সুরা রূম এর তাফসীর
সুরা রূম এর তাফসীর >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন >> সুরা রূম আরবি তে পড়ুন বাংলা অনুবাদ সহ
সুরা রূম এর তাফসীর
সুরা (৩০) : রূম (আলিফ-লাম-মীম গুলিবাতির)
فَلَا يَرْبُوْ অর্থাৎ যে এ আশায় দান করে যে, এর চেয়ে উত্তম বিনিময় পাবে, এতে কোন সওয়াব নেই। মুজাহিদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, يُحْبَرُوْنَ তারা নিয়ামত প্রাপ্ত হইবে। يَمْهَدُوْنَ তাদের আরাম আয়েশের জায়গা প্রস্ত্তত করিবে। الْوَدْقُ বৃষ্টি। ইবনু আববাস (রাদি.) বলেন, هَلْ لَّكُمْ مِمَّا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ এ আয়াত ইলাহ সম্পর্কে। تَخَافُوْنَهُمْ তোমরা কি পছন্দ কর যে, তোমাদের দাস-দাসী তোমাদের অংশীদার হোক, যেমন তোমরা পরস্পরের উত্তরাধিকার হও। يَصَّدَّعُوْنَ পৃথক পৃথক হয়ে যাবে। فَاصْدَعْস্পষ্ট বর্ণনা কর। ইবনু আববাস ব্যতীত অন্যে বলেন, ضُعْفٌ এবং ضَعْفٌউভয়ের অর্থ একই। মুজাহিদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, السُّوأَى অপরাধীকে যথাযোগ্য শাস্তি দেয়া।
৪৭৭৪
মাসরূক (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক ব্যক্তি কিন্দাবাসীদের সামনে বলছিল, ক্বিয়ামাতের দিন ধোঁয়া আসবে এবং মুনাফিকদের শ্রবণশক্তি ও দৃষ্টিশক্তি নষ্ট করে দেবে। আর মুমিনের কাছে মনে হইবে সর্দি লেগে থাকা অবস্থার ন্যায়। এ কথা শুনে আমরা ভীত হয়ে গেলাম। এরপর আমি ইবনু মাসউদ (রাদি.)-এর নিকট গেলাম। তখন তিনি তাকিয়ায় হেলান দিয়ে বসেছিলেন। এ সব কথা শুনে তিনি রাগানি¦ত হয়ে উঠে বসলেন এবং বলিলেন, যার জানা আছে সেও যেন তা বলে, আর যে না জানে সে যেন বলে, আল্লাহ তাআলাই ভাল জানেন। জ্ঞানের মধ্যে এটাও একটা জ্ঞান যে, যার যে বিষয় জানা নেই সে বলবে “আমি এ বিষয়ে জানি না।” আল্লাহ তাআলা নাবীকে বলেছেন, হে নাবী! আপনি বলুন, “আমি আল্লাহর দ্বীনের দিকে ডাকার জন্য তোমাদের নিকট কোন পারিশ্রমিক চাই না এবং যারা মিথ্যা দাবী করে আমি তাদের মধ্যে নই। কুরায়শগণ ইসলাম গ্রহণে দেরী করিতে লাগল, সুতরাং রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) তাদের জন্য এই বলে বদদুআ করিলেন। “হে আল্লাহ! আপনি তাদের উপর ইউসুফ (আ.)-এর মত সাত বছর (দুর্ভিক্ষ) দিয়ে আমাকে সাহায্য করুন।” তারপর তারা এমন ভয়াবহ দুর্ভিক্ষে পতিত হলো যে, তারা তাতে ধ্বংস হয়ে গেল এবং মরা জন্তু ও তার হাড় খেতে বাধ্য হলো। তারা (দুর্ভিক্ষের কারণে) আকাশও পৃথিবীর মধ্যস্থলে ধোঁয়ার মত দেখিতে পেল। তারপর আবু সুফ্ইয়ান তাহাঁর কাছে এসে বলিল, হে মুহাম্মাদ! তুমি আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখার আদেশ দিচ্ছ, অথচ তোমার গোত্রের লোকেরা এখন ধ্বংস হয়ে গেল। সুতরাং আমাদের (এ দুর্ভিক্ষ থেকে) বাঁচার জন্য দুআ কর। তখন তিনি এ আয়াত পাঠ করিলেন فَارْتَقِبْ يَوْمَ تَأْتِي السَّمَاءُ بِدُخَانٍ مُبِينٍ إِلَى قَوْلِهِ عَائِدُونَ “অতএব, তুমি অপেক্ষা কর সেদিনের, যেদিন স্পষ্ট ধূম্রাচ্ছন্ন হইবে আকাশ….. তোমরা তো তোমাদের পূর্বাবস্থায় ফিরে যাবে।” অবশেষে দুর্ভিক্ষের অবসান ঘটল কিন্তু তারা কুফরীর দিকে ফিরে গেল। তখন আল্লাহ তাআলা এদের ব্যাপারেই অবতীর্ণ করিলেন, যেদিন আমি তোমাদের শক্তভাবে পাকড়াও করব। الْبَطْشَةَ এবং لِزَامًا দ্বারা বাদ্রের যুদ্ধ বোঝানো হয়েছে। আল্লাহ তাআলার বাণী ঃ আলিফ, লাম, মীম। রোমানরা পরাজিত হয়েছে। …..এবং পরাজয়ের পর শীঘ্রই বিজয়ী হইবে। রোমানদের ঘটনা অতিক্রান্ত হয়েছে। [১০০৭] (আ.প্র. ৪৪১০, ই.ফা. ৪৪১২)
৬৫/৩০/২.অধ্যায়ঃ পরিচ্ছেদ নাই।
{لَا تَبْدِيْلَ لِخَلْقِ اللهِ} لِدِيْنِ اللهِ {خُلُقُ الْأَوَّلِيْنَ} دِيْنُ الْأَوَّلِيْنَ وَالْفِطْرَةُ الإِسْلَامُ.
আল্লাহর সৃষ্টির কোনই পরিবর্তন নেই। (সুরা রূম ৩০/৩০)
خَلْقِ اللهِ (আল্লাহর সৃষ্টি) এর অর্থ-আল্লাহর দ্বীন। যেমন خُلُقُ الْأَوَّلِيْنَ অর্থাৎ دِيْنُ الْأَوَّلِيْنَ পূর্ববর্তীদের দ্বীন। فِطْرَةُ ইসলাম।
Leave a Reply