স্বামী স্ত্রীর কর্তব্য, সদ্ব্যবহার, ওসীয়ত, নাসীহাত, অধিকার ইত্যাদি
স্বামী স্ত্রীর কর্তব্য, সদ্ব্যবহার, ওসীয়ত, নাসীহাত, অধিকার ইত্যাদি >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন
পর্বঃ ৬৭, বিয়ে শাদী, অধ্যায়ঃ (৮০-৯৬)=১৭টি
৬৭/৮০. অধ্যায়ঃ নারীদের প্রতি সদ্ব্যবহার ।
৬৭/৮১. অধ্যায়ঃ নারীদের প্রতি সদ্ব্যবহারের ওসীয়ত।
৬৭/৮২. অধ্যায়ঃ আল্লাহ তায়ালা বলেন, “তোমরা নিজেকে এবং তোমাদের পরিবারবর্গকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচাও।” (সুরা আত-তাহরীমঃ ৬)
৬৭/৮৩. অধ্যায়ঃপরিবার-পরিজনের সঙ্গে উত্তম ব্যবহার।
৬৭/৮৪. অধ্যায়ঃ কোন ব্যক্তির নিজ কন্যাকে তার স্বামী সম্পর্কে নাসীহাত দান করা।
৬৭/৮৫. অধ্যায়ঃ স্বামীর অনুমতি নিয়ে স্ত্রীদের নফল সওম পালন করা।
৬৭/৮৬. অধ্যায়ঃ কোন মহিলা তার স্বামীর বিছানা ছেড়ে রাত কাটালে।
৬৭/৮৭. অধ্যায়ঃ কোন মহিলা স্বামীর অনুমতি ব্যতীত অন্য কাউকে স্বামীগৃহে প্রবেশ করিতে দিবে না।
৬৭/৮৮. অধ্যায়ঃ
৬৭/৮৯. অধ্যায়ঃ আল-আশীর অর্থাৎ স্বামীর প্রতি অকৃতজ্ঞ হওয়া। আল-আশীর বলিতে সাথী-সঙ্গী বা বন্ধুকে বোঝায়। এ শব্দ মুআশারা থেকে গৃহীত।
৬৭/৯০. অধ্যয়ঃ তোমার স্ত্রীর তোমার ওপর অধিকার আছে।
৬৭/৯১. অধ্যয়ঃ স্ত্রী স্বামীগৃহের রক্ষক।
৬৭/৯২. অধ্যায়ঃ পুরুষগণ নারীদের উপর কর্তৃত্বশীল এ কারণে যে, আল্লাহ তাদের এককে অন্যের উপর মর্যাদা প্রদান করিয়াছেন……… নিশ্চয় আল্লাহ সর্বোচ্চ, সর্বশ্রেষ্ঠ। (সুরা আন-নিসা ৪/৩৪)
৬৭/৯৩. অধ্যয়ঃ নাবী (সাঃআঃ) – এর আপন স্ত্রীদের সঙ্গে আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত এবং তাদের কক্ষের বাইরে অন্য কক্ষে অবস্থানের ঘটনা।
৬৭/৯৪. অধ্যায়ঃ স্ত্রীদের প্রহার করা নিন্দনীয় কাজ এবং আল্লাহ তাআলা বলেনঃ (প্রয়োজনে) “তাদেরকে মৃদু প্রহার কর।” (সুরা আন-নিসাঃ ৪/৩৪)
৬৭/৯৫. অধ্যায়ঃ অবৈধ কাজে স্ত্রী স্বামীর আনুগত্য করিবে না।
৬৭/৯৬. অধ্যায়ঃ এবং যদি কোন নারী স্বীয় স্বামী হইতে রূঢ়তা কিংবা উপেক্ষার আশঙ্কা করে। (সুরা আন-নিসা ৪/১২৮)
৬৭/৮০. অধ্যায়ঃ নারীদের প্রতি সদ্ব্যবহার ।
আর নাবী (সাঃআঃ) এর বানী, নারীরা পাজঁরের হাড়ের মত।
৫১৮৪
আবু হুরায়রা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেন, নারীরা হচ্ছে পাঁজরের হাড়ের ন্যায়। যদি একেবারে সোজা করিতে চাও, তাহলে ভেঙ্গে যাবে। সুতরাং, যদি তোমরা তাদের থেকে উপকার লাভ করিতে চাও, তাহলে ঐ বাঁকা অবস্থাতেই লাভ করিতে হইবে।[১৭] [৩৩৩১; মুসলিম ১৭/১৭, হাদীস ১৪৬৮](আঃপ্রঃ- ৪৮০৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮০৬)
[১৭] এ প্রসঙ্গে রাসুল (সাঃআঃ) এর একটি হাদীস উল্লেখ করা হচ্ছে। এ হাদীসে তিনি স্ত্রীলোকদের প্রকৃতিগত এক মৌলিক দুর্বলতার প্রতি বিশেষ খেয়াল রেখে চলার জন্যে স্বামীদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন। রাসুল (সাঃআঃ) বলেছেন – মেয়েলোক সাধারণত স্বামীদের অকৃতজ্ঞ হয়ে থাকে এবং তাদের অনুগ্রহকে অস্বীকার করে। তুমি যদি জীবন ভরেও কোন স্ত্রীর প্রতি অনুগ্রহ প্রদর্শন কর আর কোন এক সময় যদি সে তার মর্জি মেজাজের বিপরীত কোন ব্যবহার তোমার মাঝে দেখিতে পায় তাহলে তখনি বলে উঠবে- আমি তোমার কাছে কোনদিনই সামান্য কল্যাণ দেখিতে পাইনি- বুখারী। রাসুল (সাঃআঃ) – এর এ কথা থেকে একদিকে যেমন নারীদের মৌলিক প্রকৃতিগত দোষের কথা জানা গেল। তেমনি এ হাদীস স্বামীদের জন্যে এক বিশেষ সাবধান বাণী। স্বামীরা যদি নারীদের এ প্রকৃতিগত দোষের কথা স্মরণ না রাখে, তাহলে পারিবারিক জীবনে অতি তাড়াতাড়ি ভাঙ্গন ও বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। এ জন্য পুরুষদের অবিচল নিষ্ঠা ও অপরিসীম ধৈয্য ধারণের প্রয়োজন রহিয়াছে এবং এ ধরনের নাজুক পরিস্থিতিতে ধৈয্য ধারণ করে পারিবারিক জীবনের মাধুর্য ও মিলমিশকে অক্ষুণ্ন রাখতে পুরুষদেরকেই প্রধান ভূমিকা রাখতে হইবে।
৬৭/৮১. অধ্যায়ঃ নারীদের প্রতি সদ্ব্যবহারের ওসীয়ত।
৫১৮৫
আবু হুরায়রা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
নাবী (সাঃআঃ) বলেন, যে আল্লাহ এবং আখিরাতের ওপর বিশ্বাস রাখে, সে যেন প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেয়।(আঃপ্রঃ- ৪৮০৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮০৭)
৫১৮৬
বর্ণনাকারী হইতে বর্ণিতঃ
আর তোমরা নারীদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করিবে। কেননা, তাদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছে পাঁজরার হাড় থেকে এবং সবচেয়ে বাঁকা হচ্ছে পাঁজরার ওপরের হাড়। যদি তা সোজা করিতে যাও, তাহলে ভেঙ্গে যাবে। আর যদি তা যেভাবে আছে সেভাবে রেখে দাও তাহলে বাঁকাই থাকবে। অতএব, তোমাদেরকে ওসীয়ত করা হলো নারীদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করার জন্য।(আঃপ্রঃ- ৪৮০৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮০৭)
৫১৮৭
ইবনু উমার [রাঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা নাবী (সাঃআঃ) – এর সময় আমাদের স্ত্রীদের সঙ্গে কথা-বার্তা ও হাসি-তামাশা করা থেকে দূরে থাকতাম এই ভয়ে যে, এ বিষয়ে আমাদেরকে সতর্ক করে কোন ওয়াহী অবতীর্ণ হয়ে যায় নাকি। নাবী (সাঃআঃ)-এর ইন্তিকালের পর আমরা তাদের সঙ্গে নির্ভয়ে কথাবার্তা বলতাম ও হাসি-তামশা করতাম।(আঃপ্রঃ- ৪৮০৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮০৮)
৬৭/৮২. অধ্যায়ঃ আল্লাহ তায়ালা বলেন, “তোমরা নিজেকে এবং তোমাদের পরিবারবর্গকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচাও।” (সুরা আত-তাহরীমঃ ৬)
৫১৮৮
আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
নাবী (সাঃআঃ) বলেছেন, তোমরা প্রত্যেকেই রক্ষক এবং তোমরা প্রত্যেকেই জিজ্ঞাসিত হইবে। একজন শাসক সে তার অধীনস্থদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হইবে। একজন পরুষ তার পরিবারের রক্ষক, সে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হইবে। একজন স্ত্রী তার স্বামীর গৃহের রক্ষক, সে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হইবে। একজন গোলাম তার মনিবের সম্পদের রক্ষক, সে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হইবে। অতএব সাবধান, তোমরা প্রত্যেকেই রক্ষক এবং তোমরা প্রত্যেকেই জিজ্ঞাসিত হইবে।(আঃপ্রঃ- ৪৮০৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮০৯)
৬৭/৮৩. অধ্যায়ঃপরিবার-পরিজনের সঙ্গে উত্তম ব্যবহার।
৫১৮৯
আয়িশা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ১১ জন মহিলা এক স্থানে একত্রিত বসল এবং সকলে মিলে এ কথার ওপর একমত হল যে, তারা নিজেদের স্বামীর ব্যাপারে কোন কিছুই গোপন রাখবে না।
প্রথম মহিলা বলিল, আমার স্বামী হচ্ছে অত্যন্ত হাল্কা-পাতলা দুর্বল উঠের গোশতের মত যেন কোন পর্বতের চুড়ায় রাখা হয়েছে এবং সেখানে উঠা সহজ কাজ নয় এবং গোশতের মধ্যে এত চর্বিও নেই, যে কারণে সেখানে উঠার জন্য কেউ কষ্ট স্বীকার করিবে।
দ্বিতীয় জন বলিল, আমি আমার স্বামী সম্পর্কে কিছু বলব না, কারণ আমি ভয় করছি যে, তার সম্পর্কে বলিতে গিয়ে শেষ করা যাবে না। কেননা, যদি আমি তার সম্পর্কে বলিতে যাই, তা হলে আমাকে তার সকল দুর্বলতা এবং মন্দ দিকগুলো সম্পর্কেও বলিতে হইবে।
তৃতীয় মহিলা বলিল, আমার স্বামী একজন দীর্ঘদেহী ব্যক্তি। আমি যদি তার বর্ণনা দেই (আর সে যদি তা শোনে) তাহলে সে আমাকে ত্বলাক্ব দিবে। আর যদি আমি কিছু না বলি, তাহলে সে আমাকে ঝুলন্ত অবস্থায় রাখবে। অর্থাৎ ত্বলাক্বও দেবে না, স্ত্রী মত ব্যবহারও করিবে না।
চতুর্থ মহিলা বলিল, আমার স্বামী হচ্ছে তিহামার রাতের মত মাঝামাঝি অতি গরমও না, অতি ঠান্ডাও না, আর আমি তাকে ভয়ও করি না, আবার তার প্রতি অসন্তুষ্টও নই।
পঞ্চম মহিলা বলিল, যখন আমার স্বামী ঘরে ঢুকে তখন চিতা বাঘের মত থাকে। যখন বাইরে যায় তখন সিংহের মত তার স্বভাব থাকে এবং ঘরের কোন কাজের ব্যাপারে কোন প্রশ্ন তোলে না।
৬ষ্ঠ মহিলা বলিল, আমার স্বামী যখন খেতে বসে, তখন সব খেয়ে ফেলে। যখন পান করে, তখন সব শেষ করে। যখন নিদ্রা যায়, তখন একাই চাদর বা কাঁথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকে। এমনকি হাত বের করেও আমার খবর নেয়া না।
সপ্তম মহিলা বলিল, আমার স্বামী হচ্ছে পথভ্রষ্ট অথবা দুর্বল মানসিকতা সম্পন্ন এবং চরম বোকা, সব রকমের দোষ তার আছে। সে তোমার মাথায় বা শরীরে অথবা উভয় স্থানে আঘাত করিতে পারে।
অষ্টম মহিলা বলিল, আমার স্বামীর স্পর্শ হচ্ছে খরগোশের মত এবং তার দেহের সুগন্ধ হচ্ছে যারনাব (এক প্রকার বনফুল)- এর মত।
নবম মহিলা বলিল, আমার স্বামী হচ্ছে অতি উচ্চ অট্টালিকার মত এবং তার তরবারি ঝুলিয়ে রাখার জন্য সে চামড়ার লম্বা ফালি পরিধান করে (অর্থাৎ সে দানশীল ও সাহসী)। তার ছাইভষ্ম প্রচুর পরিমাণের (অর্থাৎ প্রচুর মেহমান আছে এবং মেহমাহদারীও হয়) এবং মানুষের জন্য তার গৃহ অবারিত। এলাকার জনগণ তার সঙ্গে সহজেই পরামর্শ করিতে পারে।
দশম মহিলা বলিল, আমার স্বামীর নাম হল মালিক। মালিকের কী প্রশ্নংসা আমি করব। যা প্রশ্নংসা করব সে তার চেয়ে ঊর্ধ্বে। তার অনেক মঙ্গলময় উট আছে, তার অধিকাংশ উটকেই ঘরে রাখা হয় (অর্থাৎ মেহমানদের যবাই করে খাওয়ানোর জন্য) এবং অল্প সংখ্যক মাঠে চরার জন্য রাখা হয়। বাঁশির শব্দ শুনলেই উটগুলো বুঝতে পারে যে, তাদেরকে মেহমাদের জন্য যবাই করা হইবে।
একাদশতম মহিলা বলিল, আমার স্বামী আবু যারআ। তার কথা আমি কী বলব। সে আমাকে এত অধিক গহনা দিয়েছে যে, আমার কান ভারী হয়ে গেছে, আমার বাজুতে মেদ জমেছে এবং আমি এত সন্তুষ্ট হয়েছি যে, আমি নিজেকে গর্বিত মনে করি। সে আমাকে এনেছে অত্যন্ত গরীব পরিবার থেকে, যে পরিবার ছিল মাত্র কয়েকটি বকরীর মালিক। সে আমাকে অত্যন্ত ধনী পরিবারে নিয়ে আসে, যেখানে ঘোড়ার হ্রেষাধ্বনি এবং উটের হাওদার আওয়াজ এবং শস্য মাড়াইইয়ের খসখসানি শব্দ শোনা যায়। সে আমাকে ধন-সম্পদের মধ্যে রেখেছে। আমি যা কিছু বলতাম, সে বিদ্রূপ করত না এবং আমি নিদ্রা যেতাম এবং সকালে দেরী করে উঠতাম এবং যখন আমি পান করতাম, অত্যন্ত তৃপ্তি সহকারে পান করতাম। আর আবু যারআর আম্মার কথা কী বলব! তার পাত্র ছিল সর্বদা পরিপূর্ণ এবং তার ঘর ছিল প্রশস্ত। আবু জারআর পুত্রের কথা কী বলব! সেও খুব ভাল ছিল। তার শয্যা এত সংকীর্ণ ছিল যে, মনে হত যেন কোষবদ্ধ তরবারি অর্থাৎ সে অত্যন্ত হালকা-পাতলা দেহের অধিকারী। তার খাদ্য হচ্ছে ছাগলের একখানা পা। আর আবু যারআর কন্যা সম্পর্কে বলিতে হয় যে, সে কতই না ভাল। সে বাপ-মায়ের সস্পূর্ণ বাধ্য সন্তান। সে অত্যন্ত সুস্বাস্থ্যের অধিকারিনী, যে কারণে সতীনরা তাকে হিংসা করে। আবু যারআর ক্রীতদাসীরাও অনেক গুন। সে আমাদের গোপন কথা কখনো প্রকাশ করত না, সে আমাদের সম্পদকে কমাত না এবং আমাদের বাসস্থানকে আবর্জনা দিয়ে ভরে রাখত না। সে মহিলা আরও বলিল, একদিন দুধ দোহান করার সময় আবু যারআ বাইরে বেরিয়ে এমন একজন মহিলাকে দেখিতে পেল, যার দুটি পুত্র-সন্তান রহিয়াছে। ওরা মায়ের স্তন্য নিয়ে চিতা বাঘের মত খেলছিল (দুধ পান করছিল)। সে ঐ মহিলাকে দেখে আকৃষ্ট হল এবং আমাকে ত্বলাক্ব দিয়ে তাকে বিয়ে করিল। এরপর আমি এক সম্মানিত ব্যক্তিকে বিয়ে করলাম। সে দ্রুতগামী ঘোড়ায় চড়ত এবং হাতে বর্শা রাখত। সে আমাকে অনেক সম্পদ দিয়েছে এবং প্রত্যেক প্রকারের গৃহপালিত জন্তু থেকে এক এক জোড়া আমাকে দিয়েছে এবং বলেছে, হে উম্মু যারআ! তুমি এ সম্পদ থেকে খাও, পরিধান কর এবং উপহার দাও। মহিলা আরও বলিল, সে আমাকে যা কিছু দিয়েছে, তা আবু যারআর একটি ক্ষুদ্র পাত্রও পূর্ণ করিতে পারবে না (অর্থাৎ আবু যারআর সম্পদের তুলনায় তা খুবই সামান্য ছিল)। আয়িশা (রাদি.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) আমাকে বলবেন, “আবু যারআ তার স্ত্রী উম্মু যারআর জন্য যেমন আমিও তোমরা প্রতি তেমন (তবে আমি কক্ষনো তোমাকে ত্বলাক্ব দিব না)”। [মুসলিম ৪৪/১৪, হাদীস ২৪৪৮] (আঃপ্রঃ- ৪৮০৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮১০)
৫১৯০
উরওয়া, আয়িশা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
একদিন হাবশীরা তাদের বর্শা নিয়ে খেলা করছিল। রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) আমাকে নিয়ে পর্দা করে তার পেছনে দাঁড় করিয়ে ছিলেন এবং আমি সেই খেলা দেখছিলাম। যতক্ষণ আমার ভাল লাগছিল ততক্ষণ আমি দেখছিলাম। এরপর আমি স্বেচ্ছায় সে স্থান ত্যাগ করলাম। সুতরাং তোমরা অনুমান করিতে পার কোন বয়সের মেয়েরা আমদ-প্রমোদ পছন্দ করে।(আঃপ্রঃ- ৪৮০৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮১১)
৬৭/৮৪. অধ্যায়ঃ কোন ব্যক্তির নিজ কন্যাকে তার স্বামী সম্পর্কে নাসীহাত দান করা।
৫১৯১
আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি বহুদিন ধরে উৎসুক ছিলাম যে, আমি উমার ইবনু খাত্তাব (রাদি.) – এর নিকট জিজ্ঞেস করব, রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) – এর স্ত্রীগণের মধ্যে কোন দুজনের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা এ আয়াত অবতীর্ণ করেছেনঃ “তোমরা দুজন যদি অনুশোচনারভরে আল্লাহর দিকে ফিরে আস (তবে তা তোমাদের জন্য উত্তম), তোমাদের অন্তর (অন্যায়ের দিকে) ঝুঁকে পড়েছে।” (সুরা আত-তাহরীম ৬৬: ৪) এরপর একবার তিনি [উমার(রাদি.)] হাজ্জের জন্য রওয়ানা হলেন এবং আমিও তাহাঁর সঙ্গে হাজ্জে গেলাম। (ফিরে আসার পথে) তিনি ইস্তিনজার জন্য রাস্তা থেকে সরে গেলেন। আমি পানি পূর্ণ পাত্র হাতে তাহাঁর সঙ্গে গেলাম। তিনি ইস্তিনজা করে ফিরে এলে আমি ওযূর পানি তাহাঁর হাতে ঢেলে দিতে লাগলাম। তিনি যখন ওযূ করছিলেন, তখন আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, হে আমীরুল মুমুনীন! নাবী (সাঃআঃ) – এর সহধর্মিণীগণের মধ্যে কোন দুজন, যাদের সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেছেনঃ “তোমরা দুজন যদি আল্লাহর কাছে তাওবাহ কর (তবে তোমাদের জন্য উত্তম), কেননা তোমাদের মন সঠিক পথ থেকে সরে গেছে।” জবাবে তিনি বলেন, হে ইবনু আব্বাস! আমি তোমরা প্রশ্ন শুনে অবাক হচ্ছি। তাঁরা দুজন তো আয়িশাহ (রাদি.) ও হাফসা (রাদি.)। এরপর উমার (রাদি.) এ ঘটনাটি বর্ণনা করিলেন, “আমি এবং আমার একজন আনসারী প্রতিবেশী যিনি উমাইয়াহ ইবনু যায়দ গোত্রের লোক এবং তাহাঁর মদীনার উপকন্ঠে বসবাস করত। আমরা রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) এর সঙ্গে পালাক্রমে সাক্ষাৎ করতাম। সে একদিন নাবী (সাঃআঃ) – এর দরবারে যেত, আমি আর একদিন যেতাম। যখন আমি দরবারে যেতাম, ঐ দিন দরবারে ওয়াহী অবতীর্ণসহ যা ঘটত সবকিছুর খবর আমি তাকে দিতাম এবং সেও তেমনি খবর আমাকে দিত। আমরা কুরাইশরা নিজেদের স্ত্রীগণের ওপর প্রাধান্য বিস্তার করে রেখেছিলাম। কিন্তু আমরা যখন আনসারদের মধ্যে এলাম, তখন দেখিতে পেলাম, তাদের স্ত্রীগণ তাদের ওপর প্রভাব বিস্তার করে আছে এবং তাদের ওপর কর্তৃত্ব করে চলেছে। সুতরাং আমাদের স্ত্রীরাও তাদের দেখাদেখি সেরূপ ব্যবহার করিতে লাগল। একদিন আমি আমার স্ত্রীর প্রতি নারাজ হলাম এবং তাকে উচ্চৈঃস্বরে কিছু বললাম, সেও প্রতি-উত্তর দিল। আমার কাছে এ রকম প্রতি-উত্তর দেয়াটা অপছন্দ হল। সে বলিল, আমি আপনার কথার পাল্টা উত্তর দিচ্ছি এতে অবাক হচ্ছেন কেন? আল্লাহর কসম, নাবী (সাঃআঃ) – এর স্ত্রীগণ তাহাঁর কথার মুখে মুখে পাল্টা উত্তর দিয়ে থাকেন এবং তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ আবার একদিন এক রাত পর্যন্ত কথা না বলে কাটান। [উমার (রাদি.) বলেন], এ কথা শুনে আমি ঘাবড়ে গেলাম এবং আমি বললাম, তাদের মধ্যে যারা এরূপ করেছে, তারা ক্ষতিগ্রস্ত হইবে। এরপর আমি আমার কাপড় পরলাম এবং আমার কন্যা হাফসার ঘরে প্রবেশ করলাম এবং বললামঃ হাফ্সা! তোমাদের মধ্য থেকে কারো প্রতি রাসুল (সাঃআঃ) কি সারা দিন রাত পর্যন্ত অসন্তুষ্ট থাকেননি? সে উত্তর করিল, হ্যাঁ। আমি বললাম, তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তোমরা কি এ ব্যাপারে ভীতি হচ্ছো না যে, রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) – এর অসন্তুষ্টির কারণে আল্লাহ অসন্তুষ্ট হয়ে যাবেন? পরিণামে তোমরা ধবংসের মধ্যে পড়ে যাবে। সুতারাং তুমি নাবী (সাঃআঃ) – এর কাছে অতিরিক্ত কোন জিনিস দাবি করিবে না এবং তাহাঁর কথার প্রতি-উত্তর করিবে না এবং তাহাঁর সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করিবে না। তোমার যদি কোন কিছুর প্রয়োজন হয়, তবে আমার কাছে চেয়ে নেবে। আর তোমার সতীন তোমার চেয়ে অধিক রূপবতী এবং রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) – এর অধিক প্রিয় – তা যেন তোমাকে বিভ্রান্ত না করে। এখানে সতীন বলিতে আয়িশা (রাদি.) – কে বোঝানো হয়েছে। উমার (রাদি.) আরো বলেন, এ সময় আমাদের মধ্যে এ কথা ছড়িয়ে পড়েছিল যে, গাস্সানের শাসনকর্তা আমাদের ওপর আক্রমণ চালাবার উদ্দেশে তাদের ঘোড়াগুলোকে প্রস্তুত করছে। আমার প্রতিবেশী আনসার তার পালার দিন রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) – এর খিদমাত থেকে রাতে ফিরে এসে আমার দরজায় খুব জোরে করঘাত করিল এবং জিজ্ঞেস করিল, আমি ঘরে আছি কিনা? আমি শংকিত অবস্থায় বেরিয়ে এলাম। সে বলিল, আজ এক বিরাট ঘটনা ঘটে গেছে। আমি বললাম, সেটা কী? গ্যাস্সানিরা কি এসে গেছে? সে বলিল, না তাহাঁর চেয়েও বড় ঘটনা এবং তা ভয়ংকর। রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) তাহাঁর সহধর্মিণীগণকে ত্বলাক্ব দিয়েছেন। আমি বললাম, হাফ্সা তো ধ্বংস হয়ে গেল, ব্যর্থ হলো। আমি আগেই ধারণা করেছিলাম, খুব শিগগিরই এ রকম কিছু ঘটবে। এরপর আমি পোশাক পরলাম এবং ফাজ্রের সলাত নাবী (সাঃআঃ) – এর সঙ্গে আদায় করলাম। নাবী (সাঃআঃ) ওপরের কামরায় (মাশরুবা) একাকী আরোহন করিলেন, আমি তখন হাফ্সার কাছে গেলাম এবং তাকে কাঁদতে দেখলাম। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, কাঁদছ কেন? আমি কি তোমাকে এ ব্যাপারে আগেই সতর্ক করে দেইনি? নাবী (সাঃআঃ) কি তোমাদের সকলকে ত্বলাক্ব দিয়েছেন? সে বলিল আমি জানি না। তিনি ওখানে ওপরের কামরায় একাকী রহিয়াছেন। আমি সেখান থেকে বেরিয়ে মিম্বারের কাছে বসলাম। সেখানে কিছু সংখ্যক লোক বসা ছিল এবং তাদের মধ্যে অনেকেই কাঁদছিল। আমি তাদের কাছে কিছুক্ষণ বসলাম, কিন্তু আমার প্রাণ এ অবস্থা সহ্য করিতে পারছিল না। সুতরাং যে ওপরের কামরায় নাবী (সাঃআঃ) অবস্থান করছিলেন আমি সেই ওপরের কামরায় গেলাম এবং তাহাঁর হাবশী কালো খাদিমকে বললাম, তুমি কি উমারের জন্য নাবী (সাঃআঃ) – এর কাছে যাবার অনুমতি এনে দেবে? খাদিমটি গেল এবং নাবী (সাঃআঃ) – এর সঙ্গে কথা বলিল। ফিরে এসে উত্তর করিল, আমি নাবী (সাঃআঃ) – এর কাছে আপনার কথা বলেছি, কিন্তু তিনি নিরুত্তর আছেন। তখন আমি ফিরে এলাম এবং যেখানে লোকজন বসা ছিল সেখানে বসলাম। কিন্তু এ অবস্থা আমার কাছে অসহ্য লাগছিল। তাই আবার এসে খাদেমকে বললাম, তুমি কি উমারের জন্য অনুমতি এনে দিবে? সে গেল এবং ফিরে এসে বলিল, আমি নাবী (সাঃআঃ) – এর কাছে আপনার কথা বলেছি কিন্তু তিনি নিরুত্তর ছিলেন। তখন আমি আবার ফিরে এসে মিম্বরের কাছে ঐ লোকজনের সঙ্গে বসলাম। কিন্তু এ অবস্থা আমার আকছে অসহ্য লাগছিল। পুনরায় আমি খাদেমের কাছে গেলাম এবং বললাম, তুমি কি উমারের জন্য অনুমতি এনে দিবে? সে গেল এবং আমাকে উদ্দেশ্য করে বলিতে লাগল, আমি আপনার কথা উল্লেখ করলাম; কিন্তু তিনি নিরুত্তর আছেন। যখন আমি ফিরে যাবার উদ্যোগ নিয়েছি, এমন সময় খাদিমটি আমাকে ডেকে বলিল, নাবী (সাঃআঃ) আপনাকে অনুমতি দিয়েছেন। এরপর আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) – এর নিকট প্রবেশ করে দেখলাম, তিনি খেজুরের চাটাইর ওপর চাদরবিহীন অবস্থায় খেজুরের পাতা ভর্তি একটি বালিশে ভর দিয়ে শুয়ে আছেন। তাহাঁর শরীরে পরিস্কার চাটাইয়ের চিহ্ন দেখা যাচ্ছে। আমি তাঁকে সালাম করলাম এবং দাঁড়ানো অবস্থাতেই জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! আপনি কি আপনার স্ত্রীগণকে ত্বলাক দিয়েছেন? তিনি আমার দিকে চোখ ফিরিয়ে বলিলেন, না (অর্থাৎ ত্বলাক দেইনি)। আমি বললাম, আল্লাহু আকবার। এরপর কথাবার্তা হালকা করার উদ্দেশ্যে দাঁড়িয়ে থেকেই বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আপনি যদি শোনেন তাহলে বলিঃ আমরা কুরাইশগণ, মহিলাদের উপর আমাদের প্রতিপত্তি খাটাতাম; কিন্তু আমরা মদীনায় এসে দেখলাম, এখানকার পুরুষদের উপর নারীদের প্রভাব-প্রতিপত্তি বিদ্যমান। এ কথা শুনে নাবী (সাঃআঃ) মুচকি হাসলেন। তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! যদি আপনি আমার কথার দিকে একটু নজর দেন। আমি হাফ্সার কাছে গেলাম এবং আমি তাকে বললাম, তোমার সতীনের রূপবতী হওয়া ও রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) – এর প্রিয় পাত্রী হওয়া তোমাকে যেন ধোঁকায় না ফেলে। এর দ্বারা আয়িশা (রাদি.) – এর প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। নাবী (সাঃআঃ) আবার মুচকি হাসলেন। আমি তাঁকে হাসতে দেখে বসে পড়লাম। এরপর আমি তাহাঁর ঘরের চারদিকে তাকিয়ে দেখলাম। আল্লাহর কসম! কেবল তিনটি চামড়া ব্যতীত আর আমি তাহাঁর ঘরে উল্লেখ করার মত কিছুই দেখিতে পেলাম না। তারপর আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! দুআ করুন, আল্লাহ তাআলা যাতে আপনার উম্মাতদের সচ্ছলতা দান করেন। কেননা, পারসিক ও রোমানদের প্রাচুর্য দান করা হয়েছে এবং তাদের দুনিয়ার আরাম প্রচুর পরিমাণে দান করা হয়েছে; অথচ তারা আল্লাহর ইবাদাত করে না। এ কথা শুনে হেলান দেয়া অবস্থা থেকে নাবী (সাঃআঃ) সোজা হয়ে বসে বলিলেন, হে খাত্তাবের পুত্র! তুমি কি এখনো এ ধারণা পোষণ করছ? ওরা ঐ লোক, যারা উত্তম কাজের প্রতিদান এ দুনিয়ায় পাচ্ছে! আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল, আমার ক্ষমার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করুন। হাফ্সা (রাদি.) কর্তৃক আয়িশা (রাদি.) – এর কাছে কথা ফাঁস করে দেয়ার কারণে নাবী (সাঃআঃ) ঊনত্রিশ দিন তাহাঁর স্ত্রীগণ থেকে আলাদা থাকেন। নাবী (সাঃআঃ) বলেছিলেন, আমি এক মাসের মধ্যে তাদের কাছে যাব না তাদের প্রতি গোস্বার কারণে। তখন আল্লাহ তাআলা তাঁকে মৃদু ভর্ৎসনা করেন। সুতরাং যখন ঊনত্রিশ দিন হয়ে গেল, নাবী (সাঃআঃ) সর্বপ্রথম আয়িশা (রাদি.)-এর কাছে গেলেন এবং তাঁকে দিয়েই শুরু করিলেন। আয়িশা (রাদি.) তাঁকে বলিলেন, হে আল্লাহর রাসুল! আপনি কসম করিয়াছেন যে, একমাসের মধ্যে আমাদের কাছে আসবেন না; কিন্তু এখন তো ঊনত্রিশ দিনেই এসে গেলেন। আমি প্রতিটি দিন এক এক করে হিসাব করে রেখেছি। নাবী (সাঃআঃ) বলিলেন, ঊনত্রিশ দিনেও একমাস হয়। নাবী (সাঃআঃ) বলিলেন, এ মাস ২৯ দিনের। আয়িশা (রাদি.) আরও বলেন, ঐ সময় আল্লাহ তাআলা ইখতিয়ারের আয়াত অবতীর্ণ করেন [১৮] এবং তিনি তাহাঁর স্ত্রীগণের মধ্যে আমাদে দিয়েই শুরু করেন এবং আমি তাঁকেই গ্রহণ করি। এরপর তিনি অন্য স্ত্রীগণের অভিমত চাইলেন। সকলেই তাই বলিল, যা আয়িশা (রাদি.) বলেছিলেন।(আঃপ্রঃ- ৪৮০৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮১২)
[১৮] সুরা আহযাবের ২৮নং আয়াত অবতীর্ণ হল। যাতে নাবী (সাঃআঃ) – এর বিবিগণকে দুনিয়া বা আখিরাত – এ দুটোর যে কোন একটিকে বেছে নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
৬৭/৮৫. অধ্যায়ঃ স্বামীর অনুমতি নিয়ে স্ত্রীদের নফল সওম পালন করা।
৫১৯২
আবু হুরায়রা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) ইরশাদ করিয়াছেন, কোন স্ত্রী স্বামীর উপস্থিতিতে তাহাঁর অনুমতি ব্যতীত নফল সওম রাখবে না।(আঃপ্রঃ- ৪৮১০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮১৩)
৬৭/৮৬. অধ্যায়ঃ কোন মহিলা তার স্বামীর বিছানা ছেড়ে রাত কাটালে।
৫১৯৩
আবু হুরায়রা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
নাবী (সাঃআঃ) বলেছেন, যদি কোন পুরুষ তার স্ত্রীকে তার সঙ্গে একই বিছানায় শোয়ার জন্য ডাকে, আর সে আসতে অস্বীকার করে, তাহলে সকাল পর্যন্ত ফেরেশতাগণ ঐ মহিলার উপর লানত বর্ষণ করিতে থাকে।(আঃপ্রঃ- ৪৮১১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮১৪)
৫১৯৪
আবু হুরায়রা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
নাবী (সাঃআঃ) বলেন, যদি কোন স্ত্রী তার স্বামীর শয্যা ছেড়ে অন্যত্র রাত্রি যাপন করে তাহলে যতক্ষণ না সে তার স্বামীর শয্যায় ফিরে আসে, ততক্ষন ফেরেশতাগণ তার উপর লানত বর্ষণ করিতে থাকে।(আঃপ্রঃ- ৪৮১২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮১৫)
৬৭/৮৭. অধ্যায়ঃ কোন মহিলা স্বামীর অনুমতি ব্যতীত অন্য কাউকে স্বামীগৃহে প্রবেশ করিতে দিবে না।
৫১৯৫
আবু হুরায়রা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেন, যখন স্বামী উপস্থিত থাকবে, তখন স্বামীর অনুমতি ব্যতীত মহিলার জন্য সওম পালন বৈধ নয় এবং স্বামীর অনুমতি ব্যতীত অন্য কাউকে তার গৃহে প্রবেশ করিতে দেবে না। যদি কোন স্ত্রী স্বামীর নির্দেশ ব্যতীত তার সম্পদ থেকে খরচ করে, তাহলে স্বামী তার অর্ধেক সওয়াব পাবে। [২০৬৬]
হাদীসটি সিয়াম অধ্যায়ে আবুয্যানাদ মূসা থেকে, তিনি নিজ পিতা থেকে এবং তিনি আবু হুরায়রা (রাদি.) থেকে বর্ণনা করেন। (আঃপ্রঃ- ৪৮১৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮১৬)
৬৭/৮৮. অধ্যায়ঃ
৫১৯৬
উসামাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
নাবী (সাঃআঃ) বলেছেন, আমি জান্নাতের দরজায় দাঁড়িয়ে দেখিতে পেলাম, যারা জান্নাতে প্রবেশ করেছে তাদের অধিকাংশই গরীব-মিসকীন; অথচ ধনবানগণ আটকা পড়ে আছে। অন্যদিকে জাহান্নামীদের জাহান্নামে নিক্ষেপ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আমি জাহান্নামের প্রবেশ দ্বারে দাঁড়ালাম এবং দেখিতে পেলাম যে, অধিকাংশই নারী। [৬৫৪৭; মুসলিম ২৬/হাদীস ২৭৩৬, আহমাদ ২১৮৮৪] (আঃপ্রঃ- ৪৮১৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮১৭)
৬৭/৮৯. অধ্যায়ঃ আল-আশীর অর্থাৎ স্বামীর প্রতি অকৃতজ্ঞ হওয়া। আল-আশীর বলিতে সাথী-সঙ্গী বা বন্ধুকে বোঝায়। এ শব্দ মুআশারা থেকে গৃহীত।
এ প্রসঙ্গে আবু সাঈদ (রাদি.) রসূলূল্লাহ (সাঃআঃ) থেকে হাদীস বর্ণনা করেন
৫১৯৭
আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) – এর জীবদ্দশায় একদিন সূর্য গ্রহণ আরম্ভ হলো। রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) সলাতুল খুসুফ বা সূর্যগ্রহণের সালাত পড়লেন এবং লোকেরাও তাহাঁর সঙ্গে অংশগ্রহণ করিল। তিনি এত দীর্ঘক্ষণ কিয়াম করিলেন, যাতে সুরা বাকারাহর পরিমাণ কুরআন পাঠ করা যায়। এরপর তিনি দীর্ঘক্ষণ রুকূ করিলেন এবং মাথা তুলে দাঁড়িয়ে থাকলেন; এটা প্রথম কিয়ামের চেয়ে কম সময়ের ছিল। তারপর কুরআন তিলাওয়াত করিলেন, পুনরায় দীর্ঘক্ষণ রুকু করিলেন। কিন্তু এবারের রুকূর পরিমাণ পূর্বের চেয়ে সংক্ষিপ্ত ছিল। এরপর তিনি দাঁড়ালেন এবং সাজদায় গেলেন। এরপর তিনি কিয়াম করিলেন, কিন্তু এবারের সময় ছিল পূর্বের কিয়ামের চেয়ে স্বল্পস্থায়ী। এরপর পুনরায় তিনি রুকুতে গেলেন, কিন্তু এবারের রুকূর সময় পূর্ববর্তী রুকূর সময়ের চেয়ে কম ছিল। এরপর পুনরায় তিনি দাঁড়ালেন। কিন্তু এবারের দাঁড়াবার সময় ছিল পূর্বের চেয়েও কম। এরপরে রুকূতে গেলেন, এবারের রুকূর সময় পূর্ববর্তী রুকূর চেয়ে কম ছিল। তারপর সাজদাহয় গেলেন এবং সলাত শেষ করিলেন। ততক্ষণে সূর্যগ্রহণ শেষ হয়ে গেছে। এরপর নাবী (সাঃআঃ) বলিলেন, চন্দ্র এবং সূর্য এ দুটি আল্লাহর নিদর্শনের অন্যতম। কারো জন্ম বা মৃত্যুর কারণে এদের গ্রহণ হয় না। তাই তোমরা যখন প্রথম গ্রহণ দেখিতে পাও, তখন আল্লাহকে স্মরণ কর। এরপর তাঁরা বলিল, হে আল্লাহর রাসুল! আমরা আপনাকে দেখিতে পেলাম যে, আপনি কিছু নেয়ার জন্য হাত বাড়িয়েছেন, এরপর আবার আপনাকে দেখিতে পেলাম যে, আপনি পিছনের দিকে সরে এলেন। নাবী (সাঃআঃ) বলিলেন, আমি জান্নাত দেখিতে পেলাম অথবা আমাকে জান্নাত দেখানো হয়েছে এবং আমি সেখান থেকে আঙ্গুরের থোকা ছিঁড়ে আনার জন্য হাত বাড়ালাম এবং তা যদি ধরতে পারতাম, তবে তোমরা তা থেকে পৃথিবীর শেষ দিন পর্যন্ত খেতে পারতে। এরপর আমি জাহান্নামের আগুন দেখিতে পেলাম। আমি এর পূর্বে কখনও এত ভয়াবহ দৃশ্য দেখিনি এবং আমি আরও দেখিতে পেলাম যে, তার অধিকাংশ অধিবাসীই নারী। লোকেরা জিজ্ঞেস করিল, হে আল্লাহর রাসুল! এর কারণ কী? তিনি বলিলেন, এটা তাদের অকৃতজ্ঞতার ফল। লোকেরা বলিল, তারা কি আল্লাহ তাআলার সঙ্গে নাফরমানী করে? তিনি বলিলেন, তারা তাদের স্বামীদের প্রতি অকৃতজ্ঞ এবং তাদের প্রতি যে অনুগ্রহ দেখানো হয়, তার জন্য তাদের শোকর নেই। তোমরা যদি সারা জীবন তাদের সঙ্গে ভাল ব্যবহার কর; কিন্তু তারা যদি কখনও তোমার দ্বারা কষ্টদায়ক কোন ব্যবহার দেখিতে পায়, তখন বলে বসে, আমি তোমার থেকে জীবনে কখনও ভাল ব্যবহার পেলাম না।(আঃপ্রঃ- ৪৮১৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮১৮)
৫১৯৮
ইমরান (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
নাবী (সাঃআঃ) বলেছেন, আমি জান্নাতের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করলাম। দেখলাম, অধিকাংশ বাসিন্দাই হচ্ছে গরীব এবং জাহান্নামের দিকে তাকিয়ে দেখি তার অধিকাংশ অধিবাসী হচ্ছে নারী। আইউব এবং সাল্ম বিন যরীর উক্ত হাদীসের সমর্থন ব্যক্ত করেন। (আঃপ্রঃ- ৪৮১৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮১৯)
৬৭/৯০. অধ্যয়ঃ তোমার স্ত্রীর তোমার ওপর অধিকার আছে।
আবু হুযাইফাহ (রাদি.) এ প্রসঙ্গে নাবী (সাঃআঃ) থেকে হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।
৫১৯৯
আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) ইরশাদ করিয়াছেন, হে আবদুল্লাহ! আমাকে কি এ খবর প্রদান করা হয়নি যে, তুমি রাতভর ইবাদতে দাঁড়িয়ে থাক এবং দিনভর সিয়াম পালন কর? আমি বললাম, হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসুল! তিনি বলিলেন, তুমি এরূপ করো না, বরং সিয়ামও পালন কর, ইফতারও কর, রাত জেগে ইবাদত কর এবং নিদ্রাও যাও। তোমার শরীরেরও তোমার ওপর হক আছে; তোমার চোখেরও তোমার উপর হক আছে এবং তোমার স্ত্রীরও তোমার ওপর হক আছে। (আঃপ্রঃ- ৪৮১৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮২০)
৬৭/৯১. অধ্যয়ঃ স্ত্রী স্বামীগৃহের রক্ষক।
৫২০০
ইবনু উমার (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
নাবী (সাঃআঃ) বলেছেন, তোমাদের প্রত্যেকেই এক একজন রক্ষক এবং তোমারা প্রত্যেকেই নিজ অধীনস্থদের ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হইবে। আমীর রক্ষক, একজন ব্যক্তি তার পরিবারের লোকদের রক্ষক, একজন নারী তার স্বামীর গৃহের ও সন্তানদের রক্ষক। এ ব্যাপারে তোমরা প্রত্যেকেই রক্ষক, আর তোমাদের প্রত্যেককেই নিজ নিজ অধীনস্থ লোকদের রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হইবে।(আঃপ্রঃ- ৪৮১৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮২১)
৬৭/৯২. অধ্যায়ঃ পুরুষগণ নারীদের উপর কর্তৃত্বশীল এ কারণে যে, আল্লাহ তাদের এককে অন্যের উপর মর্যাদা প্রদান করিয়াছেন……… নিশ্চয় আল্লাহ সর্বোচ্চ, সর্বশ্রেষ্ঠ। (সুরা আন-নিসা ৪/৩৪)
৫২০১
আনাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একবার নাবী (সাঃআঃ) শপথ করিলেন যে, এক মাসের মধ্যে তিনি স্ত্রীদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করবেন না। তিনি নিজস্ব একটি উঁচু কামরায় অবস্থান করছিলেন। ঊনত্রিশ দিন অতিবাহিত হলে তিনি সেখান থেকে নিচে নেমে এলেন। তাঁকে বলা হলো, হে আল্লাহর রাসুল! আপনি শপথ করিয়াছেন যে, এক মাসের মধ্যে কোন স্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করবেন না। তিনি বলিলেন, মাস ঊনত্রিশ দিনেও হয়।(আঃপ্রঃ- ৪৮১৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮২২)
৬৭/৯৩. অধ্যয়ঃ নাবী (সাঃআঃ) – এর আপন স্ত্রীদের সঙ্গে আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত এবং তাদের কক্ষের বাইরে অন্য কক্ষে অবস্থানের ঘটনা।
মুআবিয়াহ ইবনু হাইদাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিত। নাবী (সাঃআঃ) বলেনঃ তোমার স্ত্রী থেকে স্বতন্ত্র শয্যা গ্রহণ করলে তা একই ঘরে হওয়া উচিৎ। প্রথম হাদীসটি অধিকতর সহীহ।
৫২০২
উম্মু সালামাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন যে, নাবী (সাঃআঃ) শপথ গ্রহণ করিলেন যে, এক মাসের মধ্যে তাহাঁর কতিপয় স্ত্রীর নিকট তিনি গমন করবেন না। কিন্তু যখন ঊনত্রিশ দিন অতিবাহিত হল তখন তিনি সকালে কিংবা বিকালে তাঁদের কাছে গেলেন। কোন একজন তাঁকে বলিলেন, হে আল্লাহর রাসুল! আপনি শপথ করিয়াছেন এক মাসের মধ্যে কোন স্ত্রীর কাছে যাবেন না। তিনি বলিলেন, মাস ঊনত্রিশ দিনেও হয়। [১৯১০; মুসলিম ১৩/৪, হাদীস ১০৮৫, আহমাদ ২৬৭৪৫](আঃপ্রঃ- ৪৮২০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮২৩)
৫২০৩
ইবনু আব্বাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা একদিন প্রত্যুষে দেখিতে পেলাম নাবী (সাঃআঃ) – এর স্ত্রীগণ কাঁদছেন এবং তাঁদের প্রত্যেকের সঙ্গে পরিবারের লোকজনও রহিয়াছে। আমি মসজিদে গেলাম এবং সেখানকার অবস্থা ছিল জনাকীর্ণ। উমার ইবনু খাত্তাব (রাদি.) সেখানে এলেন এবং নাবী (সাঃআঃ) – এর উপরস্থিত কক্ষে আরোহণ করিলেন এবং সালাম করিলেন, কিন্তু নাবী (সাঃআঃ) কোন উত্তর দিলেন না। পুনরায় তিনি সালাম দিলেন; কিন্তু কোনরূপ সাড়া দিল না। আবার তিনি সালাম দিলেন; কিন্তু কেউ কোনরূপ জবাব দিল না। এরপর খাদিমকে ডাকলেন এবং তিনি ভেতরে প্রবেশ করিলেন এবং জিজ্ঞেস করিলেন, আপনি কি আপনার স্ত্রীগণকে ত্বলাক্ব দিয়েছেন? তিনি বলিলেন, না, কিন্তু আমি শপথ করেছি যে, তাদের কাছে এক মাস পর্যন্ত যাব না। নাবী (সাঃআঃ) ঊনত্রিশ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করে তাহাঁর স্ত্রীগণের কাছে গমণ করেন। (আঃপ্রঃ- ৪৮২১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮২৪)
৬৭/৯৪. অধ্যায়ঃ স্ত্রীদের প্রহার করা নিন্দনীয় কাজ এবং আল্লাহ তাআলা বলেনঃ (প্রয়োজনে) “তাদেরকে মৃদু প্রহার কর।” (সুরা আন-নিসাঃ ৪/৩৪)
৫২০৪
আবদুল্লাহ ইবনু যামআহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) বলেছেন, তোমরা কেউ নিজ স্ত্রীদেরকে গোলামের মত প্রহার করো না। কেননা, দিনের শেষে তার সঙ্গে তো মিলিত হইবে। (আঃপ্রঃ- ৪৮২২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮২৫)
৬৭/৯৫. অধ্যায়ঃ অবৈধ কাজে স্ত্রী স্বামীর আনুগত্য করিবে না।
৫২০৫
আয়িশা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, কোন এক আনসারী মহিলা তার মেয়েকে বিয়ে দিলেন। কিন্তু তার মাথার চুলগুলো উঠে যেতে লাগলো। এরপর সে নাবী (সাঃআঃ) – এর কাছে এসে এ ঘটনা বর্ণনা করে বলিল, তার স্বামী আমাকে বলেছে আমি যেন আমার মেয়ের মাথায় কৃত্রিম চুল পরিধান করাই। তখন নাবী (সাঃআঃ) বলিলেন, না তা করো না, কারণ, আল্লাহ তাআলা এ ধরনের মহিলাদের ওপর লানত বর্ষণ করেন, যারা মাথায় কৃত্রিম চুল পরিধান করে।(আঃপ্রঃ- ৪৮২৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮২৬)
৬৭/৯৬. অধ্যায়ঃ এবং যদি কোন নারী স্বীয় স্বামী হইতে রূঢ়তা কিংবা উপেক্ষার আশঙ্কা করে। (সুরা আন-নিসা ৪/১২৮)
৫২০৬
আয়িশা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
“এবং যদি কোন নারী স্বীয় স্বামী হইতে রূঢ়তা কিংবা উপেক্ষার আশঙ্কা করে” এ আয়াত প্রসঙ্গে বলেন, এ আয়াত হচ্ছে ঐ মহিলা সম্পর্কে, যার স্বামী তার স্ত্রীকে নিজের কাছে রাখতে চায় না; বরং তাকে ত্বলাক্ব দিয়ে অন্য কোন মহিলাকে বিয়ে করিতে চায়। তখন তার স্ত্রী তাকে বলে, আমাকে রাখ এবং ত্বলাক্ব দিও না বরং অন্য কোন মহিলাকে বিয়ে করে নাও এবং তুমি ইচ্ছে করলে আমাকে খোরপোষ না-ও দিতে পার, আর আমাকে শয্যাসঙ্গিনী না-ও করিতে পার। আল্লাহ তাআলার উক্ত আয়াত দ্বারা বোঝা যায় যে, “তবে তারা পরস্পর আপোষ করলে তাদের কোন গুনাহ নেই, বস্তুতঃ আপোষ করাই উত্তম।” (সুরা আন-নিসাঃ ৪/১২৮) (আঃপ্রঃ- ৪৮২৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮২৭)
Leave a Reply