সুরা আয যারিয়াত এর তাফসীর

সুরা আয যারিয়াত এর তাফসীর

সুরা আয যারিয়াত এর তাফসীর >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন >> সুরা যারিয়া’ত আরবি তে পড়ুন বাংলা অনুবাদ সহ

সুরা আয যারিয়াত এর তাফসীর

৬৫/৫২/১.অধ্যায়ঃ পরিচ্ছেদ নাই।

(51) سُوْرَةُ وَالذَّارِيَاتِ

সুরা (৫১) : আয্ যারিয়াত

قَالَ عَلِيٌّ عَلَيْهِ السَّلَام {الذَّارِيٰتُ} الرِّيَاحُ وَقَالَ غَيْرُهُ {تَذْرُوْهُ} تُفَرِّقُهُ {وَفِيْٓ أَنْفُسِكُمْ أَفَلَا تُبْصِرُوْنَ} تَأْكُلُ وَتَشْرَبُ فِيْ مَدْخَلٍ وَاحِدٍ وَيَخْرُجُ مِنْ مَوْضِعَيْنِ {فَرَاغَ} فَرَجَعَ {فَصَكَّتْ} فَجَمَعَتْ أَصَابِعَهَا فَضَرَبَتْ بِهِ جَبْهَتَهَا {وَالرَّمِيْمُ} نَبَاتُ الْأَرْضِ إِذَا يَبِسَ وَدِيْسَ {لَمُوْسِعُوْنَ} أَيْ لَذُوْ سَعَةٍ وَكَذَلِكَ عَلَى الْمُوْسِعِ قَدَرَهُ يَعْنِي الْقَوِيَّ خَلَقْنَا {زَوْجَيْنِ} الذَّكَرَ وَالأُنْثَى وَاخْتِلَافُ الْأَلْوَانِ حُلْوٌ وَحَامِضٌ فَهُمَا زَوْجَانِ {فَفِرُّوْآ إِلَى اللهِ} مِنْ اللهِ إِلَيْهِ {إِلَّالِيَعْبُدُوْنِ} مَا خَلَقْتُ أَهْلَ السَّعَادَةِ مِنْ أَهْلِ الْفَرِيْقَيْنِ إِلَّا لِيُوَحِّدُوْنِ وَقَالَ بَعْضُهُمْ خَلَقَهُمْ لِيَفْعَلُوْا فَفَعَلَ بَعْضٌ وَتَرَكَ بَعْضٌ وَلَيْسَ فِيْهِ حُجَّةٌ لِأَهْلِ الْقَدَرِ {وَالذَّنُوْبُ} الدَّلْوُ الْعَظِيْمُ وَقَالَ مُجَاهِدٌ {ذَنُوْبًا} سَبِيْلًا {صَرَّةٍ} صَيْحَةٍ {الْعَقِيْمُ} الَّتِيْ لَا تَلِدُ وَلَا تُلْقِحُ شَيْئًا وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ {وَالْحُبُكُ} اسْتِوَاؤُهَا وَحُسْنُهَا {فِيْغَمْرَةٍ} فِيْ ضَلَالَتِهِمْ يَتَمَادَوْنَ وَقَالَ غَيْرُهُ {تَوَاصَوْا} تَوَاطَئُوْا وَقَالَ {مُسَوَّمَةً} مُعَلَّمَةً مِنْ السِّيْمَا {قُتِلَالْإِنْسَانُ} لُعِنَ.

আলী (রাদি.) বলেছেন, الرِّيَاحُ বায়ুরাশি। অন্যদের হইতে বর্ণিত। تَذْرُوْهُ মানে তাকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। وَفِيْٓ أَنْفُسِكُمْ أَفَلَا تُبْصِرُوْنَ তোমাদের মধ্যেও নিদর্শন রয়েছে, (তোমরা কি অনুধাবন করিবে না?) অর্থাৎ তোমরা খানাপিনা কর এক পথে এবং তা বের হয় দুপথ দিয়ে। فَرَاغَ মানে সে ফিরে এল। فَصَكَّتْ সে মুষ্টি বন্ধ করে নিজ কপালে মারল। الرَّمِيْمُ যমীনের উদ্ভিদ যখন শুকায় এবং তা মাড়াই করা হয়। لَمُوْسِعُوْنَ অবশ্য সম্প্রসারণকারী। এমনিভাবে عَلَى الْمُوْسِعِ قَدَرَهُ অর্থাৎ সামর্থ্যবান। زَوْجَيْنِ নারী-পুরুষ, আলাদা আলাদা বর্ণের এবং মিষ্টি ও টক উভয়কেই زَوْجَانِ বলা হয়। فَفِرُّوْآ إِلَى اللهِআল্লাহর নাফরমানী ত্যাগ করে তোমরা আল্লাহর আনুগত্যের পানে এসো। إِلَّا لِيَعْبُدُوْنِ মানুষ ও জিন উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে যারা ভাগ্যবান, তাদেরই আমার তাওহীদের উপর বিশ্বাস স্থাপনের জন্য সৃষ্টি করেছি। কোন কোন মুফাসসির বলেছেন, এর অর্থ হচ্ছে, তাদের সকলকেই আল্লাহর বন্দেগীর জন্য সৃষ্টি করিয়াছেন, কিন্তু কেউ তা করেছে আর কেউ তা ত্যাগ করেছে। এ আয়াতে মুতাযিলাদের জন্য তাদের পক্ষে কোন প্রমাণ নেই। الذَّنُوْبُ বড় বালতি। মুজাহিদ বলেন, صَرَّةٍ চীৎকার। ذُنُوْبًا রাস্তা। الْعَقِيْمُ যে নারী সন্তান জন্ম দেয় না। ইবনু আববাস (রাদি.) বলেন, الْحُبُكُ আকাশের সুবিন্যস্ততা ও তার সৌন্দর্য। فِيْغَمْرَةٍ নিজেদের ভুলের দিকে ধাবিত হচ্ছে। অন্য হইতে বর্ণিত যে, تَوَاصَوْا একে অপরের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছে আরও বলেছেন, مُسَوَّمَةً চিহ্নিত। مُسَوَّمَةً শব্দটি السِيِّمًا থেকে উদ্ভূত। قُتِلَ الْإِنْسَانُ অভিশপ্ত।

(52) سُوْرَةُ وَالطُّوْرِ

সুরা (৫২) : আত্-তূর

وَقَالَ قَتَادَةُ {مَسْطُوْرٍ} مَكْتُوْبٍ وَقَالَ مُجَاهِدٌ {الطُّوْرُ} الْجَبَلُ بِالسُّرْيَانِيَّةِ {رَقٍّ مَّنْشُوْرٍ} صَحِيْفَةٍ {وَالسَّقْفِ} الْمَرْفُوْعِ سَمَاءٌ {الْمَسْجُوْرِ} الْمُوْقَدِ وَقَالَ الْحَسَنُ {تُسْجَرُ} حَتَّى يَذْهَبَ مَاؤُهَا فَلَا يَبْقَى فِيْهَا قَطْرَةٌ وَقَالَ مُجَاهِدٌ {أَلَتْنَاهُمْ} نَقَصْنَا وَقَالَ غَيْرُهُ {تَمُوْرُ} تَدُوْرُ {أَحْلَامُهُمْ} الْعُقُوْلُ وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ {الْبَرُّ} اللَّطِيْفُ{كِسْفًا} قِطْعًا {الْمَنُوْنُ} الْمَوْتُ وَقَالَ غَيْرُهُ يَتَنَازَعُوْنَ {يَتَعَاطَوْنَ}.

ক্বাতাদাহ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, مَسْطُوْرٍ লিখিত। মুজাহিদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, সুরয়ানী ভাষায় পর্বতকে طُّوْرُ বলা হয়। رَقٍّمَّنْشُوْرٍ (উন্মুক্ত) সহীফা।السَّقْفِ الْمَرْفُوْعِ (সমুন্নত) আকাশ। الْمَسْجُوْرِ জ্বলন্ত। হাসান (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, (সমুদ্র) জ্বলে উঠবে। ফলে সমস্ত পানি ফুরিয়ে যাবে এবং এক ফোঁটা পানি থাকবে না। মুজাহিদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, أَلَتْنَاهُمْ আমি হরাস করেছি। অন্যান্য মুফাসসির বলেছেন, تَمُوْرُ আন্দোলিত হইবে। أَحْلَامُهُمْ বুদ্ধি। ইবনু আববাস (রাদি.) বলেন, الْبَرُّদয়ালু। كِسْفًا খন্ড, الْمَنُوْنُ মৃত্যু। অন্যান্য মুফাসসির বলেছেন, يَتَنَازَعُوْنَ তারা আদান-প্রদান করিবে।

৪৮৫৩

উম্মু সালামাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসুল (সাঃআঃ)-এর কাছে নিবেদন করলাম যে, আমি অসুস্থ। তিনি বলিলেন, তুমি সওয়ার হয়ে লোকদের পেছনে তাওয়াফ করে নাও। তখন আমি তাওয়াফ করলাম। এ সময় রাসুল (সাঃআঃ) কাবার এক পার্শ্বে দাঁড়িয়ে সলাত আদায় করছিলেন এবং وَاطُّورِ وَكِتَابٍ مَسْطُورٍ তিলাওয়াত করছিলেন। [৪৬৪] (আ.প্র. ৪৪৮৬, ই.ফা. ৪৪৮৯)

৬৫/৫২/২.অধ্যায়ঃ পরিচ্ছেদ নাই।

৪৮৫৪

যুবায়র ইবনু মুতইম (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নাবী (সাঃআঃ)-কে মাগরিবে সুরা তূর পাঠ করিতে শুনিয়াছি। যখন তিনি এ আয়াত পর্যন্ত পৌঁছেন তারা কি স্রষ্টা ছাড়া সৃষ্টি হয়েছে, না তারা নিজেরাই স্রষ্টা? আসমান-যমীন কি তারাই সৃষ্টি করেছে? আসলে তারা অবিশ্বাসী। আমার প্রতিপালকের ধনভাণ্ডার কি তাদের কাছে রয়েছে, না তারাই এ সমূদয়ের নিয়ন্তা তখন আমার অন্তর প্রায় উড়ে যাবার অবস্থা হয়েছিল। সুফ্ইয়ান (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, আমি যুহরীকে মুহাম্মদ ইবনু জুবায়ির ইবনু মুতইমকে তার পিতার বর্ণনা করিতে শুনিয়াছি তার পিতা যুবায়র বলেছেন যে, যা আমি নাবী (সাঃআঃ)-কে মাগরিবে সুরা তূর পাঠ করিতে শুনিয়াছি। কিন্তু এর অতিরিক্ত আমি শুনিনি যা তাঁরা আমার কাছে বর্ণনা করিয়াছেন। [৭৬৫] (আ.প্র. ৪৪৮৭, ই.ফা. ৪৪৯০)


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply