সুরা ইবরাহীম এর তাফসীর
সুরা ইবরাহীম এর তাফসীর >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন >> সুরা ইবরাহীম আরবি তে পড়ুন বাংলা অনুবাদ সহ
সুরা ইবরাহীম এর তাফসীর
৬৫/১৪/১.অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ সুরা (১৪) : ইবরাহীম
ইবনু আববাস (রাদি.) বলেন, هَادٍ আহবানকারী। মুজাহিদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, صَدِيْدٌ পুঁজ ও রক্ত। ইবনু উয়াইনাহ বলেন, اذْكُرُوْا نِعْمَةَ اللهِ عَلَيْكُمْআল্লাহর যেসব নিয়ামত তোমাদের উপর আছে এবং যা কিছু ঘটছে (তা স্মরণ কর)। মুজাহিদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, مِنْ كُلِّ مَا سَأَلْتُمُوْهُ তোমরা যা কিছু আল্লাহর কাছে চেয়েছিলে যাতে তোমাদের আগ্রহ ছিল। يَبْغُوْنَهَاعِوَجًا তারা এর অপব্যাখ্যা তালাশ করছে। إِذْ تَأَذَّنَرَبُّكُمْ তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের জানিয়েছেন, তোমাদের অবহিত করিয়াছেন। رَدُّوْا أَيْدِيَهُمْ فِيْأَفْوَاهِهِمْ এটা একটা প্রবাদ বাক্য, যার অর্থ, তাদের যে বিষয়ে আদেশ দেয়া হয়েছিল তা থেকে তারা বিরত রয়েছে। مَقَامِيْ সে স্থান তাকে যেখানে আল্লাহ তাআলা তাহাঁর সামনে দাঁড় করাবেন। مِنْوَرَآئِهٰ তার সম্মুখে لَكُمْ تَبَعًا এর একবচন تَابِعٌ যেমন غَائِبٌ -এর বহুবচন غَائِبٍ। اسْتَصْرَخَنِيْ সে আমার কাছে সাহায্য চেয়েছে। يَسْتَصْرِخُهُ এটা الصُّرَاخِ থেকে গঠিত। وَلَاخِلَالَ আর কোন বন্ধুত্ব নয়। এটা خَالَلْتُهُخِلَالًاএর মাসদার আর خُلَّةٍ-خِلَالٍ এর বহুবচনও হইতে পারে। اجْتُثَّتْ মূলোচ্ছেদ করা হয়েছে।
{كَشَجَرَةٍ طَيِّبَةٍ أَصْلُهَا ثَابِتٌ وَّفَرْعُهَا فِي السَّمَآءِ … كُلَّ حِيْنٍ}.
তা একটি পবিত্র বৃক্ষের মত যার শিকড় সুদৃঢ় এবং যার শাখা-প্রশাখা ঊর্ধ্বে উত্থিত, সে বৃক্ষ স্বীয় রবের আদেশে প্রত্যেক মওসুমে তার ফলদান করে। (সুরা ইবরাহীম ১৪/২৪-২৫)
৪৬৯৮
ইবনু উমার (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ)-এর কাছে ছিলাম। তিনি বলিলেন, বল তো সেটা কোন বৃক্ষ, যা কোন মুসলিম ব্যক্তির মত, যার পাতা ঝরে না, এরূপ নয়, এরূপ নয় এবং এরূপও নয় যা সর্বদা খাদ্য প্রদান করে। ইবনু উমার (রাদি.) বলেন, আমার মনে হল, এটা খেজুর বৃক্ষ। কিন্তু আমি দেখলাম আবু বাক্র (রাদি.) ও উমার (রাদি.) কথা বলছেন না। তাই আমি এ ব্যাপারে বলা পছন্দ করিনি। শেষে যখন কেউ কিছু বলিলেন না, তখন রসূলূল্লাহ (সাঃআঃ) বলিলেন, সেটা খেজুর গাছ। পরে যখন আমরা উঠে গেলাম, তখন আমি উমার (রাদি.)-কে বললাম, হে আব্বা! আল্লাহর কসম! আমার মনেও হয়েছিল, তা খেজুর বৃক্ষ। উমার (রাদি.) বলিলেন, এ কথা বলিতে তোমাকে কিসে বাধা দিল? বলিলেন, আমি আপনাদেরকে কথা বলিতে দেখলাম না, তাই আমি কথা বলিতে এবং আমার মত ব্যক্ত করিতে অঅপছন্দ করি। উমার (রাদি.) বলিলেন, অবশ্য যদি তুমি বলিতে, তবে তা আমার নিকট এত এত থেকে অধিক প্রিয় হত। [৬১] (আ.প্র. ৪৩৩৭, ই.ফা. ৪৩৩৭)
[১] বৃক্ষের বৈশিষ্ট্য তিন প্রকারের- সর্বদা ফল ধরে থাকে, যার বীজ নষ্ট হয় না এবং যা দ্বারা সর্বদা উপকৃত হওয়া যায়।
[2]كَذَا وَكَذَا (এত এত) দ্বারা অনেক অনেক মূল্যবান বস্তু বুঝালেন।
৬৫/১৪/২.অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ যারা শাশ্বত বাণী কালিমায়ে তাইয়্যিবায় ঈমান রাখে, আল্লাহ তাদেরকে দুনিয়ার জীবনে এবং আখিরাতে সুপ্রতিষ্ঠিত রাখবেন। (সুরা ইবরাহীম ১৪/২৭)
৪৬৯৯
বারাআ ইবনু আযিব (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
নিশ্চয়ই রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেন, কবরে মুসলিমকে যখন প্রশ্ন করা হইবে, তখন সে সাক্ষ্য দিবে ঃ “লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াআন্না মুহাম্মাদার রাসুলুল্লাহ” আল্লাহর বাণীতে এর প্রতিই ইঙ্গিত করা হয়েছে। বাণীটি হলো এই ঃ “যারা শাশ্বত বাণীতে বিশ্বাসী তাদেরকে দুনিয়ার জীবনে ও আখিরাতে আল্লাহ সুপ্রতিষ্ঠিত রাখবেন” (সুরা ইবরাহীম ১৪/২৭)। [১৩৬৯] (আ.প্র. ৪৩৩৮, ই.ফা. ৪৩৩৮)
৬৫/১৪/৩
আল্লাহ তাআলার বাণীঃ তুমি কি তাদেরকে দেখনি যারা আল্লাহর নিয়ামাতের বদলে কুফরী করেছে। (সুরা ইবরাহীম ১৪/২৮)
أَلَمْ تَرَ أَلَمْ تَعْلَمْ كَقَوْلِهِ أَلَمْ تَرَ كَيْفَ {أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِيْنَ خَرَجُوا الْبَوَارُ} الْهَلَاكُ بَارَ يَبُوْرُ قَوْمًا بُوْرًا هَالِكِيْنَ.
أَلَمْ تَرَ (আপনি কি জানেন না) أَلَمْ تَعْلَمْ এর অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন, أَلَمْ تَرَ كَيْفَ অথবা أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِيْنَ خَرَجُوْا আয়াতে এ অর্থেই ব্যবহৃত হয়েছে। الْبَوَارُ ধ্বংস। এটা بَارَيَبُوْرُ থেকে গঠিত। قَوْمًامبُوْرًا ধ্বংসশীল সম্প্রদায়।
৪৭০০
আত্বা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি ইবনু আব্বাস (রাদি.)-কে বলিতে শুনেছেন, أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ بَدَّلُوا نِعْمَةَ اللهِ كُفْرًا তারা হল মাক্কাহর কাফিরগণ। [৩৯৭৭] (আ.প্র. ৪৩৩৯, ই.ফা. ৪৩৩৯)
Leave a Reply