সুরা আল আলা এর তাফসীর

সুরা আল আলা এর তাফসীর

সুরা আল আলা এর তাফসীর >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন

সুরা আল আলা এর তাফসীর

(87) سُوْرَةُ سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الْأَعْلٰى

সুরা (৮৭) : সাবিবহিস্মা রাবিবকাল আলা (আল-আলা)

وَقَالَ مُجَاهِدٌ : {قَدَّرَ فَهَدٰى} قَدَّرَ للإنْسَانِ الشقاءَ والسَّعادَةَ وَهَدَى الْأنْعَامَ لِمَرَاتِعها.وَقَالَ ابنُ عَبَّاسٍ {غُثَآءً أَحْوٰى}هَشِيْمًا مُتَغَيِّرًا

মুজাহিদ বলেন, قَدَّرَ فَهَدٰى মানুষের জন্য ভাল-মন্দের ভাগ্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন। পশুপালকে চারণভূমিতে পথ দেখিয়েছেন। এবং ইবনু আববাস বলেন, غُثَآءً أَحْوٰى চূর্ণ বিচূর্ণ তৃণাদি যা পরিবর্তিত হয়ে গেছে।

৪৯৪১

বারাআ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ)-এর সহাবীদের মধ্যে সর্ব প্রথম হিজরাত করে আমাদের কাছে এসেছিলেন, তাঁরা হলেন মুসআব ইবনু উমায়র (রাদি.) ও ইবনু উম্মু মাকতূম (রাদি.)। তাঁরা দুজন এসেই আমাদেরকে কুরআন পড়াতে শুরু করেন। এরপর এলেন, আম্মার, বিলাল ও সাদ (রাদি.)। অতঃপর আসলেন বিশজন সাহাবীসহ উমার ইবনু খাত্তাব (রাদি.)। অতঃপর এলেন নাবী (সাঃআঃ)। বারাআ (রাদি.) বলেন, নাবী (সাঃআঃ)-এর আগমনে মাদীনাহ্বাসীকে এত অধিক খুশী হইতে দেখেছি যে, অন্য কোন বিষয়ে তাদেরকে ততটা খুশী হইতে আর কখনো দেখিনি। এমনকি আমি দেখেছি, ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা পর্যন্ত বলছিল যে, ইনিই তো আল্লাহর সেই রাসুল, যিনি আগমন করিয়াছেন। বারাআ ইবনু আযিব (রাদি.) বলেন, নাবী (সাঃআঃ) মদিনায় আসার আগেই আমি سَبِّحْ اسْمَ رَبِّكَ الأَعْلَى এবং ও রকম আরো কিছু সুরা শিখে নিয়েছিলাম। (আ.প্র. ৪৫৭২, ই.ফা. ৪৫৭৭)


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply