সুরা আত তাহরীম এর তাফসীর
সুরা আত তাহরীম এর তাফসীর >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন >> সুরা তাহরীম আরবি তে পড়ুন বাংলা অনুবাদ সহ
সুরা আত তাহরীম এর তাফসীর
৬৫/৬৬/১.অধ্যায়ঃ হে নাবী! আল্লাহ আপনার জন্য যা হালাল করিয়াছেন, আপনি তা হারাম করিয়াছেন কেন? আপনি আপনার স্ত্রীদের খুশী করিতে চাইছেন। আল্লাহ অতিশয় ক্ষমাশীল, পরম দয়াল। (সুরা আত্-তাহরীম ৬৬/১)
(66) سُوْرَةُ التَّحْرِيْمِ
সুরা (৬৬) : আত্-তাহরীম
৪৯১১
সাঈদ ইবনু যুবায়র (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
ইবনু আব্বাস (রাদি.) বলেছেন, এরূপ হারাম করে নেয়া হলে কাফ্ফারা দিতে হইবে। ইবনু আব্বাস (রাদি.) এ-ও বলেছেন যে, “রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ)-এর মাঝে রয়েছে তোমাদের জন্য উত্তম আদর্শ।” [৫২৬৬; মুসলিম ১৮/৩, হাদীস ১৪৭৩, আহমাদ ১৯৭৬] আ.প্র. ৪৫৪২, ই.ফা. ৪৫৪৬)
৪৯১২
আয়েশাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) যয়নব বিন্ত জাহ্শ (রাদি.)-এর কাছে মধু পান করিতেন এবং সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান করিতেন। তাই আমি এবং হাফ্সাহ স্থির করলাম যে, আমাদের যার ঘরেই রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) আসবেন, সে তাঁকে বলবে, আপনি কি মাগাফীর খেয়েছেন? আপনার মুখ থেকে মাগাফীরের গন্ধ পাচ্ছি। তিনি বলিলেন, না, বরং আমি যয়নব বিন্ত জাহ্শ (রাদি.)-এর নিকট মধু পান করেছি। আমি কসম করলাম, আর কখনও মধু পান করব না। তুমি এ ব্যাপারে অন্য কাউকে জানাবে না। [৫২১৬, ৫২৬৭, ৫২৬৮, ৫৪৩১, ৫৫৯৯, ৫৬১৪, ৫৬৮২, ৬৬৯১, ৬৯৭২] (আ.প্র. ৪৫৪৩, ই.ফা. ৪৫৪৭)
৬৫/৬৬/২.অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ
{تَبْتَغِيْ مَرْضَاتَ أَزْوَاجِكَ ط وَاللهُ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ – قَدْ فَرَضَ اللهُ لَكُمْ تَحِلَّةَ أَيْمَانِكُمْ ج وَاللهُ مَوْلٰكُمْ ج وَهُوَ الْعَلِيْمُ الْحَكِيْمُ}.
আপনি আপনার স্ত্রীদের খুশী করিতে চাইছেন। আল্লাহ তো তোমাদের জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন কসম থেকে মুক্তির ব্যবস্থা। আল্লাহ তোমাদের বন্ধু। তিনি সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। (সুরা আত্-তাহরীম ৬৬/১-২)
৪৯১৩
আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, উমার ইবনু খাত্তাব (রাদি.)-কে এ আয়াতের ব্যাখ্যা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করার জন্য আমি এক বছর অপেক্ষা করেছি। কিন্তু তাহাঁর ব্যক্তি প্রভাবের ভয়ে আমি তাঁকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করিতে পারিনি। অবশেষে তিনি হাজ্জের উদ্দেশে রওয়ানা হলে, আমিও তাহাঁর সঙ্গে গেলাম। ফেরার পথে আমরা যখন কোন একটি রাস্তা অতিক্রম করছিলাম, তখন তিনি প্রাকৃতিক প্রয়োজন পূরণের জন্য একটি পিলু গাছের আড়ালে গেলেন। ইবনু আব্বাস (রাদি.) বলেন, তিনি প্রয়োজন সেরে না আসা পর্যন্ত আমি সেখানে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলাম। এরপর তাহাঁর সঙ্গে পথ চলতে চলতে বললাম, হে আমীরুল মুমিনীন! নাবী (সাঃআঃ)-এর স্ত্রীদের কোন্ দুজন তার বিপক্ষে একমত হয়ে পরস্পর একে অন্যকে সহযোগিতা করেছিলেন? তিনি বলিলেন, তাঁরা দুজন হল হাফসাহ ও আয়েশাহ (রাদি.)। ইবনু আব্বাস (রাদি.) বলেন, আমি বললাম, আল্লাহর শপথ! আমি আপনাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করার জন্য এক বছর যাবৎ ইচ্ছে করেছিলাম। কিন্তু আপনার ভয়ে আমার পক্ষে তা সম্ভব হয়নি। তখন উমার (রাদি.) বলিলেন, এ রকম করিবে না। যে বিষয়ে তুমি মনে করিবে যে, আমি তা জানি, তা আমাকে জিজ্ঞেস করিবে। এ বিষয়ে আমার জানা থাকলে আমি তোমাকে জানিয়ে দেব। তিনি বলেন, এরপর উমার (রাদি.) বলিলেন, আল্লাহর শপথ! জাহিলী যুগে মহিলাদের কোন অধিকার আছে বলে আমরা মনে করতাম না। অবশেষে আল্লাহ তাআলা তাদের সম্পর্কে যে বিধান অবতীর্ণ করার ছিল তা অবতীর্ণ করিলেন এবং তাদের হক হিসাবে যা নির্দিষ্ট করার ছিল তা নির্দিষ্ট করিলেন। তিনি বলেন, একদিন আমি কোন এক ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা করছিলাম, এমন সময় আমার স্ত্রী আমাকে বলিলেন, কাজটি যদি তুমি এভাবে এভাবে করিতে। আমি বললাম, তোমার কী প্রয়োজন? এবং আমার কাজে তোমার এ অনধিকার চর্চা কেন। সে আমাকে বলিল, হে খাত্তাবের বেটা! কি আশ্চর্য, তুমি চাও না যে, আমি তোমার কথার উত্তর দান করি অথচ তোমার কন্যা হাফ্সাহ (রাদি.) রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ)-এর কথার পৃষ্ঠে কথা বলে থাকে। এমনকি একদিন তো সে রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ)-কে রাগানি¦ত করে ফেলে। এ কথা শুনে উমার (রাদি.) দাঁড়িয়ে গেলেন এবং চাদরখানা নিয়ে তার বাড়িতে চলে গেলেন। তিনি তাকে বলিলেন, বেটী! তুমি নাকি রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ)-এর কথার প্রতি-উত্তর করে থাক। ফলে তিনি দিনভর দুঃখিত থাকেন। হাফ্সাহ (রাদি.) বলেন, আল্লাহর কসম! আমরা তো অবশ্যই তাহাঁর কথার জবাব দিয়ে থাকি। উমার (রাদি.) বলেন, আমি বললাম, জেনে রাখ! আমি তোমাকে আল্লাহর শাস্তি এবং রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ)-এর অসন্তুষ্টি সম্পর্কে সতর্ক করছি। রূপ-সৌন্দর্যের কারণে রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ)-এর ভালবাসা যাকে গর্বিতা করে রেখেছে, সে যেন তোমাকে প্রতারিত না করিতে পারে। এ কথা বলে উমার (রাদি.) আয়েশাহ (রাদি.)-কে বোঝাচ্ছিলেন। উমার (রাদি.) বলেন, এরপর আমি সেখান থেকে বেরিয়ে আসলাম এবং উম্মু সালামাহ (রাদি.)-এর ঘরে প্রবেশ করলাম ও এ ব্যাপারে তাহাঁর সঙ্গে আলোচনা করলাম। কারণ, তাহাঁর সঙ্গে আমার আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিল। তখন উম্মু সালামাহ (রাদি.) বলিলেন, হে খাত্তাবের বেটা! কি আশ্চর্য, তুমি প্রত্যেক ব্যাপারেই নাক গলাচ্ছ, রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) ও তার স্ত্রীদের ব্যাপারেও হস্তক্ষেপ করিতে চাচ্ছ। আল্লাহর কসম! তিনি আমাকে এমন শক্তভাবে ধরলেন যে, আমার রাগ খতম হয়ে গেল। এরপর আমি তাহাঁর নিকট হইতে চলে আসলাম। আমার একজন আনসার বন্ধু ছিল। যদি আমি কোন মাজলিসে অনুপস্থিত থাকতাম তাহলে সে এসে মাজলিসের খবর আমাকে জানাত। আর সে যদি অনুপস্থিত থাকত তাহলে আমি এসে তাকে মাজলিসের খবর জানাতাম। সে সময় আমরা গাস্সানী বাদশার আক্রমণের আশংকা করছিলাম। আমাদেরকে বলা হয়েছিল যে, সে আমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য রওয়ানা হয়েছে। তাই আমাদের হৃদয়-মন এ ভয়ে শংকিত ছিল। এমন সময় আমার আনসার বন্ধু এসে দরজায় আঘাত করে বলিলেন, দরজা খুলুন, দরজা খুলুন। আমি বললাম, গাস্সানীরা চলে এসেছে নাকি? তিনি বলিলেন, বরং এর চেয়েও কঠিন ব্যাপার ঘটে গেছে। রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) তাহাঁর সহধর্মিণীদের থেকে পৃথক হয়ে গিয়েছেন। তখন আমি বললাম, হাফ্সাহ ও আয়েশাহর নাক ধূলায় ধূসরিত হোক। এরপর আমি কাপড় নিয়ে বেরিয়ে গেলাম। গিয়ে দেখলাম, রাসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) একটি উঁচু কক্ষে অবস্থান করছেন। সিঁড়ি বেয়ে সেখানে পৌঁছতে হয়। সিঁড়ির মুখে রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ)-এর একজন কালো গোলাম বসা ছিল। আমি বললাম, বলুন, উমার ইবনু খাত্তাব এসেছেন। এরপর রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) আমাকে অনুমতি দিলেন, আমি তাঁকে সব কথা বললাম, আমি যখন উম্মু সালামার কপোপকথন পর্যন্ত পৌঁছলাম তখন রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) মুচকি হাসলেন। এ সময় তিনি একটা চাটাইয়ের উপর শুয়ে ছিলেন। চাটাই এবং রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ)-এর মাঝে আর কিছুই ছিল না। তাহাঁর মাথার নিচে ছিল খেজুরের ছালভর্তি চামড়ার একটি বালিশ এবং পায়ের কাছে ছিল সল্ম বৃক্ষের পাতার একটি স্তূপ ও মাথার উপর লটকানো ছিল চামড়ার একটি মশক। আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ)-এর এক পার্শ্বে চাটাইয়ের দাগ দেখে কেঁদে ফেললে তিনি বলিলেন, তুমি কেন কাঁদছ? আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! কিসরা ও কায়সার পার্থিব ভোগ-বিলাসের মধ্যে ডুবে আছে, অথচ আপনি আল্লাহর রাসুল। তখন রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলিলেন, তুমি এতে সন্তুষ্ট নও যে, তারা দুনিয়া লাভ করুক, আর আমরা আখিরাত লাভ করি। [৮৯; মুসলিম ১৮/৫, হাদীস ১৪৭৯] (আ.প্র. ৪৫৪৪, ই.ফা. ৪৫৪৮)
৬৫/৬৬/৩.অধ্যায়ঃ পরিচ্ছেদ নাই।
{وَإِذْ أَسَرَّ النَّبِيُّ إِلٰى بَعْضِ أَزْوَاجِهٰ حَدِيْثًا ج فَلَمَّا نَبَّأَتْ بِهٰ وَأَظْهَرَهُ اللهُ عَلَيْهِ عَرَّفَ بَعْضَه” وَأَعْرَضَ عَنْمبَعْضٍ ج فَلَمَّا نَبَّأَهَا بِهٰ قَالَتْ مَنْ أَنْـ.ـبَأَكَ هٰذَا ط قَالَ نَبَّأَنِيَ الْعَلِيْمُ الْخَبِيْرُ}
স্মরণ কর, নাবী তাহাঁর স্ত্রীদের একজনের কাছে গোপনে কিছু কথা বলেছিলেন, তারপর যখন সে তা অন্যকে বলে দিল এবং আল্লাহ নাবীকে তা জানিয়ে দিলেন, তখন নাবী সে বিষয়ে কিছু ব্যক্ত করিলেন এবং কিছু ব্যক্ত করিলেন না। অতঃপর যখন তিনি তা তার স্ত্রীকে বলিলেন তখন সে বললঃ কে আপনাকে এ ব্যাপারে অবহিত করিয়াছেন? নাবী বললেনঃ আমাকে অবহিত করিয়াছেন আল্লাহ যিনি সর্বজ্ঞ, সব কিছুর খবর রাখেন। (সুরা আত্-তাহরীম ৬৬/৩)
فِيْهِ عَائِشَةُ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
এ বিষয়ে আয়েশাহ (রাদি.)-ও এক হাদীস নাবী সাঃআঃ থেকে বর্ণনা করিয়াছেন।
৪৯১৪
ইবনু আব্বাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি উমার (রাদি.)-কে জিজ্ঞেস করিতে চাইলাম। আমি বললাম, হে আমীরুল মুমিনীন! নাবী (সাঃআঃ)-এর সহধর্মিণীদের কোন্ দুজন তাহাঁর ব্যাপারে একমত হয়ে পরস্পর একে অন্যকে সহযোগিতা করেছিলেন? আমি আমার কথা শেষ করার আগেই তিনি বলিলেন, আয়েশাহ এবং হাফসাহ (রাদি.)। (আ.প্র. ৪৫৪৫, ই.ফা. ৪৫৪৯)
৬৫/৬৬/৪.অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ তোমাদের অন্তর অন্যায়ের দিকে ঝুঁকে পড়েছে, তাই তোমরা উভয়ে তাওবা করলে ভাল হয়। (সুরা আত্-তাহরীম ৬৬/৪)
صَغَوْتُ وَأَصْغَيْتُ مِلْتُ لِتَصْغَى لِتَمِيْلَ وَإِنْ تَظَاهَرَا عَلَيْهِ فَإِنَّ اللهَ هُوَ مَوْلَاهُ وَجِبْرِيْلُ وَصَالِحُ الْمُؤْمِنِيْنَ وَالْمَلَائِكَةُ بَعْدَ ذَلِكَ ظَهِيْرٌ عَوْنٌ تَظَاهَرُوْنَ تَعَاوَنُوْنَ وَقَالَ مُجَاهِدٌ {قُوْآ أَنْفُسَكُمْ وَأَهْلِيْكُمْ} أَوْصُوْا أَنْفُسَكُمْ وَأَهْلِيْكُمْ بِتَقْوَى اللهِ وَأَدِّبُوْهُمْ.
صَغَوْتُ এবং َأَصْغَيْتُ(ثلاثى مجرد وموزيد فيه) উভয়ের অর্থ আমি ঝুঁকে পড়েছি। لِتَصْغَى অর্থ- لِتَمِيْلَ মানে যেন সে অনুরাগী হয়, ঝুঁকে পড়ে। কিন্তু যদি তোমরা নাবীর বিরুদ্ধে একে অপরকে সাহায্য কর তবে জেনে রাখ, আল্লাহই তাহাঁর বন্ধু এবং জিব্রীল ও নেককার মুমিনরাও, তাছাড়া অন্যান্য মালাকগণও তাহাঁর সাহায্যকারী- (সুরা আত্-তাহরীম ৬৬/৪)।ظَهِيْرٌ সাহায্যকারী تَظَاهَرُوْنَ পরস্পর তোমরা একে অপরকে সাহায্য করছ। মুজাহিদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন,قُوْآ أَنْفُسَكُمْ وَأَهْلِيْكُمْ بِتَقْوَى اللهِ وَأَدِّبُوْهُمْ তোমরা নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে রক্ষা কর- (সুরা আত্-তাহরীম ৬৬/৬)। তাকওয়া অবলম্বন করার জন্য ওসীয়াত কর এবং তাদেরকে আদব শিক্ষা দাও।
৪৯১৫
ইবনু আব্বাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যে দুজন মহিলা নাবী (সাঃআঃ)-এর বিরুদ্ধে পরস্পর একে অন্যকে সাহায্য করেছিল, তাদের সম্পর্কে উমার (রাদি.)-কে আমি জিজ্ঞেস করার ইচ্ছে করছিলাম। কিন্তু জিজ্ঞেস করার সুযোগ না পেয়ে আমি এক বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করলাম। শেষে একবার হজ্জ করার জন্য তাহাঁর সঙ্গে আমি যাত্রা করলাম। আমরা যাহ্রান নামক স্থানে পৌঁছলে উমার (রাদি.) প্রাকৃতিক প্রয়োজনে গেলেন। এরপর আমাকে বলিলেন, আমার জন্য ওযুর পানির ব্যবস্থা কর। আমি পাত্র ভরে পানি নিয়ে আসলাম এবং ঢেলে দিতে লাগলাম। সুযোগ মনে করে আমি তাঁকে বললাম, হে আমীরুল মুমিনীন! ঐ দুজন মহিলা কে কে, যারা একে অন্যকে সাহায্য করেছিল? ইবনু আব্বাস (রাদি.) বলেন, আমি আমার কথা শেষ করার আগেই তিনি বলিলেন, আয়েশাহ ও হাফ্সাহ (রাদি.)। [৮৯] (আ.প্র. ৪৫৪৬, ই.ফা. ৪৫৫০)
৬৫/৬৬/৫.অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ
{عَسٰى رَبُّه”ٓ إِنْ طَلَّقَكُنَّ أَنْ يُّبْدِلَهٓ” أَزْوَاجًا خَيْرًا مِّنْكُنَّ مُسْلِمٰتٍ مُّؤْمِنٰتٍ قٰنِتٰتٍ تَآئِبٰتٍ عَابِدٰتٍ سَآئِحٰتٍ ثَيِّبٰتٍ وَّأَبْكَارًا}
যদি নাবী তোমাদের সবাইকে ত্বলাক দেন, তবে তাহাঁর রব অচিরেই তোমাদের পরিবর্তে তোমাদের চেয়ে উত্তম স্ত্রী তাঁকে দিবেন, যারা হইবে আজ্ঞাবহ, ঈমানদার, অনুগত, তাওবাহ্কারিণী, ইবাদাতকারিণী, সওম পালনকারীণী, অকুমারী ও কুমারী। (সুরা আত্-তাহরীম ৬৬/৫)
৪৯১৬
আনাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, উমার (রাদি.) বলেছেন, নাবী (সাঃআঃ)-কে সতর্কতা দানের জন্য তাহাঁর সহধর্মিণীগণ একত্রিত হয়েছিলেন। আমি তাঁদেরকে বললাম, যদি নাবী (সাঃআঃ) তোমাদের সকলকে পরিত্যাগ করেন তবে তাহাঁর প্রতিপালক সম্ভবত তাঁকে দেবেন তোমাদের অপেক্ষা উৎকৃষ্টতর স্ত্রী। তখন এ আয়াতটি অবতীর্ণ হয়েছিল। [৪০২] (আ.প্র. ৪৫৪৭, ই.ফা. ৪৫৫১)
Leave a Reply