চিঠিপত্র কার নাম দিয়ে শুরু করিতে হইবে
চিঠিপত্র কার নাম দিয়ে শুরু করিতে হইবে >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন
পর্বঃ ৭৯, অনুমতি চাওয়া, অধ্যায়ঃ (২৩-২৫)=৩টি
৭৯/২৩. অধ্যায়ঃ কারো এমন পত্রের বিষয়ে স্পষ্টরূপে জানার জন্য তদন্ত করে দেখা, যাতে মুসলিমদের জন্য শংকার কারণ আছে।
৭৯/২৪. অধ্যায়ঃ গ্রন্থধারীদের নিকট কিভাবে পত্র লিখতে হয়?
৭৯/২৫. অধ্যায়ঃ চিঠিপত্র কার নাম দিয়ে শুরু করিতে হইবে।
৭৯/২৩. অধ্যায়ঃ কারো এমন পত্রের বিষয়ে স্পষ্টরূপে জানার জন্য তদন্ত করে দেখা, যাতে মুসলিমদের জন্য শংকার কারণ আছে।
৬২৫৯
আলী (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) আমাকে ও যুবায়র ইবনু আওয়াম (রাদি.) এবং আবু মারসাদ গানাভী (রাদি.) –কে অশ্ব বের করে নির্দেশ দিলেন যে, তোমরা রওয়ানা হয়ে যাও এবং রওযায়ে খাখে গিয়ে উপস্থিত হও। সেখানে একজন মুশরিক স্ত্রীলোক পাবে। তার কাছে হাতিব ইবনু আবু বালতার দেয়া মুশরিকদের প্রতি প্রেরিত একখানি পত্র আছে। আমরা ঠিক সেই জায়গাতেই তাকে পেয়ে গেলাম যেখানকার কথা রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছিলেন। ঐ স্ত্রী লোকটি তার এক উটের উপর সওয়ার ছিল। আমরা তাকে জিজ্ঞেস করলাম যে, তোমার কাছে যে পত্রখানি আছে তা কোথায়? সে বললঃ আমার সাথে কোন পত্র নেই। তখন আমরা তার উটসহ তাকে বসালাম এবং তার সাওয়ারীর আসবাবপত্রের তল্লাশি করলাম। কিন্তু আমরা কিছুই খুঁজে পেলাম না। আমার দুজন সাথী বললেনঃ পত্রখানা তো পাওয়া গেল না। আমি বললামঃ আমার জানা আছে যে, রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) অনর্থক কথা বলেননি। তখন তিনি স্ত্রী লোকটিকে ধমক দিয়ে বললেনঃ তোমাকে অবশ্যই চিঠিটা বের করে দিতে হইবে, নইলে আমি তোমাকে উলঙ্গ করে তল্লাশি চালাব। এরপর সে যখন আমার দৃঢ়তা লক্ষ্য করলো, তখন সে বাধ্য হয়ে তার কোমরে পেঁচানো চাদরে হাত দিয়ে ঐ পত্রখানা বের করে দিলো। তারপর আমরা তা নিয়ে রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) -এর কাছে পোঁছলাম। তখন তিনি হাতিব (রাদি.) –কে জিজ্ঞেস করলেনঃ হে হাতিব! তুমি কেন এমন কাজ করলে? তিনি বললেনঃ আমার মনে এমন কোন খারাপ ইচ্ছে নেই যে, আমি আল্লাহ ও তাহাঁর রসূলের প্রতি ঈমান ও বিশ্বাস হারিয়ে ফেলি। আমি আমার দৃঢ় মনোভাব পরিবর্তন করিনি এবং আমি দ্বীনও বদল করিনি। এই চিঠি দ্বারা আমার নিছক উদ্দেশ্য ছিল যে, এতে মাক্কাহবাসীদের উপর আমার দ্বারা এমন উপকার হোক, যার ফলে আল্লাহ তাআলা আমার পরিবার ও সম্পদ নিরাপদে রাখবেন। আর সেখানে আপনার অন্যান্য সাহাবীদের এমন লোক আছেন যাঁদের দ্বারা আল্লাহ তাআলা তাদের পরিবার ও সম্পদের নিরাপত্তা দান করবেন। তখন নাবী (সাঃআঃ)বললেনঃ হাতিব ঠিক কথাই বলেছে। সুতরাং তোমরা তাকে ভালো ব্যতীত অন্য কিছুই বলো না। রাবী বলেনঃ উমার ইবনু খাত্তাব (রাদি.) বলিলেন, তিনি নিশ্চয় আল্লাহ ও তাহাঁর রাসুল এবং মুমিনদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করিয়াছেন। অতএব আমাকে ছেড়ে দিন আমি তাহাঁর গর্দান উড়িয়ে দেই। রাবী বলেন, তখন নাবী (সাঃআঃ) বললেনঃ হে উমার! তোমার কি জানা নাই যে, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের সম্পর্কে জ্ঞাত আছেন এবং ঘোষণা করিয়াছেন যে, তোমরা যা ইচ্ছে করিতে পার। নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য জান্নাত নির্ধারিত হয়ে আছে। রাবী বলেনঃ তখন উমার (রাদি.) –এর দুচোখ দিয়ে অশ্রু ঝরতে লাগলো। তিনি বলিলেন, আল্লাহ ও তাহাঁর রাসুলই সবচেয়ে ভালো জানেন।(আঃপ্রঃ- ৫৮১৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭১২)
৭৯/২৪. অধ্যায়ঃ গ্রন্থধারীদের নিকট কিভাবে পত্র লিখতে হয়?
৬২৬০
আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
আবু সুফ্ইয়ান ইবনু হারব তাকে বলেছেনঃ হিরাক্লিয়াস আবু সুফ্ইয়ানকে ডেকে পাঠালেন, কুরাইশদের ঐ দলসহ যারা ব্যবসার জন্য সিরিয়া গিয়েছিলেন। তাঁরা সবাই তাহাঁর নিকট হাজির হলেন। এরপর তিনি ঘটনার বর্ণনা করেন। শেষে বলিলেন যে, তারপর হিরাক্লিয়াস রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ -এর চিঠিটি আনালেন এবং তা পাঠ করা হল। এতে ছিল বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম আল্লাহর বান্দা ও তাহাঁর রাসুল মুহাম্মাদ এর পক্ষ হইতে রোম সম্রাট হিরাক্লিয়াসের প্রতি السَّلاَمُ عَلٰى مَنْ اتَّبَعَ الْهُدى শান্তি বর্ষিত হোক তাদের উপর যারা সৎপথ অনুসরণ করেছে। [৭] আঃপ্রঃ- ৫৮১৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭১৩)
৭৯/২৫. অধ্যায়ঃ চিঠিপত্র কার নাম দিয়ে শুরু করিতে হইবে।
৬২৬১
আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
নাবী (সাঃআঃ) বানী ইসরাঈলের এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করে বলিলেন যে, সে এক টুকরো কাঠ নিয়ে খোদাই করে এর ভেতর এক হাজার দীনার ভর্তি করে রাখল এবং এর মালিকের প্রতি লেখা একখানা চিঠিও রেখে দিলো। আর উমার ইবনু আবু সালামাহ সূত্রে আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিত যে, নাবী (সাঃআঃ) বলেছেনঃ এক লোক এক টুকরো কাঠ খোদাই করে তার ভেতরে কিছু মাল রেখে দিল এবং এর সাথে তার প্রাপকের প্রতি একখানা পত্রও ভরে দিল, যার মধ্যে লেখা ছিল, অমুকের পক্ষ থেকে অমুকের প্রতি।(আঃপ্রঃ- ২৫-অনুচ্ছেদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭১৪)
Leave a Reply