সুরা আর রহমান এর তাফসীর
সুরা আর রহমান এর তাফসীর >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন >> সুরা আর-রহমান আরবি তে পড়ুন বাংলা অনুবাদ সহ
সুরা আর রহমান এর তাফসীর
৬৫/৫৫/১.অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ সেখানে এ দুটি ব্যতীত আরও দুটি বাগান রয়েছে। (সুরা আর্ রহমান ৫৫/৬২)
(55) سُوْرَةُ الرَّحْمٰنِ
সুরা (৫৫) : আর্-রহমান
وَقَالَ مُجَاهِدٌ {بِحُسْبَانٍ} كَحُسْبَانِ الرَّحَى وَقَالَ غَيْرُهُ {وَأَقِيْمُوا الْوَزْنَ} يُرِيْدُ لِسَانَ الْمِيْزَانِ وَالْعَصْفُ بَقْلُ الزَّرْعِ إِذَا قُطِعَ مِنْهُ شَيْءٌ قَبْلَ أَنْ يُدْرِكَ فَذَلِكَ الْعَصْفُ {وَالرَّيْحَانُ} رِزْقُهُ {وَالْحَبُّ} الَّذِيْ يُؤْكَلُ مِنْهُ وَالرَّيْحَانُ فِيْ كَلَامِ الْعَرَبِ الرِّزْقُ وَقَالَ بَعْضُهُمْ وَالْعَصْفُ يُرِيْدُ الْمَأْكُوْلَ مِنَ الْحَبِّ وَالرَّيْحَانُ النَّضِيْجُ الَّذِيْ لَمْ يُؤْكَلْ وَقَالَ غَيْرُهُ الْعَصْفُ وَرَقُ الْحِنْطَةِ وَقَالَ الضَّحَّاكُ الْعَصْفُ التِّبْنُ وَقَالَ أَبُوْ مَالِكٍ الْعَصْفُ أَوَّلُ مَا يَنْبُتُ تُسَمِّيْهِ النَّبَطُ هَبُوْرًا وَقَالَ مُجَاهِدٌ الْعَصْفُ وَرَقُ الْحِنْطَةِ وَالرَّيْحَانُ الرِّزْقُ {وَالْمَارِجُ} اللهَبُ الْأَصْفَرُ وَالأَخْضَرُ الَّذِيْ يَعْلُو النَّارَ إِذَا أُوْقِدَتْ وَقَالَ بَعْضُهُمْ عَنْ مُجَاهِدٍ {رَبُّ الْمَشْرِقَيْنِ} لِلشَّمْسِ فِي الشِّتَاءِ مَشْرِقٌ وَمَشْرِقٌ فِي الصَّيْفِ وَرَبُّ الْمَغْرِبَيْنِ مَغْرِبُهَا فِي الشِّتَاءِ وَالصَّيْفِ {لَا يَبْغِيَانِ} لَا يَخْتَلِطَانِ {الْمُنْشَاٰتُ} مَا رُفِعَ قِلْعُهُ مِنْ السُّفُنِ فَأَمَّا مَا لَمْ يُرْفَعْ قَلْعُهُ فَلَيْسَ بِمُنْشَأَةٍ وَقَالَ مُجَاهِدٌ {كَالْفَخَّارِ} كَمَا يُصْنَعُ الْفَخَّارُ {الشُّوَاظُ} لَهَبٌ مِنْ نَارٍ وَقَالَ مُجَاهِدٌ {نُحَاسٌ}النُّحَاسُ الصُّفْرُ يُصَبُّ عَلَى رُءُوْسِهِمْ فَيُعَذَّبُوْنَ بِهِ {خَافَ مَقَامَ رَبِّهِ} يَهُمُّ بِالْمَعْصِيَةِ فَيَذْكُرُ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ فَيَتْرُكُهَا {مُدْهَآمَّتَانِ} سَوْدَاوَانِ مِنْ الرِّيِّ صَلْصَالٍ طِيْنٌ خُلِطَ بِرَمْلٍ فَصَلْصَلَ كَمَا يُصَلْصِلُ الْفَخَّارُ وَيُقَالُ مُنْتِنٌ يُرِيْدُوْنَ بِهِ صَلَّ يُقَالُ صَلْصَالٌ كَمَا يُقَالُ صَرَّ الْبَابُ عِنْدَ الإِغْلَاقِ وَصَرْصَرَ مِثْلُ كَبْكَبْتُهُ يَعْنِيْ كَبَبْتُهُ {فَاكِهَةٌ وَّنَخْلٌ وَّرُمَّانٌ}وَقَالَ بَعْضُهُمْ لَيْسَ الرُّمَّانُ وَالنَّخْلُ بِالْفَاكِهَةِ وَأَمَّا الْعَرَبُ فَإِنَّهَا تَعُدُّهَا فَاكِهَةً كَقَوْلِهِ عَزَّ وَجَلَّ {حَافِظُوْا عَلَى الصَّلَوٰتِ وَالصَّلَاةِ الْوُسْطٰى} فَأَمَرَهُمْ بِالْمُحَافَظَةِ عَلَى كُلِّ الصَّلَوَاتِ ثُمَّ أَعَادَ الْعَصْرَ تَشْدِيْدًا لَهَا كَمَا أُعِيْدَ النَّخْلُ وَالرُّمَّانُ وَمِثْلُهَا{أَلَمْ تَرَ أَنَّ اللهَ يَسْجُدُ لَه” مَنْ فِي السَّمَوٰتِ وَمَنْ فِي الْأَرْضِ} ثُمَّ قَالَ وَكَثِيْرٌ مِنْ النَّاسِ {وَكَثِيْرٌ حَقَّ عَلَيْهِ الْعَذَابُ} وَقَدْ ذَكَرَهُمْ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ فِيْ أَوَّلِ قَوْلِهِ {مَنْ فِي السَّمَوٰتِ وَمَنْ فِي الْأَرْضِ} وَقَالَ غَيْرُهُ {أَفْنَانٍ} أَغْصَانٍ {وَجَنَى الْجَنَّتَيْنِ دَانٍ} مَا يُجْتَنَى قَرِيْبٌ وَقَالَ الْحَسَنُ {فَبِأَيِّ اٰلَآءِ} نِعَمِهِ وَقَالَ قَتَادَةُ {رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ} يَعْنِي الْجِنَّ وَالإِنْسَ وَقَالَ أَبُو الدَّرْدَاءِ {كُلَّ يَوْمٍ هُوَ فِيْ شَأْنٍ} يَغْفِرُ ذَنْبًا وَيَكْشِفُ كَرْبًا وَيَرْفَعُ قَوْمًا وَيَضَعُ آخَرِيْنَ وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ {بَرْزَخٌ}حَاجِزٌ {الْأَنَامُ} الْخَلْقُ [أشار به إلى قوله تعالى : {وَالْأرْضَ وَضَعَهَا لِلْأَنَامِ} وعن ابن عباس والشعبي : الْأنام. كل ذي روح، وقيل : الإنس ةالجن]. {نَضَّاخَتَانِ} فَيَّاضَتَانِ {ذُو الْجَلَالِ} ذُو الْعَظَمَةِ وَقَالَ غَيْرُهُ {مَارِجٌ} خَالِصٌ مِنْ النَّارِ يُقَالُ مَرَجَ الْأَمِيْرُ رَعِيَّتَهُ إِذَا خَلَّاهُمْ يَعْدُوْ بَعْضُهُمْ عَلَى بَعْضٍ وَيُقَالُ مَرَجَ أَمْرُ النَّاسِ {مَرِيْجٍ} مُلْتَبِسٌ {مَرَجَ} الْبَحْرَيْنِ اخْتَلَطَ الْبَحْرَانِ مِنْ مَرَجْتَ دَابَّتَكَ تَرَكْتَهَا {سَنَفْرُغُ لَكُمْ} سَنُحَاسِبُكُمْ لَا يَشْغَلُهُ شَيْءٌ عَنْ شَيْءٍ وَهُوَ مَعْرُوْفٌ فِيْ كَلَامِ الْعَرَبِ يُقَالُ لَأَتَفَرَّغَنَّ لَكَ وَمَا بِهِ شُغْلٌ يَقُوْلُ لَآخُذَنَّكَ عَلَى غِرَّتِكَ.
وَأَقِيْمُوا الْوَزْنَএর মাঝে বর্ণিত الْوَزْنَহচ্ছে পাল্লার ডান্ডি। وَالْعَصْفُঘাস, ফসল পাকার পূর্বে যে চারাগুলোকে কেটে ফেলা হয় তাদেরকেই اَلْعَصْفُবলা হয়। الرَّيْحَانُশস্যের পাতা এবং যমীন থেকে উৎপাদিত দানা যা ভক্ষণ করা হয় আরবী ভাষায় রিযকের অর্থে ব্যবহৃত হয়। কারো মতে, الْعَصْفُখাওয়ার উপযোগী দানা এবং الرَّيْحَانُখাওয়ার অনুপযোগী পাকা দানা। মুজাহিদ ব্যতীত অন্যান্য মুফাস্সির বলেছেন, اَلْعَصْفُগমের পাতা। দাহ্হাক (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, اَلْعَصْفُমানে ভূষি। আবু মালিক (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, সর্বপ্রথম যা উৎপন্ন হয় তাকে اَلْعَصْفُবলা হয়। হাবশী ভাষায় তাকে هَبُوْرًاহাবুর বলা হয়। মুজাহিদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, اَلْعَصْفُগমের পাতা। الرَّيْحَانُখাদ্য। الْمَارِجُহলুদ এবং সবুজ বর্ণের অগ্নিশিখা যা আগুনের উপরে দেখা যায় যখন তা জ্বালানো হয়। মুজাহিদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) থেকে কোন কোন মুফাস্সির বলেন, رَبُّ الْمَشْرِقَيْنِসূর্যের শীতকালীন ও গ্রীষ্মকালীন উদয়স্থান। তেমনি رَبُّ الْمَغْرِبَيْنِশীত ও গ্রীস্মকালে সূর্যের দুই অস্তস্থল। لَا يَبْغِيَانِ তারা মিলিত হয় না। الْمُنْشَاٰتُনদীতে পাল তোলা নৌকা। আর যে নৌকার পাল তোলা হয়নি তাকে الْمُنْشَاٰتُ বলা হয় না। মুজাহিদ বলেন, نُحَاسٌপিতল, যা তাদের মাথার উপর ঢালা হইবে এবং এর দ্বারা তাদেরকে শাস্তি দেয়া হইবে। خَافَ مَقَامَ رَبِّهٰ সে গুনাহ করার ইচ্ছে করে; কিন্তু তার আল্লাহর কথা মনে পড়ে যায়। অবশেষে সে গুনাহ করার ইচ্ছা ত্যাগ করে। الشُّوَاظُঅগ্নি শিখা। مُدْهَآمَّتَانِ দেখিতে কালো হইবে সজীবতার কারণে। صَلْصَالٍমাটি বালির সঙ্গে মিশে পোড়া মাটির মত ঝনঝন করে। বলা হয় صَلْصَالٍ দুর্গন্ধময়। শব্দটির মূল ছিল صَلَّ صَلْصَالٍবলা হয় যেমন صَرَّالْبَابُ বলা হয় এবং صَرَّصَرَّ الْبَابُও বলা হয়। (অর্থাৎ مضاعف رباعىথেকে مضاعفثلاثىএর উৎপত্তি)। যেমন كَبْكَبْتُه ব্যবহার করা হয়। যার মূল فَاكِهَةٌ وَّنَخْلٌ وَّرُمَّانٌ ফলমূল, খেজুর ও আনার। কারো মতে খেজুর ও আনার ফল নয়; কিন্তু আরবীয় লোকেরা এগুলোকেও ফল বলে গণ্য করে। খেজুর ও আনার ফলমূলের অন্তর্ভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও উপরোক্ত আয়াতে ফলমূলের কথা উল্লেখ করে এরপর খেজুর ও আনারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন حَافِظُوْا عَلَى الصَّلَوٰتِএর মাঝে সকল সালাতের প্রতি যত্নবান হবার নির্দেশ প্রদান করতঃ পরে আবার বিশেষভাবে আসরের সালাতের প্রতি বিশেষ যত্নবান হবার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে, যেমনভাবে أَلَمْ تَرَ أَنَّ اللهَ يَسْجُدُ لَهচ مَنْ فِي السَّمَوٰتِ وَمَنْ فِي الْأَرْضِতুমি কি দেখ না যে, আল্লাহ্কে সাজদাহ করে যা কিছু আছে আকাশমন্ডলীতে ও পৃথিবীতে….। (সুরা হাজ্জ ২২/২৮)-এর মধ্যে সকল মানুষ অন্তর্ভুক্ত থাকা সত্ত্বেও وَكَثِيْرٌ مِّنَ النَّاسِ وَكَثِيْرٌ حَقَّ عَلَيْهِ الْعَذَابُআয়াতাংশটি পরে উল্লেখ করা হয়েছে (সুতরাং খেজুর ও আনারকে ফলমূল বহির্ভূত বলা ঠিক নয়)। মুজাহিদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) ছাড়া অন্যান্য মুফাস্সির বলেন, أَفْنَانٍ ডালাসমূহ। وَجَنَى الْجَنَّتَيْنِ دَانٍ দুই উদ্যানের ফল হইবে তাদের নিকটবর্তী- (সুরা আর্ রহমান ৫৫/৫৪)। উভয় উদ্যানের ফল যা পাড়া হইবে তা খুবই নিকটবর্তী হইবে। হাসান (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, فَبِأَيِّاٰلَآءِ আল্লাহর কোন অনুগ্রহকে? ক্বাতাদাহ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, মানব এবং দানব জাতিকে বোঝাবার জন্য رَبِّكُمَا দ্বি-বচনের صيغه ব্যবহার করা হয়েছে। আবুদ্ দারদা (রাদি.) বলেন, كُلَّ يَوْمٍ هُوَ فِيْ شَأْنٍ (তিনি প্রতিদিন গুরুত্বপূর্ণ কার্যে রত)-এর ভাবার্থ হচ্ছে, প্রত্যহ তিনি মানুষের গুনাহ ক্ষমা করেন, বিপদ বিদূরিত করেন, এক সম্প্রদায়কে সুউচ্চ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেন এবং অপর সম্প্রদায়ের অবনতি ঘটান। ইবনু আববাস (রাদি.) বলেন, بَرْزَخٌ অন্তরাল। الْأَنَامُ সৃষ্ট জীব। نَضَّاخَتَانِ খায়ের ও বারাকাতে উচ্ছলিত। ذُو الْجَلَالِ মহিমাময়। ইবনু আববাস (রাদি.) ব্যতীত অন্যান্য মুফাসসির বলেছেন, مَارِجُ নির্ধূম অগ্নিশিখা। রাজা প্রজাদের পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়ে দেয়ার পর তারা যখন পরস্পর পরস্পরের প্রতি অবাধে অত্যাচার করিতে আরম্ভ করে তখন বলা হয়, اَلَامِيْرُمَرَجَالَامِيْرُرِعَيَّتَهمَرَجَاَمْرُالنَّاسِ মানুষের বিষয়টি গোলমেলে হয়ে পড়েছে। مَرِيْجٍ দোদুল্যমান। مَرَجَ الْبَحْرَيْنٍ দুই সমুদ্র পরস্পর মিলিত হয়ে গিয়েছে। مَرَجْتَ دَابَّتَكَ এর উৎপত্তি অর্থাৎ তুমি ছেড়ে দিয়েছ। سَنَفْرُغُ لَكُمْ অচিরেই আমি তোমাদের হিসাব গ্রহণ করব কারণ কোন অবস্থা আল্লাহ তাআলাকে অন্য অবস্থা হইতে গাফিল করিতে পারে না। এ ধরনের ব্যবহার-বিধি আরবী ভাষায় সুপ্রসিদ্ধ। যেমন বলা হয়, لَا تَفَرَّ غَنَّ لَكَ অথচ তার কোন ব্যস্ততা নেই (বরং এ ধরনের কথা ধমক-স্বরূপ বলা হয়ে থাকে)। এ বাক্যের মাধ্যমে বক্তা শ্রোতাকে এ কথাই বোঝাতে চায় যে, অবশ্যই আমি তোমাকে তোমার এ গাফলতের মজা আস্বাদন করাব।
৪৮৭৮
আবদুল্লাহ ইবনু কায়স (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুল (সাঃআঃ) বলেছেন, (জান্নাতের মধ্যে) দুটি বাগান থাকবে। এ দুটির সকল পাত্র এবং এর ভিতরে সকল বস্তু রৌপ্য নির্মিত হইবে এবং (জান্নাতে) আরো দুটি উদ্যান থাকবে। এ দুটির সকল পাত্র এবং ভিতরের সকল বস্তু সোনার তৈরী হইবে। জান্নাতে আদনের মধ্যে জান্নাতী লোকেরা তাদের প্রতিপালকের দর্শন লাভ করিবে। এ জান্নাতবাসী এবং তাদের প্রতিপালকের এ দর্শনের মাঝে আল্লাহর সত্তার ওপর জড়ানো তাহাঁর বিরাটত্বের চাদর ছাড়া আর কোন জিনিস থাকবে না। [৪৮৮০, ৭৪৪৪; মুসলিম ১/৮০, হাদীস ১৮০, আহমাদ ৮৪২৭] (আ.প্র. ৪৫১১, ই.ফা. ৪৫১৪)
৬৫/৫৫/২.অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ তারা তাঁবুতে সুরক্ষিত গৌর বর্ণের হুর। (সুরা আর্ রহমান ৫৫/৭২)
وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ الْحُوْرُ السُّوْدُ الْحَدَقِ وَقَالَ مُجَاهِدٌ مَقْصُوْرَاتٌ مَحْبُوْسَاتٌ قُصِرَ طَرْفُهُنَّ وَأَنْفُسُهُنَّ عَلَى أَزْوَاجِهِنَّ قَاصِرَاتٌ لَا يَبْغِيْنَ غَيْرَ أَزْوَاجِهِنَّ.
ইবনু আববাস (রাদি.) বলেন, حُوْرٌ কালো মনি যুক্ত চক্ষু। মুজাহিদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, مَقْصُوْرٰتٌ তাদের দৃষ্টি এবং তাদের সত্তা তাদের স্বামীদের জন্য সুরক্ষিত থাকবে। قَاصِرَاتٌ তারা তাদের জন্যই নির্দিষ্ট থাকবে। তারা তাদের ছাড়া অন্য কাউকে স্বামী হিসেবে গ্রহণ করার আকাঙ্ক্ষাও পোষণ করিবে না।
৪৮৭৯
আবদুল্লাহ ইবনু কায়স (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুল (সাঃআঃ) বলেছেন, জান্নাতের মধ্যে ফাঁপা মোতির একটি তাঁবু থাকবে। এর প্রশস্ততা হইবে ষাট মাইল। এর প্রতি কোণে থাকবে হুর-বালা। এদের এক কোণের জন অপর কোণের জনকে দেখিতে পাবে না। ঈমানদার লোকেরা তাদের কাছে যাবে। এতে থাকবে দুটি বাগান, যার সকল পাত্র এবং ভেতরের সকল বস্তু হইবে রূপার তৈরী। [৩২৪৩] (আ.প্র. ৪৫১২, ই.ফা. ৪৫১৫)
Leave a Reply