বিবাহ করার জন্য মেয়ে ছেলে। ক্রীতদাসের সঙ্গে মুক্ত মহিলার বিয়ে
বিবাহ করার জন্য মেয়ে ছেলে। ক্রীতদাসের সঙ্গে মুক্ত মহিলার বিয়ে >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন
পর্বঃ ৬৭, বিয়ে শাদী, অধ্যায়ঃ (৯-১৯)=১১টি
৬৭/৯. অধ্যায়ঃ কুমারী মেয়েদেরকে বিয়ে করা সম্পর্কে।
৬৭/১০. অধ্যায়ঃ তালাক্বপ্রাপ্তা অথবা বিধবা মেয়েকে বিয়ে করা।
৬৭/১১. অধ্যায়ঃ বয়স্ক পুরুষের সঙ্গে অল্প বয়স্কা মেয়েদের বিয়ে।
৬৭/১২. অধ্যায়ঃ কোন প্রকৃতির মেয়ে বিয়ে করা উচিত
৬৭/১৩. অধ্যায়ঃ দাসী গ্রহণ এবং আপন দাসীকে মুক্ত করে বিয়ে করা।
৬৭/১৪. অধ্যায়ঃ ক্রীতদাসীকে আযাদ করাকে মাহর হিসাবে গণ্য করা।
৬৭/১৫. অধ্যায়ঃ দরিদ্র ব্যক্তির বিয়ে করা বৈধ। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেনঃ “যদি তারা দরিদ্র হয়, আল্লাহ তার মেহেরবানীতে সম্পদশালী করে দেবেন।” (সুরা নূর ২৪/৩২)
৬৭/১৬. অধ্যায়ঃ স্বামী এবং স্ত্রীর একই দ্বীনভুক্ত হওয়া এবং আল্লাহর বাণীঃ
৬৭/১৭. অধ্যায়ঃ বিয়ের ব্যাপারে ধন-সম্পদের সামঞ্জস্য প্রসঙ্গে এবং ধনী মহিলার সঙ্গে গরীব পুরুষের বিয়ে।
৬৭/১৮. অধ্যায়ঃ অশুভ স্ত্রীলোকদের থেকে দূরে থাকা। আল্লাহ বলেনঃ
৬৭/১৯. অধ্যায়ঃ ক্রীতদাসের সঙ্গে মুক্ত মহিলার বিয়ে।
৬৭/৯. অধ্যায়ঃ কুমারী মেয়েদেরকে বিয়ে করা সম্পর্কে।
ইবনু আবী মুলাইকাহ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, ইবনু আব্বাস (রাদি.) আয়েশা (রাদি.)-কে বলিলেন, আপনাকে ছাড়া নাবী (সাঃআঃ) আর কোন কুমারীকে বিয়ে করেননি।
৫০৭৭
আয়িশা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন যে। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! মনে করুন আপনি একটি ময়দানে পৌঁছেছেন, সেখানে একটি গাছ আছে যার কিছু অংশ খাওয়া হয়ে গেছে। আর এমন একটি গাছ পেলেন, যার কিছুই খাওয়া হয়নি। এর মধ্যে কোন গাছের পাতা আপনার উটকে খাওয়াবেন। নাবী (সাঃআঃ) উত্তরে বলিলেন, যে গাছ থেকে কিছুই খাওয়া হয়নি। এ কথার উদ্দেশ্য হল – নাবী (সাঃআঃ) তাঁকে ব্যতীত অন্য কোন কুমারীকে বিয়ে করেননি। (আঃপ্রঃ ৪৭০৪, ইঃফাঃ ৪৭০৬)
৫০৭৮
আয়িশা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেন। দুবার আমাকে স্বপ্নযোগে তোমাকে দেখানো হয়েছে। এক ব্যক্তি রেশমী কাপড়ে জড়িয়ে তোমাকে নিয়ে যাচ্ছিল, আমাকে দেখে বলিল, এ তোমার স্ত্রী। তখন আমি তার পর্দা খুললাম, আর সেটা হলে তুমি। তখন আমি বললাম, এ স্বপ্ন যদি আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়, তবে তিনি বাস্তবে তা-ই করবেন। (আঃপ্রঃ ৪৭০৫, ইঃফাঃ ৪৭০৭)
৬৭/১০. অধ্যায়ঃ তালাক্বপ্রাপ্তা অথবা বিধবা মেয়েকে বিয়ে করা।
উম্মু হাবীবা (রাদি.) বলেন, নাবী (সাঃআঃ) আমাকে বলিলেন, আমাকে তোমাদের কন্যাদেরকে বা বোনদেরকে আমার সঙ্গে (বিয়ের) প্রস্তাব দিও না।
৫০৭৯
জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা নাবী (সাঃআঃ) – এর সঙ্গে জিহাদ থেকে ফিরছিলাম। আমি আমার দুর্বল উটটি দ্রুত চালাতে চেষ্টা করছিলাম। এমন সময় এক আরোহী আমার পিছন থেকে আমার উটটিকে ছড়ি দিয়ে খোঁচা দিলে উটটি দ্রুত চলতে লাগল যেমন ভাল ভাল উটকে তুমি চলতে দেখ। ফিরে দেখি নাবী (সাঃআঃ)। তিনি আমাকে প্রশ্ন করিলেন, জাবির, তোমার এত তাড়াতাড়ি করার কারণ কী? আমি উত্তর দিলাম, আমি নতুন বিয়ে করেছি। তিনি জিজ্ঞেস করিলেন, কুমারী, না বিধবা? আমি উত্তর দিলাম, বিধবা। তিনি বলিলেন, তুমি কুমারী মেয়ে বিয়ে করলে না? যার সঙ্গে খেলা-কৌতুক করিতে আর সেও তোমার সঙ্গে খেলা-কৌতুক করত। বর্ণনাকারী বলেন, যখন আমরা মদীনাহয় প্রবেশ করব, এমন সময় নাবী (সাঃআঃ) আমাকে বলিলেন, তুমি অপেক্ষা কর এবং রাতে প্রবেশ কর, যেন অনুপস্থিত স্বামীর স্ত্রী নিজের অবিন্যস্ত কেশরাশি বিন্যাস করিতে পারে এবং লোম পরিষ্কার করিতে পারে। [৪৪৩; মুসলিম ৩৩/৫৬, হাদীস ১৯২৮, আহমাদ ১৩১১৭](আঃপ্রঃ ৪৭০৬, ইঃফাঃ ৪৭০৮)
৫০৮০
জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি বিয়ে করলে রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) আমাকে জিজ্ঞেস করিলেন, তুমি কেমন মেয়ে বিয়ে করেছ? আমি বললাম, পূর্ব বিবাহিতা মেয়েকে বিয়ে করেছি। তিনি বলিলেন, কুমারী মেয়ে এবং তাদের কৌতুক তুমি চাও না? (রাবী মুহাজির বলেন) আমি এ ঘটনা আমর ইবনু দীনার (রাদি.) – কে জানালে তিনি বলেন, আমি জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাদি.) – কে বলিতে শুনিয়াছি, নাবী (সাঃআঃ) আমাকে বলেছেন, তুমি কেন কুমারী মেয়েকে বিয়ে করলে না, যার সাথে তুমি খেলা-কৌতুক করিতে এবং সে তোমার সাথে খেলা-কৌতুক করত?(আঃপ্রঃ ৪৭০৭, ইঃফাঃ ৪৭০৯)
৬৭/১১. অধ্যায়ঃ বয়স্ক পুরুষের সঙ্গে অল্প বয়স্কা মেয়েদের বিয়ে।
৫০৮১
উরওয়া (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
নাবী (সাঃআঃ) আবু বকর (রাদি.) – এর কাছে আয়িশাহ (রাদি.) – এর বিয়ের পয়গাম দিলেন। আবু বকর (রাদি.) বলিলেন, আমি আপনার ভাই। নাবী (সাঃআঃ) বলিলেন, তুমি আমার আল্লাহর দ্বীনের এবং কিতাবের ভাই। কিন্তু সে আমার জন্য হালাল।(আঃপ্রঃ- ৪৭০৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭১০)
৬৭/১২. অধ্যায়ঃ কোন প্রকৃতির মেয়ে বিয়ে করা উচিত
এবং কোন ধরনের মেয়ে উত্তম এবং নিজের ঔরসের জন্য কোন ধরনের মেয়ে পছন্দ করা মুস্তাহাব।
৫০৮২
আবু হুরায়রা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বর্ণনা করেন, নাবী (সাঃআঃ) বলেছেন, উষ্ট্রারোহী মহিলাদের মধ্যে কুরাইশ বংশীয়া মহিলারা সর্বোত্তম। তারা শিশু সন্তানদের প্রতি স্নেহশীল এবং স্বামীর মর্যাদার উত্তম রক্ষাকারিণী। (আঃপ্রঃ- ৪৭০৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭১১)
৬৭/১৩. অধ্যায়ঃ দাসী গ্রহণ এবং আপন দাসীকে মুক্ত করে বিয়ে করা।
৫০৮৩
আবু মূসা আশআরী (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেন, যে আপন ক্রীতদাসীকে শিক্ষা দেয় এবং উত্তম শিক্ষা দান করে এবং শিষ্টাচার শিক্ষা দেয় এবং উত্তমভাবে শিষ্টাচার শিক্ষা দেয়, এরপর তাকে মুক্ত করে বিয়ে করে তার জন্য দ্বিগুণ সওয়াব।[৭] ঐ আহলে কিতাব, যে তার নাবীর উপর ঈমান আনে এবং আমার ওপরে ঈমান এনেছে, তার জন্য দ্বিগুণ সওয়াব রহিয়াছে। আর ঐ গোলাম, যে তার প্রভুর হক আদায় করে এবং আল্লাহরও হাক্ব আদায় করে তার জন্যে দ্বিগুণ সওয়াব। হাদীসটি বর্ণনা করার সময় এর অন্যতম বর্ণনাকারী ইমাম শাবী (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) (স্বীয় ছাত্র সালিহ বিন সালিহ হামদানীর লক্ষ্য করে) বলেন, হাদীসটি গ্রহণ কর বিনা পরিশ্রমে অথচ এমন এক সময় ছিল যখন এর চেয়ে ছোট হাদীস সংগ্রহ করার জন্য কোন লোক মদীনা পর্যন্ত সফর করতো। …… অন্য বর্ণনায় আছে, “মুক্ত করে মাহর নির্ধারণ করে বিয়ে করে”।(আঃপ্রঃ- ৪৭১০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭১২)
৫০৮৪
আবু হুরায়রা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) বলেছেন, ইবরাহীম (আঃ) তিনবার ব্যতীত কোন মিথ্যা কথা বলেননি। অত্যাচারী বাদশাহর দেশে তাকে যেতে হয়েছিল এবং তার সঙ্গে সারা (রাদি.) ছিলেন। এরপর রাবী পূর্ণ হাদীস বর্ণনা করেন। (সেই বাদশাহ) হাজেরাকে তাহাঁর সেবার জন্য তাঁকে দান করেন। তিনি ফিরে এসে বলিলেন, আল্লাহ কাফির থেকে আমাকে নিরাপত্তা দান করিয়াছেন এবং আমার খিদমতের জন্য আজারা (হাজেরা) – কে দিয়েছেন। আবু হুরায়রা (রাদি.) বলেন, “হে আকাশের পানির সন্তানগণ (কুরাইশ)! এ আজারাই তোমাদের মা।” (আঃপ্রঃ- ৪৭১১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭১৩)
৫০৮৫
আনাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) খায়বার এবং মদীনাহর মাঝে তিন দিন অবস্থান করিলেন এবং হুয়ায়্যার কন্যা সাফীয়ার সঙ্গে রাতে বাসর যাপনের ব্যবস্থা করিলেন। আমি মুসলিমদেরকে তাহাঁর ওয়ালীমার দাওয়াত দিলাম। নাবী (সাঃআঃ) দস্তুরখানা বিছানোর নির্দেশ দিলেন এবং সেখানে গোশত ও রুটি ছিল না। খেজুর, পনির, মাখন ও ঘি রাখা হল। এটাই ছিল রাসুল (সাঃআঃ) – এর ওয়ালীমা। উপস্থিত মুসলমানরা পরস্পর বলাবলি করিতে লাগল – তিনি (সফ্যীয়াহ) রাসুল (সাঃআঃ)-এর সহধর্মিণীদের মধ্যে গণ্য হইবেন, ক্রীতদাসীদের মধ্যে গণ্য হইবেন। তাঁরা বলাবলি করিলেন যে, যদি নাবী (সাঃআঃ) সাফীয়ার জন্য পর্দার ব্যবস্থা করেন, তাহলে নাবী (সাঃআঃ) – এর সহধর্মিণী হিসাবে গণ্য করা হইবে। আর যদি পর্দা না করা হয়, তাহলে তাঁকে ক্রীতদাসী হিসাবে মনে করা হইবে। যখন নাবী (সাঃআঃ) সেখান থেকে অন্যত্র যাবার ব্যবস্থা করিলেন, তখন সাফীয়ার জন্য উটের পিছনে জায়গা করিলেন এবং তাহাঁর ও লোকদের মাঝে পর্দার ব্যবস্থা করিলেন। [৮] (আঃপ্রঃ- ৪৭১২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭১৪)
[৮] জিন্ন-ইনসানের মহান নেতার ওয়ালীমাহ এর বিবরণে যা পাওয়া গেল তাথেকে মুসলিম জাতি শিক্ষা গ্রহণ করে নিজেদের বিলাসিতা অপচয় এবং অহংকার-প্রতিযোগিতা বন্ধ করবেন কি?
৬৭/১৪. অধ্যায়ঃ ক্রীতদাসীকে আযাদ করাকে মাহর হিসাবে গণ্য করা।
৫০৮৬
আনাস ইবনু মালিক (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) সাফীয়াকে আযাদ করিলেন এবং এই আযাদীকে তার বিয়ের মাহর ধার্য করিলেন।(আঃপ্রঃ- ৪৭১৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭১৫)
৬৭/১৫. অধ্যায়ঃ দরিদ্র ব্যক্তির বিয়ে করা বৈধ। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেনঃ “যদি তারা দরিদ্র হয়, আল্লাহ তার মেহেরবানীতে সম্পদশালী করে দেবেন।” (সুরা নূর ২৪/৩২)
৫০৮৭
সাহল ইবনু সাদ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক মহিলা রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) – এর কাছে এসে বলিল, হে আল্লাহর রাসুল! আমি আমার জীবনকে আপনার হাতে সমর্পণ করিতে এসেছি। নাবী (সাঃআঃ) তার দিকে তাকালেন এবং সতর্ক দৃষ্টিতে তার আপাদমস্তক লক্ষ্য করিলেন। তারপর তিনি মাথা নিচু করিলেন। যখন মহিলাটি দেখল, নাবী (সাঃআঃ) তার সম্পর্কে কোন ফয়সালা দিচ্ছেন না, তখন সে বসে পড়ল। এরপর নাবী (সাঃআঃ) – এর সহাবীদের মধ্যে একজন দাঁড়ালেন এবং বলিলেন, হে আল্লাহর রাসুল! যদি আপনার বিয়ের প্রয়োজন না থাকে, তবে আমার সঙ্গে এর বিয়ে দিন। রাসুল (সাঃআঃ) জিজ্ঞেস করিলেন, তোমার কাছে কিছু আছে কি? সে উত্তর করলো- না, আল্লাহর কসম, হে আল্লাহর রাসুল! আমার কাছে কিছুই নেই। রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলিলেন, তুমি তোমার পরিবার-পরিজনের কাছে ফিরে গিয়ে দেখ, কিছু পাও কিনা। এরপর লোকটি চলে গেল। ফিরে এসে বলিল, আল্লাহর কসম! আমি কিছুই পাইনি। এরপর রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলিলেন, আবার দেখ, লোহার একটি আংটিও যদি পাও। তারপর লোকটি আবার ফিরে গেল। এসে বলিল, হে আল্লাহর রাসুল! তাও পেলাম না, কিন্তু এই আমার লুঙ্গি (শুধু এটাই আছে)। (রাবী) সাহল (রাদি.) বলেন, তার কাছে কোন চাদর ছিল না। লোকটি এর অর্ধেক তাকে দিতে চাইল। তখন রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলিলেন, সে তোমার লুঙ্গি দিয়ে কী করিবে? তুমি যদি পরিধান কর, তাহলে তার কোন কাজে আসবে না, আর সে যদি পরিধান করে, তবে তোমার কোন কাজে আসবে না। তারপর বেশ কিছুক্ষণ লোকটি নীরবে বসে থাকল। তারপর উঠে দাঁড়াল। সে যেতে উদ্যত হলে নাবী (সাঃআঃ) তাকে ডেকে আনলেন এবং জিজ্ঞেস করিলেন, তোমার কী পরিমাণ কুরআন মাজীদ মুখস্থ আছে? সে বলিল, আমার অমুক অমুক সুরা মুখস্থ আছে এবং সে গণনা করিল। নাবী (সাঃআঃ) জিজ্ঞেস করিলেন, এগুলো কি তোমার মুখস্থ আছে। সে বলিল, হাঁ। নাবী (সাঃআঃ) বলিলেন, যে পরিমাণ কুরআন তোমার মুখস্থ আছে তার বিনিময়ে তোমার কাছে এ মহিলাটিকে তোমার অধীনস্থ করে (বিয়ে) দিলাম। [৯] (আঃপ্রঃ- ৪৭১৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭১৬)
৬৭/১৬. অধ্যায়ঃ স্বামী এবং স্ত্রীর একই দ্বীনভুক্ত হওয়া এবং আল্লাহর বাণীঃ
অর্থাৎ “তিনিই পানি থেকে সৃষ্টি করিয়াছেন মানুষ, অতঃপর মানুষকে করিয়াছেন বংশ সম্পর্কীয় ও বিবাহ সম্পর্কীয়, তোমার প্রতিপালক সব কিছু করিতে সক্ষম।” (সুরা আল-ফুরকানঃ ৫৪)
৫০৮৮
আয়িশা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আবু হুযাইফাহ (রাদি.) ইবনু উতবাহ ইবনু রাবিয়া ইবনু আবদে শামস, যিনি বাদরের যুদ্ধে রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) – এর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, তিনি সালিমকে পালক পুত্র হিসাবে গ্রহণ করেন এবং তার সঙ্গে তিনি তাহাঁর ভাতিজী ওয়ালীদ ইবনু উতবাহ ইবনু রাবিয়ার কন্যা হিন্দাকে বিয়ে দেন। সে ছিল এক আনসারী মহিলার আযাদকৃত দাস যেমন যায়দকে নাবী (সাঃআঃ) পালক-পুত্র হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। জাহিলী যুগের রীতি ছিল যে, কেউ যদি অন্য কোন ব্যক্তিকে পালক-পুত্র হিসেবে গ্রহণ করত, তবে লোকেরা তাকে ঐ ব্যক্তির পুত্র হিসেবে ডাকত এবং মৃত্যুর পর ঐ ব্যক্তির উত্তরাধিকারী হত। যতক্ষণ পর্যন্ত না আল্লাহ তাআলা এ আয়াত অবতীর্ণ করলেনঃ অর্থাৎ, “তাদেরকে (পালক পুত্রদেরকে) তাদের জন্মদাতা পিতার নামে ডাক……তারা তোমাদের মুক্ত করা গোলাম।” (সুরা আহযাবঃ ৫) এরপর থেকে তাদেরকে পিতার নামেই শুধু ডাকা হত। যদি তাদের পিতা সম্পর্কে জানা না যেত, তাহলে তাকে মাওলা বা দ্বীনি ভাই হিসাবে ডাকা হত। তারপর [আবু হুযাইফাহ ইবনু উতবাহ (রাদি.) – এর স্ত্রী] সাহলা বিনতে সুহায়ল ইবনু আমর আল কুরাইশী আল আমিরী নাবী (সাঃআঃ) – এর কাছে এসে বলিল, হে আল্লাহর রাসুল! আমরা সালিমকে আমাদের পুত্র হিসেবে মনে করতাম; অথচ এখন আল্লাহ যা অবতীর্ণ করিয়াছেন তা তো আপনিই ভাল জানেন। এরপর তিনি পুরো হাদীস বর্ণনা করিলেন।(আঃপ্রঃ- ৪৭১৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭১৭)
৫০৮৯
আয়িশা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) যুবাআ বিনতে যুবায়র – এর নিকট গিয়ে জিজ্ঞেস করিলেন তোমার হাজ্জে যাবার ইচ্ছে আছে কি? সে উত্তর দিল, আল্লাহর কসম! আমি খুবই অসুস্থবোধ করছি (তবে হাজ্জে যাবার ইচ্ছে আছে)। তার উত্তরে বলিলেন, তুমি হাজ্জের নিয়্যতে বেরিয়ে যাও এবং আল্লাহর কাছে এই শর্তারোপ করে বল, হে আল্লাহ! যেখানেই আমি বাধাগ্রস্ত হব, সেখানেই আমি আমার ইহরাম শেষ করে হালাল হয়ে যাব। সে ছিল মিকদাদ ইবনু আসওয়াদের সহধর্মিণী। (আঃপ্রঃ- ৪৭১৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭১৮)
৫০৯০
আবু হুরায়রা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
নাবী (সাঃআঃ) বলেন, চারটি বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রেখে মেয়েদেরকে বিয়ে করা হয়ঃ তার সম্পদ, তার বংশমর্যাদা, তার সৌন্দর্য ও তার দীনদারী। সুতরাং তুমি দীনদারীকেই প্রাধান্য দেবে নতুবা তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হইবে। [১০] [মুসলিম ১৭/১৫, হাদীস ১৪৬৬, আহমাদ ৯৫২৬] (আঃপ্রঃ- ৪৭১৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭১৯)
[১০] যে সব কারণে একজন পুরুষ বিশেষ একটি মেয়েকে স্ত্রীরূপে বরণ করার জন্য উৎসাহিত ও আগ্রহান্বিত হইতে পারে তা হচ্ছে চারটি। (১) সৌন্দর্য (২) সম্পদ (৩) বংশ (৪) দীনদারী। এ গুণ চতুষ্টয়ের মধ্যে সর্বশেষে উল্লেখ করা হয়েছে দীনদারী ও আদর্শবাদিতার গুণ। আর এ গুণটিই ইসলামের দৃষ্টিতে সর্বাগ্রগণ্য ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। নাবী (সাঃআঃ) – এর আলোচ্য নির্দেশের সার কথা হল- দীনদারীর গুণসম্পন্না কনে পাওয়া গেলে তাকেই যেন স্ত্রীরূপে বরণ করা হয়, তাকে বাদ দিয়ে অপর কোন গুণসম্পন্না মহিলাকে বিয়ে করিতে আগ্রহী হওয়া উচিত নয় – (সুবুলুস সালাম)। চারটি গুণের মধ্যে দ্বীনদার হওয়ার গুণটি কেবল যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ তা-ই নয়, এ গুণ যার নেই তার মধ্যে অন্যান্য গুণ যতই থাক না কেন, ইসলামের দৃষ্টিতে সে অগ্রাধিকার যোগ্য কনে নয়। রাসুল (সাঃআঃ)-এর হাদীস অনুযায়ী তো দ্বীনদারীর গুণ বঞ্চিতা নারী বিয়ে করাই উচিত নয়। তিনি স্পষ্ট ভাষায় নির্দেশ দিয়েছেন- তোমরা স্ত্রীদের কেবল তাদের রূপ-সৌন্দর্য দেখেই বিয়ে করো না- কেননা এরূপ সৌন্দর্যই অনেক সময় তাদের ধ্বংসের কারণ হইতে পারে। তাদের ধন-মালের লোভে পড়েও বিয়ে করিবে না, কেননা এ ধনমাল তাদের বিদ্রোহী ও অনমনীয় বানাতে পারে। বরং তাদের দ্বীনদারীর গুণ দেখেই তবে বিয়ে করিবে। বস্তুত একজন দীনদার কৃষ্ণাঙ্গ দাসীও কিন্তু অনেক ভাল- (ইবনে মাজাহ, বায্যার, বাইহাকী)। নাবী (সাঃআঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল – বিয়ের জন্য কোন ধরনের মেয়ে উত্তম? জবাবে তিনি বলেছিলেন- যে স্ত্রীকে দেখলে সে তার স্বামীকে আনন্দ দেয়, তাকে যে কাজের আদেশ করা হয় তা সে যথাযথ পালন করে এবং তার নিজের স্বামীর ধন মালের ব্যাপারে স্বামীর পছন্দের বিপরীত কোন কাজই করে না- (মুসনাদে আহমাদ)। নাবী (সাঃআঃ) আরো বলেছেন- দুনিয়ার সব জিনিসই ভোগ সামগ্রী আর সবচেয়ে উত্তম সামগ্রী হচ্ছে নেক চরিত্রের স্ত্রী- (মুসনাদে আহমাদ)।
উপরের উদ্ধৃত হাদীসগুলো থেকে যে কথাটি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে তা এই যে, ইসলামের দৃষ্টিতে তাকওয়া, পরহেযগারী, দীনদারী ও উন্নত চরিত্রই হচ্ছে জীবন সঙ্গিনী পছন্দ করার ক্ষেত্রে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য বিষয়।
৫০৯১
সাহল (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) -এর নিকট দিয়ে অতিক্রম করছিল। তখন তিনি (সাহাবীবর্গকে) বলিলেন, তোমাদের এর সম্পর্কে কী ধারণা? তারা উত্তর দিলেন, “যদি কোথাও কোন মহিলার প্রতি এ লোকটি বিয়ের প্রস্তাব দেয়, তার সঙ্গে বিয়ে দেয়া যায়। যদি সে সুপারিশ করে, তাহলে সুপারিশ গ্রহণ করা হয়, যদি কথা বলে, তবে তা শোনা হয়। রাবী বলেন, অতঃপর নাবী (সাঃআঃ) চুপ করে থাকলেন। এরপর সেখান দিয়ে একজন গরীব মুসলিম অতিক্রম করিতেই রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) তাদেরকে জিজ্ঞেস করিলেন, এ ব্যক্তি সম্পর্কে তোমাদের কী ধারণা? তারা জবাব দিলেন, যদি এ ব্যক্তি কোথাও বিয়ের প্রস্তাব করে, তার সাথে বিয়ে দেয়া হয় না। যদি কারও জন্য সুপারিশ করে, তবে তা গ্রহণ করা হয় না। যদি কোন কথা বলে, তবে তা শোনা হয় না। তখন রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলিলেন, দুনিয়া ভর্তি ঐ ধনীদের চেয়ে এ দরিদ্র লোকটি উত্তম।(আঃপ্রঃ- ৪৭১৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭২০)
৬৭/১৭. অধ্যায়ঃ বিয়ের ব্যাপারে ধন-সম্পদের সামঞ্জস্য প্রসঙ্গে এবং ধনী মহিলার সঙ্গে গরীব পুরুষের বিয়ে।
৫০৯২
ইবনু শিহাব (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমার কাছে উরওয়া (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেছেন যে, তিনি আয়িশা (রাদি.) – এর কাছে “যদি তোমরা আশঙ্কা কর যে, ইয়াতীমদের প্রতি সুবিচার করিতে পারবে না” (সুরা আন-নিসাঃ ৩) এ আয়াতের মর্ম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, হে ভাগ্নে! এ আয়াত ঐসব ইয়াতীম বালিকাদের সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছে, যারা কোন অভিভাবকের তত্ত্বাবধানে আছে। আর অভিভাবক তার ধন-সম্পদ ও সৌন্দর্যের প্রতি আসক্ত; কিন্তু বিয়ের পর মাহর দিতে অনিচ্ছুক। এ রকম অভিভাবককে ঐ ইয়াতীম বালিকাদের বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ করিতে নিষেধ করা হয়েছে, যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা ইনসাফের সঙ্গে পূর্ণ মাহর তাদেরকে দিয়ে দেয় এবং এদেরকে ছাড়া অন্যদের বিয়ে করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আয়িশা (রাদি.) বলেন, পরবর্তীকালে লোকেরা রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) -এর কাছে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে আল্লাহ তাআলা এই আয়াত অবতীর্ণ করেন “আর লোকে তোমার নিকট নারীদের বিষয়ে ব্যবস্থা জানতে চায়, বল, আল্লাহ তোমাদেরকে তাদের সম্বন্ধে ব্যবস্থা জানাচ্ছেন এবং ইয়াতীম নারী সম্পর্কে যাদের তোমরা (মাহর) প্রদান কর না, অথচ তোমরা তাদেরকে বিয়ে করিতে চাও এবং অসহায় শিশুদের সম্বন্ধে ও ইয়াতীমদের প্রতি তোময়াদের ন্যায় বিযার সম্পর্কে যা কিতাবে তোমাদেরকে শোনানো হয়, তাও পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেন। সেই হুকুমগুলো যা এ ইয়াতীম মেয়েদের সম্পর্কে যাদের হক তোমরা সঠিক মত আদায় কর না। যাদেরকে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ করার কোন আগ্রহ তোমাদের নেই।” (সুরা আন-নিসাঃ ১২৭) ইয়াতীম বালিকারা যখন সুন্দরী এবং ধনবতী হয়, তখন অভিভাবকগণ তার বংশমর্যাদা রক্ষা এবং বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করতঃ তারা এদের পূর্ণ মাহর আদায় না করা পর্যন্ত বিয়ে করিতে পারে না। আর তারা যদি এদের ধন-সম্পদ এবং সৌন্দর্যের অভাবের কারণে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হইতে আগ্রহী না হত, তাহলে তারা এদের ব্যতীত অন্য মহিলাদের বিয়ে করত। সুতরাং যখন তারা এদের মধ্যে স্বার্থ পেতো না তখন তাদের বাদ দিত। এ কারণে তাদেরকে স্বার্থের বেলায় পূর্ণ মাহর আদায় করা ব্যতীত বিয়ে করিতে নিষেধ করা হয়। (আঃপ্রঃ- ৪৭১৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭২১)
৬৭/১৮. অধ্যায়ঃ অশুভ স্ত্রীলোকদের থেকে দূরে থাকা। আল্লাহ বলেনঃ
“তোমাদের স্ত্রী আর সন্তানদের মধ্যে কতক তোমাদের শত্রু।” (সুরা আত-তাগাবুন ৬৪/১৪)
৫০৯৩
আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ স্ত্রী, বাড়িঘর এবং ঘোড়ায় অশুভ আছে (আঃপ্রঃ- ৪৭২০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭২২)।
৫০৯৪
উমার (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) – এর নিকট লোকেরা অশুভ সম্পর্কে আলোচনা করলে তিনি বলেন, কোন কিছুর মধ্যে যদি অশুভ থাকে, তা হলোঃ বাড়ি-ঘর, স্ত্রীলোক এবং ঘোড়া।(আঃপ্রঃ- ৪৭২১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭২৩)
৫০৯৫
সাহল ইবনু সাদ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
বর্ণিত। তিনি বলেন, যদি কোন কিছুর মধ্যে অশুভ থাকে, তা হচ্ছে, ঘোড়া, স্ত্রীলোক এবং বাসগৃহ। (আঃপ্রঃ- ৪৭২২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭২৪)
৫০৯৬
উসামাহ ইবনু যায়দ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
নাবী (সাঃআঃ) বলেন, পুরুষের জন্য স্ত্রীজাতি অপেক্ষা অধিক ক্ষতিকর কোন ফিতনা আমি রেখে গেলাম না। (আঃপ্রঃ- ৪৭২৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭২৫)
৬৭/১৯. অধ্যায়ঃ ক্রীতদাসের সঙ্গে মুক্ত মহিলার বিয়ে।
৫০৯৭
আয়িশা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, বারীরা থেকে তিনটি বিষয় জানা গেছে যে, যখন তাকে মুক্ত করা হয় তখন তাকে দুটির একটি বেছে নেয়ার অধিকার (Option) দেয়া হয় (সে ক্রীতদাস স্বামীর সঙ্গে থাকবে কি থাকবে না?) রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেন, ক্রীতদাসের ওয়ালার [১১] অধিকার মুক্তকারীর। রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) ঘরে প্রবেশ করে চুলার ওপরে ডেকচি দেখিতে পেলেন। কিন্তু তাকে রুটি এবং বাড়ির তরকারী থেকে তরকারী দেয়া হল। রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) জিজ্ঞেস করিলেন, চুলার ওপরের ডেকচির তরকারী দেখিতে পাচ্ছি না যে? উত্তর দেয়া হল, ডেকচিতে বারীরার জন্য দেয়া সদাকাহর গোশ্ত রহিয়াছে। আর আপনি তো সদাকাহর গোশ্ত খান না। তখন তিনি বলিলেন, এটা তার জন্য সদাকাহ আর আমাদের জন্য হাদিয়া।[৪৫৬; মুসলিম ২০/২, হাদীস ১৫০৪, আহমাদ ২৫৫০৭] (আঃপ্রঃ- ৪৭২৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭২৬)
[১১] মুক্ত দাস-দাসীর ব্যাপারে যে অধিকার জন্মে তাকে ওয়ালা বলা হয়।
Leave a Reply