সাওয়ারী এর উপর বসার বিঁধান। চিৎ হয়ে শয়ন করা

সাওয়ারী এর উপর বসার বিঁধান। চিৎ হয়ে শয়ন করা

সাওয়ারী এর উপর বসার বিঁধান। চিৎ হয়ে শয়ন করা >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন

পর্বঃ ৭৭, পোশাক-পরিচ্ছদ, অধ্যায়ঃ (৯৮-১০৩)=৬টি

৭৭/৯৮. অধ্যায়ঃ সাওয়ারীর উপর কারও পেছনে বসা।
৭৭/৯৯. অধ্যায়ঃ এক সাওয়ারীর উপর তিনজন বসা।
৭৭/১০০. অধ্যায়ঃ সওয়ারীর মালিক অন্যকে সামনে বসাতে পারে কি না?
৭৭/১০১. অধ্যায়ঃ জন্তুযানে পুরুষের পেছনে পুরুষের বসা।
৭৭/১০২. অধ্যায়ঃ সওয়ারীর উপর পুরুষের পশ্চাতে মহিলার উপবেশন।
৭৭/১০৩. অধ্যায়ঃ চিৎ হয়ে শয়ন করা এবং এক পা অন্য পায়ের উপর রাখা।

৭৭/৯৮. অধ্যায়ঃ সাওয়ারীর উপর কারও পেছনে বসা।

৫৯৬৪

উসামাহ ইবনু যায়দ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

যে, রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) (একবার) গাধার পিঠে চড়েন। পিঠের উপরে ফাদাকের তৈরী মোটা গদি ছিল। উসামাহকে তিনি তাহাঁর পশ্চাতে উপবিষ্ট করেন।(আঃপ্রঃ- ৫৫৩১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪২৬)

৭৭/৯৯. অধ্যায়ঃ এক সাওয়ারীর উপর তিনজন বসা।

৫৯৬৫

ইবনু আব্বাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

নাবী (সাঃআঃ) যখন মক্কায় আসেন, তখন আবদুল মুত্তালিব গোত্রের তরুণরা তাঁকে অভ্যর্থনা জানায়। তাদের একজনকে তিনি তাহাঁর সম্মুখে এবং অন্য একজনকে তাহাঁর পশ্চাতে উঠিয়ে নেন।(আঃপ্রঃ- ৫৫৩২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪২৭)

৭৭/১০০. অধ্যায়ঃ সওয়ারীর মালিক অন্যকে সামনে বসাতে পারে কি না?

কেউ কেউ বলেছেন সওয়ারীর মালিক সামনে বসার অধিক হকদার, তবে যদি কাউকে সে অনুমতি দেয়।

৫৯৬৬

আইউব (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, খারাপ তিন লোকের কথা ইকরামার কাছে উল্লেখ করা হয়। তিনি বলেন, ইবনু আব্বাস (রাদি.) বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) যখন মক্কায় আসেন তখন তিনি কুসামকে (তাহাঁর সওয়ারীর) সম্মুখে ও ফায্‌লকে পশ্চাতে উপবিষ্ট করেন। অথবা কুসামকে পশ্চাতে ও ফায্‌লকে সম্মুখে উপবিষ্ট করেন। তবে কে তাদের মধ্যে মন্দ অথবা কে তাদের মধ্যে ভাল?(আঃপ্রঃ- ৫৫৩৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪২৮)

৭৭/১০১. অধ্যায়ঃ জন্তুযানে পুরুষের পেছনে পুরুষের বসা।

৫৯৬৭

মুআয ইবনু জাবাল (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা আমি নাবী (সাঃআঃ) -এর পশ্চাতে উপবিষ্ট ছিলাম। আমার ও তাহাঁর মাঝে লাগামের রশি ছাড়া অন্য কিছু্‌ই ছিল না। তিনি বললেনঃ মুআয! আমি বললামঃ হাযির আছি, হে আল্লাহর রাসুল! তারপর কিছুক্ষণ চললেন। আবার বললেনঃ হে মুআয! আমি বললামঃ হাযির আছি, হে আল্লাহর রাসুল! তারপর আরও কিছুক্ষণ চললেন। আবার বললেনঃ হে মুআয ইবনু জাবাল! আমি বললামঃ হাযির আছি, হে আল্লাহর রাসুল! তিনি বললেনঃ তুমি জান, বান্দার উপর আল্লাহর কী হক? আমি বললামঃ আল্লাহ ও তাহাঁর রাসুলই বেশি জানেন। তিনি বললেনঃ বান্দার উপর আল্লাহর হক এই যে, তারা একমাত্র তাহাঁরই ইবাদাত করিবে, অন্য কিছুকে তাহাঁর অংশীদার গণ্য করিবে না। এরপর কিছু সময় চললেন। তারপর বললেনঃ হে মুআয ইবনু জাবাল! আমি বললামঃ হাযির আছি, হে আল্লাহর রাসুল! তিনি বললেনঃ বান্দারা যখন তাদের দায়িত্ব পালন করে, তখন আল্লাহর প্রতি বান্দার অধিকার কী, তা জান কি? আমি বললামঃ আল্লাহ ও তাহাঁর রাসুলই অধিক জানেন। তিনি বললেনঃ আল্লাহর উপর বান্দার অধিকার এই যে, তিনি তাদের আযাব দিবেন না।(আঃপ্রঃ- ৫৫৩৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪২৯)

৭৭/১০২. অধ্যায়ঃ সওয়ারীর উপর পুরুষের পশ্চাতে মহিলার উপবেশন।

৫৯৬৮

আনাস ইবনু মালিক (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমরা রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) -এর সঙ্গে খাইবার থেকে (মদিনায়) প্রত্যাবর্তন করছিলাম। আমি আবু ত্বলহার সাওয়ারীর উপর পশ্চাতে উপবিষ্ট ছিলাম, আর তিনি সাওয়ারী চালাচ্ছিলেন। রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) -এর এক সহধর্মিণী তাহাঁর সাওয়ারীর পশ্চাতে উপবিষ্ট ছিলেন। হঠাৎ উষ্ট্রী হোঁচট খেয়ে পড়ে গেল। আমি বললামঃ মহিলা, এরপর আমি নেমে পড়লাম। তখন রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বললেনঃ ইনি তোমাদের মা। আমি হাওদাটি শক্ত করে বেঁধে দিলাম। রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) সাওয়ারীতে উঠলেন। যখন তিনি মাদীনাহর নিকটবর্তী হলেন, কিংবা রাবী বলেছেন, তিনি যখন (মাদীনাহ) দেখিতে পেলেন, তখন বললেনঃ আমরা প্রত্যাবর্তনকারী, তাওবাহকারী, আমাদের প্রতিপালকের ইবাদাতকারী, (তাহাঁর) প্রশংসাকারী।(আঃপ্রঃ- ৫৫৩৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৩০)

৭৭/১০৩. অধ্যায়ঃ চিৎ হয়ে শয়ন করা এবং এক পা অন্য পায়ের উপর রাখা।

৫৯৬৯

আব্বাদ ইবনু তামীম এর চাচা (আবদুল্লাহ ইবনু যায়দ) (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

যে, তিনি নাবী (সাঃআঃ) -কে মাসজিদের ভিতর চিৎ হয়ে শয়ন করিতে দেখেছেন যখন তাহাঁর এক পা অন্য পায়ের উপর উঠানো ছিল।(আঃপ্রঃ- ৫৫৩৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৩১)

Comments

Leave a Reply