকেরা কী ভীষণ বিপদে পড়েছে তা কি আপনি দেখছেন না? সর্বপ্রথম যে কথাটি তাঁকে বলিতে শুনলাম তা হল, আমি যে কুরাইশের গোত্রগুলোর প্রতি বিরূপ ভাব পোষণ করি, এজন্য আল্লাহর কাছে অবশ্যই সওয়াবের আশা করি। হে আরববাসীরা! তোমরা যে কেমন ভ্রষ্টতা, অভাব-অনটন ও লাঞ্ছনার মধ্যে ছিলে তা তোমরা জান। মহান আল্লাহ তাআলা ইসলাম ও মুহাম্মদ (সাঃআঃ)-এর মাধ্যমে সে অবস্থা থেকে মুক্ত করে তোমাদের বর্তমান অবস্থায় পৌঁছিয়েছেন, যা তোমরা দেখছ। আর এ পার্থিব দুনিয়াই তোমাদের মাঝে গোলযোগের সৃষ্টি করেছে। ঐ যে লোকটা সিরিয়ায় (ক্ষমতা বসে আছে) আছে, আল্লাহর কসম! কেবল পার্থিব স্বার্থ ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশ্যে সে লড়াই করেনি। [১৬২](আঃপ্রঃ- ৬৬১৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬২৭)

[১৬২] আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) ও সাহাবীরা দুনিয়ার স্বার্থকে ত্যাগ করে কেবলমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে জিহাদ ও যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিলেন। কিন্তু আজ পার্থিব স্বার্থ উদ্ধারই আমাদের মধ্যে যুদ্ধ-বিগ্রহ সৃষ্টি করেছে।

৭১১৩

হুযাইফাহ ইবনু ইয়ামান (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, বর্তমান কালের মুনাফিকরা নাবী (সাঃআঃ) এর কালের মুনাফিকদের চেয়েও জঘন্য। কেননা, সে কালে তারা (মুনাফিকী) করত গোপনে আর আজ করে প্রকাশ্যে। (আঃপ্রঃ- ৬৬১৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬২৮)

৭১১৪

হুযাইফাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন নিফাক বস্তুত নাবী (সাঃআঃ) -এর যুগে ছিল। আর এখন হল তা ঈমান গ্রহণের পর কুফরী।(আঃপ্রঃ- ৬৬১৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬২৯)

৯২/২২. অধ্যায়ঃ কবরবাসীদের উপর হিংসা না জাগা কিয়ামত পর্যন্ত সংঘটিত হইবে না ।

৭১১৫

আবু হুরাইরাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

আবু হুরাইরা (রাদি.) নাবী (সাঃআঃ) থেকে বর্ণনা করিয়াছেন। তিনি বলেছেনঃ ক্বিয়ামাত সংঘটিত হইবে না, যতক্ষণ কোন লোক অন্য লোকের কবরের পাশ দিয়ে যাবার সময় না বলবে, হায়! যদি আমি তার স্থলে হতাম।(আঃপ্রঃ- ৬৬১৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৩০)

৯২/২৩. অধ্যায়ঃ কালের এমন পরিবর্তন ঘটবে যে, আবার মূর্তিপূজা শুরু হইবে। [১৬৩]

[১৬৩] কালের এমন পরিবর্তন ঘটবে যে, আবার মূর্তির্পূজা শুরু হইবে। বাংলাদেশে শিখা অনির্বাণ, স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ আর বিভিন্ন ওজুহাতে মূর্তি নির্মাণই এ কথার সত্যতা প্রমাণ করছে।

৭১১৬

আবু হুরাইরাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নাবী (সাঃআঃ) – কে বলিতে শুনিয়াছি যে, ক্বিয়ামাত সংঘটিত হইবে না, যতক্ষণ যুল্‌খালাসাহর পাশে দাওস গোত্রীয় মহিলাদের নিতম্ব দোলায়িত না হইবে।

যুলখালাসাহ হলো দাওস গোত্রের একটি মূর্তি। জাহিলী যুগে তারা এর ইবাদাত করত।[মুসলিম ৫২/১৭, হাদীস ২৯০৬, আহমাদ ৭৬৮১] (আঃপ্রঃ- ৬৬১৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৩১)

[*] কালের এমন পরিবর্তন ঘটবে যে. আবার মূর্তিপূজা শুরু হইবে। বাংলাদেশে শিখা অনির্বান, স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ আর বিভিন্ন ওজুহাতে মূর্তি নির্মাণই এ কথার সত্যতা প্রমাণ করছে।

৭১১৭

আবু হুরাইরাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

যে, রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ ক্বিয়ামাত সংঘটিত হইবে না যতক্ষণ না কাহতান গোত্র থেকে এমন এক লোক বের হইবে, যে মানুষকে লাঠি দিয়ে তাড়িয়ে দেবে।(আঃপ্রঃ- ৬৬১৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৩২)

৯২/২৪. অধ্যায়ঃ আগুন বের হওয়া।

আনাস (রাদি.) বলেন, নাবী (সাঃআঃ) বলেছেনঃ ক্বিয়ামাতের সর্বপ্রথম আলামত হইবে আগুন, যা মানুষকে পূর্ব থেকে তাড়িয়ে নিয়ে পশ্চিমে একত্রিত করিবে।

৭১১৮

আবু হুরাইরাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

যে, রাসুলুল্লাহ (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ক্বিয়ামাত সংঘটিত হইবে না যতক্ষণ হিজাযের যমীন থেকে এমন আগুন বের হইবে, যা বুস্‌রার উটগুলোর গর্দান আলোকিত করে দেবে।[মুসলিম ৩৩/৪১, হাদীস ১৯০২, আহমাদ ১৯৫৫৫] (আঃপ্রঃ- ৬৬১৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৩৩)

৭১১৯

আবু হুরাইরাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেনঃ নিকট ভবিষ্যতে ফোরাত নদী তার ভূগর্ভস্থ সোনার খণি বের করে দেবে। সে সময় যারা উপস্থিত থাকবে তারা যেন তা থেকে কিছুই গ্রহণ না করে।

উক্বাহ (রাদি.)…..আবু হুরাইরাহ (রাদি.) সূত্রে নাবী সাঃআঃ থেকে এ হাদীসটি এরূপেই বর্ণনা করিয়াছেন। তবে সেখানে كَنْزٍ مِنْ ذَهَبٍএর স্থলে جَبَلٍ مِنْ ذَهَبٍ (স্বর্ণের পর্বত) উল্লেখ আছে। [মুসলিম ৫২/৮, হাদীস ২৮৯৪, আহমাদ ২১৩১৯] (আঃপ্রঃ- ৬৬২০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৩৪)

৯২/২৫. অধ্যায়ঃ তোমরা সাদাকা কর।

৭১২০

হারিসা ইবনু ওয়াহব (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) – কে বলিতে শুনিয়াছি যে, তোমরা সাদাকা কর। কেননা, শীঘ্রই এমন এক সময় আসবে যে মানুষ সদাকাহ নিয়ে ঘোরাফেরা করিবে কিন্তু সদাকাহ গ্রহণ করে এমন কাউকে পাবে না। মুসাদ্দাদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, হারিসা উবাইদুল্লাহ ইবনু উমার (রাদি.)-এর বৈপিত্রেয় ভাই। [১৬৪](আঃপ্রঃ- ৬৬২১ , ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৩৫)

[১৬৪] আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ)-এর এ ভবিষ্যৎবাণী ওমর (রাদি.)-এর যামানায় পূর্ণ হইতে দেখা গিয়েছিল।

৭১২১

আবু হুরাইরাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

যে, রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ ক্বিয়ামাত সংঘটিত হইবে না যতক্ষণ দুটি বড় দল পরস্পরে মহাযুদ্ধে লিপ্ত না হইবে। উভয় দলের দাবি হইবে অভিন্ন। আর যতক্ষণ ত্রিশের কাছাকাছি মিথ্যাচারী দাজ্জাল-এর প্রকাশ না পাবে। তারা প্রত্যেকেই নিজেকে আল্লাহর প্রেরিত রাসুল বলে দাবি করিবে এবং যতক্ষণ ইল্‌ম উঠিয়ে নেয়া না হইবে। আর ভূমিকম্প আধিক হারে না হইবে। আর যামানা (কাল) সংক্ষিপ্ত না হইবে এবং (ব্যাপক হারে) ফিতনা প্রকাশ না পাবে। আর হারজ ব্যাপকতা লাভ করিবে। হারজ হল হত্যা। আর যতক্ষণ তোমাদের মাঝে ধন-সম্পদ বৃদ্ধি না পাবে। তখন সম্পদের এমন সয়লাব শুরু হইবে যে, সম্পদের মালিক তার সদাকাহ কে গ্রহণ করিবে – এ নিয়ে চিন্তাযুক্ত হয়ে পড়বে। এমন কি যার নিকট সে সম্পদ আনা হইবে সে বলবে আমার এ মালের কোনই প্রয়োজন নেই। আর যতক্ষণ মানুষ উঁচু উঁচু প্রাসাদ নির্মাণের জন্য পরস্পরে প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ না হইবে। আর যতক্ষণ এক ব্যক্তি অপর ব্যক্তির কবরের পাশ অতিক্রম করার সময় বলবে হায়! আমি যদি এ কবরবাসীর স্থলে হতাম এবং যতক্ষণ সূর্য পশ্চিম দিক থেকে উদিত না হইবে। যখন সূর্য পশ্চিম দিক থেকে উঠবে এবং সকল লোক তা দেখবে এবং সেদিন সবাই ঈমান আনবে। কিন্তু সে দিন তার ঈমান কাজে আসবে না, যে এর আগে ঈমান আনেনি। কিংবা ইতোপূর্বে যারা ঈমান আনেনি কিংবা ঈমানের মাধ্যমে কল্যাণ অর্জন করেনি – (সুরা আনআম ৬/১৫৮)। আর অবশ্যই ক্বিয়ামাত এমন অবস্থায় কায়িম হইবে যে, দুব্যক্তি (পরস্পরে বেচাকেনার উদ্দেশ্যে) কাপড় খুলবে। কিন্তু তারা বেচাকেনা ও গুটিয়ে রাখা শেষ করিতে পারবে না। অবশ্যই ক্বিয়ামাত এমন অবস্থায় কায়িম হইবে যে, এক ব্যক্তি তার উটের দুধ দোহন করে নিয়ে ফিরেছে। কিন্তু সে তা পান করিতে পারবে না। ক্বিয়ামাত এমন অবস্থায় কায়িম হইবে যে, এক ব্যক্তি তার হাওয আস্তর করছে, কিন্তু সে পানি পান করাতে পারবে না। অবশ্যই ক্বিয়ামাত এমন (অতর্কিত) ভাবে কায়িম হইবে যে, এক ব্যক্তি মুখের কাছে লোক্‌মা তুলবে কিন্তু সে তা আহার করিতে পারবে না।[৮৫; মুসলিম ১/৭২, হাদীস ১৫৭, আহমাদ ৭১৬৪] (আঃপ্রঃ- ৬৬২২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৩৬)

৯২/২৬. অধ্যায়ঃ দাজ্জাল সম্পর্কিত আলোচনা ।

৭১২২

মুগীরাহ ইবনু শুবাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নাবী (সাঃআঃ) – কে দাজ্জালের ব্যাপারে যত বেশি প্রশ্ন করতাম তত আর কেউ করেনি। তিনি আমাকে বললেনঃ তা থেকে তোমার কি ক্ষতি হইবে? আমি বললাম, লোকেরা বলে যে, তার সঙ্গে রুটির পর্বত ও পানির নহর থাকবে। তিনি বললেনঃ আল্লাহর নিকট তা খুব সহজ। [১৬৫][মুসলিম ৫২/২২, হাদীস ২৯৩৯, আহমাদ ১৮১৭৯] (আঃপ্রঃ-৬৬২৩ , ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৩৭)

[১৬৫] এ সমস্ত হাদীসের মধ্যে দাজ্জালের অস্তিত্বের সত্যতা সম্পর্কে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের জন্য দলীল রয়েছে যে, সে একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তি। তার মাধ্যমে আল্লাহ বান্দাদের পরীক্ষা করবেন। আল্লাহ তাকে অনেক বিষয়ে শক্তি দেবেন। যেমন কাউকে হত্যার পর জীবিত করার, জমিনের উর্বরতা প্রকাশ, নদী প্রবাহিত করা, জান্নাত-জাহান্নাম দেখানো, জমিনের ধন ভান্ডারের তাকে অনুসরণ করা, আসমানকে বৃষ্টি বর্ষণের আদেশ দিলে আসমান পানি বর্ষণ করিবে। জমিনকে শস্য উদগত করিতে বললে জমিন তা উদগত করিবে। আর এগুলো সবকিছু আল্লাহর ইচ্ছাতেই হইবে। আর তাইতো এরপর যখন তাকে আল্লাহ অক্ষম করে দেবেন, তখন আর ঐ ব্যক্তিকে বা অন্য কাউকে হত্যা করিতে সক্ষম হইবে না। এরপর তার সব কর্ম বিফল হয়ে যাবে। অবশেষে ঈসা (আঃ) তাকে হত্যা করবেন। এ সংক্রান্ত বিষয়ে কিছু কিছু খারেজী, মুতাযিলা, ও জাহমিয়া সম্প্রদায় বিরোধিতা করেছে। ফলে তারা তার অস্তিত্বকে অস্বীকার করে এবং সহীহ হাদীসগুলোকে প্রত্যাখ্যান করে। অন্যদিকে জাবরিয়া সম্প্রদায় দাজ্জালের অস্তিত্বের সত্যতা মেনে নিলেও তার অলৌকিক ও অস্বাভাবিক কাজগুলোকে বলে যে, ওগুলোর কোন বাস্তবতা নেই। (ফাতহুল বারী)

৭১২৩

ইবনু উমার (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

যে, আবু আবদুল্লাহ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, আমার মনে হয় তিনি হাদীসটি নাবী (সাঃআঃ) থেকেই বর্ণনা করিয়াছেন। তিনি বলেনঃ দাজ্জালের ডান চোখ কানা হইবে, যেন তা ফোলা আঙ্গুরের ন্যায়।(আঃপ্রঃ- ৬৬২৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৩৮)

৭১২৪

আনাস ইবনু মালিক (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

যে, তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) বলেছেনঃ দাজ্জাল আসবে। অবশেষে মাদীনাহর এক পার্শ্বে অবতরণ করিবে। (এ সময় মাদীনাহ) তিনবার কেঁপে উঠবে। তখন সকল কাফির ও মুনাফিক বের হয়ে তার নিকট চলে আসবে। (আঃপ্রঃ- ৬৬২৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৩৯)

৭১২৫

আবু বাক্‌রাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

আবু বাক্‌রাহ (রাদি.) নাবী (সাঃআঃ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেছেনঃ মাসীহ দাজ্জালের প্রভাব মদিনায় প্রভাব পড়বে না। সে সময় মদিনায় সাতটি প্রবেশপথ থাকবে। প্রতিটি প্রবেশপথে দুজন করে ফেরেশ্‌তা নিযুক্ত থাকবেন।(আঃপ্রঃ- ৬৬২৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৪১)

৭১২৬

আবু বাক্‌রাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

আবু বাক্‌রাহ (রাদি.) নাবী (সাঃআঃ) থেকে বর্ণনা করিয়াছেন। তিনি বলেছেনঃ মদিনায় মাসীহ দাজ্জাল-এর প্রভাব পড়বে না। সে সময় মদিনায় সাতটি প্রবেশদ্বার থাকবে। প্রতিটি প্রবেশদ্বারে দুজন করে ফেরেশ্‌তা নিযুক্ত থাকবেন। (আ. প্র. ৬৬২৭, ই. ফা. ৬৬৪০)

ইবনু ইসহাক…..ইবরাহীম (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, আমি যখন বস্‌রায় আগমন করলাম তখন আবু বাক্‌রাহ (রাদি.) আমাকে বলিলেন যে, এ হাদীসটি আমি নাবী (সাঃআঃ) থেকে শুনিয়াছি।(আঃপ্রঃ- নাই, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৪০)

৭১২৭

আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

নাবী (সাঃআঃ) লোক সমাবেশে দাঁড়ালেন এবং মহান আল্লাহর প্রশংসা করিলেন। এরপর তিনি দাজ্জাল প্রসঙ্গে বললেনঃ তার সম্পর্কে আমি তোমাদেরকে সতর্ক করছি। এমন কোন নাবী নেই যিনি তাহাঁর কাওমকে এ বিষয়ে সতর্ক করেননি। তবে তার সম্পর্কে আমি তোমাদের এমন একটি কথা বলব যা কোন নাবীই তাহাঁর জাতিকে বলেননি। তা হল এই যে, সে কানা হইবে আর আল্লাহ অবশ্যই কানা নন। [১৬৬](আঃপ্রঃ- ৬৬২৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৪২)

[১] উল্লেখিত হাদীসে দাজ্জাল সম্পর্কে দুটি বিষয় বর্ণিত হয়েছেঃ

প্রথম বিষয় : প্রত্যেক নাবী তাদের নিজ নিজ উম্মতদেরকে দাজ্জাল সম্পর্কে ভীতি প্রদর্শন করিয়াছেন। তারই ধারাবাহিকতা স্বরূপ রাসুল (সাঃ)ও তাহাঁর উম্মতকে উদ্দেশ করে বলেন, إني لأنذركموه (অর্থাৎ নিশ্চয় আমিও অবশ্যই তোমাদেরকে তার ব্যাপারে সতর্ক করেছি)।

দ্বিতীয় বিষয় : রাসুল (সাঃ) বলেন, আমার পূর্ববর্তী সব নাবী দাজ্জালের ভীতি প্রদর্শন করলেও তার সম্পর্কে যে কথাটি বলেননি, আমি তোমাদের অবশ্যই সে কথাটি বলব। আর তা হচ্ছে সে কানা। আল্লাহ কিন্তু কানা নয়। এখানে একদিকে যেমন দাজ্জালের এক চোখ নেই তা প্রমাণ হচ্ছে, অপরদিকে আল্লাহর চোখ রয়েছে এবং তিনি দেখেন এটাও প্রমাণিত হচ্ছে। সুতরাং আল্লাহ তাআলার অসংখ্য সিফাতের মধ্যে এটিও তাহাঁর একটি সিফাত যে, তাহাঁর চক্ষু রয়েছে এবং তিনি দেখেন। তাহাঁর চক্ষু কেমন তা যেমন বলা যাবে না, তদ্রুপ তা অস্বীকার, অপব্যাখ্যা, সাদৃশ্য দেয়া বা প্রকৃতি বর্ণনা করা মোটেও ঠিক নয়। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ ليس كمثله شيء وهو السميع البصير

৭১২৮

ইবনু উমার (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ আমি ঘুমের অবস্থায় দেখিতে পেলাম যে, আমি কাবার তাওয়াফ করছি। হঠাৎ একজন লোককে দেখিতে পেলাম ধূসর বর্ণের আলুথালু কেশধারী, তার মাথা থেকে পানি গড়িয়ে পড়ছে কিংবা টপকে পড়ছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, ইনি কে? লোকেরা বলিল, ইনি মারিয়ামের পুত্র। এরপর আমি তাকাতে লাগলাম, হঠাৎ দেখিতে পেলাম, এক ব্যক্তি স্থুলকায় লাল বর্ণের, কোঁকড়ানো চুল, এক চোখ কানা, চোখটি যেন ফোলা আঙ্গুরের মত। লোকেরা বলিল এ-হল দাজ্জাল! তার সঙ্গে বেশি সাদৃশ্যপূর্ণ লোক হল ইবনু কাতান, বানী খুযাআর এক লোক। (আঃপ্রঃ- ৬৬২৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৪৩)

৭১২৯

আয়েশাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) – কে, সালাতের ভিতরে দাজ্জালের ফিতনা হইতে পানাহ চাইতে শুনিয়াছি।(আঃপ্রঃ- ৬৬৩০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৪৪)

৭১৩০

হুযাইফাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

হুযাইফাহ (রাদি.) নাবী (সাঃআঃ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি দাজ্জাল সম্পর্কে বলেছেনঃ তার সঙ্গে পানি ও আগুন থাকবে। আসলে তার আগুনই হইবে শীতল পানি, আর তার পানি হইবে আগুন।

আবু মাসঊদ (রাদি.) বর্ণনা করেন যে, আমিও এ হাদীসটি রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) থেকে শুনিয়াছি। (আঃপ্রঃ- ৬৬৩১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৪৫)

৭১৩১

আনাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী সাঃআঃ বলেছেনঃ এমন কোন নাবী প্রেরিত হন নি যিনি তার উম্মাতকে এই কানা মিথ্যাবাদী সম্পর্কে সতর্ক করেননি। জেনে রেখো, সে কানা, আর তোমাদের রব কানা নন। আর তার দুই চোখের মাঝখানে কাফির كَافِرٌ শব্দটি লিপিবদ্ধ থাকবে। এ সম্পর্কে আবু হুরাইরাহ (রাদি.) ও ইবনু আববাস (রাদি.) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। [৭৪০৮; মুসলিম ৫২/২০, হাদীস ২৯৩৩, আহমাদ ১৩৩৯৩] (আঃপ্রঃ- ৬৬৩২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৪৬)

৯২/২৭. অধ্যায়ঃ দাজ্জাল মদীনাহয় প্রবেশ করিবে না ।

৭১৩২

আবু সাঈদ খুদরী (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদিন নাবী (সাঃআঃ) আমাদের কাছে দাজ্জাল সম্পর্কে দীর্ঘ হাদীস বর্ণনা করিলেন। তিনি তার সম্পর্কে আমাদেরকে যা কিছু বলেছিলেন, তাতে এও বলেছেন যে, দাজ্জাল আসবে, তবে মাদীনার প্রবেশপথে তার প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ থাকবে। মাদীনার নিকটবর্তী বালুময় একটি স্থানে সে অবস্থান নিবে। এ সময় তার দিকে এক ব্যক্তি আসবে, যে মানুষের মাঝে উত্তম। কিংবা উত্তম ব্যক্তিদের একজন। সে বলবে, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুই সেই দাজ্জাল, যার সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) আমাদের কাছে তাহাঁর হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। তখন দাজ্জাল বলবে, তোমরা দেখ – আমি যদি একে হত্যা করে আবার জীবিত করে দেই তাহলে কি তোমরা এ ব্যাপারে সন্দেহ করিবে? লোকেরা বলবে, না। এরপর সে তাকে হত্যা করিবে এবং আবার জীবিত করিবে। তখন সে লোকটি বলবে, আল্লাহর কসম! তোর সম্পর্কে আজকের মত দৃঢ় বিশ্বাসী ছিলাম না। তখন দাজ্জাল তাকে হত্যা করিতে চাইবে কিন্তু সে তা করিতে পারবে না।(আঃপ্রঃ- ৬৬৩৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৪৭)

৭১৩৩

আবু হুরাইরাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ মাদীনার প্রবেশপথগুলোতে ফেরেশ্তা নিযুক্ত আছেন। কাজেই সেখানে প্লেগ ও দাজ্জাল প্রবেশ করিবে না।(আঃপ্রঃ- ৬৬৩৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৪৮)

[১] হাদীসটিতে মাদীনার ফযীলত বর্ণিত হয়েছে। মাদীনার আরোও ফযীলত হচ্ছে :

১. রাসুলুল্লাহ (সাঃ) মক্কা থেকে মাদীনায় হিজরত করার পূর্বে মাদীনার নাম ছিল ইয়াসরিব। ফলে রাসুল (সাঃ) সেখানে হিজরত করার কারণে তার নামকরণ করা হয়েছে মাদীনাতুল রাসুল বা মাদীনাতুন নববী।

২. সেখানে রসূলের হিজরত হবার কারণে মাদীনার আরেকটি নাম হলো দারুল হিজরাহ।

৩. রাসুল (সাঃ) এর নামকরণ করেন ত্বায়্যিবাহ, ত্বীবা ইত্যাদী নামে।

৪. ইবরাহীম u যেমন মাক্কার জন্য দুআ করেছিলেন তেমনি রাসুল (সাঃ)ও মাদীনার বরকতের জন্য দুআ করেছিলেন। যথা : اللهم اجعل في المدينة ضعفي ما مكة من البركة (বুখারী ও মুসলিম) (ফাতহুল বারী)

৫. মাদীনাহ ঈমানের অবস্থানস্থল ও ঠিকানা। দ্বীন এখান থেকেই প্রসারিত হয়েছিল আবার এখানে ফিরে আসবে। নাবী (সাঃ) বলেন, إن الإيمان ليأرز إلى المدينة كما تأرز الحية إلى جحرها (বুখারী ও মুসলিম)

৬. রাসুল (সাঃ) মাদীনাবাসীদের জন্য বরকতের দুআ করেন যথা : اللهم بارك لأهل المدينة।

৭১৩৪

আনাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

আনাস (রাদি.) নাবী (সাঃআঃ) থেকে বর্ণনা করিয়াছেন। তিনি বলেছেন যে, মাদীনাহর দিকে দাজ্জাল আসবে, সে ফেরেশ্তাদেরকে মাদীনা প্রহরারত অবস্থায় দেখিতে পাবে। অতএব দাজ্জাল ও প্লেগ এর নিকটবর্তী হইবে না ইনশা আল্লাহ।(আঃপ্রঃ- ৬৬৩৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৪৯)

৯২/২৮. অধ্যায়ঃ ইয়াজূজ ও মাজূজ ।

৭১৩৫

যাইনাব বিন্ত জাহাশ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

যে, একদা রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) উদ্বিগ্ন অবস্থায় এরূপ বলিতে বলিতে আমার গৃহে প্রবেশ করিলেন যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নাই। আক্ষেপ আরবের জন্য মন্দ থেকে যা অতি নিকটবর্তী। বৃদ্ধাঙ্গুল ও তৎসংলগ্ন আঙ্গুল গোলাকৃতি করে তার দিকে ইশারা করে বললেনঃ আজ ইয়াজূজ ও মাজূজের দেয়াল এ পরিমাণ খুলে গেছে। যাইনাব বিন্ত জাহাশ (রাদি.) বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আমাদের মাঝে সৎ লোকেরা উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও কি আমরা ধ্বংস হয়ে যাব? উত্তরে তিনি বলিলেন, হ্যাঁ, যদি পাপকাজ বৃদ্ধি পায়। (আঃপ্রঃ- ৬৬৩৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৫০)

৭১৩৬

আবু হুরাইরাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

নাবী (সাঃআঃ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেছেনঃ ইয়াজূজ- মাজূজের দেয়াল এ পরিমাণ খুলে গেছে। রাবী ওহায়ব নব্বই সংখ্যা নির্দেশক গোলাকৃতি তৈরি করে (দেখালেন)(আঃপ্রঃ- ৬৬৩৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৫১)

Comments

Leave a Reply