সুরা বনি ইসরাইল তাফসীর
সুরা বনি ইসরাইল তাফসীর >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন >> সুরা বনী ইসরাঈল আরবি তে পড়ুন বাংলা অনুবাদ সহ
সুরা বনি ইসরাইল তাফসীর
৬৫/১৭/১.অধ্যায়ঃ পরিচ্ছেদ নাই।
৬৫/১৭/২.অধ্যায়ঃ অধ্যায়:
৬৫/১৭/৪.অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ যিনি স্বীয় বান্দাকে রাতের বেলায় ভ্রমণ করিয়েছিলেন মাসজিদুল হারাম থেকে। (সুরা বানী ইসরাঈল ১৭/১)
৬৫/১৭/৫.অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ আর যখন আমি কোন জনপদকে ধ্বংস করিতে চাই তখন তার বিত্তশালী লোকেদেরকে নেক কাজ করিতে আদেশ করি। (সুরা বানী ইসরাঈল ১৭/১৬)
৬৫/১৭/৬.অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ তোমরা তো তাদের সন্তান যাদের আমি নূহের (আঃ) সঙ্গে নৌকায় আরোহণ করিয়েছিলাম। নিশ্চয় নূহ (আঃ) ছিল শোকরগুজার বান্দা। (সুরা বানী ইসরাঈল ১৭/৩)
৬৫/১৭/৭.অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ আর দাঊদকে দান করেছি যাবূর। (সুরা বানী ইসরাঈল ১৭/৫৫)
৬৫/১৭/৮.অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ বলুনঃ তোমরা আল্লাহ ব্যতীত যাদেরকে মাবূদ মনে কর, তাদেরকে ডাক, অথচ তারা তোমাদের দুঃখ-কষ্ট দূর করার ক্ষমতা রাখে না এবং তা পরিবর্তনও করিতে পারে না। (সুরা বানী ইসরাঈল ১৭/৫৬)
৬৫/১৭/৯.অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ তারা যাদেরকে আহবান করে, তারা নিজেরাই তো তাদের রবের নৈকট্য অর্জনের উপায় তালাশ করে। (সুরা বানী ইসরাঈল ১৭/৫৭)
৬৫/১৭/১০.অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ আমি আপনাকে যে দৃশ্য দেখিয়েছি তা (এবং কুরআনে উল্লেখিত অভিশপ্ত বৃক্ষটিও) শুধু মানুষের পরীক্ষার জন্য। (সুরা বানী ইসরাঈল ১৭/৬০)
৬৫/১৭/১১.অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ নিশ্চয় ফাজরের সলাতে (মালায়িকার উপস্থিতির সময়) কুরআন পাঠ সাক্ষ্য হিসেবে পেশ করা হয়। (সুরা বানী ইসরাঈল ১৭/৭৮)
৬৫/১৭/১২.অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ আশা করা যায়, আপনার রব আপনাকে মাকামে মাহমূদে প্রতিষ্ঠিত করবেন। (সুরা বানী ইসরাঈল ১৭/৭৯)
৬৫/১৭/১৩.অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ অতঃপর বলুনঃ সত্য এসেছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে। নিশ্চয় মিথ্যা তো বিলুপ্ত হয়েই থাকে। (সুরা বানী ইসরাঈল ১৭/৮১)
৬৫/১৭/১৪.অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলা বাণীঃ আর তারা আপনাকে রূহ সম্পর্কে প্রশ্ন করে। (সুরা বানী ইসরাঈল ১৭/৮৫)
৬৫/১৭/১৫.অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ আর স্বীয় সলাতের কিরাআত খুব উচ্চৈঃস্বরেও পড়বে না এবং খুব ক্ষীণ স্বরেও পড়বে না। (সুরা বানী ইসরাঈল ১৭/১১০)
৬৫/১৭/১.অধ্যায়ঃ পরিচ্ছেদ নাই।
৪৭০৮
ইবনু মাসউদ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেছেন, সুরা বনি ইসরাইল, কাহাফ এবং মারইয়াম প্রথমে নাযিল হওয়া অতি উত্তম সুরা। এগুলো আমার পুরানো রক্ষিত সম্পদ। ইবনু আব্বাস (রাদি.) বলেন,فَسَيُنْغِضُونَ তারা তাদের মাথা নাড়াবে। অন্য হইতে বর্ণিত- نَغَضَتْ তোমার দাঁত নড়ে গেছে। (আ.প্র. নাই, ই.ফা. ৪৩৪৮ প্রথমাংশ)
৬৫/১৭/২.অধ্যায়ঃ অধ্যায়:
وَقَضَيْنَآ إِلٰى بَنِيْٓ إِسْرَائِيْلَ আমি বানী ইসরাঈলকে জানিয়ে দিয়েছিলাম যে, তারা শীঘ্রই বিপর্যয় সৃষ্টি করিবে। وَقَضٰى رَبُّكَ বহু অর্থে ব্যবহৃত হয়। যেমন الْقَضَا তোমার রব নির্দেশ দিয়েছেন। ফয়সালা অর্থে, যেমন বলা হয়েছে- إِنَّ رَبَّكَ يَقْضِيْ بَيْنَهُمْ নিশ্চয় তোমার রব তাদের মধ্যে ফয়সালা করে দিবেন, এবং সৃষ্টি করা অর্থেও ব্যবহৃত হয়; যেমন- فَقَضَاهُنَّ سَبْعَ سَمَوٰتٍ সৃষ্টি করিয়াছেন সাত আসমান। نَفِيْرًا দল।[১] যারা তার সঙ্গে চলে। وَلِيُتَبِّرُوْا তাদের প্রাধান্য সম্পূর্ণ খতম করার জন্য। حَصِيْرًا বন্দীখানা। فَحَقَّ অনিবার্য হয়েছে। مَيْسُوْرًا নম্র। خِطْئًا পাপ। এটা خَطِئْتُ থেকে اسْمٌ এবং وَالْخَطَأُ (জবর সহকারে) তার মাসদার গুনাহের অর্থে। خَطِئْتُ আমি পাপ করেছি। لَنْتَخْرِقَ কখনও বিদীর্ণ করিতে পারবে না। وَإِذْ هُمْ نَجْوٰى এটি نَاجَيْتُ থেকে مَصْدَرٌ এর দ্বারা তাদের (জালিমদের) অবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে। অর্থ পরস্পর কানাঘুষা করছে। رُفَاتًا চূর্ণ-বিচূর্ণ। وَاسْتَفْزِزْ উত্তেজিত কর। بِخَيْلِكَ তোমার অশ্বারোহী দ্বারা وَالرِّجَالُ الرَّجَّالَةُ (পদাতিক বাহিনী) এর একবচন رَاجِلٌ যেমন صَاحِبٌ এর বহুবচন صَحْبٍ এবং تَاجِرٍ এর বহুবচন حَاصِبًا،تَجْرٌ প্রবাহিত প্রচন্ড বাতাস এবং حَاصِبُ যা ঝঞঝা-বায়ু প্রবাহিত করে। এর থেকেই حَصَبُجَهَنَّمَ জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হয়। অর্থাৎ তারা হচ্ছে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত বস্তু। حَصَبَ فِيالْأَرْضِ যমীনে চলে গেছে। الْحَصْبَاءِالْحَصْبُ থেকে গঠিত। অর্থ পাথরগুলো। تَارَةً একবার। তার বহুবচন لَأَحْتَنِكَنَّ-تَارَاتُ- وَتِيَرْةَ طَاَئِرَهُ তাদের সমূলে উৎপাটিত করব। বলা হয় احْتَنَكَ فُلَانٌ مَا عِنْدَ فُلَانٍ مِنْ عِلْمٍ অর্থাৎ অন্যের যে ইল্ম ছিল তা সে সবটুকু হাসিল করে নিয়েছে। طَائِرَهُ তার ভাগ্য। ইবনু আববাস (রাদি.) বলেন, কুরআন মাজীদে যত জায়গায় سُلْطَانٍ শব্দ রয়েছে, তার অর্থ প্রমাণ। وَلِيٌّ مِنْ الذُّلِّ অর্থাৎ দুঃখ-দৈন্যের কারণে কারো সঙ্গে তার বন্ধুত্ব করিতে পারে না। (আঃপ্রঃ নাই, ইঃফাঃ ৪৩৪৮)
৬৫/১৭/৪.অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ যিনি স্বীয় বান্দাকে রাতের বেলায় ভ্রমণ করিয়েছিলেন মাসজিদুল হারাম থেকে। (সুরা বনি ইসরাইল ১৭/১)
৪৭০৯
আবু হুরাইরাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যে রাতে রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ)-কে বাইতুল মাকদাসে ভ্রমণ করানো হয়, সে রাতে তাহাঁর সামনে দুটি পেয়ালা রাখা হয়েছিল। তার একটিতে ছিল শরাব এবং আরেকটিতে ছিল দুধ। তিনি উভয়টির দিকে তাকালেন এবং দুধ বেছে নিলেন। তখন জিবরীল (আ.) বলিলেন, সমস্ত প্রশংসা সে আল্লাহর, যিনি আপনাকে স্বাভাবিক পথ দেখিয়েছেন। যদি আপনি শরাব বেছে নিতেন, তাহলে আপনার উম্মাত অবাধ্য হয়ে যেত। [৩৩৯৪] (আ.প্র. ৪৩৪৮, ই.ফা. ৪৩৪৯)
আবদান-উপাধি। পূর্ণাঙ্গ-আবদুল্লাহ ইবনু উসমান।
৬৫/১৭/৫.অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ আর যখন আমি কোন জনপদকে ধ্বংস করিতে চাই তখন তার বিত্তশালী লোকেদেরকে নেক কাজ করিতে আদেশ করি। (সুরা বনি ইসরাইল ১৭/১৬)
৪৭১১
আবদুল্লাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, জাহিলীয়াতের যুগে কোন গোত্রের লোকসংখ্যা বেড়ে গেলে আমরা বলতাম- اَمِرَبَنُوْفُلاَنٍ অমুক গোত্রের সংখ্যা বেড়ে গেছে। (আ.প্র. ৪৩৫০, ই.ফা. ৪৩৫১)
হুমাইদী সুফ্ইয়ান থেকে বর্ণনা করেন বলেন, اَمِرَ (মীম কাস্রাহ যুক্ত)। (আ.প্র. ৪৩৫০, ই.ফা. ৪৩৫২)
ذَقَنٌঅর্থ থুতনি-এখানে থুতনি বোঝানো হয়েছে।
৬৫/১৭/৬.অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ তোমরা তো তাদের সন্তান যাদের আমি নূহের (আঃ) সঙ্গে নৌকায় আরোহণ করিয়েছিলাম। নিশ্চয় নূহ (আঃ) ছিল শোকরগুজার বান্দা। (সুরা বনি ইসরাইল ১৭/৩)
৪৭১২
আবু হুরাইরাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
একদা রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ)-এর সামনে গোশ্ত আনা হল এবং তাঁকে সামনের রান পরিবেশন করা হল। তিনি এটা পছন্দ করিতেন। তিনি তার থেকে কামড়ে খেলেন। এরপর বলিলেন, আমি হব ক্বিয়ামাতের দিন মানবকুলের নেতা। তোমাদের কি জানা আছে তা কেন? ক্বিয়ামাতের দিন আগের ও পরের সকল মানুষ এমন এক ময়দানে জমায়েত হইবে, যেখানে একজন আহ্বানকারীর আহ্বান সকলে শুনতে পাবে এবং সকলেই এক সঙ্গে দৃষ্টিগোচর করিবে। সূর্য নিকটে এসে যাবে। মানুষ এমনি কষ্ট-ক্লেশের সম্মুখীন হইবে যা অসহনীয় ও অসহ্যকর হয়ে পড়বে। তখন লোকেরা বলবে, তোমরা কী বিপদের সম্মুখীন হয়েছ, তা কি দেখিতে পাচ্ছ না? তোমরা কি এমন কাউকে খুঁজে বের করিবে না, যিনি তোমাদের রবের কাছে তোমাদের জন্য সুপারিশকারী হইবেন? কেউ কেউ অন্যদের বলবে যে, আদামের কাছে চল। তখন সকলে তার কাছে এসে তাঁকে বলবে, আপনি আবুল বাশার । আল্লাহ তাআলা আপনাকে নিজ হস্ত দ্বারা সৃষ্টি করিয়াছেন এবং তাহাঁর রূহ আপনার মধ্যে ফুঁকে দিয়েছেন এবং মালায়িকাকে হুকুম দিলে তাঁরা আপনাকে সাজদাহ করেন। আপনি আপনার রবের নিকট আমাদের জন্য সুপারিশ করুন। আপনি কি দেখছেন না যে, আমরা কিসের মধ্যে আছি? আপনি কি দেখছেন না যে, আমরা কী অবস্থায় পৌঁছেছি। তখন আদাম (আ.) বলবেন, আজ আমার রব এত রাগানি¦ত হয়েছেন যার আগেও কোনদিন এরূপ রাগানি¦ত হননি আর পরেও এরূপ রাগানি¦ত হইবেন না। তিনি আমাকে একটি গাছের নিকট যেতে নিষেধ করেছিলেন, কিন্তু আমি অমান্য করেছি, নফ্সী, নফ্সী, নফ্সী, (আমি নিজেই সুপারিশ প্রার্থী) তোমরা অন্যের কাছে যাও, তোমরা নূহ (আ.)-এর কাছে যাও। তখন সকলে নূহ (আ.)-এর কাছে এসে বলবে, হে নূহ (আ.)! নিশ্চয়ই আপনি পৃথিবীর মানুষের প্রতি প্রথম রাসুল। আর আল্লাহ তাআলা আপনাকে পরম কৃতজ্ঞ বান্দা হিসেবে আখ্যায়িত করিয়াছেন। সুতরাং আপনি আপনার রবের কাছে আমাদের জন্য সুপারিশ করুন। আপনি কি দেখছেন না যে, আমরা কিসের মধ্যে আছি? তিনি বলবেন, আমার রব আজ এত ভীষণ রাগানি¦ত যে, আগেও এমন রাগানি¦ত হননি আর পরে কখনো এমন রাগানি¦ত হইবেন না। আমার একটি গ্রহণযোগ্য দুআ ছিল, যা আমি আমার কওমের ব্যাপারে করে ফেলেছি, (এখন) নফ্সী, নফ্সী, নফ্সী। তোমরা অন্যের কাছে যাও- যাও তোমরা ইব্রাহীম (আ.)-এর কাছে। তখন তারা ইব্রাহীম (আ.)-এর কাছে এসে বলবে, হে ইব্রাহীম (আ.)! আপনি আল্লাহর নাবী এবং পৃথিবীর মানুষের মধ্যে আপনি আল্লাহর বন্ধু । আপনি আপনার রবের কাছে আমাদের জন্য সুপারিশ করুন। আপনি কি দেখিতে পাচ্ছেন না আমরা কিসের মধ্যে আছি? তিনি তাদের বলবেন, আমার রব আজ ভীষণ রাগানি¦ত, যার আগেও কোন দিন এরূপ রাগানি¦ত হননি, আর পরেও কোনদিন এরূপ রাগানি¦ত হইবেন না। আর আমি তো তিনটি মিথ্যা বলে ফেলেছিলাম। রাবী আবু হাইয়ান তাহাঁর বর্ণনায় এগুলোর উল্লেখ করিয়াছেন- (এখন) নফ্সী, নফ্সী, নফ্সী, তোমরা অন্যের কাছে যাও- যাও মূসার কাছে। তারা মূসার কাছে এসে বলবে, হে মূসা (আ.)! আপনি আল্লাহর রাসুল। আল্লাহ আপনাকে রিসালাতের সম্মান দিয়েছেন এবং আপনার সঙ্গে কথা বলে সমস্ত মানবকূলের উপর মর্যাদা দান করিয়াছেন। আপনি আপনার রবের কাছে আমাদের জন্য সুপারিশ করুন। আপনি কি দেখিতে পাচ্ছেন না আমরা কিসের মধ্যে আছি? তিনি বলিলেন, আজ আমার রব ভীষণ রাগানি¦ত আছেন, এরূপ রাগানি¦ত আগেও হননি এবং পরেও এরূপ রাগানি¦ত হইবেন না। আর আমি তো এক ব্যক্তিকে হত্যা করে ফেলেছিলাম, যাকে হত্যা করার জন্য আমাকে নির্দেশ দেয়া হয়নি। এখন নফ্সী, নফ্সী, নফ্সী। তোমরা অন্যের কাছে যাও- যাও ঈসা (আ.)-এর কাছে। তখন তারা ঈসা (আ.)-এর কাছে এসে বলবে, হে ঈসা (আ.)! আপনি আল্লাহর র
রাসুল এবং কালিমাহ , যা তিনি মারইয়াম (আ.)-এর উপর ঢেলে দিয়েছিলেন। আপনি রূহ । আপনি দোলনায় থেকে মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন। আজ আপনি আমাদের জন্য সুপারিশ করুন। আপনি কি দেখছেন না, আমরা কিসের মধ্যে আছি? তখন ঈসা (আ.) বলবেন, আজ আমার রব এত রাগানি¦ত যে, এর আগে এরূপ রাগানি¦ত হননি এবং এর পরেও এরূপ রাগানি¦ত হইবেন না। তিনি নিজের কোন গুনাহর কথা বলবেন না। নফ্সী, নফ্সী, নফ্সী, তোমরা অন্য কারও কাছে যাও- যাও মুহাম্মাদ (সাঃআঃ)-এর কাছে। তারা মুহাম্মাদ (সাঃআঃ)-এর কাছে এসে বলবে, হে মুহাম্মাদ (সাঃআঃ)! আপনি আল্লাহর রাসুল এবং শেষ নাবী। আল্লাহ তাআলা আপনার আগের, পরের সকল গুনাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন। আপনি আমাদের জন্য আপনার রবের কাছে সুপারিশ করুন। আপনি কি দেখছেন না আমরা কিসের মধ্যে আছি? তখন আমি আরশের নিচে এসে আমার রবের সামনে সাজদাহ দিয়ে পড়ব। তারপর আল্লাহ তাআলা তাহাঁর প্রশংসা ও গুণগানের এমন সুন্দর নিয়ম আমার সামনে খুলে দিবেন, যা এর পূর্বে অন্য কারও জন্য খোলেননি। এরপর বলা হইবে, হে মুহাম্মাদ (সাঃআঃ)! তোমার মাথা উঠাও। তুমি যা চাও, তোমাকে দেয়া হইবে। তুমি সুপারিশ কর, তোমার সুপারিশ কবূল করা হইবে। এরপর আমি আমার মাথা উঠিয়ে বলব, হে আমার রব! আমার উম্মত। হে আমার রব! আমার উম্মত। হে আমার রব! আমার উম্মত। তখন বলা হইবে, হে মুহাম্মাদ (সাঃআঃ)! আপনার উম্মাতের মধ্যে যাদের কোন হিসাব-নিকাশ হইবে না, তাদেরকে জান্নাতের দরজাসমূহের ডান পার্শ্বের দরজা দিয়ে প্রবেশ করিয়ে দিন। এ দরজা ব্যতীত অন্যদের সঙ্গে অন্য দরজায় ও তাদের প্রবেশের অধিকার থাকবে। তারপর তিনি বলবেন, যাঁর হাতে আমার প্রাণ, সে সত্তার শপথ! জান্নাতের এক দরজার দুই পার্শ্বের মধ্যবর্তী স্থানের প্রশস্ততা যেমন মাক্কাহ ও হামীরের মধ্যবর্তী দূরত্ব, অথবা মক্কা ও বস্রার মাঝে দূরত্বের সমতুল্য। [৩৩৪০] (আ.প্র. ৪৩৫১, ই.ফা. ৪৩৫৩)
[১] আবুল বাশার অর্থ মানব জাতির পিতা।
[2] প্রথম নাবী হচ্ছেন আদাম (আঃ) আর প্রথম রাসুল হচ্ছেন নূহ (আঃ)
[3] খালীলুল্লাহ উপাধি একমাত্র আপনার।
[4] কালিমাহ-এর দ্বারা বোঝানো হয়েছে, كن শব্দ। যেহেতু এ শব্দটি বলার সঙ্গে সঙ্গে ঈসা (আঃ) আল্লাহর কুদরাতে মাতৃগর্ভে আসেন। তাই তাকে তার কালিমাহ (আল্লাহর কালিমাহ) বলা হয়।
[5]যেহেতু আল্লাহর নির্দেশে তার মাতৃগর্ভে এসেছিলেন সেহেতু তাকে রুহুল্লাহ বলা হয়।
৬৫/১৭/৭.অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ আর দাঊদকে দান করেছি যাবূর। (সুরা বনি ইসরাইল ১৭/৫৫)
৪৭১৩
আবু হুরাইরাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেন, দাঊদ (আ.)-এর ওপর (যাবূর) পড়া এত সহজ করে দেয়া হয়েছিল যে, তিনি তার সওয়ারীর উপর জিন বাঁধার জন্য আদেশ দিতেন; জিন বাঁধা শেষ হওয়ার পূর্বেই তিনি তার উপর যা অবতীর্ণ তা পড়ে ফেলতেন। [২০৭৩] (আ.প্র. ৪৩৫২, ই.ফা. ৪৩৫৪)
৬৫/১৭/৮.অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ বলুনঃ তোমরা আল্লাহ ব্যতীত যাদেরকে মাবূদ মনে কর, তাদেরকে ডাক, অথচ তারা তোমাদের দুঃখ-কষ্ট দূর করার ক্ষমতা রাখে না এবং তা পরিবর্তনও করিতে পারে না। (সুরা বনি ইসরাইল ১৭/৫৬)
৪৭১৪
আবদুল্লাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
إِلَى رَبِّهِمْ الْوَسِيلَةَ তিনি আয়াতটি সম্পর্কে বলেন, কিছু মানুষ কিছু জিনের ইবাদাত করত। সেই জিনেরা তো ইসলাম গ্রহণ করে ফেলল। আর ঐ লোকজন তাদের (পুরাতন) ধর্ম আঁকড়ে রইল। আশজায়ী সুফ্ইয়ানের সূত্রে আমাশ (রাদি.) থেকে قُلْ ادْعُوا الَّذِينَ زَعَمْتُمْ আয়াতটি অতিরিক্ত বর্ণনা করেন। [৪৭১৫, মুসলিম ৫৪/৪, হাদীস ৩০৩০] (আ.প্র. ৪৩৫৩, ই.ফা. ৪৩৫৫)
৬৫/১৭/৯.অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ তারা যাদেরকে আহবান করে, তারা নিজেরাই তো তাদের রবের নৈকট্য অর্জনের উপায় তালাশ করে। (সুরা বনি ইসরাইল ১৭/৫৭)
৪৭১৫
আবদুল্লাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
الَّذِينَ يَدْعُونَ يَبْتَغُونَ إِلَى رَبِّهِمْ الْوَسِيلَةَ এ আয়াতটি সম্পর্কে বলেন, কিছু লোক জিনের পূজা করত। পরে জিনগুলো ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করিল। তাদের ব্যাপারে এ আয়াত নাযিল হয়েছে। [৪৭১৪] (আ.প্র. ৪৩৫৪, ই.ফা. ৪৩৫৬)
৬৫/১৭/১০.অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ আমি আপনাকে যে দৃশ্য দেখিয়েছি তা (এবং কুরআনে উল্লেখিত অভিশপ্ত বৃক্ষটিও) শুধু মানুষের পরীক্ষার জন্য। (সুরা বনি ইসরাইল ১৭/৬০)
৪৭১৬
ইবনু আব্বাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
وَمَا جَعَلْنَا الرُّؤْيَا الَّتِي أَرَيْنَاكَ إِلاَّ فِتْنَةً لِلنَّاسِ এ আয়াত সম্পর্কে বলেন, এ আয়াতে رُؤْيَا (স্বপ্নে দেখা নয়, বরং) চোখ দ্বারা দেখা বোঝানো হয়েছে, যা রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ)-কে মিরাজের রাতে দেখানো হয়েছিল। আর এখানে الشَّجَرَةَ الْمَلْعُونَةَ (অভিশপ্ত বৃক্ষ) বলিতে যাক্কুম বৃক্ষ বোঝানো হয়েছে। [৩৮৮৮] (আ.প্র. ৪৩৫৫, ই.ফা. ৪৩৫৭)
[১] যাক্কুম; বৃক্ষ, যা জাহান্নামীদের খাদ্য হইবে। আল্লাহর বাণী নিশ্চয়ই যাক্কুম বৃক্ষ হইবে পাপীদের খাদ্য। গলিত তাম্রের ক্ষত, তা তাদের উদরে ফুটতে থাকবে- (সুরা আল-ফুরকান ২৫/৪৩-৪৫)। জাহান্নামের এ বৃক্ষ এবং মিরাজ উভয়ই অলৌকিক ব্যাপার। আল্লাহ পরীক্ষা করেন। কে এটা বিশ্বাস করে, আর কে করে না।
৬৫/১৭/১১.অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ নিশ্চয় ফাজরের সলাতে (মালায়িকার উপস্থিতির সময়) কুরআন পাঠ সাক্ষ্য হিসেবে পেশ করা হয়। (সুরা বনি ইসরাইল ১৭/৭৮)
قَالَ مُجَاهِدٌ صَلَاةَ الْفَجْرِ.
মুজাহিদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, الفَجْرِ দ্বারা এখানে সালাতে ফাজর বোঝানো হয়েছে।
৪৭১৭
আবু হুরাইরাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেন, জামাআতের সঙ্গে সলাত আদায় করার ফাযীলাত একাকী সলাত পড়ার চেয়ে পঁচিশ গুণ বেশী। আর ফাজ্রের সলাতে রাতের মালায়িকা এবং দিনের মালায়িকা সমবেত হয় (এ প্রসঙ্গে) আবু হুরাইরাহ (রাদি.) বলেন, তোমরা ইচ্ছা করলে এ আয়াতটি পড়ে নিতে পার। وَقُرْآنَ الْفَجْرِ إِنَّ قُرْآنَ الْفَجْرِ كَانَ مَشْهُودًا (নিশ্চয় কায়িম করিবে) “ফাজ্রের সলাত, ফাজ্রের সলাত” সাক্ষ্য হিসেবে পেশ করা হয়। [১৭৬] (আ.প্র. ৪৩৫৪, ই.ফা. ৪৩৫৮)
৬৫/১৭/১২.অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ আশা করা যায়, আপনার রব আপনাকে মাকামে মাহমূদে প্রতিষ্ঠিত করবেন। (সুরা বনি ইসরাইল ১৭/৭৯)
৪৭১৮
ইবনু উমার (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নিশ্চয়ই ক্বিয়ামাতের দিন লোকেরা ভিন্ন ভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে পড়বে। প্রত্যেক নাবীর উম্মাত স্বীয় নাবীর অনুসরণ করিবে। তারা বলবে ঃ হে অমুক (নাবী)! আপনি সুপারিশ করুন। হে অমুক (নাবী)! আপনি সুপারিশ করুন। (কেউ সুপারিশ করিতে চাইবেন না)। শেষ পর্যন্ত সুপারিশের দায়িত্ব নাবী মুহাম্মাদ (সাঃআঃ)-এর উপর পড়বে। আর এ দিনেই আল্লাহ তাআলা তাঁকে মাকামে মাহমূদ -এ পৌঁছাবেন। [১৪৭৫] (আ.প্র. ৪৩৫৭, ই.ফা. ৪৩৫৮)
[১] মাকামে মাহ্মূদ হচ্ছে একমাত্র রাসূলুল্লাহ এর জন্য জান্নাতে এক বিশেষ মর্যাদার স্থান যা আর কাউকে দেয়া হইবে না। মাকামে মাহমূদ এর অনুবাদ প্রশংসিত স্থান করলে এর পূর্ণ ভাব আদায় হয় না বিধায় একে মাকামে মাহমূদ নামেই বলা যথাযোগ্য।
৪৭১৯
জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
নিশ্চয়ই রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি আযান শোনার পর এ দুআ পড়বে, “হে আল্লাহ! এ পরিপূর্ণ আহ্বানের এবং প্রতিষ্ঠিত সলাতের রব, মুহাম্মাদ (সাঃআঃ)-কে ওয়াসীলা ও শ্রেষ্ঠত্ব দান কর, প্রতিষ্ঠিত কর তাঁকে মাকামে মাহমূদে, যার ওয়াদা তুমি করেছ” ক্বিয়ামাতের দিন তার জন্য আমার শাফাআত অবধারিত হয়ে যাবে। এ হাদীসটি হামযা ইবনু আবদুল্লাহ তাহাঁর পিতা থেকে, তিনি রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) থেকে বর্ণনা করিয়াছেন। [৬১৪] (আ.প্র. ৪৩৫৮, ই.ফা. ৪৩৬০)
৬৫/১৭/১৩.অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ অতঃপর বলুনঃ সত্য এসেছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে। নিশ্চয় মিথ্যা তো বিলুপ্ত হয়েই থাকে। (সুরা বনি ইসরাইল ১৭/৮১)
{يَزْهَقُ} : يَهْلِكُ.
يَزْهَقُ ধ্বংস হইবে।
৪৭২০
আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
(মাক্কাহ বিজয়ের দিন) রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) যখন মাক্কাহ্য় প্রবেশ করিলেন, তখন কাবা ঘরের চারপাশে তিনশ ষাটটি মূর্তি ছিল। তখন তিনি তাহাঁর হাতের ছড়ি দিয়ে এগুলোকে ঠোকা দিতে লাগলেন এবং বলিতে থাকলেন, “সত্য এসেছে আর এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে। মিথ্যা তো বিলুপ্ত হওয়ারই” (সুরা ইসরাঈল ১৭/৮১)। “সত্য এসেছে আর অসত্য না পারে নতুন কিছু সৃষ্টি করিতে এবং না পারে পুনরাবৃত্তি করিতে।” [২৪৭৮] (আ.প্র. ৪৩৫৯, ই.ফা. ৪৩৬১)
৬৫/১৭/১৪.অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলা বাণীঃ আর তারা আপনাকে রূহ সম্পর্কে প্রশ্ন করে। (সুরা বনি ইসরাইল ১৭/৮৫)
৪৭২১
আবদুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ)-এর সঙ্গে একটি ক্ষেতের মাঝে উপস্থিত ছিলাম। তিনি একটি খেজুরের লাঠিতে ভর করে দাঁড়িয়েছিলেন। এমন সময় কিছু সংখ্যক ইয়াহূদী যাচ্ছিল। তারা একে অন্যকে বলিতে লাগল, তাঁকে রূহ সম্পর্কে জিজ্ঞেস কর। কেউ বলিল, কেন তাকে জিজ্ঞেস করিতে চাইছ? আবার কেউ বলিল, তিনি এমন উত্তর দিবেন না, যা তোমরা অপছন্দ কর। তারপর তারা বলিল যে, তাঁকে প্রশ্ন কর। এরপরে তাঁকে রূহ সম্পর্কে প্রশ্ন করিল। তখন রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) (উত্তরদানে) বিরত থাকলেন, এ সম্পর্কে তাদের কোন উত্তর দিলেন না। (বর্ণনাকারী বলছেন) আমি বুঝতে পারলাম, তাহাঁর ওপর ওয়াহী অবতীর্ণ হইবে। আমি আমার জাযগায় দাঁড়িয়ে রইলাম। তারপর যখন ওয়াহী অবতীর্ণ হল, তখন তিনি [রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ)] বলিলেন, وَيَسْأَلُونَكَ عَنْ الرُّوحِ قُلْ الرُّوحُ مِنْ أَمْرِ رَبِّي وَمَا أُوتِيتُمْ مِنَ الْعِلْمِ إِلاَّ قَلِيلًا “আর তারা আপনাকে রূহ সম্পর্কে প্রশ্ন করে। আপনি বলে দিন ঃ রূহ আমার রবের আদেশঘটিত। এ বিষয়ে তোমাদেরকে খুব সামান্যই জ্ঞান দেয়া হয়েছে” (সুরা বনি ইসরাইল ১৭/৮৫)। [১২৫] (আ.প্র. ৪৩৬০, ই.ফা. ৪৩৬২)
৬৫/১৭/১৫.অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ আর স্বীয় সলাতের কিরাআত খুব উচ্চৈঃস্বরেও পড়বে না এবং খুব ক্ষীণ স্বরেও পড়বে না। (সুরা বনি ইসরাইল ১৭/১১০)
৪৭২২
ইবনু আব্বাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, সালাতে স্বর উঁচু করিবে না এবং অতিশয় নিচুও করিবে না। এ আয়াতটি এমন সময় নাযিল হয়, যখন রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) মাক্কাহ্য় অপ্রকাশ্যে অবস্থান করছিলেন। তিনি যখন তাহাঁর সাহাবাদের নিয়ে সলাত আদায় করিতেন তখন তিনি উচ্চেঃস্বরে কুরআন পাঠ করিতেন। মুশরিকরা তা শুনে কুরআনকে গালি দিত। আর গালি দিত যিনি তা অবতীর্ণ করিয়াছেন তাঁকে (আল্লাহ্কে) এবং যিনি তা নিয়ে এসেছেন তাকে (জিব্রীল)। এজন্য আল্লাহ তাআলা তাহাঁর নাবী (সাঃআঃ)-কে বলেছিলেন, “তুমি তোমার সলাতে উচ্চৈঃস্বরে কিরাআত পড়বে না, যাতে মুশরিকরা শুনে কুরআনকে গালি দেয় এবং তা এত নিচু স্বরেও পড়বে না, যাতে তোমার সহাবীরা শুনতে না পায়, বরং এ দুয়ের মধ্যবর্তী পথ অবলম্বন কর।” [৭৪৯০, ৭৫২৫, ৭৫৪৭; মুসলিম ৪/৩১, হাদীস ৪৪৬, আহমাদ ১৮৫৩] (আ.প্র. ৪৩৬১, ই.ফা. ৪৩৬৩)
৪৭২৩
আয়েশাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
وَلاَ تَجْهَرْ بِصَلاَتِكَ وَلاَ تُخَافِتْ بِهَا এ আয়াতটি দুআ সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছে। [৬৩২৭, ৭৫২৬] (আ.প্র. ৪৩৬২, ই.ফা. ৪৩৬৪)
Leave a Reply