বিস্ময়ে আল্লাহু আকবার বলা, হাঁচির দুআ ও হাই তুললে করনিয়
বিস্ময়ে আল্লাহু আকবার বলা, হাঁচির দুআ ও হাই তুললে করনিয় >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন
৭৮/১২১. অধ্যায়ঃ বিস্ময়ে আল্লাহু আকবার অথবা সুব হানাল্লাহ বলা।
৭৮/১২২. অধ্যায়ঃ ঢিল ছোঁড়া প্রসঙ্গে।
৭৮/১২৩. অধ্যায়ঃ হাঁচিদাতার আল্হামদু লিল্লাহ বলা।
৭৮/১২৪. অধ্যায়ঃ হাঁচিদাতা আল্হামদু লিল্লাহ বললে তার জবাব দেয়া।
৭৮/১২৫. অধ্যায়ঃ কীভাবে হাঁচির দুআ মুস্তাহাব, আর কীভাবে হাই তোলা মাকরূহ।
৭৮/১২৬. অধ্যায়ঃ কেউ হাঁচি দিলে, কীভাবে জওয়াব দেয়া হইবে?
৭৮/১২৭. অধ্যায়ঃ হাঁচিদাতা আল্হামদু লিল্লাহ না বললে তার জবাব দিতে হইবে না।
৭৮/১২৮. অধ্যায়ঃ কেউ হাই তুললে সে যেন নিজের হাত মুখে রাখে।
৭৮/১২১. অধ্যায়ঃ বিস্ময়ে আল্লাহু আকবার অথবা সুব হানাল্লাহ বলা।
৬২১৮
উম্মু সালামাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদিন নাবী (সাঃআঃ) ঘুম থেকে উঠে বললেনঃ সুবহানাল্লাহ! অদ্যকার রাতে কত যে ধন-ভান্ডার এবং কত যে বিপদাপদ অবতীর্ণ করা হয়েছে। কে আছ যে এ হুজরাবাসিনীদের অর্থাৎ তাঁদের স্ত্রীদের জাগিয়ে দেবে যাতে তাঁরা সলাত আদায় করে। দুনিয়ার কত বস্ত্র পরিহিতা, আখিরাতে উলঙ্গ হইবে!
উমার (রাদি.) বর্ণনা করেন, আমি একদিন নাবী (সাঃআঃ) –কে বললাম, আপনি কি আপনার স্ত্রীগণকে তালাক দিয়েছেন? তিনি (সাঃআঃ) বললেনঃ না। তখন আমি বললামঃ আল্লাহু আকবার।(আঃপ্রঃ- , ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৭২)
৬২১৯
আলী ইবনু হুসায়ন (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
যে, নাবী (সাঃআঃ) –এর স্ত্রী সফীয়্যাহ বিনত হুইয়াই বর্ণনা করেন যে, রমাযানের শেষ দশ দিনে মাসজিদে রাসুলুল্লাহর ইতিকাফের অবস্থায় তিনি তাহাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করিতে গেলেন। তিনি রাতের প্রথম ভাগে কিছু সময় তাহাঁর সঙ্গে কথাবার্তার পর ফিরে যাবার জন্য উঠে দাঁড়ালেন। নাবী (সাঃআঃ) তাঁকে এগিয়ে দেয়ার জন্যে উঠে দাঁড়ালেন। শেষে যখন তিনি মাসজিদের দরজার নিকট পৌঁছলেন, যা নাবী (সাঃআঃ) –এর বিবি উম্মু সালামাহর ঘরের নিকটে অবস্থিত, তখন তাঁদের পাশ দিয়ে আনসারের দুজন লোক যাচ্ছিল। তাঁরা দুজনেই রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) –কে সালাম দিল এবং নিজ পথের রওয়ানা হল। তখন রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) তাদের বললেনঃ ধীরে চল। ইনি হলেন সফীয়্যাহ বিনত হুইয়াই। তারা বললোঃ সুবহানাল্লাহ! হে আল্লাহর রাসুল। তাদের দু জনের মনে তা গুরুত্বপূর্ণ মনে হল। তিনি (সাঃআঃ) বললেনঃ নিশ্চয়ই শয়ত্বান মানুষের রক্তের ভিতর চলাচল করে থাকে। তাই আমার আশঙ্কা হলো যে, সম্ভবতঃ সে তোমাদের অন্তরে সন্দেহ জাগিয়ে দিতে পারে।(আঃপ্রঃ- ৫৭৭৭,৫৭৭৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৭৩)
৭৮/১২২. অধ্যায়ঃ ঢিল ছোঁড়া প্রসঙ্গে।
৬২২০
আবদুল্লাহ ইবনু মুগাফ্ফাল মুযানী (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) ঢিল ছুঁড়তে নিষেধ করিয়াছেন। আর বলেছেনঃ এটা শিকার মারতে পারে না এবং শত্রুকেও আহত করিতে পারে না বরং কারো চোখ ফুঁড়ে দিতে পারে আবার কোন লোকের দাঁত ভেঙ্গে দিতে পারে।(আঃপ্রঃ- ৫৭৭৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৭৪)
৭৮/১২৩. অধ্যায়ঃ হাঁচিদাতার আল্হামদু লিল্লাহ বলা।
৬২২১
আনাস ইবনু মালিক (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদিন নাবী (সাঃআঃ) –এর সম্মুখে দু ব্যাক্তি হাঁচি দিল। তখন নাবী (সাঃআঃ) একজনের জবাব দিলেন। অন্যজনের জবাব দিলেন না। তাঁকে (সাঃআঃ) কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি (সাঃআঃ) বললেনঃ এ ব্যক্তি আল্হামদু লিল্লাহ বলেছে। আর ঐ ব্যক্তি আল্হামদু লিল্লাহ বলেনি।[৬২২৫; মুসলিম ৫৩/৯, হাদীস ২৯৯১, আহমাদ ১১৯৬২] আঃপ্রঃ- ৫৭৮০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৭৫)
৭৮/১২৪. অধ্যায়ঃ হাঁচিদাতা আল্হামদু লিল্লাহ বললে তার জবাব দেয়া।
৬২২২
বারাআ ইবনু আযিব (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) আমাদের সাতটি কাজের নির্দেশ প্রদান করিয়াছেন এবং সাতটি কাজ থেকে নিষেধ করিয়াছেন। রোগীর সেবা-শুশ্রুষা করিতে, জানাযার সঙ্গে চলতে, হাঁচিদাতার জবাব দিতে, দাওয়াত কবূল করিতে, সালামের জওয়াব দিতে, মাযলূমকে সাহায্য করিতে এবং শপথ পুরা করিতে আমাদের আদেশ দিয়েছেন। আর সোনার আংটি অথবা বালা ব্যবহার করিতে, সাধারণ রেশমী বস্ত্র পরিধান করিতে, মিহিন রেশমী বস্ত্র, রেশমী যিন ব্যবহার করিতে, কাসীই ব্যবহার করিতে এবং রৌপ্য পাত্র ব্যবহার করিতে আমাদের নিষেধ করিয়াছেন।(আঃপ্রঃ- ৫৭৮১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৭৬)
৭৮/১২৫. অধ্যায়ঃ কীভাবে হাঁচির দুআ মুস্তাহাব, আর কীভাবে হাই তোলা মাকরূহ।
৬২২৩
আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী সাঃআঃ বলেনঃ আল্লাহ তাআলা হাঁচি দেয়া পছন্দ করেন, আর হাই তোলা অপছন্দ করেন। কাজেই কেউ হাঁচি দিয়ে الْحَمْدُ للهِ বলবে, যারা তা শোনবে তাদের প্রত্যেককে তার জবাব দেয়া ওয়াজিব হইবে। আর হাই তোলা, শয়তানের পক্ষ থেকে হয়, তাই যথাসম্ভব তা রোধ করা উচিত। কারণ কেউ যখন মুখ খুলে হা করে তখন শয়তান তাতে হাসে। (আঃপ্রঃ- ৫৭৮২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৭৭)
৭৮/১২৬. অধ্যায়ঃ কেউ হাঁচি দিলে, কীভাবে জওয়াব দেয়া হইবে?
৬২২৪
আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
নাবী সাঃআঃ বলেছেনঃ যখন তোমাদের কোন ব্যক্তি হাঁচি দেয়, তখন সে যেন الْحَمْدُ للهِ বলে। আর শ্রোতা যেন এর জবাবে يَرْحَمُكَ اللهُবলে। আর যখন সেيَرْحَمُكَ اللهُ বলবে, তখন হাঁচিদাতা তাকে বলবেঃ يَهْدِيكُمُ اللهُ وَيُصْلِحُ بَالَكُمْ । আঃপ্রঃ- ৫৭৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৭৮)
৭৮/১২৭. অধ্যায়ঃ হাঁচিদাতা আল্হামদু লিল্লাহ না বললে তার জবাব দিতে হইবে না।
৬২২৫
আনাস ইবনু মালিক (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ একবার নাবী (সাঃআঃ) –এর সামনে দু ব্যক্তি হাঁচি দিলেন। তিনি (সাঃআঃ) একজনের হাঁচির জবাব দিলেন এবং অন্যজনের জবাব দিলেন না। অন্য লোকটি বললঃ হে আল্লাহর রাসুল! আপনি তার হাঁচির জবাব দিলেন, কিন্তু আমার হাঁচির জবাব দিলেন না। তিনি (সাঃআঃ) বললেনঃ সে আল্হামদু লিল্লা-হ বলেছে, কিন্তু তুমি আল্হামদু লিল্লা-হ বলনি।(আঃপ্রঃ- ৫৭৮৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৭৯)
৭৮/১২৮. অধ্যায়ঃ কেউ হাই তুললে সে যেন নিজের হাত মুখে রাখে।
৬২২৬
আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
যে, নাবী (সাঃআঃ) বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা হাঁচি দেয়া পছন্দ করেন, আর হাই তোলা অপছন্দ করেন। যদি তোমাদের কেউ হাঁচি দিয়ে আল্হামদু লিল্লা-হ বলে তবে প্রত্যেক মুসলিম শ্রোতার তার জবাবে ইয়ারহামুকাল্লাহ বলা ওয়াজিব। আর হাই তোলা শয়তানের পক্ষ থেকে হয়। কাজেই তোমাদের কোন ব্যাক্তির হাই উঠলে সে যেন যথাসম্ভব তা রোধ করে। কেননা কেউ হাই তুললে শয়তান তার প্রতি হাসে।(আঃপ্রঃ- ৫৭৮৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৮০)
Leave a Reply